সোয়ামি সোংসার নিয়ে আমার খুব গরব হলো
যে শাশুড়িকে যমের মতুন ভয় করতম, মুখের দিকে তাকাইতে পয্যন্ত সাহস করতম না, সেই শাশুড়ি একদিন বৈকালবেলায় আমাকে তার ঘরে ডাকলে। খোঁকা ত্যাকন খানিকটো ডাগর হয়েছে, সে-ও সেই সোমায় আমার কাছে ছিল। ঘরে যেয়ে দাঁড়াইতেই শাশুড়ি আমার কাছে এসে বললে, মেতর-বউ, আমি একটা কথা বলি। এই বাড়ির লক্ষ্মী তুমি, তোমার পয়েই সবকিছু আবার হবে। তোমার শ্বশুরের মিত্যুর পর সোংসার ভেসে যেছিল, ছেলেমেয়ে নিয়ে অগাধ পানিতে পড়েছেলম। আমার ঐ মেজ ছেলে সব আবার ফিরিয়ে আনলে। সেই ছেলের বউ তুমি। আমি সব জানি, গায়ের গয়না খুলে দিয়েছ তুমি। আল্লা তোমার ভালো করবে। দোয়া করি তোমাকে। দ্যাওর, ননদ, জা সবাইকে তুমি দেখো। চিরকাল ওরা তোমাকে ভক্তি করবে, মেনে চলবে, আমি জানি। তোমার এই খোঁকা আমার বংশের মানিক। ওর হায়াত দরাজ হোক, এই দোয়া করি আমি–এই বলে শাশুড়ি আমার মাথার ওপর হাত রাখলে।
ঐ একবারই অমনি করে কথা বলেছিল আমার শাশুড়ি, আর কুনোদিন লয়। এমনিতে কথা পেরায় বলতই না। পাতলা পাতলা দুটি ঠোঁট চেপে থাকত, আমাদের সাথে য্যাকন কথা বলত কি কাঠ কাঠ যি লাগত! তা সি যাকগো, সেই থেকে আমি জানি, সব সোমায় নিজের নিজের করলে কিছুই আর নিজের থাকে না।
সোংসারের আয়-বরকত বেড়ে গেল। কত্ত একদিন তার মাকে হিশেব করে বুঝিয়ে দিলে যে চাষের জমি সব মিলে এক-শো বিঘে না হলেও আশি-নব্বই বিঘে হয়েছে। আউশ জমি কুড়ি-পঁচিশ বিঘে, তা থেকে আউশ ধান কিছু তো পাওয়া যাবেই, তা-বাদে সোমবচ্ছরের যব, গম, আলু, পেঁয়াজ, তিল, সরষে যা যা সংসারের দরকার তার সবই পাওয়া যাবে। জমিতে আখ লাগিয়ে চোত মাসে শাল করে যা গুড় পাওয়া যাবে, তাতে সোংসারের পেয়োজন মিটিয়ে অ্যানেকটো বেচাও যাবে। ডাল যা লাগছে, মুগ মুশুরি মাস মটর ছোলা আইরি সব ডালই সারা বছরের লেগে হবে। খোঁরো ডিঙিলি পটল ইসব তরিতরকারিও করা যাবে। আর সত্তর-আশি বিঘে জমির আমন ধানে বছরখোরাকি তো হবেই, সোংসারের দরকারে ধান কিছু বিক্রিও করা যাবে।
চার-পাঁচটো নাঙলের লেগে কেনা হলো আট-দশটো মোষ। এই এলেকার মাটি ভালো লয়, এঁটেল মাটি, ইদিকে গরুর নাঙল চলে না। এই বড় বড় চ্যাঙর ওঠে জমিতে, সি চ্যাঙর ভোলা গরুর কম্ম লয়। হাতি হাতি মোষ দরকার। মোষের নাঙলে-তোলা ঐসব চ্যাঙর আবার টানা দিয়ে ভাঙতে হয়।
চাষের লেগে একটা-দুটো করে আট-দশটো মোষ কেনা হলো। সেই সাথে গরু-বাছুরও বাড়তে লাগল। বাড়িতে এত লোক, ছোট ছেলে বলতে অবিশ্যি আমার খোঁকা, গরুর দুধ তো কম লাগে না। তাই গাই-গরু অ্যানেকগুলিন হলো। তাদের আবার এঁড়ে বকনা বাছুর যি কতো! সব নিয়ে গোয়াল ভত্তি। পেতলের বড় বড় বালতিতে দুধ আনা হয় দু-বেলা। বড় বড় লোহার কড়াইয়ে জ্বাল দেওয়া হয় সেই দুধ। তাপর বাড়িতে পেঁয়াজের বড় পাহাড় হয়, রাখার জায়গা নাই। বাড়তি পেঁয়াজ বেচেও কুনো লাভ নাই। দু-পয়সা চার পয়সা সের। নেবেই বা কে? পাঁচ কামরার কোঠাঘরের একটো ঘরের মেজেয় পেঁয়াজ রাখা হয়েছে। সব পচে বাড়ি একদম দুর্গন্ধে ভরে গেল। শুধু পেঁয়াজ কানে, গুড়ের আবস্তাও তাই। খানা রাঁধার বিরাট তামার হাঁড়িতে গুড় রাখা হয়েছে। ঘরে রাখার জায়গা নাই, পিঁড়ের এক কোণে রাখা হয়েছে, ঢাকনা পয্যন্ত নাই। একদিন সবাই দ্যাখে, এই বড় একজোড়া ইদুর মরে তার মদ্যে পড়ে রয়েছে, মাগো কি ঘিন্না! সেই গুড় ফেলে দিলে গুড়ের ঢল বয়ে গেল গোটা এনে জুড়ে। একেই বলে উপছে-পড়া সোংসার। ধান নিয়েও কুনো কুনোবার মুশকিল হতো। অত বড় খামার এক-একটো একশো-দ্যাড়শো মণ ধানের মরাই–একটা-দুটো তো লয়, আট-দশটো সারা খামার জুড়ে, ছেলেপুলেরা লুকোচুরি খেলতে পারত–তা এক-এক বছর সেই খামারেও খ্যাড়ের পালুই আর মরাই করার জায়গা থাকত না। এইসব কথা অ্যাকনকার লোকের পেত্যয় হবে না কিন্তুক ইসবই আমি নিজের চোখে দেখেছি।
বাড়িতে ইদিকে মানুষ বেড়েই যেচে, বেড়েই যেচে। কাজের মানুষ আলেদা পাওয়া যেত না। গরিব পাড়া-পড়শি, ভাই-ভায়াদ, আত্মীয়, বেধবা কিম্বা গরিব বউরা বাড়িতে এসে থাকত, এটো ওটো করত, দুটো খেতে পেত। গামছা দিয়ে ঢেকে বাড়িতে ভাত-তরকারি নিয়েও যেত। কিন্তুক কেউ রেতে থাকত না। গরু মোষ মাঠে নিয়ে যাওয়া, চরানো, আবার বাড়িতে আনার লেগে সোমবচ্ছরের রাখাল রাখা হতো, মাহিন্দার থাকত দুজন। এই সবাই কিন্তুক ঘরের লোক মতুন, তবে রেতে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরে যায়। বাড়িতে কেউ থাকে না।
এমনি অ্যাকটো পরিবার একবার এল ভিন গাঁ থেকে। বাপটো কুটে, একগাদা ছেলেমেয়ে নিয়ে মা হিমশিম খেছে। কত্তা খামারের পাশে ছোট খামারে ঘর বাঁধার লেগে তাদের জায়গা দিলে। কুটে বাপটো, কৃঞ্চি-কাবারি দিয়ে চালের ওপরে খ্যাড় চাপিয়ে ঘর একটো বানাইলে বটে, তা কাকেও তার চাইতে ভালো বাসা বানায়। সেই ঘরে সবারই জায়গা হলো। বড় ছেলেটো হলো মাহিন্দার, ছোটটোসে একদম ছোট–সে হলো রাখাল। বাপ ঘরের ভেতর দিনরাত শুয়ে থাকে, তামুক খায় আর কাশে। তিন-চারটো মেয়ে নিয়ে মা মাঠেঘাটে চরে বেড়ায়। তা বলে কেউ উপোস থাকত না, দুটো ভাত সবারই জুটত। তিন মেয়ের নোম্বা নোম্বা চুল, কুনোদিন ত্যাল পড়ে নাই তাতে, কটা শণের মতুন রং। বৈকালবেলা মা-টো এই তিন মেয়ের চুলের উকুন বাছতে বসত আর তারা নড়লেই পিঠে মারত গুম গুম করে কিল। খেতে পেলে তবেই না এমন করে উকুন বাছা!
ছুটো-ছাটা কাজের মানুষ আরও ছিল। তিন-চার আনা দৈনিক মজুরিতে সারা দিনের লেগে মুনিষ দুটো-একটো পেরায় দিন থাকত। তারাও সব গরিব আত্মীয়স্বজন। পানি খাবার বেলা ভরপেট বাসিভাত নাইলে মুড়ি আর দোপরবেলায় ভরপেট গরম ভাত এদের জোগাতেই হতো।
ইসব হলো সারা বছরের ব্যবস্থা। কিন্তুক বর্ষাকালে ধান রোপার সোমায় আর পোষ মাসে ধান কাটার সোেমায় একদম আলাদা বেবস্তা। ত্যাকন দশ থেকে পনেরো জনা মুনিষ পেত্যেকদিন কাজ করত। আবাদের সোমায় টানা বিশ-পঁচিশ দিন থেকে এক মাস পয্যন্ত তাদের থাকতে হত। ধান কাটার সোমায়েও তাই, শ্যাষ না হওয়া পয্যন্ত তারা থাকত। অত লোক কোথা পাওয়া যাবে? ভিন গাঁ থেকে, উত্তরের সব গরিব গাঁ থেকে আসত মুনিষরা। তা বাদে সেই কোথা ছোটনাগপুরের দুমকা জেলার সাঁওতালদের এলেকা থেকে সাঁওতাল মেয়ে-মরদ আসত কাজের লেগে। বর্ষাকালে ধান রোয়া হয়ে গেলে কিম্বা জাড়কালে ধানকাটা শেষ হলে এরা আবার সব নিজের নিজের জায়গায় ফিরে যেত। কত্তার ভাইরা চাষবাসের কাজ দেখাশোনা করত বটে কিন্তুক হাতে মাটি লাগাত না কেউই। একমাত্তর আমার সেজ দাওর নিজের হাতে কিছু কিছু কাজ করত। কিন্তু কত্তাকে তেমন কেউ দেখতেই পেত না। তবু এত বড় যজ্ঞি সে-ই সামলাত। সারা দিন সে বাড়িতে না থাকলেও গাঁয়েই পেরায় থাকত। স্কুল ছিল, কত্তামার বাড়ি ছিল। শহরেও যেত মাঝে মাঝে। শহরে গেলে ধোপ-দোরস্ত জামাকাপড় পরে ভোরবেলায় বেরিয়ে যেত, ফিরত রেতে। জামা-কাপড় আর কি–এই ধুতি আর শাট, কখনো কখনো পিরেন, শীতকালে কাশ্মীরি শাল–ইসবই পরত। কিন্তুক যেখানেই যাক, রেতে ফেরা চাই। চেরকাল এই দেখে অ্যালম, রাত কখনো বাইরে কাটাত না। মেঘঝড়বিষ্টি কোনো কিছুই মানামানি নাই, শতেক বেপদ ঘাড়ে নিয়ে হলেও বাড়ি ফিরবে। এক কোশ দূরে র্যাল ইস্টিশন। সিখানে যাবার পথঘাট নাই বললেই চলে। মাঝে মাঝে ধানের জমির আলপথ ধরে কিম্বা ডাঙামির বনবাদাড় ঝোপ-জঙ্গলের ভেতর দিয়ে যেতে হতো। চারদিক সাপ-খোপে ভরা। গরমকালে ভায়ানক ধুলো আর বর্ষাকালে বেপজ্জয় কাদা। এরই মধ্যে সে যাতায়াত করত। বোধায় অত কষ্ট পেয়েছিল বলেই আর ক-বছর বাদে সোন্দর সড়ক করিয়েছিল গরমেন্টকে দিয়ে। দশ গাঁয়ের যোগাযোগ হয়েছিল র্যাল ইস্টিশনের সাথে।
আমরা আর কি বুঝব? কিন্তুক বড় বড় মানুষ আর বড় বড় শহরের সাথে কত্তার যি যোগাযোগ হচে তা যেন একটু একটু বুঝতে পারতম। তা না হলে অত শহরে যেত ক্যানে? বাড়িতেও দেখি অচেনা-অজানা লোজন আসার কামাই নাই। আমাদের মতুন মেয়েমানুষদের অজানা-অচেনা তো হবেই, কত্তাই মাঝে মাঝে বলত, অ্যামন লোকও য্যাকন-ত্যাকন বাড়িতে আসে কত্তা যাদের চেনে না। আত্মীয়-কুটুম ছাড়া গাঁয়ে-ঘরে কার বাড়িতে আবার কটো অচেনা লোক আসে? তাইলে ই বাড়িতে এত লোক আসবে ক্যানে? ভয়ে আমার বুক দুরদুর করে–কি জানি এত বেগানা লোক ক্যানে আসে বাড়িতে!
ল্যাখাপড়া এট্টু এট্টু য্যাকন শিখছি, ত্যাকন কত্তা একদিন বলেছিল ই দ্যাশ পরাধীন। উ কথার মানে ত্যাকন কিছুই বুঝি নাই। কত্তাকে শুদিয়ে জেনেছেলম যি, ই দ্যাশ মাহারানীর রাজত্ব। দ্যাড়শো বছর ধরে ই দ্যাশ পরাধীন। তার মদ্যে তিন কুড়ি বছর ই দ্যাশ শাসন করেছে এই মাহারানী। সেই রানী মরেচে পেরায় বিশ বছর হলো। অ্যাকন তার ছেলে রাজা। কি আচ্চয্যি, কোথাকার কোন্ দ্যাশের লোক রাজা-রানী হয়ে ই দ্যাশ শাসন করছে!
ইসব কথার কিছুই বুঝতে পারতম না। রানী শাসন করছে, না রাজা শাসন করছে, চোখে দেখতেও পেচি না, কানে শুনতেও পেচি–শাসন করছে তা আমার কি? আমার বিয়ের সোমায় শুনেছেলম একটো যুদ্ধ হচে সারা দুনিয়া জুড়ে। সি তো শোনা কথা, যুদ্ধ কিছু দেখি নাই। তা আজকাল দেখি কত্তা বলছে, সারা দুনিয়ার এই যুদ্ধ জিতে রাজা লিকিনি মুসলিম জাহানের খলিফা যি দ্যাশে থাকে সি দ্যাশ থেকে তাকে তাড়িয়ে দেবে।
কত্তার কথা তেমন বুঝতে না পারলেও কেমন ভয় ভয় করতে লাগল আমার। এইসব লেগেই কি বাড়িতে অত অচেনা-অজানা মানুষ আসছে? এই লেগেই কি কত্তা পেরায় পেত্যেকদিন শহর-গঞ্জে যেচে?
ইদিকে বাড়িতে সুখের অন্ত নাই। দুধ ঘি মাখন মাছ গোশতো তরি-তরকারি চাল-ডালে ভেসে যেচে বাড়ি। দিনদিন লোক বাড়ছে। মুনিষ-জন, বছর-কাবারি মাহিন্দারে বাড়ি ভরা। কত্তা আজকাল পেরায়ই বাড়ির ভেতরে মা-বুনের কাছে আসে এটো-ওটো কথা বলার লেগে। কুনোদিন এসে বলে, মা, তুমি জানো বাপজির তাজি ঘোড়া ছিল, নিজের ছয়-বেহারা পালকি ছিল, বাউরি-পাড়ায় সোমবচ্ছরের জন্যে বেহারাদের ঘর ঠিক করা ছিল। সেসব কোনদিকে কি হয়ে গিয়েছে। পরচালির খুঁটিতে ঘোড়ার পুরনো জিনটা দেখি আর ভাবি, সব আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। পালকি আবার নতুন করে তৈরি হবে। গিগাঁয়ের ছুতোরমিস্ত্রিরা দুদিন বাদে আসবে। পুরনো পালকিটা নতুন করে ফেলব। নতুন ছাউনি হবে, নতুন ভঁপ, নতুন রঙ হবে। আর ঐ সঙ্গে গরুর গাড়ির নতুন একটি বড় টপ্পরও করিয়ে নেব।
ঘরের কাজ করতে করতে আড়চোখে চেয়ে দেখি, শাশুড়ির মুখে বড্ড খুশি। মুক্তোর মতুন জিরি জিরি শাদা দাঁত দেখা যেছে কি যেছে না। ছেলের লেগে শতেক দোয়া যেন ঝরে পড়ছে চাউনি থেকে। শাশুড়ি বলছে, সে তো ভালো কথা বাবা। আমি জানি, তুমি আবার সব করবে।
হ্যাঁ, সব আমার নতুন করে হলো। লতুন পালকি হলো, গরুর গাড়ির লতুন ছই হলো। বাইরে কাজ হতো, কাঠের গন্ধ, বাঁশের গন্ধ, রঙের গন্ধ বাড়ির ভেতরেও প্যাতম। কাঠ চাচা, বাঁশ চ্যাঁচা, বেত চাচার শব্দও কানে আসত। সব তৈরি হয়ে গেলে একদিন সিসব দেখেও অ্যালম।
কদিন বাদে, এক-দু-মাস হবে, কত্তা একদিন ঠিক দোপরবেলায় বাড়ির ভেতরে এসে মাকে বললে, ঘোড়া একটি কেনা হয়েছে, আমাদের খামারে বাঁধা আছে। আড়াল থেকে দেখবে চলো।
শাশুড়ির বাইরে আসার মন ছিল না। কিন্তুক ছেলে বললে আর কি করবে। বউ-ঝি বিধবা ননদ সবাইকে সাথে যেতে বললে। কত্তার ভাইরা কেউ ছিল কি না মনে পড়ছে না। পরচালির দরজায় দাঁড়িয়ে দেখলম, এই বড় একটো সর্ষে-সর্ষে রঙের ঘোড়া খুঁটিতে বাঁধা আছে, মাহিন্দার ছোঁড়াটো একবার কাছে যেচে, আবার ভয়ে পিছিয়ে আসছে। ঘোড়ার লতুন সাজ, নতুন চামড়ার জিন, ইসব কেনা হয়েছে–সি-সবের গন্ধ পেচি, চামড়ার ক্যাচম্যাচ আওয়াজও পেচি। শাশুড়ি এট্টুখন দাঁড়িয়ে থাকলে, তাপর বাড়ির ভেতরে চলে গেল।
আর কি, সব তো মোলোকলায় পুন্ন হলো। সবাই এমন ভাব করতে লাগলে যেন সব গরবই আমার। মিছে বলব না, সি আমার খুব ভালো লাগত। তাই বলে দেমাগ আর গরব দেখানোর কুনো বাগ নাই। আমি জানতম, উসব করতে গেলে কত্তা আমার নতিজার বাকি রাখবে না। চিনি তো উ মানুষকে। তা আমারও কুনোদিন উসব করতে মন যায় নাই। আমি ছেলের মা, আমার তো আর কুনো গরব নাই। এক এই গরবই য্যাথেষ্ট!