০৭. সবাই এক সঙ্গে হৈ হৈ করে উঠল

সবাই এক সঙ্গে হৈ হৈ করে উঠল। বাস প্রচণ্ড একটা ঝাঁকুনি খেয়ে বাম দিকে খানিকটা হেলে টাল মাটাল অবস্থা এগুচ্ছে। ড্রাইভার প্রাণপণে ব্রেক করতে করতে বলল, হারামির পুত তোর মারে আমি…

বাসের একটা টায়ার ফেটে গেছে, দুর্ঘটনা পারত ঘটে নি। ফাঁকা রাস্তা বলেই সামলোনো গেছে। হেল্পার বলল, সব নামেন, গাড়ি খালি করেন। যার যার পিসাব করার দরকার পিসাব করেন।

অনিল নামল। আয়ুব আলি সাহেবের কনিষ্ঠ কন্যাকে কোলে বসানোয় অনিলের পায়ে ঝি ঝি ধরে গেছে। একটু হাঁটাহাঁটি করা দরকার। এত ঝাঁকুনিতেও আয়ুব আলির নেমে পড়েছে। শুধু মহিলারা গাড়িতে বসা। অনিলের সঙ্গে পাপিয়ার নামার ইচ্ছা ছিল। বাবার ভয়ে নামতে পারে নি।

অনিল ঘাসের উপর বসে সিগারেট ধরিয়েছে। সিগারেটে টান দিয়ে সে টের পেল আজ। সারা দিনে দুকাপ চা ছাড়া খায় নি। সিগারেটের ধোঁয়া পেটে পাক দিচ্ছে, বমি ভাব হচ্ছে। ভয়ংকর সময়েও ক্ষুধা নামক বিষয়টি মানুষের সঙ্গ ছাড়ে না। ফাঁসির আসামী ফাঁসির তিন ঘণ্টা আগে খেতে চায়। ফাঁসির আসামীকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়— শেষ ইচ্ছা কি? বেশির ভাগই না-কি খাবারের কথা বলে।

সুট পরা ভদ্রলোক হাতে ব্রিফকেস নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তাকে অসম্ভব চিন্তিত মনে হচ্ছে। ভদ্রলোক তাকিয়ে আছেন রাস্তার দিকে। একটা ট্রাক হর্ন দিল। তিনি ভয়ানক চমকে উঠলেন। অনিল তাঁর দিকে তাকাতেই তিনি সরে গেলেন। মনে হচ্ছে তিনি কারো সঙ্গে কথা বলতে চান না।

মহসিন সাহেব। এই মহসিন।

অনিল তাকাল। আয়ুব আলি তাকেই ডাকছেন। অনিলের মনে ছিল না তার নতুন নামকরণ হয়েছে। আয়ুব আলি বাস থেকে নেমেছেন। এখন তার চোখের সান গ্ৰাস। এই সানগ্রাস আগে ছিল না।

মহসিন।

আমাকে বলছেন?

আপনাকে ছাড়া কাকে বলব? এর মধ্যে ভুলে গেছেন? শুনে যান। এদিকে, আর্জেন্ট কথা আছে।

অনিল এগিয়ে গেল। আয়ুব আলি গলার স্বর অনেকখানি নামিয়ে বললেন, অবস্থা খুব খারাপ।

কেন?

দুই বোরকাওয়ালীর সঙ্গে এক বুড়ো আছে না? এরা বিহারী!

কে বলল আপনাকে?

আপনারা সব নেমে গেলেন। হঠাৎ শুনি এই দুই বোরকাওয়ালী বেহারী ভাষায় কথা বলছে। শুনেই বুকটা ছ্যাৎ করে উঠল। আমি তো সহজ পাত্র না, কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম- আপনারা কি বিহারী? কথা বলে না। অন্যদিকে তাকিয়ে থাকে। এখন কি করা যায় বলেন তো?

করার কি আছে?

বোকার মতো কথা বলবেন না। স্পাই যাচ্ছে বুঝতে পারছেন না। আমি কান্না দেখেই বুঝতে পেরেছিলাম— এটা বাঙালির কান্না না। একেক জাতির কান্না একেক রকম। বাঙালির কান্না বিহারী কাঁদতে পারে না। কিছু একটাতো করা দরকার।

আপনি চুপচাপ থাকুন। কিছুই করার নেই।

আমিও তাই ভাবছিলাম। পথে মিলিটারী, কিছু করা ঠিক হবে না। টাঙ্গাইলে নেমে না হয় বুড়োকে কানে ধরে উঠ-বোস করাবো। ঘরের শত্রু বিভীষণ।

অনিল কিছু বলল না। শরীরটা খারাপ লাগছে। এতক্ষণ বমি-বমি ভাব ছিল, এখন সত্যি বমি আসছে। বমি করে ফেলতে পারলে শরীরটা বোধ হয় ভালো লাগত। বমি হওয়ার জন্যেই অনিল আরেকটা সিগারেট ধরাল।

মহসিন সাহেব।

জ্বি।

ট্রিকস করে বুড়ো কাছ বুড়োর কাছ থেকে জানিব না-কি ব্যাপারটা কি?

কি দরকার?

তাও ঠিক। কি দরকার? তার উপর আবার বুড়ো মানুষ। জোয়ান হলে পাছায় লাথি দিয়ে নালায় ফেলে দিতাম।

বাসের চাকা বদল করা হচ্ছে। জ্যাকে কি এক সমস্যা। জ্যাক উপরে উঠছে না। ড্রাইভার এবং হেল্লার দুজনেই অনেক কায়দা-কানুন করছে। লাভ হচ্ছে না। পাপিয়া জানোলা দিয়ে হাত ইশারা করে তার বাবাকে ডাকল। অপ্ৰসন্ন মুখে আয়ুব আলি এগিয়ে গেলেন। ফিরে এলেন তার চেয়েও অপ্ৰসন্ন মুখে। থু করে একদলা থুথু ফেলে বললেন, মেয়েছেলে সঙ্গে নিয়ে কোথাও যাওয়াই উচিত না। কথায় আছে না- পথে নারী বিবর্জিতা। এসব কথাতো আর এমি এমি লোকজন বানায় না। দেখে শুনে বিচার বিবেচনা করে বানায়।

কি হয়েছে?

পাপিয়ার মা না-কি আসার সময় পানি বেশি খেয়েছিল, এখন বাথরুমে যাওয়া দরকার। তার জন্যে পাকিস্তানে গভর্নমেন্ট পথের মাঝখানে বাথরুম বানিয়ে বসে আছে। আমি পাপিয়ার মাকে বললাম- চুপ করে বসে থাক। একটা কথা না। বেশি কথা আমি নিজে বলি না, বেশি কথা শুনতেও পছন্দ করি না।

অনিল বলল, বাস এখানে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকবে বলে মনে হয়। কাছেই একটা বাড়ি দেখা যাচ্ছে সেখানে নিয়ে গেলে হয়।

কে নিয়ে যাবে, আমি?

আপনি যেতে না চাইলে আমি নিয়ে যাই।

মহসিন সাহেব, আপনার বয়স অল্প। আপনাকে একটা কথা বলি। মেয়েছেলের সব কথার গুরুত্ব দিবেন না। গুরুত্ব দিয়েছেন তো মরেছেন। এদের কথা এক কান দিয়ে শুনবেন, আরেক কান দিয়ে বের করে দেবেন। আচ্ছা এই শালারা একটা চাক্কা বদল বদল করতে গিয়ে ছয় মাস লাগিয়ে দিচ্ছে ব্যাপার কি?

 

অনিল, আয়ুব সাহেবের স্ত্রী, তাঁর দুই কন্যা এবং হাতাহাতি বিশারদ দুই পুত্রকে নিয়ে রাস্তার ওপারে বাড়িটার দিকে এগুচ্ছে। ভদ্রমহিলা পুরো ব্যাপারটায় খুব লজ্জা পাচ্ছেন। কিন্তু তাঁর মেয়ে দুটি বাস থেকে বের হতে পেরে উল্লসিত। তারা ক্ৰমাগত কথা বলে যাচ্ছে। সেই সব কথা বোঝার উপায় নেই। অল্প বয়স্ক বালিকাদের যেসব কোড ল্যাংগুয়েজ আছে তাই ব্যবহার করা হচ্ছে। ছেলে দুটি নীরব।

ভদ্রমহিলা কিছুটা গ্ৰাম্য টানা টানা স্বরে বললেন, পাপিয়ার বাবা আপনারে বিরক্ত করতেছে?

অনিল বলল, না।

ভদ্রমহিলা নিচু গলায় বললেন, আপনে কিছু মনে নিয়েন না। মানুষটা পাগলা কিসিমের কিন্তু অন্তর খুব ভালো।

মনে করার কিছু নেই।

কথা বেশি বলে কিন্তু বিশ্বাস করেন। খুব ভালো মানুষ।

আমি বিশ্বাস করছি। কেন বিশ্বাস করব না।

পাপিয়া বলল, ছোট বেলায় বাবার টাইফয়েড হয়েছিল। তার পর থেকে বাবা কথা বেশি বলে।

পাপিয়ার মা, কড়া গলায় বললেন, চুপ কর।

 

সম্পন্ন গৃহস্তের টিনের বাড়ি। কিন্তু বাড়িতে কোন মানুষ জনের সাড়া নেই। অনেক ডাকাডাকি পর কমলা শ্রেণীর একজন লোক বের হয়ে এল। তার কাছ থেকে জানা গেল রাস্তার দুপাশে অনেক দূর পর্যন্ত বাড়ি ঘরে কোন মানুষ থাকে না। রাস্তা দিয়ে মিলিটারী যাতায়াত করে। বেশ কয়েকবার ট্রাক থামিয়ে তারা রাস্তার আশেপাশের বাড়ি-ঘরগুলিতে ঢুকেছে।

অনিল বলল, বাড়িতে ঢোকে কি চায়?

লোকটা কিছু বলল না। আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকল।

অনিল বলল, ওরা কি টাকা পয়সা চায়?

না। মেয়েছেলের সন্ধান করে।

সে কি?

অছিমদ্দিন মেম্বার সাহেবের বউ আর ছোট শালীরে ট্রাকে উঠায়ে নিয়া গেছে। তারার আর কোন সন্ধান নাই।

অছিমদিন মেম্বার সাহেবের বাড়ি কোনটা?

বাড়ি দূর আছে। এই খান থাইক্যা ধরেন চাইর মাইল।

মিলিটারী কি রোজই যাতায়াত করে?

হুঁ। যাতায়াত বাড়ছে।

 

বাসের চাকা লাগানো হয়ে গেছে। বাস হর্ন দিচ্ছে। বৃষ্টিও পড়তে শুরু করেছে। বাসে ফিরতে ফিরতে সবাই আধভেজা হয়ে গেল। বাস যখন ছাড়ল তখন মুষল ধারে বৃষ্টি। দুহাত দূরের জিনিস দেখা যায় না। এমন অবস্থা। আয়ুব আলি আনন্দিত গলায় বললেন, বৃষ্টিটা নেমেছে আল্লার রহমতের মতো। বৃষ্টিতে মিলিটারী বের হবে না। চেকিং ফেকিং কিছু হবে না। হুস করে পার হয়ে যাব।

বাস চলছে খুব ধীরে। উইন্ড শিল্ড দিয়ে কিছু দেখা যাচ্ছে না, ধীরে চলা ছাড়া উপায় নেই। আয়ুব আলি বললেন, আমি সামনে গিয়ে বসি, এইখানে খুব বাকুনি। মহসিন সাহেব। আপনি পা তুলে আরাম করে বসেনতো।

অনিল পা তুলে বসল। তেমন আরাম হল না। ক্ষুধা কষ্ট দিচ্ছে। শরীর ঝিম ঝিম করছে। আয়ুব আলি সাহেবের স্ত্রী, বোরকার পর্দা তুলে দিয়েছেন। স্বামী পাশে নেই এখন একটু সহজ হওয়া যায়। তিনি অনিলের দিকে তাকিয়ে বললেন, পান খাইবেন?

না।

একটাখান। মিষ্টি পান। জর্দা দেওয়া নাই।

অনিল পান হাতে নিল। ভদ্রমহিলা সুখী সুখী গলায় বললেন, ভাইয়ের বিয়ায় যাইতেছি। শ্রাবণ মাসের দশ তারিখ বিবাহ।

আমি শুনেছি।

মেয়ে খুব সুন্দরী। ছবি আছে দেখবেন?

দেখি।

ও পাপিয়া তোর নতুন মামীর ছবি দেখা।

পাপিয়া ছবি দিল। পাপিয়ার মা হাসি মুখে বললেন, গায়ের রঙ খুব পরিষ্কার, ছবিতে তেমন আসে নাই।

পাপিয়া বলল, তুমিতো দেখ নাই মা। সব শোনা কথা।

ছোট চাচা দেখছেন। ছোট চাচা বলছেন- বক পাখির পাখনার মতো গায়ের রঙ। ছোট চাচা মিথ্যা বলার মানুষ?

অনিল ছবির দিকে তাকিয়ে মুগ্ধ হয়ে গেল। কি সুন্দর ছবি। গোলগাল মুখ। মাথাটা বা পাশে হেলানো। বেণী বাঁধা চুল। টানা টানা চোখে রাজ্যের বিস্ময় ও আনন্দ। সামান্য ছবি এত কিছু ধরতে পারে?

সুন্দর না?

হ্যাঁ সুন্দর। খুব সুন্দর।

আমার ভাইও সুন্দর। ও পাপিয়া তোর মামার ছবি দেখা।

পাপিয়া আগ্রহ করে মামার ছবি বের করল। অনিলের এই ছবিটি দেখতে ইচ্ছে করছে না। অসম্ভব রূপবতী তরুণীর পাশে কাউকে মানাবে না। পৃথিবীর সবচে রূপবান তরুণকেও তারপাশে কদাকার লাগবে। কি আশ্চর্য মেয়েটাকে এখন অতসীদির মতো দেখাচ্ছে। অবিকল অতসীদির হাসির মতো হাসি। অতসীদির চোখের মতো চোখ। অতসীদির মতোই গোল মুখ। কে জানে হয়ত এই মেয়েটার নামও অতসী। অনিল পাপিয়াকে বলল, তোমার নতুন মামীর নাম কি?

পাপিয়া হাসতে হাসতে বলল, অহনা।

কি নাম বললে, অহনা?

জ্বি। আমার আব্বা বলে— গহনা। হিহিহি…

অনিলের এই সুখী পরিবারটিকে ভালো লাগছে। অসম্ভব ভালো লাগছে।

সবচে দুঃখের সময় আনন্দময় কল্পনা করতে হয়। সুরেশ বাগচী বলতেন, বুঝলি অতসী মানুষ কি করে জানিস? সুখে সময় সে শুধু সুখের কল্পনা করে। একটা সুখ তাকে, দশটা সুখের কথা মনে করিয়ে দেয়। দুঃখের সময় সে শুধু দুঃখই কল্পনা করে। এটা ঠিক না। উল্টোটা করতে হবে।

অতসীদি বলতো, তুমি বুঝি তাই করা?

সব সময় পারি না। তবে চেষ্টা করি। খুব আনন্দের কিছু যখন ঘটে তখন তোর মার কথা ভাবি। ইস বেচারী এই আনন্দ দেখার জন্যে নেই.. তখন চোখে জলে এসে যায়।

খুব আনন্দের কিছু কি তোমার জীবনে ঘটে বাবা?

অবশ্যই ঘটে। কেন ঘটবে না।

আমিতো আনন্দের ঘটনা কিছু দেখি না। কবে ঘটল বলতো? একটা ঘটনা বল।

ঐতো সেদিনের কথাই ধর। তোরা দুই ভাই বোন খুব হাসাহাসি করছিস। দেখে আমার মনটা আনন্দে ভরে গেল। সঙ্গে সঙ্গে তোর মার কথা ভাবলাম। একা একা খানিকক্ষণ কাঁদলাম।

বাবা, তোমার কি কোন গোপন দুঃখ আছে?

সুরেশ বাগচী হাসতে হাসতে বললেন, না মা আমার সব প্রকাশ্য দুঃখ। তোর বুঝি সব গোপন দুঃখ?

অতসী হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়ল। তারপরেই খিলখিল করে হেসে ফেলল।

অনিল তার দিদির অনেক গোপন দুঃখের খবর জানা না। শুধু একটি জানে। সেই দুঃখটা ভয়াবহ ধরনের। এই দুঃখের কথা পৃথিবীর কাউকেই জানানো যাবে। না। কোনদিন এটা নিয়ে আলোচনাও করা যাবে না। এই দুঃখ দূর করারও কোন উপায় নেই। কিছু গোপন দুঃখ আছে যা চিরকাল গোপন থাকে।

অতসীদির বিয়ের কথা উঠলে সে বলবে, আমি কিন্তু বিয়ে করব না। শুধু শুধু তোমরা চেষ্টা করছ।

কেন করবে না দিদি?

কেন করব না সে কৈফিয়ত তোর কাছে দিতে হবে? তুই কে? তুই কি আমার গুরু মশাই? করব না করব না, ব্যাস।

বিয়ে যদি ঠিকঠাক হয়ে যায় তুই কি করবি?

আমি তখন ছেলেটাকে দশ লাইনের একটা চিঠি লিখব। বিয়ে ভেঙে যাবে।

অনিল ঠিক জানে না। তবে তার অনুমান অতসীদি এ রকম একটা চিঠি লিখেছে। নয়ত নেত্রকোনার উকিল সাহেবের ছেলের সঙ্গে বিয়ে ভেঙে যেত না। সব ঠিক ঠাক। ওদের মেয়ে খুব পছন্দ। পণের কোন ব্যাপার নেই। উঁকিল সাহেব বিনা পণে ছেলের বিয়ে দেবেন। তাদের বংশের এরকম ধারা। ছেলের মা এবং বোনরা এসে আশীৰ্বাদ করে গেল। ছেলের মা অতসীকে জড়িয়ে ধরে অনেকক্ষণ কাঁদলেন এবং বললেন, এই মেয়েটাতো মানুষ না। এতো দেবী দুৰ্গা। এখন থেকে আমরা এই মাকে আমি দুৰ্গা ডাকব।

সেই বিয়ে ভেঙে গেল। ছেলে সুরেশ বাগচীকে লোক মারফত একটি চিঠি পাঠাল। তাতে লেখা

প্ৰণাম নিবেন। বিশেষ কারণে আমার পক্ষে বর্তমানে বিবাহ করা সম্ভব হইতেছে না। আপনি কিছু মনে করিবেন না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত।

সুরেশ বাগচী বিস্মিত হয়ে বললেন, ব্যাপারটা কি? আমিতো কিছুই বুঝলাম না। ব্যাপারটা কি?

বাস হর্ন দিচ্ছে। যাত্রীরা সচকিত হয়ে উঠেছে। সামনেই মিলিটারী চেক পোস্ট। দুজন মিলিটারী রেইন কোট গায়ে রাস্তায় দুপাশে দাঁড়িয়ে আছে। বৃষ্টি থেমে গেছে। পরিষ্কার দিন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *