1 of 2

০৭. মাদক দ্রব্য গ্রহণের অপরাধ

সপ্তম অধ্যায় – মাদক দ্রব্য গ্রহণের অপরাধ

ধারা-১৭১

মাদক দ্রব্যের সংজ্ঞা (ক) যে সকল বন্ধু সেবনে মাদকতা সৃষ্টি হয় এবং যাহা বুদ্ধিকে আর করিয়া ফেলে অথবা বােধশক্তির উপর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তার করে তাহাকে ‘মাদক দ্রব্য’ ) বলে।

(খ) যে সকল বন্ধু মাদকতা সৃষ্টি করে এবং যাহা সেবনে বােধশক্তি হ্রাস পায় উহাদের সকল শ্রেণীই মাদক দ্রব্য’ (খা)-এর অন্তর্ভুক্ত।

বিশ্লেষণ

মাদক দ্রব্যের আরবী প্রতিশব্দ খাম্র ( AI), উহার অর্থ : ‘সমাচ্ছন্ন করা, ‘ঢাকিয়া দেওয়া, কোমও বন্ধুর সহিত মিশিয়া গিয়া ক্ষতির কারণ হওয়া। এই সকল অর্থের সহিত সম্পর্কিত হওয়ার কারণেই মদ বা শরাবকে’ও ‘খামর’ বলা হয়। ‘খা’ শব্দটি ব্যাপক অর্থবােধক।

ধারা-১৭২ (ক)

মাদক দ্রব্য সেবন দণ্ডনীয় অপরাধ (ক) মাদক দ্রব্য সেবন ‘হারাম’ এবং যে নেশাকর দ্রব্যের অধিক পরিমাণ পান করিলে মাদকতা সৃষ্টি হয় তাহার সামান্য পরিমাণ পান করাও ‘হারাম’।

(খ) মাদক দ্রব্য গ্রহণের শাস্তি সর্বোচ্চ ৮০ বেত্রাঘাত’ এবং আদালত বিবেচনা করিলে শাস্তির ধরন ও মাত্রার পরিবর্তন করিতে পারে।

(গ) মাদক দ্রব্য উৎপাদন, পরিবহন, ক্রয়-বিক্রয়, আমদানি-রপ্তানি, পরিবেশন ও উপঢৌকন প্রদান দণ্ডনীয় অপরাধ এবং ইহার শাস্তি আদালত নির্ধারণ করিবে।

विभिने। মদ্যপান ছিল তৎকালীন আরবের তথা গোটা পৃথিবীর মানুষের সাধারণ অভ্যাস এবং তাহারা মদপানকে অপরাধযোগ্য কর্ম মনে করিত না। কিন্তু ইসলামে মদ্যপান একটি দণ্ডনীয় অপরাধ। তবে মানুষের এই চিরাচিত অভ্যাসের পরিবর্তন সাধনে ইসলাম ধীর পদক্ষেপে ক্রমান্বয়ে অগ্রসর হইয়াছে। প্রথমে বলা হইয়াছে যে, খেজুর ও

৩২৮

আঙ্গুর হইতে মদ প্রস্কৃত করা হয় এবং উত্তম খাদ্যও (দ্র. সূরা নাহল :৬৭)। অতঃপর মদ্যপান করিয়া মাতাল অবস্থায় নামায পড়িতে নিষেধ করা হইয়াছে (, সূরা নিসা : ৪৩)। অতঃপর বলা হইয়াছে, মদের উপকারী ও অপকারী উভয় দিকই রহিয়াছে, তবে উপকারের তুলনায় অপকারের মাত্রা অত্যধিক (দ্র. সুরা বাকারা : ২৯৯)। অতঃপর নিম্নোক্ত আয়াতে চূড়ান্তভাবে এবং চিরকালের জন্য মদ্যপান হারাম ঘোষিত

হয় :

يأيها الذين أمنوا اما الخمر والميسر والأنصاب والأزلام رجل من عمل الشيطان فاجتنبوه لعلكم تفلحون . انما يريد الشيطان أن يوقع بينكم العداوة والبغضاء في الخمر والميسر ومكم عن ذكر الله وعن الصلوة فهل

انتم منتهون .

“হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শর ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কার্য। সুতরাং তোমরা উহা বর্জন কর, যাহাতে তোমরা সফলকাম হইতে পার। শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শক্রতা ও বিদ্বেষ ঘটাইতে চাহে এবং তোমাদেরকে আল্লাহর স্মরণে ও নামাযে বাধা দিতে চাহে। অতএব তোমরা কি নিবৃত্ত হইবে না?” (সূরা মাইদা : ৯০-৯১)।

উপরোক্ত আয়াত নাযিল হওয়ার মাত্র কিছুদিন পূর্বে মহানবী (সা) তাঁহার এক ভাষণে বলিয়াছিলেন : “মদ্যপান আল্লাহর নিকট অত্যন্ত অপছন্দনীয় কাজ। উহা হারাম হওয়ার নির্দেশ নাযিল হওয়াও অসম্ভব নহে।

মহানবী (সা) বলেন :

كل مسكر خمر وكل مسكر حرام .

“প্রত্যেক নেশা উদ্রেককারী জিনিস মদ এবং প্রত্যেক নেশা উদ্রেকারী জিনিস হারাম।”

كل مخمر خمر” وكل مسكر حرام .

“মাদকতা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক বস্তু মাদকদ্রব্য এবং নেশা সৃষ্টিকারী প্রত্যেক বস্তু হারাম।”

“যে পানীয়ই নেশা সৃষ্টি করে তাহাই হারাম”।

كل شراب اسكر فهو حرام. ما أسكر كثيره فقليله حرام .

৩২৯

“যে জিনিস অধিক পরিমাণ (পান করিলে) নেশা সৃষ্টি করে তাহার স্বল্প পরিমাণও 3ISIR”

گل مسكر حرام وما أسكر من الفرق فملء الكف منه

حرام .

“যে জিনিস এক পাত্র (পান করিলে) নেশা সৃষ্টি করে তাহার এক অঞ্জলি পরিমাণও হারাম।

نهى رسول الله صلى الله عليه وسلم عن كل مسكر

ومفتر .

“রাসূলুল্লাহ (সা) নেশা উদ্রেককারী এবং নেশার প্রতি আকৃষ্টকারী প্রত্যেক বস্তু 2 ff #CBa “

عن ديلم الحميري قال سنت رسول الله صلى الله عليه

وسلم فقلت يا رسول الله انا بارض باردة عالج فيها عم شديدا واثانخ شرابا من هذا القمح تقوی به ملی أعمالنا وعلى برد بلادنا قال هل يسكر تنت نعم قال

ير تاركيه قال فان ثم

فاجتنبوه قال قلت فان الناس يتركوه فقاتلوهم.

14an aff-farar (RI) Cre, we arnaara (۲) – aftania, : আল্লাহর রাসূল! আমরা শীতপ্রধান এলাকায় বসবাস করি এবং তথায় আমাদেরকে কঠোর পরিশ্রম করিতে হয়। আমাদের শ্রান্তি দূর করার জন্য ও শীত নিবারণের জন্য আমরা এই গম হইতে প্রস্তুত শরাব পান করিয়া থাকি। তিনি (সা) জিজ্ঞাসা করিলেন, নেশার সৃষ্টি হয় কি? আমি বলিলাম, হাঁ। তিনি বলিলে, তাহা হইলে তোমরা উহা পরিহার কর। আমি বলিলাম, কিন্তু লোকেরা উহা পরিহার করিবে না। তিনি বলিলেন, তাহারা উহা পরিহার না করিলে তোমরা তাহাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ কর।”

أخبر قومك أن كل مسكر حرام .

“তোমার সম্প্রদায়কে অবহিত কর যে, নেশা উদ্রেককারী সব জিনিস হারাম।”

لعن الله الخمر وشاربها وساقيها وبائعها ومتباعها

وعاصرها و مقتصرها واملها والمحمولة اليه .

“আল্লাহু তা’আলা অভিসম্পাত করিয়াছেন : স্বয়ং মদকে, উহার পানকারীকে, উহার পরিবেশনকারীকে, উহার ব্যবসায়ীকে, উহার ক্রেতাকে, উহার উৎপাদনকারীকে, যাহার জন্য উহা উৎপাদন করা হয় তাহাকে, উহার পরিবহনকারীকে এবং উহা যাহার

জন্য পরিবহন করা হয় তাহাকে।”

কুরআন মজীদে মাদক দ্রব্য গ্রহণের শাস্তি নির্ধারণ করা হয় নাই। মহানবী (সা)-ও সুনির্দিষ্টভাবে ইহার শান্তি নির্ধারণ করিয়া দেন নাই।

আবু হুরায়রা (রা) বলেন, “মহানবী (সা)-এর নিকট এক মদ্যপকে উপস্থিত করা হইলে তিনি বলিলেন, “কেহ জুতা দ্বারা তাহাকে মারপিট কর’। রাবী বলেন, আমাদের কেহ হস্ত দ্বারা এবং কেহ পাকানো কাপড় দ্বারা, তাহাকে প্রহার করিয়াছিল।”

আনাস (রা) বলেন, “রাসূলুল্লাহ (সা) মাদক দ্রব্য গ্রহণের অপরাধে লাঠি ও জুতা দ্বারা প্রহার করিয়াছেন, আবু বা (রা) চল্লিশ বেত্রাঘাত করিয়াছেন এবং উমর (রা) তাঁহার খেলাফতের শেষ দিকে উহা আশি বেত্রাঘাতে উন্নীত করিয়াছেন।”

কাতাদা (রা) বলেন, “মহানবী (সা) লাঠি ও জুতা হায়া চরিশবার প্রহার করিয়াছেন।

আনাস (রা) বলেন, “মহানবী (সা) দুইটি লাঠি একত্র করিয়া চল্লিশবার প্রহার করিয়াছেন।”

উসমান ইবন আফফান (রা)-এর খেলাফতকালে এক ব্যক্তি এক মদ্যপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিল যে, সে তাহাকে মদ্যপান করিতে দেখিয়াছে এবং আরেক ব্যক্তি সাক্ষ্য দিল যে, সে তাহাকে বমন করিতে দেখিয়াছে। উসমান (রা) আলী (রা)-কে নির্দেশ দিলেন তাহাকে শাস্তি দেওয়ার জন্য। তাহাকে চল্লিশ বেত্রাঘাত দেওয়া হইলে আলী (রা) প্রহারকারীকে থামিতে নির্দেশ দিলেন এবং বলিলেন, মহানবী (সা) চল্লিশ বেত্রাঘাত করিয়াছেন, আবূ বা (রা) চল্লিশ বেত্রাঘাত করিয়াছেন এবং উমর (রা) আশি বেত্রাঘাত করিয়াছেন, সবগুলিই সঠিক (সুন্নত) এবং ইহা আমার পছন্দনীয়।”

মুআবিয়া ইবন আবু সুফিয়ান (রা) বলেন, রাসূলুহ্ (সা) বলিয়াছেন : “লোকেরা প্রথমবারের মত মাদক দ্রব্য সেবন করিলে তাহাদেরকে বেত্রাঘাত কর, পুনরায় সেবন করিলে বেত্রাঘাত কর, পুনরায় সেবন করিলে বেত্রাঘাত কর এবং পুনরায় (চতুর্থবার) সেবন করিলে হত্যা করা।”*

মহান আল্লাহ্ বলেন,

تعاونوا على البر والتقوى ولا تعاونوا على الاثم

والعدوان .

“সত্য ও তাকওয়ার ক্ষেত্রে তোমরা পরস্পরের সহযোগিতা করিও এবং পাপাচার ও সীমালঙ্নে পরস্পরের সহযোগিতা করিও না” (সূরা মাইদা : ২)।

মহানবী (সা) বলেন :

“নিশ্চয় আল্লাহ্ মদের ব্যবসা হারাম করিয়াছেন”

ان الله حرم بيع الخمر . إن الذي حرم شربها حرم بيعها وأكل منها .

“যেই মহান সত্তা মদ্যপান নিষিদ্ধ করিয়াছেন, তিনিই উহার ব্যবসা এবং উহা হইতে প্রাপ্ত মূল্য ভক্ষণ নিষিদ্ধ করিয়াছেন।”

মাদক দ্রব্য গ্রহণের শাস্তি ৮০ বেত্রাঘাত। অবশ্য ইমাম শাফিঈ (প্রসিদ্ধ) এবং ইমাম আহমাদ (র)-এর মতে ৪০ বেত্রাঘাত। অপরাধের প্রকৃতি অনুযায়ী আদালতের সুবিচেনায় শান্তির পরিমাণে হ্রাস-বৃদ্ধি হইতে পারে; যেমন কারাদণ্ড, অর্থদণ্ড ইত্যাদি, তবে বেত্রাঘাত ৮০-এর অধিক বর্ধিত করা যাইবে না। চতুর্থবার মাদক দ্রব্য গ্রহণের অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের যে কথা হাদীসে উল্লিখিত হইয়াছে তাহা ভীতি প্রদর্শন ও সতর্কীকরণের জন্য। মাদক উৎপাদন, বাজারজাতকরণ, পরিবহন, পরিবেশন এবং আমদানি-রপ্তানিও দণ্ডনীয় অপরাধ। এইসব কাজে লিপ্ত অপরাধী আদালতের সুবিবেচনা অনুযায়ী দণ্ডযোগ্য হইবে।

ইমাম আবু হানীফা (র) মদ (Liquor) ও নেশা উদ্রেকারী দ্রব্যের (Intoxicant) মধ্যে পার্থক্য করেন। তাহার মতে মদ্যপান শাস্তিযোগ্য অপরাধ, তাহাতে নেশার উদ্রেক হউক বা না হউক। কিন্তু নেশা উদ্রেককারী অন্যান্য দ্রব্যের ব্যবহার শাস্তিযোগ্য নহে যাবত না তাহা নেশার সৃষ্টি করে। তাহার মতে নিম্নবর্ণিত পানীয়গুলি মাদকদ্রব্যের অন্তর্ভুক্ত। (ক) তাজা আঙ্গুরের রস অব্যবহৃত অবস্থায় ফেলিয়া রাখার পর তাহা। গাজাইয়া ফেনা ধারণ করিলে।” (খ) আঙ্গুরের রস জ্বাল দেওয়ার পর উহার দুই-তৃতীয়াংশ শুকাইয়া গেলে। (গ) কিসমিস ও শুষ্ক খেজুরের রস জ্বাল দিয়া সিদ্ধ না করা সত্ত্বেও তাহাতে মাদকতা সৃষ্টি হইলে। কিন্তু তাজা আঙ্গুরের রস, আগুনে সিদ্ধ করার ফলে উহার দুই-তৃতীয়াংশ বাম্প হইয়া উড়িয়া না গেলে, কিসমিস ও শুষ্ক খেজুরের রস, আগুনে সিদ্ধ করার ফলে ইহার দুই-তৃতীয়াংশ বাম্পাকারে উড়িয়া না গেলে এবং বার্লি (যব), গম, ভূট্টা ইত্যাদির রস, তাহা আগুনে জ্বাল দেওয়া হউক বা না হউক, নেশা উদ্রেককারী দ্রব্য হইলেও মাদকদ্রব্য নয়।” এইগুলি পান করায় মাদকতা সৃষ্টি হইলেই কেবল পানকারী শাস্তিযোগ্য হইবে, অন্যথায় নহে। নেশা উদ্রেককারী দ্রব্যে নির্দেশ ভাং, ধুতরা ইত্যাদি যে কোন প্রকারের নেশা উদ্রেককারী বস্তুর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হইবে। কিন্তু এই ক্ষেত্রে হজ্জ-এর শাস্তি হইবে না, বরং তাযীরের আওতায় শান্তি হইবে। কারণ হদ-এর শাস্তি মাদক গ্রহণ ও তৎপ্রেক্ষিতে মাতাল হওয়ার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হইয়া থাকে। অপর সকল ইমামের মতে যে সত্ত্বর অধিক পরিমাণ গ্রহণে নেশার উদ্রেক হয় তাহার সামান্য পরিমাণ গ্রহণও হারাম এবং তাহা হদ্দযোগ্য অপরাধ।

৩৩২

ধারা-১৭২ (খ) বেলায় মাদক গ্রহণ করিয়া অপরাধকর্মে লিইনে কোন ব্যক্তি বেলায় ও সজ্ঞানে যে কোন পন্থায় মাদক দ্রব্য গ্রহণ করিয়া উহার প্রতিক্রিয়ায় মাতাল হইয়া অপরাধ করিলে অপরাধের শ্রেণী অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য হইবে।

বিশ্লেষণ

চার মাযহাবের ইমামগণের গ্রহণযোগ্য মত এই যে, কোন ব্যক্তি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে যে কোন পন্থায় মাদকদ্রব্য গ্রহণ করিয়া মাতাল অবস্থায় অপরাধকর্ম করিলে উহার জন্য সে দণ্ডযোগ্য হইবে, কর্মটি সে ইচ্ছায় (1 ) করুক বা ভুলবশতই (স;) করুক। কারণ সে নিজেই তাহার বােধশক্তি ক্ষুন্ন বা লোপ করিয়াছে এবং তাহা এমন জিনিস দ্বারা করিয়াছে যাহা গ্রহণ স্বয়ং একটি দণ্ডযোগ্য অপরাধ। অতএব সতর্ক ও শংকিত করার জন্য তাহাকে শাস্তি প্রদান জরুরী। এইরূপ অবস্থায় শাস্তি হইতে রেহাই দেওয়া হইলে দুষ্কৃতিকারীরা মদ্যপান করিয়া অপরাধ কর্ম করিতে দুঃসাহসী হইবে।

সারা-১৭৩

যাহাদের উপর শান্তি প্রযোজ্য নহে। নাবালেগ ও পাগল ব্যক্তি এবং কে অনন্যোপায় হইয়া অথবা বা মোগে বাধ্য হইয়া মাদক দ্রব্য গ্রহণ করিলে তাহার উপর দণ্ড কার্যকর হইবে না।

বিশ্লেষণ

নাবালেগ ও পাগল ব্যক্তির উপর হল কার্যকর হয় না। কেহ অনন্যোপায় হইয়া তৃষ্ণা বা ক্ষুধা নিবারণের জন্য মাদক গ্রহণ করিলে তাহার এই অপরাধও দণ্ডনীয় হইবে না। মহান আল্লাহ বলেন :

فور

فمن اضطر غير باغ و لا عاد ف

رحیم .

“তবে যে ব্যক্তি অনন্যোপায় কিন্তু বিদ্রোহী বা অবাধ্যাচারী নহে তাহার (হারাম দ্রব্য গ্রহণে) কোন পাপ হইবে না। আল্লাহ্ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (সূরা বাকারা : ১৭৩; আরও দ্র. সূরা নাহল : ১১৫)।

ثم فان الله

فمن اضطر في مخمصة غير متجانف

غفور رحيم .

“তবে কেহ পাপের দিকে না ঝুঁকিয়া ক্ষুধার তাড়নায় (হারাম দ্রব্য গ্রহণে) বাধ্য হইলে তখন আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (সুরা মাইদা : ৩)।

وقد فصل لكم ما حرم عليم الأ ما اضطررتم اليه .

“যাহা তোমাদের জন্য হারাম তাহা তিনি বিশদভাবেই তোমাদের নিকট বিবৃত করিয়াছেন, তবে তোমরা নিরুপায় হইলে স্বতন্ত্র কথা” (সূরা আনআম : ১১৯)।

কোন ব্যক্তিকে বলপ্রয়োগে মাদক গ্রহণে বাধ্য করা হইলে সেও উহা গ্রহণের জন্য অপরাধী সাব্যস্ত হইবে না, তবে বলপ্রয়োগ প্রমাণিত হইতে হইবে। মহান আল্লাহ বলেন :

১২:০। “কিন্তু যাহাকে বলপ্রয়োগে বাধ্য করা হয় (সে শাস্তিযোগ্য নহে)” (সূরা নাহল : ১০৬)।

ومن يكرههن فان الله من بعد اگر اهه غفور رحيم .

“আর যে তাহাদিগকে (পাপাচারে লিপ্ত হইতে) বাধ্য করে, তবে তাহাদের উপর বল প্রয়োগের পর আল্লাহ্ তো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু” (সূরা নূর : ৩৩)।

অবশ্য নাবালেগ তাযীরের আওতায় আদালতের সুবিবেচনা অনুযায়ী সংশোধনীমূলক শাস্তি পাইতে পারে।

ধারা-১৭৪

অপরাধ প্রমাণ ও হদ কার্যকরকরণ (ক) অপরাধীর একবার স্বীকারোক্তি অথবা দুইজন বালেগ ও বুদ্ধিমান মুসলিম পুরুষ সাক্ষীর সাক্ষ্যের দ্বারা অপরাধ প্রমাণিত হইবে।

তবে শর্ত থাকে যে, স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করিলে অথবা সাক্ষীবয়ের

সাক্ষে মতভেদ হইলে হদ কার্যকর হইবে না। (খ) অপরাধীর মন বা মুখের ঘ্রাণ অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট নহে।

(গ) মাদকের নেশা কাটিয়া যাওয়ার পর অপরাধীর সুস্থ অবস্থায় তাহার উপর শান্তি কার্যকর করিতে হইবে।

বিশ্লেষণ

অপরাধী আদালতের সামনে মাদক গ্রহণের একবার স্বীকারোক্তি’ করিলেই অপরাধ প্রমাণিত হইবে। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফের মতে দুইবার স্বীকারোক্তি আবশ্যক। মাদকের ক্ষেত্রে কেবল পুরুষদের সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য, নারীর সাক্ষ্য বা নারী-পুরুষের একত্র সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য নহে। সাক্ষীদ্বয়ের মধ্যে মতভেদের ক্ষেত্রে হদ্দ রহিত হইয়া যাইৰে। অনুরূপভাবে অপরাধী তাহার ধীকারোক্তি প্রত্যাহার করিলেও হদ্দ রহিত হইয়া যাইবে। কারও মুখ হইতে মাদকের ঘ্রাণ পাওয়া গেলে অথবা কেহ মাদক বমন করিলে উহার দ্বারা হযোগ মাদক গ্রহণ প্রমাণিত হইবে না, উহা কেবল গ্রহণের সন্দেহ সৃষ্টি করে মাত্র। মাদকের নেশা কাটিয়া যাওয়ার এবং অপরাধীর সুস্থ হওয়ার পর ‘হ’ কার্যকর হইবে, অন্যথায় শাস্তির উদ্দেশ্য ব্যাহত হইয়া যাইবে।

৩৩৪

বিধিবজ ইসলামী আইন

ধারা-১৭৫

মা -এর স যাহার কথাবার্তা বুঝিবার এবং নারী-পুরুষের মধ্যে পার্থক্য ফরিবার শক্তি রহিত হইয়া যায় তাহাকে মাতাল’ (! ) বলে।

বিশ্লেষণ

উপরোক্ত সংজ্ঞা ইমাম আবু হানীফা (র) প্রদান করিয়াছেন বলিয়া কথিত এবং হানাফী মাযহাব উক্ত সংজ্ঞা গ্রহণ করিয়াছে। কিন্তু ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (র) এবং মালিকী, শাফিঈ ও হাম্বলী মাযহাবের সংজ্ঞা নিম্নরূপ : যে ব্যক্তি আবােল-তাবােল বকে, যাহার কথ’ জড়াইয়া যায় এবং যে ভালো-মন্দের মধ্যে পার্থক্য করিতে পারে না তাহাকে মাতাল’ বলে। কারণ আল্লাহ্ তাআলা বলেন,

بأيها الذين آمنوا لا تقربوا الصلوة وانتم سگزی حتی

تلموا ما تقولون.

“হে ঈমানদারগণ! নেশাগ্রস্ত অবস্থায় তোমরা নামাযের নিকটবর্তী হইও না, যতক্ষণ না তোমরা যাহা বল তাহা বুঝিতে পার” (সূরা নিসা : ৪৩)।

অতএব যে ব্যক্তি তাহার কথাবর্তা সম্পর্কে জ্ঞাত নহে সে মাতাল (সুকরান) হিসাবে গণ্য। অপরাপর ইমামগণের এই মত।”

ধারা-১৭৬

মাতালের স্বীকারোক্তি মাতালের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হজ কার্যকর হইবে না।

বিশ্লেষণ

কোন ব্যক্তি মাতাল অবস্থায় যাহা কিছু বলে তাহা নির্ভরযোগ্য নহে। অতএব উক্তরূপ অবস্থায় সে মাদক গ্রহণের স্বীকারোক্তি করিলে ঐ স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাহার উপর হদ্দ কার্যকর হইবে না।

বল,পয়োগ (14)

ধারা-১৭৭

সংত্তা অন্যায়ভাবে ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন ব্যক্তিকে তাহার ইয়ার বিরুদ্ধে কোন ‘কাজ করিতে অথবা করা হইতে বিরত থাকিতে বাধ্য কৰাকে বলমোেগ’ ( 51) বলে।

৩৩৫

বিশ্লেষণ

বলপ্রয়োগ’-এর আরবী প্রতিশব্দ ইকরাহ, যাহার অর্থ অপছন্দ, অমনঃপূত। বাদাইউস সানাই গ্রন্থে বলা হইয়াছে :

“ভীতি প্রদর্শন করিয়া কোন ব্যক্তিকে কোন কাজ করিতে বাধ্য করাকে বলপ্রয়োগ বলে।

ধারা-১৭৮

. বলপ্রয়োগর শ্রেণীবিভাগ বলপ্রয়োগ দুই শ্রেণীতে বিভক্ত

(ক) পূর্ণ বলপ্রয়োগ ( 1, si) : এমনভাবে বলপ্রয়োগ যাহার ফলে বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তি অনন্যোপায় হইয়া পড়ে; যেমন, হত্যা বা অঙ্গহানির হুমকি অথবা অঙ্গহানিকর আঘাত ইত্যাদি।

(খ) অপূর্ণ বলপ্রয়োগ jL SI) : এমনভাবে বলপ্রয়োগ যাহার ফলে বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তি অনন্যোপায় হইয়া পড়ে না; যেমন বন্দী করিয়া রাখা, হাতে-পায়ে লোহার বেড়ি পরাইয়া রাখা বা এমন আঘাত যার দ্বারা অঙ্গহানি হওয়ার আশংকা নাই।

ধারা-১৭৯

বলপ্রয়োগের শর্তাবলী (ক) বলপ্রয়োগকারী তাহার বলপ্রয়োগ কার্যকর করিতে সক্ষম, সে বালেগ হউক বা না হউক।

(খ) বলপ্রয়োগকৃত ব্যক্তির ধারণা অনুযায়ী বলপ্রয়োগকারীর নির্দেশ মান্য না করিলে সে তাহার ক্ষতিসাধন করিবে।

বিশ্লেষণ

উপরোক্ত দুইটি শর্ত বিদ্যমান থাকিলে কোন কর্ম ‘বলপ্রয়োগ হিসাবে গণ্য হইবে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি হমকি বা ভীতি প্রদর্শন করিয়া অপর ব্যক্তির দ্বারা কোন কাজ করাইতে অথবা তাহাকে কোন কাজ হইতে বিরত রাখিতে চাহে সেই ব্যক্তির বাস্তবে বলপ্রয়োগ কার্যকর করার সামর্থ্য বিদ্যমান থাকিতে হইবে, তাহার বালেগ হওয়া শর্ত নহে। অন্যথায় তাহার উক্তরূপ কার্য বলপ্রয়োগ হিসাবে গণ্য হইবে না। তাই বুদ্ধিজ্ঞানের অধিকারী নাবালেগ ব্যক্তির উক্তরূপ কার্যও বলপ্রয়োগ’-এর আওতায় পড়িবে।

অপরদিকে যাহার উপর বলপ্রয়োগ করা হইয়াছে তাহার ধারণা থাকিতে হইবে যে, বলপ্রয়োগকারীর নির্দেশ পালন না করিলে সে তাহাকে হত্যা করিবে, অথবা তাহার অঙ্গহানি করিবে। তাহার উক্তরূপ ধারণা সৃষ্টি না হইলে ভীতিপ্রদর্শনপূর্বক তাহার দ্বারা কৃত কার্য “বলপ্রয়োগে সম্পন্ন হইয়াছে বলিয়া প্রমাণিত হইবে না।

৩৩৬

পক্ষান্তরে তাহার ধারণা যদি এই হয় যে, বলপ্রয়োগকারী শুধু হুমকি দিতেছে, কিন্তু তাহা সে বাস্তবে কার্যকর করিবে না, তবে এই অবস্থায় কৃত তাহার কাজ বলপ্রয়োগে হইয়াত্বে বলিয়া গণ্য হইবে না।

ধারা-১৮০

স্বীকারোক্তি (!) (ক) কোন ব্যক্তি কর্তৃক বেহায় ও সজ্ঞানে তাহার কৃত অপরাধ মানিয়া নওয়াকে স্বীকায়োক্তি CT ) বলে। •

(খ) বীকারোক্তির রাখীকারোক্তিকামীর উপর ও কিসাস কর য় এবং আর্থিক দায়শোধ বাধ্যকর হয়।

বিশ্লেষণ

স্বীকারোক্তির আরবী প্রতিশব্দ “ইকরার’ ( I)। ইহার অর্থ স্বীকার করা। আলমগিরীতে বলা হইয়াছে : “নিজের উপর অন্যের অধিকার প্রতিষ্ঠার বর্ণনাকে বলে স্বীকারোক্তি”।

কিতাব, সুন্নাহ ও ইজমার আলোকে কোন বিষয়ে কোন ব্যক্তির স্বীকাৰােক্তি গ্রহণযোগ্য। মহান আল্লাহর বাণী :

وليميل الذي عليه الحق .

“এবং যাহার উপর অধিকার (ঋণ) বর্তায় সে যেন লেখার বিষয়বস্তু বলিয়া দেয়” (বাকারা : ২৮২)।

মহানবী (সা) মাইয ইবন মালেক আল-আসলামীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে তাহার উপর হ% কার্যকর করিয়াছেন।

ইজমা অনুযায়ী, স্বীকারোক্তি স্বীকারোক্তিকারীর বিরুদ্ধে প্রমাণ (

5L.) হিসাবে গণ্য। ইহার ভিওিতে তাহার উপর হদ্দ, কিসাস, আর্থিক দায়শোধ ইত্যাদি বাধ্যকর হয়।

স্বীকারোক্তি স্বেচ্ছায় ও সজ্ঞানে হইতে হইবে। বলপ্রয়োগে বাধ্য হইয়া স্বীকারোক্তি করিলে তাহা গ্রহণযোগ্য হইবে না।

ধারা-১৮১

স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার স্বীকারোক্তি নিম্নোক্ত দুই অবস্থায় প্রত্যাহৃত হইতে পারে

(ক) মানুষের অধিকারের সহিত সম্পর্কিত বিষয়ের ক্ষেত্রে যাহার অনুকূলে স্বীকারোক্তি করা হইয়াহে সে নিজেই তাহা প্রত্যাখ্যান করিলে;

৩৩৭

(খ) আল্লাহর অধিকারের সহিত সম্পর্কিত বিষয়ের ক্ষেত্রে স্বীকায়োক্তিকারী তাহার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার কমিলে।

বিশ্রবণ শরীআতের যেসব অধিকারকে মানুষের সহিত সংশ্লিষ্ট করা হইয়াছে সেইসব ক্ষেত্রে স্বীকারোক্তিকারী তাহার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করিতে পারে না। তবে যাহার অনুকূলে স্বীকারোক্তি করা হইয়াছে সে তাহা প্রত্যাখ্যান করিলে স্বীকারোক্তি বাতিল হইয়া যাইবে। যেমন এক ব্যক্তি বলিল, অমুক ব্যক্তির নিকট আমি ১,০০০.০০ টাকা ঋণী আহি, যাহা এখনও পরিশোধ করি নাই। এই ক্ষেত্রে পাওনাদার ঋণ অস্বীকার করিলে খাতকের স্বীকারোক্তি বাতিল হইয়া যাইবে, কিন্তু অস্বীকার না করিলে খাতকের স্বীকারোক্তি বহাল থাকিবে। মানবপ্রাণ ও মানবদেহের বিরুদ্ধে কৃত অপরাধের স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করা যায় না। কারণ এই অপরাধ মানুষের অধিকারের সহিত সংশ্লিষ্ট।”

তবে কোন ব্যক্তি যেনায় লিপ্ত হওয়ার অপরাধ স্বীকার করার পর, এমনকি দণ্ড কার্যকর করার মুহুর্তেও তাহার স্বীকারোক্তি প্রত্যাহার করিতে পারে এবং তাহা আইনত কার্যকর হইবে। কারণ এই অপরাধ আহর অধিকারের সহিত সংশ্লিষ্ট।

৬ ই

তথ্যনির্দেশিকা

ইসলামী বিশ্বকোষ, খামৃগ’ নি দ্র.। ২. ইসলামী বিশ্বকোষ, খার’ নিজ দ্র.।

তাফহীমুল কুরআন হইতে উদ্ধৃত, ১ম খণ্ড, সূরা আল-মাইদার ৯০ নং আয়াত, ঢাকা নং ১০৯। আৰু সাউদ, কিতাবুল আশরি, বাবুন মায়ি আনিল মুসকির, নং ৩৬৭৯; মুসলিম, আশরিবা, বাব ৰায়ানি কুন্তু মুসকির খার, নং ২০০৩; তিরমিযী, আশরিবা, বাব ফী শারিবিল খামর, নং ১৮৬২; নাসাঈ, আশরিবা, বাব তাহরীমি কু শারাব ………নং ৫৫৭৯। আবু দাউদ, ঐ, নং ৩৬৮০; তিরমিযী (ইবন উমর), ১৮৬৩; ইবন মাজা, ৩৩৭৭। আবু দাউদ, নং ৩৬৮২; বুখারী, আশরিবা, বাব আল-খামর মিনাল বিতই; মুসলিম, নং ২০০১; তিরমিযী, নং ১৮৩৪; নাসাঈ, নং ৫৫৯৭; ইবন মাজা, নং ৩৩৮৬।

আবু দাউদ, নং ৩৬৮১; তিরমিযী, নং ১৮৬৬; ইবন মাজা, নং ৩৩৯৩। ৮. আবু দাউদ, নং ৩৬৮৭; তিরমিযী, নং ১৮৬৭।

আবু দাউদ, নং ৩৬৮৬।

আবু দাউদ, নং ৩৬৮৩। ১১. উপরোক্ত কথা মহানবী (সা) আবু মূসা আশআরী (রা)-কে সম্বােধন করিয়া

বলিয়াছেন। আবু দাউদ, নং ৩৬৮৪; বুখারী (আহকাম), বাব আমরি ওয়ালী ই ওয়াহা আমরাইম ……..; মুলিম নং ১৭৩৩; মাসাদ (অনুরূপ), নং ৫৬০৬।

+ ১ ৫ ও ৪

৩৮

১২.। আবু দাউদ, আশরি, বাবুল ইনাব ইউসাৰু খামর, নং ৩৬৭৪; ইবন মাজা, নং

৩৩৮০। ১৩. আবু দাউদ, হদ্দ, বাবুল হান্দ ফিল-খামর, মং ৪৪৭৭; বুখারী, হলুদ, বাবু-দারব

বিল-জারী ওয়ান-নিকাশ। ১৪. আবু দাউদ, নং ৪৪৭৯; মুসলিম, হলুদ, নং ১৭০৬; বুখারী, দুদ, বাব ফী দারিবি

শারি আল-খার; ইবন মাজা, হদ্দ, বাব হাদিস-সুকরান, নং ২৫৭০। ১৫. আৰু দাউদ, নং ৪৪৭৯ (মুরসাল হাদীস); আরও দ্র. নং ৪৪৮৭, ৪৪৮৮, ৪৪৮৯।

আৰু দাউদ, নং ৪৪৭৯; মুসলিম, হদ্দ বাব হাদ্দিল খামর, নং ১৭০৬; তিরমিযী,

নং ১৩৪৩; বুখারী হুদূদ, বাব দারবি শারিল খার। ১৭. আৰু দাউদ, হদ, নং ৪৪৮০, ৪৪৮১। ১৮. আবু দাউদ, হদ্দ, নং ৪৪৮২; আরও দ্র. ৪৪৮৩, ৪৪৮৪, ৪৪৮৫; তিরমিযী,

হুদূদ, নং ১৪৪৪; ইবন মাজা, হুদূদ, নং ২৫৭৩। ১৯, কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ৫, পৃ. ৩৯। ২০. কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ৫খ, পৃ. ৩৯।

আল-হিদায়া, কিতাবুল হুদুদ, বাব হাশি -খরবি, ২২, পৃ. ৫০৮। ২২. আত-তাযীয় ফি-শারীতি ইসলামিয়্যা ( স.) পৃ. ৩৭-৩৮; পাকিস্তান

সরকারের শরীআ ভিত্তিক হদ্দ অর্ডিন্যান্স, ১৯৭৯ .। আবু দাউদ, সম্পা. ইযযাত উয়দ ও আদিল সায়্যিদ, ১ম সং, হিমস ১৩৯৩/১৯৭৩,

৪খ, পৃ. ২৪। ২৪. বাদাইউস সানাই, ৫, পৃ. ১১২। ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মাদ (র)-এর মতে

আঙ্গুরের রস মাদক হিসাবে গণ্য, তাহাতে গাঁজাইয়া উত্তেজনা সৃষ্টি হউক বা না হউক।

পূর্বোক্ত বরাত। ২৬. আত-তাশরীউল জানাঈ, ১খ., পৃ. ৫৮৩, ধারা ৪০৮।

হিদায়া, কিতাবুল হদ্দ, বাব হাদ্দিশ-ওরব, ২ থ, পৃ. ৫০৮; বাদাইউস-সানাই, কিতাবুল হুদূদ, ৭খ, পৃ. ৩৯-৪০; কিতাবুল ফিহ আলাপ-মাযাহিবিল আরব, কিতাবু। হুদুদ, আল-কিসমুল আওয়াল, হা গুরবিল খামর, ৫২, পৃ. ১৪-১৫। কিতাবুল ফিকহ আলাল মাযাহিবিল আরবাআ, ৫২, পৃ. ২৮-২৯; হিদায়া, ২খ, পৃ.

৫০৮। আল-মুগনী, ১০, পৃ. ২৩৫। হিদায়া, ২২, পৃ. ৫০৮-৯; কিতাবুল ফিকহ আল মাযাহিবিল আরবাআ, ৫, পৃ. ২৮। বাদাইউস সানাই, কিতাবুল ইকরাহ, ৭খ, পৃ. ১৭৫ :

২৫.

পথে

২৮.

৫ ৪

وفي الشرع عبارة عن الدعاء الى الفعل بالايعاد والتهديد

ht ১১৪১৮ মুজামু লুগাতিল ফুকাহা অভিধানে (পৃ. ৮৫) বলা হইয়াছে;

حمل الانسان على فعل او على امتناع عن فعل بغير رضاه

بغير حق .

“কোন ব্যক্তিকে জোরপূর্বক তাহার ই-বহির্ভূত কোন কাজ করিতে অথবা না করিতে বাধ্য করাকে বলপ্রয়োগ বা ইকরাই বলে।” আল-মাওসূআতুল ফিকহিয়্যা, ১ম সং, কুয়েত ১৪০৫/১৯৮৫, ৬, পৃ. ৯৮-এ বলা হইয়াছে :

اما الاكراه في اصطلاح الفقهاء فهو فعل يفعله المرء بغيره

فينتفی به رضاه او يفسد به اختياره .

৩২. বাদাইউস সানাই, কিতাবুল ইকাহ, পথ, পৃ. ১৭৫; আলমগিরী, কিতাবুল ইকরাহ,

৫খ, পৃ. ৩৫ প.; আল-মাওসূআতুল ফিকহিয়্যা, ৬, শিরো, ইাহ’। ৩৩. আলমগিরী, কিতাবুল ইকরার, ৪খ, পৃ. ১৫৬ :

الاقرار اخبار عن ثبوت الحق للغير على نفسه .

আল-মাওসূআতুল ফিকহিয়্যা, ৬৭, পৃ. ৪৬-এ বলা হইয়াছে :

الاقرار هو الاخبار عن ثبوت الحق للغير على المخبر .

তাবঈনুল হাকাইক, ৪খ, পৃ. ২; মাওয়াহিবুল জালীল, ৫, পৃ. ২১৬; আশ-শারহস, সাগীর, ৩, পৃ. ৫২৫; নিহায়াতুল মুহতাজ, ৫, পৃ. ৬৪-৬৫; কাশশাফুল কিনাউ

৫uil! La), ৬খ, পৃ. ৪২৫ ইত্যাদির বৱাতে। ৩৪. আল-মাওসূআতুল ফিকহিয়্যা, ৬খ, পৃ. ৪৮। ৩৫. বাদাইউস-সানাই, কিতাবুল ইকরার, ৭, পৃ: ২২২ প.। ৩৬. বাদাইউস সানাই, ৭, পৃ. ২৩২-৩।

বাদাইউস সানাই, ৭৩, পৃ. ২৩২-৩।

৩৭.

(২)।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *