০৭. বাঙালি নারীর সেকাল একাল

অধিকাংশ বাঙালি-হিন্দু, এমনকী যারা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় পাশ করেছে, রাজনীতি অর্থনীতির জ্ঞানও যাদের বেশ প্রখর, মনে করে যে বাঙালি বলতে বাঙালি- হিন্দু বোঝায়। বাঙালি-মুসলমান, বাঙালি-খ্রিস্টান, বাঙালি-বৌদ্ধ, বাঙালি-নাস্তিকও যে ‘বাঙালি’ তা তারা জানে না। বাঙালি হিন্দুর এই অজ্ঞানতা দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। পূর্ববাংলা বা বাংলাদেশের বাঙালিদের ‘বাংলাদেশি’ বলে ডাকার চল এ দেশে খুব। বাংলাদেশি গরু, বাংলাদেশি আইন হতে পারে, কিন্তু মানুষ কী করে বাংলাদেশি হয়! বাঙালি জাতি তো একাণ্ডরে বাংলাদেশ নামের একটি দেশ জন্ম নেওয়ার সময় জন্ম নেয়নি। বাঙালি তার দীর্ঘশতাব্দীর ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে বাঙালিই আছে, দেশের নাম শুধু রাজনৈতিক কারণে বারবার বদলে যাচ্ছে। সে বদলে যাওয়ার দায় জাতি নেবে কেন! যে ধর্মবাদীরা সমৃদ্ধ এবং সেকুলার বাঙালি-সংস্কৃতিকে বিনাশ করে ইসলামী-সংস্কৃতি ঢুকিয়ে দেশের সর্বনাশ করতে চেয়েছিল, তারা সংবিধান বদলে ফেলেছে বাঙালি-জাতীয়তাবাদের জায়গায় বাংলাদেশি-জাতীয়তাবাদ ঢুকিয়ে। এই তারাই একই উদ্দেশ্য নিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদেয় করে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করেছে।

বাঙালি-মুসলমানের সংখ্যা বাঙালি-হিন্দুর চেয়ে বেশি, সুতরাং বাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতিই শেষ অবধি বাঙালি-সংস্কৃতি হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা। এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, বাঙালি-মুসলমানের সংস্কৃতি অবাঙালি মুসলমানের সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন। এবং অনেক মিল থাকলেও বাঙালি-হিন্দুর সংস্কৃতির সঙ্গেও এর তফাৎ আছে। বাঙালি-মুসলমানের ভাষা ও সংস্কৃতি ঐতিহাসিক কারণে নানা বিদেশি ধর্ম-সংস্কৃতি ও ভাষার প্রভাবে সমৃদ্ধতর।

বাঙালি নারী হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ইসলাম যে কোনও ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে, অবিশ্বাসীও হতে পারে। বাঙালি নারী কেমন আছে বাংলায়, কেমন তাদের দিন রাত্তির— এই প্রশ্নটি যখন নিজের কাছে করি আমি, বড় বেদনায় নুয়ে আসি। যেসমাজে ধর্ম জাঁকিয়ে বসা, সে সমাজে কোনও নারী কি মানুষের অধিকার নিয়ে বেঁচে থাকতে পারে? ধর্ম জাঁকিয়ে বসলে পুরুষতন্ত্র জাঁকিয়ে বসে। ধর্ম এবং পুরুষতন্ত্রের যেখানে জয়জয়কার, সেখানে নারীর পরিচয় দাসী বা যৌনবস্তু বা সন্তান-উৎপাদনের যন্ত্র ছাড়া কিছু নয়। বাঙালি নারী এই পরিচয় নিয়ে বেঁচে থাকে, বেঁচে ছিল। অনেকে পরিবর্তনের কথা বলে। গ্রামগুলো মফস্বল হচ্ছে, মফস্বলগুলো শহর, শহরগুলো নগর। নগরে উঁচু উঁচু দালান। ইস্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়। যে বাঙালি-নারীর ঘরবার হওয়া, লেখাপড়া করা নিষিদ্ধ ছিল এই সেদিন, সে আজ ইস্কুল কলেজ পাশ করছে, বিশ্ববিদ্যালয় ডিঙোচ্ছে, চাকরি বাকরি করছে, অর্থ উপার্জন করছে। শহর নগরের শিক্ষিত এলাকায় বাস করলে মনে হয় পরিবর্তন বুঝি আকাশ-সমান। কিন্তু সুবিধে পাওয়া নারী ক’জন সংখ্যায়? আশি ভাগ নারী এখনও জানে না কী করে লিখতে পড়তে হয়। দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করা মানুষের অধিকাংশই নারী। নারীরা ভুগছে, কেবল ধর্ম ও পুরুষতন্ত্র তাদের চাবুক মারছে না, দারিদ্র্যও তাদের রক্তাক্ত করছে। কিন্তু যে নারীরা মধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত? তারা কি সুখে আছে? না। আসলে নারীর কোনও শ্রেণী নেই, জাত নেই। যে শ্রেণীতেই তাদের বাস, যে বর্ণেই তারা চিহ্নিত, তারা নির্যাতিত। নির্যাতনের কায়দা ভিন্ন, ধরন একই।

যারা লেখাপড়া জানে, যারা শিক্ষিত, তারা কি নিজের অধিকার নিয়ে বেঁচে আছে? তারা কি আদৌ স্বাধীন? না। আসলে নারী শিক্ষিত হোক, অশিক্ষিত হোক, নির্যাতিতই। নির্যাতিত, কারণ তারা নারী। নির্যাতিত, কারণ ধর্ম পুরুষতন্ত্র সংস্কৃতি সমাজ সবই নারীবিরোধী। শিক্ষিত মেয়েরা পুরুষতন্ত্রের নিয়মকানুন যত নির্ভুলভাবে শিখতে পারে, অশিক্ষিত মেয়েরা তত পারে না। শিক্ষিত মেয়েরাও স্বামীর আদেশ নির্দেশ মতো চলছে। স্বামী তাকে অনুমতি না দিলে সে চাকরি করতে পারছে না। আর, যে মেয়েরা চাকরি বা ব্যবসা করে অর্থ উপার্জন করছে, তারা অথনৈতিক স্বাধীনতা অর্জন করছে বটে, কিন্তু স্বনির্ভর হতে পারছে না। এখনও পচা পুরোনো সংস্কৃতি নারীকে পুরুষের অধীন করে রাখছে। এখনও নারীকে পরনির্ভর করে রাখার পুরুষতান্ত্রিক ষড়যন্ত্র এক তুড়িতে হুররে।

সংস্কৃতি, সে যদি মানবতার বিপক্ষে যায়, সে যদি সমতার সামনে বেয়াদপের মতো দাঁড়ায়, তাকে উড়িয়ে না দিয়ে পুড়িয়ে না দিয়ে লালন করার কী অর্থ? সংস্কৃতি যদি বহমান নদী না হয়ে বদ্ধ জলাশয় হয়, ওতে সাঁতার আমরা কাটবো কেন? বাঙালি সংস্কৃতির সংস্কার না হওয়া-তক, একে বৈষম্যহীন না করা-তক এই সংস্কৃতি নিয়ে গৌরব করার কিছু নেই। বিশেষ করে নারীর তো নেইই।

সভ্য হতে গিয়ে দেশকে বাধ্য হতে হয়েছে নারীবিরোধী কিছু প্রথার বিলুপ্তি ঘটাতে। কিন্তু অধিকাংশ পুরুষ এবং নারীর মানসিকতা এখনও ভয়াবহরকম পুরুষতান্ত্রিক। নারীর অধিকার সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে হলে সমাজে নারী পুরুষের প্রচলিত প্রভু দাসীর ভূমিকা বদলের প্রয়োজন প্রচণ্ড। শিশুবয়স থেকে যেমন এই শিক্ষাটি নেওয়া জরুরি, যে, নারী ও পুরুষ উভয়ের অধিকারে কোনও তফাৎ নেই, একই সঙ্গে সমাজে নারী পুরুষের সমানাধিকারের চর্চাও দেখা জরুরি। পড়ে বা শুনে যত না মানুষ শেখে, দেখে তার চেয়ে বেশি শেখে।

নারীর অবস্থার উন্নতি যদি সত্যিকার হত, তবে এখনও কনে দেখা, এখনও পণ প্রথা টিকে থাকতো না। মেয়েশিশু হত্যা হত না, যেমন হচ্ছে। কেউ কেউ বলে মেয়েরা নির্যাতিত যদি হয়েই থাকে, গ্রামে হচ্ছে, শহরে নয়। পশ্চিমবঙ্গে মেয়েভ্রুণহত্যা সবচেয়ে বেশি কিন্তু হচ্ছে কলকাতা শহরে। এই শহরে সবার নাকের ডগায় দাঁড়িয়ে দাঁতাল হাসি হাসছে বীভৎস বেশ্যালয়। যেন পুরুষেরা প্রতিনিয়ত ওখানে ভিড় করতে পারে নারীকে কুৎসিতভাবে অপমান করার জন্য, নারীর মান সম্মান নিশ্চিহ্ন করার জন্য, নারীর অধিকারকে পায়ে পেষার জন্য। নারীপাচার, নারীহত্যা, ধর্ষণ, গণধর্ষণ কিছুই এখন আর অবাক করা ঘটনা নয়। এগুলো গ্রামের চেয়ে বেশি ঘটে শহরে।

বাঙালি নারীর যে ছবিটি মানুষের মনে গাঁথা, সেটি শাড়ি পরা। বয়স বেশি হলে আটপৌরে সাদা শাড়ি, আঁচলে চাবির গোছা, আর কম হলে কুচি কেটে রঙিন রঙিন শাড়ি। হিন্দু হলে কপালে টিপ, সিঁথিতে সিঁদুর। না হলে যেমন আছে, তেমন। হাতে চুড়ি, কানে দুল। নাকে নথ অথবা নথ নয়। বাঙালি নারী কেমন চরিত্রের হবে, তা যুগে যুগে পুরুষেরা বলে দিয়ে গেছে। লজ্জাবতী, মায়াবতী, নম্র, নত। বাঙালি নারীকে কখনও স্বাধীনচেতা, স্বকীয়, স্বেচ্ছাচারী হিসেবে মানায় না। বাঙালি নারী দেহমন ঢেলে সংসারের কাজে উদয়াস্ত পরিশ্রম করবে। আবার মাঝে মাঝে বীণা বা তানপুরা বা হারমোনিয়াম বাজিয়ে গান করবে। শীতলপাটিতে আধশোয়া হয়ে দুপুরবেলা কবিতা লিখবে, নয়ত ঘরসংসারের গপ্প করবে। দরজায় দাঁড়িয়ে অস্থির অপেক্ষা করবে, স্বামীর। বাড়ি ফিরলে নিজের রান্না করা খাবার আদর করে পাতে তুলে তুলে খাওয়াবে। হাতপাখায় হাওয়া করবে। নিজের খাওয়া সবার পিছে, সবার নিচে সবহারাদের মাঝে । ধম্মকম্ম করা, মুখ বুজে সবার সব অত্যাচার সওয়া, মমতায় হৃদয় উপচে রাখা, জগতের সবার মঙ্গল কামনা করা, অন্যের সেবায় নিজের জীবনটি বিসর্জন দেওয়া—এই না হলে বাঙালি নারী! বাঙালি নারী মানে সুচিত্তা সেন, শাবানা। যামিনী রায়, কামরুল হাসান।

এই চিত্র-চরিত্র তৈরি করা। এ ছিঁড়ে বেরিয়ে এসেছে অনেক নারী। তারা যা খুশি তাই পরে, যা খুশি তাই করে। পোশাকে প্রচুর পশ্চিমী ঢং, ভাষা চৌকশ, গায়ে গতরে তরঙ্গ, বাঁধ না মানা, বাধা না মানা। তারা দেখতে নতুন। শুনতে নতুন। কিন্তু তাদের সঙ্গে অনেকদূর চললে দেখা যায় একটি সীমানায় এসে তারা পৌঁছোচ্ছে, সীমানার বাইরে এক পা-ও ফেলছে না। সংস্কারের একটি অদৃশ্য সুতো তারা শক্ত করে হাতে ধরে রাখে, সুতোয় টান পড়লে পিছু হটে। পিছু হটে, বিয়ে করে, স্বামী সেবা করে, সন্তান উৎপাদন করে, জীবন উৎসর্গ করে আর মুখ বুজে সব সয়। শুরুতে এদের আধুনিক বলে মনে হলেও আধুনিক নয়। শুরুতে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে, কিন্তু যৌবনে এসে দাদি নানি ঠাকুরমা দিদিমার আদর্শ মেনে নিয়ে ওদের মতোই ওদের বৃজ্ঞে আবর্তিত হতে শুরু করে। আধুনিকতার সত্যিকার অর্থ বুঝতে অসুবিধে হলে বুঝি এই হয়।

পুরুষাঙ্গ না থাকার অপরাধে জীবনভর যাদের নির্যাতিত হতে হয়, প্রাপ্য স্বাধীনতা আর অধিকার থেকে বঙ্গিত হতে হয়, দরিদ্র হয়ে, পরমুখাপেক্ষী হয়ে, আশ্রিতা হয়ে, বোঝা হয়ে, বেঁচে থাকার দুর্বিষহ যন্ত্রণা সইতে বাধ্য হতে হয়, পরিবারে সমাজে রাষ্ট্রে যাদের কোনও নিরাপত্তা নেই, সেই নারীদের আবার জাত কী, সমাজ কী, দেশ কী! বাংলা নিয়ে বাঙালি নিয়ে পুরুষ না হয় গৌরব করতে পারে, নারীর গৌরবের কিছু নেই।

বাঙালি-নারীর ত্যাগের ওপর দাঁড়িয়ে বাঙালি-পুরুষ নিজের আখের গুছিয়ে নেয়। নারীর কিছু গোছানো হয় না। শূন্য জীবন শূন্যই পড়ে থাকে। যে স্বামী আর সংসারের জন্য জীবন বিলিয়ে দেওয়া, সেও কোনও সুখ দেয় না। কব্জিতে জুঁইফুলের মালা জড়িয়ে ঘোড়ার গাড়ি চড়ে বাবুরা সন্ধেবেলায় বাইজিবাড়ি যেত। এখন ঘোড়ার গাড়ি নেই, বাইজিবাড়ি নেই। কিন্তু স্ত্রীকে অবত্তা-অপমান, অন্য-নারীসঙ্গে, বহুগামিতা সবই বহাল তবিয়তে আছে। পুরুষ তার বহুগামিতা গায়ের জোরে, ধর্মের জোরে আজও খাটিয়ে যাচ্ছে। শাস্ত্রমতে যত ইচ্ছে তত বিয়ে করতে পারতো পুরুষ, করতোও। একাধিক বিয়ে এখন বাঙালি-হিন্দুর জন্য নিষিদ্ধ বটে, বাঙালি-মুসলমানের জন্য নয়, তারা এখনও চার বিয়ের আরাম ভোগ করছে, মানসিক শারীরিক অত্যাচারে মেয়েদের অতিষ্ঠ করছে। তবে যে ধর্মের যে জাতের পুরুষই হোক, বহুগামিতা তারা মনে করে যে তাদের জন্য বৈধ। আর নারীর জন্য? বেশ্যা হলেই বৈধ, নয়তো নয়। বাঙালি নারীর যৌনতা নিয়ে কথা বলা বারণ, স্বামী নপুংসক হলেও সে স্বামীকে ত্যাগ করা বারণ, সম্পত্তির দাবি করা বারণ, উচ্চাকাংক্ষী হওয়া বারণ, নিজের সুখ আর স্বাধীনতার জন্য কোনও পদক্ষেপ নেওয়া বারণ। বারণের শেষ নেই। রাগ করা, রুখে ওঠা, ছিঁড়ে ফেলা, ভেঙে ফেলা, সবই বারণ।

বারণ সত্ত্বেও যারা ভাঙে, যারা দাবি জানায়, নিজের অধিকারের কথা জোর গলায় বলে, ছিনিয়ে নেয়, কেড়ে নেয়, পেছনে তাকায় না, লোকের থুথু ঘৃণাকে মোটেও পরোয়া করে না, বৈষম্যের প্রতিবাদ করে, অঘটন ঘটায়, তারা চিরাচরিত বাঙালি নারীর শ্বাসরুদ্ধকর জীবনের ছক থেকে বেরিয়ে আসা মেয়ে। তারা বাঙালি নারীর ওই ঘোমটা পরা সিঁদুর পরা পুরুষের ব্যক্তিগত সম্পত্তি হওয়া চেহারাটি ছুড়ে দিয়ে নতুন চেহারা আনছে। তারা সংখ্যায় খুব কম। কিন্তু তারা যদি নারীর নিত্য নিষ্পেষণ থেকে নারীকে বাঁচায়, তাবৎ নারীকে সচেতন করে তোলে, নারী যেন ঘোমটা খুলে সিঁদুর মুছে বলে ওঠে, ‘পুরুষের সঙ্গে সামাজিক সম্পর্ক থাকলেও আমাদের পরিচয় পুরুষের মা বোন কন্যা বা দিদিমা ঠাকুমা জেঠিমা কাকিমা নয়, আমরা পৃথক অস্তিত্ব, আমরা পুরুষের বা পুরুষ শাসিত সমাজের সম্পত্তি নই, আমরা মানুষ। আমরা মানুষের অধিকার নিয়ে বাঁচি, আমাদের স্বাধীনতার পথে ধর্ম, সংস্কৃতি, রীতি, আইন কিছু বাধা হয়ে দাঁড়ালে সেই বাধা আমরা পায়ে মাড়িয়ে যাই’ — তবেই না পুরুষতন্ত্র-অংকিত নতমুখী-সেবাদাসী-বাঙালি-নারী মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবে। বাঙালি নারীর নতুন সংত্তা তৈরি হবে, প্রতিবাদী, বুদ্ধিমতী, সমতায় বিশ্বাসী, সবল, সচেতন, সাহসী, দৃঢ়, দুর্বিনীত । বাঙালি হয়ে তখন গৌরব হবে আমার।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *