ষষ্ঠ অধিবেশন
নিপ ইন দি বাড। হ্যাঁ ভ্রূণেই হত্যা। বিবাহই হল মনুষ্য জাতির নাইনটি পার্সেন্ট ক্লেশের কারণ। ওই হোমিওপ্যাথি দিয়ে কি হবে না, মশাই। একবার জোড় লেগে গেলে সারাটা জীবন ত্রিভঙ্গ -মুরারী হয়ে বয়ে বেড়াতে হবে। বদহজমের দাওয়াই আছে, বদ-বিবাহের কোনও দাওয়াই নেই। বিয়ের আগে পাত্রীপক্ষের চালচলনই আলাদা। মেয়ের আমার তুলনা হয় না মশাই; রূপে তো আর মানুষের হাত নেই কিন্তু গুণ! একেবারে ট্রেইনড জিনিস। যেমন চলন, তেমনি বলন, একেবারে ডোম্যাসটিকেটেড টাইগ্রেস। লেজ ধরে হিড়হিড় করে টানাটানি করলেও ফিকফিক করে হেসে যাবে। একবার যাচাই করে দেখুন। পতিপ্রাণা, সংসারসেবিকা, মৃদুভাষী, কর্মনিপুণা, স্বল্পভোজী, সমুদ্রের মতো হৃদয়, ফোয়ারার মতো দয়ালু, আকাশের মতো উদার। ঠিক যেমনটি আপনি চান তেমনটি।
ও-মশাই! যেই না বিয়ে শেষ হল, ফুলশয্যার খাট থেকে সংসারের চাতালে নেমে এল আর-এক মূর্তি। দুর্গ দখল। আঁচলে বাধা স্বামী, হামভি মেলেটারি তেমভি মেলেটারি। শানবাঁধানো গলা। নাচের পুতুলের মতো হাত-পা নাড়া। তেরছা চাউনি। দুমদুম চলন। নাও শালা এখন ম্যাও সামলাও।
শালা বলছেন কেন?
ও কিছু না, রামকৃষ্ণ বলতেন।
তিনি তো অনেক কিছুই বলতেন। সব ছেড়ে তাঁর শালাটাকেই ধরলেন?
আজ্ঞে হ্যাঁ। বোনটিকে তো সারা জীবনেও ম্যানেজ করতে পারলুম না, শ্যালককে ধরেই টানাটানি করি। লাস্ট টোয়েন্টি ইয়ার্স ব্যাঙ্কশালে প্র্যাকটিশ করছি। লাস্ট ফাঁইভ ইয়ার্সে ফাঁইভ হান্ড্রেড ডিভোর্স কেস ট্যাকল করেছি। ফেড-আপ। আমার কুকুর হতে ইচ্ছে করছে! আমায় দে মা কুত্তা করে, আমার কাজ নেই আর মনুষ্য জীবনে।
আপনার মতে এই ঝামেলা থেকে মুক্তির কী উপায়?
উপায় একটাই। খাও-দাও আর বগল বাজাও। আপনি আর কপনি। খাল কেটে কুমির ঢুকিও না।
মেয়েরা মেয়েদের জগতে থাক, ছেলেরা ছেলেদের জগতে। ইস্ট ইজ ইস্ট, ওয়েস্ট ইজ ওয়েস্ট, দি টোয়েন শ্যাল নেভার মিট।
বাঃ-বাঃ। তাহলে সৃষ্টি কি করে রক্ষা হবে? ভগবানের কিংডাম ধরে টানাটানি।
আর্টিফিসিয়ালি হবে। ভেটরিনারি ডাক্তার ডাকা হবে। নো বিবাহ। যার শিল যার নোড়া তারই ভাঙি দাঁতের গোড়া। ওসব চলবে না। মনুষ্যক্লেশ যদি নিবারণ করতে চান ফটাফট বিয়ে বন্ধ করুন। পেট যদি ভালো রাখতে চান তেলেভাজা খাবেন না। স্বাস্থ্য যদি ভালো রাখতে চান যোগব্যায়াম। মন যদি ভালো রাখতে চান উচ্চ চিন্তা। চোখ যদি ভালো রাখতে চান সবুজ। সুখী যদি হতে চান ব্যাচেলার।
বুড়ো বয়সে কে দেখবে?
ও। আপনাদের ধারণা বউ দেখবে। মুখের স্বর্গে বাস করছেন। আগেও দেখেনি এখনও দেখবে না। শঙ্করাচার্য কি লিখেছিলেনকা তব কান্তা কস্তে পুত্র। সেই গানটা আর তেমন কানে আসে না, আগে শোনা যেত, বোম্বে আউট করে দিয়েছে, সেই প্রেয়সী দেবে-এ এ ছড়া অমঙ্গল হবে বলে। দেখেননি স্বামী পটল তুললে মেয়েদের গতর বাড়ে।
ই হি হি। অশ্লীল শব্দ। গতর অত্যন্ত গ্রাইম্য ভাষা গ্রামারে নাই।
কোন পণ্ডিতে কইসে? সংস্কৃত গাত্র শব্দ হইতে গতর আসিয়াছে।
আপনারা বড় ঝগড়া করেন।
আজ্ঞে জীবধর্ম। পাশাপাশি থাকলেই লাঠালাঠি বেঁধে যাবে। দুজন ইংরেজ ক্লাব করে, দুজন স্কচ ব্যাঙ্ক করে, দুজন বাঙালি ঝগড়া করে, দল করে। একেই বলে বাঙালিদের প্রপার্টি। স্বভাব না যায় মলে।
আপনি সিনিক।
তবে শুনুন। দু-বউয়ের টেপ করা কনভারসেশান। আমার এক ক্লায়েন্ট তার বসার ঘরে টেপের ফাঁদ পেতে তার স্ত্রীর কথা ধরেছেন এবং প্রমাণ হিসাবে কোর্টে পেশ করার তালে আছেন। ভদ্রলোকের স্ত্রীর নাম রমা। রমার বাড়িতে এসেছেন বান্ধবী শ্যামা। এইবার শুনুন।
রমা : বল তোর খবর কি! হঠাৎ এত মুটোতে শুরু করলি কেন? বিয়ের আগে তো শেপ ছিল। দিন-দিন যেন ঢাকের মতো হয়ে যাচ্ছিস।
শ্যামা : ধ্যাস, জীবনে অরুচি ধরে গেল শালা।
রমা : কেন মিঞা, প্রেম করে বিয়ে করলে, ঢাক ঢোল পেটালে, এখন নিজেই ঢোল মেরে গেলে?
শ্যামা : ঠিক হল না। যা ভেবেছিলুম তা পেলুম না। লোকটা বেয়াড়া।
রমা : আগে বুঝিসনি?
শ্যামা : ধ্যার, ফলস পার্সোনালিটি। তখন শ্যামা-শ্যামা করত। ফুল, বেলপাতা, চিনেবাদাম, পার্ক, গঙ্গার ধার, সিনেমা, সব ফলস। ভেবেছিলুম শ্যামা, শ্যামা মা হয়ে বুকে উঠে নাচব, ওরে বাপস, এখন আমাকেই বগলদাবা করে রেখেছে। তাঁ ফোঁ করার উপায় নেই। কি মেজাজ। ভয়ে মরি, যদি ঝেড়েফেড়ে দেয়। বলে প্রেম ইজ প্রেম, সংসার ইজ সংসার, দুটোকে মিকসআপ করে ফেলো না।
রমা : ভেরি স্যাড। আবার একবার লড়ে যাবি তারও উপায় নেই। চেহারাটা একেবারে বেঢপ করে ফেলেছিস।
শ্যামা : শাড়িটা নতুন কিনলি?
রমা : হ্যাঁ।
শ্যামা : রোজ একটা করে কিনিস?
রমা : রোজ না হলেও সাতদিনে একটা দুটো হয়ে যায়।
শ্যামা : এত টাকা পাস কোথা?
রমা : ক্লিন ঝাড়ফুঁক।
শ্যামা : সেটা আবার কি?
রমা : গরু দেখেছিস। সেরেফ দুয়ে যাও।
শ্যামা : তোর গরুর এত দুধ?
রমা : ফুকো দিয়ে বের করি। কায়দা জানতে হয়, ম্যান। বগল দাবা করার টেকনিক আছে। ম্যারেজ ইজ এ কনট্রাকট। মধ্যযুগে ইংল্যান্ডে কি ছিল জানিস? ছেলেকে মেয়ের বাপের কাছে কথা দিতে হতো, আমি আপনার মেয়েকে রোজ হ্যাম, পর্ক, এগ, বাটার, পরিজ খাওয়াব, বছরে এক ডজন গাউন দেব প্লাস বাহাত্তর পাউন্ড মধু খাওয়াব। নো মামার বাড়ি। চুক্তি করে বউ।
শ্যামা : বের না করলে জোর করে বের করাবি?
রমা : টেকনিক আছে ভাই, টেকনলজির যুগ।
শ্যামা : (দীর্ঘ নিশ্বাসের শব্দ) আমার ভাই, একেবারেই অর্থনৈতিক স্বাধীনতা নেই। স্লেভ হয়ে পড়ে আছি।
রমা : আমার ফুল ফ্রিডাম প্লাস ম্যানিপুলেশন।
শ্যামা : কীরকম?
রমা : প্রথমে প্রেম দিয়ে মাথাটা চিবিয়ে সব সিক্রেট জেনে নিয়েছি। তোর বর মাসে কত রোজগার করে জানিস?
শ্যামা : না রে।
রমা : অনেক মেয়েই জানে না। ওইটাই হল হাজব্যান্ডদের ট্যাকটিকশ। রোজগারটা চেপে রাখবে, বউরা যেন গাঁটকাটা। আমি সেই সিক্রেটটাই আউট করে নিয়েছি। তাহলে প্রথমে গুপ্ত তথ্য আবিষ্কার পরে গামছা নিংড়োনো। ছাড়ো মাল। আঁমাঁর এঁখন পঁকেঁট খাঁলি, কাঁদুনি গাইবার পথ বন্ধ। পয়সা না ছাড়লে সংসার হয় না চাঁদু। বউ বশে থাকে না। ফিনকি হাসি, দুলকি চলন, ঝুমকি মিলন, সব পয়সার খেল। তুমি আমার স্ত্রী গো, শুকনো কথায় চিড়ে ভেজে না মানিক। চরকায় তেল দিতে হয়।
শ্যামা : তুই তো সাংঘাতিক কথা বলছিস রে। সংসার তো রসাতলে যাবে।
রমা : এ সব হল ইমপোরটেড কথা। বিদেশী বুলবুল। তুমি বব চুল চাইবে, ঠোঁটে লিপস্টিক চাইবে, কামানো ভুরু চাইবে, ম্যাঙ্গিকাট ব্লাউজ চাইবে, আর মেজাজটি চাইবে সতী বেহুলার স্বামী অন্তপ্রাণ, তা কি করে হয়, গুরু? আমি ভালোবাসতেও পারি, নাও পারি, আমি সংসার ভাঙতেও পারি, গড়তেও পারি, আমি মা হতেও পারি, ডাইনিও হতে পারি, আমার খুশি। শেকসপিয়র পড়িসনি, ইউ দাউ ম্যারি, ম্যারি এ ফুল। আমি ভাই এক ফুলকে বিয়ে করে বেশ সুখেই আছি।
শ্যামা : আমার যদি সামান্য অর্থনৈতিক স্বাধীনতাও থাকত! স্বামীর হাততোলা হয়ে দিন কাটাচ্ছি রে, রমা!
রমা : মাঝেমধ্যে পকেট মার না।
শ্যামা : ধরে ফেলে মাইরি।
রমা : ধরে ফেলে মাইরি। কিছুই শিখলি না বিয়ে করে বসলি। আমার কত রকমের সোর্স অফ ইনকাম। বাজারে মারি, রেশনে মারি, মুদিখানায় মারি, স্টেশনারিতে মারি।
শ্যামা : কীভাবে? তুই নিজে বাজার করিস?
রমা : নিজে কেন করব? চুক্তি, এগ্রিমেন্ট, আরেঞ্জমেন্ট। মুদিকে, স্টেশনারকে বলে রেখেছি ডবল বিল করবে। বোকা লোকটা মুখ বুজে মাসের প্রথমে পেমেন্ট করে আসে, আমি পরে গিয়ে আমার হাফ পাওনা বুঝে নিয়ে আসি। হেহে বাবা টেকনিক। বিশ্বাসের জমির ওপর দাঁড়িয়ে বিশ্বাসঘাতকতা। ট্রেচারি দাই নেম ইজ উওম্যান।
কাট। এরপর আর টেপে কিছু নেই। দুই সখীর নিভৃত আলাপন। বন্ধুগণ, এর পরও কি আপনারা চাইবেন জীবনে কোনও আধুনিকা আসুক বধূরূপে? ও নো, নেভার। মেরি ওয়াইভস অফ উইন্ডসর পড়েছেন? স্যার জন ফলসটাফকে ফোর্ড বলছেন : আমার প্রেমের সৌধ আমি কোথায় খাড়া করেছি।
Like a fair house built upon
another mans ground
So that I have lost my edifice by
mistaking the place
where I erected it.
মি লর্ড. টলস্টয় লিখেছিলেন,
Don’t trust a horse in the pasture or a wife in the home!
বিশ্বাস করেছ কি মরেছ, ভাওয়াল সন্ন্যাসীর কেস। ঘরে-ঘরে নাগিনিরা ফেলিতেছে বিষাক্ত নিশ্বাস। ছাঁদনাতলাই আমাদের বধ্যভূমি। মি লর্ড, দেশের বড়-বড় ওষুধ কোম্পানির উচিত, গর্ভনিরোধক বটিকা নয়, বিবাহ নিরোধ বটিকা, প্রেম নিরোধ বটিকা প্রভৃতি প্রচুর পরিমাণে তৈয়ারি করিয়া পথিপার্শ্বস্থ জলসত্র হইতে একঘটি গঙ্গোদক সহ জনে-জনে পরিবেশন করা। আমার মক্কেলের বিবাহ করিয়া খুব আক্কেল হইয়াছে। বিবাহের পূর্বে তিনি ঘুঘু দেখিয়াছিলেন এবে ফঁদ দেখিতেছেন। ইহা এমন এক আক্কেলদন্ত যাহা আজীবন উঠি-উঠি অবস্থায় থাকিয়া মনুষ্যকুলকে চক্ষে সরিষাফুল দেখাইতে থাকে। মি লর্ড…
কি তখন থেকে মি লর্ড, মি লর্ড করছেন? এখানে কে আপনার লর্ড?
ও আই সি। আমি ভেবেছিলুম কোর্টে দাঁড়িয়ে সওয়াল করছি। এক্সকিউজ মি।
আপনি কি ব্যাচেলার?
আজ্ঞে না।
তবে আপনার এত সাহস এল কোথা থেকে! তখন থেকে নারীবিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন!
মাই প্রফেশান। যখন যার পক্ষে দাঁড়াই তখন তার জন্যেই লড়ে যাই। ডাক্তার, পলিটিশিয়ান, বিজনেসম্যান, ফ্লিমস্টার, পুলিসম্যান এঁদের সাত খুন মাপ। আমার স্ত্রীর অ্যাপ্রুভ্যাল আছে।
শুনুন, শুনুন। বিবাহ বন্ধ করা যাবে না। পতঙ্গ আগুনে ঝাঁপ মারবেই। তা ছাড়া, এটা হল এজ অফ সেক্স। যেদিকেই তাকাও মোহময়ী নারী। সিনেমার পোস্টারে, বিজ্ঞাপনে, রাস্তায় ঘাটে, বাসে-ট্রামে, ঘরে-বাইরে, নাটকে নভেলে মায় মন্দিরে শ্মশানে। এ যৌবন জলতরঙ্গ রোধিবে কে! তবে হ্যাঁ, একটা উপায় আছে। কথায় বলে, সাবধানের মার নেই, মারের সাবধান নেই। একটু ডিটেডটিভগিরি করে তারপর মেয়ে ঘরে আনলে মনুষ্যক্লেশ মনে হয় সেভেনটি পার্সেন্ট কমে যাবে। বাবলা গাছে বাঘ বসেছে।
সে আবার কি?
হঠাৎ মনে হল। একটা দৃশ্য, হবু বেয়াই ছদ্মবেশে বাড়ির সামনের রকে বসে-বসে বিড়ি ফুঁকছেন। ফুঁকছেন আর দেখছেন। লোকে ভাবছে। কোথা থেকে পাড়ায় এক নতুন পাগল এসেছে। আসলে পাগল না, বেয়াই। মেয়ে এলোচুলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। স্বভাবটি কেমন? কার দিকে নজর? কটা ছেলে সকাল থেকে সাইকেল নিয়ে চক্কর মেরে গেল? মেয়ে কখন বেরোয় অ্যাবসেন্সে দুপুরে সিনেমা। বাড়িতে কে ঢুকছে কে বেরোচ্ছে, কতটা হইহই হচ্ছে? এক্সট্রোভার্ট না ইনট্রোভার্ট। ঝগড়ার পরিমাণ। কার গলা কত উঁচু। মেয়ে হারে না মা হারে। ঝগড়ার সময় কি ধরনের ল্যাঙ্গোয়েজ বেরোয়! কতক্ষণ রেডিও চলে? ছুটতে ছুটতে বারান্দায় বেরিয়ে আসে না ধীর পায়ে? রাস্তা দিয়ে পরিচিত কেউ গেলে চিৎকার করে ডাকে কিনা? ফেরিওয়ালার সঙ্গে ঝগড়া করে কি না? ছাদে উঠে লাফায় কিনা? রাস্তার দিকে বেশি থাকে না বাড়ির ভেতর? প্রেমঘটিত কোনও ঝামেলা আছে কিনা? বাড়ি সম্পর্কে পাড়ার লোকের ওপিনিয়ান কি! বাবলাগাছে বাঘ, আই মিন উড বি ফাদার ইন ল বসে উড বি পুত্রবাঘিনীর চালচলন লক্ষ্য করছেন। একটু খাটতে হবে কিন্তু সুফল অনেক। ইনটারেস্টিং ব্যাপার। ম্যারেজ আর ওয়েলডিং সেম ব্যাপার। ধাতুতে-ধাতুতে জোড়াজুড়ি। সমানে-সমান জোড় লাগাতে হবে। দুটো দুরকমের হলেই খুলে পড়ে যাবে। চিড়িক ধরে যাবে। সাপের ছুঁচো গেলা। না পারছে গিলতে, না পারছে ওগরাতে। এই ভাবে, এইভাবেই আমরা মনুষ্যক্লেশ কিছু কমাতে পারি। জনহিতকর কাজের পাঁচনটা তাহলে বলেই ফেলি।
Take a dozen Quakers-be Sure
Theyre Sweet and pink.
Add one discussion program
to make the people think
… Garnish with Compassion just
a touch will do.
And served in deep humility
your philanthropic stew.