সন্ধে বেলা বুড়ো মকবুলের কাছ থেকে কথাটা শুনলো মন্তু। ওর বিয়ের কথা।
মকবুল ঠিক করেছে এবার সত্যি সত্যি একটা বিয়ে করিয়ে দেবে মন্তুকে। চাচা-চাচী এতোদিন বেঁচে থাকলে নিশ্চয় বিয়ে দিয়ে দিতেন।
চাচা নেই। মকবুল বেঁচে আছে। বাড়ির মুরব্বি সে। এ ব্যাপারে তার একটা দায়িত্ব রয়েছে।
পাত্রী ঠিক করে নিয়েছে মকবুল। মাঝি-বাড়ির আম্বিয়া।
নন্তু শেখ আর তার ছেলে করিম শেখ কলেরায় মারা যাবার পর থেকে আম্বিয়া একা।
বসত বাড়িটা, বাড়ির ওপরের ছোট্ট ক্ষেতটা আর সেই নৌকোটার এখন মালিক সে।
ওকে বিয়ে করলে মন্তু অনেকগুলো সম্পত্তি পেয়ে যাবে একসঙ্গে।
রশীদ তার ঘরের চালায় খড় দিয়ে ফুটোগুলো মেরামত করছিলো।
তাকে ডাকলো মকবুল। তোমরা এইটার একটা ফয়সালা কইরা ফালাও মিয়া। ওই মাইয়া বেশিদিন থাকবে না। বহু লোকের চোখ পড়ছে।
উপর থেকে রশীদ বললো, মাইয়ার হাঁপানি, শেষে বাড়ির সক্কলের হাঁপানি অইবো।
মকবুল সঙ্গে সঙ্গে বললো, আরে একবার বিয়া কইরা সম্পত্তিগুলান হাত কইরা নিক।
পরে দেহা যাইব, যদি হাঁপানি হয় তো তালাক দিয়া দিবো। মণু সহসা কিছু বললো না। সে জানে বিয়ে তাকে করতে হবে। আম্বিয়াকে অনেক ভালো লাগছিলো তার। সেদিন যদি বুড়ো মকবুল বলতো তাহলে তক্ষুণি রাজী হয়ে যেতো সে। আজ ভাবতে গিয়ে অদূরে দাঁড়ানো টুনির দিকে তাকালো মন্তু।
বুড়ো মকবুল বললো, অমন সম্বন্ধ আর পাইবি না মন্তু। চিন্তা করার কিছু নাই। মত দিয়া দে। কাইল রাইতে গিয়া ওর চাচা ছমির শেখের সঙ্গে আলাপ কইরা আহি।
ফকিরের মা বললো, আপনেরা মুরব্বি, আপনেরা ঠিক কইরা ফালান।
আমেনা বললো, ঠিক কথা কইছ চাচি।
মন্তু তখনও ভাবছে।
একটা বসতবাড়ি। একটা নৌকো। আর বাড়ির ওপরে এক টুকরো ক্ষেত। দেখতেও সুন্দরী সে। অ্যাঁটসাঁট দেহের ধাচে ধাঁচে দুরন্ত যৌবন আট হাত শাড়ির বাঁধন ছিড়ে ফেটে পড়তে চায়।
বুড়ো মকবুল বললো, তাইলে ওই কথাই রইলো। কাইল রাতের বেলা ওর চাচার সঙ্গে আলাপ করি গিয়া।
মন্তু চুপ করে রইলো। তারপর খুব আস্তে করে বললো, ও, আপনেরা যেইডা ভালা মনে করেন, করেন।
মুখ তুলে তাকাতে পারলো না সে। রসুই ঘরের দাওয়ায় দাঁড়িয়ে টুনি। দাঁত দিয়ে হাতের নখ কাটছে সে। মন্তুর কথা শুনে সহসা শব্দ করে হেসে উঠলো সে। বললো, আমাগো মন্তু মিয়ার বিয়ায় কিন্তুক বড় দেই একখানা পাল্কি আনন লাগবে।
ফকিরের মা বললো, মাইয়া এমন কইরা হাসতাছে য্যান ওর বিয়ার কথা অইতাছে, দেহ না কারবার।
ওর দিকে একটা তীব্র কটাক্ষ হেনে পরমুহূর্তে সেখান থেকে সরে গেলো টুনি। বিয়ের কথা শুনে সুরত আলী আর আবুলও সমর্থন জানালো। গনু মোল্লা বললো, ভালা অইছে। মন্তু এইবার সংসারী অইবো।
রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর টুনি মকবুলকে একপাশে ডেকে নিয়ে বললো, আপনার সঙ্গে আমার এক কথা আছে।
মকবুল রেগে উঠলো। এই রাতের বেলা এখন ঘুমোতে যাবে। এই সময়ে আবার এমন কি কথা বলতে চায় টুনি। রেগে বললো, কাইল দিনের বেলা কইয়ো।
টুনি বললো, না, অহনি লাগবে।
বুড়ো মকবুল অনিচ্ছা সত্ত্বেও বললো, আচ্ছা কও কি কথা।
চারপাশে দেখে নিয়ে ধীরে ধীরে কথাটা বললো টুনি। মকবুল বড় বোকা। নইলে এমন সুযোগ কেন হেলায় হারাচ্ছে সে। একটা বসত বাড়ি। একটা ক্ষেত। আর একটা নৌকো। ইচ্ছে করলে ওগুলোর মালিক সেও হতে পারে। সে কেন বিয়ে করে না আম্বিয়াকে। বুড়ো মকবুল অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকে ওর দিকে। এ সম্ভাবনার কথা সে নিজেও ভাবে নি এর আগে। টুনি যা বললো, শুধু তাই নয় আরো লাভ আছে আম্বিয়াকে বিয়ে করায়। সারাদিন একটানা ধান ভানতে পারে সে। খাটতে পারে অসম্ভব।
ওকে চুপ করে থাকতে দেখে টুনি আবার বললো, চিন্তা কইরতাছ কি, চিন্তা করার কিছুই নাই।
এ মুহূর্তে টুনিকে ওর নিজের চেয়েও অনেক বড় বলে মনে হলো মকবুলের। মনে হলো টনির কাছে নেহায়েত একটা শিশু সে।
একটু পরে চাপা গলায় মকবুল বললো, বড় বউ আর মাইঝা বউ যদি রাজী না অয়।
টুনি বললো, রাজী অইব না ক্যান। নিশ্চয় অইবো।
মকবুল বললো, ওগো না অয় রাজী করান গেল। কিন্তুক আম্বিয়া?
মকবুলের কণ্ঠস্বরে গভীর অন্তরঙ্গতা।
টুনি বললো, চেষ্টা কইললে সব অয়, অইব না ক্যান?
এতক্ষণ দাঁড়িয়েছিলো ওরা। মকবুল বললো, বহ বউ। বহ।
টুনি বসলো ওর পাশে। দুজনে পাশাপাশি। মকবুলের কাঁধের ওপর একখানা হাত রাখলো টুনি। তারপর নীরবে অনেকক্ষণ বসে রইল ওরা। বাড়ির কাচ্চাবাচ্চাদের উঠোনে বসিয়ে কিচ্ছা বলছে ফকিরের মা। চাঁদ সওদাগরের কিচ্ছা। একমনে হা করে শুনছে সবাই।
সালেহা কাঁদছে ওর ঘরে। কাল দুপুরে ওর মুরগিটাকে শিয়ালে নিয়ে গেছে ধরে। সেই শোকে কাঁদছে সে।
আমেনা আর ফাতেমা দু’জনকে ডেকে এনে সামনে বসিয়ে কথাটা বললো বুড়ো
শুনে আমেনা সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ করলো, এমষ কি অভাব আছে আপনের যে ওকে বিয়ে করতে চান?
ফাতেমা বললো, এই বুড়ো বয়সে মাইনষে কইবো কি?
টুনি বললো, মাইনষের কথা হুইনা কি অইবো। মাইনষে তো অনেক কথা কয়। তবু ফাতেমা আর আমেনা ঘোর আপত্তি জানালো। মকবুল অনেক বোঝাতে চেষ্টা করলো ওদের। কিন্তু ওরা রাজী হলো না।
অবশেষে মকবুল রেগে গেলো, শাসিয়ে বললো, অত কথা বুঝি না। আম্বিয়ারে বিয়া আমি করমুই। তোমরা পছন্দ কর কি না কর।
কথাটা চাপা থাকলো না।
পরদিন বাড়ির সবাই জেনে গেলো ব্যাপারটা।
মন্তুর বিয়ে সম্পর্কে আলাপ করতে গিয়ে নিজের বিয়ের কথা বলে এসেছে মকবুল।
কথাটা আমেনা আর ফাতেমরি কাছ থেকে শুনেছে সবাই।
মন্তু রীতিমত অবাক হলো।
সালেহা উঠোনের মাঝখানে দাড়িয়ে বললো, ইতা কেমন কথা অ্যাঁ। মাইনষে হুনলে কইবো কি?
ফকিরের মা বললো, মকবুল মিয়ার এইডা উচিত অয় নাই। যাই কও মিয়া, এইডা উঠিত অয় নাই।
আমেনা আর ফাতেমা দুজনে মিলে গনু মোল্লার কাছে কাদাকাটি করেছে। বলেছে, মাইনষে হাসাহাসি কইবো। আপনে ওনারে বাধা দ্যান। আপনের কথা ওনি হুনবেন। সুরত আর আবুলকে ডেকে ওদের সঙ্গে আলাপ করলো গনু মোল্লা। বললো, বাড়ির বদনাম অইয়া যাইবো।
শুনে সুরত আলী আর আবুল দু’জনে ক্ষেপে উঠলো। এইসব কি অ্যাঁ। বুড়ার কি ভীমরতি অইছে নাহি?
আবুল বললো, বুড়ো বয়সে এইসব কি পাগলামি শুরু অইছে।
কিছু বললো না শুধু মন্তু।
রাতে গনু মোল্লার ঘরে জমায়েত হলে সবাই।
রশীদ এলো। আবুল এলো। সুরত আলী, সালেহা, আমেনা, ফাতেমা, ফকিরের মা সবাই এলো।
এলো না শুধু মন্তু, টুনি, আর যাকে নিয়ে বসা সেই বুড়ো মকবুল।
মকবুল তার ঘরের মধ্যে নীরবে বসে রইলো।
সব কিছু সেও শুনেছে।
গনু মোল্লার ঘরে ওরা কেন জমায়েত হয়েছে সব বুঝতে পেরেছে সে।
এর মূলে আমেনা আর ফাতেমা। ওর দুই স্ত্রী। যাদের এতদিন খাইয়েছে পরিয়েছে সে।
নিমকহারাম, এক নম্বরের নিমকহারাম। চাপা আক্রোশে গর্জাতে লাগলো বুড়ো মকবুল।
টুনি বললো, ওগো হিংসা অইতাছে। ওরা চায় না আপনে সম্পত্তির মালিক হন।
টুনি ঠিক বলেছে, বাড়ির কেউ চায় না ও আম্বিয়াকে বিয়ে করুক।
বিয়ে করলে একদিনে অনেকগুলো সম্পত্তির মালিক হয়ে যাবে বুড়ো মকবুল। বাড়ির কেউ সেটা সহ্য করতে পারছে না।
এক ছিলিম তামাক সাজিয়ে ওর হাতে তুলে দিলো টুনি। বললো, মাথা গরম কইরেন না। এই সময় মাথা ঠাণ্ডা রাখন লাগে।
গনু মোল্লার ঘরে সবাই জমায়েত হলেও মকবুলকে সেখানে ডেকে আনার জন্যে যেতে কেউ সাহস করলো না। আবুল বললো, সুরতকে যেতে।
সুরত বললো, ফকিরের মার কথা। ফকিরের মা ভয়ে অ্যাঁতকে উঠে বললো, ওরে বাবা আমি যাইবার পার না।
অবশেষে গনু মোল্লাকে আসতে হলো।
উঠান থেকে মকবুলের নাম ধরে ডাকলো সে।
মকবুল বেরুলো না। বেরিয়ে এলো টুনি।
একটু পরে ভেতরে এসে টুনি বললো, আপনারে যাইতে কয়।
গনু মোল্লাকে শুনিয়ে শুনিয়ে বুড়ো মকবুল বললো, ক্যান, ক্যান, যাইতে কয়।
টুনি বললো, কি কথা আছে।
মকবুল বললো, কথা এখানে আইসা কইতে পারে না। আমি যা ক্যান? টুনি ওকে শান্ত করলো। বললো, মাথা গরম কইরেন না, যান না, ওরা কি কয় শুনেন গিয়া।
স্ত্রীর মুখের দিকে পরম নির্ভরতার সঙ্গে তাকালো বুড়ো মকবুল।
তারপর ধীরে ধীরে দাঁড়ালো সে।
বুড়ো মকবুলকে গনু মোল্লার ঘরে ঢুকতে দেখে নড়েচড়ে বসলে সবাই।
কারো মুখে কথা নেই।
টুনি এসে দাঁড়িয়েছে বুড়ো মকবুলের পাশে।
গনু মোল্লা তার নামাজের চৌকিটার উপরে বসলো।
সবাই চুপ।
কেউ কিছু বলছে না।
কথাটা কি দিয়ে যে শুরু করবে ভেবে উঠতে পারছে না কেউ।
টুনিই প্রথম কথা বললো, কই আপনেরা কিছু কইতেছেন না ক্যান। ক্যান ডাকছেন, কন না।
সুরত আলী নড়েচড়ে বসলো।
আমেনা নীরব।
ফাতেমা মাটির দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
গনু মোল্লা বললো, মন্তুর বিয়ার ব্যাপারে কি অইছে। কথাটা বলে মকবুলের দিকে তাকালে সে।
বুড়ো মকবুল কোন জবাব দেবার আগেই টুনি বললো, মন্তু কইছে ও আম্বিয়াকে বিয়া করবো না।
ওর কথা শুনে পরস্পর মুখের দিকে তাকালে সবাই।
ফকিরের মা বললো, কই মন্তু মিয়া কই, তারে ডাহ না।
কিন্তু মন্তুকে বাড়িতে খুঁজে পাওয়া গেলো না। কোথায় যেন বেরিয়ে গেছে সে। টুনি বললো, ডাহন লাগবে না ওরে, ও আমারে কইছে বিয়া কইরবো না।
আবুল সঙ্গে সঙ্গে বলে উঠলো, তাইলে আমি রিয়া করুম আম্বিয়ারে।
আমার ঘরে বউ নাই খানাপিনার অসুবিধা অয়।
ওর কথা সম্পূর্ণ না হতেই আমেনা জার ফাতেমা একসঙ্গে বলে উঠলো, হু তোমার একটা বউ দরকার।
বুড়ো মকবুল টুনির দিকে তাকালো।
টুনি বললো, ক্যান, ধইরা ধইরা মাইরা কবরে পাঠাইবার লাইগা নাহি।
আবুল রেগে উঠলো, আমার বউ যদি আমি মারি তোমার তাতে কি?
চুপ কর বেয়াদপ, হঠাৎ গর্জে উঠলো মকবুল। এই জিন্দেগিতে আর তেরে বিয়া করা না আমরা। তিন তিনটা মাইয়ারে তুই কবরে পাঠাইডস। আবার বিয়ার নাম করছে, শরমও লাগে না। একটুখানি দম নিয়ে বুড়ো পরক্ষণে বললো, আম্বিয়ারে আমি বিয়া করমু ঠিক করছি। বলে টুনির দিকে তাকালো সে।
আমেনা আর ফাতেমা পরমুহূর্তে প্রতিবাদ জানিয়ে বললো, আপনেরা শুনছেন, শুনছেন আপনেরা ইতা কিতা কইবার লাগছে উনি।
যা কইছি ঠিক কইছি। আঙ্গুল তুলে ওদের দুইজনকে শাসলো মকবুল। তোমাগো যদি ভালো না লাগে তোমরা বাড়ি ছাইরা চইলা যাও।
শুনছেন, শুনছেন আপনেরা। কি কয় শুনছেন। আমেনা কেঁদে ফেললো। গনু মোল্লা বললো, এইডা ঠিক অইলো না মকবুল মিয়া।
এইডা কোন কামের কথা অইলো না। এই বুড়ো বয়সে আরেক বিয়া কইরলে মাইনষে কি কইবো।
সুরত আলী আর ফকিরের মা বললো, মাইনষে বাড়ির বদনাম করবো।
আমেনা বললো, মাইয়া বিয়া দিছে, তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা ছি ছি কইরবো না।
কটমট চোখে আমেনার দিকে তাকালো মকবুল।
ফাতেমা বললো, বুড়ো বয়সে ভূতে পাইছে।
নিমকহারাম বলে হঠাৎ চিৎকার করে উঠলো বুড়ো মকবুল। তারপর অকস্মাৎ এক অবাক কাণ্ড ঘটিয়ে বসলো সে। ঘরের মাঝখানে, এতগুলো লোকের সামনে হঠাৎ আমেনা আর ফাতেমা দু’জনকে এক সঙ্গে তালাক দিয়ে দিলো সে। রাগে কাঁপতে কাঁপতে বললো, তোরা বাইরইয়া যা আমার বাড়ি থাইকা।
ঘটনার আকস্মিকতায় সকলে চমকে উঠল।
পরক্ষণে একটা আর্তনাদ করে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো আমেনা।
ফাতেমা মূর্ছা গেলো।
ফকিরের মা চিৎকার করে উঠলো, আহারে পোড়াকপাইল্যা এই কি কইরলি তুই, ওরে পোড়াকপাইল্যা এই কি কইরলি।
আবুল হঠাৎ বসার পিঁড়িটা হাতে তুলে নিয়ে সজোরে ছুঁড়ে মারলো মকবুলের কপাল লক্ষ্য করে। ঘাস খাইয়া বুড়া অইছ অ্যাঁ। ঘাস খাইয়া বুড়া অইছ, বেআকেইল্যা কোনহানের।
দু’হাতে কপাল চেপে মাটিতে বসে পড়লো বুড়ো মকবুল। আঙ্গুলের ফাঁক দিয়ে ফিনকির মত রক্ত ঝরছে ওর।
কান্না, চিৎকার গালাগালি আর হা-হুতাশে সমস্ত ঘরটা মুহূর্তে নরকের রূপ নিলো।
মকবুলকে দু’হাতে কাছে টেনে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে গেলো টুনি।
ফাতেমার মাথায় পানি ঢালতে লাগলো সালেহা।
ফকিরের মা আমেনাকে সান্ত্বনা দিতে গিয়ে নিজেই কেঁদে ফেললো।
উঠোনের এক কোণে দাঁড়িয়ে সুর শুনলো মন্তু। সব দেখলো সে।
কিন্তু কাউকে কিছু বললো না। নীরবে পরীর দীঘির দিকে চলে গেলো সে।