একাদশ অনুবাক
প্রথম সূক্ত : শত্রুনাশনম্
[ঋষি : উচ্ছোচন। দেবতা : ইন্দ্রাগ্নী, বৃহস্পতি ইত্যাদি। ছন্দ : অনুষ্টুপ ]
সংদানং বো বৃহস্পতিঃ সংদানং সবিতা করৎ। সংদানং মিত্রো অর্যমা সংদানং ভগো অশ্বিনা ॥১॥ সং পরমান্তসমবমানঘো সং দামি মধ্যমান। ইন্দ্ৰস্তা পর্ষদা তানগ্নে সং দ্যা ত্বম্ ॥ ২॥ অমী যে যুধমায়ন্তি কে কৃত্বানীকশঃ। ইন্দ্ৰস্তান্ পর্যহার্দাম্না তানগ্নে সং দ্যা ত্বম্ ॥ ৩॥
বঙ্গানুবাদ –হে শত্রুসেনাবর্গ! বৃহস্পতি, সবিতাদেব, মিত্র, অৰ্মা, ভগ ও অশ্বিনীকুমারদ্বয় তোমাদের এই বিস্তৃত পাশ-বন্ধনে পাতিত করুন ॥১॥
আমি দূরস্থ বা পার্শ্বস্থ শত্রুসেনাকে দৃঢ়ভাবে পাশবদ্ধ করছি। আমি শ্রেষ্ঠ বা নিকৃষ্ট এবং মধ্যবর্তী শত্রুসেনাকেও পাশের দ্বারা দৃঢ়ভাবে বন্ধন করছি। হে ইন্দ্র! এই সেনাপতিগণকে পৃথক করে দাও। হে অগ্নি! এই শত্রুগণকে পাশ-বন্ধনে আবদ্ধ করো ॥ ২॥
ঐ দলবদ্ধ হয়ে আগুয়ান শত্রুগণকে ইন্দ্র দূরে বিতাড়িত করুন। তারা ধ্বজা উড্ডয়ন করে যুদ্ধের উদ্দেশে আগমন করছে, দেখা যাচ্ছে। হে অগ্নি! তুমি তাদের দৃঢ়ভাবে (কষে) বন্ধন করে ফেলো ॥ ৩ ৷৷
.
দ্বিতীয় সূক্ত : শত্রুনাশনম
[ঋষি : প্রশোচন। দেবতা : ইন্দ্রাগ্নী, সোম ইত্যাদি ছন্দ : অনুষ্টুপ।]
আদানেন সংদানেমিত্রানা দ্যামসি। অপানা যে চৈষাং প্রাণা অসুনাসূন্তসমচ্ছিদ ১ ইদমাদানমকরং তপসেন্দ্রেণ সংশিত। অমিত্রা যেহত্র নঃ সন্তি নগ্ন আ দ্যা ত্বম ॥ ২॥ ঐনাম দ্যতামিন্দ্রাগ্নী সোমমা রাজা চ মেদিনে। ইন্দ্রো মরুত্বানাদানমমিত্রেভ্যঃ কৃণোতু নঃ ॥ ৩৷৷
বঙ্গানুবাদ –আমরা ঐ শত্রুগণকে আদান ও সংদান নামক পাশের দ্বারা দৃঢ়ভাবে বন্ধন করছি। আমি তাদের প্রাণ ও অপান বায়ুকে জীবন হতে পৃথক করে দিচ্ছি। ১৷
বন্ধন-সাধন এই পাশকে আমরা অভিচার-কর্মের নিয়মে সিদ্ধ করে নিয়েছি; ইন্দ্র তাকে (অর্থাৎ সেই পাশকে) তীক্ষ্ণ করে দিয়েছেন। হে অগ্নি! আমাদের এই যুদ্ধে শত্রুগণকে পাশে বন্ধন-যুক্ত করো। ২।
আমাদের প্রদত্ত হবিঃ-সমূহের দ্বারা প্রসন্ন হয়ে ইন্দ্রাগ্নী (ইন্দ্র ও অগ্নি) আমাদের শত্রুগণকে বন্ধন-যুক্ত করুন। সোমদেব ও মরুৎ-বর্গের সাথে মিলিত হয়ে ইন্দ্রদেব আমাদের শত্রুগণকে পাশে বন্ধন করুন ৷ ৩৷৷
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অত্র সন্দানং বঃ আদানেন ইতি তৃচাভ্যাং সংগ্রামজয়কর্মণি ভাঙ্গপাশান অন্যান্ বা ইঙ্গিড়ালঙ্কৃতান্ পাশা সম্পত্য অভিমন্ত্র পরসেনাক্রমণস্থানেষু প্রক্ষিপেৎ।….হি সূত্রং। (৬কা, ১১অ. ১-২সূ)।
টীকা –উপযুক্ত প্রথম ও দ্বিতীয় সূক্তের মন্ত্রগুলি সংগ্রাম-জয়কর্মে বিনিযুক্ত হয়ে থাকে। এই ৭ bন মন্ত্রগুলির দ্বারা ভাঙ্গপাশ বা ইঙ্গিড়ালস্কৃত পাশ অভিমন্ত্রিত করে শত্রুসেনার আক্রমণ স্থানে প্রক্ষিপ্ত করণীয়। এর সন্দান, আদান এগুলির প্রকৃত অর্থ বন্ধন-এখানে এগুলি পাশের নামরূপে ব্যবহৃত হয়েছে ॥ (৬কা, ১১অ. ১-২সূ)।
.
তৃতীয় সূক্ত : কাসশমনম
[ঋষি : উন্মোচন। দেবতা : কাসা। ছন্দ : অনুষ্টুপ]
যথা মনো মনস্কেতৈঃ পরাপতত্যাশুমৎ। এবা ত্বং কাসে প্র পত মনসোহনু প্রবাষ্যম্ ॥১॥ যথা বাণঃ সুসংশিতঃ পরাপতত্যাশুমৎ। এবা ত্বং কাসে প্র পত পৃথিব্যা অনু সংবতম। ২। যথা সূর্যস্য রশ্ময়ঃ পরাপত্যাশুমৎ। এবা ত্বং কাসে প্র পত সমুদ্রস্যানু বিক্ষরম্ ॥ ৩৷৷
বঙ্গানুবাদ –যেমন দূরস্থিথ জ্ঞান-বিষয়ের সাথেও এই মন শীঘ্রতার সাথে ধাবিত হয়ে থাকে, তেমনই কাস-শ্লেষ্ম ব্যাধিরূপ হে কৃত্যা! তুমি মনের দ্বারা দ্রুতবেগে দূর দেশে চলে যাও। ১।
যেমন উত্তমরূপে তীক্ষ্ণীকৃত বাণ ধনু হতে নিক্ষিপ্ত হওয়ার পর দ্রুতগতিতে ধাবিত হয়ে ভূমিকেও বিদীর্ণ করে দেয়; হে কাস! তুমি সেই প্রকারে বাণের দ্বারা বিদ্ধ করে ভূমির অসমতল প্রদেশে (বা পাতাল প্রদেশে) গমন করো। ২।
যে রকমে সূর্যের রশ্মিসমূহ উচ্চলোক এবং পর্বতসমূহ পর্যন্ত শীঘ্র গমন করে, হে কাস। তুমি সেইরকমে সমুদ্রের বিবিধ প্রবাহশালী দেশে প্রস্থান করো। ৩
.
চতুর্থ সূক্ত : দূর্বাশালা
[ঋষি : প্রমোচন। দেবতা : দূর্বা, শালা। ছন্দ : অনুষ্টুপ]
আয়নে তে পরায়ণে দূর্বা রোহন্তু পুষ্পিণীঃ। উৎসো বা তত্র জায়ং হৃদো বা পুন্ডরীকবান্ ॥ ১৷৷ অপামিদং ন্যয়নং সমুদ্রস্য নিবেশন। মধ্যে হ্রদস্য নো গৃহাঃ পরাচীনা মুখা কৃধি ॥ ২॥ হিমস্য হৃ জরায়ুণা শালে পরি ব্যয়ামসি। শীতদা হি নো ভূবোহগ্নিভৃণোতু ভেষজম্ ॥ ৩৷৷
বঙ্গানুবাদ –হে অগ্নি! সম্মুখভাগে তোমার গমনে অথবা পশ্চাদভাগে তোমার চলমানেও আমাদের দেশে সুন্দর পুস্পশালিনী দূর্বা উৎপন্ন হোক এবং গৃহ ইত্যাদি স্থানে জলের ঝরণাধারা বাহিত হোক (বা উৎপন্ন হোক)। আমাদের এই স্থানে পুণ্ডরীকবান বা তারসযুক্ত সরোবরও উৎপন্ন হোক। (এই প্রার্থনার দ্বারা অগ্নিকৃত বাধার দূরীকরণ সূচিত হচ্ছে)। ১
আমাদের গৃহ জলের দ্বারা পরিপূরিত হোক। আমাদের জলযুক্ত সরোবরের সাথে যুক্ত করা হোক। হে অগ্নি! তুমি আপন শিখাগুলিকে পরাঙ্খ করো। (এই প্রার্থনার দ্বারা অগ্নিদাহের অত্যন্তাসম্ভব সূচিত হচ্ছে, অর্থাৎ হে অগ্নে ত্বং জ্বালারূপাণি আস্যানি পরাঙ্মুখানি কুরু)। ২৷
হে শালা! তুমি আমাদের নিমিত্ত শীতহৃদা হও। আমরা তোমাকে শীতল জলের গর্ভবেষ্টনে (জরায়ুরূপে) অবস্থিত শৈবালের দ্বারা আবেষ্টিত করছি। আমাদের দ্বারা স্তুতিকৃত হয়ে অগ্নি আমাদের গৃহ ইত্যাদি যাতে দাহিত না হয়, এমন যত্ন করুক। ৩
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— যথা মননা মনস্কৈতেঃ ইতি তৃচেন কাসশ্লেষ্মরোগাদিশান্ত্যর্থং সমন্থং অভিমন্যু ভক্ষয়েৎ। তথা অনেন উদকং অভিমন্ত্র পায়য়েৎ। আয়নে ইতি তৃচেন গৃহাদীনাং অগ্নিদাহনিবৃত্ত্যর্থং গৃহমধ্যে গর্তং কৃত্বা উদকং অভিমন্যু নিনয়েৎ। তথা তত্রৈব কর্মনি অনেন অবকাং অভিমন্ত্র গৃহস্যোপরি বিতনুয়াৎ। তথা তপ্তমাষকে দিব্যে তৈলাদিকং অভিমন্ত্র শপথকত্রে প্রযচ্ছে। তথা অগ্নিদগ্ধং এতত্ত্বচেন অভিমন্ত্রিতোদকেন প্রক্ষালয়েৎ। সূত্রিতং হি।…ইত্যাদি৷৷ (৬কা, ১১অ. ৩-৪)।
টীকা— উপযুক্ত তৃতীয় সূক্তটির মন্ত্রগুলি কাশ-শ্লেষ্ম ইত্যাদি ব্যাধি প্রশমনে উল্লিখিত বিধানানুসারে বিনিয়োগ কর্তব্য। চতুর্থ সূক্তটির মন্ত্রগুলি অগ্নিভীতি নিবারণকল্পে উল্লিখিত বিধানানুসারে বিনিয়োগ করণীয় ॥ (৬কা, ১১অ. ৩-৪সূ)।
.
পঞ্চম সূক্ত : বিশ্বজিৎ
[ঋষি : শন্তাতি। দেবতা : বিশ্বজিৎ। ছন্দ : অনুষ্টুপ]
বিশ্বজিৎ ত্ৰায়মাণায়ৈ মা পরি দেহি। ত্ৰায়মাণে দ্বিপাচ্চ সর্বং নো রক্ষ চতুষ্পদ যচ্চ নঃ স্বম্ ॥১॥ ত্রায়মাণে বিশ্বজিতে মা পরি দেহি। বিশ্বজিদ দ্বিপাচ্চ সর্বং নো রক্ষ চতুষ্পদ যচ্চ নঃ স্বম্ ॥ ২॥ বিশ্বজিৎ কল্যাণ্যৈ মা পরি দেহি। কল্যাণি দ্বিপাচ্চ সর্বং নো রক্ষ চতুষ্পদ যচ্চ নঃ স্বম৷ ৩৷ কল্যাণি সর্ববিদে মা পরি দেহি। সর্ববিদ দ্বিপাচ্চ সর্বং নো রক্ষ চতুষ্পদ যচ্চ নঃ স্বম্ ॥৪॥
বঙ্গানুবাদ –হে জগৎসংসারকে বশীভূত রক্ষণশালী বিশ্বজিৎ দেবতা! যে ত্ৰায়মাণা দেবতার অধিকারে সংসারের পালন-কর্ম অবস্থিত, আমাদের তাঁর আশ্রয়ে অন্বিত করো। হে ত্ৰায়মাণা (রক্ষক) দেবতা! আমাদের দ্বিপদবিশিষ্ট (অর্থাৎ মনুষ্যরূপ) পুত্র পৌত্র ভৃত্য ইত্যাদি এবং চতুষ্পদবিশিষ্ট গো-ইত্যাদি পশু সমূহকে রক্ষা করো ৷৷ ১।
হে ত্ৰায়মাণা দেবি! তুমি আমাদের বিশ্বজিৎ দেবতাকে প্রদান করো। হে বিশ্বজিৎ! তুমি আমাদের দ্বিপদবিশিষ্ট পুত্র পৌত্র ভৃত্য ইত্যাদি এবং চতুষ্পদবিশিষ্ট গো-ইত্যাদি পশুসমূহকে রক্ষা করো। ২।
হে বিশ্বজিৎ! তুমি আমাদের বিভিন্ন প্রকারের কল্যাণকরণশালিনী কল্যাণীকে প্রদান করো। হে কল্যাণী! আমাদের দ্বিপদবিশিষ্ট পুত্র, পৌত্র, ভৃত্য ইত্যাদি এবং চতুষ্পদশালী গো-ইত্যাদি পশুসমূহকে রক্ষা করো ৷৷ ৩৷
হে মঙ্গলময়ী কল্যাণী! তুমি আমাদের সর্বকর্ম-জ্ঞাতা সর্ববিদ্ দেবকে সমর্পণ করো। হে সর্ববিদ্ দেব! তুমি আমাদের দ্বিপাদবিশিষ্ট পুত্র, পৌত্র, ভৃত্য ইত্যাদি এবং চতুস্পদযুক্ত গো-ইত্যাদি পশু, সমুদায়কে রক্ষা করো। ৪৷৷
.
ষষ্ঠ সূক্ত : মেধাবর্ধনম
[ঋষি : শৌনক। দেবতা : মেধা, অগ্নি। ছন্দ : অনুষ্টুপ, বৃহতী]
ত্বৎ নো মেধে প্রথমা গোভিরখেভিরা গহি। ত্বং সূর্যস্য রশ্মিভিং নো অসি যজ্ঞিয়া ॥১॥ মেধামহং প্রথমাং ব্রহ্মদ্বতীং ব্রহ্মজুতামৃষিতাম্। প্রপীতাং ব্রহ্মচারিভির্দেনামবসে হুবে ॥ ২॥ যাং মেদামৃভবো বিদুর্যাং মেধামসুরা বিদূঃ। ঋষয়ো ভদ্রাং মেধাং যাং বিদুস্তাং ময্যা বেশয়ামসি ॥ ৩৷৷ যামৃষয়ো ভূতকৃত মেধাং মেধাবিননা বিদুঃ। তয়া মামদ্য মেধয়াগ্নে মেধাবিং কৃণু ॥ ৪ মেধাং সায়ং মেধাং প্রাতর্মেধাং মধ্যন্দিনং পরি। মেধাং সূর্যস্য রশ্মিভির্বচসা বেশয়ামহে ॥ ৫৷
বঙ্গানুবাদ –হে বেদধারিণী মেধা (অর্থাৎ শ্রুতধারণসামর্থ্যরূপিণি দেবি)! দেবতা ও মনুষ্য সকলেই তোমাকে শ্রেষ্ঠরূপে বিজ্ঞাত হয়ে পূজা করে থাকে। তুমি গো ও অশ্বের সাথে আমাদের প্রাপ্ত হও। যেমন সূর্যের কিরণ সমগ্র জগৎসংসারে ব্যাপ্ত হয়ে থাকে, তেমনই তুমি আপন সর্ব-ব্যাপিনী শক্তির সাথে আমাদের প্রাপ্ত হও। তুমি আমাদের যজ্ঞাহুতির দ্বারা প্রসন্নশালিনী হও; এই নিমিত্ত আগতা হও ৷ ১।
মেধার (বা বুদ্ধির) কামনাশালী আমি বেদসমূহকে ধারণ করার উদ্দেশ্যে, বেদযুক্ত ব্রহ্মগ্বতী, ব্রহ্মসেবিতা, ব্রহ্মজুতা, অতীন্দ্রিয়ার্থদর্শী বশিষ্ঠ ইত্যাদির দ্বারা প্রশংসিত, ঋষিদ্ভুতা, বেদবিহিত আচরণের নিমিত্ত গুরুকুলে অবস্থানকারী ব্রহ্মচারীগণের দ্বারা শ্রেষ্ঠ বুদ্ধির, অধ্যয়নের নিমিত্ত জ্ঞানের এবং রক্ষার নিমিত্ত ইন্দ্র ইত্যাদি দেবগণের সাথে মুখ্য মেধাদেবীকে আহ্বান করছি ॥ ২॥
যে মেধা বা বুদ্ধিকে ঋতুগণ জ্ঞাত আছে, যাঁকে দানব ও বশিষ্ঠ ইত্যাদি ঋষিগণ জ্ঞাত আছেন, সেই মেধা বা বুদ্ধির সাধক আমি, আমাতে সেই মেধাদেবীকে প্রতিষ্ঠিত করছি ৷ ৩৷৷
যে মেধা বা বুদ্ধিকে মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষি, পৃথিবী ইত্যাদি ভূতবর্গকে রক্ষায় সামর্থ্যবান কৌশিক কশ্যপ, ইত্যাদি জ্ঞানী বা মেধাবীগণ জ্ঞাত আছেন, সেই মেধা বা বুদ্ধির দ্বারা, হে অগ্নি! আমাকে মেধাবী বা বুদ্ধিমান করে দাও। ৪
আমি প্রাতঃকালে, মধ্যাহ্নে এবং সায়ংকালে মেধাকে স্তুতি করছি। সূর্যরশ্মির সম্পূর্ণ অবস্থানকাল ব্যাপী, অর্থাৎ পূর্ণ দিনব্যাপী আমরা তাকে (অর্থাৎ মেধাকে) আপন স্তুতিরূপ বন্ধনের দ্বারা আপনার মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করছি। ৫।
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— বিশ্বজিৎ ত্ৰায়মানায়ৈ ইতি চতুঋচস্য বৃহস্পণে পাঠাৎ শান্তু্যদকা ভিমন্ত্রনাদৌ বিনিয়োগঃ। তথা স্বস্ত্যয়নকর্মণি অনেন চতুঋচেন আজ্যসমিৎপুরোশাদিশম্বুল্যার্নি ত্রয়োদশ দ্রব্যানি জুহুয়াৎ। সূত্রিতং হি।…ত্ব নো মেধে ইতি পঞ্চর্চেন সূক্তেন মেধাজননকর্মণি ক্ষীরৌদনং পুরোশং বসা বা সম্পত্য অভিমন্ত্র ভক্ষয়েৎ। তথা তস্মিন্নেব কর্মণি অনেন সূক্তেন আদিত্যং উপতিষ্ঠেৎ। পূর্বস্য মেধাজননানি ইতি প্রক্রম্য সূত্রিতং।…ইত্যাদি৷৷ (৬কা, ১১অ. ৫-৬)।
টীকা— পঞ্চম সুক্তটির মন্ত্র চারটি শান্তুদক অভিমন্ত্রন ইত্যাদি এবং স্বস্ত্যয়নকর্মে উপযুক্ত বিধানানুসারে বিনিয়োগ করণীয়। ষষ্ঠ সূক্তের পাঁচটি মন্ত্রে উপযুক্ত বিধানানুসারে মেধাজনন কর্মে বিনিযুক্ত হয়। (৬কা, ১১অ. ৫-৬)।
.
সপ্তম সূক্ত : পিপ্পলী–ভৈষজ্যম
[ঋষি : অথর্বা। দেবতা : পিপ্পলী। ছন্দ : অনুষ্টুপ]
পিপ্পলী ক্ষিপ্তভেষজতাতিবিদ্ধভেষজী। তা দেবাঃ সমকল্পয়ন্নিয়ং জীবিতবা অলম্ ॥ ১। পিপ্পল্যঃ সমবদন্তায়তীর্জননাদধি। যং জীবমবামহৈ ন স রিষ্যাতি পুরুষঃ ॥ ২॥ অসুরাস্তা ন্যখন দেবাস্তোদবপন্ পুনঃ। বাতীকৃতস্য ভেষজীমথো ক্ষিপ্তস্য ভেষজীম্ ॥ ৩
বঙ্গানুবাদ— পিপ্পলী ক্ষিপ্ত বাত রোগের ঔষধি। এইটি রোগকে পূর্ণভাবে নিপীড়নে (বা বন্ধনে)। সমর্থ, তথা অন্য ঔষধিগুলিকে তিরস্কার করণশালিনী। অমৃত মন্থনের সময়ে এই পিপ্পলীকে দেবতাগণ কল্পনা করেছিলেন; সকল রোগকে বিনাশ করণশালিনী এই একই ঔষধি প্রাণসমূহকে স্থিরভাবে রক্ষা করতে সমর্থ। ১৷৷
পিপ্পলীজাতীয় ঔষধিসমূহ নিজেরা হওয়ার পূর্ব হতেই নিশ্চয় করে নিয়েছিল যে, আমরা যে প্রাণীর শরীরে ঔষধিরূপে প্রবিষ্ট হবে, সেই প্রাণী যেন বিনাশপ্রাপ্ত হয় ॥ ২॥
হে পিপ্পলী! বাতরোগশালী, বারংবার হস্ত-পদ নিক্ষেপশালী আক্ষেপক রোগের তুমি ঔষধিস্বরূপ। প্রথমে দানবগণ তোমাকে কবরস্থ করেছিল, পুনরায় দেবগণ তোমাকে উদ্ধার (নিষ্ক্রান্ত) করেছিলেন৷ ৩৷৷
.
অষ্টম সূক্ত : দীর্ঘায়ুঃ প্রাপ্তি
[ঋষি : অথর্বা। দেবতা : অগ্নি। ছন্দ : পংক্তি, ত্রিষ্টুপ]
প্রত্নে হি কমীভ্যো অধ্বরেষু সনাচ্চ হোতা নব্যশ্চ সৎসি। স্বাং চাগ্নে তন্বং পিপ্রায়স্বাস্মভ্যং চ সৌভগমা যজস্ব ॥১॥ জ্যেষ্ঠগ্নাং জাতত বিচূতোৰ্ষৰ্মস্য মূলবণাৎ পরি পাহেন। অত্যেনং নেষদ দুরিতানি বিশ্বা দীর্ঘায়ুত্বায় শতশারদায় ॥ ২॥ ব্যাঘ্ৰেহহ্ন্যজনিষ্ট বীরো নক্ষত্ৰজা জায়মানঃ সুবীরঃ। স মা বধীৎ পিতরং বর্ধমানো মা মাতরং প্র মিনী…নিত্ৰী ৷ ৩৷৷
বঙ্গানুবাদ –চিরন্তন হওয়ার কারণে অগ্নি স্তুত্য (স্তুতিযোগ্য) হয়ে থাকেন। প্রাচীন কাল হতে তিনি যজ্ঞে আহূত হয়ে থাকেন। হে অগ্নি! তুমি যজ্ঞ-সম্পাদক ও নবীন হোতা হয়ে বেদীতে বিরাজমান হয়ে থাকে। এই রকমে বিরাজমান হয়ে তুমি আমাদের কল্যাণকারী ধন প্রদান করো। ১৷৷
জ্যেষ্ঠা নক্ষত্রে উৎপন্ন জ্যেষ্ঠদের (অর্থাৎ পিতা, মাতা, জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা ইত্যাদির) মারক (বিনাশক) হয়, এবং মূলা নক্ষত্রে উৎপন্ন পুত্র সকল কুটুম্বের নাশক হয়ে থাকে। এই নিমিত্ত, পাপ-নক্ষত্রে জন্মগ্রহণকারী এই বালককে, যমের কুটুম্ব-নাশশালী কর্মের দ্বারা পৃথক্ করো (অর্থাৎ যমের দ্বারা ক্রিয়মান সন্তানমূলোচ্ছেদন হতে রক্ষা করো–অতঃ পাপনক্ষত্রে জাতং এনং কুমারং যমস্য যমসম্বন্ধিনঃ যমেন ক্রিয়মানা মূলবণাৎ সন্তানমূলোচ্ছেদনাৎ পরি পাহি পরিতঃ সর্বতো রক্ষ)। সকল দেববর্গ এই বালককে পাপসমূহ হতে উত্তীর্ণ করে শতায়ুষ্য (শতবৎসর আয়ুসম্পন্ন) করুন। ২।
এই বালক ব্যাঘ্রের ন্যায় ক্রুর দুষ্ট নক্ষত্রে উৎপন্ন হয়েছে, এই নিমিত্ত এই বালক জন্মগ্রহণ মাত্রই উত্তম বীর্যের দ্বারা যুক্ত হয়েছে এবং বয়োপ্রাপ্তির পর যেন পিতা-মাতাকে হিংসাকারী (অর্থাৎ পিতা-মাতার বিনাশের কারণ) না হয়। ৩।
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –পিপ্পলী ক্ষিপ্তভেষজী ইতি তৃচেন ধনুর্বাতক্ষিপ্তবাদিকৃৎস্নবাত ব্যাধিশান্তুর্থ পিপ্পলীং সম্পত্য অভিমন্ত্র পুনস্তৃচং জপিত্বা আশয়েৎ। পিপ্পলী (৬/১০৯) বিদ্রধস্য (৬।১২৭) যা বভ্রবঃ (৮৭) ইতি প্রকম্য চতুর্থেনাশয়তি ইতি (কৌ, ৪২) সূত্ৰাৎ। প্রত্নে হি ইতি তৃচেন পাপনক্ষত্রজাতস্য অপত্যস্য সম্পাতিতাভিমন্ত্রিতোদপাত্রেণ সূত্রোক্তরীত্যা আপ্লাবনং অবসেকং কুর্যাৎ তথা তত্রৈব কর্মণি অনেন তৃচেন সম্পাতিতাভিমন্ত্রিতক্ষীরৌদনং প্রাশীয়াৎ..ইত্যাদি। (৬কা. ১১অ. ৭-৮সূ)।
টীকা –উপযুক্ত সপ্তম সূক্তের মন্ত্রগুলি ধনুর্বাত, ক্ষিপ্তবাত ইত্যাদি সকল রকমের বাতব্যাধির শান্তি নিমিত্ত উল্লিখিত বিধানানুসারে বিনিয়োগ করণীয়। অষ্ট সূক্তের মন্ত্রগুলি পাপ-নক্ষত্রে জাত পুত্রগণের (অপতস্য) জন্মজনিত দোষ-মোচনের নিমিত্ত সূত্রোক্তরীতি অনুসারে বিনিয়োগ কর্তব্য ॥ (৬কা, ১১অ. ৭-৮)।
.
নবম সূক্ত : উন্মত্ততামোচনম
[ঋষি : অথর্বা। দেবতা : অগ্নি। ছন্দ : অনুষ্টুপ, ত্রিষ্টুপ]
ইমং মে অগ্নে পুরুষং মুমুগ্ধ্যয়ং যে বদ্ধঃ সুষতো লালপীতি। অতোহধি তে কৃণব ভাগধেয়ং যদানুদিতোহসতি ॥ ১৷ অগ্নিষ্টে নি শময়তু যদি তে মন উদ্যতম। কৃণোমি বিদ্বান ভেষজং যথামুন্মদিতোহসসি। ২৷৷ দেবৈসাদুন্মদিতমুন্মত্তং রক্ষসম্পরি। কৃপোমি বিদ্বান্ ভেষজং যদানুন্মদিতোহসতি ॥ ৩৷ পুনস্থা দুরঙ্গরসঃ পুনরিন্দ্রঃ পুনৰ্ভগঃ। পুনত্ত্বা দুবিশ্বে দেবা যথামুন্মদিতোহসসি ॥ ৪
বঙ্গানুবাদ –হে অগ্নি! আমাদের এই পুরুষটি পাপের পাশবন্ধনে আবদ্ধ হয়ে প্রলাপ বাক্য উচ্চারণ করছে; একে এর রোগের কারণ রূপ পাপ হতে রক্ষা করো ( বা মুক্ত করো)। এই তোমার উদ্দেশে অধিক হবিঃ প্রদত্ত হচ্ছে, এই নিমিত্ত একে (গন্ধর্ব-অপ্সরা-গ্রহজনিত) উন্মাদ রোগ হতে মুক্ত করো। ১।
হে গ্রহ-গ্রস্ত পুরুষ! তোমার উন্মাদ রোগকে অগ্নিদেব দূর করে দিন। তোমার মন গ্রহ-বিকারের দ্বারা বিকৃত হয়ে আছে। আমি তার উপায় জ্ঞাত হয়ে এমন ঔষধ প্রদান। করছি যাতে তুমি রোগমুক্ত হয়ে যাবে ২
তুমি যদি দৈবকৃত উপঘাতের দ্বারা অথবা ব্রহ্মরাক্ষস তথা গ্রহের দ্বারা উন্মাদ-দশা প্রাপ্ত হয়ে থাকো, তবে জ্ঞানী আমি তোমার নিকট আগমন পূর্বক তোমাকে রোগমুক্ত করণের নিমিত্ত ঔষধি প্রদান করছি। ৩।
হে উন্মাদী পুরুষ! অপ্সরাগণ তোমাকে উন্মাদ-রহিত করে প্রত্যর্পণ কর দিয়েছে। ইন্দ্র তথা ভগদেবতা এবং অন্য সকল দেবতা তোমাকে উন্মাদরোগ হতে বিমুক্ত করে আমাদের নিকট প্রত্যর্পণ করেছেন। ৪৷৷
.
দশম সূক্ত : পাশমোচনম
[ঋষি : অথর্বা। দেবতা : অগ্নি। ছন্দ : ত্রিষ্টুপ]
মা জ্যেষ্ঠং বধীদয়মগ্ন এষাং মূলবণাৎ পরি পাহেন। স গ্রাহ্যাঃ পাশা বি কৃত প্রজান তুভ্যং দেবা অনু জানন্তু বিশ্বে। ১৷৷ উন্মুঞ্চ পাশাংমগ্ন এষাং ত্রয়স্ত্রিভিরুৎসিতা যেভিরাসন। স গ্রাহ্যাঃ পাশান্ বি কৃত প্রজান পিতাপুত্রৌ মাতরং মুঞ্চ সর্বান্ ॥ ২॥ যেভিঃ পাশৈঃ পরিবিতা বিবদ্ধোহঙ্গেঅঙ্গ আর্পিত উৎসিতশ্চ। বি তে মুচন্তাং বিমুচো হি সন্তি ভ্রণগ্নি পূষন দুরিতানি মৃক্ষ ॥ ৩৷৷
বঙ্গানুবাদ –হে অগ্নি! এই পরিবেত্তা বা পরিবিত্ত (অর্থাৎ অবিবাহিত জ্যেষ্ঠের বিবাহিত কনিষ্ঠ ভ্রাতা) যেন তার জ্যেষ্ঠ জনের (অর্থাৎ জ্যেষ্ঠ ভ্রাতা বা পিতা বা মাতা ইত্যাদির) মধ্যে কাউকে হত্যা না করে। একে মূলোচ্ছেদনের বা পরিবেদনের দোষ হতে (অর্থাৎ অবিবাহিত জ্যেষ্ঠ বিদ্যমানে কনিষ্ঠের বিবাহজনিত পাপ হতে) রক্ষা করো। হে অগ্নি! তুমি শান্তির উপায় সমূহের জ্ঞাতা। এই নিমিত্ত গ্রহণশীল পিশাচ সমুদায়ের পাশ (বা বন্ধন) হতে, সকল দেবতার অনুজ্ঞায় একে মুক্ত করো ৷ ১
হে অগ্নি! তুমি এর পিতা ইত্যাদির পরিবেদন-দোষ হতে উৎপন্ন পাশকে দমন (বা মোচন) করো। মাতা, পিতা, পুত্র–এই তিন জন যে পরিবেদন-জনিত দোষের নিমিত্ত পাশের দ্বারা বন্ধনপ্রাপ্ত হয়ে আছে, তাদের সেই পাশ হতে মোচন করো। তুমি সেই মোচনের উপায় জ্ঞাত আছে। এই নিমিত্ত গ্রহণশীল পিশাচ সমুদায়ের পাশ (বা বন্ধন) হতে বিমোচন করো। সকল দেবতা অনুজ্ঞা করুন৷ ২৷৷
হে দেবগণ! যে পাশের দ্বারা অঙ্গে অঙ্গে বিজড়িত পুরুষ পীড়ার। কারণে বারংবার উখিত ও পতিত হচ্ছে (আছাড়ি-পাছাড়ি করছে), তাকে সেই পাশ হতে মুক্ত করো। হে পোষক দেব! এই পরিবেদন দোষকে জ্বণহত্যাকারী এবং শ্রোত্রিয়গণের হিংসক জনের মধ্যে স্থিত করে দাও ৷ ৩৷৷
.
একাদশ সূক্ত : পাপনাশনম্
[ঋষি : অথর্বা। দেবতা : পূষা। ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, পংক্তি]
ত্রিতে দেবা অমৃজতৈতদেনস্ত্রিত এনন্মনুষ্যেষু মমৃজে। ততো যদি ত্বা গ্রাহিরানশে তাং তে দেবা ব্ৰহ্মণা নাশয়ন্তু ॥১॥ মরীচীধূমান্ প্ৰ বিশানু পানুদারা গঙ্তে বা নীহারা। নদীনাং ফেনাঁ অনু তান্ বি নশ্য ভ্রুণগ্নি পূষ দুরিতানি মৃক্ষ ॥ ২॥ দ্বাদশ নিহিতং ত্রিতস্যাপমৃষ্টং মনুষ্যৈনসানি। ততো যদি স্বা গ্রাহিরানশে তাং তে দেবা ব্ৰহ্মণা নাশয়ন্তু ॥ ৩॥
বঙ্গানুবাদ –পূর্বকালে দেবতাগণ পরিবিত্তে উদ্ভূত সমবেত পাপকে ত্রিত নামক আপ্ত্যে (বা ত্রিতের মনে) স্থিত করে দিয়েছিলেন। (পরিবিত্তসমবেতং এনঃ পাপং পূর্বং দেবাস্ত্রিতে এতৎসংজ্ঞে আপ্ত্যে অমৃজত নিমৃষ্টবন্তঃ)। ত্ৰিত এই পাপকে সূর্যোদয়ের পরেও শয়নশীল মনুষ্যগণের মধ্যে স্থাপিত করেছিলেন। হে পরিবিত্ত! তোমাকে যে পাপদেবী প্রাপ্ত হয়েছে, তাঁকে দেবগণ মন্ত্রশক্তির দ্বারা দূরীভূত করুন। ১।
হে পরিবেদন হতে উৎপন্ন পাপ! তুই এই পরিবিত্তকে (বা পরিবেত্তাকে) ত্যাগ করে অগ্নি ও সূর্যের প্রভার মধ্যে প্রবিষ্ট হয়ে যা। তুই ধূমে, বা মেঘের আবরণ কুজ্বটিকায় প্রবেশ কর। হে পাপ! তুই নদীর ফেনায় প্রবাহিত হয়ে যা। হে পোষক দেব! তুমি এর পরিবেদন দোষকে ভ্রুণহত্যাকারী এবং শ্রোত্রিয়গণের হিংসক জনের মধ্যে স্থিত করে দাও। ২।
আপ্ত্য ত্রিতের এই পাপসমূহ পূর্বোক্তক্রমে দ্বাদশ স্থানে স্থাপিত করা হয়েছে। প্রথমে দেবগণের মধ্যে, পরে তিন জলমধ্যে, অতঃপর সূর্য-অগ্নি ইত্যদি আটটি স্থানে নিক্ষিপ্ত হয়। (প্রথমং দেবেষ্ণু পশ্চাৎ ত্ৰিষু আপ্যেষু ততঃ সূর্যাভূদিতাদিষু অষ্টসু এবং দ্বাদশসু স্থানেষু নিক্ষিপ্তং)। সেই পাপ বর্তমানে মনুষ্যের মধ্যে প্রবিষ্ট হয়ে যাচ্ছে। হে পরিবেত্তা পুরুষ! তুমি যদি পিশাচীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে থাকে, তবে তার প্রভাবকে পূর্বোক্ত দেবতা ও ব্রাহ্মণগণ এই মন্ত্রের দ্বারা বিনাশ করুন ৩
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –ইমং মে অগ্নে ইতি চতুঋচস্য মাতৃনামগণে পাঠাদ দিব্যো গন্ধর্ব ইতি মাতৃনামভিজুহুয়াৎ (কৌ. ১৩।২) ইত্যাদি বিনিয়োগো দ্রষ্টব্যঃ। তথা গন্ধর্বরাক্ষসারোভূতগ্রহাদি পীড়াশান্তয়ে ঘৃতাক্তসবৌষধিহোমে চতুষ্পথে গ্রহগৃহীতশিরঃস্থিতমৃন্ময়কপালাগ্নিহোমাদৌ চ অস্য বিনিয়োগঃ…মা জ্যেষ্ঠং (১১২) ত্রিতে দেবাঃ (১১৩) ইতি তৃচাভ্যাং পরিবিত্তিপরিবেত্ত্ব প্রায়শ্চিত্তার্থং উদঘটং সম্পত্য অভিমন্যু তয়োঃ পর্বানি মৌঞ্জপাশৈৰ্বৰ্ধা আপ্লাবনং অবসেকং বা কুর্যাৎ …সূত্রিতং হি।…ইত্যাদি। (৬কা, ১১অ. ৯-১১)।টীকা –উপযুক্ত নবম সূক্তটি উল্লিখিত বিধানানুসারে গন্ধর্ব-রাক্ষস-অপ্সরা-ভূতগ্রহ ইত্যাদি হতে সঞ্জাত পীড়ার শান্তিকল্পে বিনিয়োগ করণীয়। দশম ও একাদশ সূক্তের মন্ত্রগুলি পরিবেত্তার প্রায়শ্চিত্তকর্মে উল্লিখিত সূত্রানুসারে বিনিযুক্ত হয় ॥ (৬কা, ১১অ. ৯-১১)।