পঞ্চম অধ্যায় – ব্রহ্মাকর্তৃক মহামায়ার স্তব
মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–অনন্তর ব্রহ্মা, তখন মহাত্মা দক্ষকে এবং মরীচি প্রভৃতিকে এই কথা বলিলেন। ১
ব্ৰহ্মা বলিলেন,–কোন্ রমণী শম্ভুর পত্নী হইবেন? কোন্ রমণী তাহাকে ভুলাইতে পারিবেন? এইরূপ চিন্তা করিতেছি। কিন্তু কাহাকেও শিবপত্নী বলিয়া স্থির করিতে পারিতেছি না। ২।
দক্ষ! সন্ধ্যা ও সাবিত্রীর আরাধ্য দেবতা জগন্ময়ী মহামায়া বিষ্ণুমায়া ব্যতীত শিবকে ভুলাইতে পারে, এমন নারী কেহ নাই। ৩
অতএব আমি জগজ্জননী যোগনিদ্রা বিষ্ণুমায়াকে স্তব করি, তিনি সুন্দর রূপে তাহাকে মোহিত করিবেন। ৪
দক্ষ! তুমিও সেই বিশ্বময়ীরই পূজা কর, তিনি যেন তোমার কন্যারূপে জন্মগ্রহণ করিয়া শিবের পত্নী হন। ৫
মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–পরমাত্মা ব্রহ্মার এই কথা শুনিয়া দক্ষ, মরীচিপ্রভৃতির বচনানুসারে সেই সৃষ্টিকর্তাকে বলিলেন। ৬।
দক্ষ বলিলেন,–ভগবন্! আপনি জগতের হিতজনক যে যথার্থ কথা বলিয়াছেন, হে লোকেশ। আমরা তদনুসারে কাৰ্য্য করিব। ৭
বিষ্ণুমায়া ব্যতীত শিবের মনোহরণ করিতে অপর কেহ পারিবে না, ইহা স্থির বটে। স্বয়ং বিষ্ণুমায়া যাহাতে আমার কন্যা হইয়া মহাত্মা শিবের পত্নী হন, আমি তদনুরূপ চেষ্টা করিব। ৮।
মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–তখন মরীচি প্রভৃতি ঋষিগণ, “এই’ই বটে” বলিলে, দক্ষ, জগন্ময়ী বিষ্ণুমায়াকে পূজা করিতে আরম্ভ করিলেন। ৯
দক্ষ, ক্ষীরোদ-সাগরের উত্তর তীরে অবস্থিত হইয়া জগদম্বাকে হৃদয়-মন্দিরে স্থাপনপূর্বক তপস্যা করিতে আরম্ভ করিলেন। সেই জগদম্বাকে প্রত্যক্ষ করাই তপস্যার উদ্দেশ্য। ১০
দৃঢ়ব্রত দক্ষ সংযতচিত্ত হইয়া নিয়ম সহকারে তিন সহস্র দিব্য বৎসর তপস্যা করিয়াছিলেন। ১১
বায়ু-ভক্ষণ, অনশন, জলমাত্র পান অথবা বৃক্ষের গলিত পত্র ভোজন করিয়া জগন্ময়ী বিষ্ণুমায়াকে চিন্তা করত সেই দীর্ঘকাল অতিবাহিত করিয়া ছিলেন। ১২
দক্ষ, তপস্যা করিতে গেলে, সৰ্ব্বজগৎপতি ব্রহ্মা, পরম পবিত্র পুণ্যজনক মন্দরগিরিসমীপে গমন করিলেন। ব্রহ্মা মন্দরগিরির প্রসিদ্ধ প্রসিদ্ধ পুণ্য ক্ষেত্রে জগজ্জননী জগদ্ধাত্রী বিষ্ণুমায়াকে তদ্গত একাগ্রচিত্তে অর্থপূর্ণ রচনাবলী দ্বারা স্তব করিতে লাগিলেন। ১৩-১৪
ব্রহ্মা বলিলেন,–যিনি অবিদ্যা, বিদ্যা ও স্থূল সূক্ষ্ম-স্বরূপ, নিরাধারা নিরাকুলা এবং বিশুদ্ধ, সেই জগদ্ধাত্রী দেবীকে স্তব করি। ১৫
জগতের উপাদান কারণ জগদতীত প্রকৃতি যাহা হইতে উদ্ভুত, সেই পরমাত্মার অবয়বরূপিণী সনাতনী নিদ্রাকে স্তব করি। ১৬
তুমিই চিৎশক্তি, তুমিই পরমানন্দরূপী পরমাত্মা, তুমি সৰ্ব্বভূতের শক্তি এবং তুমিই পবিত্রতাবিধায়িনী। ১৭।
তুমি সাবিত্রী, তুমি জগদ্ধাত্রী, তুমি সন্ধ্যা, তুমি রতি, তুমি ধৃতি; আর জ্যোতিঃস্বরূপে তুমিই সংসারের প্রকাশিকা। ১৮
তমোরূপে তুমি জগৎকে আবরণে রাখ। তুমিই সৃষ্টিরূপে ইহাকে পূর্ণ কর। ১৯
তুমি বৈষ্ণবীরূপে জগতের স্থিতিকারিণী, হিতৈষিণী আবার তুমিই অন্তরূপে জগতের প্রলয় করিয়া থাক। ২০
তুমি মেধা; তুমি মহামায়া; তুমিই পিতৃলোকের আনন্দদায়িনী স্বধা। তুমি স্বাহা, তুমিই নমঃশব্দ, বষট্কার এবং স্মৃতিরূপা। ২১
তুমি পুষ্টি, ধৃতি, মৈত্রী; তুমি করুণা, তুমি মুদিতা, তুমিই লজ্জা; তুমি শান্তি, তুমি কান্তি, তুমিই জগতের ঈশ্বরী! ২২
আবার বলি, তুমি মৈত্রী, তুমি মহামায়া, তুমি পিতৃদেবতা স্বধা। হে নিত্যশক্তি-স্বরূপে! আমার সৃষ্টিশক্তি, বিষ্ণুর স্থিতিশক্তি এবং রুদ্রের বিনাশ শক্তি–এই সমস্ত শক্তিও তোমা হইতে স্বতন্ত্র নহে। ২৩।
একা তুমিই আত্মপ্রকাশক তত্ত্বজ্ঞান ও আত্মগোপক অজ্ঞানরূপ দ্বিবিধভাব অবলম্বনপূর্বক কাহারও মুক্তি এবং কাহারও সংসারবন্ধন সাধন করিতেছ। ২৪
তুমি সৰ্ব্বভূতের লক্ষ্মী, তুমি ছায়া, তুমি সরস্বতী; তুমি ঋগ-যজুঃ সাম বেদরূপিণী, তুমি ত্রিমাত্রা (প্লুতরূপ) এবং সৰ্ব্বভূত-স্বরূপা। ২৬
তুমি পিতৃগণমনোরঞ্জিনী সামগীতি, তুমি সকল যজ্ঞেরই বেদি, সামধেনী এবং হবিঃ! ২৭
পরমাত্মার নিষ্কল অব্যক্ত অনিৰ্দেশ্য রূপ এবং সমস্ত জগৎ–এই সূক্ষ্ম স্থূল সকল রূপই তোমার। ২৮
বিশ্বম্ভরে! যে সর্বাধারভূত বিশাল মূর্তি পৃথিবীকে ধারণ করিয়া রাখিয়াছে, জগতে মঙ্গলদায়িনী শক্তিরূপ। তুমিই সেই মূর্তি *। ২৯ [* যা মূর্তিং বিততাং সর্বধরিত্রী বিভ্ৰতী ক্ষিতিঃ ইহা পাঠান্তর। যে সর্বাধারভূতা পৃথিবী বিস্তৃত মূর্তি ধারণ করিয়া আছেন, তুমিই সেই পৃথিবীস্বরূপ। উক্ত পাঠের এইরূপ অর্থ হয়।]
তুমি লক্ষ্মী, চেতনা, কান্তি, তুমি পুষ্টি, তুমি নিতা, তুমি কালরাত্রি, তুমি মুক্তি, শান্তি, প্রজ্ঞা এবং স্মৃতি। ৩০
হে সুখভোগপ্রদায়িনি! তুমিই ভবসাগর পার তরণিরূপিণী; মাগো! প্রসন্ন হও; নিখিল ব্রহ্মাণ্ডের তুমিই গতি; তুমিই মতি। ৩১
তুমি নিত্যা আবার তুমিই অনিত্যা! তুমি এই স্থাবর-জঙ্গমময় নিখিল জগন্মোহিনী; তুমি সঙ্গতিবিধায়িনী এবং সাঙ্গোপাঙ্গ-সকলযোগ-মার্গ-প্রবর্তিনী। ৩২।
তুমি যতিগণের ধ্যান, যতিগণের কীর্তি; যোগের অষ্টাঙ্গ তোমাতে বিদ্যমান; তুমি খড়্গ, শূল এবং চক্র ধারণ করিয়া থাক; তুমি ঘোররূপা। ৩৩
তুমি ঈশ্বরী, জনগণের প্রতি সর্ববিধ অনুগ্রহ করিতে সমর্থ; তুমি জগতের আদি অথচ তোমার আদি নাই; তোমা হইতে জগতের উৎপত্তি, অথচ তোমার উৎপত্তি নাই। ৩৪
এক তুমি প্রলয়কালে জগন্মণ্ডল সংহার করিয়া থাক; অথচ তোমার নাশ নাই। এক তুমিই শুদ্ধসত্ত্বস্বরূপা এবং তামসী বলিয়া বর্ণিত আছ; এক তুমিই হিংসা এবং অহিংসা; তুমিই কালী এবং চতুরাননা। ৩৫
তুমি পরাৎপরা ও সকলের জননী; তুমি আনন্দময়ী এবং আনন্দদায়িনী। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড তোমাতেই বিলীন হয় এবং তুমি ইহা রক্ষণ ও ধারণ করিতেছ। ৩৬
তুমি দৃষ্টিহীন। অথচ তোমার দৃষ্টি অতি উত্তম; তুমি কর্ণহীনা অথচ তোমার শ্রবণযুগল পরম রমণীয়। তোমার হস্ত পদ নাই, অথচ তোমার গমনবেগ ও গ্রহণ-পাটব অত্যন্ত প্রবল। ৩৭।
তুমি স্বর্গ, তুমি জল, তুমি জ্যোতিঃ, তুমি বায়ু, তুমি আকাশ, তুমি মন এবং অহঙ্কারও তুমি–অধিক কি এই জগতের যে আট প্রকার প্রকৃতি (কারণ–প্রকৃতি মহত্তত্ত্ব প্রভৃতি) আছে, তৎসমুদায়ই তুমি, আবার তুমিই যত্নস্বরূপা। ৩৮
তুমি মেরুরূপে জগতের নাভি এবং পরম নালিকা-স্বরূপা। তুমিই শুদ্ধ সত্বময়ী পরাৎপর, আবার তুমিই মোহপ্রদায়িনী মহামায়া। ৩৯
জগতের জন্য তোমাকে কারণ, কাৰ্য, সত্য, শান্ত, মঙ্গলময় এবং অমঙ্গলময় নানারূপ ধারণ করিতে হইয়াছে। সেই সমস্ত রূপ উপাসকবৃন্দের ভক্তিবৃক্ষের ফলস্বরূপ। ৪o
তুমি অতি হ্রস্ব, অতিদীর্ঘ; তুমি অতি ক্ষুদ্র, অতি বৃহৎ; তুমি অতি সূক্ষ্ম অথচ নিখিল লোকব্যাপিনী জগন্ময়ী! ৪১
তুমি মানহীনা অথচ তোমার অত্যন্ত মান; তুমি অপরিমেয়া এবং উন্নত কায় গিরিরাজের দুহিতা। তোমার জগদ্ব্যাপী রূপরাজি সমবেত ও পৃথক্ ভাবে সেবা-ভক্তি করিলে সমুদয় সংসার-ভ্রান্তি দূর হয়। ৪২
তুমি ইষ্টানিষ্ট-পরিণামজ্ঞানসম্পন্না এবং লোকের ইষ্টানিষ্ট তোমার দ্বারাই হইয়া থাকে। আর তোমার নিখিল রূপই সৃষ্টি স্থিতি সংহারময়। ৪৩
অষ্টাঙ্গযোগ বলে বারংবার বিচার করিয়া যে তত্ত্ব স্থিরীকৃত হয়, সেই নিত্যরূপ তোমার। ৪৪
তুমি বাহ্য অন্তর; তুমি সুখ দুঃখ; তুমি জ্ঞান অজ্ঞান, তুমি জীবন মরণ; তুমি শান্তি অশান্তি; তুমিই জগদীশ্বরের ঐশী শক্তি। ৪৫
ত্রিভুবনে যাঁহার প্রভাব বর্ণন করিতে কেহ সমর্থ হয় না, তুমি সেই জগদীশ্বরেরও মোহকারিণী; আমি আর তোমাকে স্তব করিব কি? ৪৬
তুমি যোগনিদ্রা ও মহানিদ্রা ও মোহনিদ্রা; তুমি জগন্ময়ী বিষ্ণুমায়া; তুমিই প্রকৃতি; তোমাকে স্তব করিয়া উঠিতে পারে কে? ৪৭
আমি, বিষ্ণু এবং শিব আমাদিগের শরীর গ্রহণ, যাহা হইতে হইয়াছে, তাহার প্রভাব ও গুণাবলী বর্ণন করিতে কে সমর্থ হইবে? ৪৮
তুমি প্রকাশ করিয়া থাক বলিয়া অভ্যন্তরচারিণী জ্যোতিঃস্বরূপিণী; আবার তুমিই বহিশ্চারিণী স্থাবর জঙ্গমস্বরূপা। ৪৯
প্রসন্ন হও মা! তুমি নিখিল জগতের জননী লক্ষ্মীরূপিণী; হে বিশ্বময়ি। বিশ্বেশ্বরি! হে সনাতনি! প্রসন্ন হও। ৫০
মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–ব্রহ্মা এইরূপ স্তব করিতে থাকিলে, যোগনিদ্রা, স্নিগ্ধাঞ্জন-সমপ্রভা, মনোহর রূপবতী চতুর্ভূজা বজ্র-খড়্গধারিণী সিংহবাহিনী মুক্তকেশীরূপে সেই পরমাত্মা ব্রহ্মার সম্মুখে আবির্ভুতা হইলেন। ৫১
নিখিল জগদ্গুরু বিধাতা তাহাকে সম্মুখে দেখিবামাত্র প্রণাম করিয়া ভক্তি নম্র মস্তকে স্তব করিতে লাগিলেন। ৫২
হে জগতের প্রবৃত্তি-নিবৃত্তি রূপিণি! সৃষ্টিস্থিতিস্বরূপে! তোমাকে বার বার নমস্কার। আপনি চরাচরের শক্তিরূপা অখিলবিমোহিনী সনাতনী। ৫৩
কেশবের অর্ধাঙ্গরূপিণী লক্ষ্মী, সর্বাধারভূতা পৃথিবী, যোগিজনপূজিতা মনোহারিণী দেবী লজ্জা-এ সকলই তুমি; হে পরমাত্মসারে! তোমাকে নমস্কার। ৫৪
যোগিগণ, শ্রবণ-মননদ্বারা অবগত হইয়া সমাধিপূত-হৃদয়ে যে স্বপ্রকাশ সত্ত্বময় বিশুদ্ধ বিদ্যা ভাবনা করেন, তুমিই সেই বিবিধ বিষয়াবলম্বিনী মহা বিদ্যা। ৫৫
জগৎ-পরিবর্তনহেতু কালস্বরূপ কূটস্থ (পরিবর্তনশূন্য) অব্যক্ত অচিন্তনীয় রূপ ধারণ করত তুমি জগতকে সতত পুরাতন নূতন ও মধ্যাবস্থাপন্ন করিতেছ। ৫৬
তুমি সত্ত্ব, রজ, তম, এই গুণত্রয়ের সাম্যাবস্থা-জগতের একমাত্র হেতু প্রকৃতি; এই প্রকৃতিই পুরুষের বাহ্য ও আভ্যন্তরীণ বস্তুতে আসক্তি নিবৃত্তি করিয়া স্বয়ং অপসৃত হইয়া থাকেন। ৫৭
হে নিখিল-ব্ৰহ্মাণ্ডজননি! জ্ঞেয়-জ্ঞানরূপে! জগতের হিতের জন্য যত্ন করুন; হে বিষ্ণুমায়ে! তোমাকে নমস্কার। ৫৮
মার্কণ্ডেয় বলিলেন;–ত্রিলোকবিমোহিনী মহামায়া কালী বিশ্ব-ধাতার এই কথা শুনিয়া মেঘগম্ভীর-স্বরে তাহাকে বলিতে লাগিলেন;–হে ব্ৰহ্মন! কি জন্য তুমি আমাকে স্তব করিতেছ? আর শুন, কাহার উপরে তোমার ক্ষমতা খাঁটিতেছে না, আমার নিকট শীঘ্র বল। ৫৯-৬০
প্রত্যক্ষগোচর হইলে নিশ্চয় কার্য সিদ্ধ হয়। অতএব তুমি নিজ অভিলাষ ব্যক্ত কর; আমি আগ্রহ সহকারে তাহা করিব! ৬১
ব্ৰহ্মা বলিলেন,–ভূতপতি মহাদেব, একাকী বিচরণ করিতেছেন; সহ চারিণী করিতে ইচ্ছা করেন না। অতএব তুমি তাহাকে মোহিত কর, তিনি যেন স্বয়ং দারগ্রহণে অভিলাষী হন। ৬২।
তোমা ভিন্ন আর কোন রমণীই তাহার মনোহারিণী হইবে না, অতএব তুমিই একরূপে শিবমোহিনী হও। ৬৩
তুমি জগতের হিতের জন্য লক্ষ্মীরূপ ধারণ করত, নারায়ণকে যেমন আনন্দিত করিতেছ, এই মহাদেবকেও সেইরূপ আনন্দিত কর। ৬৪
আমার রমণীর প্রতি, মাত্র ইচ্ছা হইয়াছিল, বৃষধ্বজ তাহারই নিন্দা করিয়াছেন। তিনি স্বেচ্ছাক্রমে কখনই দার পরিগ্রহ করিবেন না। ৬৫
সৃষ্টি স্থিতি প্রলয়ের মধ্যে প্রলয় হেতু সেই রুদ্র, বৈরাগ্যবশে দারপরিগ্রহ করিলে সৃষ্টিচক্র চলিবে কিরূপে? ৬৬
আমি এইরূপ চিন্তা করিয়া তোমারই শরণাগত হইয়াছি। এ বিপদে তোমা ভিন্ন আর কেহ রক্ষক নাই; জগতের হিতের জন্য তুমি আমার এই কাৰ্য্যটী সাধন কর। ৬৭
বিষ্ণু, লক্ষ্মী, কাম বা আমি–আমরা কেহই সেই ঈশ্বরকে ভুলাইতে পারিব না। অতএব হে জগন্মাতঃ! তুমি তাহাকে মোহিত কর। ৬৮
যেমন একা তুমি সৰ্ব্বভূতের কীর্তি, সংযতচিত্ত ব্যক্তিদিগের লজ্জা এবং বিষ্ণুর প্রেয়সী; (এইরূপ নানা মূর্তি ধরিয়া রহিয়াছ) সেইরূপ আর এক মূর্তি ধরিয়া ঈশ্বরকেও মোহিত কর। ৬৯,
মার্কণ্ডেয় বলিলেন,–অনন্তর যোগময়ী কালী ব্ৰহ্মাকে সম্বোধন করিয়া যাহা বলিয়াছিলেন, হে মহাভাগ দ্বিজশ্রেষ্ঠগণ! তাহা শ্রবণ করুন। ৭০
পঞ্চম অধ্যায় সমাপ্ত। ৫