চতুর্থ অনুবাক
প্রথম সূক্ত : বৃষরোগশমনম
[ঋষি : বিশ্বামিত্র। দেবতা : একবৃষ। ছন্দ : উষ্ণীক, অনুষ্টুপ, গায়ত্রী ]
যদ্যেকবৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥১॥ যদি দ্বিবৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥ ২॥ যদি ত্রিবৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥ ৩৷৷ যদি চতুৰ্বমোহসি সৃজারসোহসি ॥ ৪৷৷ যদি পঞ্চবৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥ ৫৷৷ যদি ষড়বৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥ ৬৷৷ যদি সপ্তবৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥৭॥ যদ্যষ্টব্যােহসি সৃজারসোহসি ॥ ৮যদি নববৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥৯॥ যদি দশবৃষোহসি সৃজারসোহসি ॥ ১০ যদ্যেকাদশোহসি সোপোদকোহসি। ১১।
সূক্তসার –লবণ এক, দুই, তিন, চার, পাঁচ, ছয়, সাত, আট, নয়, দশ বা একাদশ সংখ্যক ॥ বৃষভের সমান শক্তিশালী হলেও তার দ্বারা গাভীবর্গের সন্তান উৎপাদন-জনক সামর্থ্য থাকে না; সে বরং তা কতটা প্রভাবহীন, তা বোধগম্য হওয়া যায়। (মনুষ্যের দশটি ইন্দ্রিয় থাকে, যার প্রতিটিই যথেষ্ট শক্তি বা সামর্থ্য রেখে থাকে। দেহস্থ আত্মাকে সেগুলির দ্বারাই কল্যাণ-সাধনায় নিয়োজিত করা প্রয়োজন) ॥ ১-১১
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— যদ্যেকবৃষোসি ইতি সূক্তস্য পূর্বসূক্তেন সহ উক্তো বিনিয়োগঃ। .. ইত্যাদি। (৫কা. ৪অ. ১সূ)।
টীকা –এই সূক্তটি পূর্ব সূক্তের সাথে বিনিযুক্ত হয়। .ইত্যাদি। (৫কা. ৪অ. ১সূ)।
.
দ্বিতীয় সূক্ত : ব্ৰহ্মজায়া
[ঋষি : ময়োভূ। দেবতা : ব্রহ্মজায়া। ছন্দ : ত্রিষ্টুপ, অনুষ্টুপ।]
তেহবদন প্রথমা ব্ৰহ্মকিন্দ্বিষেহকুপারঃ সলিলো মাতরিশ্বা। বীহরাস্তপ উগ্রং ময়োভূরাপো দেবীঃ প্রথমজা ঋতস্য ॥১॥ সোমো রাজা প্রথমো ব্রহ্মজায়াং পুনঃ প্রায়চ্ছদহৃণীয়মানঃ। অম্বর্তিতা বরুণো মিত্র আসীদগ্নিহোতা হস্তগৃহ্যাঁ নিনায় ॥২॥ হস্তেনৈব গ্রাহ্য আধিরস্যা ব্রহ্মজায়েতি চেদবোচৎ। ন দূতায় প্রহেয়া তস্য এষা তথা রাষ্ট্রং গুপিং ক্ষত্রিয়স্য ॥ ৩৷৷ যামাহুস্তারকৈ বিকেশীতি দুচ্ছুনাং গ্রামমবপদ্যমান। সা ব্ৰহ্মজায়া বি দুনোতি রাষ্ট্রং যত্র প্রাপাদি শশ উষীমান্ ॥ ৪৷৷ ব্রহ্মচারী চরতি বেবিষদ বিষঃ স দেবানাং ভবত্যেকমঙ্গ৷ তেন জায়ামম্ববিন্দ বৃহস্পতিঃ সোমেন নীতাং জুং ন দেবাঃ ॥ ৫দেবা বাঃ এতস্যামবদন্ত পূর্বে সপ্তঋষয়স্তপসা যে নিষেদুঃ। ভীমা জায়া ব্রাহ্মণস্যাপনীতা দুর্ধাং দধাতি পরমে ব্যোমন্ ॥ ৬৷৷ যে গর্ভা অপদ্যন্তে জগদ যচ্চাপলুপ্যতে। বীরা যে তৃহ্যন্তে মিথো ব্রহ্মজায়া হিনস্তি তা ॥৭॥ উত যৎ পতয়ো দশ স্ক্রিয়াঃ পূর্বে অব্রাহ্মণাঃ। ব্রহ্মা চেদ্ধস্তমগ্রহীৎ স এব পতিরেকধা ॥ ৮৷৷ ব্রাহ্মণ এব পতির্ন রাজন্যো ন বৈশ্যঃ। তৎ সূর্যঃ প্রবন্নেতি পঞ্চভ্যো মানবেভ্যঃ ॥ ৯৷ পুনর্বৈ দেবা অদঃ পুনৰ্মনুষ্যা অদদুঃ। রাজানঃ সত্যং গৃহানা ব্রহ্মজায়াং পুনর্দদুঃ ॥ ১০ পুনর্দায় ব্রহ্মজায়াং কৃত্বা দেবৈর্নিকিন্বষ। ঊর্জং পৃথিব্যা ভক্তোরুগায়মুপাসতে ॥ ১১ ৷৷ নাস্য জায়া শতবাহী কল্যাণী তল্পমা শয়ে। যস্মিন্ রাষ্ট্রে নিরুধ্যতে ব্রহ্মর্জায়াচিত্ত্যা ॥ ১২। ন বিকর্ণঃ পৃথুশিরাস্তস্মিন্ বেশনি জায়তে। যস্মিন্ রাষ্ট্রে নিরুধ্যতে ব্রহ্মজায়াচিত্ত্যা ॥ ১৩ নাস্য ক্ষত্তা নিষ্কগ্রীবঃ সূনানামেত্যগ্রতঃ। যস্মিন রাষ্ট্রে নিরুধ্যতে ব্রহ্মজায়াচিত্ত্যা। ১৪। নাস্য শ্বেতঃ কৃষ্ণকর্ণো ধুরি যুক্তো মহীয়তে। যস্মিন রাষ্ট্রে নিরুধ্যতে ব্রহ্মজায়াচিত্ত্যা ॥ ১৫৷৷ নাস্য ক্ষেত্রে পুষ্করিণী নান্ডীকং জায়তে বিস। যস্মিন্ রাষ্ট্রে নিরুধ্যতে ব্রহ্মজায়াচিত্তা। ১৬। নাস্মৈ পৃশ্নিং বি দুহন্তি যেহস্যা দোহমুপাসতে। যস্মিন্ রাষ্ট্রে নিরুধ্যতে ব্রহ্মজায়াচিত্ত্যা ॥ ১৭৷ নাস্য ধেনুঃ কল্যাণী নানড়ান্তসহতে ধুর। বিজানিৰ্ষত্র ব্রাহ্মণণা রাত্রিং বসতি পাপয়া। ১৮।
সূক্তসার— ব্রহ্ম ও ব্রাহ্মণ একই। সূর্য, বরুণ, বায়ু, চন্দ্র-আপোদেবী এই দেবতাগণ ব্রহ্মার পূর্বে উৎপন্ন হয়ে ব্রাহ্মণের অপরাধ-করণের বিষয় বলেছিলেন। প্রথমে সোম ব্রহ্মকে উৎপন্ন করণশালিনী গাভী দান করেছিলেন; সেইকালে বরুণ ও সূর্য তার সহগামী এবং অগ্নি ছিলেন হোতা। আমরাই ব্রহ্মের উৎপাদনকারী–তারা এমন সঙ্কল্পই গ্রহণ করেছিলেন। ফলে ক্ষত্রিয়ের রাজ্য রক্ষিত হয়। ব্রহ্মচারী দেববর্গের অঙ্গস্বরূপ। দেবতাগণ যেমন সোমের চমস প্রাপ্ত হয়েছিলেন, তেমনই ব্রহ্মচারীদের দ্বারাই বৃহংস্পতি তার জায়াকে অর্থাৎ ব্রহ্মজায়াকে লাভ করেন। স্বর্গস্থিত সপ্তর্ষি ও দেবগণ ব্রহ্মজায়ার চর্চা করলেন। সংসারে তখন বিপর্যয় ইত্যাদি দেখা দিলো–এ সবই ব্রহ্মজায়ার কীর্তি। ব্রহ্মজায়ার অব্রাহ্মণ পালিকাদের মধ্যে ব্রাহ্মণগণ প্রায় সকলেরই পাণিগ্রহণ করেন। এই গাভীর পতিও ব্রাহ্মণ-ক্ষত্রিয় ও বৈশ্য নয়। রাজা, মনুষ্য ও দেবতাগণ সত্যকে স্বীকার করেই গো-কে বারংবার ব্রাহ্মণদের প্রদান করেন। দেবতাগণ ব্রহ্মজায়াকে পবিত্র অন্ন প্রদানের জন্য পরমাত্মার উপাসনা করতে লাগলেন। ব্রাহ্মণের স্ত্রী ও গাভীগণ প্রতিবন্ধকতা পেলে রাজ্যবাসিনী কল্যাণকারিনী রমণীগণ সুখী হন না, পুরুষগণ হীনতা প্রাপ্ত হয়, ইত্যাদি। গাভীগণও অনাদৃত হলে রাজ্যব্যাপী দুগ্ধাভাব ঘটে, ইত্যাদি। স্ত্রীরহিত হয়ে ব্রাহ্মণ অন্যত্র রাত্রিবাস করলে, সেখানে গাভীগণও কল্যাণকারিণী হয় না, বৃষভও ভার বহনে পরাঙুখ হয়, ইত্যাদি। (এই সূক্তটিতে স্ত্রীর চরিত্র ও পবিত্রতা রক্ষার মহত্ব বলা হয়েছে। কারণ যেখানে পুরুষগণ নারীবর্গের চরিত্র রক্ষায় তৎপর হয়, সেই দেশ ও জাতির উন্নতি হয়ে থাকে; আর যেখানে বিপরীত আচরণ করা হয়, সেখানকার সমাজ পতনের মুখে অগ্রসর হতে থাকে)। ১-১৮
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –গোহরণেভিচারকর্মণি তেবদন ইতি সূক্তেন নেতৃণাং পদং বৃশ্চতি। তথা অনেন সূক্তেন চৌরান্ অহ। তদ্ উক্তং কৌশিকেন।..ইত্যাদি। (৫কা. ৪অ. ২সূ)৷৷
টীকা— এই সূক্তটি গোহরণের অভিচারকর্মে বিনিযুক্ত হয়ে থাকে….ইত্যাদি। (৫কা, ৪অ. ২সূ)।
.
তৃতীয় সূক্ত : ব্রহ্মগবী
[ঋষি : ময়োভূ। দেবতা : ব্রহ্মগবী। ছন্দ : অনুষ্টুপ, ত্রিষ্টুপ ]
নৈতাং তে দেবা অদদুস্তুভ্যং নৃপতে অত্তবে। মা ব্রাহ্মণস্য রাজন্য গাং জিঘৎসো অনাদ্যাম্ ॥ ১৷৷ অক্ষগ্ধো রাজন্যঃ পাপ আত্মপরাজিতঃ। স ব্রাহ্মণস্য গামদ্যাদদ্য জীবানি মা শ্বঃ ॥ ২॥ আবিষ্টিতাঘবিষা পৃদাকূরিব চর্মণা। সা ব্রাহ্মণস্য রাজন্য তৃষ্টষা গৌরনদ্যা ॥ ৩॥ নির্বৈ ক্ষত্ৰং নয়তি হন্তি বর্চোহগিরিবারক্কো বি দুনোতি সর্বম। যো ব্রাহ্মণং মন্যতে অনুমেব স বিষস্য পিবতি তৈমাতস্য। ৪। য এনং হন্তি মৃদুং মন্যমাননা দেবপীযুর্ধনকামো ন চিত্তা। সং স্যেন্দ্রো হৃদয়েহগ্নিমিন্ধ উভে এনং দিষ্টো নভসী চরন্তম্ ॥৫॥ ন ব্রাহ্মণণা হিংসিতব্যোহগ্নিঃ প্ৰিয়তনোরিব। সোমো হাস্য দায়াদ ইন্দ্রো অস্যাভিশস্তিপাঃ ॥ ৬। শপাষ্ঠাং নি গিরতি তাং ন শক্লোতি নিঃখিদন। অন্নং যো ব্ৰহ্মণাং মন্ত্ৰঃ স্বাদ্বগ্নীতি মন্যতে ॥ ৭ জিহ্বা জ্যা ভবতি কুল্মলং বাঙনাডীকা দন্তাস্তপসাভিদিগ্ধাঃ। তেভিব্রহ্মা বিষ্যতি দেবপীযূ হৃদ্বলৈধনুর্ভিৰ্দেবজুতৈঃ ॥৮॥ তীক্ষ্মেষবো ব্রাহ্মণা হেতিমন্তো যামস্যন্তি শরব্যাং ন সা মৃষা। অনুহায় তপসা মোনা চোত দূরাদব ভিন্ত্যেনম্ ॥ ৯৷৷ যে সহস্রমরাজন্নাস দশশ উত। তে ব্রাহ্মণস্য গাং জব্বা বৈতহব্যাঃ পরাভব। ১০ গৌরেব তান্ হন্যমানা বৈতহব্যাঁ অবাতিরৎ। যে কেসরপ্রাবন্ধায়াশ্চরমাজামপেচিরন্ ॥ ১১। একশতং তা জনতা যা ভূমিধূনুত। প্রজাং হিংসিত্বা ব্রাহ্মণীমসম্ভব্যং পরাভব ৷ ১২৷.. দেবপীযুশ্চরতি মৰ্ত্তেষু গরগীর্ণো ভবত্যস্থিভূয়া। যো ব্রাহ্মণং দেববন্ধুং হিনস্তি ন স পিতৃযাণমপ্যেতি লোকম্ ॥ ১৩৷৷ অগ্নির্বৈ নঃ পদবায়ঃ সোমো দায়াদ উচ্যতে। হন্তাভিশস্তেন্দ্ৰস্তথা তদ বেধমো বিদুঃ ॥ ১৪। ইষুরিব দিগ্ধা নৃপতে পৃদাকূরিব গোপতে। সা ব্রাহ্মণস্যেমুর্ঘোরা তয়া বিধ্যতি পীয়তঃ ॥ ১৫
সূক্তসার –গো-কে দেবতাগণ ভক্ষণের নিমিত্ত প্রদান করেননি। (এখানে গো-এর অর্থে বাণী অথবা ভূমিও ধরা হয়)! আত্ম-পরাজিত, ইন্দ্রিয়দ্রোহী রাজা ব্রাহ্মণের গো-ভক্ষণ করলে পাপী হয়। ব্রাহ্মণের পদার্থকে নিজের ভক্ষ্য মনে করলে তা বিষপান-তুল্য হয়। ব্রাহ্মণকে মৃদু মনে করে অজ্ঞানী ব্রাহ্মণের ক্ষতিকারী ব্যক্তি দেব-হিংসক, রূপে প্রতিভাত হয়। নিজের বিনাশ ইচ্ছা না করলে অগ্নিরূপ ব্রাহ্মণের ক্ষতি করা উচিত নয়। সোম ব্রাহ্মণের পুত্র; ইন্দ্র ব্রহ্মশাপকে পূর্ণ করেন। ব্রাহ্মণের তপোময় দন্ত বাণের ন্যায় তীক্ষ্ণ। ব্রাহ্মণ আপন তপস্যা ও ক্রোধের তীক্ষ্ণ বাণ নিক্ষেপে দেব-হিংসকগণকে বিদ্ধ করে থাকেন। ব্রাহ্মণের গো ইত্যাদি অপহরণের অপরাধে বীতহব্য বংশজ সহস্র রাজা ভ্রষ্ট হয়ে গিয়েছেন। ব্রাহ্মণ-হিংসক বহু জন বিষের দ্বারা জীর্ণ হয়েছে। দেব-বন্ধু ব্রাহ্মণের বিনাশক ব্যক্তি পিতৃযান পথে গমন করতে সক্ষম হয় না। অগ্নি, সোম, ইন্দ্রদেব–এঁরা ব্রাহ্মণের একান্ত আপন জন–এ কথা জ্ঞানীজন জানেন৷ ১-১৫৷৷
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –গগাহরণমারণবিশসনাধিশ্রয়ণপচনভক্ষণাদিষু ক্রিয়মাণেষু অভিচারকামো ব্রহ্মচারী নৈতাং তে দেবা অতিমাত্রং অবর্ধন্ত ইতি সূক্তদ্বয়ং শ্রমেন তপসা ইত্যনুবাকং চ (১২/৫) শত্রু অম্বাহ। দ্বেষ্যং মনসি কৃত্বা জপতীত্যর্থঃ। ত উক্তং কৌশিকসূত্রে।…ইত্যাদি৷ (৫কা. ৪অ. ৩সূ)।
টীকা –গো-হরণ, মারণ, বিশসন, অধিশ্রয়ণ, পচন-ভক্ষণ প্রভৃতি কর্মে অভিচারকামী ব্রহ্মচারী এই সূক্তটি, এর পরবর্তী সূক্তটি এবং দ্বাদশ কাণ্ডের পঞ্চম অনুবাকের প্রথম সূক্তটির দ্বারা মনে মনে জপ করবেন।…ইত্যাদি৷৷ (৫কা. ৪অ. ৩সূ)।
.
চতুর্থ সূক্ত : ব্ৰহ্মগবী
[ঋষি : ময়োভূ। দেবতা : ব্রহ্মগবী। ছন্দ : অনুষ্টুপ, বৃহতী ]
অতিমাত্রমবর্ধন্ত নোদিব দিবমস্পৃশ। ভৃগু হিংসিত্বা সৃঞ্জয়া বৈতহব্যাঃ পরাভব ॥ ১। বে বৃহৎসামানমাঙ্গিরসমার্পয়ন্ ব্রাহ্মণং জনাঃ। পেত্বস্তেষামুভয়াদবিস্তোকান্যাবয়ৎ ॥ ২॥ যে ব্রাহ্মণং প্রত্যষ্ঠীব যে বাম্মিছুল্কমীষিরে। অস্তে মধ্যে কুল্যায়াঃ কেশান খাদস্ত আসতে ॥ ৩॥ ব্ৰহ্মগবী পচ্যমান যাবৎ সাভি বিজঙ্গহে। তেজো রাষ্ট্রস্য নিহন্তি ন বীরো জায়তে বৃষা। ৪ ক্রমস্যাঃ আশসনং তৃষ্টং পিশিতমস্যতে। ক্ষীরং যদস্যাঃ পীয়তে তদ বৈ পিতৃষ্ণু কিন্বিষম ॥ ৫৷৷ উগ্রো রাজা মন্যমাননা ব্রাহ্মণং যো জিঘসতি। পরা তৎ সিচ্যতে রাষ্ট্রং ব্রাহ্মণো যত্ৰ জীয়তে। ৬ অষ্টপদী চতুরক্ষী চতুঃশ্রোত্রা চতুৰ্হঃ। দ্ব্যাসা দ্বিজিহ্বা ভূত্বা সা রাষ্ট্রমব ধুনুতে ব্রহ্মজ্যস্য ॥ ৭৷ তদ বৈ রাষ্ট্রমা সুবতি নাবং ভিন্নামিবোদকম। ব্ৰহ্মাণং যত্র হিংসন্তি তদ রাষ্ট্রং হন্তি দুঞ্ছনা ॥ ৮ তং বৃক্ষা অপ সেধন্তি ছায়াং নো মোপগা ইতি। যো ব্রাহ্মণস্য সদ্ধনমভি নারদ মন্যতে ॥ ৯৷ বিষমেদ দেবকৃতং রাজা বরুণোহব্রবীৎ। ন ব্রাহ্মণস্য গাং জঙ্খা রাষ্ট্রে জাগার কশ্চন ॥ ১০৷ নবৈব তা নবতয়ো যা ভূমিবধূনুত। প্রজাং হিংসিত্বা ব্রাহ্মণীমসম্ভব্যং পরাভব। ১১। যাং মৃতায়ানুবন্তি কূদ্যং পদয়োপনী। তদ বৈ ব্রহ্মজ্য তে দেবা উপস্তরণমব্রুন্ ॥ ১২ অণি কৃপমাণস্য যানি জীতস্য বাবৃতুঃ। তং বৈ ব্রহ্মজ্য তে দেবা অপাং ভাগমধারয় ॥ ১৩৷৷ যেন মৃতং পয়ন্তি শ্মশ্রুণি যেনোন্দতে। তং বৈ ব্রহ্মজ্য তে দেবা অপাং ভাগমধারয়। ১৪৷৷ ন বর্ষং মৈত্রাবরুণং ব্রহ্মজ্যমভি বৰ্ষতি। নাম্মৈ সমিতিঃ কল্পতে ন মিত্রং নয়তে বশম্ ॥ ১৫৷৷
সূক্তসার –বুদ্ধিশীল হয়েও সৃঞ্জয় ব্রাহ্মণ ভৃগুবংশীয়গণের প্রতি হিংসান্বিত হওয়ায় স্বর্গলাভ হতে বঞ্চিত হয়েছিলেন। বৃহৎসাম-শালী অঙ্গিরাগণের প্রতি আপত্তিকারক মনুষ্যদের সন্তানগণকে দেবগণ বিদূরিত করে দিয়েছিলেন। যারা ব্রাহ্মণের নিকট হতে কর আদায় করে, এবং তাদের উপর থুৎকার করে, তারা রক্তময় নদীর মধ্যস্থ বালুকার খাতে পড়ে থাকে। যে রাষ্ট্রে ব্রাহ্মণের গো-সমূহ ছটফট করে, সেই রাষ্ট্রের তেজ তাতেই নাশপ্রাপ্ত হয়। সেখানে বীর্যশালী বীর উৎপন্ন হয় না। গো-কে কর্তন ক্রুর কর্ম; এর মাংস মরণোত্তর তৃষ্ণার উৎপাদক। যে রাজা ব্রাহ্মণকে নষ্ট করে, যেখানে ব্রাহ্মণ দুঃখী হয়ে থাকে, সেই রাজা বিনাশপ্রাপ্তই হয়ে যায়। ব্রাহ্মণের উপর আরোপিত বিপত্তি রাজ্যকে বিনাশ করে। (হে নারদ!) যে জন ব্রাহ্মণের ধনকে নিজের মনে করে, বৃক্ষও তাকে আপন ছায়া দানে বিরত থাকে। বরুণ বলেছেন–ব্রাহ্মণের সম্পদ ছিনিয়ে নেওয়া বিষপানের তুল্য। অগণিত শক্তিশালী বীর, যাদের ভয়ে পৃথিবী কম্পিত হতো, ব্রাহ্মণ সন্তানদের বিনাশ করার ফলে সকলেই পাপের দ্বারা পরাস্ত হয়েছিল। কৃপাপাত্ররূপে ব্রাহ্মণের অশ্রুরূপ যে জল, সেই জল দেবতাগণ ব্রাহ্মণবিদ্বেষীদের জন্য নিশ্চিত করে রক্ষা করে থাকেন। ব্রাহ্মণকে দুঃখদানকারী রাজ্যের দিকে সূর্য ও বরুণ বর্ষা দান করেন না। সেই রাজা সভায় সামর্থ্যহীন হয়ে ই থাকে; তার সৈন্যগণ মিত্রদেরও বশে রাখতে অক্ষম হয় ॥ ১-১৫৷৷
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –অতিমাত্রং অবর্ধন্ত ইতি সূক্তস্য পূর্বসূক্তেন সহ উক্ত বিনিয়োগঃ। (৫কা. ৪অ. ৪সূ)।
টীকা –এই সূক্তটির বিনিয়োগ পূর্ববর্তী সূক্তের সাথে উক্ত হয়েছে ॥ (৫কা. ৪অ. ৪সূ)।
.
পঞ্চম সূক্ত : শত্রুসেনাত্ৰাসনম
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : বানস্পত্যো দুন্দুভি। ছন্দ : জগতী, ত্রিষ্টুপ]
উচ্চৈঘোষো দুন্দুভিঃ সত্বনায় বাম্পত্যঃ সস্তৃত উস্রিয়াভিঃ। বাচং ক্ষুণুবানো দময়ন্তসপত্নান্তসিংহ ইব জেষ্যন্নভি তুংস্তনীহি ॥১॥ সিংহ ইবাস্তানী বয়ো বিবদ্ধোহভিক্ৰন্দনৃষভো বাসিতামিব। বৃষা ত্বং বয়স্তে সপত্না ঐন্দ্ৰস্তে শুষ্মে অভিমাতিষাহঃ ॥ ২॥ বৃষেব যুথে সহসা বিদানো গব্যন্নভি রুব সংধনাজিৎ। শুচা বিধ্য হৃদয়ং পরেষাং হিত্বা গ্রামান্ প্রচ্যুতা যন্তু শত্ৰবঃ ॥ ৩॥ সংজয়ন্ পৃতনা ঊর্ধ্বমায়ুৰ্গহা গৃহ্নানো বহুধা বি চক্ষ। দৈবীং বাচং দুন্দুভ আ গুরষ বেধাঃ শক্ৰণামুপ ভরস্ব বেদঃ ॥৪॥ দুন্দুভোচং প্রযতাং বদন্তীমান্বতী নাথিতা ঘোষবৃদ্ধা। নারী পুত্রং ধাতু হস্তগৃহ্যামিত্রী ভীতা সমরে বধানাম ॥ ৫॥ পূবো দুন্দুভে প্র বদাসি বাচং ভূম্যাঃ পৃষ্ঠে বদ রোমানঃ। আমিত্রসেনামভিজঞ্জভানো দ্যুমদ বদ দুন্দুভে সূতাবৎ ॥ ৬৷ অন্তরেমে নভসী ঘোযো অস্তু পৃথক তে ধ্বনয়ে যন্তু শীভ। অভি ক্ৰন্দ স্তনয়োৎপিপানঃ শ্লোকন্মিত্ৰতূর্যায় স্বর্ধী ॥ ৭৷ ধীভিঃ কৃতঃ প্র বদাতি বাচমুদ্ধষয় সত্বনামায়ুধানি। ইন্দ্ৰমেদ সত্বনো নি হ্ৰয়স্ব মিত্ৰৈরমিত্র অব জঙ্নীহি ॥৮॥ সংক্রন্দনঃ প্রবদো ধৃষ্ণুষেণঃ প্রবেদকৃ বহুধা গ্রামঘোষী। শ্রেয়ো বানো বয়ুনানি বিদ্বান্ কীর্তিং বহুভ্যো বি হর দ্বিরাজে ॥ ৯৷৷ শ্রেয়ঃকেতো বসুজিৎ সহীয়ান্তসংগ্রামজিৎ সংশিত ব্ৰহ্মণাসি। অংশূনিব গ্রাবাধিষবণে অদ্রির্গবন্ দুন্দুভেইধি নৃত্য বেদঃ ॥ ১০। শত্রুষানীষাড়ভিমাতিহো গবেষণঃ সহমান উদ্ভিৎ। বাথীব মন্ত্রং প্র ভরস্ব বাচং সাংগ্রামজিত্যায়েষমুদ বদেহ। ১১। অচ্যুতচ্যুৎ সমদো গমিষ্ঠো মৃধো জেতা পুরতাযোধ্যঃ। ইন্দ্রেণ গুপ্তা বিদথা নিচিক্যচূদ্দ্যোতনো দ্বিষতাং যাহি শীভম্ ॥ ১২।
সূক্তসার— দুন্দুভি (বৃহৎ ঢাক) বনস্পতির দ্বারা নির্মিত এবং উচ্চ স্বরসম্পন্না। সে উচ্চ নির্ঘোষে শত্রুদের মর্দন করে এবং সিংহের ন্যায় গর্জন করে। দুন্দুভি বৃক্ষের ন্যায় আয়ুশালিনী। দুন্দুভি বীর্যবর্ধক, তার শত্রু নিবীর্য হয়ে থাকে। ইন্দ্রের তুল্য বলশালিনী। দুন্দুভি শত্রু-হৃদয়কে সন্তাপিত করে এবং সেনাগণকে গ্রহণ করে অনেক প্রকার শব্দ করে; সে দিব্যবাণী উচ্চারিত করে থাকে। দুন্দুভির গর্জনে সচেতন হয়ে শত্রুগণের স্ত্রী যুদ্ধস্থলে আগতা হয়ে হত্যারাশি দর্শন করে ভীতস্তা হয়ে পুত্রের হস্ত ধারণ করে যাচনাপূর্বক পলায়িতা হয়ে যায়। দুন্দুভির ধ্বনি প্রথমেই উৎসারিত হওয়ায় শত্রুগণের সেনাকে প্রথমেই বিনষ্ট করে থাকে। দুন্দুভি পৃথিবীতে আপন সত্যবাক্যের প্রসার করে। দুন্দুভির ধ্বনি দ্যাবাপৃথিবীর মধ্যে অনেক রূপে প্রসারিত হয়। বুদ্ধিপূর্বক রচিতা দুন্দুভি সুন্দর শব্দ উৎসারিত করে। দুন্দুভি স্বপক্ষীয় বীরবর্গকে আহ্বান করে মিত্রবর্গের দ্বারা শত্রুগণকে সংহার করায়। দুন্দুভি ধনদাত্রী এবং সেনাগণকে সাহস-প্রদায়িনী। দুন্দুভি কল্যাণ-শালিনী, মন্ত্রের দ্বারা তীক্ষ্ণীকৃতা এবং বলবতী। দুন্দুভি শত্রুবর্গের ধনের উপর অধিকারশালিনী। দুন্দুভি হর্ষে পরিপূর্ণ হয়েও স্থানচ্যুত হয় না। দুন্দুভি ইন্দ্রের দ্বারা রচিতা, অতএব সে শত্রুগণের হৃদয়কে প্রজ্বালিত করে তাদের প্রাপ্ত হয় (বা জয় করে) ॥ ১-১২৷৷
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ –উচ্চৈর্ঘোষো ইতি সূক্তেন ত্ৰাসনপরসেনাবিদ্বেষকর্মণি ভের্যাদিবাদিত্রাণি প্রক্ষাল্য তগরোশীরেণ লেপয়িত্ব সম্পাত্য ত্রিস্তাড়য়িত্বা বাদকায়া পুরোধাঃ প্রযচ্ছে। সূত্রিতং হি।…তথা মহাব্রতে অনেন সূক্তেন ভূমিদুন্দুভিং তাড়য়েৎ।…ইত্যাদি। (৫কা. ৪অ. ৫সূ)।
টীকা –এই সূক্তটির দ্বারা ত্রাসন ও পরসেনা-বিদ্বেষণ কর্মে ভেরী ইত্যাদি বাদ্য প্রক্ষালন পূর্বক তগর উশীরের দ্বারা লেপন করে পুরোহিত তিন বার বাদন করে বাদককে প্রদান করবেন। তথা, মহাব্রতে এই সূক্তের দ্বারা ভূমিদুন্দুভির তাড়না করণীয়।…ইত্যাদি ॥ (৫কা. ৪অ. ৫সূ)।
.
ষষ্ঠ সূক্ত : শত্রুসেনাত্ৰাসনম
[ঋষি : ব্রহ্মা। দেবতা : বানস্পত্যো দুন্দুভি। ছন্দ : পংক্তি, অনুষ্টুপ প্রভৃতি ]
বিহৃদয়ং বৈমনস্যং বদামিত্রেযু দুন্দুভে। বিদ্বেষং কশ্মশং ভয়মমিত্ৰেযু নি দস্যবৈনা দুন্দুভে জহি ॥১॥ উদ্বেপমানা মনসা চক্ষু হৃদয়েন চ। ধাবন্তু বিভ্যতোহমিত্রাঃ প্রত্ৰাসেনাজ্যে হুতে ॥ ২॥ বানম্পত্যঃ সংভৃত উস্রিয়াভির্বিশ্বগোত্রঃ। প্রত্রাসমমিত্ৰেভ্যো বদাজ্যেনাভিঘারিতঃ ॥ ৩৷৷ যথা মৃগাঃ সংবিজন্ত আরণ্যাঃ পুরুষাদধি। এবা ত্বং দুন্দুভেইমিত্রানভি ক্ৰন্দ প্ৰ ত্ৰাসয়াথে চিত্তানি মোহয় ॥৪৷৷ যথা বৃকাদজাবয়ো ধাবন্তি বহু বিভ্যতীঃ।। এবা ত্বং দুন্দুভে ইমিত্রানভি ক্ৰন্দ প্র ত্রাসয়াহো চিত্তানি মোহয় ॥৫৷৷ যথা শ্যেনাৎ পতত্ৰিণঃ সংবিজন্তে অহর্দিবি সিংহস্য স্তনথোর্যর্থ। এবা ত্বং দুন্দুভেইমিত্রানভি ক্ৰন্দ প্ৰ ত্ৰাসয়াঘো চিত্তানি মোহয় ॥ ৬৷ পরামিত্রা দুন্দুভিনা হরিণস্যাজিনেন চ। সর্বে দেবা অতিত্রসন যে সংগ্রামস্যেশতে ॥৭॥ যৈরিন্দ্রঃ প্রক্রীড়তে পদ্বাষৈচ্ছায়য়া সহ। তৈরমিত্ৰাস্ত্রসন্তু নোহমী যে যন্ত্যনীকশঃ ॥ ৮ ৷৷ জ্যাঘোষা দুন্দুভয়োহভি ক্রোশন্তু যা দিশঃ। সেনাঃ পরাজিতা যতীরমিত্রাণমনীশঃ ॥ ৯৷ আদিত্য চক্ষুরা দস্তু মরীচয়োহনু ধাবত। পৎসঙ্গিনীরা সজন্তু বিগতি বাহুবীর্ষে ॥ ১০। ঘূয়মুগ্রা মরুতঃ পৃশ্নিমাতর ইন্দ্রেণ যুজা প্ৰ মৃণীত শক্র। সোমো রাজা বরুণো রাজা মহাদেব উত মৃত্যুরিন্দ্রঃ ॥ ১১। এতা দেবসেনাঃ সূর্যকেতবঃ সচেতসঃ। অমিত্রা নো জয়ন্তু স্বাহা ॥১২.
সূক্তসার –দুন্দুভি শত্রুদের মধ্যে পরস্পর বিদ্বেষের প্রসার ঘটাক। আমরা আমাদের প্রতি বৈরভাবাপন্নদের যেন তিরস্কার করতে পারি। আমাদের শত্রু ঘৃতাহুতির দ্বারা কম্পিত হোক। দুন্দুভি বনস্পতির দ্বারা নির্মিত এবং চর্মমণ্ডিত। দুন্দুভি মেঘের মতো শব্দ করে থাকে। দুন্দুভি ঘৃতের দ্বারা অভিধারিত এবং তার ধ্বনি শত্রুর ত্ৰাসজনক। শিকারীর দ্বারা বন-মৃগের ভয়ভীত হওয়ার সমান দুন্দুভি গর্জন করে শত্রুদের মনকে মোহিত করে দিক। যেমন মেষ (ভেড়া) অজ (ছাগল) ইত্যাদি পশু নেকড়ে বাঘের ভয়ে পালিয়ে যায়, দুন্দুভির শব্দে ভীত হয়ে শত্রুগণ সেইভাবেই পলায়ন করুক। বাজ হতে পক্ষীগণ ও সিংহ হতে অপর প্রাণীগণ যেমন ভয়ভীত হয়ে থাকে, দুন্দুভি শত্রুর অভিমুখে গর্জন করে সেইভাবেই ত্রাসিত করুক। যুদ্ধের অধিপতি দেবতা হরিণ চর্মে আবৃত। দুন্দুভির শব্দে শত্রুগণকে ভয়ভীত করে দিয়েছিলেন। শত্রুসেনাদল পরাজিত হয়ে যেদিকে অবস্থান। করছে, সেই দি অভিমুখে আমাদের দুন্দুভি গর্জন করতে থাকুক। সূর্য আমাদের শত্রুদের দৃষ্টিশক্তি গ্রহণ করুন এবং কিরণ তাদের পশ্চাতে ধাবিত হতে থাকুক। মরুৎ-দেবগণ উগ্রকর্মা হোন; রাজা সোম, বরুণ, মহাদেব, মৃত্যু ও ইন্দ্রদেব তাঁদের সঙ্গী হয়ে শত্রুদের মর্দন করুন। সমান চিত্তশালী, সূর্যের পতাকা বহনকারী দেবসৈন্যগণ আমাদের শত্রুদের উপর বিজয় প্রাপ্ত হোক। আমাদের এই আহুতি তাদের পক্ষে গ্রহণযোগ্য হোক॥ ১-১২।
সূক্তস্য বিনিয়োগঃ— বিহৃদয়ং ইতি সূক্তেন পরসেনাত্ৰাসনবিদ্বেষণকর্মণি সর্বাদিত্রানি প্রক্ষাল্য তগরোশীরণে লেপয়িত্ব সম্পাতবন্তি ত্রিরাহত্য বাদকায় প্রযচ্ছতি। তথা অনেন সূক্তেন সোমাঙ্কুরমণিং হরিণচর্মর্ণা বেষ্টিতং কৃত্বা সম্পত্য অভিমন্ত্র বাতি। তৎ উক্তং কৌশিকসূত্রে।…ইত্যাদি ॥ (৫কা. ৪অ. ৬সূ)৷
টীকা –এই সূক্তের দ্বারা শত্রুসেনার ত্ৰাসন ও বিদ্বেষণ কর্মে সকল বাদ্যকে (দুন্দুভিকে) প্ৰক্ষালিত করে তগর উশীরের দ্বারা লেপন করে তিনবার বাজিয়ে পুরোহিত বাদককে প্রদান করবেন। তথা, এই সুক্তের দ্বারা সোমাঙ্কুরমণি হরিণচর্মে বেষ্টিত করে অভিমন্ত্রিত পূর্বক বন্ধন করণীয়..ইত্যাদি। (৫কা. ৪অ. ৬সূ)।