কেশবায় নমো নমঃ : পুরাণ পুরুষোত্তম : চতুর্ভূজ গরুড় বাহন।
বরণ জলদঘটা : হৃদয়ে কৌস্তুভচ্ছটা : বনমালা নানা আভরণ।।
কৃপা কর কমললোচন।
জগন্নাথ মুরহর : পদ্মনাভ গদাধর : মুকুন্দ মাধব নারায়ণ।
রামকৃষ্ণ জনার্দ্দন : লক্ষ্মীকান্ত সনাতন : হৃষীকেশ বৈকুণ্ঠ বামন।
শ্রীনিবাস দামোদর : জগদীশ যজ্ঞেশ্বর : বাসুদেব শ্রীবৎসলাঞ্ছন।।
শঙ্খ চক্র গদাম্বুজ : সুশোভিত চারিভূজ : মনোহর মুকুট মাথায়।
কিবা মনোহর পদ : নিরুপম কোকনদ : রতননূপুর বাজে পায়।।
পরিধান পীতাম্বর : অধর বান্ধুলীবর : মুখসুধাকরে সুধাহাস।
সঙ্গে লক্ষ্মী সরস্বতী : নাভিপদ্মে প্রজাপতি : রূপে দশদিক পরকাশ।।
ইন্দ্র আদি দেব সব : চারিদিকে করে স্তব : সনকাদি যত ঋষিগণ।
নারদ বীণার তানে : মোহিত যে গুণগানে : পঞ্চমুখে গান পঞ্চানন।।
কদম্বের কুঞ্জবনে : বিরহ সানন্দ মনে : শীতল সুগন্ধ মন্দ বায়।
ছয় ঋতু সহচর : বসন্ত কুসুমশর : নিরবধি সেবে রাঙ্গা পায়।।
ভৃঙ্গের হুঙ্কার রব : কুহরে কোকিল সব : পূর্ণচন্দ্র শরত যামিনী।
বীণা বাঁশী আদি যন্ত্রে : গান করে কাম তন্ত্রে : ছয় রাগ ছত্রিশ রাগিনী।।
ঊর প্রভু শ্রীনিবাস : নায়কের পূর আশ : নিবেদিনু বন্দনা বিশেষে।
ভারত ও পদ আশে : নূতন মঙ্গল ভাষে : রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের আদেশে।।