প্রাসাদ-কক্ষে হারুনর রশীদ পায়চারী-রত। মুখে আবেগ-চাঞ্চল্যের ছাপ। বারান্দায় পদধ্বনির শব্দে উৎকর্ণ বগ্দাদ-অধিপতি হেঁকে উঠলেন, “কে?”
জবাব আসে “জাঁহাপনা, বান্দা-নেওয়াজ, আমি মশ্রুর।”
হারুন : এসো, এসো মশ্রুর। আজ আমি বড় একা। হ্যাঁ, একা।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, আর্মেনিয়া থেকে একশ’ মুজ্রানী-নর্তকী আনিয়েছি। ওদের ডাক দেব, হুকুম দিন।
হারুন : বড় একা, মশ্রুর। মুজরানী দিয়ে শুন্যতার সেই বোধ দূর হবে না।
মশ্রুর : হুজুর, আপনার যা খায়েশ, শুধু বলুন। আসসামায়ো তায়াতান। (শ্রবণ অর্থ পালন)। হারুন : না, কিছু না। বড় একা লাগছে। আজ জাফর বামেকী নেই, আব্বাসা নেই।
মশ্রুর : জনাবে আ’লা, সেদিনও আপনার ফরমাবরদার গোলাম কোন কিছু অমান্য করে নি।
হারুন : হ্যাঁ, মশ্রুর। তোমার আবলুস কালো দেওয়ের মত কদ, তোমার পাহাড়ের মত বাজু–সব সময় আমার আর তলওয়ারের ইজ্জৎ রক্ষা করে এসেছে। কিন্তু আমার বুকের পাষাণ-ভার নামাতে পারে না? তুমিই একমাত্র পুরাতন বন্ধু রয়ে গেছে। আর সবাই ওপারে।
মশ্রুর : আলম্পানা—আলম্পানা—
হারুন : দহসৎ–ভয় পেয়ো না। আমি এখন আমিরুল মুমেনীন হারুনর রশীদ নই। আমি দরবারে নেই–হারেমে আছি। আমি তোমার বন্ধু, মশ্রুর।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, আপনি যেদিন রাত্রে উজীরে আজম জাফর বার্মেকীর কতল পারোয়ানা লিখলেন, তখন বার বার ফিরে এসেছি তার দরওয়াজা থেকে। আপনার কাছে নাফরমান সাজতে পারব না–আবার ছুটে গিয়েছি। আপনি সবুর করলেন না।
হারুন : মশ্রুর, আজো নিজের বিচার মানুষ নিজে করতে শেখেনি। সে খোদ্কসী (আত্মহত্যা করতে পারে, যেমন সে রোজ গোস্তের জন্য দুম্বা কি গাইকসী করে, কিন্তু নিজের বিচার করে না। সে-কথা আর উত্থাপন করো না কোনদিন।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, গোস্তাখি মাফ করবেন। মা’জী মা’জী–অতীত অতীত। তা আর কবর খুঁড়ে তুলবেন না।
হারুন : মশ্রুর, মানুষের লাশ কি কবরে পড়ে থাকে আর পচে?
মশ্রুর : আলেমরা সেই রায় দেয়।
হারুন : না, না–মশ্রুর। দিওয়ানে এতক্ষণ বসেছিলাম। এখন পায়চারী করছি। কেন জানো? লাশ কবরে শুয়ে থাকে না। লাশ কথা বলে। তার ধাক্কা আরো শক্ত আরো কঠিন। জেন্দা মানুষের কণ্ঠ সেখানে ক্ষীণ ফিসফিসানি, ভাঁড়ার ঘরে নেংটি ইঁদুরের পায়ের আওয়াজ মাত্র। বসে থাকতে পারলাম না।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, মন থেকে সব মুছে ফেলুন।
হারুন : সবে মুছে দিতে পারি। কিন্তু স্মৃতি, মশ্রুর? স্মৃতি লাশ জেন্দা করে তোলে।
মশ্রুর : স্মৃতি সমস্ত কওম-কে জেন্দা করে তুলতে পারে, জনাব। কিন্তু আলম্পানা, সকলের স্মৃতিশক্তি থাকে না। হাবা বোবারা যেমন। তবে অতীতের কথা অনেকে বলে। সে ত এগোতে না পেরে, দুঃসহ বর্তমান থেকে পালানোর কুস্তি-প্যাঁচ মাত্র। ও এক রকমের ভেল্কি, জীবনী-শক্তির লক্ষণ নয়। বলিষ্ঠ মানুষেরই স্মৃতিশক্তির প্রয়োজন হয় সামনে পা ফেলার জন্য।
হারুন : আহ্ মশ্রুর, তুমি ত শুধু জল্লাদ নও, তুমি আলেমুল আলেম। পণ্ডিতের পণ্ডিত। তাই ত আমার বন্ধু। কিন্তু স্মৃতি আমাকে ঘুমাতে দেয় না।
মশ্রুর : চলুন, কিছুদিন বগ্দাদের ঝামেলা ছেড়ে আর কোথাও যাই।
হারুন : কিন্তু আব্বাসা আমার সঙ্গ ছাড়বে? না-না। ঘরের মধ্যে জ্যান্ত, কবরে দাফন হোলো তার। সোজা কথায়, পুঁতে ফেলোম। কতটুকু তার অপরাধ? জাফরের প্রতি মহব্বৎ–কিন্তু আমি কি?
খলিফা হারুনর রশীদ হা-হা-রবে প্রায় উন্মত্তের মত হেসে উঠলেন। পায়চারী করতে লাগলেন। হাব্সী মশ্রুর মাথা-নীচু, তহরীমা বাঁধার ভঙ্গী বুকে দুই হাত, পাথর-মূর্তির মত ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকে। হারুনর রশীদ পায়চারী হঠাৎ থামিয়ে মনোযোগ আকর্ষণের জন্য মশুরুরের বুকে মৃদু তর্জনী আঘাত করলেন। আবার হা-হা হাসি। তারপরই পায়চারীরত অবস্থায় বলে উঠলেন, “কতটুকু তার অপরাধ? জাফরের সঙ্গে কি রকম শাদী দিলাম? ‘আকদ’ হলো অথচ রসুমৎ হবে না কোনদিন। শক্ত শর্ত। কঠিন কারার। মশ্রুর”—
মশ্রুর : আলম্পানা।
হারুন : আব্বাসা বাকী কাজ নিজে তামাম করলে। রসুমৎ-ব্যবস্থার ভার নিজের হাতে নিলে যা বেরাদর নিলেন না। শর্ত ভঙ্গের কঠোর শাস্তিও দিলাম। আব্বাসী কওমের খুন বার্ষেকী কওমের সঙ্গে মিশে নাপাক হবে–না, তা হতে দিতাম না মশ্রুর—
মশ্রুর : আলম্পানা।
হারুন : আব্বাসা আমার সগ্গা সহোদর বোন। হা-হাঃ।
মশ্রুর : জাঁহাপনা–।
হারুনর রশীদ মরুরের মুখোমুখি এসে দাঁড়ালেন, হাব্সী জল্লাদ চক্ষু তোলার সাহস পায় না। পায়চারী-সচল মুহূর্ত পৃথিবীর মতই ঘূর্ণমান। কিন্তু সমান তাল ও রেখায় নয়। আমিরুল মুমেনীন আবার হঠাৎ থেমে মৃদু কণ্ঠে বলেন, “মশ্রুর, আমি স্মৃতি উপড়ে ফেলতে চাই, সমস্ত স্মৃতি।”
মশ্রুর : চলুন, বাগানে যাই। নারঙ্গী বনে ফুল ফুটেছে। কোথাও জাম্বুরায় পাক ধরছে। বাগানে অঝোর গন্ধ। খোশবু মনের বোঝা হাল্কা করে আলম্পানা।
হারুন : তা-ই চলো। হারেমের এই কামরা আমার কাছে দোজখ। স্মৃতির হাবিয়া
নরক আমার খুন শুকিয়ে দিয়েছে। গুম-খুন আমার ঘুম। এখানে আর না। মশ্রুর ঠিকই বলেছিল। ফল আর ফুলের খোশবুর সঙ্গে জুটেছিল ঠাণ্ডা হাওয়ার হাল্কা স্পর্শ। থোকা থোকা অন্ধকার কোথাও জমাট, কোথাও ঈষৎ ফিকে। তাই এখানকার বহুমাত্রিক দুনিয়া বহুমাত্রিক মনের নাগাল পায় বৈকি। পায়ের নিচে ঘাসের কোমলতা অন্যান্য অঙ্গের সান্নিধ্য খোঁজে। মিটিমিটি নক্ষত্র বর্তিকা বাঁদীর কর্তব্য-সমাপনে নেমে আসে।
পায়চারী করতে করতে খলিফা বলেন, “মশ্রুর, তোমার কথামত ঠিক জায়গায় এসেছি। আমি মনে শান্তি পাচ্ছি। আগুনের জ্বালা আর পোড়ায় না। আঁচ, আঁচ ত থাকবেই।”
মশ্রুর : শুক্রিয়া, জাঁহাপনা।
হারুন : মশ্রুর, তোমার মনে পড়ে, আমরা চারজনে কতদিন বাগদাদের সড়কে, কতো বেগানার কত রাত কাটিয়ে দিয়েছি?
মশ্রুর : জাঁহাপনা, মওতের আগে তক্ বান্দা তা ভুলতে পারবে না।
হারুন : মনে পড়ে … মণিকার মাজারের মহলে সেই রাত্রির কথা? অদ্ভুত সেই আওরত–শাদীর সময় যার শর্ত ছিল শওহর ব্যভিচারী হোলে, দু’শ’ কোড়া দুই পাঁজরে খেতে হবে। দুই চক্ষু উপড়ে তুলে দিতে হবে। … মনে পড়ে?
মশ্রুর : কেয়ামৎ তক্ মনে থাকবে, বান্দা নওয়াজ, ভৃত্যপালনকারী।
হারুন : মনে পড়ে, সিন্দবাদ নাবিকের কথা? তার হপ্তম সফরের সেই রোমাঞ্চকর কাহিনী?
মশ্রুর : বান্দার স্মৃতিশক্তির পরিচয় ত আপনার জানা আছে, জিলুল্লাহ।
হারুন : সব মনে আছে। জাফর আর আব্বাসা কবরে শুয়েও ভুলে যায় নি। কিন্তু আমি ভুলে যেতে চাই।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, সে-সব কথা আর তুলবেন না। চমৎকার রাত্রি। আপনি যদি মঞ্জুর করেন, কবি ইস্হাককে ডেকে আনি। তার গজল শোনা যাক।
হারুন : না, মশ্রুর। নির্জনতাই আমার পছন্দ। এখানে রাত্রির হাওয়া পাঁজরের দাহ নিভিয়ে দিতে পারে। কবির জায়গা আর কোথাও। ওরা বুকের কল্লোল আরো বাড়িয়ে তোলে।
মশ্রুর : বান্দা-নওয়াজ, ভৃত্য-পালক, তবে চলুন–শহরের সড়কে হাঁটি। বগ্দাদ শহর ত ঘুম জানে না। কোথাও না কোথাও কিছু পাওয়া যাবে, মনের বাতাস ফেরাতে।
হারুন : না মশ্রুর। এই লেবাসে অসম্ভব। আর দুজনে ত বহুদিন বেরোই নি। উম্মায়েদ খুনীদের গোয়েন্দা, গুণ্ডা কোথায় কিভাবে ওঁৎ পেতে আছে, কে জানে।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, উম্ময়েরা কর্দোবা শহরে পালিয়েছে। ওরা আর এদিকে চোখ ফেরাবে না। হারুন মশ্রুর, খেলাফৎ ত পাও নি। বুঝবে না রাজত্বের লোভ কত। ওই লোভের আগুনের কাছে হাবিয়া-দোজখ সামাদানের ঝিলিক মাত্র। বিবেক, মমতা, মনুষ্যত্ব–সব পুড়ে যায় সেই আগুনে। উমাইয়ারা আমার বংশ প্রতিষ্ঠাতা আবুল আব্বাসকে গাল দেয় সাফফাহ–রক্তপিপাসু বলে–আর ওরা? জাল দরিয়ার তীরে যদি আবুল আব্বাস হেরে যেত? জয় বা পরাজয়ের গ্লানি মেটাতে পরাজিতদের গাল দেওয়া একটা রেওয়াজ হোয়ে দাঁড়িয়েছে। উমাইয়াদের পাশা যদি ঠিক পড়ত তখন? নীতি এখানে বড় কথা নয়। বল–লোক-বল, অস্ত্র-বল, অর্থ-বল সব নীতির মাপকাঠি। তাই দুজনের বগ্দাদ শহরে এই অবস্থায় পায়চারী করা যুক্তিযুক্ত হবে না।
মশ্রুর : জাঁহাপনা, উমাইয়াদের ঘাড় অত তাকৎ রাখে না।
হারুন : না রাখুক। হুঁশিয়ারী ভাল, হুঁশিয়ারী ভাল, মশ্রুর।
মশ্রুর : জিলুল্লাহ, আপনার মহল এই “কাওসুল আক্কারের” বাগানে কতদিনের পুরাতন গাছ রয়েছে।
হারুন : বহুদিনের। আব্বাজান মরহুম মেহদী বলতেন–দুইশ’ বছর আগে এখানে–কিন্তু ও কি, মশ্রুরয়
মশ্রুর : কি, জাঁহাপনা?
হারুন : (উৎকর্ণ) ওই
মশ্রুর : কি, আমিরুল মুমেনীন?
হারুন : তুমি শুনতে পাচ্ছে না?
মশ্রুর : না, আলম্পানা।
হারুন : হাসি, হাসি–কে যেন হাসছে।
মশ্রুর : হ্যাঁ, শুনতে পাচ্ছি।
হারুন : আমার মহলের গায়ে কে হাসছে এত রাত্রে এই হাসি–একটু চুপ করো।
খলিফা হারুনর রশীদ ঠোঁটে তর্জনী রেখে ইঙ্গিত করলেন, একদম নিঃস্তব্ধ দাঁড়াও। সত্যি, চতুর্দিকের সুসাম বিয়াবান যেন হাসির মওজে দোলা খাচ্ছে। খুব জোর হাসি নয়। অস্পষ্ট। তবু তার রণন উৎসমুখের খবর পাঠায়। উৎকর্ণ কিছুক্ষণ শোনার পর, হারুনর রশীদ স্তব্ধতা ভেঙ্গে উচ্চারণ করলেন, “মশ্রুর। শুনেছো এমন হাসি? কে হাসছে আমার মহলের দেওয়ালের ওদিকে? এ হাসি ঠোঁট থেকে উৎসারিত হয় না। এই উৎস সুখ-ডগমগ হৃদয়ের নিভৃত প্রদেশ। ঝর্ণা যেমন নির্জন পাহাড়ের উৎসঙ্গ–দেশ থেকে বেরিয়ে আসে উপলবিনুনী পাশে ঠেলে ঠেলে–বিজন পথ-ভ্রষ্ট তৃষ্ণার্ত পথিককে সঙ্গীতে আমন্ত্রণ দিতে এই হাসি তেমনই বক্ষঝর্ণা-উৎসারিত। কিন্তু কে এই সুখীজন–আমার হিংসা হয়, মশ্রুর। আমি বগ্দাদ-অধীশর সুখ-ভিক্ষুক। সে ত আমার তুলনায় বগ্দাদের ভিক্ষুক, তবু সুখের অধীশ্বর! কে, সে?
মশ্রুর জবাব দিলে, “আলম্পানা, ওদিকে ত হাব্সী গোলামেরা থাকে।”
হারুন : হাব্সী গোলাম?
মশ্রুর : হ্যাঁ, বাদশা-নামদার।
হারুন : গোলামেরা এমন হাসি হাসতে পারে?
মশ্রুর : পারে, আমিরুল মুমেনীন। ওরা সুখ পায় না, কিন্তু সুখের মর্ম বোঝে।
মনুষ্যত্বহীন, কিন্তু মনুষ্যত্বের আস্বাদ পায়। ওরা হাসে।
হারুন : মনে হয় কোন জ্বীন-পরীর হাসি। কিন্তু কান দিয়ে শোন ত। মিহি-মোটা দু-রকম হাসি যেন একত্রে মিশে বাতাসের লাগাম ধরে আছে।
মশ্রুর : তা-ই মনে হয়।
হারুন : কিন্তু কারা হাসছে? কোন মানব-মানবী? কোন মানব-মানবী একত্রে?
মশ্রুর : গোলামের হাসি, জাঁহাপনা।
হারুন : ওরা হাসবে, আমি হাসতে পারব না? না, তা হয় না।
মশ্রুর : হাসি থেমে গেল, জিল্লুল্লাহ্।
হারুন : হ্যাঁ। তা-ই মশ্রুর। কিন্তু ওর রেশ আমার কানে এখনও বাজছে।
মশ্রুর : সত্যি, অদ্ভুত হাসি।
হারুন : মশ্রুর, চেয়ে দেখো ওই দিকে। ওই খুবানির গাছের ডাল যেখানে দেওয়ালের লাগালাগি মিশেছে কে যেন সেখান থেকে লাফিয়ে পড়ল।
মশ্রুর : না, জাঁহাপনা। এখানে কে আসবে? কার এত সাহস?
হারুন : একটু এগোও। দেখো, ঝাঁপ দিয়ে পড়লে ডাল যেমন কাঁপে, খুবানির শাখা তেমনই কাঁপছে।
মশ্রুর : আমিরুল মুমেনীন, কোন নিশাচর পাখি বসেছিল, হয়ত এখনই উড়ে গেল। তার ডানার ঝাঁপটের শব্দে এমন মনে হয়। হারুন : হয়ত তা-ই। এখন কত রাত্রি?
মশ্রুর : আলম্পানা, ঐ ত দজ্লা নদীর উপরে আদিম-সুরত হেঁটে হেঁটে দূরে নাম্ছে! আর বেশী প্রহর বাকী নেই শুকতারা ওঠার।
হারুন : চলো, এখন মহলে ফিরে যাই। এই রাত্রির কথা যেন কেউ টের না পায়, মশ্রুর। আহ, ঐ হাসি আমি হাসতে পারতাম! কাল আবার আমাদের তালাসী নিতে হবে–এমনই রাত্রে।
মশ্রুর : আসসামায়ো তায়তান–-শ্রবণ অর্থ পালন।
হারুন : মশ্রুর।
মশ্রুর : জাঁহাপনা।
হারুন : আজ আমি ঘুমাব, অনেক-অনেক ঘুম। কাল দরবার হবে না, ওদের বলে দিও। আমি শুধু হাসি শুছি। আমি এমনই হাসি হাসতে চাই। চলে। …