হাদিস নম্বরঃ ১০১ | 101 | ۱۰۱
পরিচ্ছদঃ ২২. মু’মিন ব্যাতিত কেউই জান্নাতে প্রবেশ করবে না, মু’মিনদের ভালবাসা ঈমানের অঙ্গ আর তা অর্জনের উপায় হল পরস্পর অধিক সালাম বিনিময়
১০১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আ’মাশ (রহঃ) এর সূত্রে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সেই সত্তার শপথ, যার হাতে আমার প্রাণ, তোমরা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না, যতক্ষন না তোমরা ঈমান আন। পরবর্তী অংশ আবূ মুআবিয়া ও ওয়াকী-এর হাদীসের অনুরুপ।
হাদিস নম্বরঃ ১০২ | 102 | ۱۰۲
পরিচ্ছদঃ ২৩. কল্যাণ কামনাই দীন
১০২। মুহাম্মদ ইবনু আব্বাদ আল মাক্কী (রহঃ) … তামীমদারী থেকে বর্ননা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কল্যাণ কামনাই দ্বীন। আমরা আরয করলাম, কার জন্য কল্যাণ কামনা? তিনি বললেনঃ আল্লাহর, তাঁর কিতাবের, তাঁর রাসুলের, মুসলিম শাসক এবং মুসলিম জনগণের।
হাদিস নম্বরঃ ১০৩ | 103 | ۱۰۳
পরিচ্ছদঃ ২৩. কল্যাণ কামনাই দীন
১০৩। মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) … তামীমদারী (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে উপরোক্ত হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১০৪ | 104 | ۱۰٤
পরিচ্ছদঃ ২৩. কল্যাণ কামনাই দীন
১০৪। উমায়্যা ইবনু বিসতাম (রহঃ) … তামীমদারী (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১০৫ | 105 | ۱۰۵
পরিচ্ছদঃ ২৩. কল্যাণ কামনাই দীন
১০৫। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ের, যাকাত দেওয়ার এবং প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে বায়আত করেছি।
হাদিস নম্বরঃ ১০৬ | 106 | ۱۰٦
পরিচ্ছদঃ ২৩. কল্যাণ কামনাই দীন
১০৬। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, যুহায়র ইবনু হারব ও ইবনু নূমায়ের (রহঃ) … জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনার শর্তে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে বায়আত করেছি।
হাদিস নম্বরঃ ১০৭ | 107 | ۱۰۷
পরিচ্ছদঃ ২৩. কল্যাণ কামনাই দীন
১০৭। সুরায়হ ইবনু ইউনূস ও ইয়াকুব আদু-দাওরাকী (রহঃ) … জারীর (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন। তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে বায়আত করলাম শোনার ও মান্য করার ব্যাপারে। তিনি আমাকে বলে দিলেনঃ “আমার সাধ্যানুসারে ” একথাটিও বল। আর প্রত্যেক মুসলিমের কল্যাণ কামনার জন্য বায়আত করলাম। ইয়াকুব এক বর্ণনায় “হুসায়শ”–এর নাম না বলে “সাইয়ার” এর নাম উল্লেখ করেন।
হাদিস নম্বরঃ ১০৮ | 108 | ۱۰۸
পরিচ্ছদঃ ২৪. গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না, অর্থ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না
১০৮। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু ইমরান আত তূর্জীবী … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যবিচারী ব্যাক্তি ব্যভিচারে লিপ্ত থাকা অবস্থায় মুমিন থাকে না, চুরি করার সময় চোরও ঈমানদার থাকে না, মদ্যপায়ীও মদ্যপান করার সময় মুমিন থাকে না। আবূ হুরায়রা (রাঃ) অন্য সুত্রে এর সাথে এও বলেছেনঃ মূল্যবান সামগ্রী লুটেরা যখন লুট করতে থাকে যে, লোকে তার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে, তখন সে মুমিন থাকে না।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১০৯ | 109 | ۱۰۹
পরিচ্ছদঃ ২৪. গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না, অর্থ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না
১০৯। আবদুল মালিক ইবনু শুআইব ও ইবনু লায়স ইবনু সা’দ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত হয় না… বাকি অংশ লুটতরাজের বর্ণনাসহ উপরোক্ত হাদীসের অনুরুপ। তবে এতে মূল্যবান সামগ্রী- কথাটির উল্লেখ নেই। ইবনু শিহাব বলেন, সাঈদ ইবনুল মূসায়্যাব ও আবূ সালামা ইবনু আবদুর রহমান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে আবূ বকরের হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তবে তিনি النُّهْبَةَ ‘লুটের’ কথা উল্লেখ করেননি।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১০ | 110 | ۱۱۰
পরিচ্ছদঃ ২৪. গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না, অর্থ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না
১১০ মুহাম্মাদ ইবনু মিহরান আল-রাযী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে উকায়লের হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন এবং -লুটের- কথাও বর্ণনা করেছেন, কিন্তু ذَاتَ شَرَفٍ ‘মুল্যবান’- কথাটি বলেন নি।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১১ | 111 | ۱۱۱
পরিচ্ছদঃ ২৪. গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না, অর্থ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না
১১১। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী, কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মদ ইবনু রাফি (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে সকলেই যুহরীর বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। তবে আ’লা ও সাফওয়ান ইবনু সুলায়মের বর্নিত হাদিসে ‘লোকে তার দিকে চোখ তুলে তাকিয়ে থাকে’ কথাটি নেই আর হাম্মামের বর্ণনায় রয়েছে- يَرْفَعُ إِلَيْهِ الْمُؤْمِنُونَ أَعْيُنَهُمْ فِيهَا وَهُوَ حِينَ يَنْتَهِبُهَا مُؤْمِنٌ (লুটেরা যখন লুটে লিপ্ত আর মুমিনরা তার প্রতি চোখ তুলে তাকিয়ে আছে, এমতাবস্থায় সে মুমিন থাকে না, কথাটির উল্লেখ রয়েছে। হাম্মাম তাঁর হাদীসে আরো বলেছেন, খেয়ানতকারী যখন খেয়ানত করে, তখন মুমিন থাকে না। সুতরাং তোমরা সাবধান, তোমরা সাবধান।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১২ | 112 | ۱۱۲
পরিচ্ছদঃ ২৪. গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না, অর্থ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না
১১২। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ব্যভিচারী যখন ব্যভিচারে লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। চোর যখন চৌর্যবৃত্তিতে লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। মদ্যপ ব্যাক্তি যখন মদ পানে লিপ্ত হয়, তখন সে মুমিন থাকে না। তবে এরপরও তওবার দরজা খোলা থাকে।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১৩ | 113 | ۱۱۳
পরিচ্ছদঃ ২৪. গুনাহ দ্বারা ঈমানের ক্ষতি হয় এবং গুনাহে লিপ্ত থাকা অবস্থায় ঈমান থাকে না, অর্থ ঈমানের পূর্ণতা থাকে না
১১৩। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) … মারুফ সনদে আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ব্যভিচারী ব্যভিচারে লিপ্ত … এরপর শু’বার হাদীসের অনুরুপ উল্লেখ করেছেন।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১৪ | 114 | ۱۱٤
পরিচ্ছদঃ ২৫. মুনাফিকের স্বভাবের বর্ণনা
১১৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, ইবনু নুনায়র এবং যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ চারটি স্বভাব যার মধ্যে রয়েছে সে সত্যিকার মুনাফিক; যার মধ্যে উক্ত চারটির একটিও থাকে সে তা না ছাড়া পর্যন্ত তার মধ্যে মুনাফিকীর একটি স্বভাব রয়ে যায়। (১) সেকথা বললে মিথ্যা বলে, (২) চুক্তি করলে তা ভঙ্গ করে, (৩) ওয়াদা করলে খেলাফ করে এবং (৪) ঝগড়া করলে কটূক্তি করে। রাবী সুফিয়ানের বর্ণনায় হাদিসটিতে خَلَّةٌ শব্দের স্থলে خَصْلَةٌ রয়েছে, (উভয় শব্দের অর্থ একই)।
হাদিস নম্বরঃ ১১৫ | 115 | ۱۱۵
পরিচ্ছদঃ ২৫. মুনাফিকের স্বভাবের বর্ণনা
১১৫। ইয়াহইয়া ইবনু আইয়্যুব ও কুতায়বা ইবনু সাঈদ … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকের আলামত তিনটি — (১) যখন সে কথা বলে মিথ্যা বলে, (২) ওয়াদা করলে খেলাফ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে সে তা খেয়ানত করে।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১৬ | 116 | ۱۱٦
পরিচ্ছদঃ ২৫. মুনাফিকের স্বভাবের বর্ণনা
১১৬। আবূ বকব ইবনু ইসহাক (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন। তিনি বলেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুনাফিকদের আলামত তিনটি -(১) সে কথা বললে মিথ্যা বলে, (২) ওয়াদা করলে সে খেলাফ করে এবং (৩) তার কাছে আমানত রাখা হলে সে খেয়ানত করে।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১৭ | 117 | ۱۱۷
পরিচ্ছদঃ ২৫. মুনাফিকের স্বভাবের বর্ণনা
১১৭। উকবা ইবনু মুকরাম আল আম্মী (রহঃ) … তার উস্তাদ ইয়াহইয়া ইবন মুহাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি উপরোক্ত সনদে আলা ইবনু আবদুর রহমান থেকে শুনেছি, তিনি বলেন, মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি, যদিও সে রোযা পালন করে এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে আর মনে করে যে সে মুসলমান।
হাদিস নম্বরঃ ১১৮ | 118 | ۱۱۸
পরিচ্ছদঃ ২৫. মুনাফিকের স্বভাবের বর্ণনা
১১৮। আবূ নাসর আত তামমার ও আবদুল আলা ইবনু হাম্মাদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে ইয়াহইয়া ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) এর সুত্রে বর্ণিত ‘আ’লা (রহঃ) এর হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন। এতে আছে … যদিও সে রোযা পালন করে, সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে এবং মনে করে যে সে মুসলিম।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১১৯ | 119 | ۱۱۹
পরিচ্ছদঃ ২৬. যে ব্যাক্তি তার মুসলমান ভাইকে ‘হে কাফির! বলে সম্বোধন করে, তার ঈমানের অবস্থা
১১৯। আবূ বকর ইবনু শায়বা (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, রাসুল বলেছেনঃ কোন ব্যাক্তি তার ভাইকে কাফির বলে আখ্যায়িত করলে সে কুফরী তাদের উভয়ের কোন একজনের উপরে বর্তাবে।
হাদিস নম্বরঃ ১২০ | 120 | ۱۲۰
পরিচ্ছদঃ ২৬. যে ব্যাক্তি তার মুসলমান ভাইকে ‘হে কাফির! বলে সম্বোধন করে, তার ঈমানের অবস্থা
১২০। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আত তামীমী, ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ এবং আলী ইবনু হুজর (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ কেউ তার ভাইকে কাফির- বলে সম্মোধন করলে উভয়ের একজন তার উপযুক্ত হয়ে যাবে। যাকে কাফির বনা হয়েছে সে কাফির হলে তো হলই নতুবা কথাটি বক্তার উপরই ফিরে আসবে।
হাদিস নম্বরঃ ১২১ | 121 | ۱۲۱
পরিচ্ছদঃ ২৬. যে ব্যাক্তি তার মুসলমান ভাইকে ‘হে কাফির! বলে সম্বোধন করে, তার ঈমানের অবস্থা
১২১। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছেনঃ যে ব্যাক্তি জেনেশুনে আপন পিতার পরিবর্তে অন্য কাউকে পিতা বলে, সে কুফরী করল। আর যে ব্যাক্তি এমন কিছু দাবি করে যা তার নয়, সে আমাদের দলভুক্ত নয় এবং সে যেন জাহান্নামে তার আবাসস্থল বানিয়ে নেয়। আর কেউ কাউকে কাফির বলে সম্মোধন করলে বা ‘আল্লাহর দুশমন’ বলে ডাকলে, সম্ভোধিত ব্যাক্তি যদি অনুরুপ না হয়, তা হলে এ কুফরী সম্ভোধনকারীর প্রতি ফিরে আসবে।
হাদিস নম্বরঃ ১২২ | 122 | ۱۲۲
পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ব্যাক্তি জেনেশুনে নিজের পিতাকে অস্বীকার করে, তার ঈমানের অবস্থা
১২২। হারুন ইবনু সাঈদ আল আয়লী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা আপন পিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নিও না। যে ব্যাক্তি তার পিতা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয় সে কাফির।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১২৩ | 123 | ۱۲۳
পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ব্যাক্তি জেনেশুনে নিজের পিতাকে অস্বীকার করে, তার ঈমানের অবস্থা
১২৩। আমর আন নাকিদ (রহঃ) … সা’দ বিন আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমার উভয় কর্ণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছে যে, ইসলাম গ্রহণের পর যে ব্যাক্তি জেনেশুনে নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে স্বীকৃতি দেয়, তার উপর জান্নাত হারাম। রাবী আবূ বকর (রাঃ) বললেন, আমিও রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ হাদীস শুনেছি।
হাদিস নম্বরঃ ১২৪ | 124 | ۱۲٤
পরিচ্ছদঃ ২৭. যে ব্যাক্তি জেনেশুনে নিজের পিতাকে অস্বীকার করে, তার ঈমানের অবস্থা
১২৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … সা’দ ও আবূ বাক্রা (রাঃ) উভয় থেকে বর্ণনা করেন যে, তারা প্রত্যেকে বলেন, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকে আমার দুই কান শুনেছে এবং আমার অন্তর স্মরণ রেখেছে যে, তিনি বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আপন পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবি করে, অথচ সে জানে যে সে তার পিতা নয়, তার উপর জান্নাত হারাম।
হাদিস নম্বরঃ ১২৫ | 125 | ۱۲۵
পরিচ্ছদঃ ২৮. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বানীঃ মুসলমানদের গালি দেওয়া গুনাহের কাজ এবং তাদের সাথে মারামারি করা কুফরী
১২৫। মুহাম্মদ ইবনু বাককার ইবনু আর-রাইয়ান ও আওন ইবনু সাল্লাম এবং মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ মুসলমানকে গালি দেওয়া গোনাহের কাজ এবং তার সাথে মারামারিতে প্রবৃত্ত হওয়া কুফুরি। রাবী যুবায়দ বলেন, আমি (আমার উস্তাদ) আবূ ওয়ায়েলকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে এ রেওয়ায়েত করতে শুনেছেন? তিনি (আবূ ওয়াহোল) বললেন, হ্যাঁ। তবে রাবী শু’বার হাদীসে আবূ ওয়ায়েলের সঙ্গে যুবায়েরের উক্ত কথার উল্লেখ নেই।
হাদিস নম্বরঃ ১২৬ | 126 | ۱۲٦
পরিচ্ছদঃ ২৮. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বানীঃ মুসলমানদের গালি দেওয়া গুনাহের কাজ এবং তাদের সাথে মারামারি করা কুফরী
১২৬। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না এবং ইবনু নুমায়র (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদের সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১২৭ | 127 | ۱۲۷
পরিচ্ছদঃ ২৯. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বানীঃ তোমরা আমার পরে পরস্পর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে কাফিরে পরিনত হয়ো না
১২৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হাজ্জের (হজ্জ) দিনে আমাকে বললেন, লোকদের চুপ করাও। তারপর তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ আমার পরে পরস্পর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে তোমরা কাফিরে পরিণত হয়ো না।
হাদিস নম্বরঃ ১২৮ | 128 | ۱۲۸
পরিচ্ছদঃ ২৯. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বানীঃ তোমরা আমার পরে পরস্পর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে কাফিরে পরিনত হয়ো না
১২৮। উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ)-এর সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১২৯ | 129 | ۱۲۹
পরিচ্ছদঃ ২৯. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বানীঃ তোমরা আমার পরে পরস্পর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে কাফিরে পরিনত হয়ো না
১২৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ)-এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, বিদায় হাজ্জের (হজ্জ) দিন তিনি বলেছেনঃ তোমাদের জন্য আফসোস অথবা (বললেন) দুর্ভোগ তোমাদের। আমার পরে তোমরা পরস্পর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে কাফিরে পরিণত হয়ো না।
হাদিস নম্বরঃ ১৩০ | 130 | ۱۳۰
পরিচ্ছদঃ ২৯. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর বানীঃ তোমরা আমার পরে পরস্পর হত্যাকাণ্ডে লিপ্ত হয়ে কাফিরে পরিনত হয়ো না
১৩০। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) ইবনু উমর (রাঃ) এর সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ওয়াকিদের সুত্রে শু’বার বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৩১ | 131 | ۱۳۱
পরিচ্ছদঃ ৩০. বংশের প্রতি কটাক্ষের এবং উচ্চস্বরে বিলাপের উপর কুফুরী শব্দের প্রয়োগ
১৩১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দুটি স্বভাব মানুষের মাঝে রয়েছে, যে দুটি কুফুর বলে গণ্য (১) বংশের প্রতি কটাক্ষ করা এবং (২) মৃতের জন্য উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৩২ | 132 | ۱۳۲
পরিচ্ছদঃ ৩১. পলাতক দাসকে ‘কাফির’ আখ্যায়িত করা
১৩২। আলী ইবনু হুজর আস সা’দী (রহঃ) … শা’বী (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি জারীর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছেন, যে দাস তার মনিবের কাছ থেকে পালিয়ে গেল, সে কুফরী করল, যতক্ষন না সে তার প্রভুর কাছে ফিরে আসে। মানসূর বলেন, আল্লাহর কসম! এ হাদীস নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু এখানে বসরায় আমার থেকে এ হাদীস বর্ণিত হোক তা আমি অপছন্দ করি।*
* কারণ এখানে খারিজী ও মুতাযিলা সম্প্রদায়ের লোক বেশী, যারা এটিকে সত্যিকার অর্থেই কুফরী মনে করে।
হাদিস নম্বরঃ ১৩৩ | 133 | ۱۳۳
পরিচ্ছদঃ ৩১. পলাতক দাসকে ‘কাফির’ আখ্যায়িত করা
১৩৩। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … জারীর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে দাস পালিয়ে যায়, তার থেকে (আল্লাহ ও রাসুলের) যিম্মাদারী শেষ হয়ে যায়।
হাদিস নম্বরঃ ১৩৪ | 134 | ۱۳٤
পরিচ্ছদঃ ৩১. পলাতক দাসকে ‘কাফির’ আখ্যায়িত করা
১৩৪। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … জারীর ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যখন দাস পালিয়ে যায়, তখন তার সালাত (নামায/নামাজ) কবুল হয় না।
হাদিস নম্বরঃ ১৩৫ | 135 | ۱۳۵
পরিচ্ছদঃ ৩২. যে ব্যাক্তি বলেঃ ‘আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি নক্ষত্র দ্বারা’ তার কুফরীর বর্ণনা
১৩৫। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … যায়িদ ইবনু খালিদ আল জুহানী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের হুদায়বিয়া প্রান্তরে রাতে (বৃষ্টিপাতের পরে) ফজরের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সালাত (নামায/নামাজ) সম্পন্ন করে তিনি উপস্থিত লোকদের লক্ষ করে বললেনঃ তোমরা কি জানো তোমাদের রব কী বলেছেন? তারা উত্তরে বললেনঃ আল্লাহ ও তাঁর রাসুল -ই সম্যক অবগত আছেন। তিনি বললেনঃ আল্লাহ ইরশাদ করেনঃ কতিপয় বান্দা সকালে উঠেছে আমার প্রতি মুমিনরুপে এবং কতিপয় বান্দা উঠেছে কাফিররুপে। যারা বলেছে, আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে বৃষ্টিপাত হয়েছে, তারা আমার প্রতি বিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি অবিশ্বাসী, আর যারা বলেছে যে, অমুক অমূক নক্ষত্রের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে, তারা আমার প্রতি অবিশ্বাসী এবং নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী।
হাদিস নম্বরঃ ১৩৬ | 136 | ۱۳٦
পরিচ্ছদঃ ৩২. যে ব্যাক্তি বলেঃ ‘আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি নক্ষত্র দ্বারা’ তার কুফরীর বর্ণনা
১৩৬। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া ও আমর ইবনু সাওয়াদ আল আমিরী এবং মুহাম্মাদ ইবনু সালামা আল মুরাদী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা কি জানো না, – তোমাদের রব কি বলেছেন? তিনি বলেছেনঃ আমি যখন আমার বান্দার উপর অনুগ্রহ করি, তখনই তাদের একদল তা অস্বীকার করে এবং বলতে থাকে নক্ষত্র, নক্ষত্রের প্রভাবে আমাদের কাজ হয়।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৩৭ | 137 | ۱۳۷
পরিচ্ছদঃ ৩২. যে ব্যাক্তি বলেঃ ‘আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি নক্ষত্র দ্বারা’ তার কুফরীর বর্ণনা
১৩৭। মুহাম্মাদ ইবনু নালামা আন মুরাদী এবং আমর ইবনু সাওয়াদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তায়ালা আসমান থেকে কোন বরকত (বৃষ্টি) অবতীর্ণ করলে, একদল লোক প্রত্যুষে তা অস্বীকার করে, বৃষ্টিপাত করান আল্লাহ তায়ালা আর তারা বলতে থাকে যে, অমুক অমুক নক্ষত্র। মুরাদীর হাদীসে “অমুক অমুক নক্ষত্রের কারণে” কথার উল্লেখ রয়েছে।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৩৮ | 138 | ۱۳۸
পরিচ্ছদঃ ৩২. যে ব্যাক্তি বলেঃ ‘আমরা বৃষ্টি লাভ করেছি নক্ষত্র দ্বারা’ তার কুফরীর বর্ণনা
১৩৮। আব্বাস ইবনুু আবদুল আযীম আল আম্বারী (রহঃ) … ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর যামানায় একবার বৃষ্টিপাত হলে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ লোকদের কেউবা শোকরগোযার রয়েছে আর কেউবা অকৃতজ্ঞ রয়েছে। একদল বলে আল্লাহর রহমত, অপর দল বলে অমুক অমুক নক্ষত্রের প্রভাবে তা প্রকাশ পেয়েছে। এ বিষয়ে আল্লাহ তায়ালা নাযিল করেনঃ আমি নক্ষত্ররাজির অস্তাচলের শপথ করছি, অবশ্যই এটা এক মহা শপথ, যদি তোমরা জানতে। নিশ্চয়ই এটা সম্মানিত কুরআন, যা লাওহে মাহফূযে সংরক্ষিত রয়েছে। যারা পবিত্র তারা ব্যতীত কেউ তা স্পর্শ করতে পারবে না, এ বিশ্বজগৎসমূহের প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ তবুও কি তোমরা এ বানীকে তুচ্ছ মনে করবে? আর মিথ্যাচারকেই তোমরা তোমাদের জীবনের সম্বল করে নিয়েছ? (সূরা ওয়াকিয়াহঃ ৭৫-৮২)
হাদিস নম্বরঃ ১৩৯ | 139 | ۱۳۹
পরিচ্ছদঃ ৩৩. আনসারদের এবং আলী (রাঃ) কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ও তার আলামত এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিফাকের আলামত
১৩৯। মুহাম্মদ ইবনু মূসান্না (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ মুনাফিকের চিহ্ন এবং আনসারদের প্রতি মুহব্বত মুমিনের চিহ্ন।
হাদিস নম্বরঃ ১৪০ | 140 | ۱٤۰
পরিচ্ছদঃ ৩৩. আনসারদের এবং আলী (রাঃ) কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ও তার আলামত এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিফাকের আলামত
১৪০। ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী (রহঃ) … আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আনসারদের প্রতি মুহাব্বত ঈমানের চিহ্ন এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ নিফাকের চিহ্ন।
হাদিস নম্বরঃ ১৪১ | 141 | ۱٤۱
পরিচ্ছদঃ ৩৩. আনসারদের এবং আলী (রাঃ) কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ও তার আলামত এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিফাকের আলামত
১৪১। যুহায়র ইবনু হারব এবং উবায়দুল্লাহ ইবনু মু’আয (রহঃ) … বারাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আনসারদের সম্পর্কে বলেছেনঃ মুমিনরাই তাদের মুহব্বত করে থাকে এবং মুনাফিকরাই তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষন করে। যারা তাঁদের ভালবাসে আল্লাহ তাদের ভালবাসেন, যারা তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে আল্লাহ তাদের ঘূণা করেন। শু’বা বলেন, আমি রাবী আদীকে জিজ্ঞেস করলাম, আপনি কি বারাআ (রাঃ) থেকে এটি শুনেছেন? তিনি বললেন, বারাআ (রাঃ) স্বয়ং আমার কাছে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৪২ | 142 | ۱٤۲
পরিচ্ছদঃ ৩৩. আনসারদের এবং আলী (রাঃ) কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ও তার আলামত এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিফাকের আলামত
১৪২। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি বিশ্বাসী ব্যাক্তি আনসারদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করতে পারে না।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৪৩ | 143 | ۱٤۳
পরিচ্ছদঃ ৩৩. আনসারদের এবং আলী (রাঃ) কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ও তার আলামত এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিফাকের আলামত
১৪৩। উসমান ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আবূ শায়বা এবং আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আবূ সাঈদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহ ও আখিরাতের প্রতি ঈমান রাখে, সে আনসারদের সাথে দুশমনী রাখতে পারে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৪৪ | 144 | ۱٤٤
পরিচ্ছদঃ ৩৩. আনসারদের এবং আলী (রাঃ) কে ভালবাসা ঈমানের অংশ ও তার আলামত এবং তাদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা নিফাকের আলামত
১৪৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা এবং ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আলী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ সে মহান সত্তার শপথ, যিনি বীজ থেকে অংকুরোদ্গম করেন এবং জীবকুল সৃষ্টি করেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, মুমিন ব্যাক্তই আমাকে ভালবাসবে আর মুনাফিক ব্যাক্তি আমার সঙ্গে শক্রতা পোষণ করবে।
হাদিস নম্বরঃ ১৪৫ | 145 | ۱٤۵
পরিচ্ছদঃ ৩৪. ইবাদতের ত্রুটিতে ঈমান হ্রাস পাওয়া এবং কুফর শব্দটি আল্লাহর সাথে কুফুরী ছাড়া নিয়ামত ও হুকুম অস্বীকার করার বেলায়ও প্রযোজ্য
১৪৫। মুহাম্মাদ ইবনু রুম্হ ইবনু মুহাজির আল মিসরি (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ হে রমনীগন! তোমরা দান-খয়রাত করতে থাক এবং বেশি করে ইস্তিগফার কর। কেননা আমি দেখেছি যে, জাহান্নামের অধিবাসীদের অধিকাংশই নারী। জনৈকা বুদ্ধিমতী মহিলা প্রশ্ন করল, হে আল্লাহর রাসুল! জাহান্নামে আমাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কারণ কি? বললেন, তোমরা বেশি বেশি অভিসম্পাত করে থাকো এবং স্বামীর প্রতি (অকৃতজ্ঞতা) প্রকাশ করে থাকো। আর দ্বীন ও জ্ঞান-বুদ্ধিতে ক্রটিপূর্ণ কোন সম্প্রদায়, জ্ঞানীদের উপর তোমাদের চেয়ে প্রভাব বিস্তারকারী আর কাউকে আমি দেখিনি।
প্রশ্নকারিনী জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসুল! জ্ঞান-বুদ্ধি ও দ্বীনে আমাদের কমতি কিসে? তিনি বললেনঃ তোমাদের জ্ঞান-বুদ্ধির ক্রটি হলো দু-জন স্ত্রীলোকের সাক্ষ্য একজন পুরুষের সাক্ষ্যের সমান; এটাই তোমাদের বুদ্ধির ক্রটির প্রমাণ। স্ত্রীলোক (প্রতিমাসে) কয়েকদিন সালাত (নামায/নামাজ) থেকে বিরত থাকে আর রমযান মাসে রোযা ভঙ্গ করে; (ঋতুমতী হওয়ার কারণে) এটাই দ্বীনের ক্রটি।
আবূ তাহির … ইবনু হাদ-এর সুত্রে এ সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৪৬ | 146 | ۱٤٦
পরিচ্ছদঃ ৩৪. ইবাদতের ত্রুটিতে ঈমান হ্রাস পাওয়া এবং কুফর শব্দটি আল্লাহর সাথে কুফুরী ছাড়া নিয়ামত ও হুকুম অস্বীকার করার বেলায়ও প্রযোজ্য
১৪৬। হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) … আবূ সাঈদ খূদরী (রাঃ) সুত্রে এবং ইয়াহইয়া ইবনু আইয়্যুব, কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও ইবনু হুজর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে ইবনু উমর (রাঃ) বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ সা’ঈদ খুদরী (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৪৭ | 147 | ۱٤۷
পরিচ্ছদঃ ৩৫. নামায পরিত্যাগকারীর উপর কুফর শব্দের প্রয়োগ
১৪৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী আদম যখন সিজদার আয়াত তিলাওয়াত করে সিজদায় যায়, তখন শয়তান কাঁদতে কাঁদতে দুরে সরে পড়ে এবং বলতে থাকে হায়! দুর্ভাগ্যা! ইবনু কুরায়বের বর্ণনায় রয়েছে, হায়রে, আমার দুর্ভাগ্য! বনী আদম সিজদার জন্য আদিষ্ট হল। তারপর সে সিজদা করল এবং এর বিনিময় তার জন্য জান্নাত। আর আমাকে সিজদার জন্য আদেশ করা হল, কিন্তু আমি তা অস্বীকার করলাম, ফলে আমার জন্য জাহান্নাম।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৪৮ | 148 | ۱٤۸
পরিচ্ছদঃ ৩৫. নামায পরিত্যাগকারীর উপর কুফর শব্দের প্রয়োগ
১৪৮। যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) … আমাশ (রাঃ)-এর সুত্রে এ সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে এতে রয়েছে فَعَصَيْتُ فَلِيَ النَّارُ “আমি অমান্য করলাম; ফলে আমার জন্য নির্ধারিত হল জাহান্নাম”।
হাদিস নম্বরঃ ১৪৯ | 149 | ۱٤۹
পরিচ্ছদঃ ৩৫. নামায পরিত্যাগকারীর উপর কুফর শব্দের প্রয়োগ
১৪৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়াহ আততামীমী এবং উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত (নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা।
হাদিস নম্বরঃ ১৫০ | 150 | ۱۵۰
পরিচ্ছদঃ ৩৫. নামায পরিত্যাগকারীর উপর কুফর শব্দের প্রয়োগ
১৫০। আবূ গাসসান আল মিসমাঈ (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, বান্দা এবং শিরক-কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে সালাত (নামায/নামাজ) পরিত্যাগ করা।
হাদিস নম্বরঃ ১৫১ | 151 | ۱۵۱
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫১। মানসুর ইবনু আবূ মুযাহিম এবং মুহাম্মাদ ইবনু জাফর ইবনু যিয়াদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে প্রশ্ন করা হল, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা। আবার জিজ্ঞেস করা হল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। প্রশ্ন করা হল, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, ত্রুটিমুক্ত হাজ্জ (হজ্জ)।
মুহাম্মাদ ইবনু জাফরের রেওয়ায়েতে আছেঃ তিনি বললেন, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর প্রতি ঈমান আনা। মুহাম্মদ ইবনু রাফি ও আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) যুহুরীর সুত্রেও এ সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৫২ | 152 | ۱۵۲
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫২। আবূ রাবী’ আয-যাহরানী এবং খালফ ইবনু হিশাম (রহঃ) আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করা। আমি আবার প্রশ্ন করলামঃ কোন ধরনের গোলাম আযাদ করা উত্তম? তিনি বললেনঃ সে গোলাম আযাদ করা উত্তম, যে মুনীবের কাছে অধিক প্রিয় এবং অধিক মূল্যবান। আমি আরয-করলাম আমি যদি তা করতে না পারি? তিনি বললেনঃ তা হলে অন্যের কর্মে সাহায্য করবে অথবা কর্মহীনের কাজ করে দেবে। আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! যদি আমি এমন কোন কাজ করতে অক্ষম হই? তিনি বললেনঃ তোমার মন্দ আচরণ থেকে লোকদের মুক্ত রাখবে। এ হল তোমার পক্ষ থেকে তোমার প্রতি সা’দকা।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৩ | 153 | ۱۵۳
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫৩। মুহাম্মাদ ইবনু রাফি এবং আবদ ইবনু হুমায়দ (রহঃ) আবূ যার (রাঃ)-এর সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে তার বর্ণনার একটু শাব্দিক পার্থক্য রয়েছে, অর্থ একই।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৪ | 154 | ۱۵٤
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫৪ আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেনঃ আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম, সর্বোত্তম আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ সময়মত সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেন, পিতামাতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। আমি, জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা। পাছে তিনি বিরক্ত হন, এ ভেবে আমি অতিরিক্ত প্রশ্ন করা থেকে বিরত রইলাম।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৫ | 155 | ۱۵۵
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫৫। মুহাম্মদ ইবনু আবূ উমর আল মাক্কী (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা-করেন যে, তিনি বললেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম, হে আল্লাহর নাবী! কোন আমল জান্নাতের অধিক নিকটবতী করে? তিনি বললেনঃ সালাত (নামায/নামাজ) তার সঠিক সময়ে আদায় করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আর কোনটি হে আল্লাহর নাবী? তিনি বললেনঃ মাতাপিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম আর কোনটি হে আল্লাহর? তিনি বললেনঃ আল্লাহর পথে জিহাদ করা।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৬ | 156 | ۱۵٦
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫৬। উবায়দুল্লাহ ইবনু মুয়ায আল আনবারী (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে প্রশ্ন করলাম, আল্লাহর কাছে সর্বাধিক প্রিয় আমল কোনটি? তিনি বললেনঃ সালাত (নামায/নামাজ) সঠিক সময়ে আদায় করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তারপর পিতামাতার প্রতি সদ্বব্যাবহার করা। আমি জিজ্ঞেস করলাম, আর কোনটি হে আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেনঃ আল্লাহর রাস্থায় জিহাদ করা। তিনি আমাকে একথা গুলো ইরশাদ করলেন, যদি আমি আরো প্রশ্ন করতাম, তাহলে তিনি আরও অতিরিক্ত বিষয় বলতেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৭ | 157 | ۱۵۷
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫৭। মুহাম্মদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … শু’বার সুত্রে এ সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। এতে وَأَشَارَ إِلَى دَارِ عَبْدِ اللَّهِ وَمَا سَمَّاهُ لَنَا (তিনি আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদের ঘরের দিকে ইঙ্গিত করলেন। কিন্তু আমাদের সামনে তার নাম উল্লেখ করেননি) কথাগুলো অতিরিক্ত রয়েছে।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৮ | 158 | ۱۵۸
পরিচ্ছদঃ ৩৬. আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা সর্বোত্তম আমল
১৫৮। উসমান ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ সালাত (নামায/নামাজ) সঠিক সময়ে আদায় করা এবং পিতামাতার প্রতি সদ্যবহার করা আমল সমূহের মধ্যে বা আমলের মধ্যে সর্বোত্তম আমল।
হাদিস নম্বরঃ ১৫৯ | 159 | ۱۵۹
পরিচ্ছদঃ ৩৭. শিরক ঘৃন্যতম গুনাহ এবং শিরকের পর সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৫৯। উসমান ইবনু আবূ শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে জিজ্ঞেস করলাম, আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড় গোনাহ কোনটি? তিনি বললেনঃ কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা; অথচ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। আমি বললাম, এটা তো গুরুতর গোনাহ বটে। এরপর কোনটি? তিনি বললেনঃ আপন সন্তানকে এ আশঙ্কায় হত্যা করা যে, সে তোমার আহারের সঙ্গী হবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া।
হাদিস নম্বরঃ ১৬০ | 160 | ۱٦۰
পরিচ্ছদঃ ৩৭. শিরক ঘৃন্যতম গুনাহ এবং শিরকের পর সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬০। উসমান ইবনু আবূ শায়বা ও ইসহাক ইবনু ইব্রাহীম (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যাক্তি বলল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহর কাছে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ কোনটি? তিনি বললেন, তুমি আল্লাহর জন্য সমকক্ষ সাব্যস্ত করবে অথচ তিনই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। সে বলল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তুমি তোমার সন্তানকে এ আশঙ্কায় হত্যা করবে যে, সে তোমার আহারের সঙ্গী হবে। সে বলল, তারপর কোনটি? তিনি বললেনঃ তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে ব্যভিচারে লিপ্ত হবে! এ উক্তির সমর্থনে আল্লাহ তাঁআলা নাযিল করেনঃ আর তারা আল্লাহর সঙ্গে কোন ইলাহকে ডাকে না, আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন, যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করে না এবং ব্যভিচার করে না। যে ব্যাক্তি এগুলো করে, সে শাস্তি-ভোগ করবে। (সূরা ফুরকানঃ ২৫- ৬৮)।
হাদিস নম্বরঃ ১৬১ | 161 | ۱٦۱
পরিচ্ছদঃ ৩৮. কবীরা গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬১। আমর ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু বুকায়র ইবনু মুহাম্মাদ আবূ-নাকিদ (রহঃ) আবূ বাকরা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে উপস্থিত ছিলাম। তখন তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় গুনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? তিনি এ কথাটি তিনবার বললেন। (তারপর বললেনঃ সেগুলো হল) (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) পিতামাতার অবাধ্য হওয়া এবং (৩) মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া কিংবা মিথ্যা কথা বলা। এ সময় রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হেলান দিয়ে বসা ছিলেন। তিনি সোজা হায় বসলেন এবং (শেষোক্ত) কথাটি বারবার বলতে লাগলেন। এমন কি আমরা মনে মনে বললাম, আহা, তিনি যদি থামতেন!
হাদিস নম্বরঃ ১৬২ | 162 | ۱٦۲
পরিচ্ছদঃ ৩৮. কবীরা গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬২। ইয়াহইয়া ইবনু হাবীব আল হারিসী (রহঃ) … আনাস (রাঃ)-এর সুত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে কবিরা গুনাহ সম্পর্কে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেছেনঃ তা হল, আল্লাহর সাথে শরীক করা, পিতামাতার নাফরমানী করা; কাউকে হত্যা করা এবং মিথ্যা কথা বলা।
হাদিস নম্বরঃ ১৬৩ | 163 | ۱٦۳
পরিচ্ছদঃ ৩৮. কবীরা গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬৩। মুহাম্মাদ ইবনু ওয়ালীদ ইবনু আবদুল হামীদ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবীরা গুনাহর বর্ণনা করেন অথবা তাঁকে কবীরা গুনাহর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হয়। তখন তিনি বললেনঃ আল্লাহর সাথে শরীক করা, অন্যায়ভাবে কাউকে হত্যা করা, পিতামাতার নাফরমানী করা। আর তিনি বললেনঃ আমি কি তোমাদের সবচেয়ে বড় শোনাহ সম্পর্কে অবহিত করব না? তিনি বললেনঃ মিথ্যা কথা বলা অথবা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। রাবী শু’বা বলেন, আমার প্রবল ধারণা যে, কথাটি হলোঃ شَهَادَةُ الزُّورِ মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া।
হাদিস নম্বরঃ ১৬৪ | 164 | ۱٦٤
পরিচ্ছদঃ ৩৮. কবীরা গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬৪। হারুন ইবনু সাঈদ আল আয়লী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ধ্বংসকারী সাতটি কাজ থেকে তোমরা বেচে থেকে। আরয করা হল, হে আল্লাহর রাসুল! সেগুলো কি? তিনি বললেনঃ (১) আল্লাহর সাথে শরীক করা, (২) যাদু করা, (৩) আল্লাহ যার হত্যা নিষেধ করেছেন যথার্থ কারণ ছাড়া তাকে হত্যা করা, (৪) ইয়াতীমের মাল (অন্যায়ভাবে) খাওয়া, (৫) সুদ খাওয়া, (৬) যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পলায়ন করা এবং (৭) সধবা, সরলমনা ও ঈমানদার নারীর প্রতি অপবাদ আরোপ করা।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৬৫ | 165 | ۱٦۵
পরিচ্ছদঃ ৩৮. কবীরা গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬৫। কুতায়বা ইবনু সাঈদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনু আল আস (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পিতামাতাকে গালমন্দ করা কবীরা গুনাহ। সাহাবা কিরাম আরয করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! কেউ কি তার পিতামাতাকে গালমন্দ করতে পারে? বললেন, হ্যাঁ। কোন ব্যাক্তি অন্যের পিতাকে গালি দেয়, প্রতি উত্তরে সেও তার পিতাকে গালি দেয়। কেউবা অন্যের মাকে গালি দেয়, জবাবে সেও তার মাকে গালি দেয়।
হাদিস নম্বরঃ ১৬৬ | 166 | ۱٦٦
পরিচ্ছদঃ ৩৮. কবীরা গুনাহ এবং এর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বড় গুনাহ
১৬৬। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও ইবনু বাশশার এবং মুহাম্মাদ ইবনু হাতিম (রহঃ) … সাঈদ ইবনু ইবরাহীম (রাঃ) সুত্রে এ সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৬৭ | 167 | ۱٦۷
পরিচ্ছদঃ ৩৯. অহংকারের বিবরণ ও তা হারাম হওয়া
১৬৭। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না, মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার ও ইবরাহীম ইবনু দ্বীনার (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে , নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার অন্তরে অনু পরিমান অহংকার থাকবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না। এক ব্যাক্তি জিজ্ঞেস করল, মানুষ চায় যে, তার পোশাক সুন্দর হোক, তার জুতা সুন্দর হোক, এও কি অহংকার? রাসুল বললেনঃ আল্লাহ সুন্দর, তিনি সুন্দরকে ভালবাসেন। অহমিকা হচ্ছে দম্ভভরে সত্য ও ন্যায় অস্বীকার করা এবং মানুষকে ঘৃণা করা।
হাদিস নম্বরঃ ১৬৮ | 168 | ۱٦۸
পরিচ্ছদঃ ৩৯. অহংকারের বিবরণ ও তা হারাম হওয়া
১৬৮। মিনজাব ইবনু হারিস আত তামীমী ও সুয়ায়দ ইবনু সাঈদ (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যার অন্তরে সরিষার দানা পরিমান ঈমান থাকবে সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে না। আর যে ব্যাক্তির অন্তরে এক সরিষার দানা পরিমাণ অহমিকা থাকবে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৬৯ | 169 | ۱٦۹
পরিচ্ছদঃ ৩৯. অহংকারের বিবরণ ও তা হারাম হওয়া
১৬৯। মুহাম্মাদ ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ননা করেন যে, নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেনঃ যার অন্তরে অণু পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৭০ | 170 | ۱۷۰
পরিচ্ছদঃ ৪০. শিরক না করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জান্নাতী এবং মুশরিক অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নামী
১৭০। মুহাম্মাদ ইবনু আবদুল্লাহ ইবনু নুমায়র (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ অন্য বর্ণনায় রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) কে বলতে শুনেছি আল্লাহর সাথে কোন কিছুকে শরীক করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয় সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আমি (আবদুল্লাহ) বলি, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে অন্য কাউকে শরীক না করা অবস্থায় মারা যায় সে জান্নাতে প্রবেশ করবে।
হাদিস নম্বরঃ ১৭১ | 171 | ۱۷۱
পরিচ্ছদঃ ৪০. শিরক না করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জান্নাতী এবং মুশরিক অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নামী
১৭১। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) … জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, এক ব্যাক্তি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমতে হাযির হয়ে আরয করল, ইয়া রাসুলাল্লাহ! অবধারিতকারী দুটি বিষয় কি? তিনি বললেনঃ যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে কোনকিছু শরীক না করা অবস্থায় মারা যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যাক্তি আল্লাহর সাথে কোনকিছু শরীক করা অবস্থায় মারা যাবে সে জাহান্নামে যাবে।
হাদিস নম্বরঃ ১৭২ | 172 | ۱۷۲
পরিচ্ছদঃ ৪০. শিরক না করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জান্নাতী এবং মুশরিক অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নামী
১৭২ আবূ আইয়্যুব গায়লানী সুলায়মান ইবনু উবায়দুল্লাহ ও হাজ্জাজ ইবনু শাইর (রহঃ) … জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছি, যে ব্যাক্তি আল্লাহর সম্মুখে হাযির হবে এমন অবস্থায় যে, আল্লাহর সাথে কাউকেও শরীক করে না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আর যে ব্যাক্তি তার সম্মুখে উপস্থিত হবে এমন অবস্থায় যে, সে আল্লাহর সাথে শরীক করে, সে জাহান্নামে প্রবেশ করবে।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৩ | 173 | ۱۷۳
পরিচ্ছদঃ ৪০. শিরক না করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জান্নাতী এবং মুশরিক অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নামী
১৭৩। ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) … জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ …পরবর্তী অংশ পূর্ববতী হাদীসের অনুরুপ।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৪ | 174 | ۱۷٤
পরিচ্ছদঃ ৪০. শিরক না করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জান্নাতী এবং মুশরিক অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নামী
১৭৪। মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ জিবরাঈল (আলাইহিস সালাম) আমার কাছে এসে সুসংবাদ দিলেন যে, আপনার উম্মাতের যে কেউ আল্লাহর সাথে অন্য কিছুকে শরীক না করে ইন্তেকাল করবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি বললাম, যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে। তিনি বললেনঃ যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৫ | 175 | ۱۷۵
পরিচ্ছদঃ ৪০. শিরক না করা অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জান্নাতী এবং মুশরিক অবস্থায় যার মৃত্যু হয়, সে জাহান্নামী
১৭৫। যুহায়র ইবনু হারব ও আহমাদ ইবনু খিরাশ (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খেদমতে হাযির হলাম। সে সময় তিনি ঘুমাচ্ছিলাম এবং তার গায়ের উপর একথানা সাদা চাদর ছিল। আবার এসে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় পেলাম। পরে আবার এসে দেখি, তিনি ঘুম থেকে উঠেছেন। আমি তাঁর কাছে বসলাম। তারপর বললেনঃ যে কোন বান্দা لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই) বলবে এবং এ বিশ্বাসের উপর মারা যাবে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। আমি আরয করলাম, যদি সে যিনা করে এবং চুরি করে তবুও? রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে। আমি আবার আরয করলাম, যদি সে যিনা করে এবং চুরি করে তবুও? রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ যদিও সে যিনা করে এবং যদিও সে চুরি করে। এ কথাটি তিনবার পূনরাবৃত্তি করা হল। চতুর্থবারে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ যদিও আবূ যারের নাক ধূলিমলিন হয় (অর্থাৎ আবূ যারের অপছন্দ হলেও)। রাবী বলেন, আবূ যার (রাঃ) এ কথা বলতে বলতে বের হলেন, وَإِنْ رَغِمَ أَنْفُ أَبِي ذَرٍّ (যদিও আবূ যারের নাক ধূলিমলিন হয়)।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৬ | 176 | ۱۷٦
পরিচ্ছদঃ ৪১. যে কাফির ব্যাক্তি ‘لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৬। কুতায়বা ইবনু সাঈদ ও মুহাম্মাদ ইবনু রুমহ (রহঃ) … মিকদাদ ইবনু আসওয়াদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বললেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ ব্যাপারে আপনি কি মনে করেন, যদি আমি কোন কাফিরের সম্মুখীন হই এবং সে আমার সাথে যুদ্ধ চালিয়ে যায়, তার তলোয়ার দ্বারা আমার একটি হাত উড়িয়ে দেয়, এরপর কোন গাছের আড়ালে গিয়ে বলে আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম তা হলে ইয়া রাসুলাল্লাহ! এ কথা বলার পরও আমি কি তাকে কতল করতে পারি? রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তাকে হত্যা করো না। আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে আমার একটি হাত কেটে ফেলে এ কথা বলেছে, তবুও কি আমি তাকে হত্যা করব না? তিনি বললেনঃ না, হত্যা করতে পারবে না। যদি তুমি তাকে হত্যা কর (তবে) এ হত্যার পুর্বে তোমার যে অবস্থান ছিল সে ব্যাক্তি সে স্থানে পৌছবে এবং কালিমা পড়ার আগে সে ব্যাক্তি যে অবস্থানে ছিল তুমি সে স্থানে পৌছবে।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৭ | 177 | ۱۷۷
পরিচ্ছদঃ ৪১. যে কাফির ব্যাক্তি ‘لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৭। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম, আবদ ইবনু হুমায়দ, ইসহাক ইবনু মূসা আনসারী ও মুহাম্মাদ ইবনু রাফি (রহঃ) … যুহুরি (রহঃ) থেকে এ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তবে আওযাঈ ও ইবনু জুরায়জ তাদের হাদীসে বলেন, সে লোকটি বলেছিল, আমি আল্লাহর উদ্দেশ্যে ইসলাম গ্রহণ করলাম, যেমন পূর্বোক্ত হাদীসে লায়স বর্ণনা করেছেন। আর মা’মার বর্ণিত হাদীসে যখন আমি তাকে হত্যা করার জন্য উদ্যত হলাম, তখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলল, কথাটির উল্লেখ আছে।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৮ | 178 | ۱۷۸
পরিচ্ছদঃ ৪১. যে কাফির ব্যাক্তি ‘لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৮। হারামালা ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … মিকদাদ ইবনু আমর ইবনু আসওয়াদ আল কিন্দী (রাঃ) যিনি বনী যুহরার মিত্র এবং বদরের যুদ্ধে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে হাযির ছিলেন তার থেকে বর্ণিত। তিনি আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমি যুদ্ধের ময়দানে কোন কাফিরের সমুখীন হই। বাকি অংশ লায়স বর্ণিত হাদীসের অনুরুপ।
হাদিস নম্বরঃ ১৭৯ | 179 | ۱۷۹
পরিচ্ছদঃ ৪১. যে কাফির ব্যাক্তি ‘لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৭৯। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবূ কুরায়ব ও ইসহাক ইবনু ইব্রাহিম (রহঃ) … উসামা ইবনু যায়িদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের এক সেনাভিযানে পাঠালেন। আমরা অতি প্রত্যুষে জুহায়ানা গোত্রের হুরাকা শাখার উপর হামলা করলাম। যুদ্ধে আমি এক ব্যাক্তিকে মুখোমুখি পেয়ে গেলাম। সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে উঠল আমি তাকে বর্শা দ্বারা আঘাত হানলাম। এতে আমার অন্তরে খটকা সৃষ্টি হল। পরে আমি রাসুল এর খেদমতে ঘটনাটি উল্লেখ করি। তিনি বললেনঃ সেকি لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলেছিল, আর তুমি তাকে হত্যা করে ফেললে? আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলাল্লাহ! সে তো এ কথা আমার অস্ত্রের ভয়ে বলেছিল।
তিনি বললেনঃ তুমি কি তার অন্তর ছিড়ে দেখেছ, যাতে তুমি জানতে পারলে যে সে এ কথাটি ভয়ে বলেছিল? তিনি বারবার এ কথাটির পুনরাবৃত্তি করছিলেন। ফলে আমার মনে হচ্ছিল যে, আজই যদি আমি ইসলাম কবুল করতাম! সা’দ ইবনু আবূ ওয়াক্কাস (রাঃ) বলেন, আল্লাহর কসম! আমি কোন মুসলমানকে হত্যা করবনা, যতক্ষন না “যুল বুতায়ন” (ভুড়িওয়ালা) উসামা তাকে হত্যা করে। এক ব্যাক্তি আরয , আল্লাহ কি ইরশাদ করেননিঃ وَقَاتِلُوهُمْ حَتَّى لاَ تَكُونَ فِتْنَةٌ وَيَكُونَ الدِّينُ كُلُّهُ لِلَّهِ “তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাও যতক্ষন পর্যন্ত ফিতনা বিদুরিত না হয় এবং এবং দ্বীন পরিপূর্ণ রুপে আল্লাহর জন্য। প্রতিষ্ঠিতনা হয়। ” (বাকারাঃ ১৯৩) সা’দ বললেন, আমরা তো কাফিরদের বিরুদ্ধে এ জন্য লড়াই করেছি যে, ফিতনা যেন দূর হয়। আর তুমি ও তোমার সঙ্গীরা (খারিজী সম্প্রদায়) তো এজন্যই লড়ছ, যাতে ফিতনা সৃষ্টি হয়।
হাদিস নম্বরঃ ১৮০ | 180 | ۱۸۰
পরিচ্ছদঃ ৪১. যে কাফির ব্যাক্তি ‘لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৮০। ইয়াকুব আল দাওরাকী (রহঃ) … উসামা ইবনু যায়িদ ইবনু হারিছা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জুহায়না গোত্রের হুরাকা সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আমাদের পাঠালেন। আমরা অতি প্রত্যুষে সে সম্প্রদায়ের উপর আক্রমণ করলাম এবং আমরা তাদের পরাজিত করলাম। আমি এবং একজন আনসার এক ব্যাক্তির পশ্চাদ্ধাবন করলাম। আমরা যখন তা কে ঘিরে ফেললাম তখন সে “اَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ” বলল আনসার তার মুখে কালিমা শুনে নিবৃত্ত হলেন। কিন্তু আমি তাকে বল্লম দ্বারা এমন আঘাত করলাম যে, তাকে মেরেই ফেললাম।
আমরা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে ফিরে এলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কাছে এ খবরটি পৌছল। তিনি আমাকে ডেকে বললেনঃ হে উসামা! তুমি কি তাকে اَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলার পরেও হত্যা করে ফেলেছ? আমি আরয করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! সে ব্যাক্তি তো আত্নরক্ষার জন্য একথা বলেছিল। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আবার বললেনঃ তুমি কি তাকে اَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলার পরে হত্যা করেছ? এভাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বারবার আমার প্রতি একথা বলতে থাকেন। শেষ পর্যন্ত আমার মনে এ আকাঙ্ক্ষা উদয় হল যে হায়! যদি আজকের দিনের আগে আমি ইসলাম ধর্মগ্রহণ না করতাম।
হাদিস নম্বরঃ ১৮১ | 181 | ۱۸۱
পরিচ্ছদঃ ৪১. যে কাফির ব্যাক্তি ‘لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ’ বলল, তাকে হত্যা করা হারাম
১৮১। আহমাদ ইবনু হাসান ইবনু খিরাশ (রহঃ) … জুনদুব ইবনু আবদুল্লাহ বাজালী (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, তিনি আবদুল্লাহ ইবনু যুবায়রের ফিতনার যুগে আস’আস ইবনু সালামাকে বলে পাঠালেন যে, তুমি তোমার কিছু বন্ধু আমার জন্য একত্র করবে, আমি তাদের সাথে কথা বলব। আস‘আস তাদের কাছে লোক পাঠালেন। তারা যখন সমবেত হল, জুনদুব তখন হলুদ বর্ণের বুরনূস (এক ধরনের টূপি) পরে উপস্থিত হলেন এবং বললেন, তোমরা আগের মত কথাবার্তা বলতে থাক। সুতরাং তারা চক্রাকারে কথা বলতে থাকল। অবশেষে যখন তার পালা আসল তিনি তাঁর মাথার বুরনূস নামিয়ে ফেললেন। বললেন, আমি তোমাদের কাছে যখন এসেছি তখন আমি তোমাদের কাছে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর হাদীস বর্ণনা করতে চাইনি, কিন্তু এখন শোনঃ
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মুসলমানদের একটি বাহিনী মুশরিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে পাঠালেন। উভয় দল পরস্পর সম্মুর্খীন হল। মুশরিক বাহিনীতে এক ব্যাক্তি ছিল। সে যখনই কোন মুসলিমকে হামনা করতে ইচ্ছা করত, সে তাকে লক্ষ করে ঝাপিয়ে পড়ত এবং শহীদ করে ফেলত। একজন মুসলিম তার অসতর্ক মূহৃর্তের অপেক্ষা করতে লাগলেন। জুনদুব বললেন, আমাদের বলা হলো যে, সে ব্যাক্তি ছিল উসামা ইবনু যায়িদ। তিনি যখনঁ তার উপর তলোয়ার উত্তোলন করলেন তখন সে বলল, لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ তবুও উসামা (রাঃ) তাকে হত্যা করলেন।
দুত যুদ্ধে জয়লাভের সুসংবাদ নিয়ে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খেদমতে হাযির হল। তিনি তার কাছে যুদ্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রশ্ন করলেন। সে সব ঘটনাই বর্ণনা করল, এমন কি সে ব্যাক্তির ঘটনাটিও বলল যে তিনি কি করেছিলেন। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসামাকে ডেকে পাঠালেন এবং প্রশ্ন করলেন, তুমি সে ব্যাক্তিকে হত্যা করলে কেন? উসামা বললেন, হে আল্লাহর রাসুল! সে অনেক মুসলিমকে ঘায়েল করেছে এবং অমুক অমুককে শহীদ করে দিয়েছে। এ বলে কয়েকজনের নাম উল্লেখ করলেন।
আমি যখন তাকে আক্রমণ করলাম এবং সে তলোয়ার দেখল অমনি সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ বলে উঠল। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তুমি কি তাকে মেরে ফেললে? তিনি বললেন, জি হ্যাঁ। রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ কিয়ামত দিবসে যখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (কালিমা) নিয়ে আসবে, তখন তুমি কি করবে? তিনি আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! আমার মাগফিরাতের জন্য দু’আ করুন। রাসুল বললেনঃ কিয়ামত দিবসে যখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (কালিমা) নিয়ে আসবে তখন তুমি কি করবে? তারপর তিনি কেবল এ কথাই বলছিলেনঃ কিয়ামতের। দ্বীন যখন সে لاَ إِلَهَ إِلاَّ اللَّهُ (কালিমা) নিয়ে আসবে, তখন তুমি কি করবে? তিনি এর অতিরিক্ত কিছু বলেন নি।
হাদিস নম্বরঃ ১৮২ | 182 | ۱۸۲
পরিচ্ছদঃ ৪২. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উক্তিঃ “যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্রধারন করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”
১৮২। যুহায়র ইবনু হারব ও মুহাম্মাদ ইবনু মুসান্না, আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা এবং ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে সে আমাদের দলভূক্ত নয়।
হাদিস নম্বরঃ ১৮৩ | 183 | ۱۸۳
পরিচ্ছদঃ ৪২. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উক্তিঃ “যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্রধারন করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”
১৮৩। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও ইবনু নুমায়র (রহঃ) … সালামা ইবনু আকওয়া (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে তলোয়ার উত্তোলন করবে সে আমাদের দলভুক্ত নয়।
হাদিস নম্বরঃ ১৮৪ | 184 | ۱۸٤
পরিচ্ছদঃ ৪২. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উক্তিঃ “যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্রধারন করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”
১৮৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, আবদুল্লাহ ইবনু বাররাদ আল আশয়ারী ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) … আবূ মূসা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র উত্তলোন করবে সে আমাদের দলভূক্ত নয়।
হাদিস নম্বরঃ ১৮৫ | 185 | ۱۸۵
পরিচ্ছদঃ ৪৩. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উক্তিঃ “যে ব্যাক্তি আমাদের ধোঁকা দিবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”
১৮৫। কুতায়বা ইবনু সাঈদ এবং আবূল আহওয়াস মুহাম্মাদ ইবনু হাইয়ান (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি আমাদের বিরুদ্ধে অস্ত্রধারণ করবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়, আর যে ব্যাক্তি আমাদের ধোকা দিবে সেও আমাদের দলভূক্ত নয়।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৮৬ | 186 | ۱۸٦
পরিচ্ছদঃ ৪৩. নবী করীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর উক্তিঃ “যে ব্যাক্তি আমাদের ধোঁকা দিবে, সে আমাদের দলভুক্ত নয়”
১৮৬। ইয়াহইয়া ইবনু আইয়ুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্তূপীকৃত খাদ্যশস্যের পাশ দিয়া যাচ্ছিলেন। তখন তিনি স্তূপের মধ্যে হাত ঢুকালেন। তাঁর হাতের আঙ্গুলগুলো আদ্র দেখতে পান। তিনি বললেনঃ হে খাদ্যশস্যের মালিক! এটা কি? সে বলল, হে আল্লাহর রাসুল! এতে বৃষ্টি পড়েছিল। রাসুল বললেনঃ কেন তুমি ভিজা অংশ খাদ্যশস্যের উপরে রাখনি, যাতে লোকেরা তা দেখতে পায়। যে ব্যাক্তি ধোকা দেয় সে আমার সাথে কোন সম্পর্ক রাখে না।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৮৭ | 187 | ۱۸۷
পরিচ্ছদঃ ৪৪. (মৃতের শোকে) গাল চাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা হারাম
১৮৭। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা এবং নুমায়র (রহঃ) … আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যাক্তি (মৃতের জন্য) গাল চাপড়াবে, জামা-কাপড় ছিঁড়ে ফেলবে অথবা জাহিলী যুগের মত বিলাপ করবে, সে আমাদের দলভূক্ত নয়। ইবনু নূমায়ের ও আবূ বকর أَوْ شَقَّ এর স্থলে وَشَقَّ وَدَعَا বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৮৮ | 188 | ۱۸۸
পরিচ্ছদঃ ৪৪. (মৃতের শোকে) গাল চাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা হারাম
১৮৮। উসমান ইবনু আবূ শায়বা, ইসহাক ইবনু ইবরাহীম এবং আলী ইবনু খাশরাম (রহঃ) … আমাশ (রহঃ)-এর সুত্রে উপরোক্ত সনদে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন। তারা وَشَقَّ وَدَعَا বর্ণনা করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৮৯ | 189 | ۱۸۹
পরিচ্ছদঃ ৪৪. (মৃতের শোকে) গাল চাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা হারাম
১৮৯। আল হাকাম ইবনু মূসা আল কানতারী (রহঃ) … আবূ বুরদা ইবনু আবূ মূসা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আবূ মূসা (রাঃ) কঠিন রোগে আক্রান্ত হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। তার মাথা তার পরিবারের এক মহিলার কোলে ছিল। সে মহিলা চিৎকার করে উঠল। তিনি তাকে তা থেকে বাধা দিতে পারেন নি। যখন তিনি জ্ঞান ফিরে ফেলেন তখন বললেন, আমি তার থেকে সস্পর্কহীন, যার থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কছেদ করেছেন। যে ব্যাক্তি (মৃতের শোকে) সজোরে রোদন করে, কেশ মুন্ডন করে এবং কাপড় ছিঁড়ে ফেলে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার থেকে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।
হাদিস নম্বরঃ ১৯০ | 190 | ۱۹۰
পরিচ্ছদঃ ৪৪. (মৃতের শোকে) গাল চাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা হারাম
১৯০। আবদ ইবনু হুমায়দ ও ইসহাক ইবনু মানসুর (রহঃ) … আবদুর রহমান ইবনু ইয়াযীদ ও আবূ বুরদা ইবনু আবূ মূসা (রহঃ) এর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আবূ মূসা আশ’আরী (রাঃ) বেহুশ হয়ে পড়েন। তাঁর ন্ত্রী উম্মে আবদুল্লাহ চিৎকার করে কাঁদতে কাঁদতে তাঁর কাছে আসলেন। তারা বলেন, অতঃপর তিনি জ্ঞান ফিরে পেলেন এবং বললেন, তুমি কি জানো না? তারপর তিনি তাকে এ হার্দীস শোনান যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি সে ব্যাক্তি থেকে বিচ্ছিন্ন, যে ব্যাক্তি মাথার কেশ মুন্ডন করে, চিৎকার করে কান্নাকাটি করে এবং জামা-কাপড় ছিড়ে ফেলে।
হাদিস নম্বরঃ ১৯১ | 191 | ۱۹۱
পরিচ্ছদঃ ৪৪. (মৃতের শোকে) গাল চাপড়ানো, জামা ছিঁড়ে ফেলা এবং জাহিলী যুগের ন্যায় উচ্চঃস্বরে বিলাপ করা হারাম
১৯১। আবদুল্লাহ ইবনু মুতী, হাজ্জাজ ইবনু শাইর এবং হাসান ইবনু আলী আল হুলওয়ানী (রহঃ) … আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) থেকে এ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে রাবী ইয়ায আল আশ আরীর হাদীসে لَيْسَ مِنَّا (সে আমার দলভূক্ত নয়) কথাটি রয়েছে। তিনি بَرِيءٌ (তিনি বিচ্ছিন্ন) শব্দটি বলেন নি।
হাদিস নম্বরঃ ১৯২ | 192 | ۱۹۲
পরিচ্ছদঃ ৪৫. চোগলখুরী জঘন্যতম হারাম
১৯২। শায়বান ইবনু ফাররুখ ও আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মাদ ইবনু আসমা আয-যুবায়ী (রহঃ) … আবূ ওয়াইল (রহঃ) এর থেকে বর্ণনা করেন যে, হুযায়ফা (রাঃ) এর কাছে খবর পৌছল যে, এক ব্যাক্তি চোগলখুরী করে বেড়ায়। তিনি বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছিঃ কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৯৩ | 193 | ۱۹۳
পরিচ্ছদঃ ৪৫. চোগলখুরী জঘন্যতম হারাম
১৯৩। আলী ইবনু হুজর আল সা’দী ও ইসহাক ইবনু ইবরাহীম (রহঃ) … হাম্মাম ইবনু হারীস (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন যে এক ব্যাক্তি সাধারণ লোকজনের কথাবার্তা শাসনকর্তার কাছে পৌছাত। একদা আমরা মসজিদে বসা ছিলাম। উপবিষ্ট লোকেরা বলল এ সে ব্যাক্তি যে লোকের কথাবার্তা শাসনকর্তার কাছে পৌছায়। রাবী বললেন, এরপর সে উপস্থিত হল এবং আমাদের প্যশে বসে পড়ল। তখন হুযায়ফা (রাঃ) বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ কোন চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করবে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৯৪ | 194 | ۱۹٤
পরিচ্ছদঃ ৪৫. চোগলখুরী জঘন্যতম হারাম
১৯৪। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা এবং মিনজাব ইবনু হারিস তামীমী (রহঃ) … হাম্মাম ইবনু হারিস (রহঃ) এর সুত্রে বর্ণনা করেন যে, আমরা হুযায়ফা (রাঃ) এর সাথে মসজিদে বসা ছিলাম। তখন এক ব্যাক্তি হাযির হলো ও আমাদের সাথে বসে পড়ল। তখন হুযায়ফা (রাঃ) এর কাছে আরয করা হল, এ ব্যাক্তি শাসকের কাছে নানা বিষয়ে খবরাখবর পৌছায়। হুযায়ফা (রাঃ) তাকে শোনানোর উদ্দেশ্যে বললেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে বলতে শুনেছিঃ চোগলখোর জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৯৫ | 195 | ۱۹۵
পরিচ্ছদঃ ৪৬. কাপড় টাখনুর নিচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেওয়া ও শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যাক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা কথা বলবেন না, রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
১৯৫। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা, মুহাম্মাদ ইবনু মূসান্না ও ইবনু বাশশার (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যাক্তির সাথে কিয়ামত দিবসে আল্লাহ কথা বলবেন না। তাদের প্রতি তাকালেন না, তাদের পবিত্র করবেন না, আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। রাবী বলেন, তিনি এটা তিনবার পাঠ করলেন। আবূ যার (রাঃ) আরয করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ! এরা কারা? তিনি বললেনঃ এরা হচ্ছে- যে ব্যাক্তি টাখনুর নিচে ঝূলিয়ে কাপড় পরে, সে ব্যাক্তি দান করে খোটা দেয় এবং যে ব্যাক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে।
হাদিস নম্বরঃ ১৯৬ | 196 | ۱۹٦
পরিচ্ছদঃ ৪৬. কাপড় টাখনুর নিচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেওয়া ও শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যাক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা কথা বলবেন না, রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
১৯৬। আবূ বকর ইবনু খাল্লাদ আল বাহিলী (রহঃ) … আবূ যার (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যাক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ জন্য কথা বলবেন না। (১) খোটা দাতা যে ব্যাক্তি কিছু দান করেই খোটা দেয়, (২) যে ব্যাক্তি মিথ্যা শপথের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করে এবং (৩) যে ব্যাক্তি টাখনুর নিচে ঝূলিয়ে ইযার পরিধান করে।
বিশর ইবনু খালিদ (রাঃ) শু’বা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, আমি সুলায়মানকে এ সনদে হাদীসটি বর্ণনা করতে শুনেছি। তিনি বলেছেন, তিন ব্যাক্তির সাথে আল্লাহ জন্য কথা বলবেন না, তাদের প্রতি তাকাবেন না এবং তাদের (শোনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি।
হাদিস নম্বরঃ ১৯৭ | 197 | ۱۹۷
পরিচ্ছদঃ ৪৬. কাপড় টাখনুর নিচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেওয়া ও শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যাক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা কথা বলবেন না, রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
১৯৭। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যাক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তায়াআলা কথা বলবেন না, তাদের (গুনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না। রাবী আবূ মূআবিয়া বলেন, তাদের প্রতি তাকাবেনও না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি। (এরা হল) যিনাকারী বৃদ্ধ, মিথ্যাবাদী বাদশাহ ও অহংকারী দরিদ্র ব্যাক্তি।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)
হাদিস নম্বরঃ ১৯৮ | 198 | ۱۹۸
পরিচ্ছদঃ ৪৬. কাপড় টাখনুর নিচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেওয়া ও শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যাক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা কথা বলবেন না, রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
১৯৮। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা ও আবূ কুরায়ব (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তিন ব্যাক্তির সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাআলা কথা বলবেন না, তাদের প্রতি তাকাবেন না, তাদের (গুনাহ থেকে) পবিত্র করবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তি। (তারা হল) সে ব্যাক্তি, যে কোন প্রান্তরে তার প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি রাখে এবং মূসাফিরকে তা থেকে দেয় না, যে ব্যাক্তি আসরের (সালাত (নামায/নামাজ)-এর) পর কারো কাছে কোন পণ্য বিক্রি করে এবং আল্লাহর শপথ করে বলে যে, সে এত দামে কিনেছে আর ক্রেতা তার কথায় বিশ্বাস করে অথচ শপথকারী সে মুল্যে উক্ত পণ্য খরিদ করেনি। যে ব্যাক্তি পার্থিব ইমামের কাছে বায়আত করে এবং ইমাম যদি তার পার্থিব স্বার্থ পূর্ণ করে তবে সে ওয়াফাদারী করে; আর যদি পার্থিব স্বার্থ পূর্ণ না করে তাহলে সে ওয়াফাদারী করে না।
হাদিস নম্বরঃ ১৯৯ | 199 | ۱۹۹
পরিচ্ছদঃ ৪৬. কাপড় টাখনুর নিচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেওয়া ও শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যাক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা কথা বলবেন না, রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
১৯৯। যুহায়র ইবনু হারব এবং সাঈদ ইবনু আমর আল আশআসী … আমাশ এর সুত্রে এ সনদে অনুরুপ হাদীস বর্ণনা করেছেন। তবে রাবী জারীর বর্ণিত হাদীসে رَجُلٌ سَاوَمَ رَجُلاً (যে ব্যাক্তি তার পণ্যের ব্যাপারে অন্যের সাথে দামদর করে) কথাটির উল্লেখ আছে।
হাদিস নম্বরঃ ২০০ | 200 | ۲۰۰
পরিচ্ছদঃ ৪৬. কাপড় টাখনুর নিচে নামিয়ে পরা, দান করে খোঁটা দেওয়া ও শপথের মাধ্যমে মালামাল বেচাকেনা করা হারাম এবং সে তিন ব্যাক্তির বর্ণনা যাদের সাথে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্ তা’আলা কথা বলবেন না, রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের পবিত্র করবেন না। আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি
২০০। আমর আন নাকিদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে যতদূর সম্ভব মারফূহ সনদে [অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে] বর্ণনা করেন যে, তিন ব্যাক্তির সাথে আল্লাহ তা’আলা কথা বলবেন না, তাদের প্রতি রহমতের নযরে তাকাবেন না এবং তাদের জন্য রয়েছে মর্মন্তুদ শাস্তিা (তারা হচ্ছেন) যে ব্যাক্তি আসরের সালাত (নামায/নামাজ)-এর পর কোন মুসলমানের মালের উপর শপথ করে, তা আত্মসাৎ করে। হাদীসের বাকি অংশ আ’মাশের হাদীসের অনুরুপ।
বর্ণনাকারী রাবীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ)