পটলা সমগ্র ১
পটলা সমগ্র ২

হোঁৎকার বুদ্ধি

হোঁৎকার বুদ্ধি

পটলার ঠাকুমার ব্রত উদযাপন, বুড়ির টাকার অভাব নেই, ছেলেরা সকলেই বেশ উপযুক্ত হয়ে উঠছে।

নিজেদের দু-তিনটে কারখানা, পৈত্রিক ব্যবসা আর কুলেপাড়া সি-আই-টি অঞ্চল যখন ছিল হোগলাবনে ঢাকা জলা তখন পটলার ঠাকুর্দা জলের দরেই প্রচুর জমি কিনে রেখেছিলেন, আজ সেখানে লাখ টাকা কাঠা, তেমনি জমজমাট এলাকায় খানতিনেক বিরাট বাড়িও তুলেছে। ভাড়া যা আদায় হয় তাও কম নয়।

তবু পটলার ঠাকুমা সেই সাবেকি বাড়িতেই রয়েছে ছেলেদের নিয়ে। বিরাট বাগান-পুকুর, তার পাশে মন্দির, নাটমন্দির, বনেদি বাড়ির ব্যাপার সবই রয়েছে।

বুড়ি গুরুদেবের জন্মোৎসবে তিনদিন ধরে নামকীর্তন বসিয়েছে। আর ব্রাহ্মণ ভোজন-এর বিরাট আয়োজনও করেছে। কাঙালী ভোজন হবে এর পর।

বাড়িতে এতবড় কাজ, পটলার ঠাকুমা তাই আমাদের পঞ্চপাণ্ডব ক্লাবের ছেলেদেরও ডেকে বলেন,—ওরে হোঁৎকা – তোদের সব দেখাশোনা করতে হবে বাপু। এতবড় যজ্ঞিবাড়ির কাজ, পরিবেশনের ব্যাপার, তোরাই সামলা। কিরে পারবি তো?

জানি পটলা আমাদের ক্লাবের সেক্রেটারি কাম কামধেনু। যখন তখন দুধ জোগায় আর সেটা আসে ঠাকুমার ফান্ড থেকেই। তাই হোঁৎকা তার দেশজ ভাষায় বলে। -ভাবতি হইব না ঠাকমা, সব এক্কেবারে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ম্যানেজ কইরা দিমু। দেখবেন অনে—

ঠাকুমা ভরসা পায়-তাই কর ভাই। তোদের ভরসাতেই তো একাজে নেমেছি। ওই সরকার-ম্যানেজার থেকে চাকর ঠাকুর অবধি সব্বাই চোর। দেখিস যেন বদনাম না হয়। দায়িত্ব এখন আমাদের। পটলার ছোটকাকা বলেন, মায়ের বানর সেনা এখন ফিট হয়ে গেছে। দেখবে দাদা, সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।

বাজারের ফর্দ নিয়ে বের হয়ে গেলাম, হোঁৎকা-গোবরা এদিকে এক্সপার্ট। আমি ফটিক লেগেছি ডেকরেটার-এর পিছনে। কাজ চলছে। গোমস্তা শশী ঘোষের মুখখানা হাঁড়ির মত গম্ভীর হয়ে যায়। বলে সে-ঠাকুমা, আমরা কি নেই? ওরাই সব করছে।

শশী ঘোষকে আমরা চিনি। পটলাদের বাজারের সরকার। ওর নামে অনেক নালিশ শুনি দোকানী, ব্যাপারীদের কাছে।

ঠাকুমা বলেন- ছেলেরাই করুক। তুমি বাপু দেখাশোনা করো। রান্নার দিকটা সামলাও। শশী গোমস্তা মুখ ব্যাজার করে বলে- ঠিক আছে। ওই কোথা থেকে হালুই ঠাকুর লোকজন এনে তদারক করছে। যজ্ঞের ভিয়েন বসেছে।

পুষ্পান্ন, ডাল, ছানার ডালনা, পটলের ডালনা, চাটনি, দই আর সন্দেশ, রসগোল্লা। মিষ্টির ব্যাপারে শশী ঘোষ বলতে যাবে—

—ওটা সত্যনারায়ণ মিষ্টান্ন ভাণ্ডারকে বলে দিই।

হোঁৎকা বলে—না ঠাকুমা। কারিগর আনাই ঘরেই বানামু। খাঁটি জিনিস হইব। ঠাকুমা বলেন—তাই ভালো।

শশী ঘোষ-এর মুখ গোদা হয়ে ওঠে।

আমি বলি—হোঁৎকা, কেসটা ভালো মনে হচ্ছে না। শশী ঘোষ-এর ভাতে হাত দিচ্ছিস। পটলা বলে—ঠি-ঠিক করেছিস। ও ক-কমিশন মারে। ত-তোরাই সব করবি ক-কাকা বলছিল।

পুষ্পান্ন অর্থাৎ উৎকৃষ্ট গোবিন্দভোগ চালের নিরামিষ পোলাও, ঠাকুমার জন্যে পটলার বাবা একেবারে খুরদা থেকে টিনবন্দি আসল খাঁটি গাওয়া ঘি আনিয়েছে। দেবতার ভোগ হবে ওই ঘৃতপক্ক পুষ্পান্ন দিয়ে আর সেই ভোগই দেওয়া হবে নিমন্ত্রিতদের।

শশী ঘোষ-এর স্বভাবের খবর পটলার ছোট কাকাও জানে। তাই নিজেই রয়েছে ভোগ মন্দিরে। ঠাকুমা বলে—ওরে বিভু যেন ঘিয়ের কার্পণ্য করিস না বাবা। ছোটকাকা বিভূতিবাবু বলে—আমি রয়েছি মা। কিহে শশী ভোগ ঠিক হবে তো?

শশীর মন-মেজাজ ভালো নেই। এত বড় কাজ—তার থেকে কিছু কমিশন সে পেত, কিন্তু সব পথই বন্ধ করেছে ওরা। শশীর সামনে মালিক রয়েছে। শশী বলে—আজ্ঞে!

ভোগরাগ-এর পর নিমন্ত্রিতরা বসেছে প্রসাদ পেতে, বহু মান্যগণ্য বিশিষ্ট অতিথিই রয়েছে। প্রসাদ দেওয়া হল—উচ্ছিষ্ট ঘৃতপক্ক পুষ্পান্ন—পটলার বাবা-ঠাকুমা-ছোটকাকাও রয়েছে। আমরা পরিবেশন করছি। পুষ্পান্ন হাতায় তুলে পাতে দিয়েই অবাক হই, কোথায় পুষ্পান্ন—ঘিয়ের লেশমাত্র নেই—একেবারে রং-করা যেন পিণ্ডির ড্যালা। মুখে দিয়ে সকলেই থ!

ঠাকুমা বলে—একি রে! এই তোমাদের পুষ্পান্ন—ঘিয়ের লেশগন্ধ নেই, এ যে অখাদ্য রে! অ বিভু—

বিভূতিবাবু হাঁক পাড়ে—ঠাকুরমশাই, এ কি রান্না করেছেন? ঘিয়ের খোশবু নেই—পিণ্ডির

ড্যালা।

ঠাকুর হুঁকো খাচ্ছে, বলে—ঘি তো আপনার সামনেই দিলাম।

শশী বলে—আপনি তো বরাবরই রসুইখানাতেই ছিলেন, নিজের চোখে দেখলেন প্রায় পাঁচসের টিন করে ঘি ঢেলেছি এক এক হাঁড়িতে। তা সত্যি। বিভূতিবাবু উনুনে চাপানো বড় বড় রান্নার হাঁড়িতে ঘি তো ঢেলেছে।

তাই বলে বিস্মিত কণ্ঠে-তাই তো। ঘি তো দেওয়া হয়েছে মা ।

-তাহলে এত বাজে হল কেন? অখাদ্য হয়ে গেল। ঠাকুমা লজ্জায় দুঃখে যেন কেঁদে ফেলবে। আমরাও অবাক হই। শুধু হোঁৎকা বলে—হালায় গ্যাড়াকল কোথাও হইছে নির্ঘাৎ। নিমন্ত্রিতরাও ওই পিণ্ডির ড্যালা খেতেও পারে না ফেলতেও পারে না। কোনরকমে উঠে পড়লো। যা বলার তা আড়ালেই বলবে সেটাও বোঝা গেল ওদের হাবভাব দেখে।

ঠাকুমা বলে—এ কি সব্বোনাশ হয়ে গেল রে তোরা থাকতে! শশী গোমস্তা শোনায়—ছাগল দিয়ে যত মাড়াই হয় না গিন্নীমা, আপনি ভার দিলেন ওই চ্যাংড়াগুলোর হাতে। এখন কি কাণ্ড হল বলুন তো।

ঠাকুমা বলে পটলার বাবাকে—ওরে কিশোরী—আজ ওদের খাওয়া হল না, কাল দয়া করে আসতে বল, কাল দুপুরে প্রসাদ পাবেন ওরা। শশী, তুমি কাল ব্যবস্থা করবে।

পটলার ছোটকাকা বলেন—না, মা। উনি যেমন আছেন থাকুন। আমিই দেখবো কি করে পোলাও পিণ্ডি হয়ে যায়।

ভাবনার কথা। এত উদ্যোগ আয়োজন পণ্ড হয়ে গেল। অতিথিরা ফল মিষ্টি দই ইত্যাদি দিয়ে আহার সেরে উঠলেন। কান্না ভিজে চোখে ঠাকুমা বলে—ওরে হোঁৎকা, পটলা, ওই পিণ্ডির ড্যালা কাঙালীদের দিয়ে দে!

তারাও যে খুব হাসিমুখে ওই বস্তু নিচ্ছে তা মনে হল না। কয়েক হাঁড়ি ওই জমাট পোলাও নামক বস্তু কুকুর-গরুর পেটেই গেল আর কিছু ফেলা গেল। আমাদেরও মাথা হেঁট হয়ে গেল। আমরা যে কোনো কাজের নই কেবল হৈ চৈ করতে পারি সেইটাই সর্বসময়ে প্রমাণিত হয়ে গেল। পটলার বাবা বলেন, এবার আমরাই দেখছি, পটলার বন্ধুদের বল পরিবেশন করে দেবে।

অর্থাৎ আমরা আজ আউট। ঠাকুমার কাছে কিছু জানানো যেত সামনের মরশুমে সে আশাও এখন আর নেই ।

পটলাদের বাগানের পুকুর ঘাটে বসে আছি পঞ্চপাণ্ডব ক্লাবের সভ্যবৃন্দ। মুখ চুপসে গেছে। আমিই শুধাই–এ কাণ্ড হল কী করে?

পটলারও প্রেসটিজ পাংচার হয়ে গেছে। বলে সে—ত তরা কিছু করতে পারলি না শ-শশী গোমস্তাই জিতে গেল রে।

হোঁৎকা কি ভাবছে। ফটিক বলে-ঘি-টাই খারাপ ছিল। একদম বাজে।

গোবর্ধন মামার দোকান চালায়। মাল চেনে সে। গোবরা বলে—উঁহু। ঘিটা এক নম্বর খুরদা। খাঁটি মাল। ওই পোলাও-এ পড়েই নি ।

পটলা বলে—ছ-ছোট কাকা দাঁড়িয়ে থেকে ঘ-ঘি দিতে দেখেছে।

পটলার মনেও বেশ উত্তেজনা। কারণ তার জিবটা এখন আলটাকরায় বারে বারে ঠেকে যাচ্ছে। হোঁৎকা বলে—হালায় কাল দেখুম।

শুধোই—কি দেখবি। কাল আবার কি রান্না হবে কে জানে। তাই বলছি কাল রান্না তদারকিতে গিয়ে কাজ নাই, পরিবেশন করে দেব।

হোঁৎকা গর্জে ওঠে—হালায় এতবড় সব্বোনাশটা যে করতিছে তারে ছাইড়া দিম হোঁৎকারে চিনস না ।

ঠাকুমা আজও অতিথি ভোজনের ব্যাপার রেখেছে, যেভাবে হোক কালকের মত “না যেন না ঘটে।

ছোটকাকাবাবু সকাল থেকেই সজাগ।

শশী গোমস্তা রাঁধুনি ঠাকুরদের সর্দারকে গলা তুলে শাসায় — আজ রান্না এতটুকু বেতাল হলে তোমাদের একদিন কি আমারই একদিন। হুঁকো-তামাক সবই দিয়েছি, ডবল রেট দিচ্ছি—এসব কেন হবে।

ঠাকুররাও বলে—ঘি-টা বোধহয় খারাপই ছিল গোমস্তা মশায়। নাহলে ছোটবাবু স্বচক্ষে দেখলেন এত এত ঘি দিলাম, কোনো খুশবু হল না ।

পটলার বাবা বলেন—এক নম্বর খুরদা। দ্যাখো—ঘি ঠিকই আছে।

রান্না শুরু হয়েছে ওদিকে। বড় বড় উনুনে বিরাট হাঁড়ি চেপেছে, রকমারি মশলা কোটা হচ্ছে, আনাজপত্র ধুয়ে কড়াই-এ চাপানো হচ্ছে। আগে এসব হয়ে গেলে ওদিকের তিনটে উনুনে পুষ্পান্নের জন্য হাঁড়ি চাপবে। তার আগে এসব কাজ চুকিয়ে ফেলতে চায় ওরা।

আমাদের এখন কোনো কাজ নেই। বাগানে বসে আছি। পটলারও মনে সুখ নেই। ওদিকে রান্নার চালায় কাজকম্ম চলেছে ।

শশী গোমস্তা এদিক ওদিকে তদারক করছে—একবার আমাদের দিকে চেয়ে ওর ঝাঁটা গোঁফে হাসির ঝিলিক তুলে বলে—এখানে কী হচ্ছে বাবুরা ?

জবাব দিই না। পটল বলে—ওরই যত রাগ আমাদের উপর।

হোঁৎকা আজ ব্যস্ত। রান্নার চালায় কোমরে গামছা বেঁধে বসে পড়েছে হামানদিস্তা নিয়ে মশলা পিষতে। ঘুড়িতে মাঞ্জা দেবার জন্য হামানদিস্তায় কাচ গুঁড়ো করা তার অভ্যাস, এখানে তাই রান্নার কাজের সহকারীকে বিশ্রাম করতে দিয়ে নিজেই লেগেছে ওখানে। খালি গায়, গামছা বেঁধে একেবারে হালুইকরদের দলে ভিড়ে গেছে।

বেলা হয়ে গেছে। রান্নার সব আইটেমগুলো নেমেছে। শশী গোমস্তা বলে—সব দেখে নিন ছোটবাবু।

ছোটকাকা বলে—না ঠিক আছে। শশী বলে-কাল ওই ছেলেগুলোকে রান্নার তদারকিতে দিয়েই এসব হয়েছে।

তারপর শশী গলা নামিয়ে বলে। কাল ঘিয়ের একটা টিনই সরে গেছল ছোটবাবু। অর্থাৎ আমাদের দলই যে ঘিয়ের টিন সরিয়েছে সেটা প্রমাণ করতে চায় ।

পটলার ছোটকাকা আমাদের চেনেন। তিনি বলে—না, না। ওরা তেমন নয়। দুষ্টুমি করে তাই বলে চুরি—না-না।

কর্মরত হোঁৎকা মাথায় গামছা বেঁধে হামানদিস্তা ঠুকছে আর শুনছে ওর কথাগুলো। ইচ্ছে করে শশীর মাথায় হামানদিস্তার ডাণ্ডাটাই ঠুকে দেবে, আপাতত সেটা করে না।

পুষ্পান্ন রান্না হবে। বড় বড় তিনটে হাঁড়ি চেপেছে। গোবিন্দভোগ চাল-এর খোশবু ওঠে–কিসমিস, কাজু, এলাচ, লবঙ্গ, দারুচিনি, সাজিরে জায়ফল জৈত্রী রকমারি মশলাও দেওয়া হয়েছে।

শশী বলে—ছোটবাবু, দেখুন ঘি দেওয়া হচ্ছে কিনা, পরে দোষ দেবেন না। আমার তো বদনামের কপাল! কাল কারা কি করল—দোষী হলাম আমি। দাও ঠাকুর—ঘি ঢালো। সব হাঁড়িতে প্রথমে দাও চার কেজি করে—পরে আবার দেবে।

দাঁড়ান ছোটকাকা, এদিকে আসেন। ঠাকুরমশায় সইরা যান। শশী চমকে ওঠে। ছোটকাকাও এবার হোঁৎকাকে মাথার গামছা খোলা অবস্থায় খালি গায়ে দেখে অবাক হন। –তুমি ! এখানে ! হোঁৎকা গর্জে ওঠে—হালাগোর খেল দেখত্যাছি। আসেন দেখেন, ঘি যে এত ঢালছে কনে গেল।

ছোটকাকা—পটলার বাবা খোদ বড়বাবু–ঠাকুমাও এসে পড়ে। দেখা যায় ওই প্রতিটি বড় হাঁড়ির মধ্যে একটা করে ছোট হাঁড়ি রয়েছে পোলাও এর চাল মশলার উপর, আর হড় হড় করে যে ঘি ঢালা হয়েছে তা পোলাও এর চালমশলায় পড়েনি, সব পড়েছে ওই হাঁড়িতে, হাঁড়িটা তুলে পটলা বলে-

দেখেন—হলোগোর ঘি চুরি করার কৌশল। বিবাক ঘি সইরা যায়, আর তাই কাল পোলাও হইছিল পিণ্ডির ড্যালা—কি গোমস্তা মশাই, কাল গোপালের দোকানে বিশ কেজি ঘৃত বেচেন নি? কন্—পোলাও-এর চারটে হাঁড়ি থেকেই ওইরকম ঘি ভর্তি মিনি হাঁড়িগুলো বের হল। শশী তখন আমতা আমতা করে–না, মানে ওই রান্নার ঠাকুরদেরই কাজ। ঠাকুরদের সর্দার বলে–আপনিই তো বললেন—ঘি পরে দেওয়া হবে। তারপর— ঠাকুমা এবার ব্যাপারটা দেখে গর্জে ওঠে। তোমার এই কাণ্ড শশী!

শশী তো ঠাকুমার চরণে তখন বডি থ্রো করেছে।

সেদিন অতিথিরা পরিতৃপ্ত করে খেয়ে ওঠে। ঠাকুমা বলে-ওরে পটলা, তোর বন্ধুদের জন্যেই মুখরক্ষা হল, নাহলে শশী আজও এই কেলেঙ্কারি করত।

হোঁৎকা বলে–ঠাকমা, এবার ফুটবল টিমের জন্য কিছু টাকা লাগবো, ফান্ড তো নীল! শূন্য হই আছে।

ঠাকুমা বলে—পরে আসবি। এখন খা ভালো করে। ওরে এখানে কমলাভোগ দে—আর সন্দেশ।

খাওয়াটাও জোর হয়েছিল, তবে হোঁৎকার দুঃখ নিরামিষ্যি।

পটলা বলে—চ-চপ-ক-কাটলেট চাইনিজ একদিন হবে পরে!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *