নতুন নাতিনী, সুচারু হাসিনী, মধুর ভাষিনী ললনা,
হলুদে চুনেতে মিশাতে কিছুতে হয় না তাহার তুলনা।
তাহার নাসাতে কি যেন ভাষাতে ভোমর গাহিছে গহনা,
যুগল আঁখির কাজল দীঘির নীরে বিজলীর নাহনা।
জোড়া সে ভুরুতে যুগল ধনুতে চাহনী-তীর যে যোজিত,
যাহার উপরে হানিবে সেহরে হইবে জীবনে বষিত।
যুগল মালীকা গেঁথেছে বালিকা যেন বা দুইটি বাহুতে,
হেরি অধরিমা-মুখ-চন্দ্রিমা হয়তো গ্রাসিবে রাহুতে।
চলনে বলনে ছলনে খেলনে ঝলকে পলকে কবিতা,
পাহাড় গলিত নাহার নাচিত যদিবা শুনিত কিছু তা।
যদি সে আকাশে দাঁড়াত সহাসে চাঁদ এসে দশ নখেতে,
দশ গ্রহে তারা আলোকের ধারা ছড়াত মনের সুখেতে।
উড়ুয়া জাহাজে চড়িনা তাই যে গাটের পয়সা ভাঙিয়া,
তাহারে দেখিতে যাই যে চকিতে সুদুর আকাশে উড়িয়া।
সে যাহার গলে ও বহুযুগলে পরাবে প্রণয় মালীকা,
কি তার সাজারে ঘুরিবে বাজারে লইয়া দ্রব্য তালিকা,
হংসগামিনী টলে যে মেদিনী তাহার পায়ের আঘাতে,
যে দেখে তাহারে মরে সে আহারে তাহার রুপের প্রভাতে।
নামেতে হেলেনা কথা যে মেলে না বাখানিতে তার গীতি হে,
কবি হীনমতি মানি অখ্যাতি এখানে লিখিনু ইতি যে।