হুমায়ুন আজাদ
বাংলাদেশের লেখক হুমায়ুন আজাদকে প্রথাবিরোধী বলে কেউ কেউ। হুমায়ুন আজাদ প্রথাবিরোধী ছিলেন না, তিনি একটা কট্টর পুরুষতান্ত্রিক লোক ছিলেন। পুরুষতান্ত্রিক প্রথায় তিনি গভীর বিশ্বাসী ছিলেন এবং প্রথামত জীবন যাপন করেছেন। তিনি গৃহের কর্তা ছিলেন এবং সন্তানদের নামের শেষে তিনি নিজের পদবী জুড়ে দিয়েছেন। তিনি নারীবিদ্বেষী ছিলেন। নারীদের যৌনবস্তু হিসেবে দেখতেন। স্ত্রীর আড়ালে তিনি ঘরের বাইরে অন্য নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত থাকতেন। তিনি রক্ষিতাও পুষতেন। তিনি প্রচণ্ড মিত্থুক লোক ছিলেন। আমি নাকি তাঁকে যৌন সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। এই মিথ্যে কথা বলে তিনি সবার সামনে দাঁত কেলিয়ে হাসতেন। আমি তখন নারীবাদী সংগ্রামী লেখক, আমাকে নিয়ে অপমানজনক এবং মিথ্যে বলতে লোকটির লজ্জা হয়নি। তিনি প্রায়ই প্রতিষ্ঠিত লেখক লেখিকা সম্পর্কে অশোভন এবং অশ্লীল মন্তব্য করতেন। নারী সম্পর্কে তাঁর উক্তি বরাবরই ছিল বড় কুৎসিত এবং নোংরা। আমার নারীবাদী কলামের জনপ্রিয়তা দেখে তাঁর এমনই লোভ হতো যে নারী নিয়ে একটা বই লিখে ফেললেন। নারী বইটি তার কোনও মৌলিক বই নই। এটি পৃথিবীর নারীবাদীরা যা যা এতকাল বলেছেন, তা শুধু অনুবাদ করে নিজের ভাষায় বর্ণনা করেছেন মাত্র। হুমায়ুন আজাদ ব্যক্তিজীবনে একটা মিথ্যুক, লম্পট, চরিত্রহীন লোক ছিলেন। তিনি পুরুষতান্ত্রিক স্তাবক নিয়ে সবসময় ঘোরাফেরা করতেন।
হুমায়ুন আজাদ কিছু ভালো বই লিখেছেন। কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু তাঁর পাক সার জমিন বইটি একটি অত্যন্ত নিম্ন মানের উপন্যাস। এ ব্যাপারেও কোনও সন্দেহ নেই। যারা এই বইটির প্রশংসা করে, তারা হয় বইটি পড়েনি, নয়তো তারা সাহিত্য কাকে বলে জানে না।
হুমায়ুন আজাদকে যারা জানে ভালো করে তারা মুখ বুজে থাকে, কারণ তাঁর ওপর মৌলবাদী আক্রমণ হওয়ার পর তিনি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। জনপ্রিয় নারী-লেখকের বিরুদ্ধে কুৎসা রটাতে কারও আপত্তি নেই, কিন্তু জনপ্রিয় পুরুষ-লেখক সম্পর্কে একটি অপ্রিয় সত্য কথা বলতেও মানুষের দ্বিধা।
হৃদপিণ্ডের কোনও অসুখ না থাকা সত্ত্বেও কী কারণে হুমায়ুন আজাদের হঠাৎ হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ হলো এ নিয়ে কেউ কি জানতে চেয়েছে? পোস্টমর্টেম রিপোর্ট কী বলে। জার্মানির কিছু লোক তো বলে অতিরিক্ত মদ্যপান এবং উত্তেজক দ্রব্য সেবন তাঁর হৃদপিণ্ডের ক্রিয়া বন্ধ করেছে।
হুমায়ুন আজাদের সঠিক মূল্যায়ন হওয়া উচিত। নবীন আঁতেলরা তাঁকে ঈশ্বরের জায়গায় বসিয়ে পুজো করছে। কিন্তু লোকটি যে একটা ইতর শ্রেণীর লোক ছিল, তা মানুষের জানা উচিত।