হাঁচিবাবু – বিমল কর
পুরোনো দিনের গল্প হচ্ছিল। মহাদেব আর সিধু চা চুরুট খেতে খেতে গল্প শুনছিল আর হাহা হোহো করেছিল। ওরা আমার চেয়ে বয়েসে অনেকটাই ছোটো। আমার আশি ছাড়িয়েছে, ওরা এখনও সত্তর ধরেনি। দুজনেই আমার প্রতিবেশী; কাছাকাছি পাড়ায় থাকে। মাঝে-মাঝে হাজির হয় আমার বাড়িতে গল্পগুজব করতে। সন্ধেবেলায় আড্ডাটা মন্দ হয় না।
জানকীবাবু—জান কী সিংহ-র গল্পটা শেষ হওয়ার পর ওরা দু’জনে হাসতে হাসতে বিষম খেয়ে গেল। হাসি আর থামে না। আমিও হাসছিলাম।
”হাসছেন যে! মিথ্যে বলেছি?”
”না, না, তোমার কথায় মনে পড়ে গেল। হাঁচিবাবু!”
শেষে দম নিয়ে সিধু বলল, ‘আটখানা পাঁঠা আর পঞ্চাশটা পান্তুয়া খেয়ে যে-লোকটা হজম করতে পারে সে তো রাক্ষস! ডেনজারাস।’
আমি মুচকি হেসে বললাম, ‘একটু বাড়াবাড়ি হয়ে গেল। ঠিক আটখানা পাঁঠা হয়তো নয়, তবে সের দু’আড়াই রান্না মাংস তো হবেই। আর সে-মাংস একেবারে লঙ্কার রঙে রক্তবর্ণা।’
‘ভয়াবহ।’
‘আরো ভয়াবহ না-হলে কি জানকী সিংহ পাড়ায় বাবুদের শখের থিয়েটারে রাবণ সাজে! না, রাম-রাবণের যুদ্ধের বেলায় স্টেজে রামকে এমন এক থাপ্পড় মারে যাতে রামের গালের চোয়ালই তুবড়ে যায়।’
মহাদেব প্রথমে আঁতকে উঠল, তারপর বলল, ‘রাম বোধ হয় মাংসটা রান্নার সময় লঙ্কা বেশি দিয়ে ফেলেছিল।’
আমরা হেসে উঠলাম।
হাসি থামলে আমি বললাম, ‘যাই বলো, আগেকার দিনে, ছেলেবেলায়, আমাদের মফস্বল শহরেও বুড়োদের বৈঠকি আড্ডা যা দেখেছি—উঁকিঝুঁকি মেরে—সেসব আর কোথায়! সত্যি বলতে কি, বৈঠকখানার আড্ডাই উঠে গেল কোথায় সেই মজলিস হে! এখন সবই ‘ভালো আছেন তো’—বলেই শেষ। ওপর-ওপর ভদ্রতা।’
মহাদেব বলল, ‘তা ঠিক। তবে মানুষও কত বদলে গিয়েছে, দাদা। মজাদার লোক ক-টা আর পাবেন!’
মাথা নেড়ে সিধু বলল, রসিকতার গলায়, ‘জীবজগতে কত প্রাণী লুপ্ত হয়ে যাচ্ছে শুনি। ওটাও সেইরকম, যা আছে তাও কি থাকবে শেষপর্যন্ত! আই ডাউট!’
সিধুর ‘আই ডাউট’ কথায় আমার আচমকা হাঁচিবাবুর কথা মনে পড়ে গেল। মনে পড়তেই হেসে ফেললাম।
‘হাসছেন যে! মিথ্যে বলেছিল?’
‘না, না, তোমার কথায় মনে পড়ে গেল। হাঁচিবাবু!’
‘হাঁচি-বাবু! মানে? হাঁচিবাবু নাম হয় নাকি?’
‘হয়। মানে, হয়েছিল। আসল নাম তুলসীচরণ পাল। লোকে তুলসীচরণ নামটা ভুলে সবাই হাঁচিবাবু বলে ডাকত। পাড়ায়, অফিসে, বাজারে, বন্ধুদের আড্ডায়। এমনকী, ওঁর বাড়ি দেখাতে হলে বলতে হত হাঁচিবাবুর বাড়ি,
তুলসীবাবু বললে বুঝতে পারত না।’
মহাদেব চুরুট ফেলে দিয়ে বলল, ‘বুঝেছি ; যেমন ছাতুবাবু, লাটুবাবু! অরিজিনাল লোকে জানে না, চালু নামটাই বোঝে।’
সিধু বলল, ‘দাদা, হাঁচির গল্পটা একটু বলুন না, শুনি।’ বলে দেওয়ালঘড়ির দিকে তাকাল ‘মাত্তর সাড়ে সাত, সন্ধেই বলল; হাতে সময় আছে, বলুন তো গল্পটা।’
আমি সামান্য চুপ করে থাকলাম। যেন পেছন দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করলাম হাঁচিবাবুকে। মনে আছে, তবে সব আর স্পষ্টভাবে মনে করতে পারি না। এ তো কম দিনের কথা নয়, বছর সত্তর তো হবে, আমরা তখন বারো-তোরো বছরের হাফপ্যান্ট-পরা ছেলেছোকরা, গুরুজনদের কাছে বাঁদর, মাস্টারমশাইদের কাছে গর্দভ। তাতে দুঃখ পাওয়ার কোনও কারণ ঘটেনি আমাদের।
পুরনো কথা মনে মনে সাজিয়ে হাঁচিবাবুর গল্পটা বলতে শুরু করলাম।
‘একটা ভূমিকা সেরে নিই আগে—’ আমি বললাম, ‘আমাদের নাবালক বয়েসে, মফস্বল শহরে যেখানে থাকতাম সেটা একেবারে ছ্যা ছ্যা করার মতন নয়। রেলস্টেশন, বাজারপাড়া, অ্যাংলো কলোনি, রেলের সিনেমা হাউস, হাই স্কুল, ছোটো হাসপাতাল—সবই ছিল। আর ছিলেন জহর মল্লিক, জহরলাল মল্লিক। ওকানকার দুপুরুষের বাসিন্দে। বাঙালিদের গার্জেন বলতে পারো। মোটামুটি ধনী লোক। জমিজায়গা ছাড়াও কিছু কারবার ছিল মল্লিকদের। ওঁদের বাড়িতে দুর্গাপুজো কালীপুজো হত বড়ো করে। তখনকার দিনে জাঁকজমক বলতে যা বোঝায় ততটাই হত। তা এই মল্লিকবাবুর দোতলা বড়ো বাড়ির নীচের তলায় একটা ঘরে পাড়ার বয়স্কদের আড্ডা মজলিশের আসর বসত। বারো মাসই। তাস পাশা দাবা খেলা থেকে শুরু করে নাটকের রিহার্সাল পর্যন্ত। বাবুদের শখের নাটক আর কী!
‘তা মাঝে-মাঝে এখানে আবার নানান মজাদার কম্পিটিশনও হত। যেমন ধরো, পাথরের টুকরো সাইজের কাঁচা বরফ, মানে গুঁড়ো বরফ বা বরফ জল নয়—আস্ত টুকরো বরফ মুখে করে বসে থাকতে হবে। মল্লিক জ্যাঠামশাই ঘড়ি ধরে বসে থাকবেন। মুখ থেকে বরফ বের করলেই খারিজ হয়ে গেল। কনকনে ঠান্ডা বরফের টুকরো মুখে পুরে কতক্ষণ আর বসে থাকা যায়! দাঁতের সর্বনাশ হয়ে যেত। তবু কেউ জিতে যেতেন, বাকিরা বাড়ি গিয়ে গরম নুন জলে কুলকুচো করতেন।’
সিধু বলল, ‘এসব কার মাথা থেকে বেরোত, দাদা? মল্লিকমশাই?’
‘হ্যাঁ। তবে অন্য মাথাও থাকত।’
‘হাঁচিবাবুর গল্পটা বলুন,’ মহাদেব বলল, ‘হাঁচি কাশি এগুলো অনেক বেটার। বরফ মুখে দিয়ে বসে থাকলে পরের দিন দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়ে দু-তিনটে দাঁতই হয়তো বাতিল করতে হবে।’
আমি আর গল্পের ডালপালায় না-গিয়ে সরাসরি হাঁচিবাবুর কাহিনিই শুরু করলাম।
বললাম, ‘কার মাথা থেকে বুদ্ধিটা বেরিয়েছিল জানি না। হঠাৎ একদিন শুনলাম, মল্লিক জ্যাঠামশাইয়ের বাড়িতে নস্যি কম্পিটিশন হবে। খবরটা কেমন করে রটল, কে জানে! …তা সে যাই হোক, নস্যি কম্পিটিশনে লড়তে নামছেন পাঁচজন। উকিলবাড়ির মানিকবাবু ; রেলপাড়ার যোগেশ গার্ড, মানে মালগাড়ির গার্ড ছিলেন উনি; বাজার থেকে আসছেন নন্দীবাবু ; হীরাপুর থেকে অবলা চ্যাটার্জি। আমাদের পাড়া থেকে আসরে নামবেন তুলসীচরণ, পরে যিনি বিখ্যাত হয়ে উঠলেন হাঁচিবাবু নামে।’
‘আমার বেশ মনে আছে, কালীপুজোর আগের দিন-মল্লিক জ্যাঠামশাইয়ের বাড়ির বাইরে শামিয়ানা টাঙিয়ে আসর বসানো হয়েছিল। শামিয়ানা বাঁধা হয়েছিল কালীপুজোর জন্য। আগেই বলেছি, মল্লিকবাড়িতে দুর্গাপুজো, কালীপুজো হত বরাবর। লোকজন আসত ঠাকুর দেখতে, প্রণাম জানাতে।’
‘তা এবার অন্য একটা কাণ্ড যোগ হয়ে গেল। এ পাড়া-ওপাড়া থেকে লোক তো জমবেই। একেবারে খোলাখুলি আসরে লড়াই জমানো হবে। পাড়ায় পাড়ায় একটা চাপা রেষারেষি তো থাকেই। মল্লিকবাবু বলে দিয়েছিলেন, কম্পিটিশনে যাঁরা আসবেন, সবাই যেন যে-যার নিজের ব্র্যান্ডের নস্যির কৌটো নিয়ে আসেন, আর রুমাল। সঙ্গে নিজেদের সাঙ্গোপাঙ্গ আনতে পারেন, মায় ঢাক-ঢোল পর্যন্ত। তবে বিচারটা হবে আমাদের পাড়ার ভজনবাবুকে সামনে রেখে। যাঁরা আসবেন, তাঁরা নিজেদের লোকও আনতে পারেন হাঁচি গোনার জন্য। নো বেইমানি, নো চুরিজোচ্চুরি।’
সিধু বলল, ‘বাঃ, ও তো ইলেকশান টাইপ।’ বলে হাসতে লাগল।
‘তারপর শোনো কী কাণ্ড হল। …সন্ধে তখনও হয়নি। সামান্য শীত পড়েছে।
কালীপুজোর মুখে আমাদের ওখানে শীত এসে পড়ত, শুরু হত শীতের। পেট্রম্যাক্স বাতি জ্বালানো হল আসরে। তখন আর ইলেকট্রিক কোথায়। এমনকী, বেশিরভাগ রেলস্টেশনে—লোহার খুঁটির মাথায় বড়ো বড়ো ডে-লাইট জ্বালানো হত রাত্রে। মোটা তারের সঙ্গে বাঁধা থাকত আলাগুলো। নীচের চাকা ঘুরিয়ে নামাতে-ওঠাতে হত আলোগুলো। তেল ভরা, আলো জ্বালানো হত সন্ধের আগেই। তারপর চাকা ঘুরিয়ে ওপরে তোলা হত। চমৎকার দেখাত হে!’
‘তারপর কী হল? আসর বসল?’
‘বসল বইকী! প্রত্যেক পাড়া থেকেই দশ-পনেরোজন সাপোর্টার এসেছে নিজেদের ক্যান্ডিডেটের জন্য। তারা হইহই করবে, হাততালি দেবে, দরকার হলে ঢাক পেটাবে।’
‘বাঃ! দারুণ তো!’
পাঁচ বাবু—মানে প্রতিযোগী গোল হয়ে যে-যার জায়গায় বসলেন। সামানে নস্যির কৌটো আর রুমাল। সামান্য পেছনে তাঁদের হাঁচি গোনার লোক। আরও হাতকয়েক পিছিয়ে মল্লিকবাবু একটা ব্ল্যাক বোর্ড পাশে রেখে দাঁড়িয়ে। তাতে বাবুদের নাম লেখা, সামান্য তফাতে চেয়ার পেতে বসে আছেন ভজনবাবু—জজিয়তি করছেন তো!
হাঁচি শুরু হয়ে গেল। আমরাও ওরই মধ্যে মাথা গলিয়ে দিয়েছি। দেখতে দেখতে কম্পিটিশন জমে উঠল। মানিকবাবু পাঁচ, যোগেশ গার্ড সাত, নন্দীবাবু ছয়, অবলাবাবু ছয়, আমাদের তুলসীবাবু মাত্র চার। ইস—আমাদেরটাই সবচেয়ে লাস্ট। এ যেন ঘোড়ার রেস। ব্যাক আপ ব্যাক আপ।
পাঁচ নস্যিখোরের মধ্যে মানিকবাবুই শুরু করেছিলেন আসর কাঁপিয়ে। কুস্তির আখড়ায় চ্যাম্পিয়নরা যেভাবে তাল ঠোকে, সেইভাবে। যোগেশ গার্ডও কম যাচ্ছিলেন না। মালগাড়ির গার্ড। ডাকাবুকো মানুষ। তায় আবার গাদাবন্দুক চালাতে পারতেন। …আমাদের তুলসীচরণকে দেখে মনে হচ্ছিল উনি যেন মিউয়ে-যাওয়া বাজি-পটকা। হাঁচিতে জোর নেই, শব্দ নেই জবরদস্ত।
একদিকে যেমন যে যার নিজের পাড়ার ক্যান্ডিডেটকে ব্যাক আপ করছিল চেঁচিয়ে। মাঝে-মাঝে বিউগিল বাজানোর মতন শব্দ করে সেরকম আবার অন্যদের দুয়ো দিচ্ছিল। তুলসীবাবু ওদের কাছে কচ্ছপ হয়ে গেল যেন, গুটিগুটি দৌড়, মানে অচল প্রতিযোগী।
মানিকবাবুর স্টার্টিং যতই চমকপ্রদ হোক না কেন, বিশেষ কোঠায় পা রাখার আগেই নেতিয়ে যেতে লাগলেন। মল্লিকবাবুর বোর্ডে যখন তাঁর নামের পাশে তিরিশ লেখাও হয়নি—ভদ্রলোক নাক-চোখ লাল করে, চোখের জলে কাবু হয়ে মানিকবাবু স্টপ মেরে গেলেন। আর বসতেও পারলেন না, এলিয়ে পড়লেন। মানে আউট।
অবলাবাবু আরও চার কদম এগিয়ে আটত্রিশের কাছাকাছি গিয়ে রণে ভঙ্গ দিলেন। যোগেশ গার্ড বিয়াল্লিশ। শেষে শয্যাশায়ী।
‘নন্দীবাবু তখনও লড়ছেন। তবে অবস্থা কাহিল। পঞ্চাশের মুখেই আউট।
‘আমাদের তুলসীবাবু শুরু করেছিলেন ধীরেসুস্থে। নধর চেহারার মানুষ। ওঁর সবই রয়েসয়ে, হাঁটাচলা করেন ধীরে, কথা বলেন নীচু স্বরে, হাসেন আধ-বোজা গলায়। …তা চারজন কাত হওয়ার পর হঠাৎ দেখি উনি ফিনিশিং নিচ্ছেন। হাঁচির তোড় আর তোপ দুইই বেড়ে গিয়েছে আশ্চর্য ভাবে। যদিও গলাটা ধরে এসেছে। আমরা চেঁচাতে লাগলাম। কে যেন বাইরে গিয়ে পটকা ফাটিয়ে দিল।
মল্লিকমশাইয়ের বোর্ডে তখন তুলসীবাবুর নামের পাশে সত্তর বসে গিয়েছে।
পঁচাত্তর আর হল না। বাহাত্তরেই তুলসীবাবু কাত হয়ে শুয়ে পড়লেন।
‘আমরা তখন উল্লাসে লাফ মারছি, চেঁচাচ্ছি। হিপ হিপ হুররে। অন্যরা মুখ শুকনো করে সরে যাচ্ছে একে-একে। নরেনকাকা বললেন, ‘মল্লিকদা, ভজনবাবুকে বলুন—অ্যানাউন্স করতে। আর দেরি কেন?’
ভজনবাবু চেয়ার ছেড়ে উঠে ঘোষণা করলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজকের প্রতিযোগিতায় আমাদের তুলসীচরণবাবুই প্রথম হয়েছেন। তাঁর হাঁচির সংখ্যা বাহত্তর। এত হাঁচি আর কেউ একসঙ্গে হাঁচতে পারেননি।’
‘প্রায় সঙ্গে-সঙ্গে মল্লিকমশাই বললেন, ‘তুলসীকে এবার চেয়ারে বসিয়ে কাঁধে করে বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হবে। ও আমাদের পাড়ার মান-সম্মান বাঁচিয়েছে। আমি পরে একটা সিলভার কাপ ওকে দেব। ওর প্রাপ্য রইল।’
‘তুলসীবাবু সেই থেকে আমাদের শহরে হাঁচিবাবু নামে বিখ্যাত হয়ে গেলেন। ওঁর আসল নামটা হাঁচির তোড়ে যেন ভেসে গেল।’
গল্প শোনা শেষ করে সিধু বলল, ‘রুপোর কাপটা উনি কি পেয়েছিলেন শেষপর্যন্ত?’
‘শিওর। মল্লিক জ্যাঠামশাই বাজে কথা বলতেন না। কাপের গায়ে বড়ো-বড়ো করে লেখা ছিল, একটু মজা করে, ‘নস্য প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হাঁচিবাবুকে (ফর সেভেনটি টু হাঁচি)!’
সিধু আর মহাদেব অট্টহাস্য হেসে উঠল।
ওদের হাসি আর থামতে চায় না।
যখন নাকে-চোখে জল নিয়ে ওরা কোনওরকমে সামলে উঠেছে, আমি বললাম, ”তবে একটা দুঃখের ব্যাপারও ঘটে গিয়েছিল।’
‘কী?’
‘বাহাত্তরটা হাঁচির রেকর্ড করার পর হাঁচিবাবু একেবারে কালা হয়ে গিয়েছিলেন। কানে আর শুনতে পেতেন না। রামসদয় ডাক্তার বললেন,—কিছু করার নেই হে, হাঁচির চোটে কানের পরদা ফেটে গিয়েছে। অত হাঁচির পর আর কি কান থাকে, নাকটা রয়েছে—এই যথেষ্ট।’