।। স্ত্রী শুভাশুভ লক্ষণ।।
ষটত্রিংশদাদ্বিকং চর্যং গুরৌ ত্রৈবেদিকং ব্রতম্। তদধিকং পাদিকং বা গ্রহণান্তিকমেব চ।।১।। বেদানধাত্য বেদৌ বা বেদং বাপি নৃপোত্তম। অবিপ্লুব্রহ্মচর্যো গৃহস্থাশ্রম মাবসেৎ।।২।। তং প্রতীতং স্বধর্মেন ব্রহ্মদায় হরং পিতুঃ। স্রণিং তলপ আসীন মহযেৎ প্রথমং গর্বা।।৩।। গুরুণা সমনুজ্ঞাতঃ সমাবৃতো যথাবিধি। উদ্বহেত দ্বিজো ভার্যাং সবণাং বদ লক্ষণান্বিতাম্।।৪।। লক্ষণং দ্বিজশাদূল স্ত্রীণাং বদ মহামুনে। কীট্টগলক্ষণ সংযুক্তা কন্যা স্যাৎসুখদা নৃপ।। ৫।।
।। স্ত্রী শুভাশুভ লক্ষণ।।
মহর্ষি সুমস্তু বলেছেন, ছত্রিশ বৎসর বয়স পর্যন্ত গুরুর সমীপে ত্রৈবৈদিক ব্রত পালন করা উচিৎ।। ১।।
হে নৃপোত্তম, ত্রিবেদ অথবা চতুর্বেদ অধ্যয়নপূর্বক অখন্ড ব্রহ্মচর্য পালনকারী পুরুষ গৃহস্থাশ্রমে প্রবেশ করবেন।। ২।।
পিতার ব্রহ্মদায় হরণকারী এবং স্বধর্মে পূর্ণ বিশ্বাসকারী গুরু যিনি মাল্যধারণপূর্বক শয্যারূঢ় তাঁকে গোদ্বারা অর্চনা করা উচিৎ।।৩।।
গুরুর আজ্ঞা প্রাপ্ত হয়ে বিধিপূর্বক সমাবর্তন করবেন এবং ব্রাহ্মণগণ সমাদৃত হয়ে সুলক্ষণা সবর্ণাভার্যা গ্রহণ করবেন।।৪।।
যদুক্তং ব্রহ্মণা পূর্বং স্ত্রীলক্ষণ মনুত্তমম্। শ্রেয়সে স্বলোকানাং শুভাফল প্ৰদম্।।৬।। তত্তে বমি মহাবাহো শূনুস্বৈকমণা নৃপ শ্রুতেণ যেন জানীষে কন্যাং শোভনলক্ষনম্।।৭।। সুখাসীনং সুরশ্রেষ্ঠমভিগম্য মহৰ্যয়ঃ।
পপ্ৰচ্ছলক্ষণং স্ত্রীণাং যৎপৃষ্টোহহং ত্বয়াধুনা।।৮।। প্রণস্য শিরসা দেবমিদং বচনম ব্রুবন্। ভগবন্ ব্রুহি ন সবং স্ত্রীণাং লক্ষণ মুত্তমম।।৯।। শ্রেয়সে স্বলোকাণাং শুভাফল প্রদম্। প্রশস্তামপ্রশস্তাং চ জানীমো যেন কন্যকাম্।।১০।। তেষাং তদ্বচনং শ্রুত্বা বিরিঞ্চো বাক্য মব্রবীৎ। শূনুধ্বং দ্বিজশার্দূলা বচিম যুষ্মাস্বশেষতঃ।।১১। প্রতিষ্ঠিতবলৌ সম্যগ্ৰক্তাং ভোজসমপ্ৰভৌ। ইদ্দেশৌ চরণৌ ধন্যৌ মোযিতাং ভোগবধনৌ।।১২।।
রাজা শতানীক বললেন, হে দ্বিজশাদুল, মহামুনি, আপনি কৃপাপূর্বক কিরূপ লক্ষণযুক্ত স্ত্রীলোককে ভার্যারূপে গ্রহণ করা উচিৎ তা বলুন। কিরূপ কন্যা গার্হস্থ্য জীবনে সুখপ্রদ সেই বিষয়ে আলোচনা করুন। সুমন্ত বললেন, ভগবান ব্রহ্মা প্রথমে উত্তম লক্ষণযুক্ত স্ত্রীগণের শুভাশুভ ফলের বিষয়ে যে আলোচনা করেছেন, তা জগতের কল্যাণের জন্য তোমাকে আমি বলবো। হে নৃপ, তুমি একাগ্রচিত্তে তা শ্রবণ কর। যা শ্রবণ করলে উত্তমলক্ষণযুক্ত কন্যা সম্পর্কে তোমার ধারণা জন্মাবে।।৫-৭।।
একবার সমস্ত মহর্ষিগণ সুখাসীন হয়ে সুরশ্রেষ্ঠ ব্রহ্মার কাছে গিয়ে তুমি যেরূপ স্ত্রীলক্ষণ জানতে চাইলে সেইরূপ তাঁরাও জানতে চেয়েছিলেন।।৮।।
ঋষিগণ ভগবান ব্রহ্মাকে বলেছিলেন, হে ভগবান্, কৃপাপূর্বক আপনি স্ত্রীগণের শুভাশুভ ফলের বিষয়ে আমাদের জ্ঞানপ্রদান করুন। যা জগতের কল্যাণ সাধন করবে। এরদ্বারা আমরা সকলে জানতে পারবো যে, কোন্ প্রকার স্ত্রী বিবাহের প্রশস্ত এবং কোন্ প্রকার স্ত্রী অপ্রশস্ত।।৯-১০।।
ভগবান্ ব্রহ্মা মহর্ষিগণের কথা শ্রবণ করুন, আমি সবই আপনাদের বলছি।।১১।।
যে সকল স্ত্রীগণের পদতল প্রতিষ্ঠিত এবং রক্ত কমলের ন্যায় প্রভাযুক্ত, তঁণাদের চরণ ধন্য এবং তাঁরা ভোগবর্ধনকারিণী।।১২।।
করালৈরতি নির্মাংসৈ রুক্ষৈরধশিরান্বিতৈঃ। দারিদ্রয়ং দুর্ভগত্বং চ প্রাপ্পুবন্তি ন সংশয়ঃ।।১৩।। অংগুল্য সংহতা বৃত্তাঃ স্নিগ্ধাঃ সূক্ষ্মন খাস্তথা। কুর্বত্যত্যংতমৈশ্চমং রাজভাবং চ যোষিতঃ।।১৪।। হ্রস্বাঃ সুজীবিতং হ্রস্বা বিরলা বিত্তহানয়ে। দারিদ্রয়ং মূলমগ্নাসু প্রেস্যংচ পৃথুলাসু চ।।১৫।। পরস্পর সমারুঢ়ৈস্তনুভিবৃত্তপর্বভিঃ। বহূনপি পতীনহত্বা দাসী ভবতি বৈ দ্বিজাঃ।।১৬।। অংগুষ্ঠোন্নতপর্বাণস্তুংগাগ্রাঃ কোমলম্বিতাঃ। রত্নকাঞ্চন লাভায় বিপরীতা বিপত্তয়ে।।১৭।। সুভগত্বং নখৈঃ সিন্ধৈরাতাম্রৈশ্চ ধনাচ্যতা। পুত্রাঃ স্যুরুন্নতৈরেভিঃ সুসূক্ষ্মৈশ্চাপি রাজতা।। ১৮।।
করাল, মাংসরহিত, রুক্ষ, অর্ধশিরাযুক্ত চরণ যে সকল রমণীর তারা দরিদ্রতা এবং দুর্ভাগ্যপ্রাপ্ত হন—এবিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।।১৩।।
সংগত অঙ্গুলীবিশিষ্টা, বর্তুলাকার, স্নিগ্ধ এবং সূক্ষ্ম নামবিশিষ্টা নারী অত্যন্ত ঐশ্বর্য্যপরায়ণা এবং রাজভাবপ্রাপ্ত হন।।১৪।।
হ্রস্বা অর্থাৎ ছোট আকৃতিবিশিষ্টালারী সুজীবিত হন। বিরলা হুস্বা নারী বিত্তহানির কারণ হন। নারী দারিদ্রের মূল স্বরূপ এবং পৃথুলারমণী অপরের দাস হন।।১৫।
হে দ্বিজ, পরস্পর সমারূঢ়তনু ও বৃত্তপর্বযুক্তা রমণী বহুপত্নীহস্তা হন তথা অপরের দাসীরূপে জীবন অতিবাহিত করেন।।১৬।।
যে সকল রমণী অঙ্গুষ্ঠের পর্ব উন্নত এবং অগ্রভাগ উন্নত ও কোমলান্বিত তাঁদের দ্বারা রত্ন ও সুবর্ণ লাভ হয়ে থাকে। এছাড়া যাঁরা এর বিপরীত লক্ষণযুক্ত হন, তাদের দ্বারা বিপরীত ফল হয়ে থাকে।।১৭।।
স্ত্রীগণ সুন্দর নখের দ্বারা সৌভাগ্য লাভ করে থাকেন। স্নিগ্ধ এবং অল্প তাম্রবর্ণ নখযুক্ত স্ত্রী ধনাঢ্যতা প্রকট করেন, নখ উন্নত হলে পুত্রলাভ হয় এবং সূক্ষ্ম হলে রাজতা প্রকট হয়।।১৮।।
পান্ডুরৈঃ সফুটিতে রুক্ষৈনীলৈ ধূম্রৈস্তথা খরৈঃ। নিঃ স্বতা ভবতি স্ত্রীণাং পীতৈশ্চাভক্ষ্যভক্ষণম্।।১৯।। গুলফাঃ স্নিগ্ধাশ্চ বৃত্তাশ্চ সমারুঢ়শিরাস্তথা। যদি সার্ণপুরান্দধ্য বান্ধবাদৈঃ সমাপ্পুয়ূঃ।।২০।। অশিরাঃ শরকান্ডভাঃ সুবৃত্তাল্পাতনূরুহাঃ। জমখাঃ কুর্বন্তি সৌভাগ্যং মানং চ গজবাজিভিঃ।।২১।। ক্লিশ্যতে রোম জংখা স্ত্রী ভ্ৰমতদ্ধতপিম্ভিকা। কাকজংখা পতিং হন্তি বাচাটা কপিলো চ যা।।২২।। জানুভিশ্চৈব মার্জারসিংহজাম্বনুকারিভিঃ। শ্রিয়মাপ্য সুভাগ্যত্বং প্রাপ্নবক্তি সুতাংস্তথা।।২৩।। ঘটাভৈরধ্বগা ণাযো নির্মাং সৈঃ কুসটাঃ স্ত্রিয়ঃ। শিরালৈপি হিংস্রাঃ স্যুবিফ্লিষ্টেধনবর্জিতাঃ।।২৪।।
পান্ডুর, স্ফুটিত, রুক্ষ্ম, নীল, ধূম্র তথা তীক্ষ্ণনখযুক্ত স্ত্রী নিঃস্বতা সূচিত করে এবং পীত নখযুক্তানারী অভক্ষ্য পদার্থ ভক্ষণের সূচনা দেন।।১৯।।
যে সকল নারীর গুল্ফ স্নিগ্ধ, বৃত্ত এবং সমারুঢ় শিরযুক্ত তাঁরা নূপুরধারণ করে এবং তাকে বন্ধুগণের দ্বারা প্রাপ্ত করা উচিৎ। শিরাবিহীন শরকান্ডের আভাযুক্ত গোলাকৃতি এবং অল্প রোমযুক্ত জঙ্ঘা যে সকল নারীর তাঁরা সৌভাগ্যবতী হন এবং হস্তী ও অশ্বযানও প্রাপ্ত হন।।২০-২১।।
যে স্ত্রীর জঙঘা রোমযুক্ত হয় সেই স্ত্রী ক্লেশপ্রাপ্ত হন। উদ্ধতপিন্ডিকা নারী ভ্রমণপ্রিয়া হন। যে রমণী কাবাজঙ্ঘা, বাচাল এবং পিঙ্গলবর্ণ সেই রমণী পতিঘাতী হন। মার্জার এবং সিংহের ন্যায় জানু বিশিষ্টানারী শ্রী (লক্ষ্মা) প্রাপ্ত হন এবং সৌভাগ্যপ্রাপ্ত হন। এছাড়া তিনি পুত্রলাভ করেন।।২২-২৩।।
ঘটের আভাযুক্তজানু যে সকল নারীর, তাঁরা মার্গদর্শনকারিণী হন। নির্মাংস জানুযুক্ত স্ত্রী কুলটা হন। উন্নত শিরাযুক্ত রমণী হিংস্র এবং বিশ্লিষ্টা রমণী ধনবর্জিত হন।।২৪।।
অত্যন্তৈকটিলৈ রুক্ষৈঃ সফুটিতাগৈগুড়প্রভৈঃ। অনেকজৈস্তথা রোমেঃ কেশৈশ্চাপি তথাবিধৈঃ।।২৫।। অত্যন্তপিংগলা নারী বিতুল্যেতি নিশ্চিতম। সপ্তাহাভ্যন্তরে পাপা পতিং হন্যান্ন লংশয়ঃ।।২৬।। হস্তিহস্তনিভৈবৃত্তে রম্ভাভৈঃ করভোপমেঃ। প্রাপ্পুবত্ত্যরুভিঃ শশ্চতিস্রয়ঃ সুখমনংগজম।।২৭।। দৌর্ভাগ্যং বদ্ধমাংসৈশ্চ বন্ধনং রোমশোরুভিঃ। তনুভিবধমিত্যাহুমধ্যচ্ছিদ্রেম্বনীশতা।।২৮।। অহোমেকো ভগো মস্যাঃ সমঃ সুশিষ্টসংস্থিতঃ। অপি নীচ কুলোৎপন্না রাজপত্নী ভবত্যসৌ।।২৯।। তিলপুক্ষানিভো যশ্চ যদ্যগ্রে খুরসন্মিভঃ। দ্বাবপ্যেতৌ পরপ্রেষ্যং কুর্বাতে চ দরিদ্রতাম্।।৩০ ।।
অত্যন্ত কুটিল, রুক্ষ্ম, স্ফুটিত অগ্রভাগযুক্তা এবং গুড়ের ন্যায় প্রভাযুক্তা নারী ও অনেক স্থানে উৎপন্ন রোমযুক্তা রমণী ঐ প্রকার কেশযুক্তা ও পিঙ্গ লবর্ণা নারী নিশ্চিতরূপে বিষের ন্যায় ত্যাজ্য হন। এই প্রকার স্ত্রী একসপ্তাহের মধ্যে নিঃসন্দেহে পতিহত্যা করেন।।২৫-২৬।।
হাতীর শুঁড়ের ন্যায় বর্তুলাকার, কদলীতুল্য আভাযুক্তা কর ও উরু যে সকল রমণীর তাঁরা সর্বদা কামজ সুখপ্রাপ্ত হন।।২৭।।
বদ্ধমাংস এবং রোমশ ঊরুযুক্তা রমণী দুর্ভাগ্য প্ৰাপ্ত হন। সন্ধ্যার ন্যায় বর্ণবিশিষ্টা নারী সুন্দর এবং সূক্ষ্মরোমযুক্ত পৃথুলা রমণী রতিক্রিয়ায় প্রশংসা লাভ করেন। যে সকল রমণীর ভগ রোমরহিত, সম ও সুশ্লিষ্ট রমণী নীচ কুলে জাত হলেও নিশ্চিতরূপে রাজপত্নী হন।।২৮-২৯।।
তিল পুষ্পের ন্যায় ভগ এবং অগ্রভাগ যদি খুর সন্নিভ হয় তাহলে ঐরূপ রমণী দাস এবং দরিদ্রতা প্রাপ্ত হন।।৩০।।
উলূখলনিভৈঃ শোকং মরণং বিবৃতাননৈঃ। বিরূপৈঃ পুতিনির্মাংসৈর্গজ সন্নিভরোমভিঃ। দ্বৌঃ শীল্যং দুভৰ্গত্বং চ দারিদ্রযমধিগচ্ছতি।।৩১।। কপিতৃলসংকাশঃ পীনো বলিবর্জিতঃ। সফীতঃ প্রশস্যতে স্ত্রীণাং নিদিতশ্চান্যযা দ্বিজাঃ।।৩২। কুজমদ্রোণিকং পৃষ্ঠং রোমশং যদি যোষিতঃ। স্বপ্রান্তরে সুখং তস্যা নাস্তি হন্যাৎপতি চ সা।।৩৩।। বিপুলৈঃ ঝুকুমারৈশ্চ কুক্ষিভিঃ সুবহুপ্রজাঃ। মন্ডুক কুক্ষিমা নারী রাজনং সা প্রসুয়তে।।৩৪।। উন্নতৈবলিভিবধ্যাঃ সুবৃতৈঃ কুলটা স্ক্রিয়ঃ। জারকর্মরতাস্তা স্যু প্রব্রজাং চ সমাপুয়ুঃ।।৩৫।। উন্নতা চ নতৌঃ ক্ষুদ্ৰা বিযমৈবিযমাশয়া। আয়ুবৈশ্চর্যসম্পন্না বনিতা হৃদয়ৈঃ সমৈঃ।।৩৬।।
উলূখলের সমান রোম শোক, বিবৃত আনন মরণ এবং বিরূপ তথা দুর্গন্ধযুক্ত এবং নির্মাংস হাতীর তুল্য রোম দুঃশীলতা, দুর্ভাগ্য এবং দরিদ্রতার পরিচয় বহন করে।।৩১।।
কয়েৎ বেলের তুল্য স্থূল, বলিরেখাহীন এবং স্ফীত স্ত্রীগণ প্রশংসনীয় হন। আবার এর বিপরীত স্ত্রী নিন্দিত হন।।৩২।।
যদি স্ত্রীগণের পৃষ্ঠদেশ রোমযুক্ত হয়, কুব্জ এবং অদ্রোণিক স্ত্রী স্বপ্নান্তরেও সুখ পান না। ঐ প্রকার স্ত্রী পতিহন্তা হন।।৩৩।।
বিপুল এবং সুকুমার উদরবিশিষ্টা নারী সুন্দর এবং অনেক সন্তান উৎপন্ন করেন। আবার ভেকের ন্যায় উদর বিশিষ্টা স্ত্রী নিশ্চিতরূপে রাজার জন্ম দেয়।।৩৪।।
যে স্ত্রীর উদর স্ফীত সেই স্ত্রী বন্ধ্যা এবং সুবৃত্ত উদরবিশিষ্টা রমণী কুলটা হন। এই প্রকার স্ত্রী উপপতির কর্মে রত থাকেন এবং তিনি প্রবজ্যা অর্থাৎ গৃহত্যাগী হন।।৩৫।।
সুবৃত্তমুন্নতং পীনমদুরোন্নমাতম্। স্তনযুগ্নমিদং শস্তমতোহণ্যদ সুখাবহম্।।৩৭।। উন্নতিঃ প্রথমে গর্ভে দ্বয়োরেকস্য ভূয়সী। বামে তু জায়তে কন্যা দক্ষিনে তু ভবেৎসুতঃ।।৩৮।। দীর্ঘে তু চুচুকে যস্যাঃ সা স্ত্রী ধূর্তা রতিপ্রিয়া। সুবৃত্তে তু পুনর্যস্যা দ্বেষ্টি সা পুরুষং সদা।।৩৯।। স্তনৈঃ সর্পফণাকারৈঃ শ্বজিহ্বাকৃতিভি স্থা। দারিদ্রযমধি গচ্ছত্তি স্ত্রিয়ঃ পুরুষচেষ্টিতাঃ।। অবষ্টব্ধঘটীতুল্যা ভবন্তি হি তথা দ্বিজাঃ।।৪০।। হিংস্ৰা ভবতি বক্ৰেণ দৌঃ শীল্যং রোমশেন তু নির্মাং সেন বৈধব্যং বিস্তীর্ণে কলহপ্রিয়া।।৪১।। চতস্রো রক্তগম্ভীরা রেখাঃ স্নিগ্ধাঃ করে স্ত্রিয়াঃ। যদি স্যঃ সুখমাপ্নোতি বিচ্ছিন্নভিরনীশতা।।৪২।।
উন্নতা, কুটিলা, ক্রুর এবং বিষমাশয়া ও শোভনহৃদয়া নারী গোসাকার, উন্নত, স্থূল ও অদূরোন্নত এবং আয়ত স্তনযুক্তা রমণী প্রশস্তা হন, এর বিপরীত প্রকার রমণী সুখ প্রদ হন না।।৩৬-৩৭।।
যে স্ত্রীর প্রথম গর্ভে দুই স্তনের মধ্যে একটি উন্নত হয়, তার বামস্তন উন্নত হলে কন্যা এবং দক্ষিণ স্তন উন্নত হলে পুত্র লাভ হয়।।৩৮।।
যে স্ত্রীর কুচাগ্রভাগ (চুচুক) দীর্ঘ হয় সেই স্ত্রী অতীব ধূর্ত এবং রতিক্রিয়া দ্বারা প্রেম করতে ইচ্ছা করেন এবং যে স্ত্রীর কুচাগ্রভাগ সুবৃত্ত তিনি সদা পুরুষ বিদ্বেষী হন।।৩৯।।
যে নারীর স্তন সর্পফনার ন্যায় অথবা কুকুরের জিহ্বাকৃতি বিশিষ্ট সেই স্ত্রী পুরুষের চেষ্টা সত্ত্বেও দবিদ্রতা প্রাপ্ত হন এবং তিনি রক্ষিত ঘটের ন্যায় আচরণ করেন।।৪০।।
যে নারীর বক্ষঃস্থল বক্র তিনি হিংসা পরায়ণা হন, এছাড়া যে নারীর বক্ষঃস্থল রোমযুক্ত তিনি দুঃশীলা এবং নির্মাংস বক্ষমুক্ত রমণী বৈধব্য যন্ত্রণা ভোগ করেন। আবার বিস্তীর্ণ বক্ষ বিশিষ্টা রমণী কলহপ্রিয়া হয়ে থাকেন।।৪১।। যে সকল নারীর হাতে রক্তগম্ভীর ও স্নিগ্ধ চারটি রেখা থাকে তিনি পরমসুখ প্রাপ্ত করেন।।৪২।।
রেখা কনিষ্ঠকামূলাদ্যস্যাঃ প্রাপ্তাঃ প্রদেশিণীম্। শতমায়ুর্ভবেত্তস্যাস্ত্রয়াণামুন্নতৌ ক্রমাৎ।।৪৩।। সংবৃত্তাঃ সমপবানস্তীক্ষ্ণাগ্রাঃ কোমলত্বচঃ। সমাহ্যংগুলয়ো যস্যাঃ সা নারী ভোগবধিণী।। ৪৪। বন্ধুজীবার নৈস্তং গৈনখৈরৈশ্চমমাপুয়াৎ। খরৈবক্রৈবিবণাভৈঃ শ্বেতপ্রীতৈরণীশতা।।৪৫।। রক্তেমৃদুভিরৈশ্চযং নিশ্ছিদ্রাং গুলিভিদ্বিজাঃ। সফুটিতৈবিযমৈ রুক্ষৈঃ ক্লেশং পানিভরাপুয়ুঃ।।৪৬।। সমরেখা সবা যাসামং গুষ্টাং গুলিপবসু। তাসাং হি বিপুলং সৌখ্যং ধনং ধান্যং তথাহক্ষয়ম।।৪৭ মণিবন্ধোহব্যবচ্ছিন্নো রেখাত্রয়বিভূষিতঃ। দদাতি ন চিরাদেব ভোগমায়ুস্তথাক্ষয়ম্।।৪৮।।
কনিষ্ঠা অঙ্গুলি থেকে তর্জনী পর্যন্ত বিস্তৃত রেখা যে নারীর হস্তে বর্তমান তিনি শতবর্ষ আয়ু প্রাপ্ত হন, যদি অপর তিন রেখা ক্রমান্বয়ে উত্থিত হয়।।৪৩।।
সুবৃত্ত, সমানপর্বযুক্ত, তীক্ষ্ণঅগ্রভাগযুক্ত এবং কোমলত্বক্যুক্ত ও সমান অঙ্গুলিযুক্তা স্ত্রী ভোগবধিনী হন।। ৪৪।।
বকফুলের ন্যায় অরুণ, তুঙ্গনখযুক্ত অঙ্গুলিবিশিষ্ট নারী ঐশ্বর্য প্রাপ্ত করেন খর, বক্র, বিবর্ণআভাযুক্তাতথা শ্বেত ও পীতাভ নখযুক্তা নারী করেন। যে রমণীর হাত স্ফুটিত, বিষম ও রুক্ষ্ম হয় তিনি ক্লেশপ্রাপ্ত হন।।৪৫।।
রক্তবর্ণ, কোমল এবং নিশ্চিত্র অঙ্গুলিবিশিষ্টা রমণী ঐশ্বর্য প্রাপ্ত হন এবং যার হাত স্ফুটিত, বিষম এবং রুক্ষ্ম তিনি ক্লেশপ্রাপ্ত হন।।৪৬।।
সমান রেখা যুক্ত য চিহ্ন যে রমণীর অঙ্গুষ্ট ও অন্যান্য অঙ্গুলির পর্বভাগে থাকে, তিনি অক্ষয় সুখ, ধন ধান্য প্রাপ্ত হন।। ৪৭।।
যে নারীর মণিবন্ধ অব্যবচ্ছিন্ন এবং তিন রেখা দ্বারা ভূষিত তিনি অনেক কাল ধরে অক্ষয়ভোগ, আয়ু প্রাপ্ত হন না।।৪৮।।