ব্রাহ্ম পর্ব
মধ্য পর্ব
প্রতিসর্গ পর্ব
1 of 3

স্ত্রীধর্ম বর্ণন

।। স্ত্রীধর্মবর্ণনম্।।

।। স্ত্ৰীধৰ্ম বৰ্ণন।।

ব্রীহীণাং কোদ্রবাণাং চ সারধমুদারকঃ। কংগুকোদ্রবয়োজ্ঞেয়ো বরটঃ পঞ্চভাগকঃ।।১।। পঞ্চভাগানপ্রিয়ংগুণাং শালীনাং চ ত্ৰয়োহষ্ট চ। চণকানাং তৃতীয়াংশঃ সমক্ষুন্নংত্রয়ং বিদুঃ।।২।। পানীয়যবগোধূমং পিষ্টধান্যচতুষ্টয়ম্। তুল্যমেবাবগন্তব্যং মুদগা মাষাস্তিলা সর্বাঃ।।৩।। পঞ্চভাগাদিকা খৃষ্টা গোধূমাঃ সক্তবস্তথা। কুল্মাযাঃ পিষ্টমাংসং চ সম্যগধাদিকং ভবেৎ।।৪।।

ব্রীহি এবং বেগদ্রবকের সারধর্মকে উদারক বলা হয়। কঙ্গু এবং কোদ্রব এর পাঁচ ভাগযুক্তকে বরট বলে বুঝতে হবে।।১।।

পাঁচভাগ প্রিয়ঙ্গু এবং এগারভাগ শালি তথা চনের তৃতীয় অংশ এই সব একসাথে ক্ষুণ্ণ করা ত্রয় জানতে হবে।।২।।

যমনী, যব এবং গোধূম আর পিষ্ট চার প্রকার ধান, মুঙ্গ, উর্দু, তিল এবং

যব এসব তুল্য মনে করত হবে।।৩।।

পাঁচভাগ সৃষ্ট গৈতু তথা সত্তু, কুল্মাষ এবং পিষ্টমাষ এগুলি ভালভাবে অর্ধেক করতে হবে।।৪।।

সিদ্ধং তদেব দ্বিগুণং পুন্নোকো মাবকস্তথা। কংগুকোদ্রবয়োরন্নং চণকোদারকস্য চ।।৫।। দ্বিগুণং চীণকানাং চ ব্রীহীণাং চ চতুর্গুণম্। শালে পঞ্চগুণং বিদ্যাৎ পুরাণে ত্বতিরিচ্যতে।।৬।। ক্রিয়াপাকবিশেষাস্ত বৃদ্ধিরেবোপদিশ্যতে। নিমিত্তস্য বরান্নস্য তদ্বদ্ধিগুণা ভবেৎ।।৭।। তস্মাদভূয়ো বিরূঢ়স্য চতুর্ভাগো বিবধতে। লাজা ধানাঃ কলায়াশ্চ ভূষ্টাদ্বিগুণবৃদ্ধয়ঃ।।৮।। ভ্রষ্টব্যানামতোহন্যেযাং পঞ্চভাগোহধিকো মতঃ। চাপকাণাং চ পিষ্টানাং পাদহীনাঃ কলায়জাঃ।।৯।। মুদগমাষমসূরানামধপাদাবরোভবেৎ। ক্লিন্নশযকবরান্নানাং হানি বৃদ্ধিবিশিষ্যতে।।১০।। তথাধেন তু শোধ্যানামাঢ়ক্যা মুদগমাষয়োঃ। মসুরাণাং চ জাণীয়াৎক্ষয়ং পঞ্চভাগকম্।।১১।।

ওগুলি সিদ্ধ দুগুণ পুন্নাক তথা যাবক, কঙ্গু এবং কোদ্রবের ও চণকোদারকের অন্নচীনকের দ্বিগুণ এবং ব্রীহির চারগুণ তথা শালির পাঁচগুণ জান্যত হ্যব। যেগুলি পুরানো হবে সেগুলি আরও অধিক হবে।।৫-৬।।

এই পাকক্রিয়ার বিশেষতা, এর বৃদ্ধিরই উপদেশ দেওয়া হল। শ্রেষ্ঠ অন্নের নিমিত্ত সম্পদের গুণের বৃদ্ধি হয়।।৭।।

এই কারণে যে আবার বিরূঢ় হয় তার চতুর্ভাগ বিবৃদ্ধ হয়। লাজ, ধান এবং কলা এগুলি ভ্রষ্ট হলে অর্থাৎ ভুলে গেলে বৃদ্ধি দুগুণ হয়।।৮।।

এজন্য অন্য ভ্রষ্টব্যের পাঁচভাগ অধিক মানতে হবে। চাপক এবং পিষ্টের কলায়ত্তপোদ হীন অর্থাৎ এক চতুর্থের অর্ধেক ভাগ অবর হয় অর্থাৎ হয়।।৯।।

মুঙ্গ, উর্দু এবং মুসুরের অর্ধপদ অর্থাৎ এক চতুর্থের অর্ধভাগ অবর অর্থাৎ কম হয়। ক্লিন্ন এবং শুষ্ক বরান্নের হানি এবং বৃদ্ধির বিশেষতা আছে। অর্থাৎ যা ভিজে শুকিয়ে যায় তার হানি ও বৃদ্ধি বিশিষ্ট হয়।।১০।।

শোধ্যো এর অর্ধেক, মুঙ্গ এবং মাষের এক, আঢ়ের প্রমাণ এবং মুসুরের ১/৫ভাগ ক্ষয় জানতে হবে।।১১।।

যড় ভাগেনাতসীতৈলং সিদ্ধার্থক কপিখয়োঃ। তথা নিম্বকদন্বাদৌ বিদ্যাৎ পঞ্চসভাকম।। ১২।। তিলেংগুদীমধুকাণাং নক্তমালকুসুম্ভয়োঃ। জানীয়াৎপাদকং তৈলং খলমন্যৎ প্ৰচক্ষতে।। ১৩।। ক্ষেত্রকালক্রিয়াদিভ্যঃ ক্ষয়াদেব্যভিচারতঃ। প্রত্যক্ষীকৃত্য তানসম্যগনুমিত্যাবধারয়েৎ।।১৪।। ক্ষীরদোষে গবাং প্রসহং মহিষীণাং চ সপিমঃ পাদাধিকমজাবীনামুৎপাদং তদ্বিদো বিদুঃ।।১৫।। সুভূমিতৃণকালেভ্যো বৃদ্ধির্বাক্ষীরসপিযাম্ অতস্তেযাং বিধাতব্যো হ্যাথাদেব বিনিশ্চয়।।১৬।। প্রত্যক্ষীকৃত্য যত্নেন পক্ষমাসান্তরে তথা। পয়োবৃত্তৈগবাদীনাং কুৰ্মাৎ সম্ভবনির্ণয়ম।।১৭।।

অলসীর তেল ষড়ভাগ হয়। এই প্রকারে সিদ্ধার্থক এবং কপিত্যের হয়। নিম এবং কদম প্রভৃতির ১/৫ ভাগ তেল হয়।।১২।।

তিল, ইঙ্গুদী, মধুক, নক্তমাল এবং কুসুম্ভ এর তেল এক পাদ হয় অর্থাৎ ১/৪ ভাগ হয়। অবশেষ সব খল নামক প্ৰসিদ্ধ পদাৰ্থ হয়।।১৩।।

ক্ষেত্রকাল এবং ক্রিয়াদি থেকে ক্ষয় প্রথমের ব্যভিচার দ্বারা প্রত্যক্ষীকরণ করা উচিত। ঐ সবের অনুমান করে অবধারণ কর।।১৪।।

ক্ষীরের দোষে গরুর এবং মহিষের এক প্রস্ত ঘৃত হয়। অজাবির পাদের অধিক ঘৃত এই বিদ্যায় বিদ্বানগণ বলেছেন।।১৫।।

ভাল ভূমি, ভাল তৃণ এবং সুসময়ে ক্ষীর এবং ঘৃতের বৃদ্ধিও হয়। এজন্য তার বিশেষ নিশ্চয় অর্থেই করতে হবে।।১৬।।

যত্নের দ্বারা ছয়মাসের মধ্যে প্রত্যক্ষ করে গো প্রভৃতির দুধ এবং বৃত্তের যা নির্ণয় সম্ভব তা করতে হবে।।১৭।

কার্পাস কৃমিকোশৌমৌমক ক্ষৌমাদিকর্তণম্। কুণিপংম্বন্ধয়োযাভিবিধবাভিশ্চ কারয়েৎ।। ১৮।। বালবৃদ্ধদ্ধকাপন্যে যৎকর্তব্যমবশ্যতঃ। বিনিয়োগং নয়েৎসর্বে প্ৰিয়োপগ্রহ পূর্বকম্।।১৯।। কর্মণামন্তরালে প্রোষিতে চাপি ভর্তারি। স্বয়ং বৈ তদনুষ্টৈয়ং নিত্যানাং চাবিরোধতঃ।।২০।। শূদ্রাণাং স্থুলসূক্ষ্মত্বং বহুত্বং চ ব্যয়াব্যয়ৌ। মত্বা বিশেষং কুর্বীত চেতন প্ৰতি পত্তিষু।।২১।। কারয়ে স্ত্রধান্যাদি স্বাপ্তবৃদ্ধেরধিষ্ঠতম্। শূদ্রাণাং ক্ষয়বৃদ্ধয়াদি মন্তব্যং বেতনানি চ।।২২।। ক্ষোমকাপাসয়োবিদ্যাৎ সূত্রং পঞ্চমভাগকম্। দেশকালাদিভাগাত্তু প্রত্যক্ষাদেব নির্ণয়ঃ।।২৩।।

কার্পাস, কুমিকোশ, ঊর্ণ এবং ক্ষৌম প্রভৃতির কর্তমের কাজ কুনি, পঙ্গু এবং অন্ধ স্ত্রীদের দিয়ে এবং বিধবা স্ত্রীদের দ্বারা করাতে হবে।।১৮।।

বালক, বৃদ্ধ, অন্ধ এবং কৃপণের বিষয়ে যা কর্তব্য হয় তার বিনিয়োগ প্রিয়ের উপগ্রহ পূর্বক অবশ্যই সব করতে হবে।।১৯।।

কাজের মধ্যে নিজ স্বামী কোথাও পরদেশে চলে গেলে নিত্য করা কার্যের অবিরোধ থেকে তার কর্ম্ম স্বয়ং স্ত্রীকে করে দিতে হবে।।২০।

শূদ্রের স্থূলতা, সূক্ষ্মতা এবং বহুত্ব ও খরতা এবং বচনের বিশেষতা মেনে চেতনের প্রতিপত্তিতে করতে হবে।।২১।

নিজ থেকে বড় এবং আপ্তের দ্বারা অধিষ্ঠিত বস্ত্র তথা ধান্য প্রভৃতির কার্য করাতে হবে। শূদ্রের বেতন, ক্ষয় এবং বৃদ্ধিকেও মানতে হবে।।২২।।

ক্ষৌম এবং কার্পাস এর মন্ত্রকে ১/৫ ভাগ জানতে হবে। দেশ ও কালের বিভাগ দ্বারা প্রত্যক্ষ হলেই এর নির্ণয় করতে হবে।।২৩।।

অবধানেন তুলস্য ক্ষয়ো বিংশতিভাগকঃ।

ছত্রাং ব্যাপ্তাং তু বাতেন তদ্বুদুণাং প্রচক্ষতে।।২৪।। পঞ্চাশদ ভাগিকীং হানিং সূত্রে কুবীত লক্ষণাৎ। বৃদ্ধিস্তু মন্ডসংপকাদ্দশংকাদশিকা ভবেৎ।।২৫।। শ্লক্ষনমধ্যমসূত্রাণামধাধিকসমং ভবেৎ। স্থূলণাং তু পুণমৃল্যৎ পাদোনং বালচেতনম্।।২৬।। কর্মণো ভূরিভেদত্বাদ দেশকাল প্ৰভেদতঃ। তদ্বিদ্ভয় এব বোদ্ধব্যো বালচেতননিশ্চয়ঃ।।২৭।। স্থূলং দিবত্রয়ং দেয়ং মধ্যমং চ ত্রিরাত্রিকম্। সূক্ষ্মমাপক্ষতো মৃষ্টং মাসাত্তাৎ পরিকর্মকম্। যদত্র ক্ষয়বৃদ্ধয়াদি তদুৎ সর্গাৎ প্রদর্শিতম্।।২৮।।

তুলার অবঘাত থেকে ১/২০ ভাগ ক্ষয় হয়। বায়ু দ্বারা ব্যাপ্ত এবং ছন্ন সেও ঐপ্রকারে প্রসিদ্ধ হয়।।২৪।।

সূত্রের লক্ষণ থেকে ১/৫০ ভাগ ক্ষয় করতে হবে। মান্ডের সম্পর্ক করে দিলে সেখানে দশ বা একাদশ ভাগ বৃদ্ধি হয়।।২৫।।

যা শ্লক্ষ মধ্যম সূত্র হয় তার অর্ধাধিক সমান হয়। যা স্থুল হয় তার পুনর্মূল্যায়ন হলে বালচেতন এক পদ কম হয়।।২৬।।

এই কর্মের অনেক ভেদ হওয়ার কারণে তথা দেশ ও কালের ভেদ- অভেদ হবার কারণে বালচেতনের ঠিক নিশ্চয় এর বিশেষজ্ঞ দ্বারাই জানা যোগ্য হয়।। ২৭।।

যা স্থূল হয় তাকে তিনদিন দিতে হবে। যা মধ্যম অর্থাৎ স্থূল নয় আবার সূক্ষ্ম নয় তাকে তিনদিন ও তিন রাত পর্যন্ত দিতে হবে, যা সূক্ষ্ম তাকে এক পক্ষ থেকে এক মাস পর্যন্ত তার পরিকর্মক সৃষ্ট দিতে হবে। যা এর ক্ষয় ও বৃদ্ধি প্রভৃতি হয় তা তার স্বভাবে দেখা যায়।।২৮।।

কালকর্তাদিভেদেন ব্যভিচারেপি দৃশ্যতে। শয্যাসনান্যনেকানি কম্বলাশ্চতুরাশ্রিকাঃ।।২৯।। কম্বুকাশ্চাবকোযাশ্চ মধ্যা রক্তাশ্চ ভূরিশঃ। গুরুবালাদি বৃদ্ধনামভ্যাগ জনস্য চ।।৩০।। ভোগায়ানুগতো ভর্তা কুমাদ্বিবিধমাত্রকম্। সদস্য শ্বশুরাদীণাং কলিপতং শয়নাদিকম্।।৩১।। ভতুশ্চৈব বিশেষেন তদন্যেব ন কারয়েৎ। বস্ত্রং মাল্যমংলকারং বিধৃতং দেবরাদিভিঃ।।৩২।। ন ধারয়েন্ন চৈতেযামাক্রমেচ্ছয়নাণি বা। পিণ্যাকনক কুট্টাশ্চ কালরূক্ষানি যানি চ।।৩৩।। হেয়ং পর্যুষিতাদ্যত্ৰং গোভক্তেনোপয়োজয়েৎ। কুলানাং বহুধেনুনাং গোধ্যক্ষব্রজজীতাম।।৩৪।।

সময় এবং এই কার্যকারী কর্তার ভেদ থেকে যা কিছু বলা হয়েছে তাতে ব্যভিচারও দেখা যায়। শয্যা এবং আসন অনেক রকম হয়। কম্বল চতুরাশ্রিক, কম্বুক, চাপকোষ, মধ্য এবং অনেক লাল হয়। গুরু, বালক, বৃদ্ধ প্রভৃতি অভ্যাগত জনের ভোগের জন্য অনুগত স্বামীর বিবিধ মাত্রাযুক্ত করতে হবে। যে শ্বশুর প্রভৃতির জন্য শয়নাদি কল্পিত করা হয়েছে।।২৯-৩১।।

তার এবং স্বামীর জন্য বিশেষ রূপে করা তা অন্য কোনও উপযোগ করার জন্য করানো উচিত নয়। দেবর প্রভৃতির দ্বারা ধারণ করা বস্ত্র, মাল্য এবং অলংকার ধারণ করবে না আর এর শয্যা কখনও আক্রমণ করা উচিত নয়।।৩২।।

কিলাটগবিকাদীনাং ভক্তার্থমুপয়োজনম্। দন্ধঃ সমাহরেৎ সর্পিদুহেদ্বৎসান্ন পীড়য়েৎ।।৩৫।। বর্ষাশরদ্বসন্তেযু দ্বৌ কালাবন্যদা সকৃৎ। তক্রং বাপপযুজ্ঞীত শ্ববরাহাদিপোযনৈ।।৩৬।। পিন্যাক ক্লেদনার্থং বা বিক্রেয়ং বা তদহয়েৎ। বৃত্তিং ধান্যহিরণ্যেন গোপাদীনাং প্রকল্পয়েৎ।।৩৭।। তে হি ক্ষীরব্রতা লোভাদুপহন্যস্তদন্বয়ান্। দোহকালং গবাং দোগ্ধা নাতিবৰ্তেত বৈ দ্বিজাঃ।।৩৮। প্রসরোকয়োগোপা মহ্নকস্য চ মহ্নকাঃ। মাসমেকং যথা স্তন্যং মাসমেকং স্তনদ্বয়ম্।।৩৯।। তিলপিষ্টাভিঃ পিন্ডাভিস্তণেন লবনেন চ। বারিণা চ যথা কালং পুঞ্চীয়াদিতি বৎসকান্।।৪০।

পিণ্যাকনক এবং কুট্ট অর্থাৎ কোদ্র যা কালক্রমে সূক্ষ্ম হয়ে গেছে তথা পর্যুষিত অন্ন প্রভৃতি দেওয়া হয়। এগুলি গরুকে দিয়ে উপযোগ করাতে হবে। যে কুলে (বংশে) অনেক গরু আছে এবং গোব্রজের স্বামী হয়ে উপজীবিত আছে তাদের কিলাট গবিকাদির ভক্তার্থ উপভোজন হয়। দই থেকে ঘি প্ৰাপ্ত হয় এবং যখন দোহন করা হয় তখন বৎসকে পীড়িত করা উচিত নয়। তাৎপর্য হল এই যে গাই প্রভৃতির বৎসের পানের জন্য দুধ রেখে দেওয়া উচিত।।৩৩-৩৫।।

কুকুর এবং বরাহ প্রভৃতির পোষণে বর্ষা, শরৎ ও বসন্তে দু’বার এবং এছাড়া একবার তক্রের উপযোগ করতে হবে।।৩৬।।

অথবা পিণ্যাক ক্লেদন করার জন্য অথবা বিকিরি করার জন্য সে যোগ্য, হয়। গোপ প্রভৃতি বৃত্তি ধান্য, হিরণ্য দ্বারা প্রকল্পিত করা উচিত।।৩৭।।

ক্ষীরব্রতকারী এই লালসার কারণে তার বংশের হনন করে। গরুর দোহনকারীর গোহনকাল কখনও অতিক্রমণ করা উচিত নয়।।৩৮।

গোপ প্রসব এবং জল মন্থকের মন্থক হয়। গোদোহনকারীর চাই এক মাস পর্যন্ত গরুর ব্যাধি জানার পর এক স্তনের দুধ নেওয়া এবং এরপর একমাস দুই স্তনের দুধ নেওয়া উচিত।।৩৯।।

তিন পিষ্ট পিন্ড দ্বারা তৃণ দ্বারা লবণ দ্বারা ও জল দ্বারা সময় মতো বৎসের পোষণ করতে হবে।।৪০।।

জগদ গুর্গার্ভিণী বেনুবৎলা বৎসতরী তথা। পঞ্চাণাং সমভাগেন খাসং যুথে প্রকল্পয়েৎ।। ৪১।। একো গোপালক স্তস্য এয়াণামথ বা দ্বয়ম্। পঞ্চাণাং বৎসকশ্চৈকঃ প্রবরাস্ত পৃথং পৃথক্‌।। ৪২।। গোচরস্যানয়নাথং ব্যলানাং ত্রাসনায় চ। ঘন্টাঃ কর্ণেষু বন্ধীয়ু শোভারক্ষঅথমেব চ।।৪৩।। পশব্যে ব্যালনিমুক্তে দেশ ভূরিতৃণোদকে। অভূত দুষ্টে বারণ্যে সদা কুর্বীত গোকুলম্।।৪৪।। সগুপ্তমটবীবাসং নিত্যং কুর্যাদজাবিকম্। উণাং বর্যেদ্বিরা দদ্যাচ্চৈত্ৰাশ্বমুজমাসয়োঃ।।৪৫।। য়ুলে বৃষা দশৈতাসাং চত্বারঃ পঞ্চ বা গবাম্ অশ্বোষ্ট্রমহিষাণাং চ যথা স্যুঃ সুখসেবিতাঃ।।৪৬।।

জগৎ, জুগর্ভিনী, ধেনু,বৎসা এবং বৎসতরী এই পাঁচজনকে যৌথভাবে সমভাগ ঘাস দিতে হবে।।৪১।।

একজন গোপালকের তিনের মধ্যে দুই অথবা পাঁচের মধ্যে একটি বৎস থাকলে তাদের পৃথক প্রবর থাকবে।।৪২।।

গোচরভুমি থেকে আনার জন্য তথা বাঘের ভয় থেকে মুক্তির জন্য এবং শোভা রক্ষা করার জন্য কানে ঘন্টা বেঁধে দিতে হবে।।৪৩।।

পশুর হিতকারী, হিংসারহিত, ভূতদুষ্ট তথা অনেক তৃণ এবং জল যুক্ত বনে গোকুল তৈরী করা উচিত অর্থাৎ গরু রাখার স্থান করতে হবে।।৪৪।। ভেড়ার নিত্য সুরক্ষিত বনের নিবাস তৈরী করতে হবে। একবছরে চৈত্র ও আশ্বিন মাসে দুবার তার ঊর্ণ নিতে হবে।।৪৫।।

এর সমানে দশটি বৃষ, গরুর সমানে চার বা পাঁচটি বৃষ হবে। ঘোড়া, উট এবং মহিষের যেমন সুখ সেবন হয় তেমনই হতে হবে।।৪৬।।

বিদ্যাৎকৃষীবলাদীনাং যোগং কৃষিককর্মসু। ভক্তবেতনলাভং চ কর্মকালানুরূপতঃ।।৪৭।। ক্ষেত্রকেদারবাটে ভূত্যানাং কর্ম কুবর্তাম্। খলে চ বিজানীয়াৎ ক্রিয়াযোগং প্রতিক্ষনম্।।৪৮।। যোগ্যতাতিশয়ং মত্বা কর্মযোগেষু কস্যচিৎ। গ্রাসাচ্ছাদশিরোভ্যং গৈবিশেষং তস্য কারয়েৎ।।৪৯।। পদ্মশাকাদিবাপানাং কাদবীজাদিজন্মনাম। সংগ্রহঃ সৰ্ব্বীজাণানাং কালে বাপঃ সুভূমিষু।।৫০।। জাতাণাং রক্ষণং সমগ্রক্ষিতাণাং চ সংগ্রহঃ। তেষং চ সংগৃহীতানাং যথাবন্নিবপক্রিয়া।।৫১।। গৃহমূলং স্ত্রিয়শ্চৈব ধান্যমূলো গৃহাশ্রমঃ তস্মাদধান্যেষু ভক্তেযু ন কুযান মুক্তহস্ততাম্।।৫২।।

কৃষি কর্মে কৃষকের যোগ্যজ্ঞান প্রাপ্ত করতে হবে। তাকে কার্য এবং কালের অনুকুলেই তার ভক্ত এবং বেতনের লাভও জানতে হবে।।৪৭।।

খেত, কেদার এবং বাড়ীতে কাজ করা ভৃত্যের তথা খলিয়ানে কাজ করা চাকরের প্রতিক্ষণ ক্রিয়ার যোগ জানতে হবে।।৪৮।।

এই কর্মে যোগদানে কোন ভৃত্যের অত্যধিক যোগ্যতা, যা থেকে তাকে ভোজন, বস্ত্র এবং শিরোভ্যঙ্গ দ্বারা বিশেষ সম্মানিত করা উচিত।।৪৯।।

পদ্ম, শাকাদির রোপন বা কন্দও বীজাদি থেকে উৎপন্ন পদার্থ যথাসময়ে সংগ্রহ করা উচিত। যাতে সুন্দরভূমিতে সঠিক সময়ে বপন করা যায়।।৫০।।

উৎপন্ন দ্রব্যের যথাযথ রক্ষণ, রক্ষিত পদার্থের সংগ্রহ তথা সংগৃহীত পদার্থের যথাবিহিত বয়ন করা কর্তব্য।।৫১।।

স্ত্রীগণ গৃহের মূল স্বরূপ আর গৃহাশ্রমের মূল হল ধান্য। এই জন্য বিভক্ত ধান্যের বিষয়ে কখনএ মুক্ত হস্ত হওয়া উচিত নয়।।৫২।।

ধান্যাং তু সঞ্চিতং নিত্যং মিতো ভক্তপরিব্যয়ঃ। ন চান্নৈ মুক্তহস্তত্বং গৃহিনীণাং প্রশস্যতে।।৫৩।। অল্পমিত্যেব নাবজ্ঞাং চরেদন্নেষু ব দ্বিজাঃ। মধুবল্মীকয়োবৃদ্ধিং ক্ষয়ং দৃষ্টবাংজনস্য চ।।৫৪।। যে কেচিদিহ নিদিষ্টা ব্যাপারাঃ পুরুষোটিতাঃ। দম্পত্যোরৈক্যমাস্থায় তদ্ধিদান প্রসংগতঃ।।৫৫।। সংত্যেব পুরুষা লোকে স্ত্রীপ্রধানাঃ সহস্রশঃ। তেষু তাসাং প্রয়োক্তত্বাদদোয ইতি গৃহ্যতাম্।।৫৬।। এবং যোগ্যতয়া যুক্তা সৌভাগ্যনোদ্যযেন চ। সম্যগারাধ্য ভর্তরিং তত্রৈণং বশমানয়েৎ।। ৫৭।।

ধান্যের নিত্য সঞ্চয় এবং মিতব্যয়িতা করা উচিত। মুক্তহস্ততা কখনই সুগৃহিনীর লক্ষণ নয়।।৫৩।।

“এটি খুবই অল্প”–এরূপ কখনই অন্ন সম্বন্ধে চিন্তা করে অন্নকে অবজ্ঞা করা উচিত নয়। মধু, বল্মীক বা অঞ্জনের ক্ষয়-বৃদ্ধি সম্বন্ধেও এইরূপ বিচার করা উচিত নয়।।৫৪।।

পুরুষদের জন্য এখানে দানের প্রসঙ্গে নির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে যে, দম্পতি ঐক্যমত হয়ে দান করবে।।৫৫।।

এই লোকে কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্ত্রী প্রাধান্য স্বীকার করতে হয়, দোষাবহ হয়না।। ৫৬।।

এই প্রকারে যোগ্যতা, সৌভাগ্য এবং উদ্যমের দ্বারা স্ত্রীগণ নিজ নিজ স্বামীকে আরাধনপূর্বক তাঁদেরকে নিজবশে নিয়ে আসবেন।।৫৭।।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *