সেদিন—সারাটা দিন—অনেক শ্মশানে
কাটায়েছি—অনেক গম্ভীর কথা নির্জন পেঁচার মতো
মেধায় ভাবিব ব’লে—জন্ম আর মৃত্যুর তারিখে সব ফাটল, ফলক,
ঘাস।
অগণন মুদ্রা, ছবি—তবু যেন—মিছিলের মতো
শরীরে শব্দের মতো লেগে থাকে যেন কোন দূর প্রান্তরের
হয় আর নবীদের।
কোথাও ভাঁড়ারে ঢুকে কবে যেন অতি শীত পুরানো মদিরা
একবার খেয়ে গেছি;—চামচিকা দেখেছে তা—হয়তো পণিরখেকো
আরশোলা
আঁধারকে দ্বিধা ভিন্ন ক’রে উড়ে গেছে প্রাচীন বিস্ময়ে।
অর্ধেন্দু গিয়েছে ম’রে—সান্যাল গিয়েছে—নূরন্নবী—নবনীতা
মক্ষিকার নীড় থেকে হৃত মোম ছিল যার তামাসার সঙ্গে লেগে
দুরূহ—গভীর নাভি ঘিরে মধু ছিল
এসব বৈদূর্যমণি লোষ্ট্র ভেবে বৈতরণী ফেলেছে ডুবায়ে।
আলোকের প্রয়োজন নাই আর—একদিন আমিও নদীর তলে গিয়ে
সেইখানে
পাথরের ভিড়ে আরও ঘন সঙ্গীহীন অস্পষ্টতা হয়ে রব
নেউলের মতো হিম ধূসর জলের চোখ ধুলো দিয়ে
মৃতদের ভালোবাসা (হয়তো বা) ক্রয় করা যায় নাক’ আর;
অনন্তের ভাঁড় তবু আমি
তুমিও জানিতে, নবনীতা, সজারুর মতো ক্ষিপ্র অমোঘ কাঁটায়
জেগে ওঠে।
তোমাদের কালো জলে আমার মৃত্যুর লোষ্ট্র—তাই
শনৈশ্চর গ্রহের মতন ঘুরে ঘুরে ঘুরে
নয়টি রসিক চাঁদ সঙ্গে লয়ে
তবুও অনন্তকাল ঘুরিয়ে কেবল।