৭
হাতের আঙুল দুটো ভোগালো খুব। প্রথম দুদিন জ্বর। বাঁহাতটায় অসহনীয় ব্যথা। মুখে রুচি নেই। সুস্বাদু কোনো খাবারও নেই ফ্রিজে। অনলাইনে চাইনিজ অর্ডার করল। সেটা মুখে তোলা গেল না। পেইন কিলার গিলে সারাদিন শুয়ে থাকল মটকা মেরে। মস্তিষ্কে ঘুরপাক খেলো অদ্ভুত সব বিকার। বাড়ির লোক ওয়ালিমার অনুষ্ঠান নিয়ে ব্যস্ত। আরশানের খোঁজ নেওয়ার কথা কারো মাথায় আসেনি। সবাই জানে এই ছেলে নিভৃতে থাকতে ভালোবাসে। খোঁজ-খবর নিয়ে জ্বালাতন করার চাইতে এই বান্দাকে একান্তে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকতে দেওয়াই উত্তম। তৃতীয় দিন জ্বর কাটল, কিন্তু দুর্বলতা কমল না। অফিস কামাই হয়েছে। কাজ জমে গেছে। জ্বর ছাড়ার পর ভেবেছিল কষ্ট হলেও রাত জেগে কাজ করবে। সে আশায় গুড়ে বালি। অনিকসহ আরো দুজন কাজিন ওর পাতালপুরীতে এলো রাত্রি যাপনের উদ্দেশ্যে। ওপরে নাকি স্পেস নেই। বাড়ি ভরতি অতিথি। অতিথির আগমন আরশানকে তিল পরিমাণ প্রফুল্ল তো করলই না বরং ক্ষুব্ধ, রুষ্ট এবং অসন্তুষ্ট করে তুলল। তবে মনের ভাব মনের মাঝেই প্রচ্ছন্ন রইল। প্রকাশ হলো না। আরশান ওদের জন্য বেডরুম ছেড়ে দিল। নিজে ঘুমাল লিভিং রুমে। ফ্লোরিং করে। ঠিক করল আগামী কাল ফাহাদ নাবিলার ওয়ালিমার অনুষ্ঠান শেষে অন্য কোথাও চলে যাবে কদিনের জন্য। হয়তো কোনো হোটেলে। কিংবা বন্ধু বান্ধবের বাসায়। এই দুই কামরার বেজমেন্টে আত্মীয়-স্বজনের সাথে ঘেঁষাঘেঁষি করে রাত কাটানোর কোনো মানে হয় না।
ঘুম ভাঙল সকাল সাতটায়। জ্বর নেই। হাতের ব্যথাটার অস্তিত্ব এখনো আছে। তবে আগের চাইতে অনেকটাই সহনীয়। সিলিংয়ে ধুপধাপ শব্দ হচ্ছে। দেওয়াল কাঁপছে হালকা। বাড়ি ভরতি লোকের অস্তিত্ব টের পাওয়া যাচ্ছে। আরশান পাশের ঘরে উঁকি দিয়ে দেখল: অনিকরা নেই। কেউ একজন সিঁড়িঘরের সাথে লাগোয়া দরজাটা খুলল। মেয়েলি কণ্ঠস্বর ভেসে এলো ওপর থেকে, ‘আরশান ভাইয়া!’
‘হুম!’ টিলির ডাকে ছোটো করে উত্তর দিল আরশান।
‘ওপরে এসো তো একবার!’
‘কেন?’ ত্যক্ত বিরক্ত শোনায় আরশানের কণ্ঠস্বর।
‘কেন আবার? সবাই মিলে ব্রেকফাস্ট করব।’
ফাহাদের গলার আওয়াজ ভেসে এলো, ‘ভাই, তাড়াতাড়ি আসো। হারিয়াপ! সবাই তোমার জন্য ওয়েইট করছে।’
আরশানের জ্বরে ভোগা শীর্ণ মুখে উৎপীড়নের ছায়া পড়ল। ছোটো-ভাইবোনের অনুরোধ পায়ে ঠেলে দিতে তার ইচ্ছে হচ্ছে না, কিন্তু ওপরে যাওয়া মাত্র একগাদা আত্মীয়- স্বজনের মুখোমুখি হতে হবে। ভাবতেই বিরক্তিতে কুঁকড়ে যাচ্ছে মন। দেখা হলে এরা যেকোনো উপায়ে বিয়ের প্রসঙ্গ টেনে আনবে। ইনিয়ে-বিনিয়ে বলবে, বড়ো ভাইয়ের আগে ছোটো ভাই বিয়ে করে ফেলল। দুনিয়া পালটে যাচ্ছে। বড়ো বউয়ের দেখা পাচ্ছি কবে?
আরশান অসন্তোষ চাপা দিয়ে গলায় স্বাভাবিক ভাব ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে বলল, ‘আসছি।’
.
সকাল ম্লান মুখে ঘুরে বেড়াচ্ছিল এদিক-সেদিক। বুকে অস্থিরতার নচ্ছার আলোড়ন! ফাহাদ জানিয়ে গেল, মহাশয় নাকি ওপরে আসতে রাজি হয়েছেন। কিন্তু আসবেন কখন? মাকে শোবার ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় রেখে বেরিয়ে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে জেগে যাবেন। জাগার পর এক মুহূর্ত ব্যয় না করে উড়ে এসে জুড়ে বসবেন সকালকে পাহারা দেওয়ার এক এবং অভীষ্ট গুরুতর কাজে। মায়ের সন্দিগ্ধ গোয়েন্দা চোখের সামনে আরশানকে এক নজর মন ভরে দেখার সুযোগও হবে না। ছেলেটা এত দেরি করছে কেন? কী মুশকিল! নিচতলা থেকে সিঁড়ি ভেঙে ওপর তলায় আসতে এমন সহস্ৰ ঘণ্টা সময় লাগে? এই অপেক্ষা ক্রমেই অসহ্য থেকে অসহ্যতর হয়ে উঠছে। ঘর ভরতি মানুষ। কিন্তু জাগতিক সব কোলাহলের সাথে তার যেন কোনো বাস্তবিক যোগাযোগ নেই। সে কারো দিকে তাকাচ্ছে না, কথা বলছে না। অন্যমনস্ক অবিন্যস্ত হাতে টেবিলে রাখা প্লেট গ্লাস অহেতুক নাড়াচাড়া করছে। বারংবার তাকাচ্ছে করিডোরের সাথে লাগোয়া বেজমেন্টে নামার দরজাটার দিকে। গা শিরশির করছে, হাত পা কাঁপছে, উত্তেজনায় কেমন বমি বমি ভাব হচ্ছে। কোথাও স্থির হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
অবশেষে এলো সে। ছাই রঙের টিশার্ট, কালো ট্রাউজার, এলোমেলো চুল আর গালে কালচে ছোপঅলা স্টাবল দাড়ি নিয়ে। চোখের ঘন সন্নিবিষ্ট পাপড়িতে এখনো ঘুমের রেশ জড়ানো। সকাল মুগ্ধ, মোহিত এবং বাকরুদ্ধ হয়ে চেয়ে রইল। বুকের ভেতর অনেকক্ষণ ধরে জমে থাকা দুশ্চিন্তার গ্যাজলা- ওঠা বিশ্রী সব অনুভূতিকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিল ভালোলাগার অলৌকিক এক জিয়নকাঠি! একটা ময়ূর যেন পেখম তুলে নেচে উঠল মনে। আনন্দম! আনন্দম! আনন্দম! পৃথিবী সুন্দর! বেঁচে থাকাটাও বড়ো সুন্দর! আর সবচেয়ে বেশি সুন্দর ওই মানুষটা…যাকে সে ভালোবাসে। নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসে!
সিঁড়ি ভেঙে উঠে আসতেই হরেক লোকের কণ্ঠস্বর ভেসে এলো আরশানের কানে। তিরের মতো ক্ষিপ্রতর গতিতে মুখে এসে বিদ্ধ হলো যেন একশো চোখের তারা। দুর্মোচ্য বিরক্তি চেপে বসল ঘাড়ে। ভ্রু কুঁচকে গেল। চোয়ালে লাগল কঠোরতার ছোঁয়া। তার আজন্ম লালিত সমাজ-বহির্ভূত, নির্জনবাসী মনটা পালাই পালাই করে উঠল। কিন্তু পালানো গেল না। টিলি দৌড়ে এসে ওর হাত চেপে ধরল। টানতে টানতে নিয়ে গেল ডাইনিং রুমে। সামনে পড়ে গেলেন ফাহাদের ছোটো খালা। ‘হাতে কী হয়েছে?’
‘তেমন কিছু না। ছোটোখাটো অ্যাক্সিডেন্ট, ‘ অপ্রতিভ ভাবে উত্তর দেয় আরশান।
ছোটোখালা করুণ স্বরে বলেন, ‘ইশ…কতদিন পর দেখলাম! ভীষণ শুকিয়ে গেছো তুমি!’
ক্ষণকাল ক্ষেপণ হবার আগেই কয়েকজোড়া করুণ দৃষ্টি ওর বিচলিত মুখখানার ওপর নিরূপিত হলো।
ভিড়ের মাঝে কে যেন বলল, ‘সত্যিই একদম কাহিল হয়ে গেছে।’
আরশান কারো কথাই তেমন গ্রাহ্য করল না। থমথমে মুখে খাবার টেবিল সংলগ্ন একটা চেয়ার টেনে নিলো। বাঙালিদের এই এক সমস্যা। দেখা হলে চেহারা নিয়ে ভালোমন্দ মন্তব্য করাটা এরা নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে করে। একজন মধ্যবয়স্ক সুগোল ভুঁড়িঅলা ভদ্রলোক পাশের চেয়ারে বসে বললেন, ‘তুমি নাকি অনেক নামকরা আর্টিস্ট হয়ে গেছ। এক্সিবিশন করে বেড়াও। মাঝে মাঝে আমাদের ডাকতে তো পারো, নাকি!’
আরশান লোকটাকে ঠিকঠাক চিনল না। আগে কোথাও দেখেছে বলে মনেও পড়ে না। তার মাথাটা আজকাল কুয়াশায় জমে থাকে। স্মৃতিশক্তি দুর্বল। সে লোকটার দিকে তাকিয়ে ভদ্রতার একটা হাসি হাসার চেষ্টা করল। কিন্তু পারল না। মুখভঙ্গি কেন যেন অধিকতর কঠিন হয়ে গেল। কোনো প্রত্যুত্তর না করে নিজের প্লেটে তুলে নিলো একটা পরোটা। কাঁধে হাত রেখে একজন মহিলা বললেন, ‘কী ব্যাপার? বড়ো ভাইয়ের আগে ছোটো ভাইয়ের বিয়ে! এ কেমন কথা? বড়ো জনের বিয়ে কবে খাচ্ছি?’
আরশানের মন চাইল, পোর্সেলিনের চকচকে প্লেটটা তুলে নিয়ে মহিলার মাথায় ভাঙে—মনের মতো কাজটা করতে পারলো না বলেই হয়তো সে অত্যন্ত নিষ্ঠুর ভাবে কাঁটাচামচ আর ছুরি দিয়ে পরোটাটা কুচিকুচি করে ছিঁড়তে লাগল। চারপাশের অসহ্য কোলাহল মাথার মধ্যে ঝিঁঝিঁ পোকার ডাক সৃষ্টি করেছে। অসহ্য রাগে চিড়বিড় করছে শরীর। অথচ এত রেগে যাবার মতো কোনো ঘটনাও কিন্তু ঘটেনি। সে কি পাগল হয়ে যাচ্ছে? তার কি মানসিক হাসপাতালের দ্বারস্থ হওয়া উচিত? কেন রক্তের মধ্যে অকারণে অষ্টপ্রহর শুঁয়োপোকা কামড় দেয়? কেন সবকিছু অসহ্য লাগে? কেন মনে হচ্ছে এই মুহূর্তে কাঠের ভারী চেয়ারটা দিয়ে পাশে বসা ভদ্রলোকের মাথা ফাটাতে পারলে গায়ের জ্বালা জুড়োেত?
উপস্থিত স্বজনরা এই খামখেয়ালি, একরোখা যুবকটিকে সচেতন দৃষ্টিতে অবলোকন করছিল। এর চোখেমুখে বিষাদের গাঢ় ছাপ থাকা সত্ত্বেও মুখখানা যেন দেবতার মতো সুন্দর। কিন্তু কোথাও কিছু একটা অসংলগ্নতা আছে। রূপ-গুণের বিস্তর উপস্থিতি সেই অসংলগ্নতাটুকু আড়াল করতে পারছে না। ‘আপনাকে চা দেব?’
মেয়েলি কণ্ঠ ভেসে এলো কানে। কণ্ঠটা বেশ পরিচিত। কিন্তু এই মুহূর্তে কণ্ঠের মালকিনকে চোখ মেলে দেখার কোনো কৌতূহল বোধ করল না নির্লিপ্ত আরশান। নতমুখে বলল, ‘না।’
‘কফি?’
দ্বিতীয় বার গলার স্বরটা শ্রবণগোচর হওয়া মাত্র বিস্ময়ের এক আবছা ঢেউ এসে লাগল বুকে। চকিতে মুখ তুলল। মাত্র একহাত দূরে হলুদ জামা পরা যে মেয়েটা আনত নয়নে দাঁড়িয়ে আছে তার মুখের ওপর দৃষ্টি পড়তেই থমকে গেল হৃৎপিণ্ড। ঘড়ির কাঁটা চলতে গিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ল হঠাৎ! ক্ষীণ হয়ে এলো চারপাশের স্ফীত কোলাহল। সে কি স্বপ্ন দেখছে? নাকি মাথাটা পুরোপুরিই গেছে? চঞ্চল, অস্থির এবং উতরোল দুটি চোখ নামিয়ে নিলো নিচে। আবার তাকাল সচেতন ভাবে। এবার গলায় আটকে গেল শুকনো খাবার। কাশির দমকে কেঁপে উঠল শরীর। সকাল তটস্থ ভাবে পানির গ্লাস এগিয়ে দিল। আরশান কাঁপা হাতে তুলে নিলো গ্লাসটা। ঢকঢক করে পানি ঢালল গলায়। উঠে দাঁড়ালো বসা থেকে। বাহ্যজ্ঞানরহিত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধীর মতো হনহনিয়ে হেঁটে এলো বাইরে।
সদর দরজা ঠেলে প্যাটিয়োতে আবির্ভূত হয়েই বড়ো একটা শ্বাস টেনে নেওয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করল সে। বুকটা অসম্ভব কাঁপছে। কাশি তখনো থামেনি। চোখ লাল। ধনুকের মতো বাঁকা দুটি ভ্রুতে বিস্ময়বিমূঢ়তার সুস্পষ্ট কুঞ্চন। ফাহাদ বেরিয়ে এলো।
‘সারপ্রাইজ কেমন ছিল, ভাই?’
আরশান খম ধরা চোখে তাকাল ফাহাদের দিকে। বিবশ অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়ে আছে ভেতরটা। এটা স্বপ্ন নাকি বাস্তব এই নিয়ে তার মনের মধ্যে এখনো সংশয় আছে। ফ্যাকাশে গলায় বলল, ‘কখন এসেছে?’
‘লাস্ট নাইট।’
ফাহাদের ঠোঁটে দুষ্টু হাসি ঝিলিক দিচ্ছিল। এক চোখ ব্লিংক করে বলল, ‘আমরা তো নিয়ে এলাম দেশ থেকে। এবার এখানে বেঁধে রাখার দায়িত্বটা কিন্তু তোমার।’
আরশান প্রত্যুত্তর করল না। একটু লালের আভাস পড়ল উদ্বিগ্ন মুখে। সকাল বেরিয়ে এলো হাতে মগ নিয়ে। আরশানের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘আপনার কফি।’
বিস্ময়বিহ্বল আরশান কিছুক্ষণ নড়তে পারল না, বলতে পারল না, চোখ মেলে চাইতে পারল না। কয়েক সেকেন্ড নিভৃতে কেটে যাবার পর সে হাত বাড়িয়ে কফির মগ তুলে নিলো। দম-বন্ধ বুক নিয়ে আলগোছে তাকাল সকালের ওই চন্দন রঙের স্নিগ্ধ কপোল-কপাল-ললাটে। চোখে চোখ পড়ল। কতদিন পর!
ক-ত-দি-ন প-র!
হঠাৎ ডাক ছুটে এলো, ‘দোস্ত, আন্টি তোকে খুঁজতেছে সেই কখন থেকে। তাড়াতাড়ি আয়।’
নাবিলার কথা কর্ণগোচর হওয়া মাত্র সচকিত সকাল শিকারীর তাড়া খাওয়া হরিণীর মতো ছুট দিল ভেতর বাড়িতে। চেপে রাখা নিশ্বাসটা ছাড়ল আরশান। মুখ তুলে চাইল খোলা আসমানের দিকে। বহুদিন ধরে অন্ধত্বে ডুবে থাকা নিষ্প্রভ চোখের তারায় যেন আচমকা ঠিকরে পড়ল সকাল বেলার পুণ্যময়, দিব্য আলোর ছটা! হিমঘরে শায়িত মৃত হৃদয়ের ওপর বিকীর্ণ হলো প্রাণের স্ফুরণ। নাকে এসে ধাক্কা খেলো ফুলগন্ধি হাওয়া। নিশ্ছিদ্র নীল আকাশে সাঁতরে বেড়ানো সোনালি ডানার খুশিয়াল রোদ্দুরে চোখ রাখা মাত্র ওর মনে পড়ল, এখন অক্টোবর! গাছে গাছে রঙবাহারি আলপনা। পথঘাট, বাড়ির উঠোন থেকে শুরু করে যতদূর চোখ যায় শুধু হাওয়ায় সরসরানি তোলা উড়ুক্কু পাতার মিছিল। লনে হইচই করে কাজ করছে ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের লোকজন। প্যাটিয়োতে দাঁড়িয়ে বাবা আর ফাহাদ কথা বলছে। ছাই রঙা কাঠবিড়ালি ছুটছে এদিক সেদিক। লনের ধারের জংলা ঝোপে পলকা বাতাসে, সোনালি আলোয় ভেসে ভেসে, হেসে হেসে দোল খাচ্ছে ভার্জিনিয়া রুবেলস।
।
আরশান কফির মগে চুমুক দিল। অক্টোবরের এমন সর্বত্রব্যাপী সোনাবরণ আলো ছড়ানো ঝুমঝুম সকালে, হলুদ জামা পরা মোমের পুতুলের মতো সুন্দর সকালকে এক নজর দেখতে পাবার জন্য…ওর বেঁচে থাকতে ইচ্ছে করে জনম জনম ধরে!