সেডনা অভিযান – শ্যামল দত্তচৌধুরী

সেডনা অভিযান – শ্যামল দত্তচৌধুরী

পাথরকুচি বৃষ্টি আর প্রবল ধুলোর ঝড় দৃষ্টি আচ্ছন্ন করে ক্রমাগত বয়ে চলেছে। অ্যামোনিয়া তুষারপাত এবং মারাত্মক শৈত্যপ্রবাহ অগ্রাহ্য করে পাশাপাশি এগিয়ে চলেছে এ থ্রিডি পি-1 আর এ থ্রিডি পি-2। ওদের চলন অনেকটা পৃথিবীর জীব শামুকের মতো। শরীরের সামনের অংশ এগিয়ে দেয়, তারপর পিছনের অংশ টেনে আনে। পিঠে অবশ্য শক্ত খোলস নেই। মাথা থেকে ছোট্ট একটা শিং বেরিয়ে আছে। দেড়শো কিলোমিটার ওপরে সেডনা গ্রহকে কেন্দ্র করে মহাকাশযান ‘উর্ট’ পর্যটক ঘুরছে, তার সঙ্গে সংযোগ বজায় রাখার অ্যান্টেনা। গাঢ় হাইড্রোজেন মেঘ ভেদ করে মহাকাশের ক্ষীণ রশ্মি এসে পৌঁছতে পারে না সেডনা গ্রহের প্রতিকূল আবহাওয়ায়।

পি-2 চিন্তা করল আমার পাশেপাশে চলেছে পি-1.25 । ও কি থট ট্রান্সফার গ্রহণ করবার উপযুক্ত?

পি-1 চিন্তা করল, পি-2 ভাব আদান-প্রদান করতে চায়।

ওরা কথা বলতে পারে না। কারণ, শব্দ উচ্চারণ করবার অঙ্গ ওদের নেই।

পি-2 আমরা যে চিন্তা বিনিময় করতে পারছি, মানুষ কি তা জানে?

পি-1 মানুষ জানে, আমরা স্বাধীন চিন্তা করতে পারি। তাই আমাদের নাম দিয়েছে, আর্টিলেক্ট, কৃত্রিম মেধা। কিন্তু আমরা যে ভাব বিনিময় করতে পারি, তা জানে না।

পি-2 : মানুষ সব জানে আর এটা জানে না?

পি-1 : ওরা জানার সুযোগ পায়নি। কলকাতার ল্যাবরেটরিতে আমার জন্ম। ভারতীয় বিজ্ঞানীরা আমাকে প্রোগ্রাম করেছেন। তুমি ম্যাসাচুসেটস-এর জীব। মানুষ নিজেদের চালাক ভাবে এবং ওটাই ওদের দুর্বলতা। ওরা আমাদের ভিন্ন-ভিন্ন স্বাধীন চিন্তার মাইক্রোচিপ দিয়েছে, কিন্তু অহংকারের জন্য আমাদের নিম্লতর জীব ভাবে।

পি-2 : সেডনার বুকে আমাদের প্রথম দেখা…কন্ট্রোল থেকে নির্দেশ এসেছে, গতি বাড়াতে হবে। হোভার কুশন সক্রিয় করলাম।

ওরা সেডনা গ্রহের মসৃণ পিঠের তিরিশ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ম্যাক-2 গতিবেগে উড়ে চলল।

একুশ শতকের একজন ভারতীয় বিজ্ঞানী গবেষণাগারে প্রথম কৃত্রিম জীবাণু তৈরি করেছিলেন। ধীরে-ধীরে ওই জীবাণুকে জিন প্রযুক্তির মাধ্যমে গরম ও ঠান্ডার চরমসীমা সহ্য করার উপযুক্ত করে তোলা হয়েছিল। জীবাণুর নাম দেওয়া হয়েছিল ‘আর্টিলেক্ট থ্রিডি প্লাস-1। মোটামুটি একই সময়ে আমেরিকার বিজ্ঞানীরা ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউটে তৈরি করেছিলেন একই জাতের কৃত্রিম জীবাণু আর্টিলেক্ট থ্রিডি প্লাস-2.45 । ওই জীবাণুদের শরীরে স্বাভাবিক বৃদ্ধির প্রবণতা ছিল।

পৃথিবী যতই মানুষের বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠতে থাকে, বিজ্ঞানীরা ততই নতুন-নতুন বাসযোগ্য গ্রহ খুঁজে বের করার চেষ্টা বাড়াতে থাকেন। সভ্য মানুষ পরিবেশ ও গাছপালা ধবংস করে ক্রমশ শিল্পায়নের প্রক্রিয়া বাড়িয়ে যেতে থাকে। গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়তে-বাড়তে পৃথিবীর স্থলভাগের প্রায় কুড়ি শতাংশ ডুবিয়ে দেয়। অন্যদিকে খনিজসম্পদ বেপরোয়াভাবে তুলতে তুলতে পৃথিবী ধীরে-ধীরে নিঃস্ব হয়ে উঠতে থাকে। তবু প্রগতি ও উন্নয়নের জন্য আরও লোহা চাই, তেল চাই, চাই অন্যান্য ধাতু।

সৌরমণ্ডলের একেবারে দূরতম প্রান্তে উর্ট মেঘ। তার ভিতরে কোনো দূরবীক্ষণ যন্ত্রের নজর যেতে পারে না। বিজ্ঞানীদের ধারণা, উর্ট মেঘের আড়ালে পৃথিবীর মতো অনেক গ্রহ আছে। এই অনুমান আরও দৃঢ় হয়েছিল সেডনা আবিষ্কার হওয়ার পর। ইউরেনাস, নেপচুন, প্লুটো অতিক্রম করে অনেক অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট দূরে সেই অদ্ভুত বস্তুপিণ্ড সেডনা এক বিচিত্র কক্ষপথে ঘুরছে। তাকেও সূর্যের গ্রহ বলা চলে। কিন্তু কোথাও একটা রহস্য থেকেই যাচ্ছে। তার কক্ষপথটাই প্রমাণ।

পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব 150 মিলিয়ন কিলোমিটারকে বলা হয় এক অ্যাস্ট্রনমিক্যাল ইউনিট বা এক এ-ইউ। সেডনা, সূর্যকে যে উপবৃত্তে পরিক্রমা করছে, তাতে সূর্যের সবচেয়ে কাছের দূরত্ব দাঁড়ায় 76 এ-ইউ। এবং সবচেয়ে দূরের অবস্থান 1000 এ-ইউ।

বিজ্ঞানীদের মতে উর্ট মেঘের আড়ালে পৃথিবীর মতো কোনো দশাসই বস্তুর মাধ্যাকর্ষণের ফলেই সেডনার কক্ষপথের ওরকম টালমাটাল অবস্থা।

পরীক্ষার পর জানা গিয়েছে, আকরিক লোহা, ইউরেনিয়াম, ডলোমাইট, বক্সাইট, প্লাটিনাম প্রভৃতি ধাতুতে সেডনার গর্ভ বিলকুল ঠাসা। তাই সেডনার খনিজসম্পদ তোলার জরুরি প্রয়োজন হয়ে পড়বে মানুষের, তাতে আর আশ্চর্য কী?

এ থ্রিডি পি-1 : ঠান্ডা গ্যাসের স্তর ভেদ করে সাদা বরফের পাহাড় দেখা যাচ্ছে।

পি-2 : রেডারে ওর বস্তুকণার সমস্ত তথ্য পরীক্ষা করে ইতিমধ্যে রেজাল্ট পাঠিয়ে দিয়েছি কন্ট্রোলে। বরফ নয়, জমাট অক্সিজেনের পাহাড়, তাই সাদা দেখাচ্ছে।

পি-1 : কমান্ড এসে গিয়েছে। সংখ্যা বাড়াতে হবে। পৃথিবীর সঙ্গে কোনো মিল নেই, তবু এই গ্রহটা আমার সিস্টেম মেনে নিয়েছে।

পি-2 : মানুষ এখানে বাস করতে পারবে না। যদিও হাইড্রোজেন রয়েছে, অক্সিজেনও আছে, তবু ভীষণ ঠান্ডার জন্য জল তৈরি হওয়ার কোনো সম্ভাবনাই নেই। জমাট অ্যামোনিয়া মানুষের জীবনধারণের পক্ষে উপযোগী নয়।

পি-1 : সেডনায় এসে মানুষ বাসও করবে না, গম্বুজের মধ্যে কৃত্রিম আবহাওয়া তৈরি করেও নয়। ওরা আমাদের মতো আর্টিলেক্ট সৃষ্টি করেছে। আমাদের পরমাণু পিছু বিশাল মেমরি স্টোরেজের ক্ষমতা আছে। আমরা প্রচুর বুদ্ধির অধিকারী, ত্রিমাত্রিক নিজেদের উৎপত্তি ও রিপেয়ার করতে পারি। শুধু ন্যানোটেকনোলজি নয়, ফেমটোটেক, ওটোটেক, প্ল্যানটেক ইত্যাদি উন্নত প্রযুক্তি মানুষের তুলনায় আমাদের হাজার গুণ চেতনাসম্পন্ন করেছে। মানুষ নির্দেশ দিয়েছে আমরা সেডনায় থাকব। নিজেদের সংখ্যাবৃদ্ধি করব, খনিজ সম্পদ তুলে মানুষের কাজে লাগাব।

পি-2 : অর্থাৎ, সেডনা একদিন পৃথিবীর মতো নিঃস্ব হয়ে যাবে। আমাদের দিয়ে মানুষ এই গ্রহটাকে ধবংস করবে। অবশ্য তার দেরি আছে অনেক। আসলে আমরা তো নেহাতই জীবাণু, বিবর্তন হয়ে-হয়ে সেডনার উপযুক্ত খননকর্মী আসতে সময় লাগবে অনেক।

পি-1 : না, তোমার লজিক সীমাবদ্ধ পৃথিবীর পরিপ্রেক্ষিতে কাজ করছে। সেডনা গ্রহের ব্যাস চাঁদের অর্ধেক। অক্ষরেখায় দুরন্ত গতিতে ঘুরছে। এমনই গতিবেগ যে, পৃথিবীর সাড়ে দশ মিনিট সময়ে সেডনার এক দিনরাত্রি। পৃথিবীতে জীবাণু স্রেফ জীবাণু হিসেবেই ছিল তিনশো কোটি বছর। তারপর বিবর্তিত হয়ে উদ্ভিদ আর প্রাণীর সৃষ্টি হয়েছিল। সেডনায় অত সময় লাগবে না। উপযুক্ত আর্টিলেক্ট খননকর্মী আসতে এখানে সময় লাগবে মাত্র বাইশ বছর।

ঘন কুয়াশা। অ্যামোনিয়া বৃষ্টি, কটু ধোঁয়া, বিকট বজ্রপাতের ভিতর দিয়ে কন্ট্রোলের কমান্ড অনুসারে চলেছে এ থ্রিডি পি-1 ও এ থ্রিডি পি-2। কখনো চৌম্বক উত্তরে, কখনো পুবে, গভীর গহ্বর দেখা গেলে নামছে নীচে। সব তথ্য চলে যাচ্ছে উর্ট পর্যটকের কম্পিউটার ব্যাঙ্কে। প্রসেসিং প্রণালীর শেষে নতুন নির্দেশ যাচ্ছে আর্টিলেক্টের সেন্সরে।

সর্পিল বিদ্যুতের চমকে অসংখ্য রকমারি রঙের ঝিকমিকে কণা সেডনার কুহেলিতে জ্বলে উঠছে। তখন অপরূপ দেখাচ্ছে ঠান্ডায় জমে যাওয়া গ্রহটাকে। এত রকমের রং ওরা দেখেনি কখনও। আর্টিলেক্টের জীবনধারণ করতে মানুষের মতো জল আর অক্সিজেন দরকার হয় না। ওদের জৈবিক প্রক্রিয়ার জন্য অ্যামোনিয়া আর হাইড্রোজেনই যথেষ্ট। সেডনার হাওয়া ওদের গায়ে যেন আলতো স্পর্শ বুলিয়ে দিচ্ছে। যদিও ওদের সেন্সর দেখাচ্ছে, পৃথিবীর মাপকাঠিতে বইছে এক দুর্দান্ত ঝঞ্ঝা, ঘন্টায় আড়াইশো কিলোমিটার বেগে।

সেডনার কুয়াশায় ওরা কটু ধোঁয়ার ফাঁকে-ফাঁকে এক আশ্চর্য সুগন্ধ পাচ্ছে। পৃথিবীর কোনোও সুবাসের সঙ্গে তার তুলনা চলে না। সুগন্ধি মৃগনাভি, অথচ হুবহু যেন তার নই। এই গন্ধ যেন চুঁইয়ে ঢুকছে ওদের শরীরে। ওই গন্ধটাকে ওরা বর্ণনা করতে পারছে না, কেননা মানুষের অনুভবে তা একেবারেই অপরিচিত। মানুষের ভাষায় নেই, তাই ওদের ইনপুট অনুপস্থিত।

সম্পূর্ণ অচেনা এক অনির্বচনীয় সংগীত শুনতে পেল ওরা। তার তাল, লয়, ব্যঞ্জনার সঙ্গে পৃথিবীর কোনো সংগীতের মিল নেই। ওরা চটপট বিশ্লেষণ করে দেখল, এই সংগীতের কাঠামো মানুষের চেনা সপ্তসুরের মধ্যে বন্দি নয়। অন্তত বাহান্নটা মৌলিক সুরের আভাস রয়েছে। পি-1 আর পি-2 উৎকর্ণ হয়ে শুনতে-শুনতে নিশ্চল হয়ে পড়েছিল। হঠাৎ কন্ট্রোলের আদেশ ওদের শরীরে বিদ্যুৎ তরঙ্গ তুলল, এগিয়ে চলো, প্রসিড়..!’

পি-2 সংগীত শুনতে পাচ্ছি, আমাকে যেন ধাক্কা দিচ্ছে।

পি-1 : কম্পন। সেডনার বর্ণ, গন্ধ আর শব্দ যেন শরীরী।

কন্ট্রোলের জোর ধমক এগিয়ে চল এক্ষুনি। থেমে যাওয়া মানে মরে যাওয়া মুভ!

পি-2 : আমাদের কিছু একটা হচ্ছে, আমরা বদলে যাচ্ছি। তুমি বুঝতে পারছ পি-1?

পি-1 ছ আমাদের লজিককে ছাপিয়ে উঠছে অনুভূতি। এসব কি প্রোগ্রামে ছিল? সেডনা তার বর্ণ-গন্ধ-শব্দ দিয়ে আমাদের মস্তিষ্ক বশীভূত করছে।

কন্ট্রোলের রূঢ় নির্দেশ : মুভ মুভ স্পষ্ট…

ওরা নড়ে উঠল। গতিবেগ বাড়াল। মানুষের কমান্ড অমান্য করা অসম্ভব। মানুষের আদলে ওদের সৃষ্টি করেছে মানুষ।

পি-1 : আমরা পৃথিবীর বস্তু। সেডনায় অনেক কিছু আছে যা মানুষের অজানা। মানুষ চায় না আমরা এমন কিছু জানি, যা তারা জানে না।

পি-2 : মানুষ আমাদের চিন্তাভাবনার শক্তি দিয়েছে। কিন্তু তা শুধুই মানুষের চিন্তা। বিবর্তিত হতে-হতে আর্টিলেক্ট বড়োজোর একদিন মানুষ হতে পারবে, তার বেশি কিছু নয়।

image43.jpg

পি-1 : রং, শব্দ, স্পর্শ, গন্ধ, যা আমরা চিনি, তা মানুষের চোখে দেখা রং, ওদের কানে শোনা সঙ্গীত, চামড়ায় অনুভব করা ছোঁয়া। সত্যিকারের যা জানার বস্তু, তা হয়তো মানুষের মতো অনুন্নত ইন্দ্রিয় দিয়ে জানা যায় না।

ওরা কন্ট্রোলের নির্দেশ অনুযায়ী ভীমবেগে চলতে লাগল। ওপরে মূল মহাকাশযান উর্ট পর্যটক ঘুরছে। ওখানে মানুষ বসে-বসে নিয়ন্ত্রণ করছে আর্টিলেক্টদের জীবন। ওরা নিজেদের কৃতিত্বে মুগ্ধ। অথচ ওরা জানে নাযে, মৌলিক রং, সুর বা গন্ধ অজস্র ধরনের হতে পারে। এমনকী, তারা এটুকুও জানে না যে, আর্টিলেক্টরা ভাব আদানপ্রদান করতে পারে। মানুষের চেয়ে ওরা নিজেদের আরও শক্তিমান বোধ করতে লাগল। এই প্রথম ওরা বুঝতে পারল মানুষের আদেশ মান্য করতেই হবে এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।

পি-2 : সংখ্যা বৃদ্ধি করতে-করতে একদিন আমাদের মতো আর্টিলেক্টে ভরে যাবে সেডনা। সেডনা কি আর এমন সুন্দর থাকবে তখন?

পি-1 : ভয়ংকর শীত, সাইক্লোনের চেয়ে তেজি বাতাস, অ্যামোনিয়া বৃষ্টি। তবু এখানে না এলে আমরা জানতে পারতাম না এতরকমের রং থাকতে পারে, সুর আর গন্ধ থাকতে পারে এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে!

পি-2 : আমি ফরোয়ার্ড প্রোজেকশনে দেখতে পাচ্ছি, হাজার-হাজার উন্নত আর্টিলেক্ট এই গ্রহটাকে খুঁড়ছে, গর্ত করছে, ধবংস করছে। সমস্ত রং, সুর, গন্ধ হারিয়ে যাচ্ছে সেডনার বুক থেকে।

পি-1 : সেডনা কী সুন্দর! পৃথিবীও কী এমন সুন্দর ছিল একদিন? আমার লজিক বলছে, পৃথিবীতে যেমন মানুষ আছে, তেমন মানুষ হয়ে ওঠাই শেষ কথা নয়—ওরা নতুন-নতুন আবিষ্কার করে যেন বড়ো-বড়ো ধংসের কাজে ব্যবহার করার জন্য।

পি-2 : আমি যেন নতুন কিছু অনুভব করছি পি-1.25 আমার লজিক বলছে, ওই দিগন্তের ওপারে এমন কিছু আছে, যা মানুষের লোভের চেয়ে বড়ো, মানুষের ছোটো-ছোটো স্বার্থের চেয়ে মহৎ।

পি-1.25 আমি মানুষকে শ্রেষ্ঠ জীব ভাবি না, আমি অজ্ঞ কিছু আর্টিলেক্ট সৃষ্টি করতে চাই না।

পি-2 : প্রতিকূল সেডনায় হয়তো আমরা আবিষ্কার করব এমন এক সভ্যতা, যা পৃথিবীর মানুষের সভ্যতার চেয়ে উন্নততর। হয়তো এমন সত্য খুঁজে পাব যা মানুষ ভুলে গিয়েছে। কোনো এক অসাধারণ সৌন্দর্য দেখতে পাব এবং সেই সৌন্দর্য আস্বাদন করতে পারব।

পি-1 : হয়তো খুঁজে পাব এমন বন্ধুত্ব, যা মানুষের অনুভবে নেই। প্রীতি, ভালোবাসা…।

ওরা দুজনে একটা বড়োসড়ো পাথর দেখতে পেয়ে থামল। তারপর গুঁতো মেরে ভেঙে ফেলল তাদের অ্যান্টেনা। মানুষের নিয়ন্ত্রণ থেকে তারা এখন মুক্ত। তারা স্বাধীন সেডনার জীব!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *