চার
কাঁচা-পাকা ভুরুজোড়া কুঁচকে আছে। কপালের পাশে একটা রগ তিরতির করে কেঁপে উঠল। গভীর মনোযোগের সঙ্গে একটা ফাইল দেখছেন বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের সুযোগ্য কর্ণধার মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) রাহাত খান। ইন্টারকম বেজে ওঠায় ধ্যানভঙ্গ হলো তাঁর। স্পিকারে শোনা গেল সেক্রেটারি ইলোরার কণ্ঠ।
‘সোহেল ভাই এসেছেন, স্যার।‘
‘ভেতরে পাঠাও।‘
কয়েক মুহূর্ত পরে দরজা ঠেলে কামরায় ঢুকল বিসিআই-এর চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর সোহেল আহমেদ। দুর্দান্ত এজেণ্ট ছিল সে একসময়, দুর্ঘটনায় একটা হাত কাটা পড়ায় এখন বিসিআই-এ প্রশাসনের দায়িত্বে কাজ করছে। এক অর্থে বিসিআই চিফের ডান হাত বলা চলে ওকে।
বুক দুরু দুরু করছে সোহেলের, রাহাত খানের সামনে এলে সবারই যা হয়। মৃদু গলা খাঁকারি দিয়ে চিফের মনোযোগ আকর্ষণ করল। ফাইল থেকে চোখ না তুলে সামান্য মাথা ঝাঁকিয়ে ওকে সামনের চেয়ারে বসতে ইঙ্গিত করলেন রাহাত খান।
কয়েক মিনিট কেটে গেল নীরবতায়, হাতের ফাইল নিয়ে ব্যস্ত বিসিআই চিফ, সোহেলের কথা যেন ভুলেই গেছেন। উসখুস করতে শুরু করেছে সোহেল, এই সময় ফাইল দেখা শেষ হলো তাঁর। ফোল্ডারটা বন্ধ করে সোজা হয়ে বসলেন তিনি। হাডসন হাভানার প্যাকেট থেকে একটা সেলোফেন মোড়া চুরুট বের করলেন, সযত্নে কাগজ ছাড়িয়ে দাঁতে চেপে ধরে অগ্নিসংযোগ করলেন তাতে। পাতলা সাদা একফালি ধোঁয়া চোখে যাওয়ায় চোখদুটো পেঁচিয়ে উপর দিকে ঘুরিয়ে আঙুলের ফাঁকে নিলেন চুরুটটা। তারপর দৃষ্টি রাখলেন সোহেলের চোখে।
‘কী ঘটেছে, শুনেছ নিশ্চয়ই?’ গম্ভীর গলায় বললেন তিনি
‘জী স্যর,’ মাথা ঝাঁকাল সোহেল। ‘কাল রাতে বিসিআই-এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা হয়েছে। কোনও তথ্য চুরি হয়েছে কি না, তা বলা যাচ্ছে না। তবে মেইনফ্রেমের ভিতরে একটা মেসেজ পেয়েছি আমরা।’
টেবিলের উপরে রাখা একটা প্রিন্টআউট তুলে নিলেন রাহাত খান। বিড়বিড় করে পড়লেন বার্তাটা :
‘মাসুদ রানা, সাহায্য দরকার আমার। জরুরি ভিত্তিতে তোমার সঙ্গে দেখা হওয়া প্রয়োজন। ওয়াশিংটনের, নেব্রাস্কা অ্যাভিনিউ-এ, হোটেল এক্সেলসিয়রে দেখা করো আমার সঙ্গে। আজ থেকে পাঁচদিন পর… আগামী উনিশ তারিখে। কুয়াশা
সোহেলের দিকে চোখ ফেরালেন বিসিআই চিহ্ন জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী মনে হয় তোমার? মেসেজটা কতখানি অথেনটিক?’
‘বলা কঠিন, স্যর,’ কাঁধ ঝাঁকাল সোহেল কেউ তামাশাও করতে পারে।’
‘তামাশা করার জন্য কুয়াশার নাম বেছে নেবে কেন?’ ভুরু কোঁচকালেন রাহাত খান। ‘তা ছাড়া মেসেজটা আমাদের নিজস্ব কোডে এনক্রিপ্ট করা ছিল, তাই না? বলতে পারো, ওই টপ সিক্রেট কোড কীভাবে পেল হ্যাকার?’
‘ব্যাপারটা একটু রহস্যময় তো বটেই,’ স্বীকার করল সোহেল। ‘আমাদের কম্পিউটার এক্সপার্ট রায়হান রশিদের সঙ্গে কথা বলেছি আমি… কিন্তু ও-ও কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি। ওর মতে বিসিআই-এর কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করা দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন কাজগুলোর একটা।’
‘কুয়াশার জন্য কিছুই অসম্ভব নয়,’ গম্ভীর হয়ে গেলেন রাহাত খান। ‘দুনিয়ার সবচেয়ে রহস্যময় মানুষ ও, একটা মরীচিকা। আমাদের টপ সিক্রেট ওয়াচলিস্টে গত দশ বছরের বেশি সময় ধরে নাম আছে ওর… এক নম্বরে। কিন্তু আজ পর্যন্ত ওর ধারেকাছে ভিড়তে পারিনি আমরা।’
মাথা ঝাঁকিয়ে সায় দিল চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর। এই ওয়াচলিস্ট আসলে অসাধারণ প্রতিভাবান ও গুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশিদের একটি তালিকা, যাঁরা বিভিন্ন কারণে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন কিংবা আত্মগোপন করে আছেন। এঁদের দিকে নজর রাখা এবং সম্ভব হলে দেশে ফিরিয়ে আনা বাংলাদেশ কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের অনেক গুরুদায়িত্বের একটি। এভাবে তালিকাভুক্ত অনেক বিখ্যাত মানুষকেই বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে অতীতে, তাঁদের প্রতিভাকে দেশের মাটিতে… দেশের কল্যাণে ব্যবহারের সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। কিন্তু কুয়াশার ছায়াও মাড়ানো যায়নি আজ পর্যন্ত
তা হলে আপনি, স্যর, ধরেই নিচ্ছেন, মেসেজটা কুয়াশা পাঠিয়েছে?’ জিজ্ঞেস করল সোহেল।
‘হ্যাঁ, কাজের ধারা ওর সঙ্গে মেলে,’ বললেন রাহাত খান। ‘কিন্তু ও আসলে কী চাইছে, সেটা বুঝতে পারছি না। ওয়াশিংটনের ঠিকানা দিয়েছে… রানাও এ-মুহূর্তে আমেরিকায় ব্যাপারটা কো-ইনসিডেন্স হতে পারে না। অস্পষ্ট লাগছে আমাদের কাছে মেসেজ পাঠানোর ব্যাপারটা। রানার লোকেশন যদি ওর জানা থাকে, তা হলে আমাদের কাছে মেসেজ পাঠাল কেন? কেন সরাসরি যোগাযোগ করেনি রানার সঙ্গে?’
‘বিপদে পড়েছে, তাই সম্ভবত রানার মাধ্যমে বিসিআইয়ের সাহায্য নিতে চাইছে কুয়াশা।’ অনুমান করল সোহেল।
‘কীসের বিপদ?’ বললেন রাহাত খান। ইশারা করলেন সামনে পড়ে থাকা ফাইলটার দিকে। ‘কুয়াশার ফাইল আগাগোড়া স্টাডি করেছি আমি। এমন কোনও বিপদের তো আভাস পাইনি, যার জন্য এত বছর পর আমাদের মুখাপেক্ষী হতে হবে ওকে।
‘সরি, স্যর। ফাইলটা আপডেট করবার সুযোগ পাইনি। একদম তাজা খবর হলো, দু’দিন আগে রাশান পুলিশ ওর নামে একটা হুলিয়া জারি করেছে। সেটার কপি পাঠানো হয়েছে ইন্টারপোল-সহ ইয়োরোপ-আমেরিকার সমস্ত দেশে। বাংলাদেশও কপি পাবে দু’একদিনের ভিতর
‘কুয়াশার জীবনের প্রথম হুলিয়া নয় এটা,’ চুরুটে টান দিলেন রাহাত খান।
‘ঠিক। কিন্তু আগেরগুলোর চেয়ে এটা অনেক সিরিয়াস,’ বলল সোহেল। ‘রাশার টপ নিউক্লিয়ার ফিযিসিস্ট-সহ তিনজন গণ্যমান্য ব্যক্তিকে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে ওর বিরুদ্ধে। একে শান্তি দেবার জন্য উঠে-পড়ে লেগে গেছে রুশ সরকার।’
‘তুমি কি ড. ইলিয়া ইভানোভিচের কথা বলছ? কয়েকদিন আগে পড়া ইন্টেলিজেন্স রিপোর্ট স্মরণ করলেন রাহাত খান। সোহেলকে মাথা ঝাঁকাতে দেখে বললেন, ‘ব্যাপারটা একটু বিদঘুটে না? ওটা তো প্রফেশনাল হিটের মত মনে হয়েছে আমাদের কাছে। কুয়াশার কাজের সঙ্গে একেবারেই মেলে না। তা ছাড়া খুন হওয়া মানুষগুলোর সঙ্গে ওর কানেকশন কোথায়? মোটিভ কী?’
‘সেটা কেউই বলতে পারছে না।’
‘হুম, মনে হচ্ছে গভীর কোনও রহস্য আছে এর ভিতরে।’
‘আমার ধারণা, কুয়াশাকে ফাঁসিয়ে দেয়া হয়েছে, স্যর,’ বলল সোহেল। বড় ধরনের ঝামেলায় পড়েছে ও। এ-কারণেই নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করবার জন্য সহায়তা চাইছে আমাদের। কথা হলো, আমরা ওকে সাহায্য করব কি না।’
‘ওকে সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব, কিংবা দায়… কোনোটাই নয়,’ রুক্ষ গলায় বললেন রাহাত খান। কুয়াশা, একজন ‘ক্রিমিনাল; এবারের কেসটা ভুয়া হতে পারে, কিন্তু অতীতে বহু অন্যায় করেছে সে। তা ছাড়া, রাশান পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অধিকার নেই বিসিআইয়ের।’
‘তা হলে আমরা অগ্রাহ্য করব ওর আবেদন?’ একটু বিস্মিত হলো সোহেল
‘না, আবেদনটাকে আমরা নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করব, ‘ শান্ত গলায় বললেন রাহাত খান। ‘কবীর চৌধুরীর মত কুয়াশা একেবারে আন-রিকভারেবল কেস না। মহৎ কিছু গুণ আছে ওর—মানুষকে সাহায্য করে. অপরাধীদের শাস্তি দেয়। তাই বহুদিন আগেই কুয়াশার ব্যাপারে একটা নির্দিষ্ট টার্গেট ঠিক করে রেখেছি আমরা—সম্ভব হলে ওকে দেশে ফিরিয়ে আনব, অন্যায়ের পথ থেকে সরিয়ে সঠিকভাবে গবেষণার সুযোগ করে দেব। যদি রাজি না হয়, তা হলে ওকে তুলে দেব আইনের হাতে। এতদিন পর… এই প্রথম ওকে নাগালে পাবার একটা উপায় দেখতে পাচ্ছি। সুযোগটার সদ্ব্যবহার করতে হবে। রানা ওকে আটক করে নিয়ে আসবে বাংলাদেশে। আর যা-ই হোক, ওর মত প্রতিভাবান একজন বিজ্ঞানীকে পশ্চিমা বিশ্বের হাতে পড়তে দেয়া যায় না।
প্রতিভাটাকে মন্দ উদ্দেশ্যে ব্যবহার করবে ওরা, সারা দুনিয়ায় বিপদ ঘনিয়ে আসবে তাতে।’
‘কিছু মনে করবেন না, স্যর,’ ভয়ে ভয়ে বলল সোহেল। ‘কিন্তু কুয়াশা এত সহজে ধরা দেবে বলে মনে হয় না আমার। অত্যন্ত ধূর্ত ও, শেয়ালের চেয়েও চতুর। ও ঠিকই আন্দাজ করবে, আমরা ওকে বন্দি করবার প্ল্যান আঁটতে পারি।
‘কুয়াশাকে মোটেই ছোট করে দেখছি না আমি,’ বললেন রাহাত খান। ‘রানা ওকে বাগে পাবার আগে ও কীভাবে রানাকে বাগে পেতে পারে, সে-পরিকল্পনা করেই মাঠে নামবে ও।’
‘তা হলে?’
‘পিছিয়ে আসার উপায় নেই। জেনে-শুনেই ফাঁদের মধ্যে পা দিতে হবে রান পাল্লা দিতে হবে কুয়াশার সঙ্গে।’ ইন্টারকমের বোতাম চাপলেন রাহাত খান। ‘ইলোরা, এম.আর.নাইনের সঙ্গে কথা বলব আমি। ডাকো ওকে।’
‘ইয়াল্লা!’ ফিসফিসাল সোহেল। ‘রানা বনাম কুয়াশা! না জানি কী হয়!’
.
বস্টনের প্রাসাদোপম একটা বাড়ির লিভিংরুমে নিঃশব্দে বসে আছে দু’জন লোক। উঁচু এক পাহাড়ের উপর এই বাড়ি, নামকরা এক ব্যক্তির বাসস্থান। কেউ কল্পনা করতে পারবে না, এখান থেকেই পরিচালিত হয় গোপন এক সংগঠনের সমস্ত কর্মকাণ্ড
ধৈর্য ও সমীহের সঙ্গে অপেক্ষা করছে একজন, অপরজন একটা ফাইল পড়ছে। অপেক্ষারত লোকটা সি.আই.এ.-র বড় কর্মকর্তা। অপর লোকটি বয়স্ক, উচ্চপদস্থ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উঁচুমহলে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে তার। এখনকার এই বৈঠকের সময় এবং স্থান ঠিক করা হয়েছে আজ সকালে, তড়িঘড়ি করে। ৫-
দশ মিনিট পর মুখ তুলল বয়স্ক মানুষটি, ফোল্ডার ভাঁজ করে রেখে দিল টেবিলে। ‘দিস ইজ সিরিয়াস,’ বলল সে। ‘এই কুয়াশা লোকটাকে অবহেলা করা মোটেই ঠিক হবে না।’
ধীরেসুস্থে পাইপে অগ্নিসংযোগ করল সিআইএ-র অফিসার, তারপর নীলচে খানিকটা ধোঁয়া ছেড়ে ভরাট গলায় বলল, ‘তা কেউ করছেও না। আমাদের রাশান গ্রুপ ওকে ইভানোভিচের মামলায় ফাঁসিয়েছে এ-কারণেই।’
‘তাতে সমস্যার কোনও সমাধান হচ্ছে না। নিশ্ছিদ্র ফাঁদ গলে বেরিয়ে গেছে কুয়াশা। আপনার ইনফরমেশন অনুসারে ও এখন বিসিআই-কে জড়াতে চাইছে, পুরো ব্যাপারটার সঙ্গে। জানেন নিশ্চয়ই, শুধুমাত্র ওই একটা ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিতেই আজ পর্যন্ত চর ঢোকাতে পারিনি আমরা। ওরা যদি মাঠে নামে, তা হলে সেটা ঠেকাবার মত গোপন অস্ত্র নেই আমাদের হাতে।’
‘সেক্ষেত্রে হার্ডলাইনে যাব আমরা,’ বলল সিআইএ অফিসার। ‘যে-ই আমাদের ব্যাপারে নাক গলাতে আসবে, তাকেই খতম করে দেব।’
‘কৌশলটা শুরুতেই ঘটাবার পরামর্শ দেব আমি,’ বলল বয়স্ক মানুষটা। ‘কুয়াশাকে তার বিসিআই কন্ট্যাক্ট-সহ পরপারে পাঠিয়ে দিন। কার সঙ্গে ও যোগাযোগ করছে, তা জানা গেছে?’
‘নিশ্চিত নই; তবে আমার ধারণা, মাসুদ রানাকে রিক্রুট করবার চেষ্টা চালাচ্ছে ও। হি’জ দ্য বেস্ট দে হ্যাভ।’
‘মাসুদ রানা,’ গম্ভীর হয়ে গেল বয়স্ক লোকটা। ‘আরও বড় এক আপদ। কুয়াশার সঙ্গে ও যদি জোট বাঁধে, সেটা আমাদের জন্য দুশ্চিন্তার কারণ হবে।
‘আমার মনে হয় আপনি খামোকাই চিন্তা করছেন,’ বলল সিআইএ অফিসার। ‘আফটার অল, ওরা নশ্বর মানুষ। কী-ই বা করতে পারবে দু’জনে আমাদের বিরুদ্ধে?’
‘ওদেরকে আণ্ডার-এস্টিমেট করলে মস্ত ভুল করবেন। সিআইএ-র পুরনো ফাইলপত্র ঘেঁটে দেখুন। মাসুদ রানা কতবার আপনাদেরকে ঘোল খাইয়েছে, তার পরিষ্কার হিসেব পেয়ে যাবেন। কুয়াশাও বছরের পর বছর ধরে ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে সারা দুনিয়ার ল-এনফোর্সমেন্ট ডিপার্টমেন্টগুলোকে।’
‘জানি। কিন্তু ফেনিসের মত প্রতিদ্বন্দ্বী কোনোদিন পায়নি ওরা… পাবেও না।
‘শত্রুকে কখনও ছোট করে দেখবেন না, মিস্টার!’ একটু ধমকে উঠল বয়স্ক লোকটা। ‘যান, যা বলছি করুন। মাসুদ রানা আর কুয়াশা যতক্ষণ বেঁচে আছে, আমরা নিরাপদ নই।’
‘চিন্তা করবেন না, স্যার,’ কুটল হসি ফুটল সিআইএ সরকারের ঠোঁটে আসন ছেড়ে উঠে দাঁড়াল। ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, ওদের আয়ু ফুরিয়ে এসেছে!’