অলস মায়াবিনী, বলবো তোরে, শোন,
অঙ্গে শোভে তোর কত না আভরণ ।
আকবো অপরূপ মাধুরী –
বালিকা – মহিলার মিলন মোহনার চাতুরী ।
যখন ফুলে ওঠে আচলে ঢেউ হাওয়ার অভিমান,
তখন মানি তোরে সুতিনু তরনির সাগর-অভিযান ।
তেমনি চঞ্চল, উত্তাল,
শিথিল, মন্থর ছন্দে হেলে-দুলে ছড়িয়ে দিলি পাল ।
দৃপ্ত গ্রীবা তোর, নধর স্কন্ধের আয়োজন
দেখায় মাথাটির কত যে অদ্ভুত বিকিরণ;
সৌম্য বিজয়ের নির্যাস
ছড়িয়ে, ওরে শিশু রাজ্ঞী ! তোর পথেহেলায় চলে যাস ।
অলস মায়াবিনী, বলবো তোরে,শোন,
অঙ্গে শোভে তোর কত না আভরণ ।
আকবো অপরুপ মাধুরী-
বালিকা-মহিলার মিলন-মোহনার চাতুরী ।
এগিয়ে আসে তোর নিটোল স্তনভার তুঙ্গ,উদ্দাম,
অনেক দ্বৈরথে বিজয়ী ওরা দুটি বর্ম অভিরাম-
যুগল ঢাল ধরে কত না
সুগোল, রেখায়িত আলোক-রশ্নির দ্যোতনা ।
উগ্র ঢাল, তার তীক্ষ শরমুখ রঙিন, কোপনীয়
রেখেছে সঞ্চিত যা-কিছু মায়াময়, মধুর,গোপনীয়-
আসব,সুরা, সৌগণ্ধ্য-
বুদ্ধি বানচাল, হৃদয়ে প্রলাপের ছন্দ ।
যখন ফুলে ওঠে আচলে ঢেউ তুলে হাওয়ার অভিমান,
তখন মানি তোরে সুতনু তরণীর সাগর-অভিযান ।
তেমনি চঞ্চল, উত্তাল,
শিথিল, মন্থর ছন্দে হেলে-দুলে ছড়িয়ে দিলি পাল ।
মহান জঙ্ঘার আঘাতে বসনের আলোড়ন
জাগায় যাতনায় আধার বাসনার আবেদন ।
যেন রে ডাকিনীরা দু-জনে
গভীর খলে নাড়ে কালিমা-ঘন এক পাচনে ।
প্রবল নায়কের বিরোধী খেলোয়াড় অকাতর,
ও-দুটি বাহু যেন কান্তিঝলকিত অজগর;
প্রেমিক বাধা পড়ে, ক্ষমাহীন
অতি কঠিন তোর, হৃদয়-কারাগারে,চিরদিন ।
দৃপ্ত গ্রীবা তোর, নধর স্কন্ধের আয়োজন
দেখায় মাথাটির কত যে অদ্ভুত বিকিরন;
সৌম্য বিজয়ের নির্যাস
ছড়িয়ে, ওরে শিশু-রাজ্ঞী ! তোর পথেহেলায় চলে যাস ।