।। সুদর্শনান্তনর পতিরাজ্যকালবৃত্তান্ত।।
।। প্ৰতিসৰ্গ পৰ্ব।।
।। সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত।।
ভবিষ্যাখ্যে মহাকল্পে ব্রহ্মায়ুষি পরাদ্ধকে। প্রথমেহদ্বেহ্নি তৃতীয়ে প্রাপ্তে বৈবস্বতেহস্তরে।। ১।। অষ্টাবিংশে সত্যযুগে কে রাজানোহভবনে। তেষাং রাজ্যস্য বষানি তন্মে বদ বিচক্ষন।। ২।। কল্পাখ্যে স্বতবারাহে ব্রহ্মাদ্বস্য দিনত্রয়ে। প্রাপ্তে সপ্তমুহূর্তে চ মনুবৈবস্বতোহভবৎ।।৩।। স তপ্তা ঝরয়ুতীরে তপো দিব্যং শতং সমাঃ। তচ্ছিক্কাতোহভবৎপুত্র ইম্বাকুঃ স মহীপতিঃ।।৪।। ব্রহ্মনো বরদানেন দিব্যং যানং স আপ্তবান নারায়নং পূজয়িত্বা হরৌ রাজ্যং নিবেদ্য চ।।৫।।
ভবিষ্যনামক মহাকল্পে ব্রহ্মার আয়ুর পরার্দ্ধকে প্রথম বর্ষের দিনে তৃতীয় বৈবস্বতের মধ্যে ২৮তম সত্যযুগে কে রাজা হবে? হে মুণি! হে বিচক্ষণ! তাঁর রাজ্যের বর্ষ আমাকে বলুন।।১-২।।
শ্বেত বরাহ নামক কল্পে ব্রহ্মার বর্ষের তিন দিনে সাত মুহূর্ত প্রাপ্ত হলে বৈবস্বত মনু হয়।।৩।।
ঐ বৈবস্বত মনু সরযূ নদীর তটে দিব্য তপ করে যে শতবর্ষ পর্যন্ত তপস্যা করেছিলেন, তার তপস্যার প্রভাবে তার ইক্ষাকু মহীপতি পুত্র হয়েছিল।।৪।।
যটত্রিংশচ্চ সহস্রাণামদ্বং রাজ্যং তদাকরোৎ। তস্মাজ্জাতৌ বিকুক্ষিশ্চ শতহীনং তদদ্বকম্।।৬।। রাজ্যং কৃত্বা দিবং যাতস্তজ্জাতৌ রিপুংজয়। শতহীনং কৃতং রাজ্যং তৎককুৎস্থসুতঃ স্মৃতঃ।।৭।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং ততোহনেনাংস আত্মজঃ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং তস্মাজ্জাতো নৃপ পৃথুঃ।।৮।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং বিম্বগশ্বশ্চ তৎসুতঃ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং তস্মাদাদ্রৌ নৃপোহভবৎ।।৯।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং ভদ্রাশ্চস্তৎ সুতোহভবৎ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং যুবনাশ্বস্তু তৎসুতঃ।।১০।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং শ্রবস্থস্তৎ সুত্তোহভবৎ। সত্যপাদশ্চ সজ্ঞাতঃ প্রথমো ভারতেহন্তরে।।১১।। উদয়াদস্তপর্যন্তং তৈনুপৈভূমিমন্ডলম্। ভুক্তং নীতিপরৈদেবৈঃ শ্রবস্থেন তু ভূতলে। শতহীনং কৃতং রাজ্যং বৃহদশ্বস্ততোহভবেৎ।।১২।।
ঐ ইক্ষাকু রাজা নারায়ণের পূজা করে হরির জন্য রাজ্য সমর্পিত করে ৩৬ হাজার বর্ষ পর্যন্ত ঐ সময় রাজত্ব করেন। তা থেকে বিকুক্ষি নামক পুত্ৰ উৎপন্ন হয়। সেও পিতার শাসনকাল থেকে একশ বছর কম রাজত্ব করেন এবং আবার স্বর্গলোকে চলে যান। তা থেকে রিপুঞ্জয় উৎপন্ন হয়। এ’ও শতাহীন রাজত্ব তরেন। এর পুত্রকে কুকৎস্থ বলা হয়।।৫-৭।।
ইনি শতাহীন রাজত্ব করে আবার এর থেকে পৃথু নৃপ উৎপন্ন হয়। এ’ও শতাহীন রাজত্ব করে। এর পুত্র বিম্বগশ্ব হয় এবং সে শতাহীন রাজত্ব করে। এর থেকে আর্দ্র নামক পুত্র সমুদ্রভূত হয়।৮-৯।।
ইনি শতাহীন রাজত্ব করেন। এর পুত্র ভদ্রাশ্ব এ’ও শতাহীন রাজত্ব করেন। এগ্ন পুত্র যুবনাশ্ব।। ১০।।
এর শাসনকালও একশ বর্ষ কম, পিতার থেকে এর শরেবস্থ এবং সত্যপাদ উৎপন্ন হয় যারা ভাকতের মধ্যে প্রথম।।১১।।
এই রাজারা উদয় থেকে অস্ত পর্যন্ত নীতিপরায়ণ হয়ে এই ভূমন্ডল ভোগ করেন। শ্রবস্থ তো ভূতলে শতহীন রাজত্ব করেন। এর থেকে বৃহদ উৎপন্ন হয়।।১২।।
শতহীনং কৃতং রাজ্যং তস্মাৎকুবলয়াশ্বক। শতহীনং কৃতং রাজ্যং দৃঢ়াশ্বস্ত সুতোহভবেৎ।।১৩।। সহস্রহীনং রাজ্যং তত্তস্মাৎপুত্রো নিকুম্ভকঃ। সহস্রহীনং রাজ্যং তৎসংকটাশ্বস্তু তৎসুতঃ।।১৪।। সহস্রহীনং রাজ্যং তত্তস্মাজ্জাতঃ প্রসেনজিৎ। সহস্রহীনং রাজ্যং তদ্রবনাশ্বস্তু তৎসুতঃ।।১৫।। সহস্রহীনং রাজ্যং তন্মান্ধাতা তৎসুতোহভবৎ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং পুরুকুৎসস্তু তৎসুত।।১৬।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং ত্রিংশদশ্বস্তু তৎসুতঃ। রথে যস্য স্মৃতা বাহা বাজিনং স্ত্রিশতোবরাঃ।।১৭।। অনরন্যস্ততো জাতো হ্যাষ্টাবিংশৎ সহস্রকম্। রাজ্যং দ্বিতীয়চরনে স্মৃতং সত্যযুগাস্য বৈ।।১৮।। পযদশ্বস্ততো জাতো রাজ্যং ষষ্ঠসহস্রকম। তদদ্বং ভূতলে কৃত্বা পিতৃলো কুমপাসযৌ।।১৯।।
ইনি শতহীন রাজত্ব করেন। ঐ বৃহদশ্ব থেকে কুবলয়াশ্বকের জন্ম হয় ইনিও শতাহীন রাজত্ব করেন। কুবলয়াশ্বকের পুত্র দৃঢ়াশ্ব। ইনি নিজ পিতার থেকে এক সহস্র বর্ষ কম রাজত্ব করেন। এর পুত্র নিকুম্ভক। ইনিও সহস্রাহীন রাজত্ব করেন। এর পুত্র সংকটাশ্ব উৎপন্ন হয়।।১৩-১৪।।
সংকটাশ্ব সহস্রাহীন রাজত্ব করেন এবং প্রসেনজিৎ নামক পুত্রের জন্ম দেন। এর রাজত্বকাল সহস্রাহীন ছিল। এর পুত্র তদ্রবণাশ্ব। ইনি সহস্রাহীন রাজত্ব করেন। এর পুত্র মান্ধাতা নামক বালক রাজা ছিল। ইনি শতাহীন রাজত্ব উপভোগ করেন। এর পুত্র পুরুকুৎস। ইনি শতাহীন শাসন করেন। এর পুত্র ত্রিংশদশ্ব যার রথে ত্রিশটি খুব ভাল অশ্ব বহন করতো।।১৫-১৭।।
এরপর অনরণ্য উৎপন্ন হয় যার রাজত্ব ২৮ সহস্র বর্ষ পর্যন্ত থাকে। এটি সত্যযুগের দ্বিতীয় চরণে বলা হয়েছে।।১৮।।
এরপর পৃষদশ্ব জন্মগ্রহণ করেন যার রাজত্ব কাল ছয়সহস্র বছর ছিল। ইনি এই ভূতলে রাজ্য শাসন করে আবার পিতৃলোতে চলে যান।।১৯।।
হর্যশ্বস্ত ততো জাতো বিষ্ণুভক্তকুলে নৃপঃ। সহস্রহীনং রাজ্যং তত্তৎসুতৌ বসুমানস্মৃতঃ।।২০।। সহস্রহীনং রাজ্যং তত্রিধন্বা তনয়স্ততঃ। সহস্রহীনং রাজ্যং তত্তেন রাজ্ঞা চ সৎকৃতম্।।২১।। সত্যপাদ সমাপ্তোহয়ং দ্বিতীয়ো ভারতেহন্তরে। ত্রিধন্বনশ্চ নৃপতেস্ত্রপারন্যস্ত বৈ সুতঃ।।২২।। সহস্রহীনং রাজ্যং তৎকৃত্বা স্বর্ণমুপাযযৌ। তস্মাজ্জাতন্ত্রিশংকশ্চ রাজ্যং বর্ষসহস্রকম্।।২৩।। ছঘনা হীনতাং জাতো হরিশ্চন্দ্রস্ত তৎসুতঃ। রাজ্যং বিংশৎসহস্রংচ রোহিতো নাম তৎসুতঃ।।২৪। পিতুতুল্যং কৃতং রাজ্যং হারীত স্তনয়োহভবৎ। পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং চঞ্চভূপশ্চ তৎসুত।।২৫।। পিতুস্তল্যং হি রাজ্যং তদ্বিজয়ো নামতৎসুতঃ। পিতুস্তল্যং হি রাজ্যং তদ্রুরূকস্তনয়স্ততঃ।।২৬।।
এরপর হর্যশ্ব উৎপন্ন হয় যিনি রাজা বিষ্ণুর ভক্ত কুলে হন। উনি সহস্রাহীন রাজত্ব করেন। এর পুত্র বসুমান।।২০।।
বসুমানের রাজত্ব কালও সহস্রাহীন ছিল। এর থেকে তৎত্রিধন্বা পুত্র হয়। এর রাজ্যশাসনের সময় ছিল সহস্রাহীন। ঐ রাজা সৎকাজ করেছিলেন।।২১।।
ভারতের মধ্যে এই দ্বিতীয় সত্য পাদ সমাপ্ত হয়ে ত্রিধন্বা রাজার পুত্র এয়ারণ্য হয়।। ২২।।
যে সহস্রহীন রাজত্ব করে শেষে স্বর্গে চলে যায়। এরপর ত্রিশঙ্কু সমুৎপন্ন হয় যার রাজ্যকাল ছিল এক সহস্র বর্ষ।। ২৩।।
এ ছদ্ম থেকে হীনতাপ্রাপ্ত হয়। এর পুত্র হরিশ্চন্দ্র যিনি ২০ সহস্র বর্ষ রাজ্যশাসন উপভোগ করেন এর পুত্রের নাম রোহিত।।২৪।।
পিতুস্তল্যং কৃতং রাজ্যং সগরস্তনয়োহভবৎ। ভূপাশ্চ বাহুসেনান্তা বৈষ্ণরা পরিকীতির্তা।।২৭।। রাজ্য মানং কৃতং সম্যতাভূপৈ বৈবস্বতাদিভিঃ। মনিস্বর্ন সমৃদ্ধিশ্চ বহুন্নং বহুদুগ্ধকম্।।২৮।। পুনো ধর্মস্তদা ভূম্যাং মুনে সত্যযুগস্যবৈ। তৃতীয়চরনে মধ্যে সগরো নাম ভূপতিঃ।।২৯।। শিবভক্ত সদাচারস্তৎ পুত্রাঃ সাগরা স্মৃতা। ত্রিংশৎ সহস্রবযং তদ রাজ্যং বৈ মুনিভি স্মৃতম্।।৩০। নষ্টেষু সাগরেম্বৈবমস মজ্ঞস আত্মজঃ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং মং শুমাংস্তৎ যুতোহভবৎ।।৩১ শতহীনং কৃতং রাজ্যং দিলীপস্তৎ সুতোহভবৎ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং তস্মাজ্জতো ভাগীরথ।।৩২।।
ইনিও নিজ পিতার সমান রাজ্য শাসন করেল এর পুত্রের নাম হারীত এর রাজ্যকাল পিতারই মতো ছিল। এর পুত্রের নাম চঞ্চভূপ। পিতার মতে এর রাজত্ব ছিল। এর পুত্রের নাম বিজয় যে পিতৃতুল্য রাজত্ব করেন। এর পুত্রের নাম তদ্ররূক। এরও রাজ্যকাল পিতার সমান। তারপুত্র সগর। বায়ু সেনার শেষ পর্যন্ত থাকা রাজা সমস্ত বৈষ্ণব বলা হয়।।২৫-২৭।।
বৈবস্বত প্রভৃতি রাজাসমূহ ভালো মনে রাজত্ব মেনে নেন। ঐ সময় ওদের রাজত্বে মণি, স্বর্ণের সমৃদ্ধি ছিল। প্রচুর অন্ন, প্রচুর দুধ,পূর্ণধর্ম ঐ সময়ে ভূমিতে ছিল। হে মুণি! সত্যযুগের তৃতীয় তরণে মধ্যে সগর নামধারী রাজা হন।।২৮-২৯।।
ঐ রাজা সগর শিবের পরম ভক্ত এবং সদাচারী। ওর পুত্র সব সাগর নামে প্রসিদ্ধ হয়। ওর রাজ্য মুণিগণ তিন সহস্র বছর ধরে বলেছেন।।৩০।।
সাগর নষ্ট হয়ে গেলে অসমঞ্জস পুত্র হয়। ইনি শতহীন রাজত্ব করেন এবং এর পুত্র অংশুমান।।৩১।।
সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত শতহীনং কৃতং রাজ্যং শ্রুপ্তসেনস্ততোহভবৎ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং নাভাগস্তনয়স্তত।।৩৩।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং অম্বরীষ স্ততোহভবৎ। শৈবাঃ ষটশ্রুসেনাস্তা নাভাগোবৈষ্ণবো নৃপঃ।।৩৪।। সত্যপাদ সমাপ্তোহয়ং তৃতীয়ো ভারত্তেতরে। অম্বরীষেন ভূপেন শতহীনং কৃতং পদম।।৩৫।। চতুর্থে চরনে তস্য চাষ্টাদশ সহস্ৰকম্। অদ্বং রাজ্যং শুভং জ্ঞাতং কর্মভূম্যাং চ ভারতে।।৩৬। একোনত্রিং শদ্বযানি রাজ্যং তত্রিংশতানি চ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং সিন্ধুদ্বীপোহম্বরীষজ।।৩৭।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং মযূতাশ্বস্ততোহভবৎ। শতহীনং কৃতং রাজ্যং মৃতুপর্নস্তু তৎসুতঃ।।৩৮।।
এর রাজত্বকাল শতহীন ছিল। এর পুত্রের নাম রাজা দিলীপ। ইনিও শতহীন রাজত্ব করেন। এর থেকে জন্ম হয় ভগীরথের। এর রাজ্য শতহীন হয়। এর পুত্রের নাম শ্রুতসেন। ইনি শতকম রাজত্ব করেন। এর নাভাগ নামক পুত্র হয়।।৩২-৩৩।।
এর রাজত্বকাল শতহীন ছিল। এর পুত্রের নাম ছিল অম্বরীশ। শ্রুতসেনের শেষ পর্যন্ত এই ছয় রাজা ছিল শৈব কেবল নাভাগ রাজাই একা বিষ্ণুর ভক্ত বৈষ্ণব ছিল।।৩৪।।
ভারতে এই তৃতীয় সত্যযুগের পাদ সমাপ্ত হল। রাজা অম্বরীশ শতহীন পদ করেছিলেন।।৩৫।।
চতুর্থ চরণে ওর আঠারো সহস্র বর্ষ পর্যন্ত শুভ রাজ্য এই ভারতে কর্মভূমিতে জানা যায়।।৩৬।।
তিনশ ঊনত্রিশ বর্ষ পর্যন্ত রাজত্ব ছিল। অম্বরীশ এর পুত্র সিন্ধুদ্বীপ শতহীন রাজত্ব করেছিলেন। ৩৭।।
এরপর ওর পুত্র অযুতাশ্চ শতহীন রাজত্ব করেছিলেন। এর পুত্র ঋতুপর্ণ নামধারী হয়েছিল যিনি শতহীন রাজত্বে করেছেন।।৩৮।।
শতহীনং কৃতং রাজ্যং সর্বকামো নৃপস্তত। শতহীনং কৃতং রাজ্যং নৃপ কলমাষপাদকঃ।।৩৯।। শতহীনং কৃতং রজ্যং সুদাসস্তনয়োহভবৎ। তস্মাদশমকশ্চৈব মদয়ন্ত্যা বশিষ্ঠজঃ।।৪০।। শতহীনং কৃতং রাজ্যং হরিবর্মা ততো হভবৎ। সপ্ত ভূপাঃ সুদাযাস্তা বৈষ্ণবা পরিকীতির্তা।।৪১।। গুরুশাপাত্তু সৌদাসো রাজ্যাংগং গুরবেঽপমৎ গোকণলিং গভক্তশ্চ শৈবঃ সময় উচ্যতে।।৪২।। হরিবর্মা শমকজো বৈশ্যবৎ সাসাধু পূজকঃ। ঊনত্রিংশৎ সহস্রানি তথাসপ্ত শতানি বৈ।।৪৩।। হরিমাহ করোদ্রাজ্যং তস্মাদ দশর থোহভবৎ। পিতৃতুল্যং কৃতং রাজ্যং তস্মাদ দিল্লীবয়স্তুতঃ।।৪৪।। পিতৃতুল্যং কৃতং রাজ্যং ভূপো বিশ্বাসহস্তত। রাজ্যং দশসহস্রং তন্নিযজ্ঞ প্ৰাকৃতো নৃপঃ।।৪৫।।
এরপর সর্বকাম নামক রাজা হয়। এর রাজত্বকাল ছিল শতহীন। তারপর কন্মাষ পাদক রাজা হয়। ইনি শতহীন রাজ্য শাসন করে না।।৩৯।।
এর পুত্র হয় সুদাস। এর অটশমক মদয়ন্তী থেকে বশিষ্ট দ্বারা জন্ম হয়েছিল। ইনি শতহীন রাজত্ব করেন।।৪০।।
এরপর উৎপন্ন হরিকর্মা। ইনি সুদাসের শেষ পর্যন্ত সাত রাজা বৈষ্ণব ছিল। সৌদাস গুরুর শাপ দ্বারা রাজ্যাঙ্গ গুরুর জন্য সমর্পণ করেছিলেন। গোকর্ণলিঙ্গের ভক্ত ছিল এবং ঐ সময় শৈব বলা হত।।৪১-৪২।।
হরিবর্মা ছিল শমকের পুত্র এবং বৈশ্যের ভালো সাধু পূজক। হরিবর্মা ঊনত্রিশ সহস্ৰ সাত শত বছর রাজ্য উপভোগ করেছিলেন। এরপর দশরথের উৎপত্তি হয়। ইনিও নিজ পিতারই তুল্য রাজত্ব করেছিলেন। এর দিল্লী বয় পুত্র হয়েছিল।।৪৩-৪৪।।
এর রাজ্যকালও পিতার মতোই ছিল। এরথেকে বিশ্বাস উৎপন্ন হয়েছিল যিনি দশ সহস্র বছর পর্যন্ত রাজত্ব করেছিলেন। তল্পিযজ্ঞ প্রকৃত রাজা ছিলেন।।৪৫।।
সুদর্শনান্ত নরপতি রাজ্যকাল বৃত্তান্ত তদধর্মপ্রতাপেন হ্যনাবৃষ্টিস্তদাহভবৎ। শতব্যমনা বৃষ্টিসসর্বরাজ্যং ব্যনাশয়ৎ।।৪৬।। যজ্ঞং কৃত্বাবশিষ্টস্তু রাজীবচন তৎপরঃ। যজ্ঞাৎ খট বাংগ উৎপন্ন ঘটবাংগং শস্ত্রমুদ্বহন।।৪৭।। ইন্দ্ৰসাহায্যম গদ্ৰাজ্যং ত্রিংশৎসহস্রকম্। কৃত্বা তত্র বরং লা দেবেভ্যো মুক্তিতাং গতঃ।।৪৮।। ঘটবাংগাদীঘবাহুশ্চ রাজ্যং বিংশ সহস্রকম্। তস্মাৎ সুদর্শনো জাতো দেবীপূজনতৎপর।।৪৯।। বৈষ্ণবা দাশরথ্যং তাস্রয়ো বিখ্যাতযদবলা। ঘটবাংগো দীর্ঘবাহুশ্চ বৈষ্ণবৌ পরিকীতিতৌ।।৫০।। সুদশনো মহাপ্রাজ্ঞ কাশীরাজ সুত নৃপঃ। উদ্হ্য ভূপতৃজ্ঞিত্বা দেবীসেবাপ্রসাদত।।৫১।
ওর অধর্মের প্রতাপ থেকে ঐ সময় খুব ভারী অনাবৃষ্টি হয়েছিল। একশত বর্ষ পর্যন্ত বৃষ্টির সর্বথা অভাব ছিল। যার কারণে সমস্ত রাজ্য বিনষ্ট হয়েছিল।।৪৬।।
বশিষ্ঠ মুণি রাজ্ঞীর কথায় তৎপর হয়ে যজ্ঞ করেছিলেন। ঐ যজ্ঞ থেকে খট্টাঙ্গ উৎপন্ন হয় যে খট্টাঙ্গ শস্ত্র ধারণ করেছিলেন।।৪৭।।
তিন সহস্র বছর রাজ্য ইন্দ্রের সহায়তায় চলেছিল। ওখানে বরদান প্রাপ্ত করে দেবতাদের থেকে মুক্তি প্রাপ্ত হয়েছিল।।৪৮।।
খট্টাঙ্গ থেকে বাহু হয় যিনি কুড়ি সহস্র বর্ষ পর্যন্ত রাজ্য করেছিলেন। ওর থেকে আবার সুদর্শন উৎপন্ন হয়েছিল যিনি দেবীর যজনার্চনে তৎপর থাকতেন।।৪৯।।
দাশরথির শেষ পর্যন্ত তিন বৈষ্ণব এবং বিখ্যাত বাৎসল্যযুক্ত রাজা হয়েছিল। খট্টাঙ্গ এবং দীর্ঘবাহুও বৈষ্ণব নামে পরিচিত ছিল।।৫০।
সুদর্শন মহান পন্ডিত ছিলেন যিনি কাশীরাজের পুত্র রাজা ছিলেন। রাজাদের জিতে দেবীর সেবার প্রসাদ দিয়ে বিজয় প্রাপ্ত করেছিলেন।।৫১।।
রাজ্যং ভারত খন্ডান্ত মদধদ্ধমতো নৃপ। বর্মপঞ্চ সহস্রানি রাজ্যং চক্রে সভূপতি।।৫২।। স্বপ্নমধ্যে বচঃ প্রোক্তং মহাকাল্যে নৃপায় বৈ। বৎস ত্বং প্রিয়য়া সাদ্ধং বশিষ্ঠাদিভিরন্বিতঃ।।৫৩।। হিমাসয়ং গিরিং প্রাপ্য বাসং কুরু মহামতে। মহাবায়ুপ্রভাবেন ক্ষয়ো ভরত খংড়কে।।৫৪।। তন্তাকর পশ্চিমোহধ্বিস্তস্য দ্বীপাঃ ক্ষয়ং গতা।।৫৫।। বাড়বোহদ্ধিদক্ষিনে চ তস্য দ্বীপা ক্ষয়ং গতা। হিমাধ্বিরুত্তরে তস্য সগরে খনিতো হি সঃ।।৫৬।। যে দ্বীপাস্ত সুবিখ্যাতাস্তেহপি সর্বে লয়ংগতা। ভারতো বর্ষ এবাসৌ বৎসরে সপ্তমেহনি।। ৫৭।। সজীব প্রলয়ং যাযাত্তস্মাত্ত্বং জীবিতো ভব। তথেতি মত্বা স নৃপ পর্বতং বৈ হিমালয়ংম্।।৫৮।।
এই রাজা ভরতখন্ডে পূর্ণ ধর্ম দিয়ে রাজত্ব করেছিলেন। এই রাজার রাজত্বকাল পাঁচ হাজার বর্ষ পর্যন্ত ছিল।।৫২।।
মহাকালী স্বপ্নের মধ্যে রাজা রাজার সঙ্গে এই কথা বলেছিলেন যে, হে বৎস হে মহামতিবান্! তুমি নিজ প্রিয়ার সাথে বশিষ্ঠ প্রভৃতির সাথে অন্বিত হয়ে হিমাচল পর্বতে চলে যাও এবং ওখানে বাস কর। মহান বায়ুর একটি এমন প্রভাব হবে যে এই ভরতখন্ডের বিনাশ হয়ে যাবে।।৫৩-৫৪।।
এর রত্নাকর পশ্চিম সাগরদের সমস্ত দ্বীপ ক্ষীণ হয়ে গেছে। মহোদৰ্ষি পূর্ব সাগর ওর দ্বীপও ক্ষয়প্রাপ্ত হয়ে গেছে।।৫৫।।
দক্ষিণে বাড়ব অব্ধি ওর দ্বীপ ক্ষয়কে প্রাপ্ত হয়ে গেছে। হিমাব্ধি উত্তর ওর সাগরে ঘনিত আছে।। ৫৬।।
যত প্ৰসিদ্ধ দ্বীপ আছে যেগুলি সব ক্ষয়কে প্রাপ্ত হয়ে গেছে। ভারতবর্ষই হল এটি যা সাত বছরে দিনে সজীব প্রলয় প্রাপ্ত হয়। এরজন্য তুমি জীবিত আছ। এই মহাকালীর বচন স্বীকার করে ঐ রাজা হিমাচল পর্বতে চলে গিয়েছিলেন।।৫৭-৫৮।।
প্রাপ্তবান মুখ্যভূপৈশ্চ মুখ্যবৈশ্যৈদ্বিজৈ সহ। পঞ্চবর্ষ প্রমাণেন বায়ুস্তেজঃ ক্রমাজ্জলম্।।৫৯।। শর্করা চ মহীং প্রাপ্তাস্ততো জীবা ক্ষয়ং গতা পঞ্চবর্ষমিতে কালে জলং জাতা বসুন্ধরা।।৬০।। শান্তো ভূত্বা পুনবায়ুজলং সর্বমশোষয়ৎ। দশবর্ষান্তরে ভূমি স্থলীং ভূত্বা প্ৰদৃশ্যতে।।৬১।।