।। সপ্তমী কল্প ব্রত।।
সপ্তম্যাং সোপবাসস্তু রাত্রৌ ভূঞ্জীত যো নরঃ। কৃত্বোপবাসং যষ্ঠয়াং তু পঞ্চম্যামেক কালভুক্।।১।। দত্ত্বা সুসংস্কৃতং শাকং ভক্ষ্যভোজ্যৈঃ সমন্বিতম্। দেবায় ব্রহ্মণেভ্যশ্চ রাত্রৌ ভূজ্ঞীত বাগ্যতঃ।।২।। যাবজ্জীবং নরঃ কশ্চিদ্ ব্রতমেতচ্চরেদিতি। তস্য শ্রীবিজয়শ্চৈব ত্রিবর্গশ্চাপি বৰ্ধতে।।৩।। মৃতশ্চ স্বর্গমায়াতি বিমান বরমাস্থিতঃ। সূর্যলোকে স রমতে মন্বন্তরগণান্ বহুন্। ইহ চাগত্য কালান্তে নৃপঃ শান্তিসমন্বিতঃ।।৪।।
।। সপ্তমী কল্পব্রত।।
এই অধ্যায়ে সপ্তমীকল্পের ব্রতাপবাসের আলোচনা করা হয়েছে। প্রথমে পঞ্চমী তিথিতে একবার ভোজন করে ষষ্ঠী তিথিতে উপবাসপূর্বক সপ্তমী তিথিতে রাত্রে যিনি ভোজন করেন, ভক্ষ্য এবং ভোজ্য শাক সংস্কার পূর্বক দেবতাও ব্রাহ্মণগণতে দান করে রাত্রে মৌন হয়ে ভোজন করেন এবং জীবৎকাল পর্যন্ত এই ব্রত পালন করেন, তিনি ‘শ্রী’ বিজয় প্রাপ্ত হন এবং ত্রিবর্গকে বর্ধিত করেন।।১-৩।।
ঐ ব্যক্তি মৃত্যুর পর শ্রেষ্ঠ বিমান আরোহন করে স্বর্গলোকে গমন করেন এবং বহু মন্বন্তর পর্যন্ত সূর্যলোকে রমণ করতে থাকেন। সেই ব্যক্তি ভূমন্ডলে আগমন করলে তখন কালান্তে রাজ সিংহাসন লাভ করে শান্তিতে কালাতিপাত করতে থাকেন।। ৪।।
পুত্রপৌত্রেঃ পরিবৃত্য দাতা স্যান্নুপতিশ্চিরম্। ভুনক্তি হি ধরাং রাজম্বিগ্রহৈশ্চাজিতঃ পরঃ।।৫। যে নরা রাজ শার্দূল শাকাহারেন সপ্তমীম্। উপোষ্য লব্ধং তত্তীথং পিত্র্যং বৈ রাজসংজ্ঞিকম্।।৬।। কুরুণা তব পূর্বেণ শ্যাকাহারেন সপ্তমীম্। ধর্মক্ষেত্রং কুরুক্ষেত্রং কৃতং তস্য বিবস্তুতা।।৭।। সপ্তমী নবমী ষষ্ঠী তৃতীয়া পঞ্চমী নৃপ। কামদাস্তিথয়ো হোতা ইহৈব নরযোষিতাম্।।৮।। সপ্তমী মাঘমাসে তু নবম্যাশ্চযুজেমতা। যষ্টীভাদ্রপদে ধন্যা বৈশাখে তু তৃতীয়িকা।।৯।। পুণ্যা ভাদ্রপদে প্রোক্তা পঞ্চমী নাগপঞ্চমী। ইত্যেতাস্তেষু মাসেষু বিশেষান্তিথয়ঃ স্মৃতা।।১০।।
পুত্র পৌত্রাদি পরিবৃত্ত হয়ে সেই নৃপতি চিরকাল পর্যন্ত দান ধর্ম করে জীবন যাপন করেন। হ রাজন, তিনি শত্রুগণের অজেয় হয়ে বহুকাল পৃথিবীর সুখপূর্ণ উপভোগ করেন।।৫।।
হে রাজশার্দুল–যে মানব শাকাহার দ্বারা সপ্তমী তিথিতে উপবাস করেন, তিনি রাজসংজ্ঞারূপ পিতৃতীর্থ প্রাপ্ত হন।।৬।।
রাজন, তোমার পূর্বে রাজাকুরু শাকাহার পূর্বক সপ্তমী তিথিতে উপবাস ব্রত পালন করে বিবস্বানের দ্বারা কুরুক্ষেত্রকে ধর্মক্ষেত্র করেছিলেন।।৭।।
হে নৃপ, সপ্তমী, নবমী, ষষ্ঠী, তৃতীয়া ও পঞ্চমী তিথি কামনা প্রদানকারী। এই ভূমন্ডলেই এই সকল তিথিগুলি পুরুষ তথা স্ত্রীগণের মনোকামনা পূর্ণ করে।।৮।।
এই তিথিগুলি বিভিন্ন মাসে কিছু বিশেষতাযুক্ত হয়। যেমন–মাঘমাসের সপ্তমী, আশ্বিন মাসের নবমী, ভাদ্র মাসের ষষ্ঠী, বৈশাখ মাসের তৃতীয়া এছাড়া ভাদ্রমাসের নাগপঞ্চমী একটি পরমপুণ্যা পঞ্চমী তিথি রূপে কথিত। এই প্রকারে বিভিন্নমাসের বিভিন্ন বিশেষ তিথিগুলি সম্পর্কে বলা হল।।৯-১০।
শাকং সুসংস্কৃতং কৃত্বা যশ্চ ভক্ত্যা সমন্বিতঃ। কার্তিকে শুক্লপক্ষস্য পশ্চাদ্ ভুঙক্তে নিশিব্রতী।।১১।। কার্তিকে শুক্লপক্ষস্য গ্রাহ্যেয়ং কুরুনন্দন। চতুর্ভি বাপি মাসেস্ত পারণং প্রথমং স্মৃতম্।।১২।। আগস্ত্যকুসুমৈশ্চাত্র পূজা কার্যা বিভাবসৌঃ। বিলেপনং কুমকুমং তু ধূপশ্চৈবাপরাজিতৈঃ।।১৩। স্নানং চ পঞ্চগব্যেন তমেব প্রাশয়েত্ততঃ। নৈব্যেদং পায়সং চাত্র দেবদেবস্য কীর্তিতম্।।১৪।। তদেব দেয়ং বিপ্রাণাং শাকং ভক্ষ্যযথাত্মনা। শুভশাকসমাযুক্তং ভক্ষ্যপেয় সমন্বিতম্।।১৫।। দ্বিতীয়ে পারনে রাজভগন্ধানি যানি বৈ। পুষ্পানি তানি দেবস্য তথা শ্বেতং চ চন্দনম্।।১৬।।
যে ব্ৰতী শাককে সুসংস্কৃত করে প্রথমে ব্রাহ্মণকে দান করে পরে নিজে রাত্রে ভোজন করেন তিনি পুণ্যলাভ করেন।।১১।।
হে কুরুনন্দন, কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষে তা গ্রহণ করা উচিত। পূর্বোক্ত
চারমাসের মধ্যে পারন হল প্রথম।।১২।।
কার্তিকমাসের শুক্লপক্ষের পূর্ণিমায় বকফুল দ্বারা সূর্যের পূজা করতে হয়। কুঙ্কুমের বিলেপন ও অপরাজিত ধূপ দ্বারা পূজা করতে হয়।।১৩।।
পঞ্চগব্যের দ্বারা স্নান করিয়ে পুনরায় তা ভক্ষণ করতে হয় এবং দেবদেবকে নৈবেদ্য পায়সান্ন নিবেদন করতে হয়।।১৪।।
ঐ শাক ব্রাহ্মণকে দান করে নিজে গ্রহণ করবে। শুভ শাকের সংগে ভক্ষ্য বং পেয়ও দান করতে হয়।।১৫।।
হে রাজন, দ্বিতীয় পারণে সুন্দর গন্ধবিশিষ্ট পুষ্প শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবতার উদ্দেশ্যে সমর্পিত করতে হয়।।১৬।।
অগুরুশ্চাপি ধূপোহত্র নৈবেদ্যং গুড়পূপকাঃ স্নানং কুশোদকেনাত্র প্রাশনং গোময়স্য তু।।১৭।। তৃতীয়ে করবীরানি তথা রক্তং চ চন্দনম্। ধূপানাং গুম্বুলাশ্চাত্র প্রিয়োদেবস্য সর্বদা।।১৮।। ইত্যেযা সপ্তমী পূন্যা শাকাহ্বাগোপতেঃ সদা। যামুগোম্য নরো ভক্ত্যা ভাগ্যবানশ্চ প্রজায়তে।।১৯।।
দেবতাকে অগুরু দ্বারা নির্মিত ধূপ এবং গুড়ের পিষ্টক নৈবেদ্য নিবেদন করবে। এছাড়া কুশোদক দ্বারা স্নান করিয়ে গোময় প্রাশন করবে।। ১৭।।
তৃতীয়পারণে করবীপুষ্পে রক্তচন্দন দিয়ে নিবেদন করা উচিত, গুগ্গুলের ধূপ দেবতার অত্যন্ত প্ৰিয়।।১৮।।
এই সপ্তমী তিথি মহাপুণ্য তিথি। এই তিথি গোপতি (শিব) সদাশাক নামে পূজিত হন। এই তিথিতে মনুষ্য ভক্তিপূর্বক ব্রতোপবাস করলে অত্যন্ত ভাগ্যবান হন।।১৯।।