2 of 3

শ্রীরামকৃষ্ণের বিবেকানন্দ

শ্রীরামকৃষ্ণের বিবেকানন্দ

১৮৮৭ সাল, মে মাস। গরম পড়েছে খুব। গুরুপ্রসাদ চৌধুরী লেনে কথামৃতকার শ্রীম-র বাড়ির নিচের তলার একটি ঘর। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। বৈশাখী পূর্ণিমা। থালার মতো চাঁদ পুব আকাশে মাথা তুলছে। বাঙলা ২৫ বৈশাখ। তক্তপোশের একপাশে বসে আছেন শ্রীম—মহেন্দ্ৰনাথ গুপ্ত, আরেক পাশে নরেন্দ্রনাথ। দক্ষিণেশ্বরে শ্রীরামকৃষ্ণের হাট ভেঙে গেছে। প্রায় এক বছর হতে চলল, ঠাকুর মহাপ্রয়াণ করেছেন। নন্দপুর চন্দ্র বিনা, বৃন্দাবন অন্ধকার। নরেন্দ্রনাথের মনে দিবাবসানের পূরবী খেলছে। পঞ্চাশ পেরল কি পেরল না, অনন্তের পথে চলে গেল আলোর শরীর। ছায়ায় বসে তাঁর নিত্যসঙ্গী সাক্ষাৎ পার্ষদের দল। অভিমান, বড় অভিমান।

লীলা সংবরণের ঠিক দুদিন আগে নরেন্দ্রনাথকে কাছে ডাকলেন, দিন তো চলে যায় নরেন! খেলা তো শেষ হয়ে এল। আমি যাই নরেন, একটা কথা, একটা অনুরোধ—

“তোর হাতে এদের সকলকে দিয়ে যাচ্ছি। কারণ, তুই সবচেয়ে বুদ্ধিমান, শক্তিশালী। এদের খুব ভালবেসে, যাতে আর ঘরে ফিরে না গিয়ে একস্থানে থেকে খুব সাধনভজনে মন দেয় তার ব্যবস্থা করবি।”

“আপনাতে আপনি থেকো মন
যেও নাকো কারো ঘরে।
যা চাবি তাই বসে পাবি,
খোঁজ নিজ অন্তঃপুরে।।”

যখন বাইরের লোকের সঙ্গে মিশবি, তখন সকলকে ভালবাসবি, মিশে যেন এক হয়ে যাবি। বিদ্বেষ, বিসংবাদ ফেলে দে, ফেলে দে। রাখাল যখন গরু চরাতে যায়, মাঠে গিয়ে সব গরু এক হয়ে যায়। তখন সব একপালের গরু। যখন সন্ধ্যার সময় নিজের ঘরে যায়, আবার পৃথক হয়ে যায়। নিজের ঘরে আপনাতে আপনি থাক। নরেন! তুই অখণ্ডের ঘর, সপ্তর্ষির একজন, নর- নারায়ণ ঋষির নর, নিত্যসিদ্ধের থাক। তুই আগুন, তোর স্পর্শে পাপ-তাপ সব পুড়ে খাক হয়ে যায়। আমি শক্তি, আমি প্রকৃতি, তুই পুরুষ। তুই আমার শ্বশুরঘর। তুই আমার খাপখোলা তলোয়ার। তোর মধ্যে জ্বলছে জ্ঞানের আগুন। তার তেজে জাগতিক আবর্জনা মুহূর্তে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তুই হবি বিশাল বটবৃক্ষের মতো, তোর ছায়ায় হাজার হাজার লোক আশ্রয় পাবে। তোর বেদান্ত তোর কাছে থাক।

সমাধি, সমাধি, সমাধি। সমাধির স্বাদ তোর মিটিয়ে দিয়েছি আমি। মা তোকে সব দেখিয়ে দিয়েছেন। ব্রাহ্মসমাজে সেই যে তুই গাইতিস—”নিবিড় আঁধারে মা, তোর চমকে ও রূপরাশি।”

তুমি সেই বিশ্বরূপ দর্শন করেছ। “তেজোভিরাপূর্য্য জগৎ সমগ্ৰ ভাসস্তবোগ্রাঃ প্রতপন্তি বিষ্ণো।” (গীতা, ১১।৩০) তীব্র তীব্র তেজোরাশি, বিশ্বচরাচর গলে গলে যাচ্ছে। তুমি তা দর্শন করেছ। অনন্তের সেই গলিত রূপ। তুই যা চেয়েছিস আমি দেখিয়ে দিয়েছি। লয়-প্রলয়ের পারে স্তব্ধ সেই অনুভূতি।

“ন তত্র চক্ষুর্গচ্ছতি ন বাগ্‌গচ্ছতি নো মনঃ।
ন বিদ্মো ন বিজানীমো যথৈতদনুশিষ্যাৎ।।” (কেন-উপনিষদ্, ১।৩)

“তুমি দেখেছ–

“নাহি সূর্য, নাহি জ্যোতিঃ, নাহি শশাঙ্ক সুন্দর,
ভাসে ব্যোমে ছায়াসম ছবি বিশ্ব-চরাচর।”

নরেন! সবই তো হলো, চাবি কিন্তু আমার হাতে রইল। এখন তোকে কাজ করতে হবে, যখন আমার কাজ শেষ হবে, তখন আবার চাবি খুলব।

এই দেখ নরেন, আমার চোখে জলের ধারা। কেন জানিস? আজ যথাসর্বস্ব তোকে দিয়ে ফকির হলুম। তুই এই শক্তিতে জগতের অনেক কাজ করবি। কাজ শেষ হলে পরে ফিরে যাবি।

আমি এইবার যাই নরেন্দ্র। শরীর ছেড়ে যেতে আমার কোন কষ্ট হচ্ছে না। কষ্ট একটাই, আমার অবর্তমানে তোমরা সব রাস্তায় কেঁদে কেঁদে বেড়াবে! নরেন তুমি রইলে, রইল আমার দায়িত্বভার।

“উঠ, জাগ, স্বপ্ন নহে আর।
স্বপন-রচনা শুধু ভবে-
কর্ম হেথা গাঁথে মালা যার
নাহি সূত্র, বৃন্তমূলহীন
ভাল মন্দ পুষ্প ভাবনার,
অভী হও, দাঁড়াও নির্ভয়ে
সত্যগ্রাহী, সত্যের আশ্রয়ে,
হের সেই, সত্যে গতি যার,
থাক স্বপ্ন নিষ্কাম সেবার
আর থাক প্রেম নিরবধি।”

তক্তপোশে মুখোমুখি দুজন—মহেন্দ্রনাথ, নরেন্দ্রনাথ। পূর্ণিমার চাঁদ আকাশে অনেকটা উঠে পড়েছে। অনেকটা এরকম কথাবার্তা হচ্ছে। নরেন্দ্রনাথ বলছেন : “আমার কিছু ভাল লাগছে না। এই আপনার সঙ্গে কথা কচ্ছি, ইচ্ছা হয় এখনি উঠে যাই। প্রায়োপবেশন করব?”

মহেন্দ্ৰ—তা বেশ! ভগবানের জন্য সবই তো করা যায়।

নরেন্দ্র—যদি খিদে সামলাতে না পারি?

মহেন্দ্র—তাহলে খেও, আবার লাগতে হবে।

নরেন্দ্র-ভগবান নেই বোধ হচ্ছে। যত প্রার্থনা করছি, একবারও জবাব পাইনি। কত দেখলুম, মন্ত্র সোনার অক্ষরে জ্বলজ্বল করছে! কত কালীরূপ, আরো অন্যান্য রূপ দেখলুম! তবু শান্তি হচ্ছে না। ছয়টা পয়সা দেবেন! শেয়ারের গাড়িতে বরানগর মঠে যাব। আমার বিষম মুশকিল। ওখানেও (বরানগর মঠে) এক মায়ার সংসারে পড়েছি।

মহেন্দ্র—জানি, ভাড়া আর ট্যাক্স এগার টাকা।

নরেন্দ্র—একজন পাচক আছেন, মাইনে ছ-টাকা।

মহেন্দ্র-সুরেন্দ্রবাবু মাসে মাসে কত দিচ্ছেন?

নরেন্দ্র—প্রথম প্রথম ত্রিশ দিচ্ছিলেন। এখন সেটা একশ হয়েছে। এখন তো সেখানে ফুল হাউস। রাখাল, নিরঞ্জন, শরৎ, শশী, বাবুরাম, যোগীন, কালী, লাটু, গঙ্গাধর, হরি—সবাই এসে গেছে। আঁষটে সংসারে কেউ আর ফিরবে না।

মহেন্দ্ৰ—সেদিন মঠে গিয়েছিলুম। রাখাল বললে, আসুন সকলে সাধন করি। আমরা আর বাড়ি ফিরে গেলুম না। যদি কেউ বলে ঈশ্বরকে পেলে না, তবে আর কেন! তা নরেন্দ্র বেশ বলে, ‘রামকে পেলুম না বলে কি শ্যামের সঙ্গে ঘর করতে হবে; আর ছেলেপুলের বাপ হতেই হবে!’ তুমি বলেছ নাকি?

নরেন্দ্র—হ্যাঁ, আমি বলেছি।

“This is your cup-the cup assigned to you.”

“এই লহ তব পেয়ালা, বৎস!
পেয়ালা তোমার তরে
এ মহা দুর্গম ভীমপথ বাহি
পথিক চল হে তুমি
আমারই রচনা শিলা দুর্বার
তোমার প্রয়াণ-ভূমি।”

“This is your road—a painful road and drear.
I made the stones that never give you rest;
This is your task. It has no joy nor grace.”

তবে মাস্টারমশাই, এইবার আমি বেরব। মাস্টারমশাই! যাই ভারতকে দেখে আসি। “জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী।

আমি নরেন্দ্রনাথ, গাজীপুর থেকে লিখছি ভাই। পওহারীবাবাকে বড় মনে ধরেছিল। কিছু মালের আশায় ধরনা দিয়ে পড়েছিলুম। ভেবেছিলুম, যোগের পথে ঈশ্বরকে ধরব। আবার সেই সমাধির লোভ। দীক্ষার দিনও স্থির হয়ে গিয়েছিল। তারপর আগের দিন রাতে অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটল, ঘুম আর আসে না কিছুতেই, বিবেক সামনে—নিজের গুরুকে ছেড়ে কোথায় যাও নরেন্দ্রনাথ! হঠাৎ অন্ধকার ঘর আলোয় উদ্ভাসিত, সেই আলোর বৃত্তে পরমহংসদেব—সেই মুদিতবদন, করুণ মূর্তির স্নেহসিক্ত নয়ন-দুইটির দৃষ্টি আমাতেই নিবদ্ধ। আমার দিকেই তাকিয়ে আছেন তিনি। কোন কথা নেই, কোন নড়াচড়া নেই, স্থির দৃষ্টি। সেই মুখ, সেই প্রেম, সেই স্নেহ। আমি ঘামছি, আমার হৃদয় স্তব্ধ। না, না, আমি আর কোন মিঞার কাছে যাব না।

এখন সিদ্ধান্ত এই যে-রামকৃষ্ণের জুড়ি আর নেই, সে অপূর্ব সিদ্ধি, আর সে অপূর্ব অহেতুকী দয়া, সে intense sympathy বদ্ধজীবনের জন্য—এ জগতে আর নাই। হয় তিনি অবতার—যেমন তিনি নিজে বলিতেন, অথবা বেদান্তদর্শনে যাঁহাকে নিত্যসিদ্ধ মহাপুরুষ—লোকহিতায় মুক্তোঽপি শরীরগ্রহণকারী বলা হইয়াছে, নিশ্চিত নিশ্চিত ইতি মে মতিঃ এবং তাঁহার উপাসনাই পাতঞ্জলোক্ত—’মহাপুরুষ-প্রণিধানাদ্বা’।

“তাঁহার জীবদ্দশায় তিনি কখনো আমার প্রার্থনা গরমঞ্জুর করেন নাই— আমার লক্ষ অপরাধ ক্ষমা করিয়াছেন—এত ভালবাসা আমার পিতামাতায় কখনো বাসেন নাই। ইহা কবিত্ব নহে, অতিরঞ্জিত নহে, ইহা কঠোর সত্য এবং তাঁহার শিষ্যমাত্রেই জানে। বিপদে, প্রলোভনে ‘ভগবান রক্ষা কর’ বলিয়া কাঁদিয়া সারা হইয়াছি—কেহই উত্তর দেয় নাই, কিন্তু এই অদ্ভুত মহাপুরুষ বা অবতার বা যাই হউন, নিজ অন্তর্যামিত্ব গুণে আমার সকল বেদনা জানিয়া নিজে ডাকিয়া জোর করিয়া সকল অপহৃত করিয়াছেন।”

“শিয়রে দাঁড়ায়ে তুমি রেতে,
নির্বাক আনন ছলছল আঁখি,
চাহ মম মুখপানে
অমনি যে ফিরি তব পায়ে ধরি,
কিন্তু ক্ষমা নাহি মাগি।
তুমি নাহি কর রোষ
পুত্র তব, অন্য কে সহিবে প্রগলভতা?
প্রভু তুমি, প্রাণসখা তুমি মোর।
কভু দেখি আমি তুমি, তুমি আমি।”

“তোম জ্যায়সা রামপর, তোমসে ত্যায়সা রাম।
ডাহিনে যাও তো ডাহিনে যায়, বামে যাও তো বাম।।”

উত্তর থেকে দক্ষিণ, পশ্চিম তটভাগ দেশটাকে চষে ফেলেছি। ধর্ম খুঁজেছি মন্দিরে নয়, মসজিদে নয়, ধর্ম খুঁজেছি মানুষের আলয়ে। ধনীর স্বার্থপর বিলাসিতা দেখেছি, বর্ণবিদ্বেষ দেখেছি, প্রাচুর্যের পাশে অনাহার দেখেছি, নরপশুর মহামিছিলে নরনারায়ণ দেখেছি। মুষ্টিমেয় ধনীদের বিলাসের জন্য লক্ষ লক্ষ নরনারী অজ্ঞতার অন্ধকারে ও অভাবের নরকে ডুবে থাকুক, তাদের ধন হলে, তারা লেখাপড়া শিখলে সমাজ উচ্ছৃঙ্খল হবে! কী অপূর্ব যুক্তি রে ভাই!

সমাজ কে? লক্ষ লক্ষ তাহারা? না, এই তুমি আমি দশজন বড় জাত! আমার গুরু পরমহংসদেব একদিন সমাধিভঙ্গের পর নিজের মনেই বলেছিলেন, “জীবে দয়া, জীবে দয়া? দূর শালা! কীটানুকীট তুই জীবকে দয়া করবি? দয়া করার তুই কে? না, না, জীবে দয়া নয়—শিবজ্ঞানে জীবের সেবা

“অনন্তের তুমি অধিকারী, প্রেমসিন্ধু হৃদে বিদ্যমান,
‘দাও, দাও’–যেবা ফিরে চায়, তার সিন্ধু বিন্দু হয়ে যান।
ব্রহ্ম হতে কীট-পরমাণু, সর্বভূতে সেই প্রেমময়,
মন প্রাণ শরীর অর্পণ কর সখে, এ সবার পায়।
বহুরূপে সম্মুখে তোমার, ছাড়ি কোথা খুঁজিছ ঈশ্বর?
জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।”

হে বীর যুবকবৃন্দ! দেশে দেশে আগে যাও। বিভিন্ন দেশের অবস্থা বেশ করে দেখ, নিজের চোখে দেখ-পরের চোখে নয়। তারপর যদি মাথা থাকে তো ঘামাও, তার ওপর নিজেদের পুরাণ পুঁথিপাটা পড়। ভারতবর্ষ, দেশদেশান্তর বেশ করে দেখ, বুদ্ধিমান পণ্ডিতের চোখে দেখ—খাজা আহাম্মকের চোখে নয়। সব দেখতে পাবে যে, জাতটা ঠিক বেঁচে আছে, প্রাণ ধক্ ধক্ করছে, ওপরে ছাই চাপা পড়েছে মাত্র। আর দেখবে যে, এদেশের প্রাণ ধর্ম, ভাষা ধর্ম, ভাব ধর্ম, আর তোমার রাজনীতি, সমাজনীতি, রাস্তা-ঝেটানো, প্লেগ নিবারণ, দুর্ভিক্ষগ্রস্তকে অন্নদান—এসব চিরকাল এদেশে যা হয়েছে তাই হবে, অর্থাৎ ধর্মের মধ্যে দিয়ে হয় তো হবে; নইলে তোমার চেঁচামেচিই সার, রামচন্দ্র!

অনুভব কর, বৎসগণ, হৃদয় দিয়ে অনুভব কর; দরিদ্র, অজ্ঞান, দলিত জনগণের দুঃখ আপন হৃদয়ে অনুভব কর, তাদের দুঃখ হৃদয়ে ধারণ কর যতক্ষণ না হৃৎস্পন্দন স্তব্ধ হয়ে আসে, যতক্ষণ না চিত্ত বিকল হয়, যতক্ষণ না মনে হয় তুমি পাগল হয়ে যাবে—তারপরে ঈশ্বরের চরণে আপন আত্মাকে উৎসর্গ করে দাও। তখন পাবে শক্তি, পাবে ঈশ্বরের সহায়তা, পাবে অদম্য কর্মোৎসাহ।

রোমাঁ রোলাঁ লিখছেন, ঐ যে দাঁড়িয়ে আছেন তিনি বুকে হাত রেখে, দৃপ্ত ভারতীয় সন্ন্যাসী। “His fascinating face, his noble stature, and the gorgeous apparel. His speech was like a tongue of flame.” আগুনের শিখা জিহ্বাগ্রে, সভাস্থ মানুষের শ্রবণে বেজে উঠল একই সঙ্গে গর, সিম্ব্যাল, ঘণ্টা ও ফ্লুটের ধ্বনি। সেই বিখ্যাত সম্বোধন—”Sisters and Brothers of America.” তাণ্ডব লেগে গেল! শুধু এইটুকুতেই সে কী প্ৰবল উচ্ছ্বাস! করতালি, করতালি। “Hundreds arose in their seats and applauded. He wondered.”-এ উচ্ছ্বাস প্রশংসার, না ব্যঙ্গের! প্রশংসা! বিবেকানন্দে তারা অভিভূত। ঐ শোন ভ্রাতৃগণ! গির্জার ঘণ্টাধ্বনি। বিশ্বজুড়ে যত হানাহানি, যুদ্ধ ও ভেদাভেদের মরণঘণ্টা বাজছে। যত পতাকা উড়ছে, তার গায়ে উৎকীর্ণ হবে শীঘ্রই—

“Help and Not Fight
Assimilation and Not Destruction.
Harmony and Peace and Not Dissension.”

সকলকে গ্রহণ কর, সকলকে বোঝার চেষ্টা কর।

“যত মত তত পথ।”

“রুচীনাং বৈচিত্র্যাজুকুটিলনানা পথজুষাং।
নৃণামেকো গম্যত্ত্বমসি পয়সামর্ণব ইব।।”

(শিবমহিম্নঃস্তোত্র)

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *