শ্রীচৈতন্যদেবের পথ ধরে – দেবব্রত মল্লিক
প্রত্যেক যুগে কিছু মানুষ থাকেন তাঁরা তাঁদের কালের গতিশীল সংস্কৃতির মুখপাত্র হন এবং তাঁরাই যুগের বিচারে সমসাময়িক। তাঁদের উদ্যম আমাদের অনেক কিছুর সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়ে দেয়। মুষ্টিমেয় যে ক-জন এ ধরনের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক রয়েছেন তার মধ্যে সুধীরকুমার মিত্র-র নাম অবশ্যই উচ্চারিত হবে। ভ্রমণের মাধ্যমে অজানাকে জানার দুর্বার আকর্ষণ ছিল সুধীরকুমারের। এই আকর্ষণ তাঁকে বার বার ছুটিয়ে নিয়ে গেছে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অঞ্চলে। উত্তর থেকে দক্ষিণে। শুধু ভ্রমণই নয়, পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে সেই অঞ্চলটির বিস্তৃত তথ্য লিপিবদ্ধ করে রাখাও ছিল তাঁর বিশেষ আগ্রহ।
শ্রীচৈতন্য রিসার্চ ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষের বিশেষ আমন্ত্রণে ভুবনেশ্বর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত উড়িষ্যা এবং দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে যেখানে শ্রীচৈতন্যদেব পদব্রজে মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন মূলত সেই সমস্ত তীর্থস্থানগুলো পরিভ্রমণ করার সুযোগ পেয়েছিলেন। দু-এক বছরের ব্যবধানে আবারও তিনি ওই একই পথে ভ্রমণ করেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। মনে মনে সুধীরকুমারের বাসনা ১৯৮৬ সালে চৈতন্যদেবের পাঁচশত বছর পূর্তি উপলক্ষে, ঐতিহাসিক দৃষ্টিকোণ থেকে এই পথেরই বিস্তৃত ঐতিহাসিক ব্যাখ্যা-সহ শ্রীচৈতন্যদেবের পদার্পণধন্য মন্দিরগুলোর বিভিন্ন তথ্য তুলে ধরবেন। নানা ধরনের তথ্য এবং ইতিহাসের বিভিন্ন সূত্র ধরে উপস্থাপনা করেন দক্ষিণের দেবস্থান। গ্রন্থভুক্ত এই রচনাগুলো প্রকাশ করতে লেখকের সময় লেগেছিল প্রায় বারো বছর।
প্রত্যেক স্থানেরই একটা পরিবেশ এবং সংস্কৃতি থাকে। সেটা একান্তই নিজস্ব। নির্দিষ্ট অঞ্চল তার পরিবেশের সঙ্গে একাত্ম হয়ে ট্র্যাডিশন কিংবা ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চেষ্টা করে। সংস্কৃতির কালিক প্রবাহই হচ্ছে ঐতিহ্য। সাধারণত সংস্কৃতির অন্তর্নিহিত সদগুণের প্রবাহকে আশ্রয় করে ঐতিহ্যের প্রত্যয় গড়ে ওঠে। এ ছাড়াও থাকে সংস্কৃতির ভৌগোলিক প্রবাহ। দক্ষিণ ভারতের মন্দিরগুলো তৈরি হয়েছিল রাজকীয় পৃষ্ঠপোষকতায়। সেখানকার নৃপতিকূল সভ্যতা বিকাশের সেই আদিকাল থেকে প্রজাদের মধ্যে সংহতি রক্ষার জন্য বিভিন্ন সময়ে তৈরি করেছিলেন নানা শৈলীর দেবসৌধ। এই সৌধগুলোর স্থাপত্য ভাস্কর্য, কারুকৌশল এবং গঠন বৈচিত্র্য খুবই স্বতন্ত্র। আমাদের দেশের অন্যান্য জায়গার সঙ্গে বস্তুত খুব কমই মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কিন্তু বৈশিষ্ট্যে এবং প্রকাশে অনন্য মন্দিরগুলোর বৈভব।
মন্দিরকে বলা হয় ভারতীয় সংস্কৃতির মূর্ত প্রতীক। ‘মন্দ’ ধাতুর উত্তর অধিকরণ বাচ্যে কির প্রত্যয় করে উৎপন্ন হয়েছে এই শব্দটি। এর মানে হচ্ছে, যেখানে নিদ্রিত হওয়া যায়। শাস্ত্রে আছে, মন্দির প্রতিষ্ঠাকারী ব্যক্তিগণ সব পূণ্যলোক জয় করেন; তাই সুদূর অতীতকাল থেকে আমাদের এই ভারতবর্ষের পূণ্যকামী ব্যক্তিগণ দেবতার গৃহরূপে অসংখ্য মন্দির যুগ যুগ ধরে নির্মাণ করে আসছেন। মন্দিরের আধ্যাত্মিক স্বরূপ সম্বন্ধে পঞ্চানন রায় মহাশয় বাংলার মন্দির-এ লিখেছেন যে বাহ্য উপচারিক পূজার জন্য প্রথমেই প্রয়োজন একটি মন্দিরের। যেখানে নিভৃতে নির্জনে নিশ্চিন্ত মনে লোকে একাগ্রচিত্তে ভক্তির সঙ্গে দেবতার পূজা করতে পারেন।’ মন্দির সম্পর্কে সহজ সরল কথায় উপস্থাপনা করেছেন লেখক। গ্রন্থের প্রতিটি অধ্যায়ে অর্থাৎ যে মন্দির যে অধ্যায়ে আলোচিত হয়েছে—তার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য এবং ইতিহাস অদ্ভুতভাবে নথিবদ্ধ করেছেন তিনি। আমরা পড়ে তৃপ্ত হই। খুশি হই। শিক্ষিত হই।
এই সমস্ত মন্দিরগুলোর প্রতিষ্ঠাতা সেই সেই সময়ের রাজন্যবর্গ। ব্যয় হয়েছে লক্ষ লক্ষ টাকা। তাঁরা এইসব মন্দির নিজেদের ভোগবিলাসের জন্য করেননি। উদ্দেশ্য : দেশের মানুষের ধর্মভাব উজ্জিবন। উচ্ছৃঙ্খল পথে মানুষজন না গিয়ে সুস্থভাবে সৎ উপায়ে যেন তাদের জীবন অতিবাহিত করতে পারেন। জীবন যেন মধুময় হয়ে ওঠে। তাঁদের সে উদ্দেশ্য সার্থকও হয়েছিল। সেই সময়ের প্রাসাদ এবং দেবালয়ের ধ্বংসাবশেষ হিন্দুদের শৌর্যবীর্য, ধর্মচর্চা ও শিল্পোৎকর্ষের স্মৃতিচিহ্ন আজও বর্তমান। বিদেশিরা (পর্যটক) দাক্ষিণাত্যের এইসব অপূর্ব দেবস্থানের এবং তার পরিবেশ দেখে মুগ্ধ হয়েছেন। সবচেয়ে যুগান্তকারী ঘটনা শ্রীচৈতন্যদেবের ষোড়শ শতকে পদব্রজে নবদ্বীপ থেকে বনজঙ্গল নদনদী পর্বতমালা অতিক্রম করে পুরী হয়ে দাক্ষিণাত্যে উপস্থিত হওয়া। এখান থেকেই তিনি প্রেম ভক্তির ভিত্তি প্রতিষ্ঠা করে ভারতবর্ষে নবযুগের সৃষ্টি করেন। তাঁর সেই বিশ্বজয়ী প্রেমধর্মের বাণী আজ পৃথিবীর সর্বত্র ব্যাপ্ত।
ষোড়শ শতকের প্রথম ভাগে দেশে চলছে তখন মুসলমান রাজত্ব। চারদিকে চলছে অরাজকতা। বেশিরভাগ জায়গা জঙ্গলাকীর্ণ। দুর্গম পথঘাট। সেই সময় রাধামাধবের মিলিত তনু বলে কথিত শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু সন্ন্যাস গ্রহণের পর মাতৃআজ্ঞায় তাঁর প্রকটকালের আগে শেষ আঠারো বছর জগন্নাথের পূণ্যধামে কাটিয়েছেন। শুধু কাটানোই নয় জগন্নাথদেবের পুণ্য মাহাত্ম্য প্রকাশ ও প্রচার করেছিলেন। এই জন্যই ত্রিজগতের একমাত্র নাথ জগন্ময়জগন্নাথধাম নামে সুবিদিত হয় পুরী নামে।
উড়িষ্যার মধ্যে ছোটো ছোটো পাহাড় আছে অনেক। তার মধ্যে পুরী শহরে রয়েছে বালুকাময় এক পাহাড়। নাম নীলভূধর। পাহাড়ের উচ্চতা খুবই কম। মাত্র কুড়ি ফুট। পুরুষোত্তম ক্ষেত বা শ্রীক্ষেত্র নীলগিরি নামে পার্বত্যভূমির প্রত্যন্ত প্রদেশে অবস্থিত বলে জগন্নাথ ক্ষেত্রের অন্য নাম হয়েছে নীলাচল। অবন্তীরাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন স্বপ্নাদিষ্ট হয়ে পুরীর সমুদ্রতটে গিয়েছিলেন। সেখানে দেখেন এক মহাবৃক্ষ ও ব্রাহ্মণ বেশধারী বিষ্ণুর সঙ্গে বিশ্বকর্মাকে। বিশ্বকর্মা ইন্দ্রদ্যুম্নের কথামতো সেই মহাবৃক্ষ দিয়ে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রাদেবীর মূর্তি প্রকট করলে রাজা মহাসমারোহে সেই ত্রিবিগ্রহ তাঁর মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেন।
পুরীতে শ্রীচৈতন্যদেব অবস্থান করেছিলেন মাত্র দু-এক মাস। এরপর দোলযাত্রার পর ১৫১০ খ্রী. বৈশাখ মাসে নিত্যানন্দের বিশেষ অনুরোধে কৃষ্ণদাস নামে একজন অনুচরকে সঙ্গে নিয়ে শ্রীচৈতন্যদেব দক্ষিণ দেশে যাত্রা করেন। একে একে পরিক্রমণ করেন সিদ্ধবট, ত্রিমল্ল, ত্রিপদী, শিবকাঞ্চী, বিষ্ণুকাঞ্চী, শ্রীরঙ্গম, কুম্ভকোনম, মাদুরা, সেতুবন্ধ, রামেশ্বর শেষে কন্যাকুমারী। দক্ষিণ ভারতের তীর্থগুলো শ্রীচৈতন্যের পাদস্পর্শে মহাতীর্থে পরিণত হয় তাই ভারতের অসংখ্য নর-নারী ধর্মলাভের জন্য এখন সেইসব তীর্থগুলো দর্শন করে পুণ্য সঞ্চয় করেন।
লেখক সুধীরকুমার মিত্র শুধুমাত্র মন্দিরের বর্ণনা ইতিহাস লিখেই থেমে থাকেননি। এই সমস্ত দেবালয়ে কীভাবে সহজে পৌঁছোনো যায় সেই তথ্যও দিয়েছেন পরিস্কারভাবে। দেখিয়েছেন দূরত্বর সীমা। সমসাময়িক পরিবেশ পরিচিতি গ্রন্থে নিবদ্ধ আছে। এককথায় বলা চলে একটি অপূর্ব গ্রন্থ। যেকোনো পাঠক দক্ষিণের দেবস্থান পড়ে ঋদ্ধ হবেন। মনে প্রশান্তি আসবে। সর্বোপরি বলা যায় পর্যটক পাঠক সঙ্গে নিয়ে বেরোতে পারলে যেমনি খুশি হবেন তেমনি জ্ঞানের পরিধির সীমাকে প্রসারিত করতে পারবেন।
কন্যাকুমারীর কথা উপনিষদ স্থলপুরাণ ছাড়া ভারতের প্রাচীনতম গ্রন্থদ্বয় রামায়ণ মহাভারত-এ উল্লিখিত আছে। শ্রীরামচন্দ্র যখন সীতা অন্বেষণের জন্য কন্যাকুমারীতে আসেন। সেই সময় দেবী ভগবতী কন্যাকুমারী আবির্ভূতা হয়ে তাঁকে রামেশ্বর যেতে বলেন। দেবীর আদেশে তিনি রামেশ্বর যান এবং সেখানে সেতুবন্ধ করে তিনি লঙ্কায় গিয়ে সীতাদেবীকে রাবণের কবল থেকে উদ্ধার করেন। মহাভারতে বলরামের দেবী কুমারী দর্শনের উল্লেখ আছে। এ ছাড়া অর্জুনও একবার এই স্থান পর্যটন করার সময় দেবীর অর্চনা করেন। একথা লেখা আছে মহাকাব্যে।
অতীতে এই সৌন্দর্যমন্ডিত স্থান ছিল খুবই দুর্গম। ষোড়শ শতকে বাংলা থেকে নিত্যানন্দ ও শ্রীচৈতন্য বনজঙ্গল, পাহাড় পর্বত, নদনদী অতিক্রম করে কন্যাকুমারীর ভুবনমোহিনী আনন্দময়ী মাতৃমূর্তি দর্শন করেছিলেন। তারপর উনিশ শতকে এসেছেন স্বামী বিবেকানন্দ।
কন্যাকুমারীর পৌরাণিক কাহিনি যা তামিলগাথায় প্রচলিত তা থেকে জানা যায়, পুরাকালে অসুররাজ বাণাসুর কঠোর তপস্যা করে বিধাতার দর্শন পান। বাণের তপস্যায় সন্তুষ্ট হলে, তিনি তার কাছে কোনো পুরুষই যেন তাকে বধ করতে না পারে, এই বর প্রার্থনা করেন। বিধাতা তাঁর অভীপ্সিত বর বাণকে দেন। বিধাতার বরে বাণাসুর বিশ্বভুবনের মহাত্রাস হয়ে উঠল, ত্রিজগতজয়ী বাণ দেবতাদেরও নানা ধরনের কষ্ট দিতে লাগলেন। তার দানবীয় অত্যাচারে সর্বসংহা পৃথিবী অসহ্য ব্যথায় অশ্রুমতী হয়ে উঠলেন। দেবগণের আকুল কান্নায় অনন্তশয়নে প্রলুপ্ত মুকুন্দমুরারী শ্রীহরি তাঁদের পরাশক্তির আশ্রয় নিতে উপদেশ দিলেন। কারণ বিধাতার বরে বাণাসুর কেবল অবধ্য নন—তার কাছে বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, ত্রিশূলীর শূল, যম-এর কালদন্ড, বরুণের পাশ প্রভৃতিও ব্যর্থ। তাই একমাত্র পরাশক্তিই বাণের সব শক্তি ছিনিয়ে নিয়ে তাকে মুক্তি দিতে সমর্থ।
দেবী কুমারীকে নাটমন্দিরে দাঁড়িয়ে দর্শন করতে হয়। দক্ষিণ ভারতের সব জায়গায় একই নিয়ম। অন্যান্য জায়গার মতো দেবী স্পর্শ করার কোনো সুবিধা নেই। তবে যাত্রীগণ অর্চক ব্রাহ্মণ দিয়ে ইচ্ছা অনুযায়ী অর্চনা ও কর্পূরারতি করতে পারেন। দেবস্থানের কার্যালয়ে আগে থেকে টাকা জমা দিলে দেবীকে পায়েস মিষ্টান্ন প্রভৃতি তাঁদের তালিকানুযায়ী ভোগ অর্পণ করতে পারেন। কন্যাকুমারীর প্রাণবন্ত সদাহাস্যময়ী বিগ্রহটি পবিত্রতা, সরলতা সৌন্দর্যের মূর্ত প্রতীক। দেবীর চন্দনচর্চিতা, নানাভরণ ভূষিতা, পুষ্পমাল্যে সজ্জিতা ভুবনমোহিনী রূপমাধুরী এক আনন্দময়ী চিন্ময়ীরূপ। এই জননী পরাশক্তি দেবী কুমারী হচ্ছেন অখন্ডা—একরসা সচ্চিদানন্দময়ী ব্রহ্মবিদ্যারূপিণী—ইনিই ওম, ইনিই সোম, উমার সঙ্গে রয়েছেন বর্তমান শিব—এ বিগ্রহ শিবশক্তির মিলিতাবস্থা।
কন্যাকুমারীতে দু-জন পৃথিবীখ্যাত মহাপুরুষ বাংলা থেকে দেবী কুমারীকে দর্শন করতে এসেছিলেন। একজন শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভু অন্যজন স্বামী বিবেকানন্দ। স্বামী বিবেকানন্দ পরিব্রাজক হয়ে সারা ভারত পরিভ্রমণ করতে করতে ১৮৯২ খ্রিস্টাব্দের ২৫ ডিসেম্বর এখানে আসেন এবং কন্যাকুমারী দর্শন করে এই স্থানের অপূর্ব সৌন্দর্যে বিশেষভাবে আকৃষ্ট হন। কন্যাকুমারীর তটভূমি থেকে ষোলো-শো ফুট সাঁতার দিয়ে তিনি ‘শ্রীপাদপারই’ নামক শিলায় পৌঁছে সেখানে সারা রাত গভীর ধ্যানে মগ্ন হয়েছিলেন। এই শিলাই এখন ‘বিবেকানন্দ শিলা’ নামে পরিচিত। এই স্থানটি সমুদ্রতল থেকে মাত্র পঞ্চান্ন ফুট উঁচু। তিন একর পরিমিত এই ভূখন্ড এখন মূল ভূখন্ড থেকে সমুদ্রের দ্বারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কিন্তু একসময় এই শিলা কন্যাকুমারী মন্দিরের অংশ ছিল এবং তার ধ্বংসাবশেষ ভালো করে খুঁজলে এই শিলায় দেখা যায়। ভগবান বুদ্ধদেবের জীবনে বোধিবৃক্ষের মতো বিবেকানন্দের জীবনেও এই শিলা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বলে এখানে ১৯৭০ সালে বিবেকানন্দ স্মৃতিমন্ডপ নির্মিত হয়েছে।
স্বামী বিবেকানন্দ লিখেছেন :
কন্যাকুমারীতে ভারতবর্ষের শেষ শিলার উপরিস্থিত দেবী কন্যাকুমারীর পদপ্রান্তে বসে এক চিন্তা মাথায় এল—জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর।
পাশ্চাত্যে বেদান্তের শাশ্বতবাণী বহনের সিদ্ধান্ত যে শিলাখন্ডে স্বামীজির মনে উদয় হয়েছিল, সেই পবিত্র স্থানে তাঁর স্মৃতি স্মরণের জন্য একটি স্মারক মন্দির নির্মাণের পরিকল্পনা ১৯৩২ সালেই নেওয়া হয়েছিল। এবং তার জন্য যে সমিতি গঠন হয় তার নাম ‘বিবেকানন্দ শিলা সমিতি’।
আলোচিত গ্রন্থ
দক্ষিণের দেবস্থান ।