শেষট্রেনের নাম তত্ত্ববিশ্ব

রুপোলি স্ফুলিঙ্গমাখা চিতলন্যাজা ধামসাবাদকের আঙুলহীন মুঠোয়
    ডিমখোর ঢেউদের চাঁদবদন হল্লায় বাজছিল মৌমাছিডানার মৌতরঙ্গ
তবু ছুটন্ত সুড়ঙ্গে ষাঁড়পুরুষের মেটিংকল শুনে
    চোখের বালির খোঁজ পড়েনি নিতম্বমসৃণ ভালোবাসায়
ফলা কলকাতার সর্বজনীন আস্তাকুঁড়ের সদবিপ্র মাসিকচক্রে ফলেছে
    রাঢ়ের ওল আলো আর ভাষাভুষো
তা এখানের এই লেফটহ্যান্ডড্রাইভ দেশে কুচো-কুচো সূর্য ভাসাবে
    এই আশায় মাতালরা যাবার পর হাঁফ ছেড়েচে ঘরটা
কেঁদেছে: হায়গো তাম্রপত্রে কলঙ্ক লাগবেই
    যতই না জাঁদরেল টিকটিকি কড়িকাঠ কাঁপাক
আর ভাঁটার দুলুনি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ুক ক্লান্ত স্টিম লঞ্চ
    হাড়েহাড়ে টের পাওয়া হাড়গুলো দাঁতনদেঁতো প্যাংলার দুর্ভাবনায়
ডেরা ডেলে চুলখোলা বারান্দায় চোখবুজে দেখবে এক তিন ঠেঙে বেড়াল
    শ্যাওলাচাদর মুড়ি দিয়ে
প্রতিধ্বনি নকল করতে ওস্তাদ তলপেট-ফোলা বোলডার
পিঁপড়ের খনিটানেলে জড়ো করেছে টুসকি নির্দেশে
    নামিয়ে-আনা তত্ত্ববিশ্ব

কলকাতা ২ মার্চ ১৯৯৮

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *