বাতাসবোনা ঘাসখেতে কানের লতিতে ধুলো মেখে আমাকে ঘিরে যখন কেউটে শিশুরা নাচতে আরম্ভ করেছে খসখে অন্ধকারে উদোম তর্জনী তুলে দেখলুম বৃষ্টির ফিসফিসানির মাঝে সূর্য ওঠার রিনরিন বাজনা এমন মৃদু রাইফেলের ফুটোয় দেখা চারচৌকো জগৎসংসার তাকে ঘিরে রেখেছে কাঁতার মুকুটপরা স্লোগানসিক্ত পাঁচিল ওই বাগান এগিয়ে এসে আমায় আপ্যায়ন করার পর ঘাসে-ঘাসে পড়ে আছে কেউটে মা-বাপের নাচের নূপুর আর কেউটে গৃহিনী বারবার মনে করিয়ে দিয়েছেন আসল জিনিস চাইলে তাও খুলে দেখাতে পারি তাকিয়ে-তাকিয়ে যে-নারীর কৌমার্য নষ্ট করে দিয়েছিলুম তারই মোচড়ানো হাতের অযৌন আলিঙ্গনে চোখে পড়ল কাঁকড়ার আলোতরল বুকে আমার ঠিকুজির ছককাটা আছে যা চুমু-চিকন ঠোঁটে চেটে নিয়েছিলেন কেউটে গৃহবধু মেনু-ছাপানো শ্রাদ্ধবাসরের হাসিখুশি শোকে নিজের গা থেকে ছায়া চেটে বাজারের ব্যামোকুকুর আর তখনই বিস্কুটের ঘুঁড়ো-ছড়ানো মানচিত্রে একদেশ থেকে আরেকদেশে চলে যাচ্ছিল পিঁপড়ের সার
আহমেদনগর ১২ অক্টোবর ১৯৯৭