শঙ্কিত কথামালা । নবারুণ ভট্টাচার্য
কখনো বিদেশ থেকে ফিরে আসো। সেই চেনা ঘর
যার কোণে কোণে রাতভোর কথামালা ভাসে
তবু দেখো যে খুশিতে সুখ হল পর
তার নাম নেই। শুধু বাতাসের নৌকায় আসে
সে দেশের কোন নদী, কোন গাছ, কোন ডুবোচর।
তোমার নিকটে এসে আর কে আমার মতো একা
জানা নেই। প্রতিটি অদেয় কথা করেছিল ভুল
জলের ওপরে আলো অনেক কি দেখেছিল লেখা
কুয়াশায় পথে ঘুরে অবেলায় ভার হল চুল
কান্নার স্থির জলে করতলে মিলায় না রেখা।
তোমার যাওয়ার সাথে কী ফুল চিতায় যাবে, যুঁই
যার নেশা হলে মাথা নিচু করে পথ চলে
যায় আসে। টলমলে রাস্তাতে চিঠি কাটে উই
তবু ছিল দিনমানে প্রেম। দেহ কথা বলে
ভাবে রাত্রির শেষ দেখে মুখ ঢেকে শুই।
কখন যে ঘর থেকে চলে যাবে। এই ভাঙা হাট
সেরে হাটুরেরা সারি দিয়ে ঘরে ফিরে যায়
তোমার প্রেমিক তারা নতমুখ শ্রদ্ধায় লজ্জায় কাঠ
ধুলো আর কথামালা সন্ধ্যার নিঃস্ব হাওয়ায়
তোমার বিদেশ নিয়ে অগণিত বিকেলের খেলবার মাঠ।