1 of 2

শকওয়েভ – ৩১

একত্রিশ

রানা আর সেলেনা যখন অপেক্ষমাণ মার্সিডিসটার কাছে ফিরে এল, শেষ গ্রাসটুকু গিলে নিয়ে উদরপূর্তি সারা হয়ে গেছে ট্যাক্সি ড্রাইভারের। স্ন্যাকসের খালি মোড়কটা দলা পাকিয়ে ঠেসে ঢোকাল ম্যাপ কমপার্টমেন্টে। কমপক্ষে আরও এক শ’টা মোড়কের ঠাঁই নাই… ঠাঁই নাই দশা ওখানে।

ঢেকুর তুলল ‘ঘউক’ করে। দুই ভুরু নাচিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘এবার কোথায়, বন্ধুরা?’

গার ডো’অস্টালিটজ রেলওয়ে স্টেশনের কাছাকাছি একটা ঠিকানা দিল রানা।

মাথা ঝাঁকাল ট্যাক্সি চালক। পানি ভরা বেলুনের মত থলথলে হাত দু’খানা রাখল স্টিয়ারিং হুইলে।

আস্তে-ধীরে গাড়িঘোড়ার ভিড়ে মিশে গেল মার্সিডিস।

‘প্যারিসের বিকারগ্রস্ত ট্যাক্সি রেসারদের তুলনায় ভয়ঙ্কর স্লো এক ড্রাইভার নিয়েছি আমরা,’ শুনিয়ে শুনিয়েই বলল সেলেনা। আশা: ইংরেজি বুঝলে হয়তো লজ্জায় কান কাটা যাবে ধুমসোটার। ‘তা, চলেছি কোথায় এখন?’

‘পরিচিত একজনের গ্যারাজে। মুহূর্তের নোটিসে ট্রান্সপোর্টের প্রয়োজন হলে কোনও রকম প্রশ্ন ছাড়াই পেয়ে যাই ওখান থেকে। ‘

মৃদু ভটভট আওয়াজে পুবে বুলেভার্ড কেলম্যানের দিকে মুখ ঘোরাল মার্সিডিস। এর পর বাঁয়ে টার্ন নিয়ে পড়ল অ্যাভিনিউ ডি’টালিতে, চলেছে নদীর দিকে।

ঘড়ি দেখল রানা। ধৈর্য থেকে বিচ্যুত না হয়ে তাকাল নীল আকাশের দিকে। প্রায় পুরো একটা মিনিট চেয়ে রইল বকের মত গলা বাড়িয়ে।

‘কী দেখছ, রানা?’ জানতে চাইল সেলেনা।

‘না, কিছু না।’

ব্যাপারটা কি অতিকল্পনা?—ভাবল রানা। নাকি সত্যিই ট্যাক্সির পিছু পিছু আসছে হেলিকপ্টারটা?

উঁচু উঁচু স্কাইস্ক্র্যাপারের পিছনে কয়েক মুহূর্তের জন্য হারিয়ে ফেলল ও যান্ত্রিক ফড়িংটাকে, তার পর আবার ধরা দিল ওটা দৃষ্টির সীমানায়। কয়েক শ’ ফুট উপর দিয়ে হোভার করে আসছে ঢিমে তালে। বিনোকিউলার ছাড়াই পরিষ্কার বুঝতে পারল রানা, পুলিসের ‘কপ্টার নয় ওটা। হয় কালো, না হয় কালচে সবুজ। গায়ে কোনও ধরনের চিহ্ন-টিহ্ন চোখে পড়ছে না।

‘ডানে ঘুরুন, নির্দেশ দিল ও ড্রাইভারকে।

‘রাস্তা এদিকে নয়,’ প্রতিবাদ জানাল ভোটকু।

‘আপনাকে যেটা করতে বলা হয়েছে, সেটা করুন!’ কড়া ধমক লাগাল রানা।

প্রধান সড়ক ছেড়ে অন্য এক রাস্তায় বাঁক নিল মার্সিডিস। সারি সারি পার্ক করা গাড়িকে দু’পাশে রেখে এগিয়ে চলেছে এখন।

‘বাঁয়ে মোড় নিন এবার।’ আঙুল দিয়ে দেখাল রানা।

‘ওয়ান-ওয়ে রাস্তা ওটা,’ আরেকটু জোরালো হলো আপত্তি।

‘দশ ইউরো বাড়তি।’

‘যেদিক খুশি, বস!’

এক সাইকেল আরোহীকে ভড়কে দিয়ে অবৈধ টার্ন নিল গাড়ি।

‘কী হচ্ছে এসব?’ চিন্তায় পড়ে গেছে সেলেনা। ‘ফলো করা হচ্ছে নাকি আমাদের?’

‘এক মিনিটের মধ্যেই জানতে পারব জবাবটা।’

জানালা আর সানরুফ দিয়ে উপরদিকে লক্ষ রাখছে রানা। এগিয়ে চলেছে গাড়ি ব্যাকস্ট্রিটের ভুলভুলাইয়া ধরে। নসিব অনুকূলে থাকলে দিশা হারিয়ে ফেলবে ‘কপ্টারের চালক। না হলেও ক্ষতি নেই। গ্রে কালারের মার্সিডিস ট্যাক্সির অভাব নেই প্যারিস শহরে। সহজেই মিশে যাওয়া যাবে ওগুলোর ভিড়ে।

কিন্তু মিনিট কয়েক বাদে ফের মেইন স্ট্রিটে উঠে এলে, আশার গুড়ে বালি পড়ল রানার। এখনও আকাশে ভাসছে ফড়িংটা, নেমে এসেছে আরও। পরিষ্কার বোঝা গেল এখন, ট্র্যাক করা হচ্ছে ওদের। জো নেই ওটার বাজ পাখির নজর ফাঁকি দিয়ে ট্রাফিকের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার।

‘আগের ঠিকানা বাদ,’ বলল রানা ড্রাইভারের উদ্দেশে। ‘বুলেভার্ড পেরিফেরিকের দিকে নিয়ে চলুন আমাদের।’

হতাশ ভঙ্গিতে শ্রাগ করল লোকটা। ভাবখানা ওর কী যায়–আসে এতে? মন ওদের, মর্জি ওদের। চাইলে গোটা প্যারিসই চক্কর দেয়াতে পারে। সে কেবল পকেটে পাত্তি পেলেই খুশি।

‘….এবং আরেকটু জোরে চালান, প্লিজ,’ যোগ করল রানা। ‘উপযুক্ত পারিশ্রমিক পাবেন আপনি।’

‘রিং রোডের দিকে চলেছি কেন, রানা?’ জিজ্ঞেস করল সেলেনা।

‘উড়ন্ত চিলের দৃষ্টি এড়াতে চাইলে, উত্তম করণীয় হলো—আণ্ডারগ্রাউণ্ডে চলে যাওয়া,’ ভেঙে বলল রানা।

শহরের বৃত্তাকার ডুয়াল ক্যারিজওয়ে তথা ডিভাইডেড হাইওয়ে গেছে জোড়া রোড টানেলের ভিতর দিয়ে। নিকটতম অ্যাকসেস রুট পোর্টে দে জেনটিলি থেকে কয়েক মিনিট এগিয়ে, পশ্চিমে কিছুটা বাঁক নিলেই পড়বে ওই টানেল। আধ কিলোমিটারেরও বেশি দীর্ঘ সুড়ঙ্গ দুটো।

টানেলের দ্রুতগতি গাড়ির স্রোতের মাঝে ব্রেক নেয়াটা এমনিতে অনুমোদিত নয়। তবে রানার আশা, অতিরিক্ত বিশ ইউরোতে হয়তো রাজি হয়ে যাবে ড্রাইভার। ভান করতে হবে, গড়বড় হয়েছে বাহনে। পরীক্ষার ছলে মার্সিডিস থামালে, এই সুযোগে নেমে যাবে ওরা। কোনও একটা সার্ভিস এক্সিটে পদব্রজে ঢুকে পড়ে বেরিয়ে যাবে সুড়ঙ্গ থেকে। উড়ন্ত ফড়িঙের দৃষ্টিপথে যখন উদয় হবে আবার, ধূসর যানটা তখন ফাঁকা। বেহুদাই গোটা শহর ঘুরিয়ে আনবে যান্ত্রিক পতঙ্গটাকে। যথেষ্ট টাকা আর নির্দেশ পেলে দিনভর এ কাজ করতে অমত করবে না নিশ্চয়ই কোনও পাখোয়াজ ড্রাইভার।

কিন্তু পোর্টে দে জেনটিলির দিকে মার্সিডিসটা কোর্স চেঞ্জ করতেই টের পেল রানা, শুরুর আগেই কেঁচে গেছে ওর পরিকল্পনা।

‘যাশালা!’ দুষল ও নিজের কপালকে।

‘কী হলো, রানা?’ চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেছে সেলেনার।

‘চার গাড়ি পিছনে। কালো একটা অডি। নিশ্চয়ই রেডিয়ো যোগাযোগ রয়েছে ‘কপ্টারের সঙ্গে।’

পিছের জানালা দিয়ে দৃষ্টি চালাল মেয়েটা। কাছাকাছি থাকার জন্য দ্রুত এগিয়ে আসছে অডি কিউসেভেন এসইউভি-টা। টিনটেড গ্লাসের কারণে দেখা যাচ্ছে না আরোহীদের।

‘কী করে আমাদের ট্র্যাক করল ওরা? রুদ্ধশ্বাসে স্বগতোক্তি করল সেলেনা। ‘শিয়োর তো তুমি?’

মানুষের মতই গাড়িটার বডি ল্যাঙ্গুয়েজ পড়তে পারছে রানা। নাইনটি নাইন পারসেন্ট শিয়োর ও, ওদেরই পিছু নিয়েছে ওটা। একটাই উপায় পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়ার।

‘স্লো করুন গাড়ি,’ আদেশ করল ড্রাইভারকে। ‘এই মুহূর্তে!’

আয়নার ভিতর দিয়ে দুর্বাসা মুনির মত চোখের আগুনে ভস্ম করতে চেষ্টা করল ওকে মার্সিডিস চালক। তার পর অনিচ্ছা সত্ত্বেও ব্রেক চেপে বিরক্তির কারণ হলো পিছনের গাড়িগুলোর। একাধিক হর্ন ফুঁসে উঠল তীক্ষ্ণ স্বরে।

দু’পাশ দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে যানবাহনগুলো। নীল একটা রেনোঁ সাঁ করে পাশ কাটানোর সময় ভুরু কুঁচকে জানালা দিয়ে মধ্যাঙ্গুলি দেখাল ড্রাইভার।

‘যথেষ্ট স্লো হয়েছে, জনাব?’ ক্ষুব্ধ স্বরে বলল অপমানিত ট্যাক্সি চালক।

পিছনে তাকাল রানা।

অডিটাও ব্যবধান রেখে মন্থর করেছে গতি ওভারটেকের কোনও চেষ্টাই নেই ওটার মধ্যে।

আর কিছু কি বাকি থাকে বোঝার?

‘বেশি স্লো করে ফেলেছেন,’ বলল ও ড্রাইভারকে। ‘পা সরান ব্রেক থেকে।

‘একবার স্লো… একবার ফাস্ট…’ শ্বাসের নিচে গজগজ করতে করতে গতি তুলল নাদুসনুদুস ড্রাইভার। ‘বোঝার সাধ্য নেই, কী চায় ব্যাটা!’

অন্য গাড়িগুলোর সঙ্গে যোগ দিয়েছে ওরা, আচমকা স্পিড তুলে আগে বাড়ল অডি। পাশাপাশি থাকতে চাইছে যেন।

‘আরও জোরে!’ মার্সিডিজ ড্রাইভারের বিরক্তির তোয়াক্কা করল না রানা।

নির্দেশমত এগিয়ে গেল ধূসর গাড়ি।

‘ওহ, শিট… রানা!’ হঠাৎই আঁতকে উঠল সেলেনা। ‘আরও একটা মনে হয় হাজির হয়েছে আমাদের লেজে!’

দেখল রানা। একই রকম দেখতে আরেকটা কালো গাড়ি কোত্থেকে উদয় হয়েছে পিছনে! গতি বাড়ছে ওটার।

‘কী করতে চাইছে ওরা?’ ভয়ানক আতঙ্ক পেয়ে বসেছে সেলেনাকে।

‘ঘিরে ফেলতে চাইছে আমাদের।’ বুঝে ফেলেছে রানা। বাইরে থেকে শান্ত দেখাচ্ছে ওকে, কিন্তু ভিতরটা যেন লণ্ডভণ্ড করে দিচ্ছে সুপার-সাইক্লোন। ‘যে-কোনও মুহূর্তে তৃতীয় আরেকটাকে দেখা গেলে অবাক হব না। সামনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করবে ওটা, থামতে বাধ্য করবে আমাদের। এর পর দুটো জিনিসই ঘটতে পারে। হত্যা, নয় তো বন্দি।’

‘কিছু একটা করতেই হবে, রানা! মানসিক দুশ্চিন্তায় কাতর হয়ে পড়েছে সেলেনা। চোখ সরাতে পারছে না অডি দুটোর উপর থেকে।

দ্বিতীয় কিউসেভেন-টা এখন গায়ের একেবারে কাছে চলে এসেছে। ইঞ্জিন আর ট্রাফিকের গোঁলমাল ছাপিয়ে স্পষ্ট শোনা যাচ্ছে হেলিকপ্টারের ধুবধুর। নীলনকশা অনুযায়ী জাল গুটিয়ে আনছে ওরা।

ব্রাউনিংটা নিল রানা কোমর থেকে। সড়াত করে হাতের তালুতে পড়ল ম্যাগাজিন। পরীক্ষা করে নিয়ে যথাস্থানে ফেরত পাঠাল ওটা। ধীরস্থির ভঙ্গিতে স্লাইড টেনে নিশ্চিত হয়ে নিল, গুলি রয়েছে চেম্বারে। সিটের ব্যাকরেস্টের আড়ালে হয়ে গেল এগুলো—টেরটিও পেল না ভুঁড়িঅলা।

‘আপনার ব্রেক দুটো কি নষ্ট, না অন্য কিছু?’ জবাব চাইল রানা কর্কশ স্বরে।

মোটা গর্দান ঘুরিয়ে ওর দিকে চাইল চর্বির ডিপো। ‘লাইসেন্সটা খোয়াই, তা-ই চান আপনি? এরই মধ্যে যথেষ্ট সীমা লঙ্ঘন করে ফেলেছি!’

‘বেল্লিকটা দেখছি মেরেই ফেলবে আমাদের!’ তড়পে উঠল মেয়েটা। ‘খেয়ে খেয়ে কিচ্ছু নেই মাথায়!’

পথচারী পারাপারের ক্রসিং দেখা যাচ্ছে সামনে। পুশচেয়ার ও পেরামবুলেইটরে বাচ্চা নিয়ে রেড সিগনালের অপেক্ষায় দাঁড়িয়ে এক তরুণী।

‘গতি কমাবেন না!’ সেটাই করতে যাচ্ছে দেখে শাসাল রানা ড্রাইভারকে। ‘আরও দশ দেব, যদি লাল বাতির তোয়াক্কা না করেন।

সৌভাগ্যক্রমে, শর্করা ভরা স্ন্যাকসের মত পয়সার লোভেও নোলা সকসক করে ফরাসি মোটুরামের। সবুজ বাতি বদলে লাল হয়েছে কি হয়নি, ব্রেক থেকে পা তুলেই বুলেটের বেগে বেরিয়ে গেল গাড়ি নিয়ে।

ঝট্ করে ঘাড়টা ঘুরিয়ে মার্সিডিসটাকে বাণ মারল যেন অগ্নিশর্মা তরুণী।

পিছনে চাইল রানা।

ক্রসিঙে পা রেখেছে মা-টা। দু’হাতে ঠেলে নিয়ে চলেছে ছোট আর বড় শিশুটিকে। মেয়েটার সামনে তীক্ষ্ণ ব্রেক কষতে হয়েছে অডি দুটোকে। স্পষ্ট দেখতে পেল ও দিব্য দৃষ্টিতে, কী রকম তড়পাচ্ছে ভিতরের মানুষগুলো। ফুর্তিতে দু’পাটি দাঁত বেরিয়ে পড়ল ওর।

এ-ই সুযোগ!

‘গাড়ি থামান!’ নির্দেশ দিল রানা কিছু মাত্র দেরি না করে। ‘ওই যে… ওখানটায়!’

কিছুতেই কিছু যায় আসে না যেন, এমনিভাবে কাঁধ ঝাঁকিয়ে ট্যাক্সিটাকে কার্বসাইডে সরিয়ে নিয়ে এল কুমড়ো-পটাশ ড্রাইভার।

ব্রাউনিংটা বেল্টে গুঁজে বেরিয়ে এল রানা মার্সিডিস থেকে। হ্যাঁচকা এক টানে খুলে ফেলল ড্রাইভারের দরজাটা। চর্বিপুষ্ট বাহু পাকড়ে, হুইলের পিছন থেকে হিড়হিড় করে টেনে বের করল পৃথুল দেহ ফরাসিকে।

কথাই সরছে না হোঁতকা চালকের মুখে। রাগে আগুন ঝরছে দু’চোখ থেকে। বেসামাল হয়ে পড়ে যেতে যেতে খাড়া থাকল কোনও রকমে।

‘থ্যাঙ্কস ফর দ্য রাইড,’ বলতে বলতে ড্রাইভিং সিটে উঠে দরজাটা লাগিয়ে দিল রানা। জানালা দিয়ে এক শ’ ইউরোর একখানা নোট ছুঁড়ে দিয়ে উপদেশ দিল: ‘পেটপূজাতেই উড়িয়ে দিয়েন না সব।’

ওদের পিছনে, পুশচেয়ার ও পেরামবুলেইটর ঠেলে ওপারের পেভমেন্টে পৌঁছে গেছে তরুণী। প্রথমে কমলা, তার পর সবুজ বাতি জ্বলে উঠতেই টায়ারে তীব্র আওয়াজ তুলে আগে বাড়ল জোড়া অডি

‘আসছে ওরা, রানা!’ ভীষণ ভাবনায় মুষড়ে পড়ল সেলেনা।

‘আসতে দাও!’ রিয়ার-ভিউ মিররে তাকিয়ে চোয়াল শক্ত হলো রানার। ‘রেস যেহেতু খেলতেই চাইছে, হাড্ডাহাড্ডি একটা লড়াই-ই উপহার দিচ্ছি ওদের।’

অ্যাকসেলারেটর পেডাল চাপল রানা। ইঞ্জিনের গর্জন তুলে রওনা হয়ে গেল ধূসর মার্সিডিস। পিছনে অসহায়ভাবে মুঠো ঝাঁকাচ্ছে কুপিত ফরাসি পেটুক।

গতির তাড়নায় সিটের সঙ্গে পিঠ সেঁটে গেছে সেলেনার। ঝাপসা হয়ে এসেছে দু’পাশের দালান আর পার্কিং এরিয়ায় দাঁড়ানো গাড়িগুলো।

অডি দুটোও পিছিয়ে থাকবে কেন?

এই বার শুরু হলো সেয়ানে সেয়ানে টক্কর!

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *