ঘরের লোকটা ঠকাচ্ছে, প্রতিদিন,
পাশের বাড়ির লোক এমনকী দূরের বাড়ির লোকও ঠকায়
ঠকানো জলের মতো সোজা তোকে।
নরম গলায় যেই না কথা বললো কেউ,
কাঁধে নরম একটা হাত রাখলো,
বুকে বা চুলে আঙুল চালালো,
ঠোঁটের সর্বনাশ করে চুমু খেল, অমনি তুই
প্রেম ভেবে নেচে উঠিস।
হাতে রাখতে তোকে কিছু খেতে পরতে দেয়,
নাকে নোলক দেয়, পায়ে নূপুর দেয়,
নরক দেয়,
গর্ভ উপচে দেয়, গর্ব দেয়,
বংশের বাতি দেয়, লাথি দেয়,
একে ভালোবাসা ভেবে পুলক হয় তোর,
যা আছে সব দিয়ে থুয়ে নিঃস্ব হয়ে যাস।
ঘর থেকে বেরোলেও ওই একই গল্প
এক শরীর মাংস তুই, এক মাথা আবর্জনা,
তোকে বধু করে, বোন করে, তোকে মা করে, মেয়ে করে
আগলে আগলে রাখতে হয়, না হলে পচে যাবি
না হলে মরণ হবে।
তোর তো আসল মরণ এভাবেই ,
যেভাবে বেঁচে আছিস!
অস্তিত্বের অস্থিমজ্জা খুইয়ে,
ব্যক্তি নেই, অভিব্যক্তি নেই, মুর্খলোকে বাস,
লোকের তুই দাসানুদাস!
কে বলে তুই কিছু না,
স্তন তুই,
যোনী তুই,
জরায়ু তুই,
এই বর্ণময় অর্থময় জগতে এক জীবন পরাজয় তুই।
তোকে ততদিন আমি এভাবে ধিককার দেব
যতদিন ঠকতে থাকবি,
যতদিন মাথা নুয়ে থাকবি,
যতদিন কেঁচো হয়ে থাকবি,
যতদিন চোখের জল ফেলবি।
ততদিন ধিককার আমি দিতেই থাকবো
যতদিন কেড়ে না নিবি ,
যতদিন রুখে না উঠবি,
যতদিন লাথির বদলে লাথি না দিবি,
যতদিন মানুষ না হবি।