লেজ
বাসা বদলানোর পর বদ্যিনাথ কিছু ফাঁপরে পড়ে গেল। যে বাড়িতে এল সে-বাড়ি না হোক তো এক দেড়শ’ বছরের পুরোনো। নতুন চুনকাম করা সত্ত্বেও নোনাধরা দেওয়ালের চুনবালি খসে পড়ছে, গত বর্ষার জলের ছাপ এখনো দেয়াল থেকে মোছেনি। তার ওপর বড্ড ঘুপচি আর অন্ধকার, আলো বাতাসের বালাই নেই। চারদিকে সব সময়ে একটা ভেজা-ভেজা ভাব। দেয়াল আর মেঝেয় হরেক রকমের ফাটল। তাতে কাকড়াবিছে তেঁতুলবিছের আস্তানা, এখানে-সেখানে উইয়ের সুড়ঙ্গ পথ, আরশোলা ফরফর করে ঘুরে বেড়াচ্ছে সারা দিন, লুকনো গর্ত থেকে মাঝে মাঝে একটা ব্যাঙ ডাকে। বদ্যিনাথের নব্বই বছরের বুড়ি-মা দিন রাত ঘ্যানঘ্যান করছেন, “এ কী সোঁদরবন বাবা? কোন্ জীবজন্তুটা নেই এখানে? ঠাকুরঘরে বাদুড় পর্যন্ত ঝুলে আছে।”
“শুধু বাদুড়?” বদ্যিনাথের গিন্নি ঘোমটা খসিয়ে বলেন, “ভাড়ার ঘরের জল-নিকাশি ফুটো দিয়ে একটা লেজ বেরিয়ে যেতে দেখলুম। তা সে কিসের লেজ কে জানে!”
দীর্ঘশ্বাস ফেলে বদ্যিনাথের মা বলেন, “লেজের কথা আর বোলো না। লেজ আমি দিনরাত দেখছি। পরশু রাতে ঘুম ভেঙে মশারির গায়ে একটা কাঁটাওলা লেজ, গতকাল আহ্নিকে বসে ঠাকুরের সিংহাসনের নীচে একটা লোমওলা লেজ, আজ সকালে বাইরের ঘরের চৌকির তলায় একটা লিকলিকে লেজ, আমার নিজের চোখে দেখা। তবে জন্তুগুলোকে ঠাহর করতে পারিনি।”
বদ্যিনাথের ছেলে মল্লিনাথ ছেলেবেলা থেকেই ভারী রোগা-ভোগা। ফ্যাকাশে সরু চেহারা। তার হাতে-গলায় রাজ্যের মাদুলি আর শেকড় বাকড় বাঁধা। সে খেলে না, ছোটে না, দুষ্টুমি করে না। কাঁচকলা আর পেঁপের ঝোল দিয়ে ভাত খায় আর চুপ করে শুয়ে বসে থাকে। রোগে ভোগে বলে তার ঠাকুমা সবাইকে সাফ বলে দিয়েছেন, “বংশের ঐ একটি মাত্র সলতে। লেখাপড়ার ধকল যদি রোগা শরীরে না সয়? নাতি আমার বেঁচে থাক, লেখাপড়ার দরকার নেই।”
তাই মল্লিনাথ ইস্কুলে-পাঠশালেও যায় না। ঘরে বসে খুশিমতো একটু আধটু পড়ে। কথাবার্তা বড় একটা বলে না কারো সঙ্গে। মা বা ঠাকুমার আঁচলের আড়ালে সে বড় হয়। মা-ঠাকুমার কথা শুনে মল্লিনাথও চিচি করে বলল, “লেজ? লেজ তো আমিও দেখি। আমার পড়ার টেবিলের ড্রয়ার থেকে মাঝে মাঝে একটা সবুজ রঙের ভারী সুন্দর লেজ বেরিয়ে ঝুলে থাকে।”
“কী সর্বনাশ!” মা ঠাকুমা একসঙ্গে চেঁচিয়ে ওঠেন।
বদ্যিনাথ গরিব মানুষ হলেও রোজ ছেলের জন্য খেলনা আনে, খাবার আনে। কিন্তু ছেলের মুখে হাসি ফোটে না, চোখে মড়ার দৃষ্টি জ্যান্ত হয় না। বদ্যিনাথ বল কিনে এনে হাতে দেয়, খেলনা-বন্দুক দেয়, লাটু দেয়, ঘুড়ি লাটাই দেয়, বলে, “কী বাবা, একটু আনন্দ পাচ্ছ? এই দ্যাখো বল, এমনি করে পায়ে নিয়ে ছুটবে। দুম করে লাথি কষাবে, কেমন আনন্দ হবে দেখো।..ঘুড়ি কেমন শো করে আকাশে ওড়ে, না বাবা? দেখেছ তো! তেমনি ওড়াবে ছাদে উঠে, দেখবে বুকখানা ভারী হালকা হবে, ফুর্তি হবে খুব। বন্দুক দিয়ে রোজ টিপ করবে। কত আরশোলা, হঁদুর, চামচিকে চারদিকে দেখছ তো!…টিপ করে করে মারতে মারতে দেখো রক্ত গরম হয়ে উঠবে।…এই দ্যাখো লাটু, কেমন বনবন ঘোরে জানো?”
কিন্তু খেলনা পড়ে থাকে, খাবারও ছোঁয় না মল্লিনাথ। মাদুলির ভারে কুঁজো হয়ে চুপ করে ফ্যাকাশে মুখে বসে থাকে। তার রক্ত গরম হয় না, আনন্দ হয় না, ফুর্তি হয় না। বদ্যিনাথ তার সামনে বল খেলে দেখায়, ঘুড়ি উড়িয়ে দেখায়, লাটু ঘুরিয়ে দেখায়, দেখাতে দেখাতে হাঁফিয়ে ওঠে, নেতিয়ে পড়ে, চিড়বিড়োতে থাকে।
নতুন বাসায় এসে মল্লিনাথ আরো ফ্যাকাশে হয়েছে, আরো রোগা, আরো ন্যাতানো। মা, ঠাকুমা বার-বার তার দিকে তাকিয়ে সারা দিন দীর্ঘশ্বাস ছাড়ছেন। ছেলে বাঁচলে হয়! তাই সবুজ লেজের কথা শুনে সবাই আঁতকে উঠল। টেবিল ঝাড়পোঁছ করা তো হলোই, সারা বাড়িতে ছড়ানো হলো কড়া কীটনাশক। এক তান্ত্রিক এসে প্রায় বিশ গ্রাম ওজনের আর-একটা তাবিজ বেঁধে দিয়ে গেল গলায়। মল্লিনাথ আরো একটু কুঁজো হয়ে গেল তার ভারে। তা বলে সবুজ লেজটা কিন্তু তাকে ছাড়ল না। তাবিজ নেওয়ার পরদিন সকালে পড়ার টেবিলে বসে সে ‘গুপ্তধনের খোঁজে’ নামে একটা গল্পের বই পড়ছিল। কনুইতে সুড়সুড়ি লাগায় সে তাকিয়ে দেখল সামান্য ফাঁক হয়ে থাকা ড্রয়ার থেকে সেই কচি কলাপাতা রঙের সুন্দর সবুজ সরু লেজটা বেরিয়ে এসে খুব আদুরে-আদুরে ভাব দেখিয়ে নড়াচড়া করছে। মল্লিনাথ যে ভয় পেল তা নয়। সে চিরকাল কলকাতায় মানুষ। এই প্রায় দশ বছর পর্যন্ত সে একমাত্র চিড়িয়াখানায় ছাড়া আর কোথাও তেমন কোনো জীবজন্তু দেখেনি। লেজটা দেখে তাই তার ভারী অবাক লাগে। ভারী সুন্দর দেখতে, হাত দিতে ইচ্ছে করে। একটু ভয়ে-ভয়ে, সংকোচের সঙ্গে মল্লিনাথ হাত বাড়িয়ে লেজটা একটু ছুঁয়ে দিল। সুট করে সরে গেল লেজটা। পরদিন আবার বেরিয়ে এসে সুড়সুড়ি দিল হাতে। মল্লিনাথ আবার একটু ছুঁল। আর এইভাবেই রোজ সেই সবুজ লেজটার সঙ্গে তার দেখা হতে থাকে। একটু-একটু করে ভাব হতে থাকে। মল্লিনাথের ভারী ভাল লাগে লেজটাকে। একদিন ড্রয়ারটা একটু বেশি ফাঁক করে রাখল সে। লেজটা বেরিয়ে আসতেই উঁকি মেরে দেখল ভিতরে একটা বেশ লম্বা গড়নের সাপের মতো দেখতে প্রাণী কুণ্ডলী পাকিয়ে ঝিমোচ্ছে। পরদিন ড্রয়ারটা আরো ফাঁক করল মল্লিনাথ, সকালবেলা যথারীতি আবার লেজটার সঙ্গে ভাব করতে করতে প্রাণীটিকে দেখল আড়চোখে। ছোটখাটো একটা আমুদে সাপই হবে। অলসভাবে শুয়ে শুয়ে একটা আরশোলা চিবোচ্ছে।
পরদিন মল্লিনাথের ধৈর্য থাকল না। লেজটা বেরোতেই ড্রয়ারটা এক ঝটকায় খুলে ফেলল। লেজটা ধরল মুঠো করে। করুণ স্বরে বলল, “আমার যে আর কোনো বন্ধু নেই।”
সাপটা মল্লিনাথের এই আচরণে ভারী বিরক্ত হয়ে কিলবিলিয়ে পিছলে বেরিয়ে গেল। সড়ত করে ড্রয়ার থেকে নেমে প্রাণপণে ছুটল ভেতর বাড়ির দিকে। মল্লিনাথও লাফিয়ে ওঠে। তার একমাত্র বন্ধু, ভাবের পাত্র পালিয়ে যাচ্ছে। প্রাণপণে মল্লিনাথও তার পিছনে ছোটে।
সবুজ সাপটা ভারী চালাক। সোজা পথে না গিয়ে সে খানিকক্ষণ এ-ঘর সে-ঘর করে পালিয়ে বেড়ায়। আলমারির তলা, খাটেল তলা, জুতোর র্যাকের পিছন, চৌকাঠের আড়ালে ঘুরে অবশেষে উঠোন পেরিয়ে গিয়ে ভাড়ার-ঘরের পিছনে একটা ঘুপসি ছুঁটে-কয়লা রাখার ঘরে গিয়ে ঢুকল। ঘরের কোণে একটা মস্ত গর্তে সেঁধিয়ে গেল সুট করে।
মল্লিনাথ তা বলে হাল ছাড়ল না। গর্তের কাছে গিয়ে প্রথমে অনেক কাকুতি মিনতি করল। কাজ হলো না দেখে একটা লোহার শাবল এনে গর্ত বড় করতে বসল। মল্লিনাথের গায়ে জোর নেই, মাদুলির ভারেই সে জর্জরিত। কিন্তু বন্ধু হারিয়ে যাওয়ার শোকে তার গায়ে দ্বিগুণ বল এল। তাবিজ কবচ মাদুলির জন্য শাবল চালাতে অসুবিধে হচ্ছিল বলে এক-এক টান মেরে ছিঁড়ে ফেলে দিল সেগুলো। ভারী শাবলটা প্রাণপণে চালাতে লাগল।
হাত দেড়েক গর্ত খোঁড়ার পরই সে একটা ভুসভুসে ইটের গাঁথনি পেল। শাবলের দুটো চাড়ে উপড়ে ফেলল ইট। দেখল ঘরের নীচে আর একটা গুপ্ত কুঠুরি রয়েছে। ঘুটঘুট্টি অন্ধকার। গর্তে মুখ দিয়ে মল্লিনাথ ডাকে, “এসো ভাই সবুজ লেজ, আমার যে তুমি ছাড়া বন্ধু নেই। আমি যে ইস্কুলে যাই না, কারো সঙ্গে ভাব করতে পারি না, সবাই যে আমাকে খ্যাপায়।”
কিন্তু সবুজ লেজ আর বেরোয় না। মল্লিনাথ একটা টর্চ নিয়ে এসে গর্তের মধ্যে লাফিয়ে নেমে পড়ল।
চোর-কুঠুরিতে টর্চের আলো ফেলে সে দেখল, চারদিকে তিন-চারটে লোহা আর কাঠের সিন্দুক। অনেক রুপোর আর সোনার বাসন রয়েছে দেয়াল আলমারিতে। কিন্তু সেসব গ্রাহ্যও করল না মল্লিনাথ। আঁতি পাঁতি করে খুঁজতে লাগল তার বন্ধুকে। সিন্দুক শাবলের চাড়ে খুলে ফেলে দেখল, রাশি রাশি সোনা আর রুপোর মোহর আর টাকা, হিরে জহরত, গয়না, সোনার বাঁট। সব হাঁটকে-মাটকে সে সবুজ লেজকে খুঁজতে থাকে। কিন্তু কোথাও পায় না। পায় না তো পায় না।
ক্লান্ত হয়ে সে একসময় শাবল আর টর্চ ফেলে দিয়ে হাঁটুতে মাথা রেখে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদল অনেকক্ষণ। তারপর খুব রেগে গিয়ে বলল, “ঠিক আছে, আমিও মজা দেখাচ্ছি। আজ থেকেই আমি অন্য সব ছেলের সঙ্গে মিশব। তাদের সঙ্গে ভাব করব, খেলব। তখন দেখো তোমার হিংসে হয় কি না।”
এই বলে মল্লিনাথ কুঠুরির বাইরে বেরিয়ে আসে। গর্তের মুখ ভাল করে ইট আর মাটি দিয়ে বুজিয়ে দেয়। তার চোখে জল, মুখ থমথম করছে অভিমানে।
দুম দুম করে পা ফেলে হেঁটে সে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়ে। পাড়ার ছেলেরা গলির মুখ আটকে ইট সাজিয়ে রবারের বলে ক্রিকেট খেলছিল। মল্লিনাথ গিয়ে বল কেড়ে নিল একটা ছেলের হাত থেকে। তারপর দৌড়ে গিয়ে এমন জোরে বল করল যে, ইটের স্ট্যাম্প পর্যন্ত তিন হাত ছিটকে গিয়ে ভেঙে পড়ল। ছেলেরা মল্লিনাথের এলেম দেখে খ্যাপাতে ভুলে গেল। ওস্তাদ ওস্তাদ’ বলে চেঁচাল কয়েকটা ছেলে। মল্লিনাথ পরের বলটা করল আরো ভয়ংকর। বলটাই ফেটে গেল ফটাস করে। যার বল, সে ভ্যাঁ করে কেঁদে ফেলল।
মল্লিনাথ কঁদুনে ছেলেটার পিঠ চাপড়ে দিয়ে বলল, “কুছ পরোয়া নেই। আমার বল ব্যাট অনেক আছে। আনছি।” বলে দৌড়ে গিয়ে মল্লিনাথ ব্যাট বল আনে। খেলা আবার জমে ওঠে।
মল্লিনাথ ব্যাটও করল অসাধারণ। রাগে গা রি-রি করছে। তাই এত জোরে ব্যাট চালাল যে, মার খেয়ে তিনতলা চারতলা পাঁচতলা বাড়ির ছাদ ডিঙিয়ে বল গিয়ে ওভার বাউন্ডারি হতে লাগল। তার খেলা দেখে সবাই থ।
অনেকক্ষণ খেলে ঘেমে চুমে মল্লিনাথ যখন বাসায় ফিরল, তখন তার রাগ অনেকটা কমেছে, মুখে হাসি ফুটেছে, চোখে মড়ার দৃষ্টি খুব জ্যান্ত হয়ে উঠেছে। সেই দৃশ্য দেখে তার মা আর ঠাকুমা ভয় খেয়ে কেঁদে খুন। “ওগো, কে আমাদের বাছাকে ওষুধ করেছে?”
শুনে মিটিমিটি হাসল মল্লিনাথ। ছাদে গিয়ে সে অনেকক্ষণ ঘুড়ি ওড়াল, বন্দুক টিপ করে তিনটে কঁকড়াবিছে ঘায়েল করল, বনবন করে লার্টু ঘোরাল। বিকেলে পাড়ার কাছে মাঠে গিয়ে ছেলেদের সঙ্গে ফুটবল খেলে তিন-তিনটে গোলও দিয়ে দিল মল্লিনাথ। সন্ধ্যেবেলা বদ্যিনাথ বাড়ি ফিরলে সে গিয়ে গম্ভীর মুখে বলল, “বাবা, আমাকে ইস্কুলে ভর্তি করে দাও! আমার অনেক বন্ধু চাই।”
শুনে বদ্যিনাথের ভিরমি খাওয়ার জোগাড়। মল্লি ইস্কুলে যাবে? যেতে আসতেই হাঁফ ধরে যাবে ছেলের!
ওদিকে মল্লিনাথের কাণ্ড দেখে মা আর ঠাকুমা শোবার ঘরে দরজা বন্ধ করে বসে চেঁচাচ্ছেন আর কাঁদছেন। তাদের ধারণা মল্লি পাগল হয়ে গেছে, এবার হয়তো কামড়ে দেবে। বাড়ির চাকর তান্ত্রিককে ডাকতে গেছে।
বদ্যিনাথও মূৰ্ছাই যাচ্ছিল। মল্লিনাথই তাকে জল-টল দিয়ে চাঙ্গা করল। বলল, “সবুজ লেজটা আমার সঙ্গে খুব বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওকে আমি মজা দেখাব।”
বদ্যিনাথ হাঁ করে চেয়ে থাকে। কিছু বুঝতে পারে না।
তখন মল্লিনাথ ঘটনাটা খুলে বলে তার বাবাকে নিয়ে গিয়ে গর্ত দেখায়। মাটি ফের খুঁড়ে দুজনে মিলে চোর-কুঠুরিতেও নামে। সব দেখিয়ে মল্লিনাথ বদ্যিনাথকে বলে, “দেখলে তো সবুজ বন্ধুর জন্য খামোখা কত খেটেছি।”
বদ্যিনাথ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলে, “তা বটে।”
মল্লিনাথ একমুঠো হিরে তুলে নিয়ে রাগের চোটে মেঝেয় ছুঁড়ে মেরে বলে, “ওকে মজা দেখাব। অনেক বন্ধু হবে আমার, তখন বুঝবে।”
“ঠিক, ঠিক।” বদ্যিনাথ হাসিমুখে বলে। তারপর বাপ-ব্যাটায় উঠে এসে গর্ত বুজিয়ে ফেলে। পরদিন রাজমিস্ত্রি এনে জায়গাটায় পাকা গাঁথনি দিয়ে দেয়।
এরপর থেকে মল্লিনাথ ক্রমে ক্রমে ভারী জলজ্যান্ত হয়ে ওঠে। যেমন লেখাপড়ায় তেমনি খেলাধূলায়।
চোর কুঠুরির কথা বাপ-ব্যাটা আর মুখেও আনে না।