৭
হুতি-তুতসি সমস্যা মিটে যাবার পর আমরা বুরুন্ডিতে সবাই শান্তিতে আছি। রোয়ান্ডা, উগান্ডা, কংগোতে যে ঝামেলা আছে তা বুরুন্ডিতে নেই। কিন্তু দুতিন বছর যাবত আমাদের স্থিতিশীলতা সংকটে পড়েছে। উদ্বেগজনক কিছু ঝামেলা বেড়েই চলেছে–এই কথাগুলো বলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে তার আনুষ্ঠানিক স্টেটমেন্টে। প্রধানমন্ত্রী এই টেমেন্ট দেয়ার পর স্বরাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয়ের উপর চাপ বেড়েছে। আমরা চাপ দিচ্ছি পুলিশের উপর। পুলিশ সামনে এগোতে পারছে না। তাদের হাতে কোনো কু নেই। কয়েকটা ঘটনার পর আবিউলা আমাদির সর্বশেম ঘটনা আমাদের। অবস্থানের ভিত্তি নাড়িয়ে দিয়েছে। দিন-দুপুরে সে কোথায় কীভাবে গুম হলো! পুলিশ, গোয়েন্দারা কিছু দেখল না, জানল না কেন? অনেকের দেখা সেই পাঁচজন কিডন্যাপার কোথায়? পুলিশ তাদের হদি করতে পারছে না কেন? –এই সব প্রশ্ন আজ পার্লামেন্ট সদস্যদের মুখে মুখে। আমার মন্ত্রণালয় সত্যিই নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এই কারণে গভীর রাতে আপনাদের কাছে ছুটে এসেছি! গোটা দেশে আপনাদের নেটওয়ার্ক তো বিশাল। আপনাদের কাছে আমি সাহায্য চাই।
কথা বলছিল মুতাবাজি শিংগিরু, বুরুন্ডির স্বরাষ্ট্র ও জননিরাপত্তা মন্ত্রী।
তার সামনে বসেছিল মধ্য আফ্রিকা অঞ্চলের চার্চ আন্দোলনের নেতা বাতিস্তা সান্ড্রি এবং পোপ ভিক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্টিফেন ফোবিয়ান।
এ মিটিং-এর হোস্ট চার্চ আন্দোলনের নেতা বাতিস্তা সান্ড্রি। বাতিস্তা মধ্যআফ্রিকা অঞ্চলের কাউন্সিল অব ক্যাথলিক চার্চের সভাপতি। বুজুমবুরায় অবস্থিত তার অফিসেই বৈঠক বসেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুতাবাজি শিংগিরুর অনুরোধেই এই বৈঠকে বসতে সম্মত হয়েছে বাতিস্তা সান্ড্রি এবং স্টিফেন ফোবিয়ান। চার্চ কাউন্সিল অফিসে বৈঠক হবে, এই শর্তেই তারা রাজি হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বসতে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থামলে ভিক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্টিফেন ফোবিয়ান বলল, কিন্তু আমরা কীভাবে সাহায্য করব আমি বুঝতে পারছি না। সন্ত্রাসীরা সব সময় চার্চ বা ধর্মালয় থেকে দূরে থাকে।
তা ঠিক। আমি আপনাদের সাহায্য চেয়েছি দুই কারণে। এক. কিছু সন্ত্রাসের ঘটনা ঘটেছে, তার সাথে হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, নয় তো বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস অথবা দুই-ই জড়িত। এ সব ক্ষেত্রে যথাযথ তদন্ত ও পদক্ষেপ পুলিশ নিয়েছে কিনা, তা আপনারা ভালো বলতে পারবেন। যেহেতু ক্রিমিনালরা ধরা পড়েনি, এজন্যে অধিকতর তদন্ত দরকার আছে কিনা, এ বিষয়ে আপনার মূল্যবান পরামর্শ দিতে পারেন। সংসদ সদস্যের অনেকের তরফ থেকে সবগুলো হত্যা, গুম ও সন্ত্রাসী ঘটনার বিস্তারিত পুনঃতদন্ত দাবি করা হচ্ছে। দ্বিতীয় যে কারণে আপনাদের সাহায্য আমাদের জন্যে মূল্যবান হতে পারে সেটা হলো, দেশজুড়ে আপনাদের নেটওয়ার্ক আছে, তারা অনেক খবর দিতে পারে, সংগ্রহ করতে পারে। সুতরাং দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার ক্ষেত্রে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করার ব্যাপারে আপনারা আমাদের মূল্যবান সাহায্য করতে পারেন। বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুতাবাজি শিংগিরু।
ধন্যবাদ মাননীয় মন্ত্রী। পুলিশের তদন্ত নিয়ে আমাদের কোনো প্রশ্ন নেই। অতিসম্প্রতি চারটি ঘটনা ঘটেছে যার সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম জড়িত হয়ে পড়েছে। একটি আমাদের ছাত্র হেনরি বুফোর্ট ও সারা সুশানের হত্যার ঘটনা। আমরা মনে করেছি তাদের হত্যাকাণ্ডের সাথে বাইরের সন্ত্রাসী গ্রুপ এম-২৩ জড়িত। এটা তারা দাবিও করেছে। তাদের দাবি ঠিক এটা যদিও প্রমাণিত হয়নি। দ্বিতীয়, অ্যাডাম আব্রাহামের বাড়িতে সন্ত্রাস ও ডাকাতির ঘটনা। এটা তাদের পারিবারিক বা আঞ্চলিক বিরোধের কারণে হতে পারে। কিন্তু তারা কোনো কাউকে সন্দেহ করতে পারেনি। তৃতীয়, বুরুন্ডি ইসলামী মিশনের তিনজন মোবাল্লেগ এক সাথে নিখোঁজ হবার গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। এ ঘটনার আগে মোবাল্লেগ তিনজন যখন একসাথে বের হয়ে যায়, তখন সেখানে নাকি ভিক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের গাড়ি দেখা গেছে। কিন্তু এই গাড়ি দেখা যাওয়া কোনো দলিল নয়। সেখানে নিশ্চয় তখন আরো গাড়ি দেখা গেছে। এমন অভিযোগ তোলা কাণ্ডজ্ঞানহীনতা। আর চতুর্থ হলো, সদ্য সংঘটিত আবিউলা আমাদি নিখোঁজ হবার ঘটনা। এই ঘটনা পুলিশকে বলেছি এবং আমরাও চেষ্টা করছি তার হদিস করা ও উদ্ধারের জন্যে। আমাদের মনে হয় তারা ভাড়াটে হয়ে কাজ করেছে। কে ভাড়া করতে পারে এটা একটা বড় প্রশ্ন। তার পারিবারিক কোনো বিষয় যদি এর সাথে জড়িত না থাকে তবে বাইরের কোনো গ্রুপের সম্পৃক্ততার বিষয়ে অনুসন্ধান হওয়া উচিত। হেনরি বুফোর্ট ও সারা সুসানের ক্ষেত্রে যদি বাইরের গ্রুপের জড়িত থাকা সত্য হয়, তাহলে তিনজন মোবাল্লেগ ও আবিউলার ক্ষেত্রেও তা ঘটতে পারে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দীর্ঘ বক্তব্যের জবাবে দীর্ঘ একটা বক্তব্য দিয়ে থামল ভিক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি স্টিফেন ফোবিয়ান।
বাইরের কোনো গ্রুপ বুরুন্ডির ব্যাপারে কখনো আগ্রহ দেখায়নি। এখন হঠাৎ তারা বুরুন্ডিতে নাক গলাবে কেন? বলল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুতাবাজি শিংগিরু।
গভীর অনুসন্ধানের ব্যাপার এ বিষয়টি। তবে চারদিকের অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, রাজনৈতিক গ্রুপগুলো নানারকম চাপে পড়ে রাজনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বেশি জড়িয়ে পড়েছে। তারা এখন চাঁদাবাজি ও ভাড়াখাটা কাজেও নেমে এসেছে। বুরুন্ডিতেও তাদের ভাড়া করার লোক থাকতে পারে। মধ্য আফ্রিকার প্রভাবশালী চার্চ নেতা বাতিস্তা সান্ড্রি বলল।
আপনার কথা খুবই যুক্তিযুক্ত মাননীয় নেতা। মি. স্টিফেনও এ কথাই বলেছেন। সামনে এ বিয়টিকে আমরা খুবই গুরুত্ব দেব। তবে সমস্যা হলো, গ্রুপ তো একটি দুটি নয়, ডজন ডজন গ্রুপ এক পূর্ব কংগোতেই কাজ করছে।
একটু থামল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বলল সংগে সংগেই আবার, আপনাদের লোকদের সুনির্দিষ্ট সহযোগিতা আমাদের দরকার। এ ব্যাপারে আপনারা কিছু বলেননি।
বাতিস্তা সান্ড্রি মুখ তুলল। বলল, সরকার ও প্রশাসনের সাথে চার্চের সম্পর্ক সব জায়গাতেই ভালো। সব সময় চার্চ, সরকার ও প্রশাসনের সাহায্য নেয় এবং প্রশাসনকে সাহায্যও করে থাকে। এ ক্ষেত্রে সরকার ও প্রশাসন অবশ্যই আমাদের সাহায্য পাবে। সবাইকে সব জায়গায় আমরা এ বিষয়টা বলে দেব।
ধন্যবাদ আপনাদের। আপনারা অনেক মূল্যবান পরামর্শ দিয়েছেন এবং সহযোগিতারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, আমি খুবই খুশি আমার তরফ থেকে এ আশ্বাস দিচ্ছি যে, আমরা চার্চকে সব সময় যেকোনো সাহায্য দিতে প্রস্তুত। বলে উঠে দাঁড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
হাত বাড়াল হ্যান্ডশেক করার জন্যে।
বাতিস্তা সান্ড্রি এবং স্টিফেন ফোবিয়ান গাড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দিল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মুতাবাজি শিংগিরুকে।
.
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের কথা ভালোই হয়েছে। কি বলেন? সোফায় বসতে বসতে বলল বাতিস্তা সান্দ্রি।
আমাদের কথা ভালোই হয়েছে। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে খুব ভীত ও অসহায় মনে হলো। মনে হচ্ছে, এ অবস্থা আরো কিছু দিন চললে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তার পদ হারাতে পারেন আবার সরকারের পতন ঘটতে পারে।
বলল স্টিফেন ফোবিয়ান, ভিক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি।
আমরা তো সেটাই চাই মি. স্টিফেন। সরকার নড়বড়ে হলে, সরকারের পতন ঘটলে এবং রাজনীতি অস্থিতিশীল হয়ে পড়লে আমাদের শক্তি ও সুযোগ দুইই বাড়বে। যখন রাজনীতি আমাদের মুখাপেক্ষী হয়, আমরা তখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারি। অতএব তার দুঃশ্চিন্তা আমাদের জন্যে খুশির খবর। খ্রিস্টান নেতা বাতিস্তা সান্ড্রি বলল।
ঠিক বলেছেন, আমরা এটাই চাই। দেশের অস্থিতিশীল রাজনীতি আমাদের সামনে এগোবার একটা বড় বাহন। বলল ভিসি স্টিফেন ফোবিয়ান।
আমাদের প্রভু যিশু সহায় হোন। এবার আজকের হিসেব-নিকেষে আসুন মি. স্টিফেন। বলল বাতিস্তা সান্দ্রি।
দুটি লাভ আজ আমাদের হয়েছে। এক, তারা কি চিন্তা করছে, কি করতে যাচ্ছে, এটা আমরা ভালোভাবে জানতে পারলাম। দুই. বুজুমবুরা ও বুরুন্ডির ঘটনায় বাইরের সন্ত্রাসী গ্রুপ জড়িত আছে কিংবা জড়িত থাকতে পারে এ বিষয়টি তার মাথায় ভালো ভাবেই ঢোকানো গেছে। খুবই প্রয়োজন ছিল এটা আমাদের জন্যে। বলল স্টিফেন ফোবিয়ান।
আপনি ঠিকই বলেছেন, এ দুটি মূল্যবান লাভ আমাদের হয়েছে। তবে তার কথার মধ্যে শংকার কথাও আছে। পার্লামেন্ট সরব হওয়া এবং বৃহত্তর তদন্তের দাবি ওঠার মধ্যে আমাদের জন্যে বিপদের বার্তাও আছে। সুতরাং আমাদের সাবধান হতে হবে। আমি মনে করি, আজকের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে কোনো ঘটনা ঘটতে দেয়া যাবে না। এমনকি বুজুমবুরাতেও যেন না ঘটে সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। চার্চ আন্দোলনের মধ্যআফ্রিকা অঞ্চলের নেতা বাতিস্থা সাক্রি বলল।
তাহলে প্রতিভা ও অ্যাকটিভিট হান্টিং প্রোগামে আমরা কি কিছুটা ঢিল দেব? বলল স্টিফেন ফোবিয়ান।
আমার কথার অর্থ তা নয় মি. স্টিফেন! আমি তো মনে করছি, আমাদের এই প্রোগ্রাম আরো জোরদার করতে হবে। শত্রুদের মধ্যে রাজনৈতিক, সামাজিক ও ধর্মীয় অ্যাক্টিভিস্ট-এর দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে হবে এবং আমাদের সংখ্যা দ্রুত শত শতভাগে উন্নীত করতে হবে। বাতিস্তা সান্ডী বলল।
তাহলে তো আমরা যা করছি, তার বিকল্প নেই। তবে আপনি যেভাবে বলেছেন, সেভাবে আমাদের সাবধান হতে হবে। আমাদের পরিকল্পিত সব ঘটনা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস এবং বুজুমবুরাকে অবশ্যই আমরা মুক্ত রাখব।
টেলিফোন বেজে উঠল ভিসি স্টিফেন ফোবিয়ানের।
এক্সকিউজ মি বলে টেলিফোন রুল স্টিফেন ফোবিয়ান।
ওপারের কথা শুনে ভ্রুকুঞ্চিত হলো স্টিফেন ফোবিয়ানেব। কথা শোনা শেষ করে বলল, কিছু পরে টেলিফোন করে আমি তোমাদের জানাব।
বলে কল অফ করে দিয়ে তাকাল বাতিস্তা সান্ড্রির দিকে। বলল, ওরা অসুবিধায় পড়েছে আবিউলা আমাদিকে নিয়ে। যেখানে রাখা হয়েছে ঐ এলাকায় চিরনি অভিযান শুরু হতে পারে যেকোনো সময় আবিউলা অমাদির সন্ধানে। এখন কি করণীয় তা জানতে চেয়েছে ওখানকার আমাদের লোকরা।
আপনি কি ভাবছেন? বলল চার্চ আন্দোলনের একজন শীর্ষ নেতা বাতিস্তা সান্দ্রি।
আমি মনে করছি, এই মুহূর্তেই আবিউলাকে বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের শেডযুক্ত কাঁচের গাড়িতে করে লেক ট্যাঙ্গানিকার উত্তর মাথার একটু দক্ষিণে কংগোর সীমানার ওপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোডাউনে সরিয়ে নিতে হবে। স্টিফেন ফোবিয়ান বলল।
ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখনি নির্দেশ দিন। আর তাকে নিয়ে সময়ক্ষেপণ করছেন কেন? বলল বাতিস্তা সান্ড্রি।
বিজ্ঞানের কিছু জিনিস তার কাছ থেকে বের করে নেয়ার জন্যেই কিছুটা সময় নেয়া হয়েছে। সে কাজ শেষ। এখন গোডাউনে নিয়েই তার ভার থেকে আমরা মুক্ত হবো। স্টিফেন ফোবিয়ান বলল।
ধন্যবাদ মি. স্টিফেন। বলল বাতিস্তা সান্ড্রি।
ওয়েলকাম, আমি এখন উঠছি। স্টিফেন ফোবিয়ান বলল। বিদায় নিল ভিসি স্টিফেন ফোবিয়ান।
স্টিফেন ফোবিয়ানের গাড়ি বেরিয়ে গেল কাউন্সিল অব চার্চের অফিস থেকে।
গাড়ির সিটে গা এলিয়ে দেয়া স্টিফেন ফোবিয়ানের মুখে হাসি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মিটিং-এ আসার সময় সে ছিল গম্ভীর, কিছুটা চিন্তিতও।
.
আহমদ মুসার গাড়ি সোমবাওয়াংগা থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে বুরুন্ডির লাগোয়া তানজানিয়ার সীমান্ত শহর কাসুলু থেকে অ্যাবউট টার্নের মতো লেফট টার্ন নিয়ে লেক ট্যাঙ্গানিকার তীরে কিগোমা ইউজিজির দিকে ছুটছে। ইউজিজি বহু স্মৃতি বিজড়িত ছোট্ট একটি প্রাচীন শহর। আহমদ মুসা বুরুন্ডিতে প্রবেশের আগে এই শহর ঘুরে যেতে চায়। নাদা ডেনিসা এখানকার জাঞ্জিবার ফেরত রিটায়ার্ড এক মুসলিম দম্পতির ঠিকানা দিয়েছে সেটাও আহমদ মুসার জন্যে একটা আকর্ষণ। নাদা তাদের সাথে ইতিমধ্যে যোগাযোগও করেছে বলে জানিয়েছে।
প্রায় জনবিরল রাস্তা। আহমদ মুসা সিটে হেলান দিয়ে দৃষ্টিটা সামনে প্রসারিত করেছে। তার চোখের সামনে কিগোমা, ইউজিজি কিন্তু তার মানসদৃষ্টিতে ভাসছে সংকট কবলিত বুজুমবুরার চিত্র।