লাল চুলের, ফর্সা, একমুঠো
বালিকা, তোর ঘাঘরা – ভরা ফুটো
দেখায় তোকে অকিঞ্চন অতি
এবং রূপবতী ।
স্বাস্থ্যহীন তরুন তনু তোর
ছুলির দাগে চোখে লাগায় ঘোর,
আমাকে দেয় মধুরতার ছবি –
আমি গরিব কবি ।
কাঠের জুতোর গরবে তোর, মানি,
লজ্জা পায় উপন্যাসের রানী ;
চলুন তিনি কিংখাবের জুতোয় ; –
ভঙ্গি তোকে জিতোয় ।
ন্যাকড়া – কানি ঢাকে না তোর লাজ ;
তার বদলে দরবারি এক সাজ
নিস্বনিত লম্বা ভাঁজে – ভাঁজে
পড়ুক পায়ের খাঁজে ;
রন্ধ্রময়, ছিন্ন মোজা জোড়া,
তার বদলে সোনার এক ছোরা
জঙ্ঘা তোর যেন মোহন রেখায়
লম্পটেরে দেখায়;
হালকা গেরো উন্মোচন করুক
দুটি চোখের মতো রে তোর বুক
দীপ্তিময় – লাবণ্যের চাপে
আমরা জ্বলি পাপে;
নির্বাসনের সময় বাহুযুগল
যেন অনেক আরজিতে হয় উতল,
ফিরিয়ে দিতে না যেন হয় ভুল
দুর্জনের আঙুল,
যত সনেট লিখে গেছেন বেলো,
বাছাই – করা মুক্তো ঝলোমলো,
বান্দারা তোর বন্দনাতে দান
দিক না অফুরান,
হতচ্ছাড়া কবির দল, খাতায়
নামটি তোর লিখুক প্রথম পাতায়,
কুড়িয়ে নিতে খুঁজুক ছলছুতো
সিঁড়ির চটিজুতো ;-
চটি তো নয়, কোমল এক নীড়,
তার লোভে যে বেয়ারাগুলোর ভিড়,
আড়ি পাতেন ওমরাহেরা নাচার,
এবং অনেক রঁসার !
ফুলের চেয়ে আরো অনেক বেশি
শয্যা তোর চুমোয় মেশামেশি,
তোর ক্ষমতার বিপুল পরিমানে
ভালোয়া হার মানে !
অবশ্য তুই এখন ভিখারিনী
ঐ যেখানে চলছে বিকিকিনি,
হাত বাড়িয়ে দাঁড়াস চৌকাঠে
শস্তা মালের হাটে ;
আহা রে তোর চক্ষু ভরে জ্বালায়
চোদ্দ আনা দামের মোতির মালায়,
সেটাও তোকে – মাপ করো গো মিতে –
পারি না আজ দিতে ।
তাহলে তুই এমনি চলে যা রে,
বিনা সাজে, গন্ধে, অলংকারে,
শীর্ণ দেহে নগ্নতাই শুধু
সাজাক তোকে বঁধু !