রোদন-প্রাচীর– ক্লাগে-মাত্তার

রোদন-প্রাচীর– ক্লাগে-মাত্তার

প্রাচীরটা যে প্রাচীন সেটা দেখামাত্রই বোঝা যায়। কত প্রাচীন, সেটা অবশ্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ঐতিহাসিক গবেষণা না করে বলতে যাওয়াটা অবিবেচকের কর্ম হবে। তবে এ নগরে যারা বাস করে তারা ছেলেবেলা থেকেই চতুর্দিকের এতসব প্রাচীন দিনের ভগ্নাবশেষ দেখে আসছে যে তাদের চোখ যেন বসে গেছে; আপন অজান্তেই অবচেতন মন জরাজীর্ণ পাষাণস্তূপের একটার সঙ্গে আরেকটা তুলনা করে করে যেন প্রাচীনত্ব নির্ণয়ের কতগুলো সাদামাটা কাঁচা-পাকা সূত্র নির্ণয় করে ফেলে। এমনকি যে বিদেশি প্রাচীন ভগ্নস্তূপ অতি অল্পই দেখেছে– যেমন ধরুন মামুলি মারকিন– সে পর্যন্ত এখানে কিছুদিন থাকার পর এটা-ওটার প্রাচীনত্ব সম্বন্ধে বেশকিছুটা ওয়াকিফহাল হয়ে যায় অবশ্য যদি গাইয়া মারকিনের মতো চোখে ফেটা কানে তুলো মেরে টুরিজম কর্ম না করে।

মোটা, দড়, ভারিক্তি প্রাচীর। প্রায় বিশ গজ উঁচু, অন্তত পঞ্চাশ-পঞ্চান্ন গজ লম্বা। রোদে জলে পাথরের চাই তার মসৃণতা হারিয়ে খোওয়া-খাওয়া হয়ে গিয়েছে কিন্তু পাথরে পাথরে যে জোড়া লাগানো আছে সেটা আজও যেন প্রথমদিনের মতো মোক্ষম। রঙ প্রায় কালো।

কিন্তু আশ্চর্য, এ প্রাচীর যে এখানে কী করতে আছে সেটা কিছুতেই অনুমান করতে পারলুম না। অন্য প্রাচীরের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে সে কোনও চত্বর বা বাড়ির বেষ্টনী নির্মাণ করেনি। শহরের মাঝখানে না হয়ে যদি ফাঁকা মাঠে এটা দেখতুম তবে হয়তো বলতুম, এটা চাঁদমারির (টারগেট শ্যুটিঙের) দেয়াল। এখানে এটার স্থাপত্যে যাকে বলে আরকিটেকচরল ফংশন কী?

একটি প্রৌঢ়া মহিলা– সর্বাঙ্গ লম্বা ভারী কালো জোব্বায় ঢাকা, মাথায় কপাল পর্যন্ত অবগুণ্ঠন, শুধু মুখের লালচে হলুদ রঙের আভা দূর থেকে দেখা যাচ্ছে এক হাত উপরে তুলে দেয়ালে রেখেছেন, দেয়ালে হেলান দিয়ে, মাথাটিও দেয়ালের উপর কাত করে রেখে যেন কোনও গতিকে দাঁড়িয়ে আছেন। খানিকটে এগিয়ে যেতে দেখি, তার দু চোখ দিয়ে অঝোরে জল ঝরছে, আর ঠোঁট দুটি অল্প অল্প কাঁপছে যেন, কেমন মনে হল, মন্ত্রোচ্চারণ করছেন। কোনও প্রিয়জনের স্মরণে? কিন্তু কই, কাছে-পিঠে কোথাও তো কোনও গোরস্তান নেই। আমি আর এগোলুম না। রোদ চড়তে আরম্ভ করেছে। বাঁ-দিকে মোড় নিয়ে হেরড গেটের কাছে ভারতীয় ধর্মশালার দিকে রওনা হলুম।

একটা ছোট বাজারের ভিতর দিয়ে যেতে হয়।

প্রায়ান্ধকার রাস্তা হাত ছয় চওড়া। দু-দিকে দোকানের সারি আর রাস্তার উপরটাও ঢাকা বলে মনে হয় গোধূলির অন্ধকার যেন নেমে আসছে। তবু ফলের দোকানে কী রঙের বাহার! সবচেয়ে চোখে পড়ে আমাদের কমলানেবুর তিনগুণ সাইজের জাফা অরেজ। মধুর মতো মিষ্টি রসে টইটম্বুর। দুপুরে একটা খেলে সে বেলা আর যেন অন্নে রুচি হয় না। দুটো খেলে গা বিড়োয়।

একটা কিউরিওর দোকান। টুকিটাকি অলঙ্কার, তাবিজ, তসবি, রেকাবি, গেলাস, তীর, ধনু, আরও কত কী! কোনওটা নাকি পাঁচশো, কোনওটা নাকি পাঁচ হাজার বছরের পুরনো। আমি অবশ্য জানতুম, এগুলোর ৯৯% কাইরোর কারখানায় তৈরি হয়। কোনও কোনওটাতে এস্তেক সরকারি ক্ষুদে সিলমারা আছে; সরকারি মিউজিয়াম গ্যারানটি দিচ্ছেন, এটা প্রাচীন দিনের কোনও পিরামিডে বা গোর খুঁড়ে পাওয়া গিয়েছে। বলে আর কী হবে, মাল যেমন জাল, সিলও তেমনি।

সামনে দাঁড়িয়ে সেই জরমন টুরিস্ট ছোকরা। পরশুদিন আমি এদেশে এসেছি– ছোকরা বেশ কয়েক সপ্তাহ হল। আলাপ হয়েছে কাল সকালে, খ্রিস্টের সমাধিসৌধে অর্থাৎ হোলি সেপাল্কর-এ। অবাক হয়ে বললুম, এ কী ভায়া, এসব যে বিলকুল ডাড়– জাল মাল।

একগাল হেসে বলল, আমার নোটও জাল।

একসঙ্গে বাড়ির দিকে রওনা হলাম।

খানিকক্ষণ পরে আমি সেই দেয়ালের ধারের মহিলাটির কথা পাড়লুম।

 বললে, সে তো ক্লাগে-মাত্তার।

জর্মন ভাষায় ক্লাগে অর্থ লেমেনটেশন অর্থাৎ বিলাপ : মাত্তার অর্থ প্রাচীর। বিলাপ করার প্রাচীর। আমি বললুম, খুলে বল।

পরম তাচ্ছিল্যভরে ঘোঁত করে উঠল, ইহুদিদের কী যেন একটা কী, আমার ও নিয়ে কোনও শিরঃপীড়া নেই। ওই যে, কে এক হিটলার, সে শিখেছে ইহুদিদের কাছ থেকে একটা মারাত্মক তত্ত্ব ইহুদিরাই এ পৃথিবীতে সর্বপ্রথম বলে তারা বিশ্বেশ্বর য়াহভের নির্বাচিত সর্বোকৃষ্ট জাতি–অন্যেরা বলত, অমর ঈশ্বরের নির্বাচিত প্রিয় জাতি আমরা। ওনারা বিশ্বেশ্বরের! হিটলার ওদেরই কাছ থেকে এই অদ্ভুত, প্রলয়ঙ্করী, জাতে জাতে রক্তাক্ত সংগ্রামসৃষ্টিকারী বীজমন্ত্র শিখে নিয়ে বলল, বটে! এত বড় মিথ্যে কথা! সার সত্য কিন্তু, হে বিশ্বজন, জেনে নাও :– আমরা, আর্যরা, এবং তাদের ভিতরও নীল চোখ, সোনালি চুলওলা নরড়িকরা ত্রিলোকের সর্বোকৃষ্ট জাত। এবং এইখানেই হিটলার থামল না; বলল, এবং ইহুদিরা এ জগতে কাফরি নিগরোর মতো উন্‌টর মেনশ (মানব পর্যায়ের নিম্নস্তরের সৃষ্টি)-ও নয়। তারা ভারমিন, নরকের কিট! যথেষ্ট হয়েছে, আমি ওসব কোঁদলে নেই।

নিরপেক্ষ ইতিহাস বলেন, হেরড দ্য গ্রেট খ্রিস্টজন্মের মাত্র কয়েক বছর পূর্বে জেরুসলমে যে বিরাট বিচিত্র য়াহভের মন্দির নির্মাণ আরম্ভ করেন সেটা আকারে-প্রকারে সর্বভাবে হাজার বছর পূর্বেকার সুলেমানের টেম্পলের চেয়ে শ্রেষ্ঠতর ছিল।(১) রোমানরা এ মন্দির ৭০ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ বিনষ্ট করে।

পরিপূর্ণ সম্পূর্ণ বিনষ্ট করেনি। বিরাট মন্দির-চতুরের চতুর্দিকে যে প্রাচীর একে পরিবেষ্টন করে ছিল তার একটি ক্ষুদ্র অংশ কী কারণে জানি না, আজ পর্যন্ত দাঁড়িয়ে আছে– এরই বর্ণনা দিয়ে এ লেখা আরম্ভ করেছি।

কবে এ প্রথা, অনুষ্ঠান বা আচারটা আরম্ভ হয় সেটা বলা কঠিন। অন্তত মোলশো বছর তো হবে।

প্রতি শুক্রবারের বিকেলে দেড়/ দুই হাজার বছর ধরে ইহুদিরা এই দেয়ালের সামনে দাঁড়িয়ে বিলাপ রোদন করছেন। অনেকক্ষণ ধরে যে দীর্ঘ মন্ত্রোচ্চারণ করেন সেটিতে বার বার যে ধুয়া আসে (আমার যতদূর স্মরণে আসছে তারই ওপর নির্ভর করে বলছি, কারণ বহু চেষ্টা করেও এই সুন্দর কিনোৎ = ইংরেজি এলিজি মন্ত্রটি জোগাড় করতে পারিনি। তার নির্যাস আমাদের সর্বগৌরব-মহিমার যে মন্দির ধ্বংস হয়েছে আমরা তারই স্মরণে এই বিজনে রোদন করি।

যতদূর মনে পড়ছে রাববি– পুরোহিত যে গৌরব-মহিমার কিছুটা বর্ণনা দেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আর সবাই উপরের ধুয়াটি বলে। ফের রাববি আরও খানিকটা বর্ণনা দেন, ফের উপাসকমণ্ডলী ওই ধুয়ার পুনরাবৃত্তি করে। বিলাপের সঙ্গে সঙ্গে সকলের চোখ দিয়ে অঝোরে অশ্রুধারা বয়।

প্রতি শুক্রবারের বিকালে ইহুদিরা এই প্রাচীরের দিকে মুখ করে এই কিনোৎ বিলাপ করেন। অন্যান্য দিনও যে কোনও সময় দু-একজনকে কাঁদতে দেখা যায়। আমি যে মহিলাটিকে দেখিছিলুম ইনি তাদেরই একজন। আর ইহুদি পঞ্জিকা অনুসারে তাদের আব মাসের ৯ তারিখ মন্দির ধ্বংসের সাম্বাৎসরিক কিনোৎ।

প্রাচীন জেরুসলমের যে অংশে এই প্রাচীরটি পড়েছে সেটি মন্দির ধ্বংসের বহু পূর্ব থেকে গত জুন মাস পর্যন্ত ছিল, হয় রোমান, না হয় খ্রিস্টান নয়, আরবদের অধীনে। গত জুন মাসে আরব-ইজরাএল যুদ্ধের সময় আরব শাসনকর্তা ও প্রজাকুল নগর ত্যাগ করে জরডন নদীর পূর্ব পারে চলে যায়।

বিজয়ী ইহুদি প্রধান সেনাপতি দায়ান ও পুরোহিত বংশজাত (লেভি) প্রধানমন্ত্রী এশকল দুই/আড়াই হাজার বছরের পরাধীনতার পর বিলাপ প্রাচীর-এর সামনে এসে দাঁড়ালেন। সঙ্গে হাজার হাজার ইহুদি। অতিশয় পরিতাপের বিষয়, যে মহোৎসব সমাধিত হল তার খবর এসেছে মাত্র কয়েক ছত্রে।

আমার মনে প্রশ্ন জাগে : এশক-দায়ান এরা কি সেই প্রাচীন দিনের কিনোৎ-বিলাপ করেছিলেন? করার কী প্রয়োজন? সুলেমান হেরডের মন্দির যেখানে ছিল সেখানে নতুন মন্দির গড়ে তুলে সর্ব গৌরব-মহিমা ফিরিয়ে আনলেই হয় তা হলে অবশ্য শত শত শতাব্দীর প্রাচীন কিনোৎ পরবটি মারা যায়। আজ যদি ভারতে সর্পকুল লোপ পায় তবে কি মনসাপূজা বন্ধ হয়ে যাবে?

কিন্তু যে জায়গায় প্রাচীন মন্দির ছিল সেখানে তেরশো বছর ধরে যে মসজিদ।

হজরত মুহম্মদের পরলোকগমনের পর আরবদের দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমরের সময় ৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে বাইজেনটাইন খ্রিস্টানদের হারিয়ে স্বয়ং ওমর জেরুসৃলমে প্রবেশ করেই প্রশ্ন করলেন, নবী সুলেমানের মন্দির ছিল কোথায়? সেখানে তখন শহরের তাবৎ ময়লা-আবর্জনা ভর্তি ভগ্নস্তূপ। খলিফা স্বয়ং স্বহস্তে ময়লা আর পাথর সাফ করতে লাগলেন। দেখাদেখি তার সেনাপতিরা ও সৈন্যদল সে কাজে যোগ দিল। অত্যল্প সময়েই কর্ম সমাধান হলে পর ওমর সেখানে একটি মসজিদ গড়ার হুকুম দিলেন। কারণ মুসলমান শাস্ত্রানুযায়ী মক্কার কাবার পরই এ স্থানটি দ্বিতীয় পুণ্যভূমি। এরই নাম হরমশরিফ এবং এরই কাছে যেখানে মসজিদ উল আকসা(২) সেটিও অতিশয় পুণ্যভূমি কারণ হজরত মুহম্মদকে তাঁর জীবিতাবস্থায় বেহেশতে আল্লার কাছে যখন নিশাভাগে নিয়ে যাওয়া হয় (সশরীর না শুধু আত্মা এ নিয়ে মতভেদ আছে) তখন তাঁকে আরবদেশ থেকে প্রথম এই মসজিদ উল-আকসা ভূমিতে নিয়ে আসা হয়েছিল।

৬৩৭ খ্রিস্টাব্দে ওমর যে সাদামাটা মসজিদ নির্মাণ করেন তার পরিবর্তে খলিফা আব্দুল মালিক আনুমানিক ৭০০ খ্রিস্টাব্দে যে মসজিদ সেখানে নির্মাণ করলেন সেটি সত্যই অতুলনীয়। বিশ্ববিখ্যাত স্থপতিদের মতে পৃথিবীর আটটি স্থাপত্যকলার নিদর্শন উল্লেখ করতে হলে এটিকে বাদ দেওয়া যায় না। তবে এটি ঠিক মসজিদ নয়, এটাকে পুণ্যসৌধ বলা চলে– আরবিতে এর নাম কুব্বত্ উস্-সরা (ডোম্ অব্ দ্য রক্)।

এ দুটি না ভেঙে সুলেমানের টেম্পল গড়া যায় না।

ইতোমধ্যে খবর এসেছে ইহুদিরা জেরুসলমে প্রবেশ করেই মসজিদ উল্-আকসার উপর ইহুদি পতাকা তুলে পূর্ণ এক দিবস সেটা সেখানে রাখে। অনেকেই এই ঝাণ্ডা ওড়ানোটাকে ইহুদির আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন স্বত্বাধিকার দাবি করার পূর্বাভাস মনে করে শঙ্কিত হয়েছেন। খ্রিস্টান উইলসন শঙ্কিত হননি, এবং খ্রিস্টান জনসন তো ইহুদির পিছনে রয়েছেনই। যা শত্রু পরে পরে। লেড়েতে-শাইলকে লড়াই।

কিন্তু এর সঙ্গে সঙ্গে ইহুদিরা চালে করল একটা ভুল। দায়ান-এশক সম্প্রদায়ের জাতবৈরী আরেক ইহুদি সম্প্রদায়ের নাম স্যামারিটান। তাদেরও আড়াই হাজার বছরের পুরনো একটা ভাঙা মন্দির পড়ে আছে একটা টিলার উপর। ১৯৪৮ সালে প্যালেসটাইন বিভাগের সময় স্যামারিটানরা কিছুতেই দায়ান-হিস্যায় পড়তে চায়নি। তারা জরডনের আরব হিস্যাঁতে যেতে চেয়েছিল এবং যায়। জুন মাসে আরব সেখান থেকে পালালে পর এ মন্দিরেও দায়ানরা দাবির ঝাণ্ডা ওড়াতে গেলে হাতাহাতির উপক্রম হয়- যদ্যপি সেস্থলে মাত্র তিন-চারশো স্যামারিটান বাস করে (তাবত দুনিয়ায় এ সম্প্রদায়ের সাকুল্য সংখ্যাই মাত্র তিন থেকে পাঁচশো!) তবু তারা সাহস করে এ গুণ্ডামি রোকতে যায়।

তখন খ্রিস্টজগৎ– মাইনাস জনসন– শঙ্কিত হল।

জেরুসলমে যে রয়েছে প্রভু যিশুর সমাধিমন্দির এবং গণ্ডায় গণ্ডায় গির্জে। ক্যাথলিক, গ্রিক অর্থডক্স, আরমেনিয়ান, কপট, হাবশি, সিরিয়ান, লুথেরিয়ান আরও কত জাত-বেজাতের (মুসলমানদের তো মাত্র দুটো– হরম শরিফ আর আত্সা)। আজ ঝাণ্ডা ওড়ায়নি বটে কিন্তু মুসলমানের দুটো দখল করার পর ইহুদির হিম্মত বেড়ে যাওয়াতে যদি সে খ্রিস্টানগুলোও

পোপ শঙ্কিত হন সর্বপ্রথম। তার পর উইলসন। তিনি হুঙ্কারিলেন, বেরিয়ে যাও, প্রাচীন জেরুস্লম থেকে। দায়ান উত্তরিলেন, ইয়ারকি পায়া হৈ? যাব না।

স্নাবৃড় উইলসন চুপ-ed!!

———–

১. নির্মাণ আরম্ভ খ্রি. পৃ. ২০; নির্মাণ শেষ খ্রিস্টাব্দ (খ্রিস্টের পর) ৬২। কী ট্র্যাজেডি! যে মন্দির গড়তে লাগল প্রায় ৮২ বছর, সেটা ভাঙতে (প্রধানত লুট করতে কারণ ইহুদি মন্দিরে তাদের কোষাকুষি হয় বিরাট আকারের ও নিরেট সোনায় তৈরি) ৮২ ঘণ্টাও লাগেনি! প্রফেট নোআ-র (আরবি-বাঙলায় নুহ) আর বা নৌকা তুলনীয়।

২. বছর চল্লিশেক পূর্বে হায়দরাবাদের নিজাম প্রায় পাঁচ লক্ষ (পাকা অঙ্কটি কেউ আমাকে বলতে পারেনি) মুদ্রা ব্যয় করে মসজিদটির আমূল সংস্কার করেন।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *