চতুর্থ খণ্ড (স্নেহের দীপঙ্কর আচার্য এবং সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়)
পঞ্চম খণ্ড (বন্ধুবর স্নেহপ্রতিম শ্রী নিতীশ রায় ও বউদিকে)
4 of 6

রাম কমল

রাম কমল

রাম আর কমল, দুজনে মিলে রামকমল। স্টোরি রাইটার। সিনেমা সাহিত্যকে বলে স্টোরি। ও একটা আলাদা লাইন। নামকরা সাহিত্যিক বা গল্পকার হলেই যে হিট ছবি হবে এমন কোনও গ্যারান্টি নেই। অনেক সব ব্যাপার আছে। হিট ছবির আলাদা ফর্মূলা আছে। সেসব জানতে হয়। রামকমল এ ব্যাপারে অদ্বিতীয়। পরপর সাতটা স্টোরি হিট করেছে। তারপরই পরপর তিনটে ফ্লপ।

রাম বড়, কমল ছোট।

সকাল হয়েছে। রাম এক কাপ উচ্ছের রস খেয়ে, মুখটাকে ভীষণ বিকৃত করে, সিল্কের লুঙ্গি আর স্যান্ডো গেঞ্জি পরে বারান্দা বাগানে বসে আছে। পরপর তিনটে ফ্লপ। মনে দগদগে ঘা। নিজের ডান হাতটা চোখের সামনে ধরে ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে দেখছে। কি হল এই হাতের? পরপর সাতটা হিটের পর, হাত এমন বিশ্বাসঘাতকতা করল? হাতের দোষ না মাথার দোষ!

রাম বসে বসে ভাবছে, এমন সময় কমল এল, কমল গৌরবর্ণ। চোখমুখ লাল টকটক করছে। কারণ তিনটি স্টোরি যে ফ্লপ করল, তার সেও সমান দায়ী। মিকসিংটা ঠিকমতো হয়নি। আঠারোটা বিদেশি কাহিনি থেকে খামচা-খামচা নেওয়া হয়েছিল; কিন্তু জোড়-জোড় মেলেনি। কমল সেই কারণে সকালে আধঘণ্টা শীর্ষাসন করে। এক যোগীর নির্দেশ। শীর্ষাসনে মাথা খোলে। ব্যাপারটা কষ্টকর হলেও, করতে হচ্ছে। তা না হলে এই বোলবোলা আর থাকবে না। সুন্দর বাড়ি। সুন্দর গাড়ি। সুন্দরী স্ত্রী।

শীর্ষাসনে এতক্ষণ উলটেছিল সোজা হয়েই ছুটে এসেছে দাদার কাছে। পরনে শর্টস আর সাদা গেঞ্জি। কমল বেতের একটা চেয়ার টেনে দাদার মুখোমুখি বসল। উলটে ছিল বলে মুখটা টকটকে লাল। কমল বেশ ফরসা, রামও ফরসা। কমল বললে, ‘বুঝলে দাদা, মাথায় রক্ত না চড়লে বুদ্ধি খোলে না। পরপর সাতদিন শীর্ষাসনের পর আজ রেজাল্ট পেলুম। পরপর তিনটে ছবি কেন ফ্লপ করল বল তো?’

‘লক্ষ্মী চঞ্চলা হয়েছেন।’

‘তোমার মাথা। লক্ষ্মীর সাবজেক্টই নয় এটা। সরস্বতীর ব্যাপার। শোন, চোরাই মাল কখনও আসলি মাল বলে চালানো যায় না। সেই ভুলটাই আমরা দুই পাঁঠাতে করেছি।’

‘শীর্ষাসন করে তাহলে এই বোধটাই হল, আমরা মানুষ নই, পাঁঠা।’

‘পাঁঠা তো বটেই, তা না হলে পূর্ব-পুরুষের তেজারতি কারবার ছেড়ে কেউ কলম ধরে! আমাদের ছোটকাকে দ্যাখো, হাল ধরেছিল, এখন হুগলি জেলায় চাষবাস করে কেমন জমিয়ে নিয়েছে! শুনলুম বাড়িতে সুইমিং পুল বসিয়েছে।’

‘সুইমিং পুল, না হাতি। ওকে সুইমিং পুল বলে? বাড়িতে একটা ডোবা ছিল, সেইটারই চারপাশ বাঁধিয়ে গোটাকতক সিমেন্ট জমানো চেয়ার ফেলেছে। ওই বলে না, বাঁশ বনে শেয়াল রাজা!’

‘শুনলুম সন্ধেবেলা ওরই ধারে বসে একটু ঢুকুঢুকু করে!’

‘আরে সে দিশি মাল। বিলিতি চাষার মুরোদ নেই। স্কচ খেয়েছে গাধাটা! হোয়াইট হর্স, জনি ওয়াকার, শিভাস রিগ্যাল!’

‘সে তুমি যাই বলো, দিশিই খাক আর বিলিতিই খাক, আমাদের চেয়ে বেশ সুখেই আছে। পুকুরের মৎস্য, খেতের শস্য। তুমি হলে রাম ছাগল আমি হলুম দিশি ছাগল। তা না হলে কেউ সিনেমার লাইনে আসে। থার্ড ক্লাস ব্যাপার।’

‘শোন কমল? ওই সব মন খারাপ করা কথা ছেড়ে কাজের কথায় আয়। কি আইডিয়া এসেছে বল?’

‘প্রথম আইডিয়া হল বিদেশি কাহিনি স্বদেশি মোড়কে চলবে না। শতকরা একশো ভাগ দিশি জিনিস ছাড়তে হবে। তোমার ওই যে প্রেমের স্টোরি, যেটা কোনওরকমে তিনদিন চলল, তারপর হাউস আর টানতে পারল না, কেন জানো? তোমার নায়িকা বিদেশি, তোমার নায়ক বিদেশি, শুধু নামটাই দিশি। তাদের কাণ্ড কারখানা, কথা বলার ধরন, প্রেম করা, জীবনের সমস্যা, সবই বিদেশি।’

‘কী যে বলিস! প্রেম জিনিসটাই বিদেশি। দিশি জীবনে প্রেম আছে? বাপ-মা হয় একটা ছেলে, না হয় একটা মেয়ে ধরে এনে দেবে, নাও এবার সারা জীবন ঘর করো।’

‘তোমার ঘটে কিছু নেই, যা আছে সব ভুঁড়িতে। রামী চণ্ডীদাস, বিদ্যাসুন্দর, বিল্বমঙ্গল পড়োনি?’

‘পড়ব না কেন? বাঙলা সিনেমা তো ওসব চটকে-চটকে শেষ করে দিয়েছে।’

‘করুক না। তুমি নতুন করে চটকাও। ময়ান দিয়ে বেশ খাস্তা করে ছাড়ো। আরও সেক্স চড়াও।’

‘সেন্সার বসে আছে। কেটে-ছেঁটে শেষ করে দেবে। সেই ন্যাড়া বস্টুমীকে কেউ নেবে!’

‘সেক্স নেবে না? তোমার মাথায় কি আছে দাদা?’

‘আরে গাধা নেবে না কেন? সেক্স ঢোকাতে দেবে না।’

‘তুমি সেক্স বলে ঢোকাবে কেন? তুমি অ্যান্টি-সেক্স ছবি করো।’

‘সে আবার কি?’

‘আয়, একেই বলে শীর্ষাসনের সুফল। যেমন ধরো, তুমি প্রমাণ করবে চুম্বনের কুফল। চুমু খাওয়া খুব খারাপ। কেন খারাপ? এইবার সেইটা ধাপে-ধাপে উদাহরণ-সহ পেশ করো। এইটা করতে গেলেই তোমাকে একের পর এক চুম্বন দেখাতে হবে। গল্পটা কীরকম হবে! নায়ক। টিন-এজার। সে খুব বিদেশি ছবি দেখে। কি দেখে?’

‘বিদেশি ছবি দেখে।’

‘অ্যায়, তোমার রাস্তা খুলে গেল। বিদেশি ছবিতে কি দেখে? চুম্বন। কথায় কথায় চুম্বন। নায়ককে এবার বিভিন্ন হট ছবির কাটা-কাটা বাছা-বাছা দৃশ্য দেখাও। এই দেখে নায়কের কি হল!’

‘মাথা খারাপ হয়ে গেল?’

‘ঠিক মাথা খারাপ নয়, হয়ে গেল চুমু পাগল। সে একের পর এক মেয়ের সঙ্গে ভাব করে, আর জাপটে ধরে সাপটে চুমু খেয়ে যায়। প্রথমে একদিন তার দিদিকে খেতে গেল। দিদি মারলে এক চড়। সেইদিন থেকে দিদির সঙ্গে শত্রুতা। এইটাকে তুমি তখনকার মতো সরিয়ে রাখো, পরে মূল কাহিনিতে কাজে লেগে যাবে। একে বলে কাহিনির বীজধান। পরে এর থেকে চারা বেরোবে। তুমি কি জানো, গল্প লেখা আর হাল চাষ করা এক জিনিস। প্রথমে আগাছা ভরা জমি, নিড়েন দিয়ে সাফ করো। তারপর নামাও লাঙল। জমি কোদালও। তার মানে সমস্যা তোমার মাথায় একটা জিনিস আসে না কেন, জমিকেও ইংরিজিতে প্ট বলে, গল্পের গল্পাংশটাকেও প্ট বলে। গল্পের প্টকে সমস্যার লাঙলে ফেলে কোদলাও। এইবার ঘটনা। ঘটনা হল বীজধান, সেই বীজধান ছড়িয়ে দাও। গোড়ায় দাও জীবনদর্শনের সার। লকলকে চারা। কাহিনির প্রকৃতি হল নিয়তি। বন্যা, খরা, চাঁদের আলো, সোনা রোদ। হয় সব ভেসে যাবে, নয় সব জ্বলে যাবে, নয় মাঠ ভরে যাবে পাকা ধানে। বুঝলে কিছু?’

‘শীর্ষাসন কি করে করে রে?’

‘তোমার দ্বারা হবে না। ভেবে-ভেবে আর খেয়ে-খেয়ে অ্যায়সা মোটা হয়েছে! তোমার ভয় কি, আমি কী আছি। সকালে একবার করে ওলটাব মানে নিজেকে উলটে রাখব আর মধুর মতো আইডিয়া গড়িয়ে আসবে মাথার মৌচাক থেকে।’

‘আচ্ছা বল, এইবার ওই চুমু পাগলের কি হবে!’

‘চুমু পাগলা একদিন নির্জনে বন্ধুর বোনকে চুমু খেতে যাবে। খেতে গিয়ে জুতোপেটা খেয়ে অপমানিত হয়ে ফিরে আসবে। এটাকেও তুমি তুলে রাখো, পরে কাজে লাগবে। বীজধান নাম্বার টু। এরপর ছেলেটা খেপে গিয়ে একদিন চলে যাবে বেশ্যালয়ে।’

‘বেশ্যালয়ে!’

‘অফকোর্স। সব নদী যেমন সাগরে যায়, সব সিনেমারই মহাসঙ্গম হল নাইটক্লাব, ক্যাবারে, বেশ্যালয়ে। দ্যাখো না, বঙ্কিমের কপালকুণ্ডলা হচ্ছে স্টেজে, সেখানেও ঢুকে যাবে ক্যাবারে। আমাদের চুমুপাগলা বেশ্যালয়ে ঢুকছে। সেই সময় ঢোকাও বিবেকের গান, ওপথে বাড়াসনে পা। ওপথে বাড়াসনে তুই পা। এইখানে তুমি কিছু কাজ দেখাতে পারবে। নায়কের বিবেকের তাড়না। মুখ ডিজলভ করে যাচ্ছে, ভেসে উঠছে কাট শট, অতীতে দেখা বিদেশি ছবির চুম্বনদৃশ্য। দিদির চড়। বন্ধুর বোনের জুতো। সঙ্গে বিবেকের ব্যাকগ্রাউন্ড—ও পথে বাড়াসনে তুই পা। চালিয়ে যাও, পনেরো কুড়ি মিনিট। ফিরে আয়, ওপথে বাড়াসনে তুই পা। হঠাৎ নায়কের গলায় চিৎকার, ফিরে যায়, জুতোতে—না, না, ফিরব না। ওভারল্যাপিং গান, আমি যাবই, আমি যাবই। এই তোমার কাহিনিতে ডেসটিনি ঢুকে গেল। নিয়তির হাতে চলে গেল। চুমুপাগল বেশ্যালয়ে বিছানায়। কাট। খবরের কাগজ। হেড লাইন, ভারতে এইডস এসেছে। কলকাতায় ব্যাপক ব্যবস্থা। মাদ্রাজ আক্রান্ত। ডকুমেন্টারি শট। খিদিরপুর ওয়াটগঞ্জ এলাকায় গণিকাদের রক্ত দেওয়া হচ্ছে। টাইমের পাতার ছবি দেখাও। রক হাডসন। এইবার দেখাও মিডিসিনের ক্লাস, ছাত্র-শিক্ষকে প্রশ্নোত্তর। এইডস কি? কেন হয়? হোমোসেক্সচুয়ালিটি কি! সমকামিতা ব্যাখ্যা করো। ইতিহাসে চলে যাও। গ্রিস, রোম, মিডল ইস্ট। লরেন্স অফ অ্যারেবিয়া। গে কাকে বলে। হলিউডের গে এরিয়া। কি মনে হচ্ছে দাদা!’

‘মনে হচ্ছে, ধান ভানতে শিবের গীত।’

‘মনে হচ্ছে তো? তাহলেই জানবে হিট করবে। তোমার সেই গানটা মনে আছে, গিরীশচন্দ্রের লেখা কোথা থেকে হতে আসি কোথা ভেসে যাই। বাংলা ছবি আর মানুষের জীবন, দুই-ই একরকম না হলে জীবনধর্মী ছবি করা যায়! আজকাল দর্শকরা জীবনধর্মী ছবি চায়। তোমার যে কবে বুদ্ধি হবে দাদা! আসল জীবন কীরকম?’

‘আসল জীবন? আসল জীবন আবার কীরকম? এই যেমন ধর, আমি! চেয়ারে বসে আছি। একটু আগে চা খেয়েছি। একটু পরে এই চেয়ারটা ছেড়ে ওঠার চেষ্টা করব। সেই ছেলেটা আসবে তেল মালিশ করতে। আমি ওই জায়গাটায় চিৎপাত হয়ে পড়ব। সে ঘুরিয়ে-ঘুরিয়ে ঘষে আচ্ছা করে তেল মাখাবে…।’

‘বাশ-বাশ, আর না, সিনেমা লাইনের বড়-বড় ঘ্যাম লোকেরা মাসাজ করায় এ খুব জানা তথ্য। ভোরে গাড়ি চেপে মর্নিংওয়াক করে, সিনেমা পত্রিকার কল্যাণে সবই জানে। তোমার এই বর্ণনাটাই হল প্রকৃত ধান ভানতে শীবের গীত। জীবন হল, তুমি জন্মাবে, তুমি মরবে, মাঝখানটা এলোমেলো জল তরঙ্গ। সেতার বাজনার মতো। ম্যাও বলে শুরু হল, তারপর ছিনকিনি, কিনিকিনি। চলল, ফাটাফাটি, লাঠালাঠি। তিনটে তেহাই মেরে শেষ।’

‘বুঝেছি, বুঝেছি। তুই কি চাস, বুঝেছি। জীবনধর্মী করতে হলে ওই চুমুপাগলাকে এইডস ধরাতে হবে আর ধীরে-ধীরে মেরে ফেলতে হবে।’

‘তোমার মাথা। নায়ক মরে গেলে বই ফ্লপ করে।’

‘তোর মাথা। বাংলা ছবিতে শেষ দৃশ্যে হিরোকে মারতেই হবে। পরদা জুড়ে চিতার আগুন লকলক করবে আর গম্ভীর গলায় একজন সংস্কৃত স্তোত্র আওড়াবে চিবিয়ে চিবিয়ে, নৈনং ছিন্দন্তি শস্ত্রাদি। ওই যে রে, নেতারা মারা গেলে রেডিও যেমন করে।’

‘শোনো দাদা, শুধু বাংলাটা ভেবো না, হিন্দিটাও মাথায় রাখো। হিন্দি ছবির হিরো কীরকম জানো, কুমীরে গিলে ফেললে পেটের ভেতর থেকে কেটে-কেটে গান গাইতে-গাইতে বেরিয়ে আসে, আবার এমনও হতে পারে, কুমীরটা আগে হয়তো একটা মেয়েকে গিলেছিল, সেই মেয়েটাও নায়কের হাত ধরে ধিতিং-ধিতিং করে নাচতে-নাচতে বেরিয়ে আসে। ধরো, নায়ক একটা বিশাল পাহাড়ের মাথা থেকে পড়ে গেল, কিন্ত মরবে না। কোথায় পড়ল? নীচে একটা ঘোড়া ঘাস খাচ্ছিল, পড়ল তার পিঠের ওপর। পড়ামাত্রই ঘোড়া ছুটল টগবগিয়ে। সোজা নায়িকার বাগান-বাড়িতে। নায়কের বিরহে নায়িকা কাঁদছে, চোখের ধারায় ছোট মতো একটা নদী তৈরি হয়েছে, সেই নদী এঁকেবেঁকে বাগানের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে। নায়িকা শুধু কাঁদছে না। গানও গাইছে। একটা দুটো করে ফুল ভাসিয়ে দিচ্ছে। হঠাৎ তেল চুকচুকে বাদামি ঘোড়া টুকুস করে নদী পেরিয়ে একেবারে সুন্দরীর সামনে। ঘোড়ার পিঠে দাঁড়িয়ে উঠে নায়ক গাইতে লাগল, ‘ম্যায় আয়া হুঁ, ম্যায় আয়া হুঁ, মেরা খুশবু।’

চোখের জলের নদী! মানে বাড়াবাড়ির একটা সীমা আছে কমল। লোকে ছ্যা-ছ্যা করবে!’

‘তোমার কোনও ধারণা নেই দাদা। হিন্দি ছবিতে কোনও কিছু অসম্ভব নয়। পুরুষও পোয়াতি হতে পারে!’

‘অনেকক্ষণ তো লেকচার হল। আসল কথাটা কি? বাঙালির শুধু ব্যাড়ব্যাড়ানি।’

‘আসল কথা হল, আমি একটা চুটিয়ে প্রেম করি, আর তুমি সেইটা দেখে ধাপে-ধাপে একটা গল্প লেখো। তারপর দ্যাখো, একেবারে হাডিল ফুস।’

‘হাডিল ফুস মানে?’

‘আর বোলো না, শীর্ষাসনে উলটে থাকি তো তাই মাঝে-মাঝে কথাও উলটে যায়। ওটা হাউস ফুল হবে! আর তুমি ঢুলে ফোল হয়ে যাবে। না না, ঢুলে ফোল নয়, ফুলে ঢোল।’

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *