দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ : নির্মবল কুমারীর অগাধ জলে ঝাঁপ
এদিকে নির্ম লকুমারীর বড় গোলমাল বাধিল। চঞ্চল ত রত্নখচিত শিবিকারোহণে চলিয়া গেল–আগে পিছে দুই সহস্র কুমারপ্রতিম অশ্বারোহী আল্লার মহিমার শব্দে রূপনগরের পাহাড় ধ্বনিত করিয়া চলিল। কিন্তু নির্মকলের কান্না ত থামে না। একা–একা–একা–শত পৌরজনের মধ্যে চঞ্চল অভাবে নির্মতল বড়ই একা। নির্মাল উচ্চ গৃহচূড়ার উপর উঠিয়া দেখিতে লাগিল–দেখিতে লাগিল, পাদক্রোশ-পরিমিত অজগর সর্পের ন্যায় সেই অশ্বারোহী সৈনিকশ্রেণী পার্ব ত্য পথে বিসর্পিত হইয়া উঠিতেছে, নামিতেছে–প্রভাতসূর্যোকিরণে তাহাদিগের ঊর্ধ্বোঞর্ত্থিত উজ্জ্বল বর্শাফলক সকল জ্বলিতেছে। কতক্ষণ নির্মেল চাহিয়া রহিল। চক্ষু জ্বালা করিতে লাগিল। তখন নির্মতল চক্ষু মুছিয়া, ছাদের উপর হইতে নামিল। নির্মিল একটা কিছু ভাবিয়া ছাদের উপর হইতে নামিয়াছিল। নামিয়া প্রথমে অলঙ্কার সকল খুলিয়া কোথায় লুকাইয়া রাখিল, কেহ দেখিতে পাইল না। সঞ্চিত অর্থমধ্যে কতিপয় মুদ্রা নির্ম ল গোপনে সংগ্রহ করিল। কেবল তাহাই লইয়া নির্মপল একাকিনী রাজপুরী হইতে নিষ্ক্রান্তা হইল। পরে দৃঢ়পদে অশ্বারোহী সেনা যে পথে গিয়াছে, সেই পথে একাকিনী তাহাদের অনুবর্তিলনী হইল।