নবম অধ্যায়
মহারাজ মুকুন্দ মাণিক্যের মৃত্যুর পর হইতে, ব্রিটিশ পতাকা উডডীন হইবার পূর্ব পর্য্যন্ত প্রায় বিংশতি বৎসর ত্রিপুরায় যেরূপ গণ্ডগোল চলিয়াছিল তদদ্বারা তদানীন্তন ইতিহাস ধারাবাহিক রূপে লিপিবদ্ধ করা নিতান্ত সুকঠিন হইয়াছে। যখন কোন প্রাচীন রাজ্য বিনাশের পথে অগ্রসর হইতে থাকে, তখন তাহার অবস্থা যেরূপ শোচনীয় হইয়া দাঁড়ায় ত্রিপুরার তদানীন্তন অবস্থাও তদ্রূপই হইয়াছিল। রাজবংশীয়গণ অনেকেই রাজদণ্ড ধারণ করিবার জন্য লোলুপ হইয়াছিলেন; কিন্তু সেই দণ্ড ধারণ করিবার ক্ষমতা কাহারও ছিল না। প্রাক বিংশতি বৎসর মধ্যে যে সকল নরপতি ত্রিপুর রাজদণ্ড ধারণ করিয়াছেন, তন্মধ্যে একমাত্র মহারাজ জয়মাণিক্যের বিজ্ঞজনোচিত ক্ষমতা কিয়ৎপরিমাণে ছিল, এরূপ অনুমান করা যাইতে পারে; কিন্তু দুর্দান্ত মোগল পরাক্রমে তাঁহার এই বিকশোন্মুখ ক্ষমতা নিষ্পিষ্ট হইয়া ত্রিপুরা বিনাশের (১১১)। পথে ধাবিত হইল। আমরা যথাসাধ্য এই সময়ের ধারাবাহিক ইতিহাস লিখিতে প্রবৃত্ত হইলাম, কিন্তু ইহা সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ হইবে কি না তপক্ষে আমাদের সন্দেহ আছে।[১]
সম্ভবত ১১৪৭ কিম্বা ৪৮ ত্রিপুরাব্দে রুদ্রমণি ঠাকুর “জয় মাণিক্য” নাম গ্রহণ পূর্বক সিংহাসন আরোহণ করেন। ফৌজদার হাজি মুনসম তাঁহার অনুসম্পা ব্যতীত প্রাণ রক্ষার (১১২) উপায়ান্তর অদর্শনে পত্রদ্বারা মহারাজ জয় মাণিক্যের সমীপে বিনীতভাবে মুক্তির প্রার্থনা করেন। মহারাজ জয়মাণিক্য তাঁহার কাতরোক্তি শ্রবণে সদয় হইয়া তাঁহাকে মুক্তি প্রদান করিয়াছিলেন। ফৌজদার ত্রিপুরা পরিত্যাগ করিলে, মুকুন্দ মাণিক্যের পুত্রগণ ও ধর্মমাণিক্যের পুত্র যুবরাজ গঙ্গাধর পলায়ন পূর্বক ঢাকানগরে প্রস্থান করিলেন।
মহারাজ জয়মাণিক্য মেহেরকুল নাম পরিবর্ত্তন পূর্বক এই পরগণার নাম “জয়নগর” রাখিয়াছিলেন।[২]
মুকুন্দ মাণিক্যের পুত্র কুমার পাঁচকড়ি ঠাকুর নবাবের অনুমতি গ্রহণ পূর্বক মুরশিদাবাদ হইতে ত্রিপুরায় আসিতেছিলেন; পথিমধ্যে স্বীয় অনুজ কৃষ্ণমণির পত্র প্রাপ্ত হইয়া সমস্ত সংবাদ অবগত হইলেন। পিতৃ বিয়োগ ও রাজ্য নাশ প্রভৃতি দুঃখজনক সংবাদ শ্রবণে তিনি পুনর্বার মুরশিদাবাদে যাত্রা করিলেন। তথায় উপস্থিত হইয়া নবাবকে আনুপূর্বিক সমস্ত বিষয় অবগত করিলেন। তৎশ্রবণে নবাব তাঁহাকে সিংহাসনে আরোহণ জন্য সন প্রদান পূর্বক উপযুক্ত সাহায্য করণার্থ কারণ ঢাকার নায়েব নাজিমের প্রতি আদেশ প্রদান করেন। হতভাগা পাঁচকড়ি রাজ্য লোভে নবাব হইতে সনন্দ গ্রহণ পূর্বক ত্রিপুরার প্রকৃত স্বাধীনতার মূলে কুঠারাঘাত করিলেন। (১১৩)
পাঁচকড়ি ত্রিপুরায় উপনীত হইয়া নবাব প্রদত্ত সৈন্যের সাহায্যে জয়মাণ্যিকে জয় করিয়াছিলেন। তদনন্তর তিনি উদয়পুরে গমন করিয়া “ইন্দ্রমাণিক্য” নাম গ্রহণ পূর্বক সিংহাসন আরোহণ করেন। সম্ভবত ১১৪৯ ত্রিপুরাদে ইন্দ্রমাণিক্য রাজদণ্ড ধারণ করিয়াছিলেন।
সিংহাসনচ্যুত মহারাজ জয়মাণিক্য প্রায় ৬ মাস কাল ইতস্তত ভ্রমণ করিয়া ১৪০০ সৈন্য সংগ্রহ করিলেন। ত্রিপুরার প্রজাবর্গকে সেই সেনাদলের অঙ্গ পুষ্টি করিবার জন্য আহ্বান করেন। মেহেরকুলের সর্বপ্রধান ভূম্যধিকারী হরিনারায়ণ চৌধুরী[৩] এবং অন্যান্য কতকগুলি ভূম্যধিকারী মহারাজ (১১৪) জয়মাণিক্যের পক্ষ অবলম্বন করেন। নুরনগরের তালুকদারগণ প্রায় সকলেই ইন্দ্রমাণিক্যের পক্ষ অবলম্বন করিয়া ছিলেন। জয়মাণিক্য ও ইন্দ্রমাণিক্যের মধ্যে অনন্ত কলহের স্রোত প্রবাহিত হইল। ইন্দ্রমাণিক্যের আধিপত্য যেরূপ ত্রিপুরার উত্তরাংশে বদ্ধমূল হইয়াছিল, জয় মাণিক্যের আধিপত্য তদ্রূপ দক্ষিণভাগে সুদৃঢ় হইল। তদনন্তর জয় মাণিক্য যেরূপ উত্তর ত্রিপুরাবাসী কোন কোন ব্যক্তিকে নিষ্কর প্রদান পূর্বক হস্তগত করিতে যত্নবান হইলেন, ইন্দ্ৰমাণিক্যও তদ্রূপ দক্ষিণ ত্রিপুরার অনেক ব্যক্তিকে নিষ্কর প্রদান পূর্বক স্বদল ভুক্ত করিতে চেষ্টিত হইলেন।[৪] ক্রমে জয় মাণিক্য বলবান ও ইন্দ্রমাণিক্য দুর্বল হইতে লাগিলেন। সমর ক্ষেত্রে বারংবার পরাজিত হইয়া ইন্দ্রমাণিক্য নবাবের সাহায্য প্রার্থী হইলেন।[৫] (১১৫)
মহারাজ জয়মাণিক্য উৎকোচ দ্বারা ঢাকার নায়েব নাজিমকে বশীভূত করেন। নায়েব নাজিম ইন্দ্রমাণিক্যকে অবশিষ্ট রাজস্ব আদায়ের জন্য ধৃত করিয়া, ঢাকায় কারাগারে নিক্ষেপ করিলেন। এই সুযোগে জয়মাণিক্য সমগ্র ত্রিপুরা অধিকার করিলেন। ধর্মমাণিক্যের পুত্র যুবরাজ গঙ্গাধর সেই সময় ঢাকায় বাস করিতেছিলেন। তিনি উৎকোচ দ্বারা নায়েব নাজিমকে বশীভূত করায়, তিনি তাঁহাকে ত্রিপুরার সিংহাসনে স্থাপন করিতে উদ্যোগী হইলেন। নায়েব নাজিম গঙ্গাধরের সহিত মহাম্মদ রফি নামক জনৈক অশ্বারোহী সেনাপতিকে একদল সৈন্যের সহিত ত্রিপুরায় প্রেরণ করিলেন। কুমিল্লা নগরে উপস্থিত হইয়া, গঙ্গাধর “উদয় মাণিক্য” নাম গ্রহণ পূর্বক রাজ দণ্ডধারণ করিলেন। তিনি অল্পকাল মাত্র রাজ্য সুখ উপভোগ করিতে সক্ষম হইয়াছিলেন।
জয়মাণিক্য ঢাকা নিবাসী জগত্মাণিক্যকে লিখিলেন, যদি তিনি উৎকোচ দ্বারা ঢাকার শাসন কৰ্ত্তাকে বশীভূত করিয়া তাহার নামে সনন্দ গ্রহণ করিতে পারেন, তাহা হইলে তাঁহার ভ্রাতা নরহরিকে তিনি যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করিবেন।
জয়মাণিক্যের পত্রানুসারে জগৎমাণিক্য ঢাকার শাসন কর্তাকে উৎকোচ দ্বারা হস্তগত করিলেন। নায়েব নাজিম সনন্দ প্রদান পূর্বক জয়মাণিক্যকে ত্রিপুরার প্রকৃত অধিপতি (১১৬) বলিয়া স্বীকার করিলেন। জয়মাণিক্য স্বীয় বাহুবলে উদয়মাণিক্যকে দূর করিয়া সমগ্র ত্রিপুরা অধিকার করিতে যত্নবান হইলেন এবং পূর্ব প্রতিজ্ঞা অনুসারে জগৎমাণিক্যের ভ্রাতা নরহরিকে যুবরাজের পদে নিযুক্ত করিলেন।
সুবিখ্যাত নবাব আলিবর্দি খাঁ বঙ্গদেশ অধিকার করিয়া স্বীয় জামাতা নিবাইশ মহম্মদকে ঢাকার নায়েব নাজিমের পদে নিযুক্ত করেন। হোসেন কুলি খাঁ তাঁহার সহকারীর পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। অল্পকাল মধ্যে হোসন কুলি খাঁর সহিত ইন্দ্রমাণিক্যের সদ্ভাব জন্মিল। তাঁহার পরামর্শ অনুসারে ইন্দ্রমাণিক্য ত্রিপুরার সমস্ত অবস্থা বর্ণনা করিয়া নবাব আলিবর্দি খাঁর নিকট এক আবেদন পত্র প্রেরণ করেন। তৎপাঠে নবাব হোসেন কুলি খাঁকে সসৈন্যে ত্রিপুরায় উপস্থিত হইয়া ইন্দ্ৰমাণিক্যকে সিংহাসনে বসাইতে আদেশ করেন। নবাবের অনুমতিতে হোসেন কুলি খাঁ ইন্দ্ৰমাণিক্যকে বিমুক্ত করিয়া চতুৰ্দ্দশসহস্র সৈন্যসহ কুমিল্লাভিমুখে যাত্রা করিলেন। এই সংবাদ শ্রবণ করিয়া জয়মাণিক্য গিরি শিখরে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ইন্দ্রমাণিক্য নবাব প্রদত্ত সৈন্যের সহিত তাঁহার পশ্চাদ্ধাবিত হইয়া জয়মাণিক্যকে লইয়া ঢাকায় গমন করেন। নবাবের অনুমতি মতে (১১৭) জয়মাণিক্যকে পশ্চাৎ মুরশিদাবাদে প্রেরণ করা হইয়াছিল। ইন্দ্রমাণিক্য কিছুকাল নিষ্কন্টকে রাজ্য শাসন করিয়াছিলেন
হোসেন কুলি খাঁর পরামর্শ অনুসারে ইন্দ্রমাণিক্য মুরশিদাবাদের নবাব দরবারে জনৈক প্রতিনিধি নিযুক্ত করিয়াছিলেন। তিনি সেই প্রতিনিধি হইতে সংবাদ প্রাপ্ত হইলেন যে, নবাবের প্রিয় পাত্র হাজি হুসনের সহিত জয়মাণিক্যের বিশেষ সদ্ভাব হইয়াছে। হাজি হুসন পুনর্বার জয়মাণিক্যকে ত্রিপুরার সিংহাসনে বসাইবার জন্য যত্নবান হইয়াছেন। তদনন্তর ইন্দ্রমাণিক্য মুরশিদাবাদ যাত্রা করেন। তথায় অবস্থান কালে ইন্দ্ৰমাণিক্য মানবলীলা সম্বরণ করেন। জয়মাণিক্য পুনর্বার ত্রিপুর রাজদণ্ড ধারণ করিলেন। কিন্তু ইন্দ্রমাণিক্যের কনিষ্ঠ ভ্রাতা কৃষ্ণ মণির সহিত তাঁহার অবিরত কলহ চলিতেছিল। তিনি তৃতীয়বার সিংহাসন আরোহণ করিয়া অতি অল্পকাল মাত্র জীবিত ছিলেন। জয়মাণিক্যের মৃত্যুর পর তাহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা হরিধন ঠাকুর “বিজয়মাণিক্য” নাম গ্রহণ পূর্বক ত্রিপুর রাজদণ্ড ধারণ করেন।
মহারাজ বিজয় মাণিক্য নবাব আলিবর্দি খাঁ হইতে ৬ই “জুলুষের ১০ই জিহিজা” তারিখের সনন্দ গ্রহণ পূর্বক সিংহাসন আরোহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু যুবরাজ কৃষ্ণমণি তাঁহার প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে দণ্ডায়মান ছিলেন। কতকগুলি পার্বত্য প্রজা ব্যতীত সমতলক্ষেত্রবাসি প্রজাবর্গ হইতে (১১৮) তিনি তৎকালে কোনরূপ কর গ্রহণ করিতে সক্ষম হন নাই। গোবিন্দ মাণিক্যের বংশধরগণ, রাজমালা গ্রন্থে বর্ণনা করিয়াছেন যে, নবাব বার্ষিক দ্বাদশ সহস্র মুদ্রা বেতনে বিজয় মাণিক্যকে চাকলে রোসনাবাদের তহসীলদারি পদে নিযুক্ত করিয়াছিলেন। মহারাজ বিজয় মাণিক্যের নামীয় নবাব প্রদত্ত সনন্দ, বিজয় মাণিক্যের প্রদত্ত কতকগুলি সনন্দ এবং মোগল সাম্রাজ্যের রাজস্বের ইতিহাস পর্যালোচনা দ্বারা নির্ণীত হইতেছে যে, উল্লিখিত বর্ণনা সম্পূর্ণ অসত্য ও হিংসা প্রসূত। ইন্দ্রমাণিক্যের ন্যায় তিনিও নবাব হইতে সনন্দ গ্রহণ পূর্বক ত্রিপুর রাজদণ্ড ধারণ করিয়াছিলেন।
মহারাজ বিজয় মাণিক্যের শাসনকালে দক্ষিণশিক নিবাসী জনৈক মুসলমান প্রজা ক্রমে প্রবল হইয়া উঠিতেছিল। পরবর্ত্তী অধ্যায়ে তাহার বৃত্তান্ত বর্ণিত হইবে। মহারাজ বিজয় অত্যল্প বৎসর মাত্র রাজ্য শাসন করিয়া কাল কবলিত হন। তদনন্তর যুবরাজ কৃষ্ণমণি ত্রিপুরার রাজদণ্ড ধারণ করিতে অগ্রসর হইলেন। কিন্তু তাহার বাসনা পুর্ণ হইল না। এক সামান্য প্রজার বাহুবলে পরাজিত হইয়া, তিনি অরণ্যে অরণ্যে ভ্রমণ করিতে লাগিলেন।
.
টীকা
১. একখণ্ড প্রাচীন লেখ্যপত্র আমাদের হস্তগত হইয়াছে তাহা এস্থলে উদ্ধৃত হইল :-
“তুমার ওয়াশীলাত রূপেয়া পরগনে সাবেক
রতননগর মোতালকে সরকার রোশনাবাদ।
ওয়াদেদার শ্রীযুক্ত রাজা জগৎমাণিক্য। এতমাস
শ্রীচন্দ্রনারায়ণ সীকদার। তহসীল তহবীল
শ্রীজমিদারান। ইপ্তাদায় মাহে
আষাঢ় লাগায়তে বৈশাখ।
মং ৩৯৪৭
****
**
শ্রী জমিদারাণ মহাম্মদ
মোওয়াজ
শ্রীতালুকদারাণ।
ইতিসান ১১৪৫ বাঙ্গালা ১১৪৭ পরগনা।
ইহার অর্থ কি? রাজা জগৎমাণিক্য কাহার দ্বারা পরগণা সাবেক রতননগরের তহশীলদারী কার্য্যে নিযুক্ত হইয়াছিলেন তাহা কিছুই বুঝিতে পারিলাম না। “১১৪৭ পরগনা” ইহা অব্দের পরিচায়ক, কিন্তু ইহা বঙ্গাব্দ কি ত্রিপুরাব্দ নহে?
২. জয়মাণিক্যের ১১৫৪ ত্রিপুরার ১ চৈত্রের সনন্দ দ্রষ্টব্য।
৩. মেহেরকুলের ভূম্যধিকারীগণ মধ্যে এই সময় বিজয়পুরের চৌধুরীগণই সর্বপ্রধান ছিলেন। হরিনারায়ণ চৌধুরীর পিতা কায়স্থ বংশীয় মধুসূদনদেব পশ্চিমবঙ্গ হইতে আগমন পূর্বক বিজয়পুরে উপনিবেশ স্থাপন করেন। মধুসূদনের জ্যেষ্ঠ পৌত্র দর্পনারায়ণ দেব প্রথমত ‘চৌধুরী’ উপাধি এবং উপাধির বৃত্তি স্বরূপ “চৌধুরাই নানকার” প্রাপ্ত হন। দর্পনারায়ণের মৃত্যুর পর তাহার পিতৃব্য পুত্র হরিনারায়ণ চৌধুরী প্রবল হইয়া উঠেন। চৌধুরী বংশীয় দিগের প্রাচীন কীর্তি কলাপের ভগ্নাবশেষ দ্বারা বিজয়পুর পূর্ণ রহিয়াছে। বৃহৎ দীর্ঘিকাগুলি, ভগ্ন ও অর্দ্ধ ভগ্ন দেবমন্দির সকল তাঁহাদের অতীত গৌরব ও কীর্তি কাহিনী ঘোষণা করিতেছে। দর্পনারায়ণ, হরিনারায়ণ চৌধুরী ও তাঁহাদের ভ্রাতৃবর্গের চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ পুরুষগণ কথঞ্চিৎ রূপ জীবিকা নির্বাহ করিয়া তাঁহাদের পিতৃ পুরুষগণের কীর্তিকলাপের শ্মশান ক্ষেত্রে বাস করিতেছেন।
৪. ধর্ম্মমাণিক্যের মৃত উজির কমল নারায়ণের কনিষ্ঠ ভ্রাতা কমল নয়ন বিশ্বাসকে দক্ষিণশিক পরগনা মধ্যে নিষ্কর প্রদানের ইহাই প্রধান কারণ।
৫. Then a war took place with Joy Manikya, the said Indra Manikya not being able to compete with Joy Manikya, again informed the Nobab.
Deposition of Ramratan Dewan, Dated 30th Sept. 1806. Before the Provincial Court of Dacca.