রাজমালা - প্ৰথম ভাগ - উপক্রমণিকা
রাজমালা - দ্বিতীয় ভাগ
রাজমালা - তৃতীয় ভাগ

রাজমালা ২.১৪

চতুৰ্দ্দশ অধ্যায়

ত্রিপুর রাজলক্ষ্মী রামগঙ্গার আশ্রয় গ্রহণ করিবার জন্য লালায়িত হইলেন। দুর্গামাণিক্যের মৃত্যু সংবাদ ত্রিপুরায় প্রচারিত হইলে জজ পেটন সাহেব ত্রিপুরা রাজ্য ও জমিদারির দাবিদারগণকে উপস্থিত হইবার জন্য ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ই মে এক ঘোষণাপত্র প্রচার করেন।

মহারাজ রামগঙ্গা, কুমার কাশীচন্দ্র, ঠাকুর শম্ভুচন্দ্র ও তাঁহার পিতা ঠাকুর রামচন্দ্র ও ঠাকুর অর্জুনমণি এবং মহারাণী সুমিত্রা রাজত্বের দাবিদার স্বরূপে উপস্থিত হইয়াছিলেন। জজ সাহেব যুবরাজের অভাবে বড় ঠাকুরকে রাজ্যাধিকারী নির্ণয় করিয়া সরাসরি বিচারে রামগঙ্গাকে ত্রিপুরারাজ্য ও জমিদারির অধিকারী বলিয়া অবধারণ করেন। তদনুসারে মহারাজ রামগঙ্গা পুনর্বার রাজদণ্ড ধারণ করিলেন। (১২২৩ ত্রিপুরাব্দে বৈশাখ মাসে।) শাস্ত্রানুসারে তাঁহার অভিষেক (১৫২) ক্রিয়া সম্পাদিত ইহাতে কিছুকাল অতীত হইয়াছিল। কারণ শম্ভুচন্দ্র, অৰ্জ্জুনমনি ও মহারানী সুমিত্রা মহারাজ রামগঙ্গার বিরুদ্ধে রীতিমত মোকদ্দমা উপস্থিত করেন। শম্ভুচন্দ্রকে যুবরাজের পদে নিযুক্ত করিবার জন্য মহারাজ দুর্গামাণিক্য প্রতিশ্রুত হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু উক্ত মহারাজ তাঁহাকে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন নাই বলিয়া, শম্ভুচন্দ্রের প্রার্থনা অগ্রাহ্য হয়। উক্ত মোকদ্দমার কাগজপত্র পর্যালোচনা দ্বারা অনুমিত হয়, যদি মহারাজ দুর্গামাণিক্যের দ্বারা শম্ভুচন্দ্র যথাবিধানে যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত হইতেন, তাহা হইলে ভূতপূর্ব নরপতি রাজধরের প্রদত্ত বড়ঠাকুর পদের বলে রামগঙ্গা কখনই কৃতকাৰ্য্য হইতে পারিতেন না। কারণ রামগঙ্গা স্বীয় আবেদন পত্রে ইহা উল্লেখ করিয়াছেন যে, মহারাজ দুর্গামাণিক্য জীবদ্দশায় কোন ব্যক্তিকেই যৌবরাজ্যে অভিষিক্ত করেন নাই, এজন্য তিনি পূর্ববর্তী নরপতির প্রদত্ত বড়ঠাকুরী পদের বলে রাজ্য ও জমিদারির স্বত্ববান হইতেছেন[১] (১৫৩)।

অৰ্জ্জুনমণির পিতা কণ্ঠমণি তাঁহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা রাজধর মাণিক্যের রাজ্যাধিকারকালে অনুপস্থিত ও নীরব ছিলেন বলিয়া অৰ্জ্জুনমণি পরাজিত হন।

দুর্গামাণিক্যের জীবিতকালে রাণী সুমিত্রা সর্বদাই শম্ভুচন্দ্রের পক্ষাবলম্বী ছিলেন। তদনন্তর জজ পেটন সাহেবের নিকট ১৮১৩ খ্রিস্টাব্দের ৬ই মে তারিখের ঘোষণাপত্র প্রচারের পর তিনি রামগঙ্গার পক্ষ সমর্থন করিয়া এক দরখাস্ত করেন। পুনর্বার সেই দরখাস্ত অস্বীকার করতঃ রামগঙ্গার বিরুদ্ধে অমূলক মোকদ্দমা উপস্থিত করিয়া পরাজিত হন।

উল্লিখিত মোকদ্দমা সমূহ নিষ্পত্তির পর গবর্ণমেণ্ট মহারাজ রামগঙ্গাকে খেলাত প্রদান পূর্বক ১৮২১ খ্রিস্টাব্দে (১২৩১ ত্রিপুরাব্দে) সিংহাসন স্থাপন করেন।[২] তৎকালে তিনি স্বীয় ভ্রাতা কাশীচন্দ্রকে যৌবরাজ্যে নিযুক্ত করেন।

রামগঙ্গা দ্বিতীয়বার রাজ্যাধিকার করিলে, উজির দুর্গামণি ও রামহরি বিশ্বাসের হস্তে রাজ্য ও জমিদারির শাসন ক্ষমতা সমর্পিত হয়। মহারাজ রামগঙ্গা তাঁহাদের কৃত উপকারের প্রত্যুপকার করিবার জন্য বিশেষ যত্নবান হইয়া (১৫৪) ছিলেন। উজির দুর্গামণি মহারাজের অনুগ্রহে এই সময় অনেকগুলি তালুক প্রাপ্ত হইয়াছিলেন। কিন্তু সামান্য তালুকের জন্য রামহরি লালায়িত ছিলেন না। ধর্মের প্রতি তাঁহার বিশেষ অনুরাগ ছিল।[৩] তাঁহাদের বিষগাঁও অবস্থান কালে রামহরি তথায় এক কালী দেবী সংস্থাপন করেন, রামহরির অনুরোধে মহারাজ রামগঙ্গা সেই কালী দেবতার সেবা পূজার ব্যয় চিরকাল রাজসরকার হইতে নির্বাহ হইবে এরূপ বৃত্তি নির্দ্ধারণ করিয়া দেন। রামহরি মাইজখাড় গ্রামে স্বীয় মাতার শ্মশান ক্ষেত্রে এক সমাধি মন্দির (মঠ) নির্মাণ করিয়া তাহাতে প্রস্তর নির্মিত “করুণাময়ী” কালীমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করেন। উক্ত মন্দিরের দ্বারস্থ খোদিতলিপি পাঠে জ্ঞাত হওয়া যায়। ১২২৬ ত্রিপুরাব্দে (১৮১৬ খ্রিস্টাব্দে) তাহা নির্মিত হয়। উল্লিখিত মন্দির প্রতিষ্ঠা ও তাহাতে করুণাময়ী মূর্ত্তি স্থাপনকালে রামহরি তুলাপুরুষ প্রভৃতি শাস্ত্রানুমোদিত ক্রিয়া কলাপ সম্পাদন করেন। তৎকালে যে কেবল বাঙ্গালা দেশের ব্রাহ্মণ পণ্ডিতদিগকে নিমন্ত্রণ করা হইয়াছিল এমত নহে, মিথিলা, বারাণসী ও মহারাষ্ট্র প্রভৃতি দেশীয় প্রধান ব্রাহ্মণ (১৫৫) পণ্ডিতগণকেও নিমন্ত্রণ করিয়া ধন দানে পরিতৃপ্ত করেন। এই ক্রিয়া সম্পাদনকালে মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্য বাহাদুর তাহার প্রিয় সহচর রামহরিকে প্রচুর পরিমাণে অর্থ সাহয্য করিয়াছিলেন। এই ক্রিয়া সম্পাদনের দুই বৎসর পর মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্য, চিরকাল করুণাময়ী দেবীর সেবা পূজা নির্বাহ জন্য রামহরিকে দেবোত্তর সম্পত্তি প্রদান করেন। রামহরির প্রতি মহারাজ রামগঙ্গার এরূপ অতিরিক্ত অনুগ্রহ দর্শনে জনৈক ইংরেজ রাজপুরুষ তাঁহার রিপোর্টে মহারাজ রামগঙ্গার প্রতি অযথা গালিবর্ষণ করিয়া লিখিয়াছেন যে, এই “দুর্বল ও নির্বোধ রাজা” তাহার বাঙ্গালি আমলার হস্তের ক্রীড়াপুতুল মাত্র। মহারাজ রামগঙ্গা যে তাঁহার সুখ দুঃখের সহচর দুর্গামণি ও রামহরির এবপ্রকার প্রত্যুপকার করিয়াই নিরস্ত হইয়াছিলেন এমত নহে, তিনি তাঁহার সাধারণ ভৃত্য (সেবক) গোবিন্দভক্তি নারায়ণ প্রভৃতিকেও তালুক ও নিষ্কর প্রদান করিয়া গিয়াছেন।

শম্ভুচন্দ্র ঠাকুর আদালতের বিচারে অকৃতকার্য্য হইয়া বাহুবলে সিংহাসন অধিকার করিতে কৃত সঙ্কল্প হন। কাইণো প্রভৃতি কতকগুলি হালাম ও কুকি শম্ভুচন্দ্রের পক্ষ অবলম্বন করে। প্রায় তিন বৎসর কাল (১৮২৪ হইতে ১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে) শম্ভুচন্দ্রের সহিত রামগঙ্গার যুদ্ধ চলিয়াছিল। ১৮২৪ খ্রিস্টাব্দে পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রজাবর্গকে শম্ভুচন্দ্র গবর্ণমেন্টের বিরুদ্ধে (১৫৬) উত্তেজিত করিতে চেষ্টা করিয়াছিলেন। এজন্য গবর্ণমেন্ট তাঁহাকে ধৃত করণোদ্দেশে পঞ্চ সহস্র মুদ্রা পুরস্কার ঘোষণা করেন।[৪] কিন্তু পার্বত্য প্রদেশবাসীগণ শম্ভুচন্দ্রের এইরূপ অনুরক্ত ছিল যে, তাহারা গবর্ণমেণ্টের প্রচারিত পুরস্কার তুচ্ছজ্ঞান করিল। এই সময় শম্ভুচন্দ্র কিছুকাল পর্বত মধ্যে লুক্কায়িত ছিলেন।

প্রথম ব্রহ্মযুদ্ধে মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্য ও তাহার ভ্রাতা যুবরাজ কাশীচন্দ্র ব্রিটিশ গবর্ণমেন্টের বিশেষ সাহায্য করিয়াছিলেন।[৫]

ব্রহ্মযুদ্ধের অবসানে শম্ভুচন্দ্র পুনর্বার রামগঙ্গার বিরুদ্ধে (১৫৭) অস্ত্রধারণ করেন। বারংবার যুদ্ধ করিয়া সুবা ধনঞ্জয়ের বাহুবলে শম্ভুচন্দ্র পরাজিত হন।

চরমাবস্থায় মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্য যুবরাজ কাশীচন্দ্রের হস্তে রাজ্য ও জমিদারির শাসনভার সমর্পণ করেন।

মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্যের একমাত্র পত্নী চন্দ্রতারা মহাদেবীর গর্ভে একটি পুত্র জন্মে। সেই বালক কৃষ্ণকিশোর আখ্যা প্রাপ্ত হন। রামগঙ্গা কৃষ্ণকিশোরকে বড়ঠাকুরের পদে নিযুক্ত করেন। রামগঙ্গার জীবিতাবস্থায় মহারাণী চন্দ্রতারাদেবী মানবলীলা সংবরণ করেন তিনি দ্বিতীয় দার পরিগ্রহ করেন নাই। তাঁহার চরিত্র সম্পূর্ণ নির্মল ছিল। তিনি পারস্য ভাষা এবং ভূমি পরিমাণ বিদ্যায় সুশিক্ষিত ছিলেন; তিনি শস্ত্র ও মল্লযুদ্ধে বিলক্ষণ পারদর্শী ছিলেন। মহারাজ রামগঙ্গা বৃন্দাবনে একটী কুঞ্জ নিৰ্ম্মাণ করিয়া, তাহাতে রাসবিহারী দেবমূর্তি প্রতিষ্ঠিত করেন। তিনি এই দেবতার সেবা পূজায় ব্যয় নির্বাহ জন্য বামুটীয়া পরগণা দেবোত্তর স্বরূপ প্রদান করিয়া গিয়াছেন। তিনি স্বীয় গুরু ও গুরুপত্নীর নামানুসারে ভুবনমোহন ও কিশোরী দেবী মূর্ত্তি নির্মাণ করিয়া, আগরতলায় স্থাপন করেন।

১২৩৬ ত্রিপুরাব্দের ২৯ কার্ত্তিক (১৮২৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ নবেম্বর) রজনী যোগে চন্দ্রগ্রহণ সময় মস্তকে দীক্ষাগুরুর পদ এবং (১৫৮) বক্ষে শালগ্রাম চক্র ধারণ করিয়া ধর্ম্মপরায়ণ মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্য পরলোক গমন করেন।

মহারাজ রামগঙ্গার মৃত্যুর পর তাঁহার কনিষ্ঠ ভ্রাতা যুবরাজ কাশীচন্দ্র রাজদণ্ড ধারণ করেন। এই ঘটনার ৪ মাস অন্তে ১২৩৭ ত্রিপুরাব্দের ফাল্গুণ মাসে (১৮২৭ খ্রিস্টাব্দের মার্চ মাসে) তিনি গবর্ণমেন্ট হইতে খেলাত প্রাপ্ত হইয়া রীতিমত সিংহাসনে আরোহণ করেন।

ঠাকুর শম্ভুচন্দ্র এই সময় ত্রিপুরা পর্বত অধিকার নিমিত্ত এক আশ্চর্য উপায় অবলম্বন করেন। বার্ষিক ২৫০০০ টাকা রাজস্ব স্বীকার পূর্বক পার্বত্য প্রদেশ বন্দোবস্ত করিয়া লইবার অভিপ্রায়ে তিনি গবর্ণর জেনারেল নিকট আবেদন করেন। কিন্তু ত্রিপুরা পর্বত একটি স্বাতন্ত্র্য রাজ্য বলিয়া গবর্ণমেন্ট তাঁহার আবেদন অগ্রাহ্য করেন।[৬]

বুদ্ধিমান নরপতি মহারাজ কাশীচন্দ্র মাণিক্য বিবেচনা (১৫৯) করিলেন যে, এবপ্রকার আত্মকলহই রাজ্যনাশের কারণ। এইজন্য তিনি ঠাকুর শম্ভুচন্দ্রকে আহ্বান করিয়া তাঁহার সহিত প্রীতি ও সদ্ভাব সংস্থাপন করিলেন। এবং তাহার জীবিকা নির্বাহ জন্য মাসিক পঞ্চ শত মুদ্রা বৃত্তি নির্দ্ধারণ করিলেন। ঠাকুর শম্ভুচন্দ্র তাহা প্রাপ্ত হইয়া কুমিল্লা নগরে শান্তভাবে জীবন যাপন করিয়া গিয়াছেন।

মহারাজ কাশীচন্দ্র একজন বিলাসী নরপতি ছিলেন। ব্রহ্ম যুদ্ধের সময়ে অনেকগুলি মণিপুরী ত্রিপুরা রাজ্যে আশ্রয় গ্রহণ করিয়াছিল। যুবক কাশীচন্দ্র মণিপুরী রমণীগণের সৌন্দর্য্যে মোহিত হইয়া প্রথমত মণিপুরের রাজকন্যা কুটিলাক্ষীকে বিবাহ করেন। তদনন্তর মণিপুরের সাধারণ বংশীয় আরও তিনটি রমণীর পাণি গ্রহণ করেন। তদ্ব্যতীত তাঁহার আরও অনেকগুলি ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় পত্নী ও উপপত্নী ছিল। মহারাণী কুটিলাক্ষীর গর্ভে কৃষ্ণচন্দ্র নামে তাঁহার এক পুত্র জন্মে। কাশীচন্দ্রের অভিষেক কালে তিনি রামগঙ্গার পুত্র কৃষ্ণকিশোরকে যুবরাজের পদে ও কৃষ্ণচন্দ্রকে বড়ঠাকুরের পদে নিযুক্ত করেন। কিন্তু অল্পকাল মধ্যে কৃষ্ণচন্দ্র মানবলীলা সম্বরণ করিয়াছিলেন।

কোন বিশেষ কারণে মহারাজ কাশীচন্দ্র ফরাসী দেশীয় এফ কোরজোন সাহেবকে চাকলে রোশনাবাদের ম্যানেজারের (১৬০) পদে নিযুক্ত করেন। এই সময় হইতে ত্রিপুর রাজ সরকারে সাহেব ম্যানেজার নিযুক্তি আরম্ভ হয়।

পারিবারিক কোন অকথ্য কারণে মহারাজ কাশীচন্দ্রের সহিত যুবরাজ কৃষ্ণকিশোরের মনোমালিন্য হইলে তিনি আগরতলা পরিত্যাগ পূর্বক উদয়পুরে গমন করেন। তথায় অল্পকাল বাস করিয়া জ্বররোগে (১২৩৯ ত্রিপুরাব্দের ২৩শে পৌষ) মহারাজ কাশীচন্দ্র মানবলীলা সংবরণ করেন। অপরিমিত মদ্যপানই তাঁহার অকাল মৃত্যুর প্রধান কারণ।

মহারাজ রামগঙ্গার শাসনকালে চাকলে রোশনাবাদের অধিকারিত্ব লইয়া অনেকগুলি মোকদ্দমা উপস্থিত হইয়াছিল বলিয়া, মহারাজ রামগঙ্গা ঋণগ্রস্ত হইয়াছিলেন। তিনি তাহার অধিকাংশ পরিশোধ করিয়া যান, অবশিষ্ট মহারাজ কাশীচন্দ্র পরিশোধ করেন।

.

টীকা

১. মহারাজ রামগঙ্গা স্বীয় আবেদন পত্রে বলিয়াছেন :-

As your Petitioner is the eldest son of Raja Rajdhar Manik, and his father also raised him to the rank of Burro Thakhur, and as in the life time of the deceased Raja Doorga Manik no one was appointed as Joobraj, your Petitioner is consequently entitled to the Raj and land- ed estates.

২. Letters from H. T. Prinsep Esq. Secretary to the Government (of India). To J. Hayes Esq Judge and Magistrate of Tipperah. Dated Fort William, 2nd June, 1831

৩. রামগঙ্গা রাজ্যচ্যুত হইবার পূর্বে রামহরিকে কিঞ্চিৎ নিস্করভূমি দান করেন। পুনর্বার রামগঙ্গা রাজ্যপ্রাপ্ত হইলে রামহরি কেবল করুনাময়ীর সেবা পূজার জন্য দেবোত্তর গ্রহণ করিয়াছিলেন। তদ্ব্যতীত কোনরূপ ভূসম্পত্তি গ্রহণ করেন নাই।

৪. In June 1824 intelligence was received that Sumbhoo Thakur, broth- er of the Raja, whose claim to succeed had been rejected by the Sudder Dewauny Adalut, had set up the standard of rebellion in the Chittagong Hill Tracts, and prohibited the Joomea cultivators from paying revenue to Government. A reward of Rs. 5000 was offered for his apprehension, his praperty, (sic) both in Hill and plain Tipperah, was ordered to be confiscated; and if caught, he was to be summarily tried by martial law.

Mackenzie’s North-East Frontier of Bengal, Page 276.

৫. মহারাজ রামগঙ্গা মাণিক্য ত্রিপুরা রাজ্যের উত্তর পূর্ব সীমান্তে সৈন্য স্থাপন করিয়াছিলেন।

৬. মহারাজ রাজধর মাণিক্যের সহিত কলহ করিয়া (১৮০০ খ্রিস্টাব্দে) রাজবংশীয় অন্য এক ব্যক্তি পার্বত্য ত্রিপুরা বন্দোবস্ত করিয়া লইবার জন্য গবর্ণমেন্ট পার্বত্য প্রদেশ চাকলে রোশনাবাদের একাংশ বলিয়া বিবেচনা করিয়াছিলেন। কিন্তু কালেক্টর সাহেব চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের কাগজাত আলোচনা করিয়া বলেন যে, পার্বত্য প্রদেশ কখনই বন্দোবস্তী মহাল চাকলে রোশনাবাদের একাংশ নহে।

৭. এফ্ কোরজনের পুত্রগণের অট্টালিকা চন্দননগর মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *