গ্রন্থভূক্ত কবিতা (কাব্যগ্রন্থ)
গান
অগ্রন্থিত কবিতা
গল্প
চলচ্চিত্র কাহিনী ও চিত্রনাট্য
সম্পাদকীয়, গদ্য ও বক্তৃতা
সাক্ষাৎকার
1 of 2

রচনাকাল : ১৯৭৪

রবীন্দ্রনাথ তোমার কবিতা উয়িদড্র করো

[পেজ #৪৪০]

রবীন্দ্রনাথ তোমার কবিতা তুমি
ফিরিয়ে নাও।
বড্ড বেশি মিথ্যে কথা ফেলেছো লিখে
তোমার কবিতা তুমি ফিরিয়ে নাও।

মানস সুন্দরী বলে কাউকে তো
দেখি না কোথাও কোনো খানে…
ওরা মানস সুন্দরী নয়– ওরা ফানুস
ভালবাস নয় ওরা কসমেটিকসের
জঘন্যতম পুজারী
ও কবিতা ফিরিয়ে নাও রবীন্দ্রনাথ।

যেতে নাহি দেবো বলে না তো কেউ
ঘৃনার নৃশংস কন্ঠে বলছে সবাই
যেথা পারো চলে যাও যেথা খুশি।
সোনার খাটে ঘুমাচ্ছে রাজারকুমার ঘুমোক–
তুমি তোমার কবিতা ফিরিয়ে নাও।

কাকে তুমি বলেছো সন্ধার মেঘমালা
ও তো সাপ উদ্যত বিষাক্ত ফনা,
কোন বিশ্বাসে ওকে ছোঁবো
কি বিশ্বাসে রাখবো ওকে বুকের সিন্দুকে
কোন অপভ্রমে চোখে ওর রাখবো চোখ
ও তো চোখ নয় ওটা এক সুরম্য ফাঁদ।
কবিতাগুলো ফিরিয়ে নাও রবীন্দ্রনাথ
যন্ত্রনার নরকে হচ্ছি নিঃশেষ
ক্ষুধার্ত মাটিতে তোমার কবিতাগুলো
বড়ো অবাস্তব।

আজ থেকে ওসব বাতিল– সব বাতিল
এই তুমুল ঘোষনা ঘোষিত হলো।

চেয়ে দ্যাখো এ চোখে স্বপ্ন নেই
কোন কল্পনার শিশুগাছ হচ্ছে না বড়ো
দেখো কোন প্রেম নেই হতাশা ছাড়া
এ দুটি চোখ শুধু সাক্ষী হয়ে আছে।

রবীন্দ্রনাথ তোমার কবিতা ফিরিয়ে নাও
নয়তো গাঁজার আসরে তোমাকেসহ
তোমার সমগ্র রচনাবলীকে
জঘন্যভাবে হত্যা করবো।

ঈশ্বরের সংগে গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার

[পেজ #৪৪৯]

মাননীয় ঈশ্বর, আসুন না একবার
আমাদের সুবর্ন ব্রোথেলে অর্থাৎ পৃথিবীতে।
শুনেছি শৈশবে, আপনিই একক স্রষ্টা নাকি
যাবতীয় সৃষ্টির য্যামোন সৌর এলাকা
পৃথিবী নামক ব্রোথেলে।

ইদানিং বিশ্বাসের লাইটপোস্ট
ভগ্নপ্রায় পড়ে আছে জাগতিক রাস্তার পাশে
কাজেই একবার আসুন মাননীয় ঈশ্বর
বিশ্বাসের বাজার বড়ো মন্দা যাচ্ছে এ্যাখোন।

আপনার সেই প্রাক্তন জনপ্রিয়তা ক্রমহ্রাসমান
কাজেই বিশেষভাবে আয়োজিত জনসভায়
কমপক্ষে একটি জরুরি ভাষন তো দিতেই হবে
অন্যথায় আগামী নির্বাচনে নির্ঘাৎ হবেন ব্যর্থ।

আপনার কালাকানুন কিছু কিছু অন্তত:
সংশোধন করাও আবশ্যক কেননা
রমনীকুল ইদানিং ইভকে অতিক্রম করেছে
এবং সমস্যার অক্টোপাস নিয়মিত চলাচল করে
আমাদের ঘরদোরে মগজে এখন।

গাঁজা খাওয়ার অভ্যাস বোধহয় করেননি
মাইরি, ওটা বড়ো চমৎকার জিনিস।

হে ঈশ্বর একবার আসুন আপনারি নিয়ন্ত্রিত
সুরম্য সুখের অসুখের এই আধুনিক ব্রোথেলে
সংগে কিছু স্বর্গীয় বেশ্যা আনাও আবশ্যক
(কারন পৃথিবীর রমনীরা আদৌ রমণী কিনা
করোটিতে এরকম সন্দেহ নড়াচড়া করে সারাক্ষন।)
যদিও বুকের গম্বুজে প্রেম এবং ছলনা ও
অন্যান্য গুনাগুন ঢেকে রেখে তারা নিশ্চিন্ত

হে চালক অন্তত একবার আসুন আমাদের এখানে
একটু পর্যবেক্ষন বৈ তো নয় এবং বিশেষভাবে
আয়োজিত জনসভায় একটি জরুরি বক্তৃতা মাত্র–

কথা দিচ্ছি বক্তৃতা শেষে আপনি ফিরে গেলে

আমরা স্বর্গীয় আশীর্বাদের অবিশ্বাস্য ভয়ে
যার যার নিজস্ব আশীর্বাদের ব্রোথেলে ঢুকবো
এবং হতাশার স্তন চুষে চুষে
নির্বিঘ্ন কাটিয়ে দেবো সমস্ত রাত।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *