উপন্যাস
বড়গল্প
ছোটগল্প
1 of 2

যত কাণ্ড পটাশপুরে

যত কাণ্ড পটাশপুরে

‘জায়গাটার নাম পটাশপুর হল কেন?’ ‘হবে না কেন?’ ‘প্রশ্নের উত্তর প্রশ্ন হয় না।’

‘হয় না তো হয় না।’

দুজনেই দোতলার ঘর। চারিদিকে চারটে জানালা। হাট খোলা। গোল টেবিলের এ-ধারে বড়মামা। ওধারে মেজোমামা।

সামনে চায়ের কাপ। গ্রীষ্মের নীল সকাল। পার্কস্ট্রিটের কিউরিও শপ থেকে মেজোমামা একটা ওয়াল ক্লক কিনে এনেছেন। মিলিটারি মেজাজে বাজে। কোনও রসকস নেই। একটু আগে ঠ্যাং ঠাং করে ছটা বেজেছে। বড়মামা ভুরু কুঁচকে বলেছেন—ডিসগাস্টিং। টেররিস্ট ক্লক। এ ঘড়ি তালিবানদের গুহায় থাকা উচিত।

মেজোমামা বলেছেন—ইতিহাস না জানলে মানুষ এই রকমই বলে। এই ঘড়িটা রবার্ট ক্লাইভের ছিল। এক ঝড়ের রাতে পঞ্চাননতলার পাঁচু খানসামা চুরি করে তালতলার মাসিক বাড়িতে রেখে এসেছিল। ঘড়িটা ঘুরতে ঘুরতে চলে এল পার্ক স্ট্রিটের কিউরিও শপে। সেখান থেকে এল আমার কাছে। দিস ইজ নট এ ঘড়ি বাট এ পিস অফ হিস্ট্রি। রোজ এক ঘণ্টা ফাস্ট হয়ে যাচ্ছে। নো প্রবলেম। গ্রীষ্মকালে এক ঘণ্টা মাইনাস করবে। শীতকালে এক ঘণ্টা প্লাস। ঘড়িটা লাস্ট ছিল টেনিস প্লেয়ার বরিস বেকারের আস্তাবলে।

বড়মামা বললেন, ননসেনস। মেজোমামা বললেন, আড়ি। বড়মামা বললেন, ধাড়িদের আবার আড়ি কি? দাড়ি বেরলে আড়ি হয় না। সব সময় ভাব। এত ঝগড়া করিস কেন? ব্যাড হেবিট। তিনবার বল, আই লাভ ইউ। রাত্তিরে তোমাকে আইসক্রিম খাওয়াব। এখন তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে নে। গাড়ি এসে গেছে।

গাড়িতে বসা নিয়ে সমস্যা হল। মেজোমামা সামনে বসবেন। বড়মামা বললেন, অসম্ভব, আমি গাড়ি চালাতে পারব না। তুই নাক ডাকিয়ে ঘুমোবি। সেই প্রভাবে আমিও ঘুমিয়ে পড়ব। হাই, ঢুল, ঘুম, ভীষণ ছোঁয়াচে।

তাহলে আমার স্থান?

আমার মস্তকে। মা মারা যাওয়ার সময় দুটি জিনিস আমাকে দিয়ে গেছেন, একটি হল, পবিত্র শালগ্রাম শিলা, আর একটি হল, তুমি।

আমার আগে কোনও বিশেষণ নেই কেন?

বড়মামা হাসলেন। বললেন, তোমার তুলনা তুমি নিজে। ওয়ান পিস, নো টু। অদ্বিতীয়। তুমি পেছনে আরামে আমাদের ভাগনের পাশে বসে পোট্যাটো চিপস খাও। খেতে খেতে চল, চলতে চলতে খাও।

মেজোমামার কি আনন্দ! চিপস! কেয়াবাত! জগদগুরু! তোমার তুলনা নেই। এক পিস বড়দা। তুমি আমার আইফেল টাওয়ার, পিসা, ব্যাবিলনের হ্যাঙ্গিং টাওয়ার। এভারেস্টের মতো উঁচু, প্রশান্ত মহাসাগরের মতো নিচু।

নিচু নয়, গভীর।

ওই হল। তাহলে আমি বসে পড়ে কাজ শুরু করি। চোয়ালের কাজ।

গাড়ি স্টার্ট নিল।

মেজোমামা বললেন, পটাশপুর জায়গাটা কোথায়? কোন জেলায়?

হুগলি, হাওড়া, বাঁকুড়া, বীরভূম।

মানে, আমরা গোল হয়ে ঘুরব। গাড়ি খাবে পেট্রল, আমরা খাব চিপস। সাপ্লাই যেন ঠিক থাকে। আমি একবার সাঁকরাইল থেকে জগদ্দলে যাচ্ছি। বাসের ছাদে তুলে দিলে। ঝাঁকা, ঝুড়ি, বস্তা, মুরগি। আরামসে বসেছি। পাশেই একটা ঝাঁকায় কচি কচি শশা। দশ কেজি শশা শেষ। শশা আর মুরগি যাচ্ছিল জগদ্দলের জুটমিলে। পার্টি ছিল। শশা দিয়ে মুরগি খাবে।

বড়মামা বললেন, শশা দিয়ে কেউ মুরগি খায় না। মুরগি দিয়ে শশা খায়।

বড়মামা গাড়িটা রাস্তার বাঁ দিকে এনে ঘুম ঘুম চেহারার এক ভদ্রলোককে জিগ্যেস করলেন, গজার মোড়টা কত দূরে?

ভদ্রলোক কিছু একটা ভাবছিলেন। চমকে উঠলেন।

গজা?

মেজোমামা বললেন, হ্যাঁ গজা। গরম গরম গজা। মর্মে মর্মে রসের রসিকতা।

বড়মামা বললেন, চুপ।

ভদ্রলোক বললেন, আশিতে চালালে দশ মিনিট। ষাটে চালালে পনেরো। চল্লিশে কুড়ি।

বড়মামা ষাটটাই পছন্দ করলেন। আমাকে বললেন, বাঁ দিকে নজর রাখ। মোটা থপথপে এক ভদ্রলোক দেখলেই বলবি। কাঁচা-পাকা চুল।

আমি দেখার আগেই বড়মামা দেখে ফেললেন।

অনন্ত, অনন্ত।

ঘ্যাঁচ করে গাড়ি থামল।

সেই বিশাল মানুষ কোনওরকমে সামনের সিটে নিজেকে ঠেসে ঢোকালেন। সেই পাশের চাকাটা খানিক দেবে গেল।

মেজোমামা আমাকে কানের কাছে মুখ এনে বললেন, গজার মোড়ের গজ।

চুপ করুন, শুনতে পাবে।

গাড়িটা না ব্রেক ডাউন হয়ে যায়!

মেজোমামা হঠাৎ প্রশ্ন করলেন, গজাবাবু, পটাশপুর নাম হল কেন?

আশ্চর্য! আপনি আমার ডাকনাম জানলেন কি করে?

আমার ভেতরে একটা শক্তি আছে।

সেই শক্তি দিয়েই জেনে নিন না, পটাশপুর নামটা হল কেন?

তাহলে আমি কনসেনট্রেট করি!

করুন। করুন।

মেজোমামা ঘুমিয়ে পড়লেন। আমার চোখও জড়িয়ে এল। হঠাৎ ঘুম ভেঙে গেল। গাড়ি চলছে না। বিশাল একটা মাঠের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে। সামনের আসনে কেউ নেই।

মেজোমামা বললেন, বাঁচা গেছে। তুই সামনে গিয়ে লম্বা হয়ে যায়। আমি পেছনে। ওরা আসে আসবে, না আসে না আসবে।

দরজা খুলে মাঠে নেমে এলুম।

গোল্লা পাকানো একটা কাগজ পড়ে আছে। খুলে দেখি পর পর লেখা রয়েছে,

 নরমুণ্ডমালা—১টা

 খাঁড়া—১টা

 কালো পাঁঠা—১টা

 নরকপোল—১টা

 কারণবারি—১০ বোতল

 ভৈরবের গাঁজা—১ পুরিয়া

এদিক-ওদিক তাকালুম। কেউ কোথাও নেই। দূরে একটা ভাঙা বাড়ি। এগিয়ে গিয়ে দেখলুম, রঙচটা এটা সাইনবোর্ড হেলে আছে—পটাশপুর পোস্ট অফিস। তলায় কে খড়ি দিয়ে লিখেছে—হরি বোল।

ভেতরের ঘর থেকে মন্ত্র পড়ার মতো শব্দ আসছে। ভাঙা টেবল, ভাঙা চেয়ার। একটি ছেলে বসে আছে। পড়া মুখস্থ করছে। আমাকে দেখে বললে, ডোন্ট ডিসটার্ব। আমার জয়েন্ট পরীক্ষা।

কেউ নেই?

কলকাতা থেকে দুজন এসেছে। বাবা তাদের নিয়ে পুষ্করিণীতে গেছে। পুষ্করিণী বানান কর।

পুকুর।

ও তো পুকুর!

আমার স্যার বলেছেন, গোলমাল দেখলেই সরে আসবি। আমার পুকুরই ভালো। পুষ্করিণীতে কাজ নেই।

এই কথা আমার বাবা শুনলে তোমার একদিন খাওয়া বন্ধ হয়ে যেত।

পেছন দিকে হঠাৎ খুঞ্জুনি বেজে উঠল। ছেলেটি বললে, আমার পিসিমা। গোপালের মন্দির। আমাকে বলেন, তুই আমার জ্যান্ত নাড়ুগোপাল। এখুনি, নাড়ু নাড়ু বলে ডাকবেন। দু’হাতে দুটো সরের নাড়ু দেবেন। আমাকে খেতে হবে।

তোমার আসল নাম কি?

অকলঙ্ক ভাদুড়ী। পড়া না পারলে বাবা বলেন, বংশের কলঙ্ক। আমার ঠাকুর্দা ম্যাট্রিকে ফার্স্ট হয়ে আমার সর্বনাশ করে গেছেন।

তোমার বাবা কি হয়েছিলেন?

বলতে নেই। পিতা স্বর্গ, পিতা ধর্ম। চলো, সরের নাড়ু খেয়ে আসি। আমরা দুজনে জোড়া গোপাল। গোপালের গরু দেখবে? সেই গরুর দুধে গোপালের ক্ষীর, ছানা, ননি।

বাড়ির পেছন দিকটা অনেকখানি। গাছপালায় ভর্তি। বেশ কিছুটা দূরে বিরাট একটা জল টলটলে পুকুর। সেখানে একটা হইচই শোনা গেল। বড়মামা চিৎকারই সব ছাপিয়ে কানে আসছে, পড়েছে, পড়েছে। মাঠের পথে মেজোমামা দৌড়ে দৌড়ে পুকুরের দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। হচ্ছে না। মন যত জোরে ছুটছে দেহ পাল্লা দিতে পারছে না। সে এক অদ্ভুত ব্যাপার।

নাড়ু ভুলে আমিও পুকুরপাড়ে। পুকুরের মাঝ-জলে খাড়া একটা ফাতনা চোঁচা, এদিক দৌড়চ্ছে ওদিক দৌড়চ্ছে। টান দেখে মনে হচ্ছে পেল্লায় মাছ।

বহুক্ষণ খেলিয়ে মাছটাকে তোলা হল। জল থেকে যেন রুপো উঠছে। মেজোমামা বলছেন, মুড়োটা দিয়ে ভাজা মুগের ডাল। আর ন্যাজার খানিকটা। আমার চাহিদা খুব কম। মানুষ খাওয়ার জন্যে জন্মায় না। জন্মাবার জন্যে খায়।

বড়মামা বললেন, কি জ্ঞান! এ ছেলে একদিন হাকিম হবে।

মাঠ-ময়দান ভেঙে আমরা এটা চালাবাড়ির সামনে এসে হাজির। বাইরে লেখা রয়েছে, ‘পটাশপুর সর্বমঙ্গলা সমিতি’—এখানে বিনা পয়সার দাঁত তোলা হয়। দাঁত বাঁধানোর খরচ আলাদা। দাঁত পিছু বত্রিশ টাকা। পরের উপকারই ধর্ম।

হই হই করে আবার গাড়িতে। এবার যাত্রী একজন বেশি। পেল্লায় একটা মাছ। ডিকিতে। মেজোমামা বললেন, নজরে রাখ। বেড়াল দেখলেই তাড়াবি। এইবার গাড়ি এসে দাঁড়াল একটা জমিদারবাড়ির সামনে। এদিক, সেদিক ভেঙে গেলেও মূল বাড়িটা ঠিক আছে। একদা এই গ্রামে দুই ভাই থাকতেন, দাতারাম আর দয়ারাম। পিতা নবীন কুণ্ডু তেলের কারবার করে মস্ত জমিদার হয়েছিলেন। দয়ারাম দয়া করতেন, দাতারাম দান করতেন।

দোতলার বৈঠকখানায় আমরা বসলুম। ভেতর দিকে অনেক মানুষের ব্যস্ততা। মাছটা সেই দিকে চলে গেল। মেজোমামা মনে করিয়ে দিলেন, মাথাটা মুগের ডালে।

পাশের কুসুমপুর থেকে দুজন ডাকসাইটে রাঁধুনি এসেছে। মানদা আর সৌদামিনী।

অনন্তবাবু বড়মামার কানে কানে কি বললেন। বড়মামা একতাড়া নোট তাঁর হাতে দিলেন।

মেজোমামা আমার কানে কানে বললেন, বড়র দান-খয়রাত শুরু হল। দাতব্য চিকিৎসালয়। বড়মামা একগাল হেসে বললেন, বুঝলি, খরচ-খরচা আছে তো! নানা রকম রান্না হবে তো। সাত, আট রকম। কি রকম গন্ধ আসছে বল। জিভে জল এসে যাচ্ছে।

বিপুল আয়োজন। লাজুক অকলঙ্ককে ধরে এনে আমার পাশে বসালুম। অল্পক্ষণের মধ্যেই তার লজ্জা কেটে গেল।

মেজোমামা বললেন, রোজ যদি এইরকম ভোগ জোটে তাহলে আমি এই পটাশপুরেই থেকে যাব। শেষ জীবনটা ঈশ্বরের আরাধনাতেই কাটিয়ে দেবো।

আহারের পর একটু গড়াগড়ি। মেজোমামা বললেন, চল, পুকুরটাকে প্রণাম করে আসি। রত্নগর্ভা! যে পুকুরে এমন মাছ থাকে সে তো পুকুর নয় পুষ্করিণী।

এই রে আবার সেই পুষ্করিণী! বানান জিগ্যেস করলেই বিপদ। ইংরিজি কত ভালো! পন্ড! কত সহজ!

বড়মামার ডাক এল। এইবার যে-কাজের জন্যে আসা, সেই কাজ। রহস্য জানা যাবে। কেন আসা এই পটাশপুরে!

অনন্তবাবু জানালেন, গাড়ি যাবে না। খানিকটা হাঁটতে হবে। পথে একটা মরা নদী পড়বে। পায়ের পাতা ডোবা জল। তারপরে হালকা একটা জঙ্গল।

তাহলে স্টার্ট।

প্রথমে বোঝা যায়নি। পরে দেখা গেল দুর্গম। অকলঙ্ক এখন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড। ছেলেটা ভারি সরল। কবে কোথায় কি হয়েছে, কে বকেছে, কে মেরেছে সব বলে যাচ্ছে।

সেই মজা নদী। শ্যাওলা ধরা বড়-ছোট পাথর। একটু অসাবধান হলেই ধপাস। শেষে সেই জঙ্গল।

মেজোমামা জিগ্যেস করলেন, কি কি বন্যপ্রাণী আছে?

বাঘ, ভাল্লুক ছাড়া সবই আছে। ফ্যাঁস-ফ্যাঁসোর অভাব নেই।

এখানেও একটা প্রাচীন মন্দির। ভুবনেশ্বরের মন্দিরের ঢঙে তৈরি। মজা নদীটা ঘুরে এই দিকে চলে এসেছে। নদীটার ধারে লতাপাতার আড়ালে আর একটা মন্দির। কাছে গিয়ে বোঝা গেল, মন্দির নয়। একটা লোহার রথ।

অনন্তবাবুর কাহিনি শুরু হল। রাজা মানসিংহ ঢাকা থেকে কারিগর আনিয়ে লোহার এই রথ তৈরি করিয়েছিলেন। রথটা হাত দশেক চলার পর আর চলেনি। এক জোড়া হাতি দিয়ে টানাবার চেষ্টা হয়েছিল। হাতি দুটো অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিল।

এই রথের ওপর একবার বাজ পড়েছিল, সেই থেকে এটা চুম্বক হয়ে গেছে। একটা মোটর গাড়ি টেনে নিতে পারে। আর ছাড়ানো যাবে না।

বড়মামা বললেন, আমাকে এখানে আনার কারণ?

অনন্তবাবুর উত্তর, আপনি আমাদের শ্রদ্ধেয়, পরোপকারী ডাক্তার। গ্রামবাসীদের তরফ থেকে এই ঐতিহাসিক রথটি আপনাকে উপহার দেওয়া হল। ইচ্ছে করলে আপনি এখানে আন্তর্জাতিক মানের ম্যাগনেট থেরাপি সেন্টার চালু করতে পারেন। আমরা আপনার সঙ্গে আছি।

রথের মাথা থেকে ভেসে এল ক্ষীণ গলা, ও বাবা পঞ্চু, আমাকে উদ্ধার কর। আজ সাতদিন আটকে বসে আছি। লোহার বালা শয়তানটা টেনে ধরে আছে।

ঠাকুমা, তুমি ওখানে গেলে কি করে?

আমি যাব কেন? আমার ছাগলটা আগে এসেছিল। তারপরে আমি।

হাতের নোয়াটা খুলে ফেল না।

আ মরণ! স্বামী বেঁচে থাকতে কেউ হাতের নোয়া খুলে বেধবা হয়! কথা শোনো।

তাহলে যদ্দিন না স্বামী মরে ওইখানে থেকে তুমি মরো।

মরব কি করে? আমার বয়েস কমে গেছে। পাকা চুল কাঁচা হয়েছে। দাঁত বেরিয়েছে। তোরা বরং ধরাধরি করে বুড়োটাকে এখানে এনে দে। যৌবনে ফিরে যাই।

লোহার রথের সামনে বড়মামার নৃত্য চুম্বক, চুম্বক, বয়েস টেনে নিয়েছে। মেজোমামা বলছেন, স্টপ, স্টপ। বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা চাই। বিজ্ঞান বলছে, চুম্বক লোহা টানে, বয়েস টানার কোনও কারণ নেই।

বড়মামা বললেন, ধরাধরি করে এটাকে ঠাকুমার কাছে তুলে দে। সাতদিন পরে নেমে আসবে একটি বালক।

কখন পিসিমা এসেছেন, দেখিনি। তিনি বলছেন, ও বাবা গোপাল! আমি তোমাকে নাড়ু খাওয়াব।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *