যজ্ঞের বদলে তীর্থ

যজ্ঞের বদলে তীর্থ

জন্ম দিয়ে মানুষের শুরু, মৃত্যুতে তার পরিণতি। কিন্তু এ পরিণতিই শেষ কথা নয়, কারণ মানুষ বিশ্বাস করে মৃত্যুর পরেও আর এক জগত আছে। এ জগত সম্বন্ধে তার কোনো ধারণা নেই। ধারণাতীত জগত তাই তার কাছে এক কল্পলোক। এখানে সে বিশ্বাসের ওপর নির্ভরশীল, যুক্তি নয়। মানুষ মনে করে মৃত্যুর মাধ্যমে সে প্রকৃতপক্ষে ইহলোক থেকে পরলোকে যায়। এটা তার কাছে ‘দেহান্তর’। কৃতকর্মের বলে সে আবার জগতে ফিরে আসে। হিন্দু ও বৌদ্ধরা একেই বলে ‘জন্মান্তরবাদ’। অন্যরা অবশ্য বিশ্বাস করে শেষবিচারে (ফাইন্যাল জাজমেন্ট)। এর জন্য মৃত্যুর পর অপেক্ষা করতে হয়। কিন্তু লক্ষণীয় উভয়ক্ষেত্রেই মানুষের কামনা চূড়ান্ত মুক্তি, ঈশ্বরের নৈকট্য লাভ বা স্বর্গলাভ।

স্বর্গবাস বা ঈশ্বরের নৈকট্য লাভের ব্যবস্থা হিসেবে ধর্মীয় অনেক বিধান আছে। এর মধ্যে তীর্থ একটি। তীর্থে মুক্তি অথবা তীর্থে স্বর্গপ্রাপ্তি, এই হচ্ছে মানুষের বিশ্বাস। তাই সকল ধর্মের ক্ষেত্রেই তীর্থ খুব গুরুত্বপূর্ণ। তীর্থ আবার যুক্ত একটি স্থানের সাথে। তাই তীর্থ ও তীর্থস্থান অঙ্গাঅঙ্গীভাবে জড়িত। উদাহরণস্বরূপ বৌদ্ধধর্মালম্বীদের কাছে গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনী ও তাঁর স্মৃতি বিজড়িত ‘বুদ্ধগয়া’ পবিত্র তীর্থস্থান। খ্রিস্টানদের কাছে জেরুজালেম পবিত্র নগরী। একইভাবে মুসলমানদের কাছে মক্কা ও মদীনা পবিত্রতম নগরী ও তীর্থস্থান। এর বিপরীতে হিন্দুদের তীর্থস্থান অসংখ্য। সারা ভারত ও এই উপমহাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে ছড়িয়ে আছে তাদের তীর্থস্থান। একটির গুরুত্ব আর একটি থেকে কম নয়। এখন প্রশ্ন : ধর্মীয় ঐতিহ্য হিসেবে এই গুরুত্বপূর্ণ তীর্থের ব্যবস্থা কি হিন্দুদের মধ্যে অনাদি কাল থেকে প্রচলিত?

হিন্দুর ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় এই তীর্থের ধারণাটি অনাদি কাল থেকে চালু নয়। ড. সুকুমারী ভট্টাচার্য্যের মতে (দি ইণ্ডিয়ান থিয়গনি : ব্রহ্মা, বিষ্ণু এ্যাণ্ড শিব: পেঙ্গুইন বুকস : ২০০০) আর্যদের মধ্যে চালু যজ্ঞের পরিবর্তেই তীর্থের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা জানি পুরাকালে আর্যরা যজ্ঞ করত। একসময় এই যজ্ঞ এক বীভৎস রূপ নেয়। নানা ধরনের যজ্ঞের মাধ্যমে আর্যরা নির্বিচারে পশু হত্যা শুরু করে। পুরাণ কাহিনীগুলোতে বর্ণিত এসব যজ্ঞের বিবরণ পড়লে গা শিউড়ে ওঠে। যজ্ঞের বলি পশুর রক্ত ও চামড়া থেকে নির্গত রসে দেশ ভেসে যায়। কথিত আছে যে, উত্তরভারতের বর্তমান অভিশপ্ত চম্বল নদী (পূর্বতন চর্মগতি নদী) পরীক্ষিত নামে এক রাজা কর্তৃক সম্পাদিত যজ্ঞের পশু রক্তেই সৃষ্ট হয়েছে।

বর্বরোচিত এ ধরনের পশু হত্যার ফলে ভূমিপুত্রদের কৃষি কাজের অশেষ ক্ষতি হয়। কারণ আমরা জানি কৃষি কাজের জন্য পশু অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। একটি গরু হারালে বা চুরি হলে কৃষক পাগল প্রায় হয়ে গরুর খোঁজে বের হয়। এর থেকেই একটি শব্দ অর্থাৎ গবেষণা (গো + এষণা) শব্দের উৎপত্তি। এ প্রেক্ষাপটে কৃষক গরুকেও পূজা করে। এমন একটি প্রয়োজনীয় পশু যখন নির্বিচারে হত্যা করা হয় তখন সমাজের প্রতিক্রিয়া হতে বাধ্য। বলা বাহুল্য আর্যদের এই বর্বরতায় সমাজে সেই তীব্র প্রতিক্রিয়াই সৃষ্টি হয়।

যজ্ঞের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার ফল হিসেবেই আমরা গৌতম বুদ্ধকে পাই। তিনি যজ্ঞ বিরোধী অবস্থান নেন। তিনি সকল প্রাণীর মঙ্গলের কথা প্রচার করতে গিয়ে বললেন : অহিংসা পরম ধর্ম। বুদ্ধের যজ্ঞ বিরোধী এই আন্দোলন ধর্মে রূপ নেয়। যজ্ঞ পড়ে যায় পেছনে। গুপ্ত যুগে (মোটামুটি ৩০০-৬০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত) অবশ্য আবার তার প্রাদুর্ভাব ঘটে। কালিদাসের সাহিত্যে যজ্ঞের প্রচুর উল্লেখ পাওয়া যায় (সুকুমারী ভট্টাচার্য : প্রাচীন ভারত-সমাজ ও সাহিত্য: আনন্দ পাবলিশার্স: তৃতীয় সংস্করণ: ১৪০১)। কিন্তু লক্ষণীয় যজ্ঞ জনপ্রিয় হয় না। আর্যরা তখন বেসামাল হয়ে ওঠে। শেষ পর্যন্ত পৌরাণিক আমলেই যজ্ঞের বিকল্প হিসেবে তীর্থের ব্যবস্থা করা হয়। এ লক্ষ্যে পুরাণগুলোকে পুনর্বিন্যাসিত করা হয়। তীর্থের সাথে যুক্ত করা হয় উপবাস, তর্পন ও দান ইত্যাদি কর্ম।

তর্পনাদির ব্যবস্থা করতে গিয়ে ব্রাহ্মণ্যবাদী আর্যরা অবশ্য একটি কূটকৌশলের আশ্রয় নেয়। তারা দান ও তর্পনে ব্রাহ্মণদেরকে যুক্ত করে। তীর্থস্থান দর্শনকালে ব্রাহ্মণদের দান-দক্ষিণা করলে আত্মার মুক্তি ঘটে বলে ব্রাহ্মণরা নানাভাবে প্রচার চালায়। পুরাণ কাহিনীগুলোতে বলা হয়: যজ্ঞে যে পুণ্য, তীর্থেও একই পুণ্য। ড. ভট্টাচার্যের মতে এই প্রেক্ষাপটেই হিন্দুদের মধ্যে তীর্থের ধারণা ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে পাশাপাশি অবশ্য কালক্রমে তীর্থস্থানগুলোতে দান ও তর্পনের বদৌলতে গড়ে ওঠে এক পরজীবী শ্রেণি। এদের নাম ‘পাণ্ডা’। বর্তমানকালে ধর্মের নামে এদের উৎপাত অসহনীয়। বলা বাহুল্য এটাই ব্রাহ্মণ্য ধর্মের মহিমা!

লক্ষণীয় তীর্থ ব্যবস্থার সাথে ব্রাহ্মণ্য আধিপত্য বজায় রাখার ব্যবস্থা করা গেলেও, তীর্থস্থানগুলো চিহ্নিত করতে গিয়ে তাদের হার মানতে হয় ভূমিপুত্রদের কাছে। এ ক্ষেত্রে তাদের বিশ্বাসই হয়ে ওঠে প্রবল। ফলে ‘হিন্দু’ নাম ও এর সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত শিব ও তার পরিবারকে ঘিরেই গড়ে ওঠে অধিকাংশ তীর্থস্থান। বিষয়টি পরিষ্কার করা যাক। আমরা জানি ‘সিন্ধু’ থেকে ‘হিন্দু’। তাই হিন্দুর কাছে নদ-নদী খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই নদ-নদীর সাথেই আবার জড়িত পর্বতমালা। কারণ নদ-নদীগুলোর উৎসস্থল পর্বত। নদ-নদী ও পাহাড়-পর্বতের সাথেই আবার জড়িত হিন্দুর প্রধান প্রধান দেব-দেবী। হিমালয় হিন্দুর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হজারীপ্রসাদ দ্বিবেদীর মতে (আলোকপর্ব : অনুবাদ : সন্ধ্যা চৌধুরী : সাহিত্য একাদেমি : ১৯৯৪) হিমালয় হিন্দুদের প্রহরী, দেবভূমি, রত্নখনি, ইতিহাস বিধাতা এবং সংস্কৃতির মেরুদণ্ড। হিমালয় শিব-পার্বতীর বিহারভূমি, নরনারায়ণের তপোভূমি এবং যক্ষ-কিন্নর-গন্ধ বিদ্যাধরগণের নিবাসস্থল। দ্বিবেদী বলছেন : হিমালয় সহস্ৰ ঋষিমুনিদের আশ্রয়ভূমি, গঙ্গা-যমুনা-ব্রহ্মপুত্র-সিন্ধু-সরস্বতীর উদ্‌গমভূমি। এই হিমালয়ের দুই কন্যা : পার্বতী ও গঙ্গা। গঙ্গার সাতটি ধারা। এর মধ্যে তিনটি ধারা পশ্চিমাংশে, তিনটি পূর্বাংশে এবং একটি মধ্যদেশ দিয়ে প্রবাহিত। মধ্যদেশের গঙ্গা নদী পৃথিবীতে নেমে এসেছে ভগীরথ রাজার তপস্যার ফলে। নদী অর্থাৎ গঙ্গা বাদে হিন্দুর দেবীদের মধ্যে আছেন পার্বতী অথবা উমা। পার্বতী মানে পর্বত কন্যা। অর্থাৎ হিমালয়কন্যা। অপর দিকে দেবী উমার ‘উমা’ শব্দও এসেছে হিমালয়বাসী ‘খস্’ জাতির ভাষা থেকে। আমরা জানি বর্তমান আসামের কামরূপ থেকে আফগানিস্তানের গান্ধার পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে রয়েছে দেবী পার্বতীর উপাসনা কেন্দ্র। এগুলো হিন্দুর তীর্থস্থান। অপরদিকে গঙ্গা ও হিমালয় কন্যা সতীকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে অনেক তীর্থস্থান। আবার বিদেহরাজের দুহিতা হিন্দুর আর এক দেবী সীতাও হিমালয়ের সাথে সম্পর্কিত। কারণ ইতিহাস বলে বিদেহ রাজ্যটিও হিমালয়ের আশেপাশে অবস্থিত ছিল। বলা বাহুল্য হিমালয়ের সাথেই আবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক শিবের।

আমরা জানি নদ-নদীর উৎসস্থল হিসেবে হিমালয় এবং হিমালয় দুহিতা (কন্যা) হিসেবে গঙ্গা হিন্দুর কাছে পূজ্য। গঙ্গা হিন্দুর জীবন-মরণের সাথে একাত্ম। গঙ্গা বিধৌত কৃষি জমিই ফসল দানের মাধ্যমে হিন্দুকে রাখে জীবিত। মৃত্যুকালে হিন্দুর কাছে তাই গঙ্গাজল পবিত্রতম। গঙ্গার পারে মৃত্যু হিন্দুকে স্বর্গবাসী করে। এহেন গঙ্গাকে হিন্দু মহাদেব অর্থাৎ শিবের সাথে সম্পর্কিত করে নিয়েছে। গঙ্গাকে কল্পনা করা হয়েছে শিবের স্ত্রী হিসেবে। এই সূত্রে হিমালয় হচ্ছে শিবের শ্বশুর। কৈলাস (হিমালয় ) আবার শিবের বসতবাটিও বটে। মজার ঘটনা আর্যদের দেবতার স্থান হিমালয়ে বা মর্ত্যে হয় নি। আর্যদের দেবতারা বাস করেন দেবলোক বা বৈকুণ্ঠে। শিবের বাসস্থান কৈলাস। আর সাধারণ দেব-দেবীর স্থান মর্ত্যলোক। দেবতাদের স্তর বিন্যাসে দেখা যায় কৈলাসের শিবের সাথে সম্পর্ক টানা হয়েছে মর্ত্যলোকের দেব-দেবীর। দেবলোকের আর্য দেবতার সঙ্গে মর্ত্যের দেব-দেবীর সম্পর্ক টানা হয় নি।

এ প্রেক্ষাপটেই দেখা যায় হিন্দুর প্রায় সব প্রধান প্রধান তীর্থস্থান গঙ্গা, গঙ্গাকল্প নদ-নদী, হিমালয় পর্বত এবং শিব ও শিব-সংশিষ্ট দেবতাদেরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠেছে। অবশ্য আর্যদেবতারা তীর্থস্থানের তালিকা থেকে বাদ যায় নি। তাদেরকে পাশে স্থান দেওয়া হয়েছে। হিন্দুর প্রধান প্রধান তীর্থস্থানগুলোর দিকে লক্ষ করলেই এ ধারণাটির সত্যতা প্রমাণিত হয়।

হিন্দুর প্রধান প্রধান তীর্থস্থানগুলো (ভ্রমণে ভারত ও বিশ্ব ভ্রমণ: সম্পাদক: তুষার কান্তি পাণ্ডে: গ্রন্থনা : কলকাতা, ২০০১) নিচে দেওয়া হল:

প্রধান প্রধান তীর্থস্থান

মন্দিরঅবস্থিতিউপাস্য/লক্ষ্য
১. পরশুরামকুণ্ডঅরুণাচল প্রদেশ। তিব্বত থেকে উৎপন্ন লোহিত নদীর তীরে।পাপমুক্ত হওয়ার জন্য স্নান।
২. কামাক্ষ্যা মন্দির – মন্দিরে আছে কালী দুর্গা তারা উমা ও কমলার প্রতিভূরূপে কামাক্ষ্যাদেবী।আসামের কামরূপ জেলা।সতীর একান্ন পীঠের একটি।
৩. শিব সাগর শিবরাত্রি উপলক্ষে তীৰ্থ।
৪. দক্ষিণেশ্বর কালী মন্দির পশ্চিমবঙ্গশিব ও কালী (১২টি শিব মন্দির)
৫. জগন্নাথ মন্দির – রথযাত্রার জন্য প্রসিদ্ধ। পুরী শহর। ওড়িষ্যা।জগন্নাথ বলরাম ও সুভদ্রা।
৬. লিঙ্গরাজ মন্দির ভুবনেশ্বর। ওড়িষ্যা।লিঙ্গরূপী শিব।
৭. তিরুপতি মন্দিরঅন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুর জেলায় অবস্থিত। প্রধানতম মন্দির। সপ্তগিরির একটি হচ্ছে তিরুমালাই। এর চূঁড়ায় বালাজী মন্দির।শিব ও বিষ্ণুরূপী বালাজী বেঙ্কটেশ্বর মন্দির।
৮. কাঞ্চিপুরম কৈলাশনাথ মন্দিরতামিলনাডুমহাদেব (আরও আছেন পার্বতীসহ ৫০ জন দেব-দেবী)।
৯. চিদাম্বরম নটরাজ মন্দিরনটরাজ মহাদেব।
১০. রামেশ্বরমরামনাথস্বামী অর্থাৎ শিব।
১১. কন্যাকুমারীদেবীর অপর (সতী) নাম।
১২. সোমনাথ মন্দিরআরবসাগর তীরে। গুজরাট।সোমেশ্বর মহাদেব (পুরাতন সোমনাথে রয়েছে সোমনাথ অর্থাৎ অহলেশ্বর শিব)।
১৩. রনথোরজী বা দ্বারকাধীন মন্দিরগুজরাট।রাজা শ্রীকৃষ্ণ।
১৪. বৃন্দাবন, দ্বারকাগুজরাট।শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি।
১৫. বিশ্বনাথ মন্দিরকাশী(বারানসী)উত্তরপ্রদেশ।মহাদেব।
১৬. হরিদ্বার (হরদ্বার)উত্তর প্রদেশ।শিবালিক পাহাড় থেকে গঙ্গা সমতলে আসছে।
১৭. কুম্ভমেলাহরিদ্বার (হরদ্বার) প্রয়াগ ও উজ্জয়িনী। উত্তরপ্রদেশ।গঙ্গার সঙ্গম স্থলে স্নান, অমৃতলাভ করা যায়।
১৮. অমরনাথ মন্দিরজম্মু ও কাশ্মীর।মহাদেব (ডানে দুর্গা, বামে গণেশ) বরফে তৈরি হয় শিবলিঙ্গ।

ওপরের তালিকাটি খুবই সংক্ষিপ্ত। এর বাইরেও হিন্দুর তীর্থস্থানের সংখ্যা প্রচুর। এ তীর্থস্থানগুলোর দিকে তাকালে দেখা যায় কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী এবং অরুণাচল থেকে গুজরাট এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের তীর্থস্থানগুলোতে এ অঞ্চলের আদি দেবতা শিব ও তাঁর গোত্রীয় দেব-দেবীরই প্রাধান্য। এই তালিকার বাইরে বাংলাদেশের চন্দ্ৰনাথ ও লাঙ্গল বন্দ (নারায়ণগঞ্জ জেলা) হিন্দুদের তীর্থস্থান। লাঙ্গলবন্দের গঙ্গাকল্প নদীতে স্নান করলে পাপমুক্ত হওয়া যায় বলে বিশ্বাস। নেপালের পশুপতিনাথের (শিব) মন্দির জগৎ বিখ্যাত। পাকিস্তানের বেলুচিস্থানের মরুতীর্থ হিংলাজ প্রসিদ্ধ একটি তীর্থস্থান। এই সবগুলোর সাথেই সম্পর্ক মহাদেবের (শিব)।

পরিশেষে বলা দরকার বর্তমান কালে তীর্থস্থানগুলো শুধু ধর্মীয় স্থান নয়। এগুলো গড়ে উঠছে পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে। দেশ-বিদেশের পর্যটকরা এই স্থানগুলো দর্শন করতে আসে। লক্ষ লক্ষ দেশি-বিদেশি তীর্থযাত্রী ও পর্যটকদের ভিড়ে এগুলো এখন পরিণত হয়েছে মহামিলন ক্ষেত্রে।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *