মৌর্য – ৮৫

৮৫

হেলেনের সঙ্গে এখন মন্দাকিনী ও শর্মিলার বেশ ভাব হয়ে গেছে। এখানে এ দুজন মহিলাই শুধু গ্রিক জানে। শর্মিলাকে সন্ন্যাসিনীর কাজ করতে হয়। তাই সময় বেশি দিতে পারেন না। পুরো সময়টা দিতে পারে মন্দাকিনী।

একদিন মন্দাকিনীর হস্তলেখা দেখে হেলেন অবাক হন। ভালোভাবে দেখেন এবং পুরোনো চিঠির সঙ্গে মিলিয়ে দেখে নিশ্চিত হন যে চন্দ্রগুপ্তের হয়ে গ্রিক ভাষায় চিঠিগুলো লিখেছে এই মন্দাকিনীই। সে অনেক ব্যাপারই জানে। প্রকাশ করে দেয় নি তো আবার। কোনো কোনো মেয়ের স্বভাবে থাকে অন্যের কথা বলে বেড়ানো। মন্দাকিনী মনে হয় এ রকম স্বভাবের নয়। এত দিনেও কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় নি।

হেলেন মন্দাকিনীর গ্রিক জানার ইতিহাস জানতে চান। একবার জিজ্ঞেসও করেন। মন্দাকিনী বলে তক্ষশীলায় বাড়ি ছিল তাদের। আলেকজান্ডারের আক্রমণে বাবা-মাকে হারায়। গ্রিকরা কিশোরী মন্দাকিনীকে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে সে গ্রিক শিখে ফেলে। তার মেধার পরিচয় পেয়ে ওরা তাকে লিখতেও বর্ণ শিক্ষা দেয়। নিজের চেষ্টায় সে ভাষাটি রপ্ত করে ফেলে।

তুমি এখানে এলে কী করে?

আমি গ্রিক শিবির থেকে ছদ্মবেশে পালিয়ে উদ্বাস্তুদের এলাকায় চলে আসি। বাবা-মার খোঁজ করি। না পেয়ে হতাশ হই। আমাদের পাড়া-প্রতিবেশীরা আমাকে তাদের সাথে থাকতে দেয় একদিন মহামন্ত্ৰী উদ্বাস্তু এলাকায় যান। আমি গ্রিক জানি শুনে আমাকে রাজপ্রাসাদে নিয়ে আসেন।

ভারি মজা তো। মন্দাকিনী, তাহলে তুমি সম্রাটকে পত্র লিখে দিয়েছ?

মন্দাকিনী মাথা নিচু করে থাকে। এতে দোষের কিছু নেই। আমার পত্রও নিশ্চয়ই পড়ে শুনিয়েছ?

এবারও মন্দাকিনী চুপ করে আছে। হেলেন বলেন, তাতেও দোষ নেই। দোষ হবে যদি চিঠিগুলোর বিষয়বস্তু কিংবা কোনো কথা দুই কান হয়।

রানিমা, একি বলছেন, সম্রাটের ব্যক্তিগত বিষয় জানানোর সাহস কার আছে?

আমিও জানি, বলতে পারো বিশ্বাস করি, কেউ আর তা জানতে পারে নি।

একদম ঠিক বলেছেন।

এখন এসো, তোমাকে বিশ্বাসের মূল্য দিই। বলে হেলেন কণ্ঠ থেকে একটি স্বর্ণের হার মন্দাকিনীর গলায় পরিয়ে দিলেন। আরও বললেন, তোমার যা কিছুর প্রয়োজন হবে, আমাকে জানাবে। আমি যেখানে যাই, তুমিও সেখানে যাবে। কোনো আপত্তি আছে?

রানিমা, একি বলছেন, এটা আমার সৌভাগ্য।

সম্রাজ্ঞী হলেও হেলেনকে এরা রানিমা বলেই ডাকে। মন্দাকিনীকে হেলেন বললেন, আমি সংস্কৃত ও প্রাকৃত, অর্থাৎ তোমাদের ভাষা শিখতে চাই, শেখাবে না?

সংস্কৃত পণ্ডিত আছেন, রানিমা।

না, আমি তোমার ও শর্মিলার কাছে শিখতে চাই।

বুঝতে পেরেছি।

কী বুঝতে পেরেছ?

গ্রিক জানা ভারতীয়রাই আপনাকে ভালো সংস্কৃত কিংবা প্রাকৃত ভাষা শেখাতে পারবে।

ঠিক বলেছ। এবার লেগে যাও। আরেকটি বিষয়।

মন্দাকিনী মুখ তুলে তাকায়। এ সময় তাকে হেলেন বলেন, আমি ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতও শিখতে চাই। সংগীতজ্ঞ কাউকে নিয়ে আসতে বলো।

সংগীত শেখার কথা শুনে মন্দাকিনী হাসল।

হেলেন আবার বললেন, এ কথা সম্রাটকে জানানো যাবে না। একদিন ভারতীয় ভাষায় কথা বলে, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত শুনিয়ে তাঁকে চমকে দিতে চাই। বুঝতে পেরেছ নিশ্চয়ই।

এবারও মন্দাকিনী হাসল। পরে বলল, রানিমা, প্রাকৃত ভাষা বিষয়ে দুজন বিশেষজ্ঞ আছেন। একজন আচার্য ভদ্ৰবাহু, অন্যজন মহামন্ত্রী। আপনি নিশ্চয় লেখার ভাষাটাও জানতে চাইবেন।

ভালো পরামর্শ দিয়েছ। তুমি একবার শর্মিলা দেবীকে সংবাদ পাঠাও। তার সঙ্গে পরামর্শ করে আচার্যের ওখানে যাব।

সংবাদ পেয়ে শর্মিলা এলেন। হেলেন বহু কথার পর আসল বিষয়টি উত্থাপন করলেন। শর্মিলা হেসে দিয়ে বললেন, এ আর এমন কঠিন কী কাজ। আমি আপনাকে সময় দেব। আচার্যের কাছে নিয়মিত যাওয়ার দরকার নেই, মাঝেমধ্যে যাবেন। শেখানোর প্রাথমিক কাজটা আমি আর মন্দাকিনীই করে নেব।

এ সময় বাইরের কক্ষে অপেক্ষা করছিল তিন শিল্পী—বাঁশিওয়ালা, সাজসজ্জার শিল্পী ও চিত্রকর। এবার বসন্ত উৎসবের সাজসজ্জার দায়িত্ব পেয়েছে দুজন, ভবদানব আর সরোজ পটুয়া। নিখিল রাত গভীর হলে পাতার বাঁশি বাজাবে। এখন সে শিল্পী বন্ধুদের সঙ্গে আছে। কিছু পরামর্শ দিচ্ছে উপযাচক হয়ে। মঞ্চ পরিকল্পনায় তাতে ব্যাঘাত হচ্ছে ভবদানবের। একবার বলে দিয়েছে, নিখিল, বিরক্ত কোরো না তো, এটা পাতার বাঁশিতে ফুঁ দেওয়া নয়, মনোযোগ একবার হারিয়ে গেলে ফিরে পাওয়া কঠিন হয়ে যায়।

তুমি বলতে চাইছ, বাঁশিতে মনোযোগের প্রয়োজন হয় না।

এ কথা আমি কখন বললাম?

সরোজ পটুয়া বলল, দৃশ্য কিংবা অবয়ব কল্পনায় কেউ যদি মনোযোগ নষ্ট করে, আমার মেজাজ ঠিক থাকে না।

তুমিও একই কথা বলছ? মনেই হচ্ছে না বাঁশিতে মনোযোগের কোনো ব্যাপার আছে। সরোজ বলল, আমরা সে কথা বলি নি। কেউ যখন ভাবে, বুঝতে হবে, তার মধ্যে সৃষ্টির ভাব জমতে শুরু করেছে। সৃষ্টির দেবী ধরা দিয়েছেন। তুমি তাই মনোযোগ নষ্ট করে দেবীকে তাড়িয়ে দিতে পারো না।

সৃষ্টি দেবীর আরাধনা নাকি?

ভবদানব বলল, সৃষ্টি দেবীর আরাধনা ছাড়া কোনো কিছু সৃষ্টি হয় নাকি?

সে জন্য কোনো কিছু করার আগে তুমি হাত জোড় করে কাউকে প্রণাম করো?

তুমি করো না? বলল সরোজ পটুয়া।

তার অর্থ, তুমিও করো।

আমার শিল্প সৃষ্টি করার সাধ্য কী, যদি সৃষ্টি দেবী তা দান না করেন।

আমি কোনো দেবীর কথা ভাবি না। মন চাইলেই পাতার বাঁশি বানিয়ে ফুঁ দিই।

খামখেয়ালি কোরো না, পবন দেবতা রুষ্ট হবেন, বলল সরোজ পটুয়া।

তুমি তোমার সৃষ্টি দেবীর নাম জানো?

না জানলে কী হবে। বিশ্বাসই বড়, বলল ভবদানব।

তোমরা নাম জানো না, অথচ ভক্তি করো, অবাক করলে।

তুমি কি নাস্তিক?

তা বলতে পারি না। আমার দেবতাকে যদি জানতে চাও, আমি বলব, এ পাতার বাঁশি। এ-ই আমাকে এখানে এনেছে, অন্য কেউ নয়।

তার অর্থ কী দাঁড়াল?

নিখিল কিছু বলার আগেই ভেতরে এদের ডাক পড়ল। সম্রাজ্ঞী তাদের ডেকেছেন।

হেলেন তাদের উদ্দেশ করে যা বললেন, মন্দাকিনী তা তাদের ভাষায় অনুবাদ করে দিল। তার মর্মার্থ এই, এবারের বসন্ত উৎসবে তাদের অসাধারণ কিছু করে দেখাতে হবে। তাদের প্রাসাদ ও নগরীর সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি শুনেছেন, মহামন্ত্রীর নির্দেশে এরা এসব কাজ করেছে। বসন্ত উৎসবেও নিশ্চয়ই মহামন্ত্রীর নির্দেশনা থাকবে। সে নির্দেশনা মেনেই তাদের সাজসজ্জা অসাধারণ করে তুলতে হবে।

কথার মাঝখানে মন্দাকিনীকে উদ্দেশ করে হেলেন বললেন, আমি তো মহামন্ত্রীর সঙ্গেও এ নিয়ে কথা বলতে পারি। কী বলো?

তাহলে তো ভালো হয়।

তিনি এখন কোথায়?

তিনি যেখানেই থাকুন, আপনি সংবাদ পাঠালে ছুটে আসবেন।

না, তুমি সংবাদ পাঠাও, আমি তাঁর কাছে যাব।

মহামন্ত্রী অবাকই হলেন হেলেনের আগমনে। বললেন, মন্ত্রীর দপ্তর দেখতে এলে আমার কিছু বলার নেই, সম্রাজ্ঞী তা সরেজমিনে দেখতে পারেন। যদি আমার কাছে এসে থাকেন, তাহলে বলব, সংবাদ দিলে আমিই যেতাম।

হেলেন হেসে দিয়ে বললেন, আচার্য, আপনি সম্রাটের শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি, তাই আমারও শ্রদ্ধেয়। আপনার গল্প শুনে শুনে সে শ্রদ্ধা আরও বেড়ে গেছে। আপনি ভারতীয় ঐতিহ্যে যেভাবে আমাকে বরণ করেছেন, তাতে আন্তরিকতার ছোঁয়া স্পষ্ট। তাই আমি আমাদের মধ্যে এ রকম একটি সম্মানজনক সম্পর্ক বজায় রাখতে চাই। অতীতের কথা ভুলে গেছি আমি। কিছু মনে রাখি নি।

চাণক্য বললেন, ব্যাপারটি নিয়ে আমি ভাবি নি, তা নয়। রাষ্ট্রযন্ত্র একটি অদ্ভুত জায়গা। এখানকার নিয়ন্ত্রণ একক কারও হাতে নয়। তাই কার্যক্রমটা নানামাত্রিক। কখনো কখনো বৈপরীত্যটা সহজে চোখে পড়ে। এ জন্য কোনো কাজকে সব সময়ের জন্য ধ্রুব বলার সুযোগ নেই। গতকাল যারা ঘনিষ্ঠ বলে মনে হয়েছে, আজ তারা ছিটকে গেছে। অতীতে যাকে অনভিপ্রেত বা অপাঙ্ক্তেয় মনে হয়েছে, বর্তমানে তিনিই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। এমনও হয়েছে, সময় অতীত বর্তমানকে ভিন্ন ভিন্ন রূপে উপস্থাপন করেছে। এটাই অপ্রিয় কিংবা অতিপ্রিয় বাস্তবতা।

আচার্য, আপনি সত্যিকার অর্থেই যুক্তিপ্রবণ বাস্তববাদী মানুষ। এ বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আপনার অবদানের কথা শুনেছি।

এ অবদানও তো আমার একার নয়। চন্দ্রের মতো তেজদীপ্ত যুবকের জন্যই তা সম্ভব হয়েছে। তিনি নানা পরাজয়েও হাল ছাড়েন নি। আমি যখনই দমে গেছি আঘাতের তাৎক্ষণিতায়, তিনি রণক্লান্ত না হয়ে নতুন উদ্যমে আবার ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। হয়তো কখনো তিনি উদ্যম হারিয়েছেন, আমি তাঁকে জাগিয়ে তুলেছি। আমাদের মধ্যে রসায়নটা ভালো ছিল।

ভালো ছিল মানে কী, আচার্য, এখন নেই?

মানুষের সবটা সময় এক রকম কাটে না। নদীও বাঁক পরিবর্তন করে।

তা করে। কিন্তু তা তার বহতাকে অটুট রাখার জন্য।

মরা গাঙে বহতা থাকে না, নদী হিসেবেও সে তার গুরুত্ব হারায়। একজন সাম্রাটের গুরুত্বপূর্ণ কাজ কী, জানেন? যুদ্ধ করে নতুন নতুন রাজ্য জয় করা। জয়ের মধ্যে অস্তিত্বশীল হওয়া। আপনার পিতা এ দর্শনটায় বিশ্বাসী। তাই তাঁকে আমার পছন্দ।

তাঁর মেয়ে হয়ে আমিও তা উপলব্ধি করি। জন্মের পর থেকেই যুদ্ধের সঙ্গে পরিচিত। বাবা বলেন, সৈনিকের ধর্মই হচ্ছে যুদ্ধ। যে সৈন্য যুদ্ধের ডাক পায় না কিংবা যুদ্ধের চিন্তা মাথায় রাখে না, সে অকর্মণ্য। সৈন্যদের বসিয়ে বসিয়ে খাওয়ানো নয়, যুদ্ধে ব্যস্ত রাখা জরুরি। না হয় নানা রকম খারাপ চিন্তা তাদের মাথায় কিলবিল করে। রাজার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সুযোগও তার থেকে সৃষ্টি হয়।

তিনি আমার কথাটাই বলেছেন।

আপনি তো সৈনিক নন, তারপরও আপনার ভাবনার সঙ্গে বাবার ভাবনা মিলে গেল।

মন্ত্রীদের সব বিষয়ে ভাবতে হয়।

এখন আপনার পরিকল্পনা কী?

সৈন্যদের বসিয়ে রাখা যাবে না। দক্ষিণে অভিযান চালাতে হবে। সম্রাট এদিকে দৃষ্টি দেবেন কি না, তা নিয়ে ভাবছি। বসন্ত উৎসবের পর এ নিয়ে কথা বলব। অবশ্য এতে আপনার সমর্থন জরুরি, বলে হাসলেন চাণক্য।

হেলেন হাসলেন না। বললেন, অভিযানে আমার সমর্থন আছে এবং আপনার সব কাজে আমি সমর্থন জুগিয়ে যাব

সম্রাজ্ঞী, আমি উৎসাহ বোধ করছি।

এবার বসন্ত উৎসবের কথা বলুন।

উৎসবটি সম্পর্কে চাণক্য একটি ধারণা দিলেন। যেকোনো আঙ্গিকেই উৎসবটি বড় মাপের। প্রকৃতির সাজসজ্জায় যেমন ঐশ্বর্য নেমে আসে বসন্তে, তেমনি মৌর্য সাম্রাজ্য বসন্ত আঙ্গিকে উৎসবটিকে সাজায়। রাজকীয়ভাবে উৎসবটি পালনের হেতু এই যে মানুষের ব্যক্তিজীবনে নানা কায়ক্লেশ থাকে, একটি আনন্দঘন উৎসব তা থেকে দুদণ্ড শান্তি দিতে পারে।

বড় কাজের ছোট দর্শনের কথা শুনে হেলেন হাসলেন। ভারতীয় ঐশ্বর্য আর ঐতিহ্যকে এখানে ব্যাপকভাবে তুলে ধরা হয়। এখানে জমে মেলা, হাতি-ঘোড়ার দৌড়, মল্লযুদ্ধ, পৌরাণিক নাটক, ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীতের পরিবেশনা, আরও কত কী, যোগ করলেন চাণক্য। পরে একটু থেমে বললেন, এবার একটি বাড়তি সুবিধা আছে, আছে বাড়তি আয়োজন। সাজসজ্জা করবে সরোজ পটুয়া এবং মঞ্চ তৈরি করবে ভবদানব। এ ছাড়া বাঁশি বাজাবে নিখিল। আমি ডেকে তাদের ধারণা দিয়ে দেব। আমি জানি আপনি তাদের পছন্দ করেন।

আচার্য, আমি মাঝেমধ্যে আপনাকে বিরক্ত করব, আপনার সময় নেব।

আমি আপনার সঙ্গে কথা বলে লাভবান হব। আপনি আরও একটু বসুন। কিছু পরামর্শ আছে।

বলুন।

আমি শুনেছি, কিছু বিষয়ে আপনার চিন্তার সঙ্গে এখানকার প্রথাগত রীতির বিরোধ উৎপন্ন হচ্ছে। তা হতেই পারে। একজন সম্রাজ্ঞীর নিজস্ব চিন্তাভাবনা থাকবে না, তা হয় না।

আমি তো কখনো তা অনুভব করি নি, বলে হেলেন হেসে দিয়ে বললেন, কেউ সমস্যাবোধ করলে আমাকে বললেই হতো।

অভিযোগ করে নি কেউ। আমার মনে হচ্ছে আপনাকে ব্যাপারগুলো আগেই অবহিত করা উচিত ছিল।

কোন ব্যাপারগুলো, আচার্য?

সকালে বিছানা ত্যাগের পর সম্রাট ধনুকধারী নারী দেহরক্ষীদের দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকা, প্রাসাদের অন্দরমহলে কর্মরত বিশ্বস্ত পরিচারিকা দ্বারা সম্রাটের স্নান, অঙ্গমর্দন, শয্যাবিন্যাস প্রভৃতি কর্ম সম্পাদন।

হেলেন বললেন, এসবে আমার আপত্তি নেই, তবে আচার্য, সম্রাট নিশ্চয় চাইবেন না পুরুষ পরিচারকগণ সম্রাজ্ঞীর অঙ্গমর্দন করুক।

এসব নিতান্তই সম্রাটের নিরাপত্তার জন্য।

সম্রাজ্ঞীর নিরাপত্তা বিধানের দায় কাদের? আমি কোনোটাই সমস্যা মনে করি না। শুধু বলার জন্য বলা।

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *