৬৩
সেলুসিয়ায় পরাজয় ও আত্মসমর্পণের সংবাদ নিয়ে গেল এক সংবাদবাহক। নাম পেরাক্লিস। ভগ্নদূত মাথা নত করে আছে। তার সামনে দিদাইমেইয়া ও লাউডিস। স্তব্ধ ও থমথমে অবস্থা লাউডিসের মেয়ে হারমিজও আছে। আজ সে-ও নিশ্চুপ। দুঃসংবাদে তার চঞ্চলতা হারিয়ে গেছে। সে তার দাদু ও মার দিকে তাকাচ্ছে এবং তাদের করুণ মুখচ্ছবি দেখে চোখ নামিয়ে নিচ্ছে। দু- তিন বছরে সে যতটা বড় হয়েছে, তারচেয়ে বেশি হয়েছে বুদ্ধিমতী।
কিছুক্ষণ এভাবে কাটার পর দিদাইমেইয়া হাহাকার করে বললেন, দেবতা জিউস আর অ্যাপোলো, বৃথাই এতকাল তোমাদের আরাধনা করেছি। আমি জানতে চাই কোন পাপে আজ আমার ভাই বন্দী। যুদ্ধজয় যদি বিজেতা জাতির দেবতাদেরও গৌরব হয়, তাহলে কি তোমরা সে গৌরব চাও নি? কী অবস্থায় আছে ওরা, কও দূত? কর্নি-নিকো কেমন আছে? কোথায় আছে?
সভয়ে দূত বর্ণনা করে, আদ্যোপান্ত, যুদ্ধের বিবরণ। উত্তর থরের যুদ্ধে জয় হয়েছিল তাদের, সে কথা বলে সে। বলে কেমন করে যুদ্ধের সাজে কর্নেলিয়া ও নিকোমেডেস বীরদর্পে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল, কীভাবে রটেছিল মৌর্য সম্রাটের মৃত্যুসংবাদ, কেমন বর্ণিল ছিল সে বিজয়ের উৎসব। সে বিজয়ের রেশ যেন কাটছে না। সে স্মৃতি রোমন্থনে উজ্জ্বল হচ্ছে দূতের মুখমণ্ডল। পল্লবিত হচ্ছে উচ্ছ্বাস। তা যেন প্রতিবিম্বিত হচ্ছে, দিদাইমেইয়া ও লাউডিসের মুখমণ্ডলেও।
হঠাৎই দূতের মুখে বিষাদের ছায়া নেমে এল। দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে বলল, মৌর্যদের সৈন্য ছিল কম। দূর থেকে দেখা যাচ্ছিল তাদের দুর্বল গতিবিধি। প্রথমে আক্রমণের সিদ্ধান্ত না থাকলেও মৌর্যদের অবস্থা দেখে হঠাৎ আক্রমণের নির্দেশ দেন মহামতি সম্রাট সেলুকাস। আক্রমণ করে মৌর্যদের পরাভূত করে সেলুসিড সৈন্যরা। উল্লাসে মেতে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে জানতে পারে, এরা মৌর্যদের পেতে রাখা জালে আটকে গেছে। আগে থেকে পুরো থর এলাকা ঘিরে রেখেছিল ওরা। জানতে পারে নি। হায় রে, মাছ আটকে গিয়ে জালে যেভাবে লম্ফঝম্ফ করে, ছিঁড়ে বের হতে চায়, চেয়েছিল আমাদের সৈন্যরাও, পারে নি। শেষে নিবৃত্ত করেন দূরদর্শী সম্রাট সেলুকাস। বলেন, আলোচনা করবেন প্রতিপক্ষের সাথে। তখন একটি পত্রও পান চন্দ্রগুপ্তের কাছ থেকে, সমঝোতার পত্র। আমাদের সম্রাট ভাবছিলেন, পরামর্শ করছিলেন জেনারেল আর সভাসদদের সঙ্গে। তখনই ঘটে অঘটন। জেনারেল ক্লদিয়াস ও আর্কিমেডেসের সৈন্যরা উত্তর থরে আক্রমণ করে জাল ছিন্ন করে বের হয়ে আসতে চায়। তুমুল যুদ্ধ বেধে যায়। সম্রাট সংবাদ শুনে দ্রুত ছুটে যান, তিনি যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব না করেই অচিন্তনীয়ভাবে অকস্মাৎ আত্মসমর্পণের ঘোষণা দেন। স্তম্ভিত হয়ে যায় পুরো গ্রিক শিবির। আমরা হতাশ। তবে বিশ্বাস করি, সম্রাট সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এখন ওরা কোথায়? কিউকেকাসের খবর কী? লাউডিসের মধ্যে উত্তেজনা!
উত্তর থরের দুর্গে বন্দী এরা। জেনারেল কিউকেকাসও সেখানে আছেন।
আর কর্নি ও নিকো, প্রশ্ন করলেন দিদাইমেইয়া।
এঁরাও সম্রাটের সঙ্গে সঙ্গে আছেন।
এরা তো যুদ্ধ করে নি, বন্দী কেন, লাউডিস জানতে চান।
আমি বলতে পারি না, প্রিন্সেস।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে দিদাইমেইয়া বললেন, দূত, তুমি বাইরে গিয়ে বিশ্রাম নাও। পরে জানাচ্ছি তোমার করণীয় কী।
পেরাক্লিস ভাবল, সে ভুল কিছু বলে নি তো, অতিরঞ্জিত কোনো কথা এসে যায় নি তো অনিয়ন্ত্রিত কোনো আবেগ বা অনুভূতি থেকে। হায়, দুর্ভাগ্য তার, দুঃসংবাদ বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তার চেয়ে মৃত্যুই ভালো ছিল। যদি আজ জয়ের সংবাদ নিয়ে আসত, তাহলে পুরস্কৃত হতো প্রচুরভাবে। ভাগ্য তাকে সে সুযোগ দেয় নি। ভাবতে ভাবতে কক্ষ থেকে বের হয়ে গেল সে। আসলে তার অবস্থা এমন যে গুছিয়ে কিছু বলতেও পারছে না।
ভগ্নদূত চলে যাওয়ার পর লাউডিস বললেন, কী আছে কর্নির ভাগ্যে? হায় রে, আমি তাকে যেতে বারণ করেছিলাম, তুমি যেতে দিলে পিসি, সঙ্গে নিকোকেও পাঠালে।
তা আজ ভাববার কথাই, লাউডিস। কিন্তু সে তো চন্দ্রগুপ্তকে ভালোবাসে।
আমিই সে কথা বলেছি তোমাকে। ওদের পত্র যোগাযোগ ছিল। আমি পড়েছিও দুয়েকটি পত্র। আজ তো অবস্থা অন্য রকম। আমার ভয় হচ্ছে। আমি জানি না নিয়তি আমার দুঃখী বোনটিকে কোন দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
ভাবনার বিষয়। আমরা পরাজিত। তোর বাবা সেলুকাস মিসর আর সিরিয়ায় পরাজিতের নারীদের সঙ্গে যে আচরণ করেছিল, তা যদি ভারতীয়দেরও স্বভাবে থাকে, তাহলে আতঙ্কিত হওয়ারই কথা। তোর মা আপামার কথা ভাব। আমি নিজে দেখেছি বহুদিন সে উদাস হয়ে থেকেছে, দীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলেছে। প্রিন্সেস নিজেকে ভেবেছে দাসী, ভোগ্যপণ্য। অবশ্য তোর বাবা পরে তাকে ভালোবেসে বিয়ে করে সম্রাজ্ঞীর মর্যাদা দিয়েছে। তোর মার মতো মানুষ খুব কমই জন্মায়। অথচ ভাব কর্নির মায়ের কথা। প্রথম থেকেই সে ছিল একটা উৎপাত। প্রিন্সেস হলেও চলত বণিকদের কন্যার মতো। শেষে কী করল, আর বলতে চাই না। সবই পাপের ফল, লাউডিস। সবাইকে তা ভোগ করতে হচ্ছে। কর্নির ভাগ্যে সবার দীর্ঘশ্বাস দুর্গতি হয়ে অভিশাপরূপে বর্ষিত হচ্ছে। হায় জিউস! দেবরাজ, কবে তোমার শক্তি দেখাবে? আমি কি মিথ্যাই এতকাল অ্যাপোলোর আরাধনা করেছি?
শান্ত হও, পিসি, বলল লাউডিস। কিন্তু তার চোখে অশ্রু ঝরছে।
দিদাইমেইয়া বললেন, আমি এন্টিওকাসের কাছে যাব।
রুষ্ট হয়ে লাউডিস বলে উঠল, কেন?
বাবার এ দুঃসময়ে তার কী দায়িত্ব, তা বুঝিয়ে দিতে। তুইও আমার সঙ্গে যাবি। তোর আপন ভাই। বলেকয়ে সেলুকাসকে উদ্ধার করে আনতে পাঠা তাকে।
তুমি কি মনে করো বাবা এতে খুশি হবেন? ফাঁসিতে ঝোলানো হলেও তিনি তার মুখ দেখতে রাজি হবেন না। আর তুমি এন্টিওকাসের সাহায্যই বা চাইছ কেন? এই দুর্মুখ কোন মুখে আমাদের সামনে দাঁড়াবে। ছি পিসি, ছি। আমার বুক ফেটে যাচ্ছে। আমরা বরং চলো জেনারেল মোলনের কাছে যাই। যেসব সৈন্য আত্মসমর্পণ করে নি, অবরুদ্ধ জালের বাইরে আছে, তাদের সংগঠিত করে মোলনের নিজের বাহিনীর কিছু সৈন্য নিয়ে প্রয়োজনে দাদু টলেমির কাছ থেকে ধার করে কিছু সৈন্য এনে সম্মিলিত বাহিনী গঠন করে আমরাই যাব।
পারবি তুই?
বীর জেনারেলের ঘরে জন্মেছি। একজন জেনারেলের স্ত্রীও। জন্মসূত্রে, বৈবাহিক বন্ধনের সুবাদে সর্বত্রই যুদ্ধ দেখেছি। কেন পারব না? কর্নির হাতে তরবারি দেখেছি, তার বোন আমি। আমি যাবই, পিসি। বাবা, স্বামী, বোন আর সেলুসিড সাম্রাজ্যের গৌরব উদ্ধারে আমারও দায়িত্ব আছে। তুমি তৈরি হও।
মা, আমিও যাব? বলল লাউডিসের মেয়ে।
বাবাকে মুক্ত করতে যাবে না? নিশ্চয়ই যাবে, বললেন লাউডিস। তাঁর কান্না থেমে গেছে। যুদ্ধের উন্মাদনা ও উত্তেজনায় যেন কাঁপছে তিনি।
এন্টিওকাস পিতার পরাজয়ের সংবাদ পেয়েছেন। ভাবছেন, পিতার বৃদ্ধ বয়স, মৃত্যুর সময় সমাগত। তাঁকে উদ্ধার করে কী হবে? সাম্রাজ্যের ভারতীয় অংশের প্রতি তাঁর লোভ নেই। ওটা বরং মৌর্যদের কাছে থাকাই তাঁর জন্য শান্তির। সম্রাট সেলুকাস বাকি জীবন মৌর্যদের কারাগারেই কাটাক।
এ সময় স্ট্রেটোনিস, অর্থাৎ তাঁর স্ত্রী এসে উপস্থিত হলেন। কী নিয়ে এত ভাবছ তুমি?
একটি সংবাদ আছে।
কী?
সম্রাট সেলুকাস পরাজিত এবং মৌর্যদের হাতে বন্দী।
ভালোই তো হলো। এখন জেনারেল মোলনকে বলো তোমার বশ্যতা স্বীকার করে নিক।
আমরা কি সেলুসিয়ায় যাব?
কেন?
সেখানে পিসি দিদাইমেইয়া ও লাউডিস রয়েছে, এদের সমবেদনা জানিয়ে সমর্থন আদায়
করতে হবে।
তার প্রয়োজন নেই। সেলুসিয়া নয়, এই সিরিয়াই হবে সেলুসিড সাম্রাজ্যের রাজধানী, আমরা এখানেই থাকব।
তোমার জন্মভূমি, এর প্রতি দুর্বলতা থাকতেই পারে।
সেলুসিয়ায় তো তুমি জন্মগ্রহণ করো নি।
হ্যাঁ, তা ঠিক। আমি জন্মেছিলাম সোকদিয়ানায়। আমার মা আপামারও জন্মভূমি।
ওসব এখন ভুলে যাও।
আমি ভাবছিলাম বোন কর্নেলিয়ার কথা।
সে আমারও মেয়ে। বাদ দাও তার কথা। ওর ভাগ্যের সঙ্গে আমাদের ছেলেমেয়েদের ভাগ্য জড়াতে চাই না। তোমার সঙ্গে আমার বিয়ে হওয়ার পর থেকে সে আমার কাছে মৃত।
তাকে তুমি পেটে ধরেছ।
ভাগ্যের কথা আগে জানতে পারলে তাকে আমি জন্মের সময়ই গলা টিপে মেরে ফেলতাম। এ কথা শুনে এন্টিওকাসের ভেতর থেকে একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে এল, অতি কষ্টে তা স্ত্রীর কাছে গোপন করলেন।
স্ট্রেটোনিস বললেন, তুমি দ্রুত মোলনকে ডেকে পাঠাও। তার বশ্যতাই এখন গুরুত্বপূর্ণ।
আমি ভাবছি অন্য কথা।
কী?
আচাইয়াসের কথা।
সে তো ব্যবসায়ী। তাকে ব্যবসা করতে দাও।
না, সে যুদ্ধ করবে না। তাকে হাতে রাখা দরকার। কখন কী ঘটে, কে জানে? এ ছাড়া তারও তো বাবা। সে রাজনীতিতে উদাসীন। বাবার ব্যাপারে তো উদাসীন নয়। তার প্রতিক্রিয়াটাও জেনে রাখা ভালো। আরেকটা ব্যাপার আছে।
কী?
দাদা টলেমি।
তিনি তো মিসরের ফারাও। তাকে টেনে আনছ কেন?
বাবার বন্দিত্বের কথা শুনে আচাইয়াস দাদার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে, তা-ও বন্ধ করতে হবে।
এটা ঠিক বলেছ। ওকে ডাকাও। পাশাপাশি মোলনকেও। প্রথমে ওদের মনোভাব জানবে। প্রয়োজনে দুজনকেই বন্দী করবে কৌশলে।
তুমি একজন পরিপক্ব রাজনীতিবিদ।
তা তুমি হতে দিলে কোথায়?
.
লাউডিস নিজে থেকেই সব জায়গায় যোগাযোগের সঙ্গে ভাই আচাইয়াসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আচাইয়াস দ্রুত ছুটে আসেন লাউডিসের কাছে। ভাইবোন কিছুক্ষণ জড়িয়ে ধরে কাঁদলেন। এ সময় উপস্থিত হলেন দিদাইমেইয়া। আচাইয়াস পিসিকে ধরেও আবেগ সংবরণ করতে পারলেন না।
দিদাইমেইয়া বললেন, শক্ত হও। আমরা যে পরামর্শ করেছি, তা শুনেছ বোধ হয়। তিনি আবার বললেন পরিকল্পনার কথা।
তা বাস্তবায়নে অর্থের প্রয়োজন হবে। এত অর্থ কোথায় পাওয়া যাবে? যুদ্ধে মনে হয় রা কোষ খালি।
দিদাইমেইয়া বললেন, তুমি অর্ধেক দেবে। আমরা বাকিটার ব্যবস্থা করব।
এত অর্থ তো নগদে নেই, জোগাড় করতে হবে। লোন নিতে হবে। চড়া সুদ, বারো পারসেন্ট।
তা হোক। সবই পরিশোধ করে দেব।
যুদ্ধে প্রচুর ব্যয় হয়ে গেছে।
তোমার বাবা বন্দিত্ব থেকে মুক্তি পেলে রাজকোষ আবার স্বর্ণমুদ্রায় ভরে যাবে। সে নিয়ে ভেবো না।
এ সময় জেনারেল মোলনও এসে উপস্থিত হলেন।
জেনারেল মোলন, এসে ভালোই করেছ। আমরা কী নিয়ে কথা বলছি, বুঝতে পেরেছ নিশ্চয়ই!
আপনাদের পরিকল্পনা কী?
লাউডিস পুরো পরিকল্পনা বললেন। অর্থ সংস্থানের প্রসঙ্গে আচাইয়াসকে দেখিয়ে বললেন, প্রয়োজন হলে আমার ভাই অর্থের জোগান দেবে।
পরিকল্পনা শুনে মোলন বললেন, সব ঠিক আছে। আমি আমার লোক পাঠিয়েছি সর্বশেষ অবস্থা জানার জন্য। আমাদের পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা নির্ভর করছে তারা ফিরে এসে তথ্য জানানোর ওপর। আর একটি কথা, এন্টিওকাস খবর পাঠিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যেতে। আচাইয়াস বললেন, আমাকেও সংবাদ পাঠিয়েছে। আমি তার বড় ভাই, তার উচিত ছিল আমার সঙ্গে সাক্ষাৎ করা।
দিদাইমেইয়া বললেন, তোমরা কেউ যাবে না। তার উদ্দেশ্য খারাপ হতে পারে। তাকে আমরা কেউ বিশ্বাস করি না। মোলন, তোমার দূত কখন ফিরে আসবে?
খুব শিগগির। এন্টিওকাস কী বলতে চান, শুনে আসা ভালো ছিল। হতে পারে তিনিও আমাদের সঙ্গে যোগ দেবেন, তাঁর নেতৃত্বেই আমরা অভিযানে যাব।
অনেক কিছুই হতে পারে, বললেন লাউডিস। আমাদের পরিকল্পনা শুনে তা পণ্ড করে দিতে পারেন। আপনি যদি যান, আমাদের পরিকল্পনার কথা তাঁকে বলবেন না। তিনি কী চান, জেনে আসবেন।
দিদাইমেইয়া আচাইয়াসকে বললেন, তুমি সাবধানে থেকো। তুমি বুঝতেও পারবে না সে কোথায় তোমার ক্ষতি করবে।
আচাইয়াস হেসে দিয়ে বললেন, তুমি এ নিয়ে চিন্তা কোরো না। আমি রাজনীতি করি না বটে, কিন্তু ব্যবসায়ীকেও রাজনীতি জানতে হয়।
তবে ওকে খেপিয়ে তোলো না। এখন আমরা শত্রু বাড়াতে চাই না। মোলনকেও একই কথা বলছি। হায় জিউস, সব যেন মঙ্গলজনক হয়।