৩১
অনেক ভেবেচিন্তে সম্রাট সেলুকাস তাঁর বাহিনীকে দুটি ভাগে ভাগ করলেন। একটির নাম দিলেন ইস্টার্ন কমান্ড এবং অপরটির ওয়েস্টার্ন কমান্ড। আগে হলে অবশ্যই একটির দায়িত্ব দিতেন এন্টিওকাসকে। এ সময়ে ছেলেকে খুব মনে পড়ল। একটি দীর্ঘশ্বাসও বের হয়ে এল ভেতর থেকে। এমন কাণ্ড করল তাঁর ছেলে? নিজে পূর্বাঞ্চল কমান্ডের অধিনায়ক হলেন, পশ্চিমাঞ্চলের দায়িত্ব দিলেন জেনারেল মোলনকে। তবে সম্রাট হিসেবে চিফ কমান্ডারের দায়িত্বও তাঁর হাতে থাকল।
এ সময় ভারতীয় মিত্রদের বন্দী হওয়ার সংবাদটি তাঁর কানে গেল। দুঃখ ও ক্ষোভে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়লেন। সমস্যা হচ্ছে, তিনি উত্তেজিত হলে কিংবা ভুল করলে তাঁকে ঠান্ডা করার কেউ নেই। তাঁর জেনারেল কিংবা উপদেষ্টা—কাউকে তিনি সে পর্যায়ে রাখেন নি। অবশ্য না রাখার যুক্তিও আছে। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর ক্ষমতার যে লড়াই, সেখানে কাউকে বিশ্বাস করে বন্ধু করা যায় না। তাই বয়োজ্যেষ্ঠ কাউকে তিনি বড় পদে রাখেন নি, পদগুলোতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও কনিষ্ঠদের রেখেছেন, যাদের বিশ্বাস করা যায়। এ বৃদ্ধ বয়সেও সে জন্য তাঁর বেশ খাটুনি যাচ্ছে এবং প্রায় সময়ই ধৈর্য হারাতে হচ্ছে, ঘাত-প্রতিঘাতও তো কম মোকাবিলা করতে হয় নি। তবু হার মানার পাত্র নন। আবার জেনারেলদের নিয়ে বসলেন। পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন আনতে হবে। যুদ্ধকৌশল নিয়ে অনেক কথা হলো। জেনারেল মোলন সেটেলারদের থেকে আরও অনিয়মিত সৈন্য সংগ্রহের পরামর্শ দিলেন। মৌর্যদের হস্তীবাহিনী সম্পর্কে বলতে গিয়ে আলেকজান্ডারের কালে রাজা পুরুর বাহিনীতে দেখা অভিজ্ঞতা নতুন জেনারেলদের কাছে ব্যক্ত করলেন সেলুকাস। পুরুর বাহিনীতে হস্তীর সংখ্যা খুব বেশি ছিল না। এবারও সে রকমটি আশঙ্কা করলেন। হস্তীবাহিনীর মোকাবিলা করার একটি পরিকল্পনাও দেওয়া হলো।
সভা করার কিছুদিন আগে ভারতীয় অংশে অবস্থানকারী একজন গোয়েন্দাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। গোয়েন্দার পাঠানো কিছু সংকেত অস্পষ্ট ছিল। স্পষ্টীকরণের জন্য তাকে আবার ডাকা হয়েছে।
গোয়েন্দার কাছে সেলুকাস জানতে চাইলেন কী করে ভারতীয় দুই মিত্রের মৃত্যু হলো। একজনের মৃত্যু হয়েছে, মহামান্য সম্রাট। রাক্ষসপত্নীকে হত্যা করা হয় নি, বন্দী করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
তাদের দায়িত্ব নেওয়ার মতো কাউকে পাওয়া গেল?
সেনাপতি মুকুন্দগুপ্তের অধীন একজন সেনাপতি এসেছেন। তাঁর কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানা যেতে পারে।
প্রায় অস্থিরভাবেই সেলুকাস ডাকালেন তাঁকে। সেনাপতির নাম সদাচার ভট্ট। সাধারণ পোশাকে উপস্থিত করা হলো তাঁকে। সেলুসিড সম্রাট সেলুকাসের প্রাসাদ তাঁর মাথা ঘুরিয়ে দিল। তিনি এদিক-সেদিক তাকাচ্ছিলেন কৌতূহলী হয়ে। সেলুকাসের জেনারেল, রাজপারিষদ, এমনকি সাধারণ সৈন্যদের পোশাক-আশাকে একেবারে তাঁর চোখ ধাঁধিয়ে দেয়। নিজের দুঃখ হয় তিনি এমন এক রাজার বাহিনীতে কাজ করেছেন, যাদের সমরসজ্জা কোনোভাবেই গ্রিক বাহিনীর সমরসজ্জার সঙ্গে তুলনীয় নয়। মনে মনে ভাবলেন, মৌর্যরা যত সৈন্য নিয়ে আক্রমণ করুক না কেন, তাদের পরাজয় নিশ্চিত।
সেনাপতি সদাচার ভট্ট, প্রথমত আপনার কাছে জানতে চাইব মুকুন্দগুপ্ত ও সর্বাণী দেবীর অবর্তমানে আপনাদের বাহিনীর দায়িত্ব নিচ্ছে কে?
সেলুকাসের প্রশ্নের জবাবে সেনাপতি বললেন, তা পূর্বনির্ধারিত ছিল, মহামান্য সম্রাট। আমাকেই সে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
আপনার সৈনিকদের অবস্থা কী? সেনাপতির মৃত্যু কি কোনো প্রভাব ফেলবে?
মনে হয় না, ওদের মনোভাব অটুট আছে।
মহামান্য সম্রাট, ভারতীয় যুদ্ধকৌশল ও অস্ত্রশস্ত্র সম্পর্কে তাঁর কাছ থেকে জানা যেতে পারে, বললেন জেনারেল মোলন।
পুরুর সঙ্গে যুদ্ধে ভারতীয় যুদ্ধকৌশল ও অস্ত্র সম্পর্কে তখন ধারণা হয়েছিল। এত দিনে নিশ্চয়ই মৌর্যরা তাতে উন্নতি সাধন করেছে। বলুন সেনাপতি, মাত্র কদিন আগে তাদের সঙ্গে আপনাদের যুদ্ধ হয়েছে। সম্রাট সেলুকাস এর আগে তাঁর গোয়েন্দাকে উদ্দেশ করে বললেন, তুমি মৌর্যদের সৈন্যসংখ্যা বলেছিলে ছয় লক্ষ।
জি তাই।
এবার বলুন সেনাপতি।
ভারতীয় সৈন্যরা দেবতাদের ঐতিহ্যবাহী অস্ত্রশস্ত্র এখনো ব্যবহার করে এবং অস্ত্রের নামানুসারে সৈন্যদের শ্রেণিবিন্যাস করা হয়। মৌর্যরা তার ব্যতিক্রম নয়।
দেবতারা অস্ত্র ব্যবহার করেন নাকি?
ভারতীয় দুটি মহাকাব্য ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এ সে কথাই বলা আছে।
সে কথা আমাদের মহাকাব্য ‘ইলিয়াড’ ও ‘ওডেসি’তেও বলা আছে, বললেন সেলুকাস। যোগ করলেন, গ্রিকদের চিন্তাভাবনার সঙ্গে ভারতীয় চিন্তাভাবনার মিল রয়েছে দেখছি।
ভারতীয়দের কাছে অতীন্দ্রিয় শক্তির সঙ্গে অস্ত্রশক্তির সংযোগ রয়েছে। তাই মৌর্যসহ সব ভারতীয়ের অস্ত্রের নাম দেবতাদের ব্যবহৃত অস্ত্রের নামে নামকরণ করা হয়েছে। ব্ৰহ্মাস্ত্ৰ সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার নামে নামকৃত। বিশ্বকে ধ্বংস করার জন্য এ অস্ত্র যথেষ্ট। তবে মহাভারতের যুদ্ধে পরশুরাম, ভীষ্ম, দ্রোণ, কর্ণ, কৃপা, অশ্বত্থামা, অর্জুন, যুধিষ্ঠিরসহ আরও অনেক মহারথী এবং লঙ্কার যুদ্ধে রামের ভ্রাতা লক্ষ্মণ এ অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। এটি গোলাজাতীয় অস্ত্র। শিবের অস্ত্র ত্রিশূল। গদা হনুমানের অস্ত্র। ভীম ও দুর্যোধন এ অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। সুদর্শনচক্র বিষ্ণুর অস্ত্র, মহাভারতে ব্যবহার করেছেন কৃষ্ণ। এক এক করে তিনবার ব্যবহারযোগ্য অস্ত্র। বারবারিক, এই তিন তিরবিশিষ্ট ধনুক অস্ত্রের ব্যবহার করেছেন কেউ কেউ। ইন্দ্রাস্ত্র আকাশ থেকে মেঘের মতো বর্ষণযোগ্য অস্ত্র। আবহাওয়ার দেবতা ইন্দ্র এই অস্ত্রের নিক্ষেপকর্তা। আগ্নেয়াস্ত্র অগ্নিদেবতা নিক্ষেপ করেন। এ ধারণা থেকে ভারতীয় সৈন্যরা তির দ্বারা বহনযোগ্য অস্ত্র হিসেবে দেবতা বরুণ বরুণাস্ত্র নিক্ষেপ করেন। নালিকা হচ্ছে একধরনের শর। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে অর্জুন কর্ণের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। মানবাস্ত্র ব্যবহার করেছেন মানবজাতির পিতা। রাম রাক্ষস মারিচের বিরুদ্ধে এই অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। ভূমি অস্ত্র ভূমিতে ব্যবহারযোগ্য। পরিখা ও সুড়ঙ্গ খননে তা ব্যবহৃত হয়। ভার্গবাস্ত্র নামে একটি অস্ত্র পরশুরাম ব্যবহার করেছেন। নাগাস্ত্র সর্পসদৃশ। কৰ্ণ অর্জুনের বিরুদ্ধে এবং রামায়ণে রামের বিরুদ্ধে রাবণপুত্র মেঘনাধ এটি ব্যবহার করেছেন। অন্যদিকে নাগাস্ত্রের বিরুদ্ধে গারুদ ব্যবহার করেছেন রাম। অর্জুন ব্যবহার করেছেন সামুহা কৌরবদের বিরুদ্ধে। এটি পরিখা বা সুড়ঙ্গ ধ্বংসকারী অস্ত্র। পর্বতাস্ত্র ওপর থেকে নিক্ষেপ করতে হয়। ব্রহ্মের আরেকটি মারাত্মক অস্ত্র আছে, নাম ব্রহ্মশীর্ষাস্ত্র। নারাণাস্ত্র মূলত বিষ্ণুর অস্ত্র শর। পাণ্ডবদের বিরুদ্ধে অশ্বত্থামা এটি ব্যবহার করেছেন। এই অস্ত্র অনবরত অগ্নিতির নিক্ষেপ করতে সক্ষম। শুধু তা-ই নয়, এ অস্ত্র থেকে চক্র, গদা, উল্টো কাঁটার তির নিক্ষেপ করা যায়। বৈষ্ণবাস্ত্ৰ লক্ষ্য ভেদে মারাত্মক। বিষ্ণু এই অস্ত্রের উদ্গাতা। কৃষ্ণ এ অস্ত্র ব্যবহার করেছেন। কৌমদাফি, শারাঙ্গ, নন্দক প্রভৃতিও বিষ্ণুর অস্ত্র। বিজয়, পিনাক, মহেশাস্ত্র, রুদ্রাস্ত্র, পশুপত, পরশু চন্দ্র, গাণ্ডিব প্রভৃতি শিবের মারাত্মক সব বিধ্বংসী অস্ত্র।
এত সব অস্ত্র ব্যবহার করে মৌর্যরা, মোলনের অবাক প্রশ্ন।
ঢাল, তরবারি, বর্শা প্রভৃতিও ব্যবহার করে। আলেকজান্ডারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে ভারতীয়রা এসব অস্ত্রের ধারণা পায়।
সেলুকাস বললেন, কারা ব্যবহার করে এসব অস্ত্র? আমি বোঝাতে চাইছি, এগুলো কি আলাদা আলাদা বাহিনী ব্যবহার করে?
জি, ভিন্ন ভিন্ন স্তরে আলাদা আলাদাভাবে এরা ব্যূহ রচনা করে। বেশির ভাগই পদাতিক সৈন্য। গজারোহী, অশ্বারোহী, রথী, গোলন্দাজ প্রভৃতি সৈন্যরা এদের সহায়তা করে। মহাভারত কিংবা রামায়ণের যুদ্ধের মতো এককভাবে নয়, যুদ্ধটাই হয় সামগ্রিকভাবে আক্রমণের মধ্য দিয়ে।
কিছু অস্ত্র ও যুদ্ধকৌশলের সঙ্গে সেলুকাস পূর্বপরিচিত। তারপরও বিষয়গুলো যেন তাঁর মাথায় জট পাকিয়ে দিয়েছে। এমনিতেই তিনি অস্থিরতায় ভুগছেন। সেনাপতি সদাচার ভট্টকে বললেন, আমি বুঝতে পেরেছি। যুদ্ধের পরিকল্পনা তো আপনার জানা আছে, এখন ফিরে গিয়ে সেইমতো প্রস্তুতি নিন।
সেলুকাস যুদ্ধের নতুন পরিকল্পনাটা তাঁকে জানাতে চাইলেন না। ভারতীয় সেনাপতি চলে গেলে তিনি তাঁর সেনাপতিদের বললেন, এত সব অস্ত্র আর সৈন্যের মধ্যে প্রবেশ করে ফিরে আসা খুব কঠিন হবে। অবশ্য তাঁর কথায় অস্পষ্টতা আছে। আমাদের গোয়েন্দাদের এসব তথ্য দিয়ে যাচাই করে দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলো। যুদ্ধ শুরুর আগেই আমি প্রতিবেদন চাই।
দেদাইমেইয়া সচরাচর যুদ্ধ নিয়ে তেমন মাথা ঘামান না। বয়স হলে মানুষ যুক্তিপরায়ণ এবং কিছুটা স্বার্থপর হয়ে যায়। দেদাইমেইয়া সে রকম নন। যুদ্ধে ভাইকে এবার সমর্থন দিচ্ছেন, সহযোগিতা করছেন। আজও ভাইয়ের মনোভাব দেখে তাঁর জন্য সেলুসিড প্রাসাদে অপেক্ষা করেছেন। সেলুকাস সভার কাজ শেষ করে ফিরে এলে তিনি প্রথমেই জিজ্ঞেস করলেন, তোমার মন খারাপ কেন? কী হয়েছে?
একটু অস্থিরতায় আছি আমি।
কী নিয়ে এ অস্থিরতা?
মৌর্যদের যুদ্ধকৌশল আর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অদ্ভুত সব কথা শুনলাম। অস্ত্রগুলো নাকি স্পিরিচুয়াল।
তাতে কী হয়েছে? আমরাও দেবতাদের কাছে গিয়ে যুদ্ধ জয়ের ইচ্ছা জানাতে পারি, যুদ্ধে তাঁদের পাশে পেতে আরাধনা করতে পারি।
তা পারি, কিন্তু স্পিরিচুয়াল অস্ত্র কোথায় পাব? অলৌকিক ক্ষমতা, নাকি সেসব অস্ত্রের।
কথাটা কে বলল তোমাকে?
পর্বতরাজ মলয়কেতুর এক সেনাপতি, নাম তার সদাচার ভট্ট। ওরা আমাদের পক্ষে যুদ্ধ করবে।
এরা যদি স্পিরিচুয়াল অস্ত্র ব্যবহার করে, তাহলে মৌর্যদের সঙ্গে যুদ্ধে হেরে গেল কেন? আমি যত দূর জেনেছি, এরা সনাতন হিন্দুধর্মে বিশ্বাসী, আর মৌর্য সম্রাট হচ্ছেন জৈন—যাঁরা ঈশ্বর-দেবতায় বিশ্বাসী নন। তাঁর মন্ত্রী পূর্বে ব্রাহ্মণ থাকলেও এখন নাকি আজীবিক ধর্মে বিশ্বাস করেন। তাঁদের জন্য স্পিরিচুয়াল অস্ত্র কাজ করবে কেন? তুমি শান্ত হও। আর যৌক্তিকভাবে যুদ্ধ পরিকল্পনায় মাথা খাটাও। যাঁরা সনাতন ধর্মবিশ্বাস থেকে সরে এসেছেন, সনাতন দেবতারা তাঁদের কেন সহায়তা করবেন?
তুমি মনে হয় ঠিক বলেছ? ওদের ধর্মবিশ্বাস সম্পর্কে এত কিছু জানো কী করে?
খোঁজ নিয়েছি আমি।
কী জন্য?
পরে জানবে তুমি। যুদ্ধ মনে হয় দীর্ঘস্থায়ী হবে।
কী করে বুঝলে?
এটি আমার অনুমান, না-ও হতে পারে।
এ সময় লাউডিস ও কর্নেলিয়া এসে উপস্থিত হন। যথারীতি লাউডিসের সঙ্গে তাঁর কন্যা হারমিজ রয়েছে। লাউডিস বললেন, বাবা, তোমাদের কথায় বিঘ্ন ঘটাই নি তো?
না না, তোরা এসে ভালো করেছিস। তোদের আন্টি একটি ভালো কথা বলেছে, বুঝলি। আমি খুব অস্থিরতায় ছিলাম। তা এখন কেটে গেছে। সম্রাট হোন আর জেনারেল হোন, পারিবারিক বন্ধন ও নিকটজনদের সাহচর্য ও পরামর্শ যে কত প্রয়োজন, তা এখন বুঝতে পারছি। এখন আমরা শুধু নিজেরা এ সময়টা উপভোগ করব এবং একসঙ্গে খাব। হারমিজ, কী বলো প্রিয়তমা?
হারমিজ নানার কাছে চলে এল। কী বলছিলে মাথামুণ্ডু আমি কিছুই বুঝি নি। তুমি বরং আমার একটা নৃত্য উপভোগ করো। বলে সে নাচতে ও গাইতে শুরু করে দিল। ফলে পরিবেশটা আরও হালকা হয়ে গেল। সেলুকাস নিজেও সব দুশ্চিন্তার বন্ধন থেকে নিজেকে মুক্ত বোধ করলেন। হারমিজের সঙ্গে নৃত্যে অংশ নিয়ে সবাইকে আনন্দে ভাসিয়ে দিলেন। বহুকাল পর এ রকমটি ঘটল।
কর্নেলিয়া গুরুত্বপূর্ণ কিছু কথা বলবেন বলে এসেছিলেন। পরিবেশটা সে রকম নয়। তাই হালকা বিনোদনে আত্মনিয়োগ করলেন।