মেঠো চাঁদ রয়েছে তাকায়ে
আমার মুখের দিকে — ডাইনে আর বাঁয়ে
পোড়া জমি — খড়-নাড়া — মাঠের ফাটল,
শিশিরের জল!
মেঠো চাঁদ — কাস্তের মতো বাঁকা, চোখে–
চেয়ে আছে — এমনি সে তাকায়েছে কত রাত — নাই লেখাজোখা।
মেঠো চাঁদ বলে:
আকাশের তলে
ক্ষেতে ক্ষেতে লাঙলের ধার
মুছে গেছে, ফসল কাটার
সময় আসিয়া গেছে — চলে গেছে কবে!–
শস্য ফলিয়া গেছে — তুমি কেন তবে
রয়েছ দাঁড়ায়ে
একা একা! –ডাইনে আর বাঁয়ে
খড়-নাড়া — পোড়ো জমি — মাঠের ফাটল,–
শিশিরের জল।’…
আমি তারে বলি:
‘ফসল গিয়েছে ঢের ফলি,
শস্য গিয়েছে ঝরে কত–
বুড়ো হয়ে গেছ তুমি এই বুড়ি পৃথিবীর মতো!
ক্ষেতে ক্ষেতে লাঙলে ধার
মুছে গেছে কতবার, কতবার ফসল কাটার
সময় আসিয়া গেছে — চলে গেছে কবে!–
শস্য ফলিয়া গেছে– তুমি কেন তবে
রয়েছ দাঁড়ায়ে
একা একা! –ডাইনে আর বাঁয়ে
পোড়ো জমি –খড়-নাড়া –মাঠের ফাটল–
শিশিরের জল!’