মেট্রোপলিটন মন ইত্যাদি প্রসঙ্গে

মেট্রোপলিটন মন ইত্যাদি প্রসঙ্গে

এই গ্রন্থের অধিকাংশ রচনা মধ্যবিত্ত শ্রেণির নানাবিধ সামাজিক, সাংস্কৃতিক, মানসিক সংকট ও সমস্যার আলোচনা, ‘অ্যালিয়েনেশন’—এর সমস্যা তার মধ্যে একটি। ধনোন্নত ও উন্নয়নপথের অভিযাত্রী বিভিন্ন দেশ—নির্বিশেষে আজ মধ্যবিত্ত শ্রেণির বিভিন্ন স্তরের বিপুল কলেবরবৃদ্ধি এবং তৎসহ তাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অত্যাশ্চর্য বিস্তার ও বিকৃতি, বোধহয় সাম্প্রতিক একপুরুষকালের সবচাইতে বড় ঐতিহাসিক—সামাজিক ঘটনা। মধ্যবিত্তের উচ্চ ও মধ্যস্তরবর্তী বিত্তশালীদের ক্রমিক বিত্তবৃদ্ধি, ভোগবিলাসিতার ও কামনা বাসনার বৈচিত্র্যবৃদ্ধি, এবং নীচের স্তরের বিশাল স্বল্পবিত্ত ও বিত্তশূন্যদের দারিদ্র্যের উৎকট প্রসার, সাম্প্রতিক ধনতান্ত্রিক সমাজের টেকনোজিক্যাল অগ্রগতির বিচিত্র ফলাফলের মধ্যে অন্যতম। মধ্যবিত্তের নিম্নাংশের, অর্থাৎ সর্বাধিক বিস্তৃত স্তরের অতিদ্রুত ‘প্রলেটারিয়ানাইজেশন’ (মজুরায়ণ), ‘পপারাইজেশন’ (দরিদ্রায়ন) ও ‘লুম্পেনাইজেশন’ (মস্তানায়ন) সত্ত্বেও, এবং মার্কস—লেনিন—মাওয়ের মডেল অনুযায়ী সামাজিক বিপ্লবের যাবতীয় উপসর্গের দানাবদ্ধতা সত্ত্বেও, অত্যুন্নত অর্ধোন্নত অনুন্নত কোনো প্রকারের দেশেই আপাতত বিপ্লবের কোনো জয়োদ্দীপ্ত পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে না, যদিও বিপ্লবের সম্ভাবনা চতুর্দিকে এবং দেশে দেশে গণক্ষোভের বারুদস্তূপে স্ফুলিঙ্গসংযোগেই বিস্ফোরণের মতো অবস্থা বিরাজমান, তথাপি।

তাই কেবল মনে হয় যেন সকল রকমের শ্রেণিবৈষম্যভিত্তিক দেশের মানুষ একটা ধূমায়মান বিস্ফোরণমুখী আগ্নেয়গিরির সম্মুখে দণ্ডায়মান। তার পাশাপাশি সম্ভোগকাতর উত্তেজনাপ্রবণ আত্মনিমজ্জিত নির্বিকার পরমপুরুষতুল্য অনুভূতিহীন মানুষের অনর্গল প্রবাহ, যেমন কলকাতা—দিল্লি—বোম্বাই শহরে, তেমনি লন্ডন নিউ ইয়র্ক ওয়াশিংটন প্যারিস তেহারান কাইরো রেঙ্গুন করাচি ঢাকা কাঠমান্ডুতে এবং আরও শত শত শহরে। ভয়ংকর বর্তমান, অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অর্থাৎ সমাজবিপ্লবের পথ এত দুর্গম কুটিল ও জটিল যে, কোনো বিপ্লবী ভৌগোলিকের (মার্কস—লেনিন—মাও) মানচিত্রে তার সঠিক দিশে পাওয়া যাচ্ছে না, এবং যাঁরা বিপ্লবী, বিপ্লবের লক্ষ্যে উৎসর্গিকৃতপ্রাণ, তাঁরা যে কেবল আজ দিশের সন্ধানে দিশেহারা তা—ই নয়, পথ ও মতের ব্যবধানে তাঁদের পারস্পরিক বিচ্ছিন্নতা ও মানবিক দূরত্ব ক্রমবর্ধমান। মার্কসবাদপন্থী নানা বর্ণের বিপ্লবীদের বিচ্ছেদ—ব্যবধান, পারস্পরিক বিদ্বেষ বর্তমানে এমন এক পর্যায়ে প্রসৃত যে ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার পারস্পরিক বিদ্বেষ ও বৈরিতাকে তা অনায়াসে হার মানায়। মার্কসবাদের ‘পণ্ডিত’ হিসেবে, এমনকী সাধারণ ছাত্র হিসেবেও, কোনো দাবি বা অভিমান আমার নেই। কিন্তু ‘সমাজবিজ্ঞান’—এর কৌতূহলী শিক্ষার্থী হিসেবে কেবল এই কথাটাই আমার মনে হয়, যে মার্কস—লেনিন—মাওবাদের যে চেহারা বিভিন্ন দেশে আজ আমরা দেখছি, তার এবম্প্রকার কদর্য ক্রমবিকাশ কেমন করে সম্ভব হল, আজ তার ঐতিহাসিক—সামাজিক পশ্চাদভূমির বিশ্লেষণ সর্বাগ্রে করা প্রয়োজন। বিশ্লেষণ অবশ্য যোগ্য ব্যক্তিরা করবেন, যদিও একজন মার্কসবাদীর বিশ্লেষণ দ্বিতীয় কোনো মার্কসবাদী সমর্থন করবেন না। যেহেতু অসংখ্য ‘সম্প্রদায়’, মার্কসবাদীদের মধ্যেও। অতএব তার সামাজিক প্রতিফল আলোচনা অনাবশ্যক। কিন্তু ইত্যবসরে ‘বিপ্লব’ (Revolution)? ইত্যবসরে ‘বিপ্লব’ কল্পলোকে কক্ষান্তরিত। ‘বিপ্লব’ যেমন ‘ডিনার পার্টি’ নয়, তেমনি ‘বিপ্লব’ কবিতা লেখাও নয়, যা আমাদের দেশে আমরা পেট থেকে পড়েই লিখতে শিখি।

এমতাবস্থায় উদ্ভব কেমন করে হল তার ইতিহাস অনেকটাই দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তরকালের একপুরুষের ইতিহাস। সেই ইতিহাসের বহুমুখী বিচিত্র ধারার বিচার—বিশ্লেষণের ক্ষেত্র এটা নয়। তার গতিপ্রকৃতি ও বৈশিষ্ট্য কতকটা এইভাবে নির্দেশ করা যেতে পারে। প্রথম বৈশিষ্ট্য হল, ধনতান্ত্রিক দুনিয়ার আশ্চর্য বৈজ্ঞানিক ও টেকনোলজিক্যাল উন্নতি, ‘Communism’—এর প্রতিদ্বন্দ্বীরূপে ‘Consumerism’—এর বিকাশ এবং যে—কোনো সামাজিক বিপ্লব প্রতিহতির (containment) অত্যাশ্চর্য কলাকৌশলের বিকাশ (‘অতিস্থূল’ কৌশল যেমন আর্মি পুলিশ, গোয়েন্দা—গুন্ডাবাহিনী নিয়োগ এবং’অতিসূক্ষ্ম’ যেমন প্রধানত বুদ্ধিজীবীমহলে উদারতার বুলি আওড়ে, এমনকী মার্কসবাদীর গণতান্ত্রিক মুখোশ পরে অনুপ্রবেশ অথবা ওয়াটারগেট স্টাইলের বাগিং)। দ্বিতীয় বৈশিষ্ট্য হল, অধিকাংশ দেশে কমিউনিস্ট আন্দোলন ও বনেদি প্রবীণ কমিউনিস্ট পার্টিগুলির পরমাশ্চর্য হাস্যকর বিপ্লবব্যর্থতা যেহেতু এই সমস্ত কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যবিত্তপ্রধান নেতৃত্বের স্বশ্রেণিসুলভ দৈন্য সংকীর্ণতা স্বার্থপরতা ক্ষমতালোলুপতা প্রভৃতি প্রবৃত্তি বিপ্লবপরিপন্থী তো বটেই উপরন্তু ধনতন্ত্র—সমাজতন্ত্রের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান—নীতিতে অতিবিশ্বাসী। তৃতীয় বৈশিষ্ট্য হল, জনসংখ্যাবৃদ্ধির দ্রুত হার অনুপাতে কিশোর—তরুণ—যুবসমাজের (যারা কোনো নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেণিভুক্ত নয়) প্রচণ্ড আয়তনবৃদ্ধি ও সামাজিক রণাঙ্গনে দৃপ্ত ভঙ্গিতে এই যুব ছাত্রসমাজের প্রধান নায়কের ভূমিকার আবির্ভাব। এই যুব ছাত্রসমাজের বৃহদংশের জীবনের সামনে বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কোনো কিছুর অস্তিত্ব নেই। কাজেই তাদের যৌবনসুলভ স্থূল দৈহিক শক্তিচেতনার পাশাপাশি আছে একটা বেপরোয়া মনোভাব, যা বর্তমানে ব্যাধিগ্রস্ত সমাজে স্বভাবতই সমস্ত নীতি—ঐতিহ্যের চেতনা বিবর্জিত। অর্থাৎ যুবসমাজের বেশ বড় অংশ আজ হয় ‘মস্তান’ অথবা ‘কবি’। অন্যদিকে প্রগতিশীল ও বৈপ্লবিক সামাজিক আদর্শের প্রতি উৎসর্গিতপ্রাণ তরুণসমাজ জৈবিক নিয়মে কল্পনাপ্রবণ এবং সাম্য—মৈত্রীমুক্তির এক মনগড়া স্বপ্নরাজ্যের নায়ক। অন্যায়—অবিচারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে, আত্মবলিদানে তাদের সমদৃষ্টান্ত ইতিহাসে বাস্তবিকই বিরল, কিন্তু ‘বিপ্লব’ (Revolution) অথবা ‘মুক্তি’ (Liberation) কেবল এই চারিত্রিক গুণের দ্বারা সম্ভব কি না, মার্কস—লেনিন—মাওয়ের বিপ্লব, সেটাও আজ ভাববার বিষয়। তা ছাড়া মার্কস লেনিন ও মাওয়ের বিপ্লবকালীন সমাজের সঙ্গে বর্তমান সমাজের যে বিরাট পার্থক্য, সে কথাও তো মধ্যে মধ্যে ভাবা দরকার। কিন্তু ভাববার অবকাশ নেই কারও। অথচ এ কথা স্বীকার করতেই হবে যে এই তরুণ ছাত্র যুবশক্তির অভ্যুত্থান (যাকে ‘শ্রেণিহীন’ বলা যায়, কারণ কোনো নির্দিষ্ট সামাজিক শ্রেণির গণ্ডিভুক্ত ছাত্র যুবকরা নয়) গতানুগতিক ধনিক—মধ্যবিত্ত এবং শ্রমিক—কৃষকশ্রেণির ছকবাঁধা বিরোধ সংঘাতের মধ্যিখানে একটা বিরাট চ্যালেঞ্জের মতো। এই চ্যালেঞ্জের সামনে সর্বপ্রকারের রাজনৈতিক পার্টি বিভ্রান্ত, ইডিওলজি বা আদর্শ—নির্বিশেষে। অতএব ছাত্র যুবশক্তির বিক্ষোভ বর্তমান সমাজে কতকটা সাইক্লোনিক ঝড়ের মতো রূপ ধারণ করছে এবং তার গতিনিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা আপাতত যে কারও নেই তা—ও দেখা যাচ্ছে। ফ্যাসিজমের দিকে অথবা সোশ্যালিজমের দিকে তার আংশিক নিয়ন্ত্রণ যদিও বা সম্ভব হয়, সমগ্রভাবে এই শ্রেণিচরিত্রশূন্য যুবশক্তিকে আয়ত্তে আনা রীতিমতো কঠিন সমস্যা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধোত্তরকালে, দীর্ঘকালের শাসকশ্রেণি ও শোষিত শ্রেণির মাঝখানে এই নতুন যুবশক্তির উত্থান, প্রায় শৃঙ্খলমুক্ত প্রমিথিয়ুসের মতো, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ঘটনা। বৈপ্লবিক ঘটনা বললেও অত্যুক্তি হয় না।

সাম্প্রতিক ইতিহাসের চতুর্থ বৈশিষ্ট্য হল এশিয়া, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার দেশে দেশে সাম্রাজ্যবাদী শোষণমুক্তি ও গণমুক্তি আন্দোলনের প্রবল জোয়ার, সশস্ত্র গণসংগ্রামের প্রবাহে, কোথাও তার জয়, কোথাও মর্মান্তিক পরাজয়। এই গণসংগ্রামের প্রবাহে, আদর্শগত ক্ষেত্রে কয়েকজন বুদ্ধিজীবীর বিশেষ দান আছে। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মার্কুসে, ফ্যানন, দেব্রে, গ্যেভারা। ১৯৬০—এর দশকে প্রগতিশীল চিন্তারাজ্যে এঁরা প্রত্যেকে প্রবল আলোড়ন সৃষ্টি করেছিলেন, এবং তরুণ মনে বিশেষ করে এঁরা প্রায় একাধিপত্য বিস্তার করেছিলেন। একসময়ে প্রচারিত হয়েছিল এবং মার্কুসের One-Dimensional Man গ্রন্থের প্রথম কভারে লেখা থাকত যে মাও—সে তুঙের Red Book—এর চাইতে অনেক বেশি তাঁর বই ইউরোপ—আমেরিকার তরুণদের হাতে হাতে ঘোরে। ফ্যানন—দেব্রে—গ্যেভারার বইও প্রায় এইভাবে তরুণদের হাতে—হাতে ঘুরেছে। আমরাও যে যৌবনান্তে এঁদের রচনার দ্বারা প্রভাবিত হইনি, এমন কথা বলব না। বর্তমান টেকনোলজিসর্বস্ব ধনতান্ত্রিক সমাজে, মানবচরিত্র ও কনজিউমারিজমের বিচার—বিশ্লেষণে মার্কুসের অসাধারণ কৃতিত্ব অনস্বীকার্য। সাম্রাজ্যবাদী শোষণমুক্তির সংগ্রামে ফ্যাননের চিন্তাধারার দান, বিশেষ করে ঔপনিবেশিক আফ্রিকায়, নিঃসন্দেহে অদ্বিতীয়। গ্যেভারার জীবন বর্তমান যুগের বিপ্লবীর এক রোমাঞ্চকর কাহিনি। কিন্তু তৎসত্ত্বেও এঁরা কেউ মার্কস—লেনিন—মাওবাদে বিশ্বাসী ছিলেন অথবা তাঁদের চিন্তাধারা ও কর্মনীতির অনুগামী ছিলেন, এরকম উক্তি করা বোধহয় সংগত নয়। ১৯৭০—এর দশকের গোড়া থেকেই তাই দেখা যায় যে এঁদের বৈপ্লবিক বর্ণচ্ছটা বা Charisma ক্রমে ম্লান হচ্ছে। কিউবার ক্যাস্ট্রোর চেহারা দেখলেই তা বোঝা যায়। কিন্তু মার্কস—লেনিন—মাওয়ের বৈপ্লবিক ঔজ্জ্বল্য ম্লান হচ্ছে না কেন? এরকম অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের আলোচনা সম্প্রতি প্রকাশিত কয়েকটি গ্রন্থে করা হয়েছে। যেমন :

Jack Woddis : New Theories of Revolution : A Commentary on the Views of Fanon, Regis Debray and Herbert Marcuse (N. Y. 1972); Paul Mattick : Critique of Marcuse (London 1972); Alasdair MacIntyre : Marcuse (London 1970); David Caute : Fanon (London 1970); Andrew Sinclair : Guevara (London 1970).

বর্তমান গ্রন্থে সংকলিত রচনাগুলি যে সময় লেখা (১৯৬৪—৭১) তখন লেখকের মন ও চিন্তাধারাও এইরকম অনেক প্রশ্ন ও সমস্যার আঘাতে আলোড়িত। যেমন ‘অ্যালিয়েনেশন’—এর বা আত্মবিচ্ছিন্নতাবোধের সমস্যা, যা আমাদের সমাজেও আজ নিষ্ঠুর বাস্তব সত্য ও সমস্যা এবং যার প্রতিক্রিয়ার ধর্মীয় বিকৃতি, সাংস্কৃতিক বিকৃতি, ব্যক্তিচরিত্রের বিকৃতি আজ অতীব বিস্ময়কর। যেমন মধ্যবিত্তের সমস্যা, বিদ্রোহ ও বিপ্লবের প্রশ্ন ইত্যাদি। এবং কনজিউমারিজম—এর সমস্যা, যা সমাজের সুবিস্তৃত দারিদ্র্যের স্তরের উপরে সচ্ছল, মধ্যবিত্ত ও ধনিকদের ভোগবিলাসের এক পরমাশ্চর্য দৃশ্য। কোনো সমস্যার সমাধান অথবা কোনো প্রশ্নের উত্তর অথবা কোনো সারগর্ভ জ্ঞান দান করার জন্য লেখাগুলি লিখিনি। মার্কসীয় সমাজবিজ্ঞানে আস্থা ও শ্রদ্ধা থাকা সত্ত্বেও এ কথা ভুলিনি যে হাজার হোক আমি একজন ‘মধ্যবিত্ত’ বা ‘পেটিবুর্জোয়া’ মাত্র এবং আমার চিন্তার সীমারেখা থাকবেই, তার মধ্যে স্ববিরোধও থাকবে। তাহলেও চিন্তা করলে এবং সেই চিন্তাপ্রসূত কোনো রচনার ‘উৎপাদন’ (তথাকথিত ‘creation’ নয়, ‘production’ মাত্র) সম্ভব হলে, ক্ষতি কী? যেহেতু ‘My own existence is a social activity. For this reason, what I myself produce I Produce for society, and with the consciousness of acting as a social being.’ (Karl Marx : Economic and Philosophical Manuscripts)। এর বেশি এই লেখাগুলি সম্বন্ধে আপাতত আর কোনো বক্তব্য নেই।

নভেম্বর ১৯৭৩

Post a comment

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *