৪
গৌড় সারং-এর পরে অন্য প্রহরকে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য আসেন মুলতান রাগের তীব্র মধ্যম। মুলতান রাগের এক ‘মা’ – অর্থাৎ এতে কেবল কড়ি ‘মা’ লাগে। সকালের টোড়ি আর বিকালের মুলতান একই ঘরের ছেলে মেয়ে। শুধু চাল চলনের তফাতের জন্য দুই জনের স্বভাব দু-রকমের হয়ে গেছে। টোড়ি শুনেছেন, এখন মুলতান খেয়াল শুনুন, তা-হলেই এদের চালের তফাত বুঝতে পারবেন। টোড়ির রাধা অর্থাৎ ‘রে’ আর ‘ধা’ প্রীতি প্রবল, পা দুর্বল। মুলতানির ‘পা’ বেশ প্রবল। রাধা-প্রীতি খুব কম।
মুলতানি–তেতালা
মুকুর লয়ে কে গো বসি হেরিছে আপন ম্লান মুখ-শশী॥ সখীরা ডাকে, বেলা বয়ে যায় দোপাটির ফুল ঝুরে আঙিনায়, ধুলাতে লুটায় কাঁখের কলশি॥ হেরিয়া তারি আলস ছবি ডুবিতে নারে সাঁঝের রবি। কমল-কলি লয়ে আঁচলে ডাকিছে তারে গাঁয়ের সরসী॥