মাহফুজুর রহমান-কে
১
হুগলি
১৬-৭-২৫
স্নেহভাজনেষু –
মাহফুজ! অনেক দিন তোমার খবর পাইনি। আমিও বাড়ি থাকি না – এখান ওখান ঘুরছি। কাল ফিরেছি বাঁকুড়া থেকে।১ মাঝে মাঝে প্রাণতোষের২ কাছে খবর পাই তোমার। সেও দেখা দিচ্ছে না কয়দিন থেকে। এখন কোথায় আছ, পাস করেছ কিনা – এবং কোথায়, কী কী পড়বে পাস করলে – তা জানিয়ো অবশ্য। – বইয়ের টাকা আদায় হয়ে থাকলে পত্রপাঠ পাঠিয়ে দেবে। বড্ড দরকার পড়েছে টাকার। আদায় না হয়ে থাকলে আদায় করবে পত্রপাঠ। বই বিক্রি না হলে ফেরৎ পাঠাবে – বই-এর বড্ড দরকার। সকল ছেলেদের স্নেহাশিস দিয়ো। ইতি –
শুভার্থী –
নজরুল
P.S. পত্রোত্তর দিয়ো শিগগির।
২
হুগলি,
২০ জুলাই, ১৯২৫
কল্যাণীয়েষু,
তোমার চিঠি পেলুম। তুমি পাস করেছ জেনে খুশি হলুম। কলেজেই পড়ো এখন। তুমি বোধ হয় রংপুরের ইদরিশ ও ইলিয়াশকে চেনো। যদি না চেনো, তোমাদের প্রফেসর সাতকড়ি মিত্র (আমার বড়দা)-কে জিজ্ঞেস করো – তিনি বলে দেবেন। ওদের সঙ্গে পরিচয় করো। তোমার আনন্দ হবে। ওরা বড্ড ভালো ছেলে! ইদরিশের সঙ্গে দেখা হলে বোলো – কতকগুলি বই ছিল ওদের কাছে (ওর এবং আজিজ বলে একটি ছেলের কাছে) – তার কী হলো? আজিজের সঙ্গেও আলাপ কোরো। রংপুরে সবচেয়ে দেখবার জিনিস হচ্ছে বড়দা (সাতকড়ি মিত্র)। এতদিন নিশ্চয় আলাপ হয়েছে তোমার। তাঁকে এবং বউদিকে (ওখানে থাকলে) আমার প্রণাম দিও। ইদরিশ, ইলিয়াশ আজিজ প্রভৃতি সব ছেলেদের এবং তোমাকে আমার স্নেহাশিস। আমি বড়ো ব্যস্ত। বীরভূম যাচ্ছি ৪/৫ দিনের জন্যে। ইতি –
শুভার্থী
নজরুল